বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

দুবাইয়ে আরাভ খানকে আটকের গুঞ্জন

রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান
আপডেটেড
২১ মার্চ, ২০২৩ ১৭:০৪
নুরুজ্জামান লাবু
প্রকাশিত
নুরুজ্জামান লাবু
প্রকাশিত : ২১ মার্চ, ২০২৩ ১৪:৫৫

সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত পুলিশ পরিদর্শক হত্যা মামলায় দুবাইয়ে পলাতক রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানকে সেখানকার পুলিশ আটক করেছে বলে খবর মিলেছে। গত সোমবার রাতে দুবাইয়ের একটি ফ্ল্যাট থেকে তাকে আটক করা হয়। ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির পরই দুবাই পুলিশের এনসিবি শাখা আরাভকে আটকের তৎপরতা শুরু করে। শেষ পর্যন্ত তাকে ধরার বিষয়টি পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ মন্তব্য করতে চাননি।

সূত্র জানায়, আরাভকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও পুলিশ সদর দপ্তরের একটি যৌথ দল দুবাই যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে। আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই তারা দুবাই যেতে পারে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গত সপ্তাহে এক জাঁকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আরাভ জুয়েলার্সের উদ্বোধন করার পর আলোচনায় আসে জুয়েলার্সের মালিক আরাভ খান। ওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ক্রীড়া ও বিনোদন জগতের অনেক তারকাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ফেসবুকে একাধিক পোস্ট দিয়েছিলেন আরাভ খান। তখনই তাকে পুলিশ পরিদর্শক হত্যা মামলার আসামি বলে শনাক্ত করে ফেলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা।

গোয়েন্দা পুলিশের তথ্যমতে, আরাভ জুয়েলার্স নামের ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক আরাভ খানের আসল নাম রবিউল ইসলাম। বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় তার বাড়ি। তিনি সোহাগ মোল্লা, হৃদয় শেখ, আপন- এ রকম কয়েকটি নামে পরিচিত। ২০১৮ সালের ৭ জুলাই ঢাকায় পুলিশের পরিদর্শক মামুন এমরান খান খুন হন। সেই খুনের আসামি হয়ে দেশ থেকে পালিয়েছিলেন রবিউল ওরফে আরাভ।

মামলা ও নথিপত্র সূত্রে জানা যায়, নারীদের টোপ হিসেবে ব্যবহার করে বিত্তশালীদের ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নেয়া একটি চক্রের কবলে পড়েন পুলিশ পরিদর্শক মামুন এমরান। এরপর তাকে ধরে নিয়ে হত্যার পর পেট্রল ঢেলে মরদেহ পুড়িয়ে গাজীপুরের জঙ্গলে ফেলে দেয় হত্যাকারীরা।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, ওই খুনের ঘটনার পরে অন্য আসামিদের সঙ্গে আরাভকে আটক করেছিল ডিবি। ডিবির কার্যালয়ে দুদিন রাখার পর তাকে পুলিশের এক পদস্থ কর্মকর্তার অনুরোধে ছেড়ে দেয়া হয়। চার দিন ধরে বিষয়টি নিয়ে দেশের একাধিক গণমাধ্যম এসব তথ্য প্রকাশ করছে।

এরপরই মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন গত সোমবার এ বিষয়ে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, ‘আরাভ খানের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য ইন্টারপোলসহ বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ শুরু করেছি। আমি কিছুক্ষণ আগে জানতে পেরেছি, তার নামে আমরা যে চার্জশিট দিয়েছি, ওই নামে রেড নোটিশ জারির একটা বিষয় (আবেদন) দিয়েছি, এটা বোধহয় ইন্টারপোল গ্রহণ করেছে, এ রকম একটা খবর আমি পেয়েছি। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। কীভাবে কাজ করছি, সেটা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাচ্ছি না তদন্তের স্বার্থে।’

দুবাইয়ে আরাভ খানকে আটকের খবরের বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি শাখার এআইজি শরীফ মোস্তাফিজুর রহমান এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি এআইজি মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। এআইজি মিডিয়া মনজুর হোসেন দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা এখনো এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাইনি।’

বিষয়:

ন্যায়বিচার নিশ্চিতে মেধা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগান

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বিচারপ্রার্থীরা যাতে সহজে ন্যায়বিচার পেতে পারে সে জন্য সর্বোচ্চ আদালতসহ সব আদালতের বিচারকদেরকে সর্বাত্মক প্রয়াস চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট হচ্ছে বিচারপ্রার্থীদের বিচার পাওয়ার শেষ আশ্রয়স্থল। তাই বিচারকাজে বিচারপতিরা তাদের মেধা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাবেন।’

আজ বিকেলে বঙ্গভবনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত তিন বিচারপতির সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন এ কথা বলেন।

প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের জানান, রাষ্ট্রপতি নতুন বিচারপতিদের অভিনন্দন জানান।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, জনগণ যাতে দ্রুত ও সহজে ন্যায়বিচার পায় সে জন্য নতুন বিচারপতিরা তাদের মেধা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাবেন।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত তিন বিচারপতি হচ্ছেন বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম এবং বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এবং সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।


ক্ষমা চেয়ে দায়মুক্ত এমপি হাফিজ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বরিশাল-৬ আসনের এমপি আবদুল হাফিজ মল্লিক প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার ঘটনার ব্যাখ্যায় ‘ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ায়’ তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে দুপুরে কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রথম দফায় ৮ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি প্রকাশ্যে ভোট দিয়েছেন। কমিশনের কাছে ভুল স্বীকার করেন এই আইনপ্রণেতা।

কমিশনের কাছে ক্ষমা চাওয়ায় হাফিজ মল্লিককে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে অশোক কুমার জানান।

এর আগে সোমবার নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান এমপি আবদুল হাফিজ মল্লিককে চিঠি পাঠান। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বরিশাল-৬ আসনের এমপি হাফিজ মল্লিকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাকে তলব করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (১৫ মে) দুপুর ১২টায় তাকে নির্বাচন ভবনে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এমপি মল্লিককে দেওয়া ইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৮ মে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন আপনি ৪৭ নম্বর মঙ্গলসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে প্রকাশ্যে ভোট দিয়েছেন। যার ভিডিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায়) ছবিসহ প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়েছে।


কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় পড়লে ক্ষতিপূরণ পাবে পোশাকশ্রমিকরা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পোশাকশ্রমিক কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় পড়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। তবে এখন থেকে এ ধরনের দুর্ঘটনা ‘শিল্প দুর্ঘটনা’ হিসেবে বিবেচিত হবে। বাংলাদেশে এর আগে এই নিয়ম শুধু কর্মক্ষেত্রের ভেতরেই সীমাবদ্ধ ছিল। বর্তমান নিয়মের কারণে এ ধরনের দুর্ঘটনার শিকার পোশাকশ্রমিকরা ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবেন।

অ্যামপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কিম (ইআইএস) পাইলটের গভর্নেন্স বোর্ড সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ৮ম সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ‘যাতায়াত দুর্ঘটনা’-কে ‘শিল্প দুর্ঘটনা’ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করার অনুমোদন দিয়েছে। আগামী ১ জুলাই থেকে এই সিদ্ধান্তের পাইলটিং কার্যকর হবে।

অ্যামপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কিম (ইআইএস) পাইলটের গভর্নেন্স বোর্ডের সভায় সিদ্ধান্তটি নিয়োগকর্তাদের সংগঠন, শ্রমিক সংগঠন এবং সরকারি সংস্থাগুলোর সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, বাংলাদেশের শিল্প ও শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শিল্প দুর্ঘটনার মধ্যে যাতায়াতকালের দুর্ঘটনা অন্তর্ভুক্ত করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।

সভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলওর কারিগরি বিশেষজ্ঞরা এ ধরনের সম্প্রসারণের কারিগরি ও আর্থিক দিকগুলোর মূল পয়েন্টগুলো তুলে ধরেন। যাতায়াতকালীন দুর্ঘটনাকে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত উল্লেখ করা আছে- ঘটনা কারখানার বাইরে ঘটতে হবে, কারখানার সঙ্গে তাদের যুক্ততার রেকর্ড থাকতে হবে।

নিয়োগকর্তাদের সংগঠনগুলো পাইলট স্কিমের আওতায় আগামী ১ জুলাই থেকে যাতায়াত দুর্ঘটনা অন্তর্ভুক্ত করতে সম্মত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সামাজিক সুরক্ষার জন্য শ্রমিকদের মৌলিক অধিকারকে সমর্থন করি এবং নতুন সুবিধাগুলো বিবেচনা করতে পেরে খুশি হবো যদি সেটি শিল্পের প্রতিযোগিতাকে প্রভাবিত না করে।

এরইমধ্যে শ্রমিক প্রতিনিধিরাও এ উদ্যোগে সহযোগিতার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। তৈরি পোশাক খাত তুলনামূলকভাবে নিরাপদ খাত, তবে সড়ক পথে যাতায়াত এই কাজের সবচেয়ে ভয়াবহ অংশ, তাই যাতায়াত দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণের অন্তর্ভুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ।

আইএলও অ্যামপ্লয়মেন্ট ইনজুরি বেনিফিট কনভেনশন নং ১২১ (সি-১২১)-এর ৭ নম্বর অনুচ্ছেদে সদস্য দেশগুলোকে শিল্প দুর্ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে হবে এবং যার মধ্যে একটি যাতায়াত দুর্ঘটনাকে শিল্প দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হবে এমন শর্তগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

২০২২ সাল থেকে ইআইএস পাইলট তৈরি পোশাক খাতের আহত শ্রমিক ও মৃত শ্রমিকদের কর্মস্থলজনিত দুর্ঘটনার জন্য ক্ষতিপূরণ দিয়ে আসছে। আইএলওর বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পুটিয়াইনেন বলেন, যাতায়াত দুর্ঘটনা অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে এই উদ্যোগটি শ্রমিকদের সুরক্ষা বৃদ্ধি করবে এবং শিল্প সম্পর্কের উন্নতি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আইএলও এবং জিআইজেড যৌথভাবে অ্যামপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কিম পাইলট বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকার, নিয়োগকর্তা এবং শ্রমিক সংগঠনগুলোকে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে। আইএলও উদ্যোগটি নেদারল্যান্ডস এবং কানাডা সরকার দ্বারা অর্থায়ন করা হয়, অন্যদিকে জিআইজেড উদ্যোগটি জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিএমজেড) দ্বারা অর্থায়ন করা হয়।

এদিকে, মঙ্গলবার বাংলাদেশের শ্রম আইন নিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সঙ্গে তিন দিনের বৈঠকে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে আইএলও কিছু পরামর্শ দিতে চায়, যাতে আইনটি আরও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হয়। সংস্থার কমিটি অব এক্সপার্ট আইনটা দেখেছে, পড়েছে, সেখানে তারা আন্তর্জাতিক মান নিয়ে কিছু সুপারিশ দিয়েছে।


সময় নির্ধারণ করে সেবা দেওয়ার তাগিদ বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এখন যতগুলো সেবা দেয়, তার সবগুলো আগামীতে একটা লিপিবদ্ধ কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। লিপিবদ্ধ এ কর্মপরিকল্পনায় সেবা দেওয়ার সময় এবং প্রক্রিয়া উল্লেখ থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে আমরা যত সেবা দিই, সব সেবা আমরা একটা রিটেন ফ্লো চার্টের মধ্যে দেব; যেখানে সেবা দেওয়ার সময় এবং প্রক্রিয়া উল্লেখ থাকবে। কোন প্রক্রিয়া কত সময়ের মধ্যে দেব এটাও ঠিক করে ফেলব। এটা করে ফেলতে পারলে আমাদের পুরো সেবাটাকেই ই-গভর্নন্যান্সে পরিপূর্ণ রূপ দিতে পারব।’

আজ বুধবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ইনোভেশন শো-কেসিং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী অর্থবছর শুরু হবে এক মাসের মধ্যে। জুনে বাজেট শুরু হবে। আমি কয়েকটি কাজ করতে অনুরোধ করব আপনাদের। আমরা যে সেবা প্রদান করি সেই প্রক্রিয়াটাকে ডিজিটালাইজ করা। আমাদের ডিজিটালাইজেশনের ধারণাটা পরিষ্কার না। এটা ‌যেকোনো অটোমোশন বা ই-গভর্নেন্সের পূর্বশর্ত। যে সেবাটি আপনি দেবেন সেটা ফ্লো-চার্টের মতো সাজানো থাকা উচিত। খুব সহজ; আমি কী সেবা দিচ্ছি এবং সেবাটা কী প্রক্রিয়ায় দেব, স্টেপ বাই স্টেপ লিপিবদ্ধ থাকবে। আগামী বছর আমাদের উদ্ভাবন পরিকল্পনার একটা অন্যতম অনুষঙ্গ হবে এটা।’

তিনি বলেন, ‘এখন আর আরজিসিতে একটা কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন করতে কাউকে আমাদের অফিসে আসতে হয় না। দেশে বা বিদেশে যেখানেই থাকবে সেখানে বসেই কিন্তু একটা কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব। আমাদের আইআরসি, এক্সপোর্ট পারমিশন, ইমপোর্ট পারমিশন- সব সেবাই কিন্তু অনলাইনে দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি। যেখানে আমাদের সমস্যাটা সমাধান করতে হবে, সেটা হলো জিনিসটাকে একই লাইনে আনতে হবে। একটা প্রক্রিয়া অটোমেট করলেন, আরেকটা করলেন না; তাহলে তো হবে না। এই জায়গাগুলোতে আমাদের উদ্ভাবনী প্রক্রিয়াগুলো চিন্তা করতে হবে এবং সেটাকে ডিজিটালাইজ করার চেষ্টা করতে হবে।

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে এখন স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলেছেন; আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী চারটি পিলারের ওপর স্মার্ট বাংলাদেশকে দাঁড় করিয়েছেন। প্রথমত স্মার্ট সিটিজেন, তাদের নিয়েই আমাদের সব কর্মপরিকল্পনা। কোনো সিস্টেম ডিজিটাল করলাম কিন্তু পেমেন্ট মেথড ডিজিটাল করলাম না, তাহলে কিন্তু পরিকল্পনাটা সম্পূর্ণ হলো না। আপনি সেবা দিচ্ছেন কিন্তু পেমেন্টটা কীভাবে নিচ্ছেন সেটাও ভাবতে হবে। এটাকেও ডিজিটালাইজ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেকটা জিনিসের কর্মপরিকল্পনা লিপিবদ্ধ করে ডিজিটালাইজ এবং সম্পূর্ণ করতে পারলেই আমাদের সার্থকতা৷ আমরা বাংলা এবং ইংরেজি একেবারে গুলিয়ে ফেলছি। হয় পুরোটা ইংরেজিতে বলব, অথবা পুরোটা বাংলায় বলব। আমার মনে হয়, ইংরেজি যা লিখি সেটা ইংরেজি লেটার দিয়ে লিখলে ভালো হয়। আমাদের এই চর্চাটা শুরু করা উচিত।


রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ৩০ জুনের মধ্যে ফিটনেসহীন সব বাস চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়া রাজধানীতে যেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলতে না পারে সে বিষয়েও ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

আজ বুধবার বনানীতে বিআরটিএ কার্যালয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৭-এর অধীনে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম বৈঠকে ওবায়দুল কাদের এসব নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত কোন গাড়ি (তিন চাকার) যেন ঢাকা সিটিতে না চলে। আমরা ২২টি মহাসড়কে নিষিদ্ধ করেছি। শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, চালাতে যেন না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

এ সময় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ভয়াবহ ব্যাপার যে রিকশাচালকরা দুই পা ওপরে উঠিয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালান। অনেক প্রতিবন্ধী আছেন, যারা চোখে কিছুটা কম দেখেন তারাও এই রিকশা নিয়ে নেমে পড়েন।

উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, সিদ্ধান্তে আসা দরকার যে ঢাকায় ইজি বা অটোরিকশা চলবে না। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

সভায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র নগরের মধ্যে অটোরিকশা চলাচল বন্ধে সম্মতি দেন।

রাজধানীতে ফিটনেসহীন গাড়ির বিষয়ে নিজের ক্ষোভ করেছেন ওবায়দুল কাদের। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা শহরে যে ধরনের লক্কড়-ঝক্কড় ও রংচটা গাড়ি চলে তা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে দেখা যায় না।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শহরে আধুনিক গণপরিবহন চলাচল করে। কিন্তু ঢাকায় লক্কড়-ঝক্কড় ও রংচটা গাড়ি চলে। এগুলো দেখতেও তো খারাপ লাগে। এর চেয়ে ঢাকার বাইরে মফস্বল এলাকাগুলোতে উন্নতমানের গণপরিবহন চলে।

‘এই ‘লক্কড়-ঝক্কড়’ বাসগুলোর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না,’ বিআরটিএ কর্মকর্তাদের প্রশ্ন করেন মন্ত্রী।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সড়কে শৃঙ্খলা আনতে বিআরটিএ অনেক কর্মসূচি ও আইন করে। কিন্তু রেজাল্ট (ফল) কী? সড়কের দুর্ঘটনা ও যানজট তো কমছে না।’

তিনি বিআরটিএর কর্মকর্তাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এত উন্নয়নের পরও সড়ক, মহাসড়কে যানজট ও দুর্ঘটনা কেন? ঝালকাঠিতে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৪০ বছরের পুরানো গাড়ি কীভাবে সড়কে চলে। এতদিন কী করছিল বিআরটিএ?

ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়কে পরিবহনে যদি শৃঙ্খলা না আসে তাহলে নিরাপদ সড়কের স্বপ্ন দেখে কী লাভ। সড়কে শৃঙ্খলা না থাকলে, এতো মেগা প্রকল্প এবং ছয় থেকে আট লেনের সড়কেরও কোনও সুফল আসবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

নো হেলমেট, নো ফুয়েল
এদিকে দেশের বাইক চালকদের আবারও সতর্ক করে দিয়ে হেলমেট না থাকলে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তার স্পষ্ট নির্দেশ, ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল।’

এ নির্দেশ তার ঘোষণার পর থেকে সারাদেশে কার্যকর করার নির্দেশ দেন তিনি। দেশের সব জায়গায় এমনকি মফস্বলেও এই নীতি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সড়ক পরিবহনমন্ত্রী মন্তব্য করেন, ইজিবাইক ও মোটরসাইকেলের কারণেই দেশে সড়ক দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে।

প্রসঙ্গত সড়ক পরিবহন আইনে হেলমেট ছাড়া বাইক চালালে ১০ হাজার টাকা এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। কিন্তু আইনের বাস্তবায়ন দেখা যায় না বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্ঘটনা বিশ্বের কোথাও শূন্যের কোটায় নেই। তবে বাংলাদেশে এটি কমে আসবে।

সভায় বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।


ঈদের ছুটির আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস: শ্রম প্রতিমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া মেনে ঈদুল আজহার ছুটির আগেই তাদের বেতন-বোনাস পরিশোধে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, ‘প্রত্যেকবার ঈদের আগে শ্রমিকদের ধর্মঘট করা একটা রেওয়াজ ছিল। কিন্তু এবার থেকে আর এমন পরিস্থিতি তৈরি করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় শ্রমিক-মালিক পক্ষ একসঙ্গে বসে শ্রমিকদের যে চাহিদা ছিল, তা আমার মালিক ভাইয়েরা মেনে নিয়েছেন। যা চাহিদা ছিল সবকিছুর সমাধান হয়েছে।’

রাজধানীতে শ্রম ভবনে আজ বুধবার শ্রমিক ও মালিক পক্ষকে নিয়ে সভায় বসে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। ওই বৈঠকেই এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে সাংবাদিকদের জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “শ্রমিকরা যে দাবি করেছে, এগুলো আসলে দাবি না, তাদের প্রাপ্য। তাদের প্রাপ্যের বিষয়ে মালিকপক্ষ সমর্থন দিয়েছে এবং জানিয়েছে এগুলো তারা বাস্তবায়ন করবে। রেশনিংয়ের একটা বিষয় ছিল। রেশন কীভাবে দিলে শ্রমিকরা সুন্দরভাবে পাবে তা বসে আমরা নির্ধারণ করব। রেশন দেওয়া হবে, এটা প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন। সুতরাং শ্রমিকরা এটা পাবেই।”

এবারের কোরবানির ঈদ হচ্ছে জুনের তৃতীয় সপ্তাহে। শ্রম মন্ত্রণালয়ে সভায় মে মাসের বেতনের সঙ্গে জুনের অর্ধেকের বেতনও দাবি করেন শ্রমিক নেতারা।

বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি সভা শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের দাবি ছিল ঈদ যেহেতু জুন মাসে, তাই মে মাসের বেতন নিশ্চিত করে, জুন মাসেরও যেন অর্ধেক বেতন দেয়। কিন্তু সেটা বাস্তবতার সঙ্গে মানানসই হচ্ছে না। তাই মে মাসেরটাই দেওয়া হবে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর পরেও মূল্যস্ফীতির কারণে শ্রমিকরা ‘ভালো নেই’ বলে রনির ভাষ্য।

নিম্ন আয়ের শ্রমিকদের সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘যারা হেলপার বা আরও ছোট চাকরি করে তাদের বেতন ১২ হাজার টাকা। এটা দিয়ে সংসার তো চলে না। আবার ওভারটাইম করারও সুযোগ খুব একটা থাকে না। তাই বেতন আরও বাড়ানোর দাবি করেছি আমরা।’

শ্রমিকদের রেশনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের জন্য রেশনের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী নিজেই দিয়েছেন, কিন্তু তা তো আসলে সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আমরা মনে করি এটা এখনই দেওয়া সম্ভব না। তাই সবাইকে যেন টিসিবির কার্ড দেওয়া হয়, আপাতত সেই দাবি জানিয়েছি।’

প্রত্যেক ঈদের আগে একসঙ্গে পোশাক কারখানাগুলো ছুটি হলে হলে সড়কে ব্যাপক চাপ পড়ে। তীব্র যানজট তৈরি হয়। এ অবস্থা নিরসনে পোশাক কারখানাগুলোর ছুটির বিষয়েও বৈঠকের কথা জানান শ্রম প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

তিনি বলেন, ঈদে গার্মেন্টগুলো একসঙ্গে ছুটি দিলে সবসময় যানজটের সৃষ্টি হয়। তাই এটার জন্য একটা মিটিং করে ছুটি কীভাবে দিলে ভালো হয় তা ঠিক করা হবে। সেই মিটিংটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেট অনুযায়ী হবে।

“ঈদে একটা লম্বা ছুটি... প্রায় সাত থেকে দশ দিনের ছুটি হবে। এই ছুটি যাতে শ্রমিকরা স্বাচ্ছন্দ্যে ও স্বস্তিতে কাটাতে পারে সেই চিন্তা থেকে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। তা ছাড়া আমরা মনিটরিং করব কীভাবে কাজ করলে ভালো হয়। প্রশাসনের সকল লোকজন আছে। আরএমজি (তৈরি পোশাক) শিল্পকে দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে এগিয়ে নেব। এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে শ্রমিক-মালিক পক্ষ একজোট আছে,’বলেন তিনি।

সভায় পোশাক মালিকদের পক্ষে বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

শ্রমিকদের পক্ষে ছিলেন জাতীয় শ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগ, জাতীয় শ্রমিক জোট, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের প্রতিনিধিরা।


পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ডোনাল্ড লু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বাংলাদেশে সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু।

আজ বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় আরও ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

একই দিনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন ডোনাল্ড লু। পরে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে পৃথকভাবে আলোচনা করেন তিনি।

গতকাল মঙ্গলবার 'দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার' করতে এবং একটি উদার, উন্মুক্ত ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন প্রদর্শনে লু ঢাকা সফর করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, জলবায়ু সমস্যা সমাধানে দুই দেশ যাতে আরও সহযোগিতা করতে পারে, সেই লক্ষ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করাসহ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা আরও গভীর করার বিষয়ে আলোচনা করতে তিনি বাংলাদেশ সফর করছেন।


চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিপ্তরের নতুন মহাপরিচালক হলেন আকতার হোসেন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত কর্মকর্তা আকতার হোসেনকে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের (ডিএফপি) মহাপরিচালক (গ্রেড-২) করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৪ মে) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার থেকে তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেন।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বিসিএস (তথ্য-সাধারণ) ক্যাডারের এ কর্মকর্তাকে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-২) পদে পদায়ন করা হলো।

উল্লেখ্য, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর সরকারের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। বিশেষ প্রকাশনা, প্রামাণ্য ও চলচ্চিত্র নির্মাণের মাধ্যমে সরকারের অনুসৃত ও উন্নয়ন কার্যক্রমে জনগণকে সম্পৃক্ত করা এ প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য।

তিনটি নিয়মিত প্রকাশনা-সচিত্র বাংলাদেশ, নবারুণ ও বাংলাদেশ কোয়ার্টারলি এবং অ্যাডহক প্রকাশনার মাধ্যমে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ছাড়াও দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিষয়ে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও পুস্তক প্রকাশ করা হয়ে থাকে।

বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও গুরুত্বপূর্ণ দিবসে পোস্টার ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়। এছাড়া রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দৈনন্দিন রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত সংবাদচিত্র ও বিশেষ সংবাদচিত্র এবং বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করা হয়।

এ অধিদপ্তর সারাদেশ থেকে প্রকাশিত সকল দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক, ত্রৈমাসিক, ষান্মাসিক ও বার্ষিক পত্রিকার নামের ছাড়পত্রসহ নিবন্ধন করা ছাড়াও মিডিয়া তালিকাভুক্ত করা এবং পত্রিকার সার্কুলেশন, নিউজপ্রিন্ট কোটা ও বিজ্ঞাপন হার নির্ধারণসহ ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়ন নিয়মিতভাবে মনিটর করা হয়ে থাকে।


আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

চলতি মে মাসের শেষের দিকে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ণ রূপ নিলে এর নাম হবে ‘রেমাল’। এই নামটি দিয়েছে ওমান।

ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মে মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। ২০ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণাবর্ত। এরপর সেটি ক্রমে উত্তর দিকে হয়ে শক্তি বাড়িয়ে ২৪ মে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, আগামী ২০ মে থেকে এই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ স্পষ্ট হতে পারে। তবে কোথায়, কত গতিতে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। অনুমান করা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের মধ্যে কোথাও এটি আছড়ে পড়তে পারে।

ভারতীয় আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, ২০০৯ সালের ২৫ মে সুন্দরবনে আঘাত করেছিল ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় ‘আইলা’। চলতি বছরের ২৫ মে আঘাত হানতে পারে ‘রেমাল’ নামে একটি ঘূর্ণিঝড়। এতে ১৫ বছর আগের সেই দুঃস্বপ্ন ফের আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আগামী ২৫ মে সন্ধ্যার পর এই ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে ভারতীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে, ২৪ মে রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে উপকূল এলাকায়। বৃষ্টি চলতে পারে ২৬ মে পর্যন্ত।


সরকার ৬৩৩ কোটি টাকায় ১ লাখ ৭০ হাজার টন সার কিনবে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে চলতি অর্থবছরের জন্য কানাডা, কাতার, সৌদি আরব এবং দেশীয় প্রতিষ্ঠান কাফকো থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টন সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সার কিনতে খরচ হবে ৬৩২ কোটি ৭২ লাখ ২২ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৯০ হাজার টন ইউরিয়া, ৪০ হাজার টন এমওপি এবং ৪০ হাজার টন ডিএপি সার রয়েছে।

আজ বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। করোনা পজিটিভ হওয়ায় কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহবুদ আলী ভার্চুয়ালি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের জানান, কানাডার কানাডিয়ান কমার্সিয়াল করপোরেশন থেকে ৪০ হাজার টন এমওপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১২৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ২৮৫ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ৩২৭ দশমিক ৭৫ মার্কিন ডলার। কানাডিয়ান কমার্সিয়াল করপোরেশন ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে সই হওয়া চুক্তির আওতায় এই সার আমদানি করা হবে।

আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সৌদি আরবের মা আদেন এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন মধ্যে চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের মা আদেনের কাছ থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানি করা হবে। এতে ব্যয় হবে ২২৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৫১৯ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ৫৫৪ মার্কিন ডলার।

সচিব বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতারের কাতার কেমিক্যাল অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যাল মার্কেটিং অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (মুনতাজাত) থেকে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৯২ কোটি ২৯ লাখ ১১ হাজার টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ২৭৯ দশমিক ৬৭ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ২৮২ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার।

এছাড়া মন্ত্রিসভা কমিটি কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (কাফকো) কাছ থেকে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৯৫ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ২৮৯ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ৩৬৬ দশমিক ৩৭৫ মার্কিন ডলার।

অন্যদিকে সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৯১ কোটি ১৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ২৭৬ দশমিক ১৭ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ২৮৮ দশমিক ৩৩ মার্কিন ডলার।


ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের আলোচনা সভা আগামীকাল

আপডেটেড ১৫ মে, ২০২৪ ১৫:১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা আহ্বান করেছে ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদ। ‘তিনি যদি ফিরে না আসতেন’ শীর্ষক আলোচনা সভাটি আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় কলাবাগানে অবস্থিত সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সরদার মাহামুদ হাসান রুবেল স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় দেশরত্ম শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। দিবসটি উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে সভার আয়োজন করতে যাচ্ছে ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদ।

সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রিয় স্বদেশভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা। ৬ বছর নির্বাসন শেষে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে ফিরে আসেন তিনি। সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বর্তমান বাংলাদেশের উন্নয়ন, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অগ্রগতির কী হতো তা সহজেই অনুমেয় ও এক গবেষণার বিষয়। পঁচাত্তর পরবর্তী জাতির ক্রান্তিলগ্নে, বঙ্গবন্ধুহীন বাংলাদেশে স্বজন হারিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে ‘একলা চলো নীতির’ সূচনা করেছিলেন তা সত্যিই ছিল ইস্পাত কঠিন।

আলোচনা সভায় ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীকে যথাসময়ে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।


টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী

ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন যা টেকসই উন্নয়নের মূল উপাদান। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে তাদের জনসম্পদে রূপান্তর করতে হবে।’

আজ রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘আইসিপিডি-৩০: জনসংখ্যাগত বৈচিত্র্য ও টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক বৈশ্বিক সংলাপ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী ইভেন্টের উদ্বোধনী অধিবেশনের ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ, বুলগেরিয়া এবং জাপান ও ইউএনএফপিএ’র সাথে একত্রে এই অনুষ্ঠানের আয়োজক। এই সংলাপ পরিবর্তনশীল জনসংখ্যার চ্যালেঞ্জগুলো এবং সুযোগগুলো খুঁেজ বের করে আলোচনার বিশ্বের একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনসংখ্যাগত লভ্যাংশের রূপান্তর একটি সমৃদ্ধ বৈশ্বিক ব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই লক্ষ্য অর্জনে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা বিশেষ করে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা খাতে আন্তর্জাতিক অর্থায়নের পরিমাণ ও সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য উন্নয়ন সহযোগী ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আরও আন্তরিক হতে হবে।’

সরকার প্রধান বলেন, ঢাকায় অনুষ্ঠিত এই বৈশ্বিক সংলাপ সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ জাতিসংঘে অনুষ্ঠেয় ‘সামিট অব দ্যা ফিউচার’-এর জন্য প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়নে সহায়ক হবে।

জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ‘সামিট অব দ্যা ফিউচার’-এর ঘোষণাপত্রে দৃঢ় রাজনৈতিক প্রত্যয় ব্যক্ত করবেন বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য অপরিহার্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার আরও কার্যকর ভূমিকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সেখানে মানুষ ইসরায়েলি আগ্রাসন ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিদিন বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা সেখানে সকলের বিশেষ করে নারী ও শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।’

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবে জনস্বাস্থ্যসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে বিশ্বের সকল মানুষের বিশেষ করে মা, শিশু ও বয়স্ক জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বৈশ্বিক সহযোগিতা আরও জোরদার করতে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।

সরকার প্রধান আরো বলেন, ‘একইসঙ্গে সংঘাত ও রাজনৈতিক কারণে উপদ্রুত ও বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর দিকে মনোযোগ দেওয়াও অত্যন্ত জরুরী বলে আমি মনে করি।’

এই সময় তিনি মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারি রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই-বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং ইসরায়েলের গণহত্যা ও আগ্রাসনের ফলে নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের কথা। বিপুল সংখ্যক নারী ও শিশু ফিলিস্তিনে আজ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ইউএনএফপি’র নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম, মালদ্বীপের সামাজিক ও পরিবার উন্নয়ন মন্ত্রী আইশাথ শিহাম, কিরিবাতির নারী, যুব, ক্রীড়া ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রী মার্টিন মোরেত্তি, জাপানের পররাষ্ট বিষয়ক সংসদীয় উপ-মন্ত্রী ইয়াসুশি এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ।

বুলগেরিয়া সরকারের প্রতিনিধিও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।


‘শুধু ঢাকায় নয়, সারা দেশে নো হেলমেট নো ফুয়েল করতে হবে’

বিআরটিএর সদর দপ্তরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৭ অধীনে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৫ মে, ২০২৪ ১৪:১২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

শুধু ঢাকা শহরে করলে তো হবে না, পুরো বাংলাদেশে করতে হবে নো হেলমেট, নো ফুয়েল কার্যক্রম। এমন সিদ্ধান্ত আজকে থেকে নেওয়া হলো বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ বুধবার সকালে রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএর সদর দপ্তরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৭ অধীনে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম বৈঠকে তিনি এ কার্যক্রমের কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে ঢাকা সিটিতে আমরা মোটরসাইকেল অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করেছি। এখানে হেলমেট ছাড়া নরমালি দেখা যায় না, সবাই হেলমেট পরে এবং বাইকে দুইজন থাকেন।’

মফস্বলে এই নীতি চালু করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'ডিসি-এসপিদের বলেন যে ওইসব এলাকায় কাউকে তেল দেওয়া হবে না যদি হেলমেট না থাকে।'

তিনি বলেন, 'ঈদের আগের চেয়ে ঈদের পরে দুর্ঘটনা বেশি এবং মর্মান্তিক কিছু দুর্ঘটনা হয়েছে। এগুলো মন্ত্রী নয়, মানুষ হিসেবে আমাদেরকে কষ্ট দেয়।'

তিনি আরও বলেন, 'এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছি এত দিন। এ বছর ঈদে যে যানজট এবং দুর্ঘটনা, আগামী বছর এর চেয়ে কম হবে সেটিই তো টার্গেট। তার পরের বছর আরও কম হবে। (সেটা যদি না হয়) তাহলে আমরা এখানে কাজ করছি কেন! আমাদের টিম ওয়ার্কের সফলতাটা কোথায়?'

ইতোমধ্যে নেওয়া নানা উদ্যোগ ও পরিকল্পনা প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, 'এগুলোর রেজাল্ট তো পাচ্ছি না! রেজাল্ট না পেলে এগুলো করে কী লাভ! রেজাল্ট তো পাচ্ছি না। কথা তো শুনতে হয় আমাকে। বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) চেয়ারম্যানকে তো কেউ কিছু বলবে না।'

'এত রাস্তা বাংলাদেশে, সীমান্ত এলাকা পর্যন্ত এবং সমতল থেকে পাহাড়ে আজকে রাস্তা, যে দিকে যান সুন্দর সুন্দর রাস্তা। এত রাস্তা হওয়ার পরেও শৃঙ্খলা আসে না কেন? শৃঙ্খলা না থাকলে এসবের রেজাল্ট আমরা তো পাব না’- উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, 'অন্যান্য দেশের হিসাব করেন, কত দুর্ঘটনা কোন দেশে হয়। আজকে সৌদি আরবের আবুধাবিতে দুর্ঘটনায় দেড়শ-পৌনে ২০০ লোক মারা যায়, সেটা নিয়ে কিন্তু কোনো উচ্চবাচ্য ওইসব দেশেও হবে না। আমাদের এখানে ক্যাজুয়ালটি বেশি হচ্ছে। কারণ হলো মোটরসাইকেল-ইজিবাইকের মতো গাড়ি রাস্তায় চলাচল করছে। একটি ইজিবাইকে আট থেকে ১০ জন লোক থাকে, একটি বড় গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগলে ইজিবাইকের সব মারা যায়। তখন ক্যাজুয়ালটি বেড়ে যায়।’

সভায় জানানো হয়, ঈদের পর থেকে প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। পুরোনো গাড়ি রাস্তায় নামলে ধরা হচ্ছে, ডাম্পিং করা হচ্ছে। পুলিশের সমস্যা, তাদের কাছে গাড়ি রাখার জায়গা নেই।

ওবায়দুল কাদের সভায় প্রশ্ন করেন, ৪৩ বছরের পুরোনো গাড়ি কীভাবে রাস্তায় চলে?

জবাবে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী জানান, গাড়িগুলো লুকিয়ে রাখা হয়। শুক্রবার-শনিবার হঠাৎ করে বের করে।’

তিনি আরও জানান, ‘রামপুরা রোডে বিমানবন্দর থেকে সায়েদাবাদ যাওয়ার পথে শনিবার গাড়িগুলো বের হয়। এত খারাপ গাড়ি! দেখলে মনে হয়, কীভাবে রাস্তায় নামে। ঈদের সময় গাড়িগুলো নামে। ঈদযাত্রায় তিনটি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে।’

এসময় ওবায়দুল কাদের এগুলো বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।


banner close