বুধবার, ২৯ মে ২০২৪

ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা ও ঝামেলামুক্ত সেবা নিশ্চিত করুন: প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে জাতীয় ভূমি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বাসস
আপডেটেড
২৯ মার্চ, ২০২৩ ২০:৪০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২৯ মার্চ, ২০২৩ ২০:৪০

জমির মালিকানা-সংক্রান্ত সামাজিক ও পারিবারিক সমস্যার অবসান এবং ঝামেলামুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে ভূমি ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপান্তর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে দেশের প্রথম তিন দিনব্যাপী জাতীয় ভূমি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘ভূমির মালিকানা সুনির্দিষ্ট করার জন্য ভূমি বণ্টন ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজ করতে হবে এবং এর ফলে পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যার সমাধান হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সমাজে এটা খুবই সাধারণ ঘটনা যে ভাই-বোন উভয়েই একে অপরকে পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে। যার ফলে হামলা, হত্যা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তিনি আরও বলেন, ‘যদি একটি সঠিক ভূমি ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা যায়, তাহলে সমস্যার সমাধান হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার দেশে-বিদেশে অবস্থানরত সব মানুষের জমির মালিকানা রক্ষার ব্যবস্থা নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আপনি দেশে এবং বিদেশে যেখানেই থাকুন না কেন- আপনার (দেশবাসী) সম্পত্তি আপনারই থাকবে। আমরা আপনার অধিকার সুরক্ষিত ও সুরক্ষার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছি।’

জমি-সংক্রান্ত পরিষেবা পাওয়ার সময় জনগণকে কিছুতেই ঝামেলার সম্মুখীন করা যাবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটি ডিজিটাল ল্যান্ড সিস্টেম তৈরি করছি বলে সমস্যাটি আর থাকবে না।’

একই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সাতটি উদ্ভাবনী উদ্যোগেরও সূচনা করেন। এগুলো হলো- লক্ষ্মীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্মৃতিস্তম্ভ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব গুচ্ছগ্রাম কমপ্লেক্স, রেজিস্ট্রেশন-মিউটেশন ইন্টারকানেকশন, স্মার্ট ল্যান্ডম্যাপ, স্মার্ট ল্যান্ড রেকর্ডস, স্মার্ট ল্যান্ড পিডিয়া, স্মার্ট ল্যান্ড। সারা দেশে ৪০০ উপজেলায় সার্ভিস সেন্টার ও আধুনিক ভূমি অফিস।

তিনি বলেন, ‘আমাদের ভূমি মন্ত্রণালয়ের গৃহীত সাতটি উদ্যোগের প্রতিটি একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’

প্রধানমন্ত্রী জনগণকে ঝামেলামুক্ত ও দ্রুত ভূমি-সংক্রান্ত সেবা দিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এবং আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।

ভূমি সচিব মো. মুস্তাফিজুর রহমান স্বাগত বক্তব্য রাখেন। রাজবাড়ি সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) নূরজাহান আখতার সাথী সহকারি কমিশনারদের পক্ষ থেকে তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী ২০১৩-১৪ সালে তথা-কথিত আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামাতের দেশব্যাপী সহিংসতার কথা দেশবাসীকে মনে করিয়ে দেন। তখন তারা রাস্তায় যানবাহনে পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছিল এবং ছয়টি ভূমি অফিসসহ ৭০টি সরকারি কার্যালয়ের ক্ষতি সাধন করেছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব অফিসে হামলার ফলে সারাদেশে ভূমি অফিসগুলোর জরাজীর্ণ অবস্থার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল। তাঁর সরকার আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত উন্নত উপজেলা ভূমি অফিস নির্মাণ করেছে।

তিনি আরো বলেন, ‘আজ আমি ৪০০টি উপজেলায় আধুনিক ভূমি অফিস উদ্বোধন করেছি। বিএনপি-জামাত চক্র জনগণের সম্পদ ধ্বংস করে আর আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে তৈরি করে। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য জনগণের সেবা করা, আমাদের লক্ষ্য দেশবাসীর শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা।’

প্রধানমন্ত্রী ‘ডেভেলপিং ট্রান্সপারেন্ট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টেবল পাবলিক ইন্সটিটিউশনস’ ক্যাটাগরিতে মর্যাদাপূর্ণ ‘ইউনাইটেড নেশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ অর্জনের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় এবং ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) অ্যাওয়ার্ড ২০২২ অর্জনের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ’স ডিজিটাল ল্যান্ড (ডেভেলপমেন্ট) ট্যাক্স সিস্টেমকে ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী কৃষি উৎপাদন বাড়াতে দেশের প্রতি ইঞ্চি জমি চাষাবাদের আওতায় আনতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান যাতে করে বাংলাদেশকে খাদ্য শস্যের জন্য কারো ওপর নির্ভর করতে না হয়।

তিনি আরো বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উন্নত দেশসহ গোটা বিশ্ব অর্থনৈতিক ও খাদ্য সংকটের সম্মুখীন হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘তাই, আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমরা আর আমদানির ওপর নির্ভর করে থাকতে চাই না। আমরা আমাদের নিজস্ব চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত খাদ্য শস্য অন্য দেশে রপ্তানি করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।


আজকের মধ্যে ৮০ শতাংশ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক হবে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৯ মে, ২০২৪ ০০:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে গত দুই দিনে দেশের অর্ধেকের বেশি গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরই মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করতে কাজ করছে এবং আজ বুধবারের মধ্যে ৮০ শতাংশ সংযোগ স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল মঙ্গলবার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের অধীনে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় ৩ কোটি ৩ লাখ ৯ হাজার ৭০২ জন গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। এর মধ্যে ১ কোটি ৩১ লাখ ৩৬ হাজার ৭০২ জন গ্রাহকের সংযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। অর্থাৎ এখনো ১ কোটি ৭১ লাখ ৭৩ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছেন।

অন্যদিকে, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) মোট ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ১৫৪ গ্রাহকের মধ্যে এখনো ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬২৮ গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। অর্থাৎ দেশের মোট ১ কোটি ৭৩ লাখ ১৭ হাজার ৬২৮ জন গ্রাহক গতকাল বিকেল পর্যন্ত বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন।

সরেজমিনে আরইবি এবং ওজোপাডিকোর ক্ষয়ক্ষতির তথ্য অনুযায়ী, ৩৩ কেভির ৩১১টি ফিডার, ৩৩/১১ কেভির ৪৫১ উপকেন্দ্র, ১১ কেভির ৩৮৫১ ফিডার, ১২৬৬টি বৈদ্যুতিক খুঁটি, ১১২২টি ট্রান্সফরমার এখনো ক্ষতিগ্রস্ত আছে। বিদ্যুতের তার ছেঁড়া আছে ১ হাজার ৬৯৩ জায়গায় এবং মিটার ক্ষতিগ্রস্ত আছে ২৮ হাজার ৪৬৬টি। আজকের মধ্যে ৮০ শতাংশ গ্রাহকের সংযোগ স্বাভাবিক হবে এবং বাকি গ্রাহকদের সার্ভিস ড্রপ ও মিটার বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করা হবে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

বিষয়:

দেশের ইতিহাসে যত প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ঘন ঘন বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের শিকার হয়ে থাকে বাংলাদেশ। দেশের উপকূল স্পর্শ করে বিস্তৃত বঙ্গোপসাগরের উত্তরাংশ অনেকটা ফানেল-আকৃতির। ফলে স্থলভাগের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসে রূপ নেয় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়গুলো। আর এই বিভীষিকার নির্মম শিকারে পরিণত হয় হাজার হাজার মানুষ। এই দুর্যোগপ্রবণতার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কয়েক শতাব্দীর ইতিহাস। সম্প্রতি আঘাত করা ঘূর্ণিঝড় রেমাল ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বিধ্বংসী ১১টি ঘূর্ণিঝড়ের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা তুলে ধরা হলো:

বাকেরগঞ্জ সাইক্লোন, ১৮৭৬

১৮৭৬ সালের ২৭ অক্টোবর বঙ্গোপসাগরের গভীরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপ ২৯ অক্টোবর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। অতঃপর ৩০ অক্টোবর আরও প্রবল হয়ে তা উত্তর বঙ্গোপসাগরের দিকে অগ্রসর হয়। ঘূর্ণিঝড়ের আশপাশে সে সময় বাতাসের গতি উঠেছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২২০ কিলোমিটার।

ওই ঘূর্ণিঝড় থেকে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে পানির উচ্চতা ছিল ১২ দশমিক ২ মিটার। আর এই মাত্রা অব্যাহত রেখেই ৩১ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ওপর। পাশাপাশি আঘাত হানে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিসহ ব্রিটিশ ভারতের উপকূল বরাবর, যেটি বর্তমানে বরিশালে মেঘনা নদীর মোহনার কাছাকাছি একটি স্থান।

ঘূর্ণিঝড়টির আঘাতে সেবার হতাহতের সংখ্যা হয়েছিল প্রায় ২ লাখ, যাদের অর্ধেকই মারা গিয়েছিল জলোচ্ছ্বাসে। এ ছাড়াও ঘরবাড়িসহ সম্পদের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করে ১ নভেম্বর থামে ঘূর্ণিঝড়। কিন্তু এরপর আরও অনেক মানুষ মারা যায় ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী দুর্ভিক্ষ ও মহামারিতে।

চট্টগ্রাম সাইক্লোন, ১৮৯৭

কুতুবদিয়া দ্বীপের কাছাকাছি এলাকায় এই ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ে ১৮৯৭ সালের ২৪ অক্টোবর। ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস মিলে ওই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে হতাহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১৪ হাজারে। ঝড়-পরবর্তী সময়ে কলেরা মহামারিতে আরও ১৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।

খুলনার ঘূর্ণিঝড়, ১৯৬১

১৯৬১ সালের ৯ মে সংঘটিত হওয়া এই ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল বাগেরহাট ও খুলনার বেশকিছু অঞ্চল। ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৬১ কিলোমিটার, আর জলোচ্ছ্বাসে ঢেউয়ের উচ্চতা ছিল ২ দশমিক ৪৪ থেকে ৩ দশমিক ০৫ মিটারে।

ঝড়ে ১১ হাজার ৪৬৮ জন নিহতের অধিকাংশই ছিল চর আলেকজান্ডারের অধিবাসী। জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়া গবাদি পশুর সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার। অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে বিশেষ করে নোয়াখালী ও হরিনারায়ণপুরের মধ্যকার রেলপথটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

চট্টগ্রামের ঘূর্ণিঝড়, ১৯৬৩

১৯৬৩ সালের ২৮ থেকে ২৯ মের মধ্যে সংঘটিত এই ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২০৩ কিলোমিটার। জলোচ্ছ্বাসে পানির উচ্চতা ৪ দশমিক ৩ থেকে ৫ দশমিক ২ মিটারে পৌঁছেছিল।

এই দুর্যোগ বিধ্বস্ত করে দেয় সন্দ্বীপ, কুতুবদিয়া, হাতিয়া ও মহেশখালী দ্বীপসহ, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কক্সবাজারের বিভিন্ন অঞ্চলকে।
এতে মারা যায় ১১ হাজার ৫২০ জন মানুষ ও ৩২ হাজার ৬১৭ গবাদি পশু। এ ছাড়া ধ্বংস হয় ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩৩২টি ঘরবাড়ি, ৪ হাজার ৭৮৭টি নৌকা এবং খেতের ফসল।

বরিশালের ঘূর্ণিঝড়, ১৯৬৫

বাকেরগঞ্জ ও বরিশালের এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টি সংঘটিত হয় ১৯৬৫ সালের ১১ থেকে ১২ মের মধ্যে। বাতাসের গতির সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ঘণ্টায় ১৬২ কিলোমিটার আর জলোচ্ছ্বাস অগ্রসর হয়েছিল ৩ দশমিক ৭ মিটার উচ্চতার ঢেউ নিয়ে। এই তাণ্ডবলীলায় মারা যায় ১৯ হাজার ২৭৯ জন মানুষ।

ভোলার সাইক্লোন, ১৯৭০

বিংশ শতকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান তথা বর্তমান বাংলাদেশের সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়টি হয়েছিল ১৯৭০ সালের ৭ থেকে ১৩ নভেম্বর। ১০ নভেম্বর এটি ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার গতিবেগ অর্জন করে পরের দিন বিকেলে পূর্ব পাকিস্তানের উপকূলে প্রবেশ করে।

বন্দরে ঘূর্ণিঝড়টির প্রবেশস্থলে ঝোড়ো বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ২২২ কিলোমিটার। জলোচ্ছ্বাসের ঢেউ ১০ দশমিক ৬ মিটার উচ্চতায় উঠেছিল।
ভোলা সাইক্লোনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় চট্টগ্রাম, বরগুনা, খেপুপাড়া ও পটুয়াখালী। এ ছাড়া তলিয়ে যায় চর বোরহানউদ্দিনের উত্তরে চর তজুমদ্দিন এবং মাইজদীর দক্ষিণে হরিণঘাটা।

সরকারি হিসাব মতে, সাইক্লোনে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ৫ লাখ। এ ছাড়া ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল প্রায় ২০ হাজার মাছ ধরার নৌকা, ৪ লাখেরও বেশি ঘরবাড়ি এবং ৩ হাজার ৫০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে আরও ছিল ১০ লাখেরও বেশি গবাদি পশু ও ফসলাদি।

চট্টগ্রামের ঘূর্ণিঝড়, ১৯৮৫

কক্সবাজার, নোয়াখালী ও চট্টগ্রামে সংঘটিত এই ঘূর্ণিঝড়ের স্থায়ীত্বকাল ছিল ১৯৮৫ সালের ২৪ ও ২৫ মে। ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল উপকূলবর্তী অঞ্চল সন্দ্বীপ, হাতিয়া ও উড়িরচর।

চট্টগ্রাম অতিক্রমের সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫৪ কিলোমিটার। এই দমকা হাওয়া সন্দ্বীপে ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার ও কক্সবাজারে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারে নেমে যায়।

জলোচ্ছ্বাসে পানির উচ্চতা ৩ থেকে ৪ দশমিক ৬ মিটারে পৌঁছে গিয়েছিল। এই দুর্যোগে হতাহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১১ হাজার ৬৯ জন মানুষ এবং ১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩টি গবাদি পশু। সেইসঙ্গে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল ৯৪ হাজার ৩৭৯টি ঘরবাড়ি এবং ৭৪ কিলোমিটার রাস্তা ও বাঁধ।

বাংলাদেশ সাইক্লোন, ১৯৮৮

১৯৮৮ সালের ২১ নভেম্বর মালাক্কা প্রণালির মধ্যে নিম্নচাপ থেকে উদ্ভূত হয় এই ঘূর্ণিঝড়। ২৯ নভেম্বর বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কাছে আছড়ে পড়ার সময় ঘণ্টায় ২০১ কিলোমিটার গতিবেগ নিয়ে সর্বোচ্চ তীব্রতায় পৌঁছে।

স্থলভাগের ওপর দিয়ে জলোচ্ছ্বাসের দানবীয় আগ্রাসনে পানির উচ্চতা ছিল ২ মিটার। এই তীব্রতার শিকার হয় বাগেরহাট, বরগুনা, ভোলা, যশোর, খুলনা, পটুয়াখালী, সাতক্ষীরা এবং সুন্দরবনের একাংশ।

এর ফলে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫ হাজার ৭০৮ জন, যাদের অধিকাংশের মৃত্যু ঘটে খুলনা জেলায়। এদের অনেকেরই মৃত্যু হয় বিদ্যুতের খুঁটি বসতবাড়ির ওপর ধসে পড়ার কারণে বা সরাসরি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে।

শক্তিশালী এই ঝড়ের দাপটে প্রায় ২ লাখ টন ফসল নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। সারা দেশে ৫০ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়; সেই সঙ্গে গৃহহীন হয়ে পড়ে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ।

রাজধানী ঢাকায় ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বাতাসের কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং যান চলাচলে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়। একইসঙ্গে শহরজুড়ে বন্যা দেখা দেয়। দেশজুড়ে ভয়ানক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে অবশেষে ৩০ নভেম্বর দুর্বল হয়ে পড়ে ৮৮-এর সাইক্লোন।

বাংলাদেশ সাইক্লোন, ১৯৯১

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে সবচেয়ে ভয়াল সাইক্লোনের আবির্ভাব ঘটেছিল ১৯৯১ সালের ২৪ এপ্রিল। বঙ্গোপসাগরের গভীরে বৃহৎ এলাকা নিয়ে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড়টি ২৯ এপ্রিল বাংলাদেশের উপকূলে প্রবেশ করে। চট্টগ্রাম জেলার স্থলভাগের ওপর ঘূর্ণি বাতাসের গতি ওঠে ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটারে।
ঘূর্ণিঝড়টি থেকে ৬ দশমিক ১ মিটার উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস সমগ্র উপকূল রেখাকে প্লাবিত করে ফেলে। এ ঘটনায় নিহত হয় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৬৬ জন।

শুধু বাঁশখালীতেই নিহতের সংখ্যা ছিল ৪০ হাজার এবং কুতুবদিয়া উপজেলায় ২০ হাজারেরও বেশি। কিছু ছোট ছোট দ্বীপ একদম জনমানবশূন্য হয়ে পড়েছিল।

গোটা উপজেলার ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছিল এবং সমস্ত গবাদি পশু মারা গিয়েছিল। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ লাখ বাড়ি ধ্বংস হয়ে যায় এবং গৃহহীন হয়ে পড়ে ১ কোটি মানুষ। গ্রামের পর গ্রাম লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে অবশেষে ৩০ এপ্রিল ঝড়ের অবসান ঘটে।

বিপর্যয়ের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের সমন্বয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোতে অপারেশন সি এঞ্জেল পরিচালনা করা হয়। এটি বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক ত্রাণ প্রকল্পগুলোর মধ্যে একটি।

ঘূর্ণিঝড় সিডর, ২০০৭

২১ শতকের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টির নাম ‘সিডর’। যার মেয়াদকাল ছিল ২০০৭ সালের ১১ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত। উত্তর ভারত মহাসাগরের ঘূর্ণিঝড়ের নাম প্রণয়নের বিধি জারির পর এটি ছিল চতুর্থ নামযুক্ত ঝড়।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ঝড় খুব কম সময়ে ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার গতিবেগে পৌঁছে দানবীয় আকার ধারণ করে। ৫ মিটারের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের কবলে পড়ে পটুয়াখালী, বরগুনা ও ঝালকাঠি জেলার পুরো শহর। ক্ষতিগ্রস্ত হয় সুন্দরবনের প্রায় এক-চতুর্থাংশ।

রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির তথ্যানুসারে, সিডরে প্রাণহানির সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়ায়। আর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তৎকালীন ১৯ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা।

ঘূর্ণিঝড় আইলা, ২০০৯

২০০৯ সালে উত্তর ভারত মহাসাগরে জন্ম নেওয়া দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড় হচ্ছে আইলা। ঘূর্ণিঝড়টি জন্ম নেয় ২১ মে ভারতের কলকাতা থেকে ৯৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে। ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে ২৫ মে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশ ও ভারতের দক্ষিণ-পূর্বাংশে। এর ব্যাস ছিল প্রায় ৩০০ কিলোমিটার, যা ঘূর্ণিঝড় সিডরের থেকে ৫০ কিলোমিটার বেশি। সিডরের মতোই আইলা প্রায় ১০ ঘণ্টা সময় নিয়ে উপকূল অতিক্রম করে, তবে পরে বাতাসের বেগ ৮০-১০০ কিলোমিটার হয়ে যাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি, সিডর থেকে তুলনামূলক কম হয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে আঘাত হানা এই ১০টি ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী ১৮৭৬, ১৯৭০ ও ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়গুলো। শতাব্দীজুড়ে ভয়াল তাণ্ডবে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চট্টগ্রাম ও বরিশালের বিভিন্ন অঞ্চল।

বছর ঘুরে প্রতিবারই এপ্রিল, মে, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে কোনো না কোনো ঘূর্ণিঝড়ের ধ্বংসলীলা চলেছে। একবিংশ শতকে হতাহতের পরিমাণ অনেকটা কমলেও কমানো সম্ভব হয়নি সম্পদ ও অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি।

সূত্র: ইউএনবি


আজ আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৯ মে, ২০২৪ ০৪:৪২
নিজস্ব প্রতিবেদক

আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস আজ বুধবার। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় এ বছর দিবসটি পালন করা হবে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের সব দেশের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য অবদানকে এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হবে।

আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উদ্‌যাপনে বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয়ভাবে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সকালে শান্তিরক্ষীদের স্মরণের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে, যেখানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে ‘শান্তিরক্ষী দৌড়-২০২৪’ উদ্বোধন করবেন।

দিনটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শহীদ শান্তিরক্ষীদের আত্মীয় ও আহত শান্তিরক্ষীদের সংবর্ধনা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ওপর বিশেষ উপস্থাপনার আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দীর্ঘ চার দশকের শান্তিরক্ষার ইতিহাসে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা বিশ্বের ৪৩টি দেশ ও স্থানে, ৬৩টি জাতিসংঘ মিশন সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছে।

বর্তমানে ১৩ দেশে বাংলাদেশের ৬ হাজার ৯২ জন শান্তিরক্ষী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ও কার্যক্রমে নিয়োজিত আছেন। যার মধ্যে রয়েছে ৪৯৩ জন নারী শান্তিরক্ষী। শুরু থেকে এ পর্যন্ত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ১৬৮ জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন। এই বছর তিনজন আহত শান্তিরক্ষীকে সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বিটিভি ওয়ার্ল্ড সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।

দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরার লক্ষ্যে বিশেষ জার্নাল ও জাতীয় দৈনিকগুলোয় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয়েছে এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে বিশেষ টক-শো প্রচারিত হয়। এ ছাড়া শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের কার্যক্রমের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হবে।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনার, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী, তিন বাহিনী প্রধান, সংসদ সদস্য, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও), পুলিশের মহাপরিদর্শক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।


উপজেলা নির্বাচন: তৃতীয় ধাপে ভোট গ্রহণ আজ

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ২২ উপজেলার ভোট স্থগিত
ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৯ মে, ২০২৪ ০৪:৪২
নিজস্ব প্রতিবেদক

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের আনুষ্ঠানিক প্রচার গত সোমবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। এই ধাপে ১০৯ উপজেলায় গতকাল বুধবার ভোট গ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবের কারণে মোট ২২ উপজেলার ভোট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে এখন ৮৭টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হবে।

এরই মধ্যে রিটার্নিং অফিসগুলোতে ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম নিতে ভিড় করছে প্রিসাইডিং অফিসাররা। কঠোর নিরপত্তায় নির্বাচনী সরঞ্জাম কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হবে। ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে।

এর আগে গত সোমবার ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে ১৯টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। পরে গতকাল মঙ্গলবার আরও তিনটি উপজেলায় ভোট স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ২২টি উপজেলার ভোট স্থগিত হলো।

নতুন স্থগিত উপজেলাগুলো হলো নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী এবং চাঁদপুর জেলার কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা। খালিয়াজুরী উপজেলায় সড়ক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া এবং কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ইভিএমের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে সোমবার রাত ১২টায় শেষ হয়েছে এই ধাপের প্রচার-প্রচারণা। নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী ভোট গ্রহণের ৩২ ঘণ্টা আগেই সব ধরনের প্রচার বন্ধ থাকে।

নির্বাচন উপলক্ষে ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিবসের পূর্ববর্তী মধ্যরাত অর্থাৎ ২৮ মে মধ্যরাত ১২টা থেকে ২৯ মে মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। ৯১টি উপজেলায় তিন দিনের জন্য মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ক্ষেত্রে গত সোমবার মধ্যরাত থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে।

ভোটের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঠে নামানো হয়েছে বিজিবি, পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নির্বাচনে কোনো অপরাধ হলে তা আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচার কাজ পরিচালনায় মাঠে রয়েছেন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ও আচরণবিধি প্রতিপালনে নিয়োজিত করা হয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে গঠিত বিভিন্ন টিমের বিষয়ে ইসির এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভিজিল্যান্স টিম ও অবজারভেশন টিম, মনিটরিং টিম ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেল গঠন এবং উক্ত টিমসমূহের কার্যক্রম নির্ধারিত তিন দিন পর পর বা ক্ষেত্রমতো তাৎক্ষণিক নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে অবহিত করতে হবে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা টিমসমূহ কর্তৃক নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে অবগত করানোর জন্য নির্দেশনা দেবেন। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাচনের সামগ্রিক কার্যক্রম শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকল্পে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে পরামর্শক্রমে বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পাঁচ থানার ওসি প্রত্যাহারের নির্দেশ ইসির

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে পাঁচ থানার ওসি প্রত্যাহারের জন্য পুলিশ মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দিয়েছে ইসি। সোমবার ইসির উপসচিব মো. মিজানুর রহমান নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানা, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানা, চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ থানা এবং আনোয়ারা থানার ওসিকে সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করে সংশ্লিষ্ট থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শককে (তদন্ত) ৩১ মে পর্যন্ত দায়িত্ব দেওয়ার জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এ ছাড়া, পটুয়াখালী জেলার দুমকী থানার ওসিকে নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করে সংশ্লিষ্ট থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শককে (তদন্ত) দায়িত্ব দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে বিনীতভাবে অনুরোধও করা হয়েছে চিঠিতে।

৩০০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

সারা দেশে ৩০০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোট গ্রহণ অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে পাঁচ দিন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিজিবি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।


রাত ২টা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নিজেই দুর্যোগ মনিটর করেছেন

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি কমানো ও উপকূলীয় এলাকার মানুষকে নিরাপদে রাখতে রাত ২টা পর্যন্ত দুর্যোগ মনিটর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ল্যান্ডফোনে নিজেই সংশ্লিষ্ট এলাকায় যোগাযোগ করে পরিস্থিতি মনিটর করেছেন, সবার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন।

প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আলোচনা হয়। পরিকল্পনামন্ত্রী আবদুস সালাম ও পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরেন।

ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত দুর্গতদের পাশে সরকারি কর্মকর্তাদের থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের গতানুগতিক
অবস্থার বাইরে এসে কাজ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন।

পরিকল্পনাসচিব জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষয়ক্ষতি পর্যবেক্ষণে রাত ২টা পর্যন্ত জেগে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি প্রত্যেক জেলার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ব্যবস্থাপনা নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন। তা ছাড়া ল্যান্ডফোনকে গুরুত্ব দিতে বলেছেন।

কেননা রেমালে ল্যান্ডফোনের গুরুত্ব সামনে এসেছে।

প্রধানমন্ত্রী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন, যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার যথাযথ হিসাব বের করতে হবে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে যেসব ক্ষয়ক্ষতির চিত্র এসেছে তা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কার করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তা ছাড়া দ্রুত দুর্গত এলাকায় খাবার পানির ব্যবস্থা করতে বলেছেন।

একনেক সভায় রোহিঙ্গাদের উন্নয়নসহ ১১ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৩৩৭ কোটি
৩৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৬ হাজার ৫৪১ কোটি ৫২ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ সহায়তা থেকে ৭ হাজার ৮৭৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৮৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।


ডয়চে ভেলেকে গাজায় গণহত্যা নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরির আহ্বান

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তথ্য কমিশন বাংলাদেশের সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার একটি কর্মশালায় বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ২৮ মে, ২০২৪ ২০:০৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, ‘জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে সম্প্রতি বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে। তারা শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির সঙ্গে বাংলাদেশকে মিলিয়েছে। আমি তাদের সমালোচনা করব না- শুধু বলব, তাদের মানবাধিকারের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকলে গাজায় যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, গণহত্যা চলছে সেটা নিয়ে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করে দেখাক।’

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তথ্য কমিশন বাংলাদেশের সম্মেলন কক্ষে ‘অনগ্রসর, প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত নাগরিকের তথ্য অধিকার’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গাজায় মানবাধিকারের লঙ্ঘন ও গণহত্যার ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র বানিয়ে দেখাক তারা। যার মাধ্যমে মানবাধিকারের প্রতি তাদের অঙ্গীকার প্রমাণ হবে এবং একই সঙ্গে তাদের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কতটুকু আছে সেটাও তারা প্রমাণ করুক। আর যদি সেটা তারা করতে না পারে তাহলে আমরা ধরে নেব ডয়েচে ভেলের প্রামাণ্যচিত্র একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রামাণ্যচিত্র হয়েছে।

‘একটা বিশেষ মহল বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এটি করেছে। যারা প্রকৃত অর্থে আমাদের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনের সমস্যা এবং তাদের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলে না। বাংলাদেশকে পৃথিবীর সামনে খাটো করে দেখানোর যে অপচেষ্টা করে, তার অংশ হিসেবে এই প্রামাণ্যচিত্র হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ দেশের মানুষের জন্য শেখ হাসিনার অঙ্গীকার অবিশ্বাস্য। তার নেতৃত্বে আমরা যখন এগিয়ে যাচ্ছি, আমরা যখন বিশ্বমঞ্চে আমাদের অবস্থান বদলানোর চেষ্টা করছি, তখন এক ধরনের আন্তর্জাতিক ও দেশীয় ষড়যন্ত্র আমরা লক্ষ্য করি।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের হতদরিদ্র মানুষদের জন্য, বিশেষ করে ভূমিহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প করে তাদের আশ্রয়ণের ব্যবস্থা করেছেন। তাদের মানবাধিকারের ব্যবস্থা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের যে বাংলাদেশ, সেখানে ধর্ম, বর্ণ এবং লিঙ্গ নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকার থাকবে। সেটি সংবিধানে নিশ্চিত করা আছে, আইনগতভাবে করা আছে, এখন রাজনৈতিকভাবেও সেটি নিশ্চিত করা আছে। সামাজিকভাবেও তার বাস্তবায়ন আমরা সব জায়গায় দেখতে চাই। এজন্যই তথ্য অধিকার আইন করা হয়েছে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে অবহেলিত জনগোষ্ঠীর, ভূমিহীনদের মানবাধিকার সংরক্ষণ, তাদের ভোটাধিকার সংরক্ষণ এবং ভোট প্রদানের মাধ্যমে তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংরক্ষণ করায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার কাজ করছে। তবে এই বিষয়গুলো রাজনৈতিক ফোরামে উঠে আসে না। অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর মানবাধিকারের সুরক্ষা এক সময় অবহেলিত হয়েছিল, সব সময় তাদের বঞ্চনা ছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা সেগুলোর সমাধান করেছেন।

প্রধান তথ্য কমিশনার ডক্টর আবদুল মালেকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত, ইউএস এইডের অফিস পরিচালক অ্যালেনা তানসে, তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক এবং তথ্য কমিশনার মাসুদা ভাট্টি।

আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য কমিশনের সচিব জুবাইদা নাসরীন। স্বাগত বক্তব্য দেন দ্য কার্টার সেন্টারের চিফ অব পার্টি সুমনা সুলতানা মাহমুদা। কর্মশালায় বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জোবাইদা নাসরিন।


কাল ঢাকায় আসছেন আইএমও মহাসচিব

আইএমও'র দশম মহাসচিব আর্সেনিও এন্টোনিও ডোমিনগেজ ভেলাসকো। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ সফরে আসছেন ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) দশম মহাসচিব আর্সেনিও এন্টোনিও ডোমিনগেজ ভেলাসকো। আগামীকাল বুধবার রাতে তিনি ঢাকায় পৌঁছাবেন।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তিনি বৃহস্পতিবার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে সম্মান প্রদর্শন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। একই দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এবং নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্য প্রদান করবেন। বিকেলে তিনি নৌপরিবহন অধিদপ্তর পরিদর্শন করবেন। সেখানে এস্টাবলিশমেন্ট অব গ্লোবাল মেরিটাইম ডিসট্রেস অ্যান্ড সেইফটি সিস্টেম অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটেড মেরিটাইম ন্যাভিগেশন সিস্টেম (ইজিআইএমএনএস) প্রকল্পের বিষয়ে তাকে অবহিত করা হবে।

এরপর শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম পরিদর্শন করবেন ডোমিনগেজ । সেখানে ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ভিটিএমআইএস), মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, সিঙ্গেল বয়া মুরিং ও অন্যান্য বন্দরের ওপর তাকে ব্রিফ করা হবে। মহাসচিব সেদিন বিকেলে চট্টগ্রামে শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ড পরিদর্শন করবেন।

আইএমও জাতিসংঘের শিপিং সংক্রান্ত সর্বোচ্চ বিশেষায়িত সংস্থা। এটি শিপিং সুরক্ষা, নিরাপত্তা এবং জাহাজ দ্বারা সামুদ্রিক ও বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ প্রতিরোধের দায়িত্ব নিয়ে বিশ্বব্যাপী কাজ করে। আইএমও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে সহায়তা করে। বৈশ্বিক সামুদ্রিক শিল্প ও সরকারের সকল নিয়ন্ত্রক আর্থিক, আইনগত ও কারিগরি সহযোগিতার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ১৭৬টি সদস্য রাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত একটি মর্যাদাপূর্ণ সংস্থা। আইএমও-এর প্রধান কার্যালয় লন্ডনে অবস্থিত।

বিষয়:

রাষ্ট্রপতির কাছে তিন দেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে মঙ্গলবার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের পরিচয়পত্র পেশ করা হয়। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ২৮ মে, ২০২৪ ১৭:৩৮
বাসস

বাংলাদেশে নিযুক্ত তিন দেশের রাষ্ট্রদূতদের পৃথকভাবে পরিচয়পত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মনোনীত তিন অনাবাসিক রাষ্ট্রদূতরা হলেন- ফিনল্যান্ডের কিমো লাহদেভির্তা, গুয়াতেমালার ওমর কাস্তানেদা সোলারেস এবং আয়ারল্যান্ডের কেভিন কেলি।

আজ মঙ্গলবার বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানিয়েছে।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বের সকল দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বৃদ্ধিতে আগ্রহী। কূটনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং দু’দেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে বাংলাদেশ।’

বাংলাদেশে বিরাজমান বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূতদেরকে দ্বিপাক্ষিক সম্ভাবনাময় খাতসমূহে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানান রাষ্ট্রপ্রধান। তিনি পারস্পরিক বাণিজ্য-বিনিয়োগ প্রতিনিধি দলের পারস্পরিক সফর বিনিময়ের কথাও উল্লেখ করেন।

বৈঠকে দূতগণ নিজ নিজ দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে তাদের আগ্রহের কথা জানান। তারা সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ এর ক্ষয়ক্ষতির জন্য দুঃখ ও সহানুভূতি প্রকাশ করেন। রেমালসহ বাংলাদেশের নানা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সরকার এবং জনগণের সাফল্যের ও প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূতগণ। রাষ্ট্রদূতরা তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির প্রয়োজনীয় সহযোগিতা কামনা করেন।

বৈঠকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি অশ্বারোহী দল অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রদূতদের ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করেন।


‘দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৮ মে, ২০২৪ ১৩:০১
বাসস

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা এবং অন্ধত্বের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন অব্যাহত রাখবে।

ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্র এন্টিগা অ্যান্ড বারবুডার রাজধানী সেন্ট জনসে জাতিসংঘ আয়োজিত ক্ষুদ্র দ্বীপ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের চতুর্থ সম্মেলনের অফিসিয়াল সাইডলাইন ইভেন্ট ‘সর্বজনীন চক্ষুসেবা’ আলোচনায় তিনি এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

আজ মঙ্গলবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ গোলার্ধের দেশটির স্থানীয় সময় সোমবার দুপুরে ‘আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব এন্টিগা’র মিলনায়তনে জাতিসংঘের ‘গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস অন ভিশন’ আয়োজিত এ আলোচনায় স্বাগতিক দেশ এন্টিগা অ্যান্ড বারবুডার পররাষ্ট্র-কৃষি ও বাণিজ্যমন্ত্রী শেত গ্রিন এবং জাতিসংঘে আয়ারল্যান্ডের স্থায়ী প্রতিনিধি ফারগাল মিথেন, পর্তুগালের স্থায়ী প্রতিনিধি পলা জাকারিয়াস, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিচালক ওয়ার্নার ওবারমায়ার বক্তব্য রাখেন।

ড. হাছান বিশ্বব্যাপী সবার জন্য চোখের চিকিৎসার উন্নতির লক্ষ্যে ২০২১ সালে “সবার জন্য দৃষ্টি” বিষয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ঐতিহাসিক রেজুলেশন গ্রহণ করার ক্ষেত্রে এন্টিগা অ্যান্ড বারবুডা এবং আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের নেতৃত্বের কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘ইউনাইটেড নেশনস গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস অন ভিশনের কো-চেয়ার হিসেবে বাংলাদেশ জাতিসংঘের দৃষ্টি বিষয়ক বিশেষ দূত নিয়োগ এবং ২০২৬ সালে বিশ্ব চক্ষু স্বাস্থ্য সম্মেলন বা গ্লোবাল আই হেলথ সামিট আয়োজন সমর্থন করে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক-সামাজিক ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য ও বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জনের কথা তুলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ২শ’টি কমিউনিটি আই সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং ২০২৯ সাল নাগাদ আরও ২৫০টি আই সেন্টার প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগে দেশব্যাপী ১৪ হাজার ৫শ’ কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে চোখের প্রাথমিক যত্ন ও চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ।’

এ সময় তিনি বিশ্বব্যাপী দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য সরকারি অবকাঠামোগুলোতে প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করা, শিক্ষা উপকরণের উন্নয়ন এবং ডিজিটাল সাক্ষরতা প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এন্টিগা অ্যান্ড বারবুডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জাতিসংঘে আয়ারল্যান্ড ও পর্তুগালের স্থায়ী প্রতিনিধি তাদের বক্তৃতায় বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে চোখের যত্ন ও চিকিৎসায় বৈষম্য মোকাবিলার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।

এদিকে প্রতি দশকে একবার আয়োজিত ক্ষুদ্র দ্বীপ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের সম্মেলনের (সিডস) ৪র্থ আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সোমবার সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেন।

তিনদিনের এ সম্মেলনে সিডস সদস্য ৩৯টি দ্বীপরাষ্ট্রের সাথে বিশেষত: জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় অভিন্ন স্বার্থের অংশীদার বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপনের পাশাপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রী হাছানের ডোমিনিকান রিপাবলিক ও জ্যামাইকার পররাষ্ট্র মন্ত্রীদ্বয় এবং জাতিসংঘে কানাডার স্থায়ী প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এ ছাড়া সিডস সম্মেলন শেষে ৩০ মে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পাশাপাশি দিবসটি উপলক্ষ্যে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী দূতাবাস আয়োজিত অস্ট্রিয়ার সঙ্গে যৌথ অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন তিনি।

তিনদিনের নিউইয়র্ক সফরে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল, মিয়ানমারে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত, জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট প্রমুখের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পাশাপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ নিউইয়র্কে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা-ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের উদ্দেশ্যে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে বক্তৃতা দেবেন।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা অণুবিভাগের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদ সিডস সম্মেলন ও নিউইয়র্কের কর্মব্যস্ত সফরে দেশের প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে যোগ দিচ্ছেন।


আজও দেশের ১৭ অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টিসহ ঝড়ের আভাস

সোমবার কুয়াকাটা থেকে তোলা। ছবি: মাহামুদুর রহমান
আপডেটেড ২৮ মে, ২০২৪ ০০:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব থাকতে পারে আজও। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রেমালের কারণে গতকাল সোমবারের মতো আজও সারা দেশে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে দেশের ১৭ অঞ্চলের ওপর দিয়ে এই ঝড় বয়ে যেতে পারে। এসময় ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বজ্রবৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

গতকাল সোমবার আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেটের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব/পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এতে আরও বলা হয়, উপরিউক্ত এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এর আগে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশের ওপর দিয়ে পূর্ব বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে গতকাল সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজসহ আগামী দুই দিন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে উপকূল অতিক্রম করে।

এটি দুর্বল হয়ে বর্তমানে যশোর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় স্থল গভীর নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-পূর্বদিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমেই বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর ফলে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।


এমপি আনার হত্যা: কসাই জিহাদকে নিয়ে কলকাতার সেই ফ্ল্যাটে ডিবির তদন্ত দল

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার ঘটনা তদন্তে কসাই জিহাদকে সঙ্গে নিয়ে ভারতের কলকাতার সঞ্জিবা গার্ডেনের আলোচিত সেই ফ্ল্যাটে গেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) একটি দল।

সোমবার (২৭ মে) দুপুরে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল ওই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিল কলকাতা পুলিশও।

সঞ্জিবা গার্ডেনস থেকে বেরিয়ে সোজা বাগজোলা খালে যান ডিবিপ্রধান হারুন ও অন্য তদন্তকারীরা। খালটিতে যেখানে এমপি আনারের মরদেহের টুকরো ফেলা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, বৃষ্টির মধ্যেই সেই স্থানটি পরিদর্শন করে তদন্তকারী দল। সেখানে উপস্থিত ভারতীয় সিআইডির কর্মকর্তাকে ডিবিপ্রধান জিজ্ঞেস করেন, এখানে বাঁশের ঝাড় কোথায়। সিআইডির কর্মকর্তা বাঁশঝাড় দেখিয়ে দিলে ডিবিপ্রধান নিজে সেই স্থানটি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন।

এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, আমাদের একজন সংসদ সদস্যকে কলকাতায় হত্যা করা হয়েছে। তার ধারাবাহিকতায় আমরা বাংলাদেশে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। কলকাতা পুলিশও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আপনারা জানেন, এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা হয়েছিল বাংলাদেশ এবং নিষ্পত্তি হয়েছে কলকাতায়। তাই আমরা নিউটাউন থানায় এসে এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে বেশ কিছু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। যে রুমে তাকে হত্যা করা হয়েছিল, সেটিও পরিদর্শন করা হয়েছে।

এর আগে রোববার সকালে ডিবিপ্রধানের নেতৃত্বে কলকাতা যান ডিবির তিন সদস্যের একটি দল।

কলকাতা যাওয়ার আগে হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, বাংলাদেশের তদন্ত দল কলকাতায় প্রথমে ঘটনাস্থলে যাবে। এরপর ভারতে গ্রেপ্তার জিহাদ হাওলাদারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবে।

পুলিশ জানিয়েছে, জিহাদ হাওলাদার (২৪) একজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। তার বাড়ি খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানায়। তার বাবার নাম জয়নাল হাওলাদার। তবে জিহাদ বসবাস করত ভারতের মুম্বাই শহরে। সেখানে সে একটি মাংসের দোকানে কসাইয়ের কাজ করত।

গত ২৩ মে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, এমপি আনারকে হত্যার পর খুনিরা তার দেহের মাংস হাড় থেকে আলাদা করে ফেলে। এরপর মাংসে হলুদের গুঁড়া ও মসলা মিশিয়ে ফ্রিজে রাখা হয়। পরে মাংস হিসেবে বাজারের ব্যাগে ভরে তা ট্রলিতে বাইরে নেওয়া হয়।

এখন পর্যন্ত সংসদ সদস্য আনার হত্যার ঘটনায় তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তার আসামিরা হলো- আমানুল্লাহ ওরফের শিমুল ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান ও ফয়সাল আলী ওরফে সাজি।

গ্রেপ্তার তিন আসামির আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ২৪ মে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথির আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।


অনলাইনে যৌন নির্যাতনের শিকার ৩০ কোটি শিশু: গবেষণা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে ৩০ কোটির বেশি শিশু অনলাইন যৌন শোষণ ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। গুরুতর এই সমস্যার বিষয়ে অনুমান করা প্রথম বৈশ্বিক পরিসংখ্যান সোমবার প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেই উঠে এসেছে অনলাইনে শিশু নির্যাতনের এই ভয়াবহ চিত্র।

ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গের গবেষকরা দেখেছেন, গত ১২ মাসে বিশ্বের প্রতি আটজনের একজন শিশু যৌন ছবি বা ভিডিও সম্মতিবিহীন গ্রহণ, শেয়ার ও এক্সপোজারের শিকার হয়েছে। সংখ্যার দিক থেকে এর সংখ্যা প্রায় ৩০ কোটি ২০ লাখ।

গবেষণাটি পরিচালনা করেছে ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গের চাইল্ডলাইট গ্লোবাল চাইল্ড সেফটি ইনস্টিটিউট। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাপ্তবয়স্ক ও অন্যান্য যুবকদের মাধ্যমে অবাঞ্ছিত সেক্সটিং (যৌন-বিষয়ক চ্যাটিং) এবং যৌন ক্রিয়াকলাপের অনুরোধের ক্ষেত্রেও একই সংখ্যক ঘটনা ঘটেছে।

এসব অপরাধের মধ্যে তথাকথিত সেক্সটর্শন (অপরাধীরা ছবি গোপন রাখার জন্য ভিকটিমদের কাছ থেকে টাকা দাবি করে) থেকে শুরু করে ডিপফেক ভিডিও ও ছবি তৈরির জন্য এআই প্রযুক্তির অপব্যবহারের মতো বিষয়গুলোও রয়েছে।

গবেষণা বলছে, সমস্যাটি বিশ্বব্যাপী। কিন্তু এতে যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে বিশেষভাবে উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। সেখানে প্রতি নয়জন পুরুষের একজন কোনো না কোনো সময়ে শিশুদের বিরুদ্ধে অনলাইন অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন।

চাইল্ডলাইটের প্রধান নির্বাহী পল স্ট্যানফিল্ড বলেন, শিশু নির্যাতনের বিষয়বস্তু এতটাই প্রচলিত যে, ওয়াচডগ বা পুলিশিং সংস্থাগুলোর কাছে গড়ে প্রতি সেকেন্ডে একটি অভিযোগ রিপোর্ট হচ্ছে।

তিনি বলেন, এটি একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য মহামারি, যা অনেক দিন ধরে লুকিয়ে রয়েছে। এটি প্রতিটি দেশেই ঘটে এবং তা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর জন্য একটি বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন।


‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে অংশীদার হিসেবে থাকুন’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে মার্কিন ব্যবসায়ীদের অংশীদার হিসেবে পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ সোমবার গণভবনে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের এক সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অগ্রযাত্রায় অংশীদার হিসেবে থাকুন।

তিনি বলেন, আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে একটি ‘স্মার্ট নেশন’ হয়ে ওঠার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করি। এখানে আমাদের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা বাড়াতে এবং রপ্তানিভিত্তিক সম্প্রসারণে আপনাদের সমর্থন প্রয়োজন। এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে ‘স্বল্পোন্নত’ থেকে ‘উন্নয়নশীল’ দেশে পরিণত হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী ‘আর্থসামাজিক উন্নয়নের এক রোল মডেল’ হিসেবে স্বীকৃত। এটি সম্ভব হয়েছে সুশাসন, আইনের শাসন ও স্থিতিশীলতার কারণে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ, নারীর ক্ষমতায়ন এবং আইসিটির কারণে যা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর রূপান্তর ঘটিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের জন্য প্রধান অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন সহযোগী। উভয় দেশের অনেক ক্ষেত্রেই নিবিড় সম্পৃক্ততা রয়েছে, বিশেষ করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে। তিনি বলেন, আমাদের যৌথ লক্ষ্য হলো জনগণের জন্য পারস্পরিক সুবিধা ও সমৃদ্ধি অর্জন করা। এটি আমাদের ক্রমবর্ধমান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এবং জনগণের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া প্রকাশ পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে আমাদের রপ্তানির বৃহত্তম একক দেশীয় গন্তব্য, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের বৃহত্তম উৎস এবং জ্ঞান ও প্রযুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। আগামীদিনে এ অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি স্থানান্তরের মাধ্যমে এবং পারস্পরিক সুবিধার জন্য একটি মসৃণ ও অনুমানযোগ্য সরবরাহ শৃঙ্খল তৈরির মাধ্যমে আমাদের উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদার হয়ে উঠবে। এ সময় নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জাহাজ নির্মাণ, অটোমোবাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, হালকা ও ভারী যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক সার, আইসিটি, সামুদ্রিক সম্পদ এবং চিকিৎসা সরঞ্জামসহ সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলোতে মার্কিন ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ করার আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল আমাদের দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতার অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মার্কিন ব্যবসায়ী নেতাদের বাংলাদেশে ব্যবসার সুযোগ অন্বেষণ এবং বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) এবং ২৮টি হাই-টেক পার্ক প্রতিষ্ঠা করছে। এর মধ্যে কয়েকটি চালু রয়েছে।

সম্ভাবনাময় আইটি সেক্টরের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইটি সেক্টরে এক মিলিয়নেরও বেশি ফ্রিল্যান্সিং আইটি পেশাদার রয়েছেন। বাংলাদেশ আইটি খাতে বিনিয়োগের জন্য সঠিক গন্তব্য। শ্রমিকের সহজলভ্যতা এবং বিনিয়োগ পরিবেশের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এখানে প্রতিযোগিতামূলক মজুরিতে তরুণ, দক্ষ ও প্রাণবন্ত কর্মশক্তি পাওয়ার একটি বিশাল সুবিধা রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে এ অঞ্চলের সবচেয়ে উদার বিনিয়োগনীতির মর্যাদা রয়েছে। এ ছাড়া নিশ্চিত থাকুন, আমরা বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নতিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি। বাংলাদেশ ১৭০ মিলিয়ন মানুষের বাজার এবং অবস্থান (ভৌগোলিক) দেশটিকে তিন বিলিয়ন মানুষের বাজারের কেন্দ্রস্থলে রেখেছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে এর ক্রমবর্ধমান কানেকটিভিটি বাংলাদেশকে এ অঞ্চল এবং এর বাইরে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের জন্য একটি আদর্শ জায়গা করে তুলেছে। এখন শুধু আঞ্চলিক নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গেও অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নত করাও আমাদের লক্ষ্য।

গত ১৫ বছরে বেশ কয়েকটি মেগা-অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়ন করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে পদ্মা নদীর ওপর সেতু, ঢাকায় মেট্রোরেল, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল, এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকায় একটি আধুনিক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বিদ্যুৎকেন্দ্র ইত্যাদি। আইনি ও আর্থিক অবকাঠামোও উন্নত করা হচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এগুলো আমাদের অভ্যন্তরীণ এবং আঞ্চলিক সংযোগ বাড়িয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের দ্রুতবর্ধনশীল অর্থনীতির একটি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ, যা ২০৩০ সালের মধ্যে ২৫তম হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এ প্রবৃদ্ধি একটি প্রাণবন্ত বেসরকারি খাতের কারণে, যেখানে মার্কিন ব্যবসাগুলোর একটি উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।

সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর তার ব্যক্তিগত উদ্যোগের কারণে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বহুগুণ বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার বিষয়ে খুবই আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ ক্ষেত্রে তারা কিছু জটিলতার কথা উল্লেখ করে সেগুলো সমাধানের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান স্টিভেন কোবোস, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট অতুল কেশপ।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দীন। সঞ্চালনায় ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।


banner close