বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ নতুন রেললাইনের পরিকল্পনা

আপডেটেড
২৮ মার্চ, ২০২৩ ০০:০২
তৌফিকুল ইসলাম
প্রকাশিত
তৌফিকুল ইসলাম
প্রকাশিত : ২৮ মার্চ, ২০২৩ ০০:০১

যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সোনামসজিদ স্থল বন্দর পর্যন্ত নতুন ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ করতে চায় বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষে ইতিমধ্যেই উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরি হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩৬ দশমিক ৭৪ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ হবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৬০৫৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অন্য প্রকল্পের তুলনায় এটির ব্যয় বেশি। ডিপিপি অনুযায়ী আগামী ২০২৮ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে সংশ্লিষ্টদের।

সূত্র জানায়, সরকার বড় কোনো প্রকল্প হাতে না নেয়ার কারণে এই মুহূর্তে সরকারি অর্থায়নে নতুন এই রেললাইন নির্মাণ করা সম্ভব হবে না। ফলে বৈদেশিক অর্থায়ন খোঁজার দিকেই এগোচ্ছে রেলওয়ে। সোমবার এই প্রকল্পের ডিপিপির ওপর রেলের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে কারিগরি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির সভা হয়েছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘ইতিমধ্যেই সম্ভাব্যতা সমীক্ষা হয়ে গেছে। এতে প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের খরচ অনেক বেশি হবে, কারণ এই রেললাইন আম বাগান আছে- এমন ভূমির মধ্য দিয়ে যাবে। ফলে বৈদেশিক সহায়তায় এই প্রকল্প করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈদেশিক সহায়তার জন্য প্রকল্পের পিডিপিপি রেলপথ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। তারপর সেটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) পাঠানো হবে। প্রকল্পটি অনেক বড়, ফলে সরকারি অর্থায়নে এটি করা সম্ভব হবে না। আমাদের পরিকল্পনা আছে জমি অধিগ্রহণ কাজটি হবে সরকারি অর্থায়নে। অন্যদিকে নির্মাণকাজ হবে বৈদেশিক অর্থায়নে।’

এই প্রকল্পের আওতায় ৩৬ দশমিক ৭৪ কিলোমিটার মূল লাইন এবং ১২ দশমিক ২৬ কিলোমিটার লুপ ও সাইডিং লাইন নির্মাণ হবে। ৩টি মেজর ব্রিজ, ৩৯টি আরসিসি বক্স কালভার্ট এবং ৪.৫৩ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট নির্মাণ হবে।

এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় জমি অধিগ্রহণ হবে ৫২৭ দশমিক ৯ একর। চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাইপাস, নয়া নাওভাঙ্গা, শিবগঞ্জ, কানসাট ও সোনামসজিদ স্টেশনে কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলিংক সিগন্যালিং সিস্টেমসহ নতুন স্টেশন ভবন নির্মাণ হবে। রেলওয়ে ট্র্যাক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হবে।

প্রকল্পের ডিপিপিতে বলা হয়েছে, সোনা মসজিদ স্থলবন্দর বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর। এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে। এই আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মূলত সড়ক পথে হয়ে থাকে। সোনামসজিদ পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের পর রেলপথে পশু পরিবহন করলে সোনামসজিদ স্থলবন্দরের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে রেলওয়ের চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত রেলপথ রয়েছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সোনামসজিদ পর্যন্ত যাত্রী পরিবহনসহ এ অঞ্চলের পর্যটন শিল্পের প্রসার হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালের ১৬ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সফরের সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সোনামসজিদ পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এর পরই রেলওয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সোনামসজিদ পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণের ওপর সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করেছে।

সম্ভাব্যতা সমীক্ষার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ হতে সোনামসজিদ পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণ আর্থিকভাবে অলাভজনক হলেও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হবে। একই সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাইপাস, নয়া নাওভাঙ্গা, শিবগঞ্জ, কানসাট, মোবারকপুর এবং সোনামসজিদের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো সংযুক্ত হবে।

প্রকল্প-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে। এই আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সড়ক পথে হয়ে থাকে। এতে যানবাহন চলাচলের কারণে অত্র অঞ্চলের সড়ক নেটওয়ার্কের আয়ুষ্কাল কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া সড়কপথে পরিবহনের সময় মালামালের ক্ষতি হচ্ছে। রেলওয়ের রাজশাহী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত রেলপথ থাকলেও সোনামসজিদ পর্যন্ত রেলপথ নেই। সোনামসজিদ স্থলবন্দরের মাধ্যমে ভারত থেকে পণ্য ও পণ্যের বাল্ক পরিবহন রেলপথে সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আছে । সোনামসজিদ পর্যন্ত রেলওয়ের নেটওয়ার্ক না থাকায় এ অঞ্চলের পর্যটন শিল্পের বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে। ভৌগোলিকভাবে এ অঞ্চলে আমের উৎপাদন বেশি হয়, যা সমগ্র বাংলাদেশসহ দেশের বাইরেও রপ্তানি করা হয়। সোনামসজিদ পর্যন্ত রেলপথ না থাকায় এর মাধ্যমে সরাসরি আম পরিবহন করা সম্ভব হচ্ছে না।


দেশকে আরও এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা সব রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দেশে ফিরে এসে যেমন আওয়ামী লীগকে পুনরায় সংগঠিত করেছেন, তেমনি দেশকে বিস্ময়করভাবে এগিয়ে নিয়ে বিশ্বের দরবারে অনন্য মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

ড. হাছান বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রায় ১৯ বার হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল। কিন্তু বারবার মৃত্যু উপত্যকা থেকে ফিরে এসেও তিনি বিচলিত হননি।

ইতিহাসের দিকে ইঙ্গিত করে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় আহত হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রামে পাখি শিকার করার মতো মানুষ শিকার করে ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে, সেদিন সেই মিছিলের সম্মুখভাগে আমি ছিলাম। কোটালীপাড়ায় ৮১ কেজি বোমা পুঁতে রেখে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বৃষ্টির মতো গ্রেনেড ছুড়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসে জননেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা কখনো বিচলিত হননি।

সময় বিএনপির রাজনীতি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া অঞ্চলের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরের পর বিএনপির নেতাদের মাথা আরও খারাপ হয়ে গেছে। তারা অনেক চেষ্টাও করেছিল দেখা-সাক্ষাৎ করার। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বার্তা দিয়ে গেছে তারা সম্পর্ককে আরও গভীর করতে চায়, এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। এ জন্য মাথা খারাপ বিএনপি এখন খেই হারিয়ে ফেলেছে।

তিনি বলেন, আগে দেখতাম দু-একজন নেতা খেই হারিয়ে ফেলে আবোল-তাবোল কথা বলেন। এখন সিনিয়র নেতারাও খেই হারিয়ে ফেলছেন।

স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুর সভাপতিত্বে ও বঙ্গবন্ধু একাডেমির
মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজির সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য বলরাম পোদ্দার, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার, স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েল প্রমুখ।


শেখ হাসিনাকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজ ।

শেখ হাসিনাকে পাঠানো শুভেচ্ছাবার্তায় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী বছরগুলোতে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উন্মুখ।

‘বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করার মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি, উন্নয়ন ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে কাজ করতে চান’ উল্লেখ করেন এন্থনি এলবানিজ।

প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজ চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, ভারত মহাসাগরের দেশ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উভয় দেশের একই ধরনের স্বার্থ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করতে অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।


চট্টগ্রামে মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণে আবুধাবি পোর্টসের সঙ্গে চুক্তি

১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম বন্দরে মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে আবুধাবি পোর্টস গ্রুপ। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকার হোটেল ওয়েস্টিনে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর উপস্থিতিতে স্মারকটি সই হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এবং আবুধাবি পোর্টস গ্রুপের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সাইফ আল মাজরুই স্মারকে সই করেন।

সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি পোর্টস গ্রুপ বে-টার্মিনাল প্রকল্পের অধীনে মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণে বিনিয়োগ করবে। তারা অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি যন্ত্রপাতিও সরবরাহ করবে।

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে চট্টগ্রাম শহরের দক্ষিণ পাশে বঙ্গোপসাগরের তীরে ‘বে- টার্মিনাল’ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ‘বে-টার্মিনাল’ নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়ার পর সেখানে ফিজিবিলিটি স্টাডির জন্য ২০১৭ সালে কনসালটেন্ট নিয়োগ করা হয়। কনসালটেন্ট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ফিজিবিলিটি স্টাডি ও মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হয়। গত বছরের ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত মাস্টারপ্ল্যানের মোড়ক উন্মোচন করেন।

সমীক্ষা অনুযায়ী, মাস্টারপ্ল্যানে এক হাজার ২২৫ মিটার দীর্ঘ দুটি কন্টেইনার টার্মিনাল এবং এক হাজার ৫০০ মিটার দীর্ঘ একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনালসহ মোট তিনটি টার্মিনাল রয়েছে। তিনটি টার্মিনালের দৈর্ঘ্য চার দশমিক ৯৫ কিলোমিটার। মাস্টারপ্ল্যানে মোট ১১টি জেটি রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

চ্যানেলে যথোপযুক্ত নাব্যতা থাকায় সেখানে ১২ মিটার ড্রাফটের এবং ৩০০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ ভেড়ানো সম্ভব হবে। আবহাওয়া এবং সাগরের বড় বড় ঢেউ থেকে রক্ষা করতে একটি ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রেক ওয়াটার বা ঢেউনিরোধক বাঁধ নির্মাণ করা হবে। বে-টার্মিনাল থেকে বহির্নোঙরের দূরত্ব এক কিলোমিটার।

মাল্টিপারপাস টার্মিনালটি চট্টগ্রাম বন্দর ও আবুধাবি পোর্টস গ্রুপ যৌথভাবে নির্মাণ করবে। এক হাজার ২২৫ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণে সিঙ্গাপুরের পিএসএ এবং অপরটি নির্মাণে দুবাইয়ের ডিপি ওয়ার্ল্ড অর্থায়ন করার সম্ভাবনা রয়েছে। ছয় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ব্রেক ওয়াটার ও অ্যাক্সেস চ্যানেল ড্রেজিং করবে বিশ্বব্যাংক।

বে-টার্মিনাল প্রকল্পের জন্য ৬৬ দশমিক ৮৫ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি ইতোমধ্যে অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে এবং ৫০০ দশমিক ৬৯ একর সরকারি খাস জমি অনুমোদন পেয়েছে। ব্রেক ওয়াটার নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। বছরে ৫০ লাখ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ২০২৬ সালে অপারেশনে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

স্মারক সই অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি বন্দর পরিচালনাকারীরা বিনিয়োগ করছেন। আমি সম্ভাবনা ও স্বপ্ন দেখি, এক সময় আসবে, যখন চট্টগ্রাম বন্দর পৃথিবীর অন্য কোনো দেশেও এর কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লা আলী আব্দুল্লা কাসিফ আল মৌদি, আবুধাবী পোর্টস গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল অফিসের রিজিওনাল চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আহমেদ আল মুতায়া।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর পথ ধরে মেরিটাইম সেক্টরে আমাদের যে যাত্রা, তা পুনর্জীবিত ও উজ্জীবিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সময়ে সমুদ্র ও পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর গত ১৫ বছরে আন্তর্জাতিক বন্দরের সক্ষমতা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, মোংলা বন্দরের আপগ্রেডেশন হচ্ছে। মোংলা বন্দর চট্টগ্রাম বন্দরের মতো সক্ষমতা অর্জন করবে। পায়রা বন্দরে নির্মাণাধীন জেটিতে ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ ভিড়েছে। এটি নতুন অনুভূতি। আগে মাদার ভেসেলে পণ্য পরিবহনের জন্য আমাদের কলম্বো ও সিঙ্গাপুর বন্দরের ওপর নির্ভরশীল হতে হতো। বর্তমানে মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মিত হচ্ছে। এতে করে নির্ভরশীলতা কমে যাবে। মাতারবাড়ি বন্দর আঞ্চলিক হাবে পরিণত হবে।

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার জন্য সৌদি আরবের রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালের সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে। খুব শিগগিরই এর কার্যক্রম শুরু হবে। বে-টার্মিনাল নির্মিত হলে ২৪ ঘণ্টা জাহাজ আসা-যাওয়া করবে। জোয়ার-ভাটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। চট্টগ্রাম বন্দর অন্য ধরনের উচ্চতায় চলে যাবে। বে-টার্মিনালের সঙ্গে সড়ক, রেলওয়ে কানেক্টিভিটি থাকবে। পণ্য পরিবহন সহজলভ্য হবে। বে-টার্মিনাল বাংলাদেশের সমুদ্র পরিবহনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। অল্প সময়ের মধ্যেই মাল্টিপারপাস টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শুরু করতে চাই।’


পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে স্পেনের রাষ্ট্রদূত ও ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধির সাক্ষাৎ

ঢাকায় নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল সিনশেত্রু বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

বাংলাদেশে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) প্রতিনিধি সাম্বল রিজভি এবং ঢাকায় নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল সিনশেত্রু বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সাম্বল রিজভি মন্ত্রীকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে তাদের সেনাবাহিনী ও বিবদমান গোষ্ঠীগুলোর চলমান সশস্ত্র সংঘাত, মিয়ানমার বাহিনীর সদস্যদের বাংলাদেশ সীমান্তে পালিয়ে আসা ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জীবনযাত্রার ওপর আলোকপাত করেন।

ড. হাছান বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাত প্রায় শত বছরের পুরোনো। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর কার্যকর আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধির বিকল্প নেই। ভারত ও চীনকে এ বিষয়ে আরও তৎপর করতে ইউএনএইচসিআর কাজ করতে পারে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিক্ষার পাশাপাশি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইউনিটে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আশ্রিতদের দক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা যেতে পারে, যা নিজ দেশে ফিরে গিয়ে তাদের পেশাগত জীবন গড়তে সহায়ক হবে। ভাসানচরে আরও রোহিঙ্গা স্থানান্তর ও সেখানকার স্থাপনা নিয়মিত মেরামতের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন হাছান।

এর পরপরই বাংলাদেশে নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল সিনশেত্রুর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বিষয়াবলি নিয়ে আন্তরিক আলোচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বাংলাদেশের রপ্তানির গন্তব্য হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দেশ স্পেনকে দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও আইটি ভিলেজগুলোতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান মন্ত্রী। পাশাপাশি স্পেনের সঙ্গে ‘মাইগ্রেশন মোবিলিটি এগ্রিমেন্ট’ করার বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হন মন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূত। উল্লেখ্য, বর্তমানে গ্রিসের সঙ্গে এই চুক্তি রয়েছে এবং ইতালি, অস্ট্রিয়া ও মাল্টার সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে আলাপ চলছে। রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল জানান, সেখানে প্রায় ৬০ হাজার বাংলাদেশি রয়েছে, যারা স্পেনের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে। তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে সুবিধাজনক সময়ে স্পেন সফরের আমন্ত্রণ জানান।


বিআরটিসির অন্যরকম উদ্যোগ: পরিবহন সেক্টরে ৩৬ দক্ষ নারী প্রশিক্ষক

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৬ মে, ২০২৪ ২১:৫৩
সৈয়দ ইকবাল

একসঙ্গে ৩৬ জন নারী। যারা বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করছেন দক্ষতার সঙ্গে। তাদের সবারই রয়েছে আলাদা আলাদা পরিচয়। উদ্যোক্তা হয়ে সফলও তারা। কেউ আবার আছেন গৃহিণী হিসেবেও। প্রতিনিয়ত আলাদা কিছু করার স্বপ্ন দেখেন তারা। কাজ করতে গিয়ে সব সময়ই রাস্তায় বের হতে হয় তাদের। কেউ চলেন নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে আবার কেউবা চলেন গণপরিবহনে। কিন্তু দেশে পরিবহন ব্যবস্থাসহ রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে মানুষদের পোহাতে হয় নানারকম ভোগান্তি। বিশেষ করে নারীদের বেলায় সেটা আরও বেশি কষ্টদায়ক। এর মধ্যে ড্রাইভারসহ পরিবহন সেক্টরে কর্মরত অন্যান্যের দ্বারা নানা হয়রানির শিকার হতে হয়।

তাই দেশে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনাসহ পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা ফেরাতে সবার আগে প্রয়োজন দক্ষ ড্রাইভার। একজন ভালো ড্রাইভারের কাজ শুধু ভালোভাবে রাস্তায় গাড়ি চালানোই নয়, বরং আচরণ থেকে শুরু করে রাস্তায় চলাফেরা করার নানা আদব-কায়দা শেখার প্রয়োজনও রয়েছে। শিক্ষিত ও প্রশিক্ষিত ড্রাইভাররাই পারেন এই সেক্টরে আরও পরিবর্তন আনতে।

দেশের পরিবহন সেক্টরে ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশন (বিআরটিসি) বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে। যেখানে রয়েছে সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার নানামুখী কার্যক্রম। ২০২১ সালের পর থেকে বিআরটিসিতে আধুনিক, সময়োযোগী ও স্মার্ট বেশকিছু কাজ করা হয়েছে। বদলে যাওয়ার হাওয়া লাগা বিআরটিসি ট্রেইনিং বা প্রশিক্ষণকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে বলে জানা গেছে। তেমনি একটি উদ্যোগ হচ্ছে নারী প্রশিক্ষক তৈরি করা। Training of trainers (TOT) অর্থাৎ প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ। গাজীপুরে দুই সপ্তাহব্যাপী হওয়া বিআরটিসির উদ্যোগে প্রশিক্ষণ নেওয়া ৩৬ জন নারী প্রশিক্ষণার্থীর সমাপনী অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়েছে। সেখান থেকে তিনজনকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হিসেবে দেওয়া হয়েছে সম্মাননা ক্রেস্ট।

আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে ড্রাইভার্স টেকনিক্যাল কোম্পানি লিমিটেডের নারী প্রশিক্ষণার্থীদের মোটর ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম। এতে বক্তব্য রাখেন বিআরটিসির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ইউনিট প্রধান মো. মশিউজ্জামানসহ বিআরটিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘নারীরা এখন সব জায়গায় এগিয়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় একটা কথা বলেন- যেকোনো কাজের আগে প্রয়োজন ট্রেনিং, ট্রেনিং এবং ট্রেনিং। তাই আমি বিআরটিসির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দক্ষ ট্রেইনার তৈরি করতে কাজ করে যাচ্ছি। যারা প্রশিক্ষণ দেবেন তাদেরও কিন্তু প্রশিক্ষণ লাগে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন কাজ সঠিকভাবে সম্পাদন বিষয়ে শিক্ষণ দেওয়াই হলো প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ হলো সাফল্যের চাবিকাঠি। যার মাধ্যমে আমাদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ মানে ‘TOT’ কার্য সম্পাদন বিষয়ে বাস্তব জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে এবং দক্ষ চালক তৈরিতে ভূমিকা রাখায় কাজ করে যাচ্ছে।’

চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা দেখেছি অনেক সময় পুরুষ ট্রেইনারদের কথা পুরুষ ড্রাইভাররা শুনতে চায় না। তবে নারী প্রশিক্ষকদের কথা পুরুষরা শুনবে বেশি। একজন নারী মা-বোন। তারা যখন নিজেরা এ কথা বলে ট্রেনিং শুরু করাবেন, এটা থেকে ভালো একটা রেজাল্ট পাওয়া যাবে। অন্যদিকে অনেক সময় একজন নারী ড্রাইভিং শিখতে চাইলেও কিন্তু নারীদের কাছে যেতে চাইবে বেশি। আবার নারীদের মাথা পুরুষদের থেকে বেশি ঠাণ্ডা থাকায় তারা কাজে বেশী মনোযোগী থাকেন। বর্তমানে নারীরা বেশ ভালো ড্রাইভিং করছেন। নারী প্রশিক্ষকরা হলে এ সেক্টরে আরও সফলতা আসবে এবং দেশে দুর্ঘটনার মাত্রা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

এর আগে স্বাগত বক্তব্যে বিআরটিসির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ইউনিটপ্রধান মো. মশিউজ্জামান বলেন, ‘চেয়ারম্যান মহোদয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও দূরদর্শী চিন্তার ফসল আমাদের বর্তমান স্মার্ট বিআরটিসি। এই নারী প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মদক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে। এমনকি আমরা বিশ্বাস করি এই প্রশিক্ষকরা আমাদের পরিবহন সেক্টরে অন্যরকম অবদান রাখবেন।’

অনুষ্ঠানে প্রকৌশলী ফাতেমা বেগম বলেন, ‘বিআরটিসি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এই প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ দিতে সক্ষম হয়েছে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা ৩৬ জন নারী প্রশিক্ষক পেলাম। যারা দেশের পরিবহন সেক্টরে অনেক ভূমিকা রাখবে।’

অনুষ্ঠানে উন্মুক্ত আলোচনায় কয়েকজন প্রশিক্ষণার্থী তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তারা জানান, বিআরটিসি থেকে প্রশিক্ষণ নিতে পেরে তারা গর্বিত। একই সঙ্গে এই প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে দেশের পরিবহন সেক্টরের অনেক আইন-কানুন শিখতে পেরেছেন, যা একজন সচেতন নাগরিকের অবশ্যই জানা প্রয়োজন। একজন মানুষ রাস্তায় কীভাবে চলাফেরা করবেন, পাশে বসা একজন সহযাত্রীর সঙ্গে তার আচরণ কেমন হবে এবং ড্রাইভার ও যাত্রীরা উভয়ে উভয়ের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করবেন- তা জেনেছেন তারা। শুধু ড্রাইভিং ভালো পারলেই সব ঠিক নয়, প্রয়োজন ভালো ব্যবহারও। এই প্রশিক্ষণ থেকে এমন খুঁটিনাটি অনেক কিছু শিখে তারা নিজেদের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আরও মানুষকে প্রশিক্ষণ দেবেন বলে উল্লেখ করেন।

তারা আরও জানান, পরিবহন এমন একটি খাত, সেখানে অর্থনীতি থেকে প্রতিটি খাতই জড়িত। পরিবহনের অদক্ষতার জন্য অর্থনীতিতে ক্ষতি আসতে পারে। সেজন্য এ খাতে পরিবর্তন আনতে হবে। তারা প্রশিক্ষণ নিয়ে শুধু নারীদের নয়, পুরুষদেরও শেখানোর কথা বলেন।

এতে আরও বক্তব্য দেন বিআরটিসির পরিচালক (কারিগরি) কর্নেল মোহাম্মদ মোবারক হোসেন মজুমদার ও পরিচালক (অর্থ, হিসাব ও অপারেশন) ড. অনুপম সাহাসহ অনেকে।


আবার আটকে গেল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ঠিকাদারি কোম্পানি ইতাল-থাইয়ের শেয়ার চীনের সাইনোহাইড্রো করপোরেশনের কাছে হস্তান্তরে দুই সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আট সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

এর ফলে বিচারিক প্রক্রিয়ায় আবার আটকে যাওয়ায় সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার প্রকল্পে নির্মাণকাজে ফের বিলম্ব হওয়ার শঙ্কা তৈরি হলো।

গত সোমবার সাইনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে শেয়ার হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন হাইকোর্ট। কিন্তু বাদী পক্ষের আবেদনে হাইকোর্টের ওই আদেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

এ দিন আদালতে ইতালিয়ান-থাইয়ের পক্ষে শুনানি করেন এ এম আমিন উদ্দিন, শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ, ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক ও ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মইনুল। আর সাইনোহাইড্রোর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী, ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।

ইতাল-থাই কোম্পানির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে তাদের শেয়ার সাইনোহাইড্রোর কাছে হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এতে হঠাৎ করেই নির্মাণ কাজ থেমে যায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মগবাজার অংশে। চলতি বছরেই অগ্রাধিকারমূলক উন্নয়ন প্রকল্প ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে পুরোপুরি চালু হওয়ার কথা। কিন্তু তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দ্বন্দ্বে এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

তিন কোম্পানির এ দ্বন্দ্ব অবশ্য শুরু হয় বেশ কয়েক বছর আগে। ২০১১ সালে দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ পায় থাইল্যান্ডের কোম্পানি ইতাল-থাই। তবে অর্থ জোগাড় করতে ব্যর্থ হওয়ায় আট বছরেও কাজ শুরু করতে পারেনি কোম্পানিটি। ২০১৯ সালে ইতাল-থাইয়ের সঙ্গে চীনের দুই কোম্পানি শ্যানডং ইন্টারন্যাশনাল ও সাইনোহাইড্রোকে যুক্ত করে শুরু হয় কাজ। এ কাজে তিন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার যথাক্রমে ৫১, ৩৪ ও ১৫ শতাংশ। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এক্সপ্রেসওয়ের নির্বাহী প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, চুক্তি অনুযায়ী নির্মাণ ব্যয়ের ৭৩ শতাংশের জোগান দেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। আর ২৭ শতাংশ দেবে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু থাইল্যান্ডভিত্তিক ইতাল-থাই কিস্তির টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের শেয়ার দাবি করে সাইনোহাইড্রো। এ নিয়ে সিঙ্গাপুরে শুরু হয় আরবিট্রেশন। এদিকে বিষয়টি হাইকোর্টে নিয়ে যায় ইতাল-থাই। এরই মধ্যে প্রকল্পে ঋণ সহায়তা স্থগিত করে দেয় দুটি চীনা ব্যাংক। তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের চলা দ্বন্দ্বে থমকে যায় রাজধানীর যানজট নিরসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজ। শঙ্কায় এখন পুরো প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ করা নিয়েও।

বিওওটি ভিত্তিতে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকার কাওলা থেকে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প নেওয়া হয় ২০০৯ সালে। ২০১১ সালে নির্মাণ চুক্তি হয়। সাড়ে তিন বছরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যায়নি।

আনুষ্ঠানিক নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি। গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত সাড়ে ১১ কিলোমিটার দূরত্ব অংশ উদ্বোধন করা হয়। পরদিন এই অংশে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। গত ২০ মার্চ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) গেট-সংলগ্ন র‍্যাম্প যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে প্রকল্পে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা।


ঈদুল আজহাকে ঘিরে প্রস্তুত ১ কোটি ৩০ লাখ পশু

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১৬ মে, ২০২৪ ১৯:৪৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ঈদুল আজহাকে ঘিরে সারা দেশে কোরবানিযোগ্য এক কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি পশু প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান। যা গত বছরের তুলনায় চার লাখ ৪৪ হাজার ৩৪টি বেশি। এ ছাড়া এবার ঈদকে ঘিরে সারা দেশে তিন হাজার গবাদি পশুর হাট বসবে।

আজ বৃহস্পতিবার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ তথ্য জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান।

ঈদুল আজহা সামনে রেখে কোরবানির পশুর চাহিদা ও সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অবাধে যেন ঢাকায় কোরবানির পশু আসতে পারে তা নিশ্চিতকল্পে এ সভা হয়।

সভায় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী জানান, এ বছর বিভাগীয় পর্যায়ের তথ্যানুযায়ী কোরবানিযোগ্য গবাদি পশুর সর্বোচ্চ সম্ভাব্য চাহিদা এক কোটি ৭ লাখ ২ হাজার ৩৯৪টি। চাহিদার চেয়ে ২২ লাখ ৭৭ হাজার ৯৭৩টি অতিরিক্ত গবাদি পশু প্ৰস্তুত রয়েছে। যেখানে গরু ৫২ লাখ ৬৮৪টি, মহিষ ১ লাখ ৬০ হাজার ৩২০টি, ছাগল ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ৫৮টি, ভেড়া ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৭৪৩টি এবং অন্য প্রজাতিসমূহের এক হাজার ৮৫০টি পশুর প্রাপ্যতা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দেশে কোরবানির পশু প্রয়োজনের তুলনায় বেশি থাকায় আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই। গত বছরের ধারাবাহিকতায় এ বছরও কোনো খামারি নিজ বাড়ি থেকে পশু বিক্রি করলে তাকে হাসিল দিতে হবে না। কোনো খামারি তার পশু দূরবর্তী হাটে নিতে চাইলে রাস্তাঘাটে জোর করে নামাতে বাধ্য করা যাবে না।

এ ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় সরকারের ইউনিট তথা পৌরসভা, উপজেলা বা ইউনিয়ন পরিষদ এবং সিটি করপোরেশন সর্বাত্মক সহায়তা করবে বলেও জানান তিনি।

আব্দুর রহমান আরও বলেন, হাটে আনার পথে কেউ প্রাণী বিক্রি করলে তার কাছ থেকে ইজারা গ্রাহক জোর করে চাঁদা বা হাসিল নিতে পারবেন না। কোরবানির পশু কেনা-বেচার ক্ষেত্রে নগদ টাকা বহন না করে যথাসম্ভব বিকল্প উপায়ে স্মার্ট পদ্ধতিতে আর্থিক লেনদেন করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। গত বছরের মতো এ বছরও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সারাদেশে কোরবানির পশু বিক্রির ব্যবস্থা চালু থাকবে।

ব্যবসায়ীদের দাবি অনুযায়ী চোরাই পথে গরু যেন না আসে তা নিশ্চিত করার অনুরোধ করলে মন্ত্রী বলেন, চোরাই পথে গরু আসার কোনো সুযোগ নাই। চাহিদার তুলনায় আমাদের পশু বেশি রয়েছে। কোরবানির চামড়া যেন অবৈধ পথে পাচার হতে না পারে সেজন্য সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, কেউ যেন পশু আনা-নেওয়ায় হয়রানির শিকার না হন সেজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি হাটে পুলিশের টিম থাকবে। তাদের মাধ্যমে যে কেউ সহযোগিতা নিতে পারবেন।

খামারি, সিটি করপোরেশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বসে একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থা যেন তৈরি করা যায় সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বিষয়:

বাংলাদেশের পর্যটন খাতে তুরস্ককে বিনিয়োগের আহ্বান

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের পর্যটন খাতে তুরস্ককে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তার সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন সাক্ষাৎ করতে এলে এই আহ্বান জানানো হয়।

মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ভালো বিনিয়োগ পরিবেশের নিশ্চয়তা প্রদান করে। আমাদের দেশের শ্রমমূল্য অন্যান্য দেশের তুলনায় যথেষ্ট যৌক্তিক। আমাদের অফুরন্ত সম্ভাবনার একটি অভ্যন্তরীণ বড় বাজার রয়েছে। বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পে তুরস্কের বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করলে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে ও পর্যটন অবকাঠামো নির্মাণে বিনিয়োগ করলে এতে বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবেন।’

ফারুক খান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ও তুরস্কের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অনেক প্রাচীন। অন্যান্য অনেক শিল্পের মতো এভিয়েশন শিল্পেও দুই দেশের অংশীদারিত্ব রয়েছে। তবে দুই দেশের এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্কে পরিণত করতে পারে পর্যটন শিল্প। আমাদের দুই দেশের যৌথভাবে এই শিল্পে অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘পর্যটন শিল্প ব্যবস্থাপনায় তুরস্কের অনেক দিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমরা চাই আমাদের দেশে পর্যটন শিল্পে কর্মরত কর্মীদের তুরস্ক যেন পর্যটন শিল্প বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদানে সহায়তা করে। তুরস্কের সরকার প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশুনা করার জন্য যে বৃত্তি প্রদান করে সেখানে পর্যটনকে বিশেষ ভাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। পর্যটন শিল্পের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বিনিময় দুই দেশের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।’

সাক্ষাৎকালে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির কারণেই দিনদিন বাংলাদেশের এভিয়েশন ও পর্যটন শিল্পের গুরুত্ব বাড়ছে। আমরা এভিয়েশন শিল্পে দুই দেশের বিদ্যমান সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে চাই। বাংলাদেশে ইতোমধ্যে বিভিন্ন শিল্পে আমাদের যৌথ বিনিয়োগ রয়েছে। পর্যটন শিল্পের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের জন্য আমি তুরস্কের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলব এবং তাদের বিনিয়োগের জন্য উৎসাহিত করব।’

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘পর্যটন শিল্প ব্যবস্থাপনায় তুরস্কের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা আমরা বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে কর্মরতদের সঙ্গে শেয়ার করতে আগ্রহী। পর্যটন শিল্পে কর্মরত কর্মীদের যাতে পর্যটন শিল্পের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় সেই বিষয়ে আমি তুরস্কের প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে যোগাযোগ করে কথা বলব। প্রশিক্ষণ প্রদানের বিষয়ে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রস্তাব পেলে আমরা তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করব। এ ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে পর্যটনকে যেন আলাদাভাবে বিবেচনা করা হয় সেই বিষয়টি আমি তুরস্কের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করব। এভিয়েশন ও পর্যটন শিল্পের অংশীদারিত্ব আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় উন্নীত করবে।’


‘বৈদেশিক ঋণনির্ভর প্রকল্প বাস্তবায়নে বাড়তি পরিশ্রম করতে হবে’

শেরেবাংলা নগরে বৃহস্পতিবার এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বৈদেশিক ঋণনির্ভর প্রকল্প বাস্তবায়নে বাড়তি পরিশ্রম করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি এনইসি চেয়ারপারসন। বৈঠক শেষে ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেসব প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান আছে সেগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ নজর দিতে হবে। এ ছাড়া প্রতি তিন মাস পরপর এসব প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে একনেকে প্রতিবেদন দিতে হবে।’

প্রকল্প বাস্তবায়নের দক্ষতা বাড়াতে প্রকল্প পরিচালকরা প্রশিক্ষণ নিয়ে যেন একই স্থানে কাজে যোগ দিতে পারেন এনইসি সভায় সে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘প্রকল্পের শুরুতেই সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সঠিকভাবে করতে হবে। সেজন্য যেসব প্রতিষ্ঠান সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ করে তাদের নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।’

বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যে বৈদেশিক ঋণ নিচ্ছি সেগুলো বিচার বিশ্লেষণ করেই নেওয়া হয়। আগের মতো সুতা লাগানো (শর্ত দেওয়া) ঋণ নেওয়া হয় না। ঋণ দিয়ে এটা করতে হবে ওটা করতে হবে- এসব থাকলে আমরা সে ঋণ নেই না।’

আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন জানান, গত জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৪৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ হার ছিল ৫৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এনইসি বৈঠকে সব সচিবদের সামনে এ তথ্য তুলে ধরে এডিপি বাস্তবায়ন হার বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

এনইসি সভায় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার ও পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকারসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।


উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২১ মে যেসব এলাকায় ব্যাংক বন্ধ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের ১৫৭টি উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট এলাকায় তফসিলি ব্যাংক এবং এর শাখা ও উপশাখা আগামী মঙ্গলবার (২১ মে) বন্ধ থাকবে। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন (ডিওএস) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৫ মে তারিখের প্রজ্ঞাপন মোতাবেক আগামী ২১ মে রংপুর বিভাগের ২১টি, রাজশাহী বিভাগের ১৯টি, খুলনা বিভাগের ২৫টি, বরিশাল বিভাগের ১৪টি, ঢাকা বিভাগের ৩০টি, ময়মনসিংহ বিভাগের ১১টি, সিলেট বিভাগের ১১টি ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২৬টি উপজেলায় পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন উপলক্ষে ভোটের দিন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকাগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে নির্বাচন উপলক্ষে ভোটের দিন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় অবস্থিত তফসিলি ব্যাংকগুলোর আঞ্চলিক কার্যালয়সহ সব শাখা বা উপশাখা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ ছাড়া এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে দেশে কার্যত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বিষয়:

২০২৪-২৫ অর্থবছরে এডিপিতে মোট বরাদ্দ দুই লাখ ৬৫ হাজার

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সভায় বৃহস্পতিবার উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে চলমান অর্থনৈতিক চাপের কারণে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বাড়াচ্ছে না সরকার। আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপিতে মোট বরাদ্দ থাকছে দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের তুলনায় মাত্র দুই হাজার কোটি টাকা বেশি।

আজ বৃহস্পতিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সভায় এই উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার বিস্তারিত তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মোট বরাদ্দের বৈদেশিক ঋণ বা অনুদান লক্ষ্যমাত্রা এক লাখ কোটি টাকা। তবে এবারও উন্নয়ন বাজেটে পরিবহন ও বিদ্যুৎখাতকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ দুই খাতে তুলনামূলকভাবে অর্থ বরাদ্দও থাকছে বেশি।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রণয়নে গত ১৪ মার্চ নির্দেশনা দেয় পরিকল্পনা কমিশন। সেই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সব বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাছ থেকে এডিপির জন্য মোট দুই লাখ ৭৬ হাজার ৪০২ কোটি ৪৬ লাখ টাকার প্রাথমিক চাহিদা পাওয়া যায়। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন এক লাখ ৮৫ হাজার ৩৯১ কোটি ১৯ লাখ টাকা ও প্রকল্প ঋণ-অনুদান ৯১ হাজার ১১ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

পরে অর্থ বিভাগ থেকে পাঠানো নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপির আকার দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণপূর্বক কার্যক্রম বিভাগকে অবহিত করা হয়। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন এক লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা বা ৬২ দশমিক ২৬ শতাংশ। উন্নয়ন ব্যয় মেটাতে বৈদেশিক ঋণ-অনুদানের টার্গেট এক লাখ কোটি টাকা বা ৩৭ দশমিক ৭৪ শতংশ।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল ৮৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। সে হিসাবে এডিপিতে এক অর্থবছরের ব্যবধানে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বাড়ছে ১৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

সরকার নতুন উন্নয়ন বাজেটে পরিবহন ও বিদ্যুৎ খাত সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত এডিপির আকার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মূল এডিপি অপেক্ষা দুই হাজার কোটি টাকা বা দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি এবং সংশোধিত এডিপি অপেক্ষা ২০ হাজার কোটি টাকা বা ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ বেশি।

বিষয়:

আগামীতে জেলাভিত্তিক প্রকল্প নেওয়া হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামীতে উপজেলাভিত্তিক প্রকল্প থেকে সরে এসে জেলাভিত্তিক প্রকল্প প্রণয়নে সরকার গুরুত্ব দেবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম।

আজ বৃহস্পতিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এ উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘দেখা যায় অনেক উপজেলায় একাধিক প্রকল্প, আবার অনেক উপজেলা অবহেলিত থাকে। এটা বন্ধ করতেই জেলাভিত্তিক প্রকল্প হাতে নেব যাতে উন্নয়ন সমভাবে বণ্টন হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেসব সরকারি কর্মকর্তা নানান সময়ে বিদেশে প্রশিক্ষণে যান, সেখান থেকে ফেরার পর তাদের প্রশিক্ষণের ধরণ অনুযায়ী প্রকল্পে নিয়োগের অনুশাসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।’

পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার বলেন, চলতি অর্থবছরে ৩০ জুনের মধ্যে ৩৫৬টি প্রকল্প শেষ হবে যা এযাবৎকালে সর্বোচ্চ। কোনো চিকিৎসক প্রকল্প পরিচালক হলে তাকে আলাদা প্রশিক্ষণ দিতে এনইসি সভায় প্রধানমন্ত্রী অনুশাসন দিয়েছেন।

বিষয়:

রাজধানীতে বিমানবন্দরের সামনে হঠাৎ প্রাইভেটকারে আগুন

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিমানবন্দরের সামনের ফ্লাইওভারে প্রাইভেটকারে আগুন লাগে। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনের ফ্লাইওভারে একটি প্রাইভেটকারে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ১০ মিনিটের দিকে গাড়িটিতে আগুন লাগে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে আগুন নির্বাপণ করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।’

কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশনের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মোনায়েম বিল্লাহ জানান, গাড়িটিতে শুধুমাত্র চালক ছিলেন। কোনো যাত্রী ছিলেন না। আগুন লাগার পর চালক বাইরে বেরিয়ে আসেন। এতে কেউ হতাহত হননি।


banner close