মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

সময়ের আবেদন করেও দুদকে জাহাঙ্গীর, হয়রানির অভিযোগ

রোববার হঠাৎ করেই দুদকে উপস্থিত হন গাজীপুর সিটির বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। ছবি: সংগৃহীত
বিশেষ প্রতিনিধি, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
বিশেষ প্রতিনিধি, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২১ মে, ২০২৩ ১৮:৩৬

দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে ২১ ও ২২ মে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেয়ার জন্য গাজীপুর সি‌টি করপোরেশনের বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে তলব করা হলে তিনি সময়ের আবেদন করেছিলেন। গত ১৮ মে তার আবেদন গ্রহণ করে তাকে এক মাস সময় দেয়া হলেও রোববার হঠাৎ করেই দুদকে উপস্থিত হন জাহাঙ্গীর।

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদক কর্মকর্তাদের সামনে না যেতে হলেও তিনি মুখোমুখি হন গণমাধ্যমের। এ সময় জাহাঙ্গীর দাবি করেন, তিনি নির্দোষ। বিনা কারণে দুদককে ব্যবহার করে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে।

জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমি ২০১৮ সালে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে লাখ লাখ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছি। মেয়রের পদের মেয়াদ পাঁচ বছর, মাত্র তিন বছরের মাথায় ঢাকা থেকে চিঠি দিয়ে অবৈধভাবে আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এটা একজন জনপ্রতিনিধির জন্য কতটুকু আইন অনুসরণ করা হয়েছে, সে বিচার আপনাদের।’

তিনি বলেন, ‘সরকার আমাকে দুটি প্রজেক্টে মাত্র ৬০০-৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল। কিন্তু দুদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে আমার বিরুদ্ধে সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। এটা কী করে সম্ভব? এটা কাল্পনিক, বানোয়াট ও মিথ্যা।’

বরখাস্ত মেয়র বলেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণা চলছে। আমার জন্মদাতা মা মেয়র প্রার্থী, আমি প্রধান সমন্বয়কারী। ২৫ তারিখে ভোট। আজ ও আগামীকাল নির্বাচনের প্রচারণা শেষ দিন। ২১ ও ২২ তারিখ নির্বাচনের প্রচারণা শেষ দিন। এমন সময় দুদক আমাকে ডেকেছে। নির্বাচনের সময় আজ কেন আমাকে আসতে বাধ্য করল। একটি মহল দুদককে ব্যবহার করে আমাকে হয়রানি করছে। একজন জনপ্রতিনিধি হওয়া সত্ত্বেও আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে, তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?’

এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হিসেবে আজ দুদক এসেছি। আমি সময় চেয়ে আবেদন করেছিলাম, কিন্তু আমি জানতে পারিনি, আমাকে সময় দেয়া হয়েছে কি না, সেটা জানতেই আজ আমি এখানে এসেছি।’

সাবেক এই মেয়র আরও বলেন, ‘আমি পলাতক মানুষ নই, বাংলাদেশ থেকে যারা অর্থ পাচার করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না। আজ যিনি ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তাকে হাইকোর্ট ২১টি বিষয়ে জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন। যারা আমেরিকায় অর্থ পাচার করছেন, তাদের দুদক ডাকল না। আমি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করে বিলাসী জীবনযাপন করিনি, সে জন্য হয়রানি করা হচ্ছে।’

এর আগে গত ১৮ মে দুর্নীতির অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ, ব্যাখ্যা ও প্রস্তুত করতে এক মাস সময় চেয়েছিলেন জাহাঙ্গীর আলম।

দুদকের অনুসন্ধান নথি বলছে, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ মিলেছে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিছুর রহমানসহ করপোরেশনের কতিপয় ঠিকাদারের বিরুদ্ধে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও মিলেছে।

এ দুটি অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জাহাঙ্গীরকে তলব করে দুদক।


ভারতের নির্বাচনের পর ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে ব্যবস্থা

সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে মঙ্গলবার পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের সঙ্গে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মা। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতের ভিসাপ্রাপ্তি সহজ করা এবং ভোগান্তি ও চাপ কমাতে দুই বছর মেয়াদি ভিসা চালুর বিষয়ে দেশটির নির্বাচনের পরে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এসে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মা এ বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। পরে মন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে বিষয়টি জানান।

পাটমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে ভারতের ভিসা পেতে মানুষের যে ভোগান্তি হচ্ছে, সে জন্য ভিসা ব্যবস্থা আরও সহজ করার জন্য অনুরোধ করেছি। যাতে মানুষ অল্প সময়ের মধ্যে ভিসা পেতে পারে।’

ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা নিয়ে ভারত কী বলেছে, এমন প্রশ্নের জবাবে নানক বলেন, ‘আমরা যে সমস্যাগুলোর কথা বলেছি সে বিষয়ে তিনি একমত হয়েছেন। তিনি বলেছেন, যে সমস্যা রয়েছে সেগুলো সহজ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে মাঝে মধ্যে ভিসার আবেদন এত বেশি হয়ে যায়, তখন সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।’

বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি গত বছর রাজনৈতিক সফরে ভারতে গিয়েছিলাম, সে সময় ভারতের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাকালে এ বিষয়টি বলেছি।’ ভিসার চাপ কমাতে ভারত অন-এরাইভাল ভিসার ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে নানক বলেন, ‘এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাদের বলেছি সৌদি আরবও ভিসা অনেক সহজ করেছে। কাজেই আপনাদের আগের জায়গায় থাকলে চলবে না। আপনারা বলছেন ওভারলোড হচ্ছে। সেটা কমাতে আমাদের যে ভিসা দিচ্ছেন সেটা দুই বছর মেয়াদি দিলে লোড কম হতো। লোড কমাতে ভিসার মেয়াদ দীর্ঘমেয়াদি করতে হবে। এ বিষয়ে হাইকমিশনার একমত হয়েছেন। আমরা চেষ্টা করছি। নির্বাচনের পরে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পাটের অ্যান্টি ডাম্পিং নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে পাটমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতে এখন নির্বাচন চলছে। নির্বাচনের পরে দুই সরকারের মধ্যে আলোচনা হবে। আমরা আশা করছি, কোনো ফলপ্রসূ ফলাফল আসবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পাটকলগুলোতে আরও বেশি বিনিয়োগ করার জন্য বলেছি। ইতোমধ্যে ভারতের তিনটি কোম্পানি আমাদের তিনটি জুটমিলে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং কারও কারও সঙ্গে আমাদের চুক্তিও হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ পাটবীজ ভারত থেকে আমদানি করি। এ জন্য আমরা বলেছি আমাদের মানসম্পন্ন পাটবীজ দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পাটবীজ দিতে হবে। কোনোক্রমেই যেন বিলম্বিত না হয়। সে বিষয়ে নজর রাখার জন্য ভারতকে অনুরোধ করেছি। এ বিষয়ে তাদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চেয়েছি। এ ছাড়া আমাদের থেকে ভারত সিল্কে অনেক বেশি এগিয়ে গেছে। সিল্ক উৎপাদনে ভারত পৃথিবীর শীর্ষে রয়েছে। এ জন্য দেশে মানসম্মত সিল্ক উৎপাদনে আমাদের কারিগরি সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করেছি। টেক্সটাইল খাতে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করছি, এটিকে আরও জোরদার করতে একমত হয়েছেন রাষ্ট্রদূত।’

পাটের বীজ উৎপাদন বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে নানক বলেন, ‘পাট অধিদপ্তরের মাধ্যমে সারা দেশে একটি প্রজেক্ট চালু রয়েছে, পাটবীজ উৎপাদনে কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য। যাতে কৃষক পাটবীজ আরও বেশি করে উৎপাদন করে। এর মাধ্যমে আমরা পাটবীজের আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে আনতে পারব।’

রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে নানক বলেন, ‘ভারতে নির্বাচন চলছে, আমরাও নির্বাচন করেছি। কাজেই রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।’

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লুর সফর নিয়ে অনেকেই আনন্দে ছিলেন। ডোনাল্ড লু এসেছিলেন যেন তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেওয়ার জন্য। ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সে জন্য বাংলাদেশ সরকার, জনগণের সরকার ও শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে সার্বিকভাবে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ এবং দৃঢ় করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্যই তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। আমি বিশ্বাস করি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সবসময় ভালো ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।’


ডোনাল্ড লু আজ ঢাকায় আসছেন

ক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৪ মে, ২০২৪ ১৮:১৪
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আজ মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন। সকালে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো থেকে তার ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।

ডোনাল্ড লুর ঢাকা সফরে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য-বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নাগরিক অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা প্রাধান্য পাবে। এ ছাড়া তিনি সরকারি ও বেসরকারি নানা পর্যায়ে বৈঠক করবেন।

ডোনাল্ড লু ঢাকা সফরের প্রথম দিন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের দেওয়া এক নৈশভোজে যোগ দেবেন। সফরের দ্বিতীয় দিন বুধবার তিনি প্রথমে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে ও পরে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। তিন দিনের সফরে ডোনাল্ড লু নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময় করবেন বলে জানা গেছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ সফর করবেন ডোনাল্ড লু। তার এ সফরের মধ্য দিয়ে দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার হবে বলে প্রত্যাশা করছে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্র যে একটি মুক্ত, অবাধ ও সমৃদ্ধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল দেখতে চায়, ডোনাল্ড লুর সফরে সেটাই গুরুত্ব পাবে।

ডোনাল্ড লুর ঢাকা সফর নিয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার আলোচনা করতেই ডোনাল্ড লুর আসন্ন ঢাকা সফর।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ডোনাল্ড লুর এটাই প্রথম ঢাকা সফর। গত বছরের ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি ঢাকা সফর করেছিলেন তিনি। নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু গত বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে শর্তহীন সংলাপের জন্য চিঠি দিয়েছিলেন।


ফের তাপপ্রবাহের আভাস

রয়েছে ঝড়সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৪ মে, ২০২৪ ০০:৩০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছরের মে মাসেও এপ্রিল মাসের মতো তীব্র ‍দাবদাহ অব্যাহত থাকার কথা আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া অফিস। এর সঙ্গে ঝড়সহ বৃষ্টির আভাসও ছিল। যদিও মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ঝড়-বৃষ্টির কারণে দাবদাহ কিছুটা কমেছিল। তবে আবারও তাপপ্রবাহের কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এর সঙ্গে রয়েছে ঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনাও। গতকাল সোমবার দিনের তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফের তাপপ্রবাহ শুরু হওয়ার কথা জানান আবহাওয়াবিদরা।

আবহাওয়া অধিপ্তর আরও জানায়, গত ৩১ মার্চ শুরু হয়ে ৬ মে পর্যন্ত টানা ৩৭ দিন দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যায় তাপপ্রবাহ। কোথাও কোথাও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়ে তাপপ্রবাহ অতি তীব্র আকার ধারণ করেছিল। তীব্র গরমে কষ্ট পেয়েছিল প্রায় সারা দেশের মানুষ। তবে এই মাসে নতুন করে তাপপ্রবাহ শুরু হলে তা গত এপ্রিল মাসের মতো বিস্তৃত এবং অতি তীব্র হওয়ার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

আজ মঙ্গলবার সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম ছাড়া দেশের বাকি সাত বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে এসব বিভাগের বিভিন্ন স্থানে। পাশাপাশি বাড়তে পারে গরম। আগামী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগসমূহের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। রাতের তাপমাত্রাও সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আজ মঙ্গলবার (১৪ মে) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগসমূহের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।

আর আগামীকাল বুধবার (১৫ মে) সকাল থেকে পরের ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আগামী পাঁচ দিনে সার্বিকভাবে দেশের আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের আশঙ্কা নেই বলেও জানায় আবহাওয়া অফিস।


আসন্ন বাজেটে সামাজিক সুরক্ষায় উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ছে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়বে বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। একই সঙ্গে তিনি জানান, এবার বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সর্বাধিক অগ্রাধিকার পাচ্ছে।

আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাজেটবিষয়ক প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা সংক্রান্ত বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা।’

আগামী ৬ জুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

আসন্ন বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের এবারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন যেন বাজেটে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পায়, সেই নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।’

এবারের বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং গ্রামীণ অবকাঠামো খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ থাকবে বলে তিনি জানান।

বাজেটে কর অবকাশ সুবিধা উঠিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে অর্থ প্রতিমন্ত্রী জানান, যেসব খাত দীর্ঘদিন কর অবকাশ সুবিধা পেয়ে আসছে, সেসব খাতে কর অব্যাহতির সুবিধা উঠিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটি সুনির্দিষ্টভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কয়েকটি খাত গত ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে কর অবকাশ সুবিধা পেয়ে আসছে। এই সুবিধার কারণে এখন তারা যথেষ্ট সক্ষমতা অর্জন করেছে এবং দেশের বাজার দখলে নিয়েছে। এমতাবস্থায় তাদের রপ্তানির দিকে মনোযোগী হওয়ার কথা থাকলেও তারা সেটি করছে না। তিনি মনে করেন, কর অবকাশের বাড়তি সুবিধা উঠিয়ে নিলে এসব খাতের উদ্যোক্তারা রপ্তানির প্রতি মনোযোগী হবেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কর অবকাশ সুবিধা উঠিয়ে দিলে এসব খাত বাড়তি সুবিধা হারাবে ঠিকই, কিন্তু সেটি রপ্তানির মাধ্যমে পুষিয়ে নিতে পারবে। টেকসই অর্থনীতির স্বার্থে আমাদের সেদিকে যাওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।


‘সাম্প্রদায়িকতা ও কূপমণ্ডুকতা রুখতে দরকার সাংস্কৃতিক গণজাগরণ’

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

সাম্প্রদায়িকতা ও কূপমণ্ডুকতাকে রুখে দিতে এবং দেশাত্মবোধ, উন্নয়ন ও মানবতাকে তুলে ধরতে প্রান্তিক জনপদসহ সারা দেশে সাংস্কৃতিক গণজাগরণ দরকার। তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

আজ সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিলনায়তনে অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ সম্পাদিত ‘পদ্মা ব্রিজ: এন এপিক একমপ্লিশমেন্ট’ গ্রন্থ এবং হাসানুজ্জামান মাসুম রচিত ‘সোনার বাংলাদেশ দেখতে চাই’ দেশাত্মবোধক ভিডিও সংগীত উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শাহরিয়ার আলম এমপি এবং অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় গ্রন্থ ও দেশাত্মবোধক ভিডিও সংগীতটির ওপর আলোকপাত করেন। গবেষক ড. শিহাব শাহরিয়ার ও গীতিকার হাসানুজ্জামান মাসুম এ সময় বক্তব্য দেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কানাডার আদালত প্রস্তাবিত পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগকে খারিজ করে দেওয়ার পর বিশ্বব্যাংক আবার অর্থায়ন করতে চেয়েছিল, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা না বলে দিয়েছিলেন। উন্নয়নশীল কোনো রাষ্ট্রনেতার পক্ষে এ দৃঢ়তা প্রদর্শন সহজ নয়।’

মন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণ আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল। যখন বিশ্বব্যাংক সরে গেল, তখন অনেকেই বলেছে পদ্মা সেতু আর হবে না। একটি পত্রিকা শিরোনাম করল ‘পদ্মা সেতু হচ্ছে না’। এরপর প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিলেন নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণের। আজ পদ্মা সেতু দৃশ্যমান ও দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রেখে চলেছে।’

‘আমার মনে হয় পদ্মা সেতু নিয়ে সিপিডি, টিআইবিসহ সব সমালোচনাকারীদের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত এবং জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে যেকোনো উন্নয়ন সম্ভব, সেটির বড় প্রমাণ নিন্দুকদের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়া পদ্মা সেতু’- যোগ করে বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ডোনাল্ড লুর বাংলাদেশ সফর নিয়ে প্রশ্ন করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের চমৎকার সম্পর্ক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চিঠি দিয়ে এ সম্পর্ককে যে নতুন উচ্চতায় নেওয়ার কথা বলেছেন, মার্কিন প্রশাসনের যেই আসুন সেই ধারাবাহিকতাতেই আলোচনা হবে।’

এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি সহজীকরণ এবং র‍্যাবের কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এসব নিয়েও আলোচনা হবে। বিএনপির সাম্প্রতিক রাজনীতি নিয়ে প্রশ্নে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তাদের ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলন মুখ থুবড়ে পড়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করা। তাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তাদের বাসায় এখনো ভারতীয় পণ্য রয়েছে।’ এ সময় রসিকতা করে মন্ত্রী বলেন, ‘কারও কারও ভারতীয় বউও রয়েছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির জোটের মধ্যে সমন্বয় নেই, কোনো দল জোট থেকে চলে যায় আবার কোনো দল ভেঙে দুই-তিনটা হয়। জোটের পরিধি তাই কখনো বাড়ে, কখনো কমে। মির্জা ফখরুল সাহেব যদি তাদের জোটের সব দলের নাম বলতে পারেন, আমি খুশিই হব।’


প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ায় এমপি আবদুল হাফিজকে ইসির তলব

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ায় বরিশাল-৬ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আবদুল হাফিজ মল্লিককে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। বিষয়টিকে নির্বাচনী অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে আগামী ১৫ মে বুধবার দুপুর ১২টায় তাকে নির্বাচন ভবনে উপস্থিত হতে বলেছে ইসি।

গত ৮ মে প্রথম ধাপের ভোটে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রকাশ্যে ভোট দিয়ে সমালোচিত হন এই এমপি।

আজ সোমবার নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি আবদুল হাফিজ মল্লিককে পাঠানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, ‘গত ৮ মে অনুষ্ঠেয় বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন ৪৭ নম্বর মঙ্গলসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে প্রকাশ্যে ভোট দেন আপনি (হাফিজ মল্লিক), যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছবিসহ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশ্যে ভোট প্রদান করে ভোটের গোপনীয়তা রক্ষা না করা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩-এর বিধি ৭৮-এর বিধান অনুসারে শাস্তিযোগ্য নির্বাচনী অপরাধ। এ অপরাধ সংঘটনের কারণে আপনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও পদ্ধতিগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্পিকারের কাছে কেন চিঠি দেওয়া হবে না, সে বিষয়ে বুধবার দুপুর ১২টায় নির্বাচন কমিশনে আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’

সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ায় তলব করা হয়েছিল ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানকে। পরে ইসিতে এসে বিষয়টি ‘ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে’ দেখতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেন তিনি।

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীকেও তলব

কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়ার পরও আচরণবিধি লঙ্ঘন করতে থাকায় ‘কেন প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না’, জানতে চেয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী জামিল হাসানকে চিঠি দিয়েছে ইসি। তাকে ১৫ মে সকালে নির্বাচন ভবনে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এই উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে ভোট গ্রহণ করা হবে।

এবার চার ধাপে উপজেলা ভোট হচ্ছে। ৮ মে প্রথম ধাপের ভোট শেষ হয়েছে। এরপর ২১ মে, ২৯ মে ও ৫ জুন ভোট রয়েছে।


স্বচ্ছতা নিশ্চিতে ‘ইলেকট্রনিক সরকারি’ ক্রয় চালু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বর্তমান সরকার প্রাথমিক পর্যায়ের ক্রয়ের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ইলেকট্রনিক সরকারি ক্রয় চালু করেছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার।

আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি) মিলনায়তনে আইবিএফবি আয়োজিত ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট-চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচুনিটিজ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে উচ্চ নৈতিকতার মানুষ প্রয়োজন। এসময় স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে সভায় আসা সুপারিশ, অভিযোগ এবং দাবিগুলি বিবেচনায় নেওয়ার জন্য সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। সভায় উপস্থিত স্টেকহোল্ডাররা সরকারকে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ায় দেশি-বিদেশি সব প্রতিষ্ঠানের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে স্থানীয় কোম্পানিগুলোর জন্য বৈষম্যমূলক কর কাঠামো অপসারণের পরামর্শও দেন।

মনোনীত আলোচক হিসেবে বক্তৃতাকালে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটির (বিপিপিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ শোহেলার রহমান চৌধুরী বলেন, তারা দেশে ১০০% ক্রয় ব্যবস্থাকে ই-জিপি পদ্ধতিতে আনতে চান। বিপিপিএ ক্রয় সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে ক্রমাগত সংশোধন করছে।

অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের সাবেক লিড প্রকিউরমেন্ট স্পেশালিস্ট ড. জাফরুল ইসলাম ‘গভর্নেন্স অ্যান্ড কম্পিটিটিভনেস ইন পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্র্যাকটিস:বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সেখানে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ক্রয় প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে স্বার্থের সংঘাত একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয়। তিনি বিপিপিএ’কে কোনো আইন বা নিয়ম প্রণয়নের আগে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করার আহ্বান জানান।

আইবিএফবি’র উপদেষ্টা ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মাদ আবদুল মজিদ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্পদ ও সময়ের অপচয় কমাতে আর্থিক বছরে সংস্কার আনার সুপারিশ করেন। তিনি স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি বিদ্যমান বৈষম্যমূলক কর কাঠামোর পরিবর্তে দেশি-বিদেশি কোম্পানির ওপর সমান কর আরোপের ওপর জোর দেন।

আইবিএফবির ভাইস প্রেসিডেন্ট এম এস সিদ্দিকী সরকারকে পাবলিক আমদানিসহ সব পর্যায়ে অভিন্ন কর আরোপের আহ্বান জানান। তিনি ক্রয় প্রক্রিয়ায় দীর্ঘমেয়াদে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রতিযোগিতামূলক হওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রির (বিএসিআই) উপদেষ্টা প্রকৌশলী এসএম খোরশেদ আলম পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ায় সর্বনিম্ন দরদাতাকে পুরস্কার দেওয়ার ধারা বাতিল করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিডের পরিমাণের পরিবর্তে ক্রয়ের সম্ভাব্য পুরস্কারপ্রাপ্তের ক্ষমতা বিবেচনা করা উচিত।


নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আবাসন প্রকল্পের উদ্যোগ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন শহরে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বিশেষ করে বস্তিবাসীদের জন্য আবাসন প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

এ লক্ষ্যে আজ সোমবার সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিববৃন্দ, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমানসহ মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বিভিন্ন দপ্তর, সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক গণপূর্তমন্ত্রী নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি ও তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে নির্দেশ দেন।

প্রকল্প বাস্তবায়নে মন্ত্রী পরিবেশ সুরক্ষা, প্রয়োজনীয় বনায়ন, উন্মুক্ত স্থান সংরক্ষণ, খেলার মাঠ, স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন, সৌরশক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার, পোড়ামাটির ইটের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট ব্যবহার, রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিংয়ের ব্যবস্থা, সারফেস ওয়াটার ব্যবহারের সর্বোচ্চ সুযোগ রাখার পরামর্শ দেন।

প্রাথমিকভাবে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের আওতায় টঙ্গীর দত্ত পাড়ায় তিনটি পর্যায়ে ১০০টি বহুতল ভবনে ১২ হাজার ৬০০টি ফ্ল্যাট নির্মাণের যে প্রস্তাবনা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে তা দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা দেন।

ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি (সম্ভাব্যতা যাচাই) সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে সতেরটি ১৫ তলা বিশিষ্ট ভবনে ২১৪২টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪৭টি ভবনে পাঁচ হাজার ৯২২টি ও তৃতীয় পর্যায়ে ৩৬টি ভবনে পাঁচ হাজার ৪৩৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণের প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মন্ত্রী রাজধানীর করাইল বস্তি ও টিঅ্যান্ডটি কলোনির বস্তিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও গণপূর্ত অধিদপ্তরকে পৃথক পৃথক প্রকল্পের মাধ্যমে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশনা দেন। ৭৫০ বর্গফুট গ্রস আয়তনের এসব ফ্ল্যাটের অভিন্ন ডিজাইন প্রণয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি প্রধান স্থপতিকে মৌখিক নির্দেশনা দেন।

রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি দেশের অন্যান্য শহরেও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে পর্যায়ক্রমে এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করা হবে বলে সভায় জানানো হয়।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন উত্তরা আবাসন প্রকল্পে (তৃতীয় পর্যায়) নিম্ন আয়ের মানুষের আবাসনের জন্য ১০ একর জমি নির্দিষ্ট রয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে উক্ত জমিতে নিম্ন আয়ের মানুষের আবাসনের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণে প্রকল্প প্রস্তাব তৈরির জন্য মন্ত্রী নির্দেশনা প্রদান করেন। প্রকল্প বাস্তবায়নে নিজস্ব অর্থায়নের পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার অর্থায়নও সম্ভব হলে গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

ইতোমধ্যে রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ বস্তিবাসীদের জন্য ৫৩৩টি ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করেছে। এসব ফ্ল্যাটে তারা স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে বসবাস করছে। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জের কোবদাস পাড়ায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের স্বল্প আয়ের মানুষের উন্নত জীবন ব্যবস্থা শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে জেলার নদী ভাঙন কবলিত, ভূমিহীন বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে। পরবর্তী প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে এসব প্রকল্পের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর জন্য মন্ত্রী পরামর্শ দেন। সরকারের এসব জনহিতকর কার্যক্রম সম্পর্কে সর্বসাধারণের মাঝে ইতিবাচক প্রচারের জন্যও তিনি পরামর্শ দেন।


‘গ্রিন এনার্জির প্রতি জোর দিতেই হবে, এর বিকল্প নেই’

রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ৬১তম কনভেনশনে ‘দ্য ইঞ্জিনিয়ার্স ফর ট্রান্সফর্মিং টেকনোলজি ড্রাইভেন স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে সমাপনী দিনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জবি প্রতিনিধি

এখনকার সময়ে গ্রীন এনার্জির প্রতি জোর দিতেই হবে, এর কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

আজ সোমবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ৬১তম কনভেনশনে ‘দ্য ইঞ্জিনিয়ার্স ফর ট্রান্সফর্মিং টেকনোলজি ড্রাইভেন স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এই কথা বলেন।

নসরুল হামিদ বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য স্মার্ট থিংকিং এর পাশাপাশি স্মার্ট রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে। জাম্প করে করে দ্রুতই এগিয়ে যেতে হবে। সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য প্রকৌশলীদের এগিয়ে আসতে হবে। প্রকৌশলীদের সিদ্ধান্তেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে নতুবা পিছিয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘পৃথিবী দ্রুতই পরিবর্তন হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়ছে সারা বিশ্বে। তাই এই সময়ে গ্রীন এনার্জির প্রতি জোর দিতেই হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।’

নসরুল হামিদ বলেন, ‘স্মার্ট থিংকিং দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সামান্য পরিবর্তন হলেই জীবন অনেক সুন্দর হয়ে যায়। আগামীর বাংলাদেশ টেকনোলজি নির্ভর তৈরি করতে প্রকৌশলীদের এগিয়ে আসতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশে ছিল কানেক্টিভিটি নির্ভর। স্মার্ট বাংলাদেশ হল স্মার্ট থিংকিং নির্ভর।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ মানেই জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও জ্ঞান ভিত্তিক সমস্যা সমাধানের জন্যই সরকার কাজ করে যাচ্ছে। স্মার্ট মিটার তথ্য প্রদান করে। স্মার্ট বাংলাদেশে যেতে চাইলে স্মার্ট সিদ্ধান্ত নিতে হয়। স্মার্ট মানেই এডভান্স চিন্তা করা। এআই দিয়ে আমরা এডভান্স চিন্তা করতে পারি। তবে স্মার্ট পাওয়ার সিস্টেম এবং স্মার্ট পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশনে আমরা এখনো পিছিয়ে। সেই পেছানো জাতিকে দ্রুতই অগ্রসর করতে হলে প্রকৌশলীরা আরও বেশি এগিয়ে আসতে হবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই স্মার্ট থিংকিং করতে পারতেন। সেই সময়ই তিনি জ্বালানি নিয়ে খনিজ সম্পদ আহরণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী এখনো অনেক খনিজ থেকে জ্বালানি সম্পদ আহরিত হচ্ছে।’

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর। তিনি বলেন, ৬১তম কনভেনশনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কম খরচে জনবান্ধব প্রকল্পের কথা বলেছেন। এই জাতীয় সেমিনারে এই বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রকৌশলীরা সব সময়ই কম খরচে জনবান্ধব আধুনিক প্রকল্প তৈরি করে। সরকারকে সার্বিক প্রকৌশল সেবা দিতে সর্বদা প্রস্তুত।’

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন শিবলু, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মঞ্জুর মোর্শেদ, ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার কাজী খায়রুল বাশার, সহকারী সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন, ইঞ্জিনিয়ার অমিত কুমার চক্রবর্তী, ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম হাজারী এবং ইঞ্জিনিয়ার রনক আহসান, ঢাকা সেন্টারের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হোসাইনসহ আইইবির বিভিন্ন বিভাগ, কেন্দ্র এবং উপকেন্দ্রের নেতৃবৃন্দ।


‘তৈরি পোশাকশিল্পের বাজার শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল নয়’

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে টালমাটাল বিশ্ব অর্থনীতি। আর এর প্রভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি কমেছে। তবে তৈরি পোশাকশিল্পের বাজার এখন শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল নয়। তাই কেউ বাংলাদেশের ওপর চোখ রাঙালেই হবে না বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।

আজ সোমবার তৈরি পোশাক মালিক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমলেও, শুধু ওই বাজারের ওপরই দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্যটি নির্ভরশীল নয়। যুদ্ধের কারণেই বিশ্ব অর্থনীতি টালমাটাল হয়ে পড়েছে। তৈরি পোশাকশিল্পের সমস্যাগুলো চিহ্নিত হয়েছে। কাজেই, যত দ্রুত সম্ভব এগুলোর সমাধান করতে হবে।’ পোশাক খাতকে শুধু বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্র হিসেবেই নয়, সমাজ পরিবর্তনেও ভূমিকা রাখছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানো ও কাস্টমস নিয়ে বড় অভিযোগ রয়েছে। এ সমস্যা বড় সমস্যা। আগামী মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়টি তোলা হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘পোশাক খাতকে এগিয়ে নিতে তার মন্ত্রণালয় বিজিএমইকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে।’

বৈঠকে বিজিএমইএর নতুন সভাপতি এস এম মান্নান কচি তৈরি পোশাক খাতের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন। তিনি এনবিআর ও কাস্টমসের বিরুদ্ধে নানা হয়রানির অভিযোগও করেন।

কচি বলেন, ‘বৈশ্বিক যুদ্ধ ও তেলের দাম বাড়ার কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে দেশের তৈরি পোশাক খাত। শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির কারণে গার্মেন্টসগুলোর ওপর চাপ বেড়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি করে ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য। সবচেয়ে বেশি গ্রিন ফ্যাক্টরি রয়েছে বাংলাদেশে, ২১৫টি। করোনাভাইরাস মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে তৈরি পোশাক খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই খাতে ৪০ লাখ শ্রমিক কর্মরত। তবে যুদ্ধ ও তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত। বৈঠকে উঠে আসা সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী।

বিষয়:

বজ্রপাত নিরোধ যন্ত্র স্থাপনে সহায়তা করতে চায় ফ্রান্স

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপে। ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশে বজ্রপাত প্রতিরোধে প্রযুক্তি জ্ঞান বিনিময়, বজ্রপাত নিরোধ যন্ত্র স্থাপন, অবকাঠামো নির্মাণ ও প্রশিক্ষণ প্রদানে সহায়তা করতে চায় ফ্রান্স।

সোমবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমানের সঙ্গে তার অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপে সাক্ষাৎ করতে গেলে তাৎক্ষণিক এক অনানুষ্ঠানিক বেঠকে রাষ্ট্রদূত এ আগ্রহ ব্যক্ত করেন। খবর বাসসের

এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী জানান, বজ্র নিরোধক যন্ত্র স্থাপন করাসহ এ বিষয়ে ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তুলতে কার্যকর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

বর্তমান সরকার আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বজ্রপাতে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি কমাতে কাজ করছে- উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্প্রতি বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায়, এ বিষয়ে জনসচেতনতাও বাড়াতে হবে।

মহিববুর রহমান জানান, বজ্র নিরোধক প্রযুক্তি সুলভ ও ব্যাপকভিত্তিক করতে গবেষণা এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গে প্রযুক্তি বিনিময় ও হস্তান্তরের ব্যাপারেও পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।


মাঝ রাস্তায় যাত্রী তুললেই মামলা দেবে ট্রাফিক পুলিশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর যানজট নিরসনে এবার চালু হলো আন্তজেলা বাসের গেটলক সিস্টেম। যেসব বাস গেটলক সিস্টেম না মেনে যত্রতত্র যাত্রী তুলবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেবে ট্রাফিক পুলিশ।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, এই সিস্টেমের মাধ্যমে নির্দিষ্ট এলাকা পর্যন্ত আন্তজেলা বাসগুলো রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী নিতে পারবে না। ফলে যানজট অনেকটাই নিরসন হবে। ভবিষ্যতে এই সিস্টেম মহাখালী থেকে উত্তরা পর্যন্ত বৃদ্ধি করার পরামর্শও দিয়েছেন তারা।

গুলশান ট্রাফিক বিভাগ বলছে, গেটলক চেকিং সিস্টেমে টার্মিনাল থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে বাস গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়ার পর নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া আর কোথাও দাঁড়াতে পারবে না। টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে কাকলী, কুর্মিটোলা, খিলক্ষেত ও সর্বশেষ আবদুল্লাহপুর থেকে যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে চলে যাবে। যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মহাখালী থেকে বাস ছাড়ার আগে যাত্রীদের তালিকা, চালকের নাম, গাড়ির নম্বরসহ একটি প্রস্থানপত্র দেওয়া হচ্ছে। বাস কাকলীতে যাওয়ার পর পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে, তালিকা অনুযায়ী যাত্রী আছে কি না। বিষয়টি কঠোরভাবে নজরদারি করছে ট্রাফিক পুলিশ। পাশাপাশি পরিবহন-সংশ্লিষ্টরাও বিষয়টির দেখভাল করছেন।

মহাখালী বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কালাম বলেন, আমরা লক্ষ করেছি মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাওয়া সব বাস বনানী পর্যন্ত যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা করায় যানজট তৈরি হয়। এ সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলছিল। সম্প্রতি আমরা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান ও গুলশান ডিভিশনের ট্রাফিকের উপ-কমিশনার আব্দুল মোমেনসহ শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করি। এতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে মহাখালী থেকে ছেড়ে যাওয়া কোনো গাড়ি বনানী পর্যন্ত কোনো যাত্রী ওঠাবে না। এর মাধ্যমে এই এলাকায় যানজট নিরসন হবে। মহাখালী থেকে ছেড়ে যাওয়া গাড়িগুলোতে যাত্রীদের তালিকা, ড্রাইভারের নাম ও গাড়ির নম্বরসহ একটি ‘প্রস্থান পত্র’ দেওয়া হবে। পরে বনানীতে আমাদের সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্তরা সেখানে দেখবেন যে যাত্রীর সংখ্যা সঠিক আছে কি না।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, ঢাকার যানজট শুধু মহাখালীর জন্য হয় না, একটু লক্ষ করে দেখুন মহাখালীতে প্রবেশের মুখে কাঁচাবাজারের সামনে রাস্তা দখল করে কাপড়ের মার্কেট, আইসিডিডিআর’বির সামনে ফুটপাতে চায়ের দোকান- এগুলোও প্রশাসনের নজরে আসতে হবে। আমরা আমাদের নিজেদের এলাকা যানজটমুক্ত রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। তাই আন্তনগর বাসগুলো যাতে বনানী পর্যন্ত যাত্রী না নিতে পারে সেটার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। উত্তরায়ও আন্তনগর বাসগুলো ব্যাপক পরিমাণ যানজট তৈরি করে। আমরা ভবিষ্যতে উত্তরা ট্রাফিক পুলিশের ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করব।

বিভিন্ন আন্তনগর বাসের চালকরা জানান, গেটলক সিস্টেম চালু হওয়ায় তাদের সুবিধা হয়েছে। যত্রতত্র যাত্রী ওঠালে অন্য যাত্রীদের কথা শুনতে হয়, রাস্তায় যানজটের কবলে পড়তে হয়, পাশাপাশি প্রশাসনের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। এখন বাস টার্মিনাল থেকে যাত্রী উঠবে। আমাদের দেখভাল করার জন্য শ্রমিক সংগঠনের লোকজন থাকবে। গেটলক সিস্টেম চালু হওয়ায় সুফল পাবেন কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের যাত্রীরা। তারা বলছেন এই সিস্টেম চালু হওয়ায় যাত্রাপথে ভ্রমণে কোনো অসুবিধা থাকবে না।


‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সমাজের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে’

ব্লু স্কাই স্কুলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী (এমপি) বলেছেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সমাজের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে। অটিজম একটি বিশেষায়িত বিষয়। সমাজের সকলকে এ বিষয়ে সচেতন করতে যথাযথ প্রচারণা চালাতে হবে।

আজ সোমবার বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের স্কুল ‘ব্লু স্কাই’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্পিকার এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানে শিশুদের অধিকার সংরক্ষণ করেছেন। বঙ্গবন্ধু শিশুদের কল্যাণে বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের জন্য সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করে চলেছেন এবং তিনি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের কল্যাণে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড গ্রহণ করেছেন। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন প্রতিটি শিশুকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের উন্নয়নে কাজ করে যেতে হবে। তাদের প্রতিভা ও মেধাকে বিকশিত করার সুযোগ করে দিতে হবে। সমাজের সকলকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু ও তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে।

তিনি আরও বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক মানবিক সমাজ গঠনে সকলকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। এ সময় তিনি অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে কাজ করার জন্য সায়েমা ওয়াজেদ পুতুলকে এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য স্কুল নির্মাণের জন্য বিমানবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান এবং ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) আবু জাফর চৌধুরীসহ বাফওয়া কেন্দ্রীয় পরিষদের সভানেত্রী তাহমিদা হান্নান।

বিষয়:

banner close