শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪

ঝিমিয়ে থাকা দুদকের রাঘববোয়াল শিকারের চিন্তা

আপডেটেড
৩১ মে, ২০২৩ ১৬:৩০
মোর্শেদ নোমান
প্রকাশিত
মোর্শেদ নোমান
প্রকাশিত : ৩১ মে, ২০২৩ ১৪:১৫

কয়েক বছর অনেকটা ঝিমিয়ে থাকার পর ফের সক্রিয় হচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাঘববোয়াল হিসেবে পরিচিত বড় দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমে বড় ঝাঁকুনি দিতে চায় সংস্থাটি। সেজন্য কৌশল নির্ধারণের পাশাপাশি অভিযানের কাঠামোও চূড়ান্ত করেছে সংস্থাটি।

দুর্নীতি ঠেকাতে ও রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে গত সোমবার উচ্চপর্যায়ের স্ট্রাইকিং ফোর্স গঠন করার কথা জানিয়েছে দুদক। এই স্ট্রাইকিং ফোর্স দুর্নীতিবাজদের তাৎক্ষণিকভাবে আইনের আওতায় আনতে কাজ করবে।

দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘ডাইরেক্ট অ্যাকশন বলে একটি কথা আছে। স্ট্রাইকিং ফোর্সের মাধ্যমে সেই রকম একটি সেন্স তৈরি করতে চাচ্ছি। দুর্নীতি হলে সেখানে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে দুর্নীতিবাজদের ধরতে এবং আইনি-প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ব্যবস্থা নেবে।’

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স নামটা আকর্ষণীয় ও আগ্রহজাগানিয়া। কিন্তু সত্যিকার অর্থে বড় দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনতে না পারলে এটা নামসর্বস্ব বিষয় হিসেবেই থেকে যাবে। এখন এই ফোর্সের ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ড দেখার অপেক্ষায় থাকা ছাড়া উপায় নেই।’

দুদক সূত্র জানায়, স্ট্রাইকিং ফোর্সের কমিশনের রুটিন বা দৈনন্দিন কার্যক্রমের বাইরে থাকবেন। তারা শুধু বিশেষ বা বড় ধরনের দুর্নীতির অনুসন্ধানের তথ্য সংগ্রহের কাজ করবেন। অর্থ পাচারে জড়িতদের বিষয়ে গোপনে তথ্য সংগ্রহ করবেন।

এ ছাড়া তাদের নজরদারি থাকবে জনগুরুত্বপূর্ণ, বহুল আলোচিত এবং স্পর্শকাতর দুর্নীতির ঘটনা। সরকারি দপ্তরে এবং সংশ্লিষ্টদের মধ্যে অনৈতিক লেনদেনের ঘটনা হাতেনাতে ধরতে ছদ্মবেশে কাজ করবেন স্ট্রাইকিং ফোর্সের সদস্যরা।

দুদক সূত্র জানায়, এবারের স্ট্রাইকিং ফোর্সের ধরন এক-এগারোর সময় গঠন করা টাস্কফোর্সের মতো। তবে ওই টাস্কফোর্সের কাজ নিয়ে সমালোচনাও ছিল।

২০০৪ সালে ব্যুরো থেকে কমিশন হিসেবে যাত্রা করার পর এক-এগারোর সময়ই দুদকের অভিযান ব্যাপক আলোচনায় আসে। এরপর গোলাম রহমানের নেতৃত্বাধীন কমিশন প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি ধরতে কয়েকটি বিশেষ দল গঠন করার উদ্যোগ নেয়। ইকবাল মাহমুদ কমিশন ১১টি প্রাতিষ্ঠানিক দল গঠন করে। দলগুলো তিতাস, ওয়াসা, ডেসা, বিটিসিএল, রাজউক, ডাক বিভাগ, সিভিল এভিয়েশন ও বিমান, বিআরটিএ, বিআইডব্লিউটিএ, বিআরটিসি, সিটি করপোরেশন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাত, স্থানীয় সরকার বিভাগসহ ২৫টি দপ্তরে দুর্নীতির বিষয়ে সরেজমিন অনুসন্ধান করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করে। সেসব প্রতিবেদন ওই সব দপ্তরে জমা দেয়া হলেও সেগুলো সেভাবে গুরুত্ব পায়নি।

ইকবাল মাহমুদের আমলে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি প্রতিরোধে ওই সব দল গঠনের পাশাপাশি গ্রেপ্তার অভিযানে ব্যাপক গুরুত্ব দেয়া হয়। ওই সময় দুর্নীতিবাজদের বড় ঝাঁকুনি দিতে সক্ষম হয় সংস্থাটি। গ্রেপ্তার আতঙ্কে অনেকটাই দিশাহারা ছিল দুর্নীতিবাজরা।

ইকবাল মাহমুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন তাদের পাঁচ বছরের মেয়াদকালে গ্রেপ্তার করেছে সাড়ে সাত শতাধিক অভিযুক্তকে। ১০০টির বেশি ফাঁদ পরিচালনা করে ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে শতাধিক ব্যক্তিকে। ক্যাসিনোবিরোধী শুদ্ধি অভিযানও পরিচালিত হয় ওই মেয়াদে।

২০২১ সালে মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আব্দুল্লার নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নেয়ার পর ইকবাল মাহমুদ কমিশনের আমলে নেয়া গ্রেপ্তার অভিযানের গতি একেবারেই থেমে যায়। অবশ্য ইকবাল মাহমুদ কমিশনের মেয়াদের শেষ বছর ছিল করোনার সংক্রমণের বছর। করোনা মহামারির প্রথম বছরের শেষে ২০২১ সালের মার্চে দায়িত্ব নেয় মঈনউদ্দিন আব্দুল্লার নেতৃত্বাধীন কমিশন। তাদের দায়িত্ব নেয়ার পর বড় একটি সময় গেছে মহামারির ভেতরে। কমিশন অনেকটা গুছিয়ে উঠে ফের সক্রিয় হয়ে উঠছে।

দুদকের উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্র জানায়, উচ্চপর্যায়ের দুর্নীতি ধরতে ও ঠেকাতে কমিশন নীতিগতভাবে একমত। তারই ধারাবাহিকতায় রাঘববোয়ালদের ধরতে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান জোরদারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গত ১৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত কমিশনের সভায় সিদ্ধান্ত হয়, দুর্নীতিবাজদের তাৎক্ষণিক আইনের আওতায় আনার জন্য কমিশনে সার্বক্ষণিক স্ট্রাইকিং ফোর্স প্রস্তুত রাখা দরকার। কমিশনের বিশেষ তদন্ত বিভাগের অধীন দক্ষ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি বিশেষ টিম এ লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ে কাজ করবে। ওই টিমের কর্মকর্তাদের সাধারণ অনুসন্ধান ও তদন্ত কাজে নিয়োজিত রাখা হবে না।

বর্তমান কমিশন যে স্ট্রাইকিং ফোর্স গঠন করেছে তাতে নেয়া হয়েছে দুদকের চৌকস কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিতদের। ফোর্সের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সংস্থার গোয়েন্দা শাখার পরিচালক আব্দুল্লা আল জাহিদ। মানি লন্ডারিং শাখার পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরীকে দেয়া হয়েছে স্ট্রাইকিং ফোর্সের সমন্বয়কের দায়িত্ব। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন উপপরিচালক ফারুক আহমেদ (বিমা ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান) উপপরিচালক সেলিনা আখতার মনি (বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত-৩), উপপরিচালক নাজমুল হোসাইন (মানি লন্ডারিং), উপপরিচালক মো. তানজির হাসিব সরকার, সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামূল আহসান গাজী (বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত শাখা-২) এবং সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নূর আলম সিদ্দিকী (মানি লন্ডারিং)। দুদক জানিয়েছে, প্রয়োজনে স্ট্রাইকিং ফোর্স আরও কর্মকর্তাকে নিজেদের দলে যুক্ত করতে পারবে।

দুদকের একাধিক সূত্র জানায়, সংস্থার গোয়েন্দা শাখার প্রধানের নেতৃত্বে স্ট্রাইকিং ফোর্সটি গঠন হওয়ার কারণে তারা দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে সক্ষম হবেন। গোয়েন্দা শাখা ও দুদকের তথ্য-প্রযুক্তি শাখার হাতে থাকা আধুনিক প্রযুক্তির গোয়েন্দা নজরদারি সরঞ্জাম ব্যবহার করা হবে দুর্নীতিবাজদের ধরতে। পাশাপাশি নানা উৎস থেকে তথ্য নেয়া হবে।

দুদক সূত্র বলছে, স্ট্রাইকিং ফোর্সের সদস্যরা দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি বড় দুর্নীতিবাজদের ধরতে তৎপর থাকবে। প্রয়োজনে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার করবে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান মনে করেন, দুদকের বর্তমান নেতৃত্ব অনেকটাই রক্ষণশীল। তারা যেন একটি বৃত্তের মধ্যেই আছে। টাস্কফোর্স হোক, আর স্ট্রাইকিং ফোর্স হোক, যেকোনোভাবেই কমিশনকে তার স্বআরোপিত সীমারেখা থেকে বের হতে হবে, যে সীমারেখার কারণে তার পক্ষে প্রভাবশালী মহলের দুর্নীতির ক্ষেত্রে কার্যকর জবাবদিহিমূলক পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। আইনের চোখে সবাই সমান- এই ভিত্তি থেকে ব্যক্তির পরিচয় বা অবস্থান দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে কমিশন কাজ করবে, এটিই তার আইনগত বাধ্যবাধকতা এবং জনগণের প্রত্যাশা।

নতুন এই স্ট্রাইকিং ফোর্স রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার হতে পারে বলে নানা মহল থেকে আশঙ্কার কথা শোনা যাচ্ছে। এটাও দূর করতে পারে কমিশন। ব্যক্তির রাজনৈতিক পরিচয় ও অবস্থানের ঊর্ধ্বে উঠে দুর্নীতি বিবেচনায় কমিশন ব্যবস্থা নিলে তাদের পদক্ষেপের সুফল পাওয়া যাবে।

বিষয়:

আপৎকালীন খাদ্য মজুত থাকলে রিজার্ভ নিয়ে কোনো চিন্তা নেই

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আপৎকালীন সময়ের খাদ্য মজুত থাকলে রিজার্ভ নিয়ে চিন্তার কোনো বিষয় নেই। রিজার্ভ বলতে বলতে মানুষকে এত সচেতন করে দিয়েছি, সবাই রিজার্ভ নিয়ে কথা বলে, জিডিপি নিয়ে কথা বলে, এটা ভালো লক্ষণ। এখন মুদ্রাস্ফীতি কমাতে পারলে মানুষের স্বস্তি হতো। উৎপাদন যথেষ্ট হচ্ছে। কোনো অভাব নেই।

আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ১৪ দলীয় জোটের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

মুদ্রাস্ফীতি এখন সমস্যা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা শুধু বাংলাদেশ নয়, আমেরিকার অর্থনৈতিক রিপোর্ট দেখলাম সেখানেও মুদ্রাস্ফীতি বিরাট সমস্যা। অনেক দেশের রিজার্ভ কমে যাচ্ছে, আমাদেরও। কারণ করোনার সময় ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ, আমদানি-রপ্তানি সব বন্ধ ছিল। তখন বাইরে থেকে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারেনি, তাই টাকাটা ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে, তাই আমাদের রিজার্ভটা বেড়ে গিয়েছিল। তারপর যখন সবকিছু চালু হলো তখন খরচ, খরচ হবেই।

পণ্যের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা নিয়ে অনেক খেলা হয়। আজ দেখলাম যেখানে আলু রাখে সেখানে ডিম রাখছে। আলুর কোল্ড স্টোরেজে ডিম রাখার কথা না। এ রকম ঘটনা বাংলাদেশে ঘটছে।

দেশের অর্জন ধরে রেখে সামনের দিকে এগোতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশটাকে গড়ে তুলতে হবে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা না নিলে দেশটাকে আগাতে পারব না। এখানে যে বাধাগুলো আসে, মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা আমাদের বিরোধী ছিল, এখনো তারা একটুও বদলায়নি। এটা হচ্ছে বাস্তবতা এটা মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হবে।

এ সময় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের একটি অংশ নিয়ে পূর্ব তিমুরের মতো খ্রিষ্টান দেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া বাংলাদেশে এয়ার বেজ বানানোর জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে কোন দেশ এই প্রস্তাব দিয়েছে, সেটি উল্লেখ করেননি প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার যুদ্ধ ঘরে-বাইরে সব জায়গায়। ওই অবস্থায় আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে ছেড়ে দিলাম। চক্রান্ত এখনো আছে। পূর্ব তিমুরের মতো বাংলাদেশের একটি অংশ নিয়ে... তারপরে চট্টগ্রাম, মিয়ানমার এখানে একটা খ্রিষ্টান দেশ বানাবে, বঙ্গোপসাগরে একটা ঘাঁটি করবে। তার কারণ বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরে প্রাচীনকাল থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য চলে। এ জায়গাটার ওপর অনেকেরই নজর। সেটা আমি হতে দিচ্ছি না। এটাও আমার একটা অপরাধ।

বিএনপি দেশে নির্বাচন হতে না দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে দেবে (নির্বাচন হতে দেবে), আমার ক্ষমতায় আসতেও অসুবিধা হবে না। যদি আমি বাংলাদেশে কারও এয়ার বেজ করতে দেই, ঘাঁটি করতে দেই তাহলে আমার কোনো অসুবিধা নেই। কোনো এক সাদা চামড়ারই প্রস্তাব। আমি একই জবাব দিয়েছি। আমি স্পষ্ট বলেছি, আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে, আমরা যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছি, দেশের অংশ ভাড়া দিয়ে বা কারও হাতে তুলে দিয়ে আমি ক্ষমতায় যেতে চাই না, ক্ষমতার দরকার নেই। যদি জনগণ চায় ক্ষমতায় আসব, না হলে আসব না। এই কথাগুলো বললাম, কারণ সবার জানা উচিত।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এখানে এয়ার বেজ করে কার ওপর হামলা করবে? যদি একটা দেশকে দেখানো হয়, সেটা তো না। আমি জানি আরও কোথায় যাবে। যে কারণে আমাদের সব সময় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে, আরও হবে। কিন্তু এটা পাত্তা দেই না, সোজা কথা। দেশের মানুষ আমাদের শক্তি, মানুষ যদি ঠিক থাকে আমরা আছি।

বাংলাদেশের উন্নতি কারও পছন্দ হচ্ছে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যে খাদ্য উৎপাদন করি, খোদ এক বড় দেশ বলে ফেলল, এত খাদ্য উৎপাদনের দরকার কী? আমাদের তো যথেষ্ট আছে, আমরা তো দিতে পারি। আমি বললাম হ্যাঁ, ওই আশায় আমি বসে থাকব! আমরা বলেছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বলে গিয়েছেন, নিজের মাটি-মানুষ দিয়ে দেশ গড়ব। আমরা সেটাই করব। নিজেদের মানুষের খাবার এখানেই যতটুকু পারি উৎপাদন করে খাদ্য নিরাপত্তা দেব। আমরা দিয়েছিও সেটা। এই ধরনের কথা আছে।

সরকারপ্রধান বলেন, ৪৪ টেলিভিশনের মধ্যে প্রায় ৩৪টি চালু আছে। সবাই কথা বলে, টকশোতেও কথা বলে, সারা দিন সমালোচনা করে, এতগুলো সংবাদপত্র, এত কথা বলার পরে, সব কথার শেষ কথা, কথা বলতে দেওয়া হয় না। টেলিভিশনে সবাই যখন এইভাবে কথা বলে আমরা তো গলা টিপে ধরি না। কেউ বাধা দেয় না। যার যা খুশি বলে যাচ্ছে। তা সত্য-মিথ্যা যা হোক।

শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে যে যার মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে সমালোচনা, মিথ্যা, অপবাদ। আর ভবিষ্যতে সমস্যা যেটা হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন করা, সেটা করা হচ্ছে। নজরদারিতে আনার জন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। শুধু আমরা না, উন্নত দেশগুলোও এ ব্যাপারে চিন্তিত। এআই মোকাবিলা করার প্রক্রিয়া খুঁজে দেখা হচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১০ লাখের ওপরে মিয়ানমারের বস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। সেখানে খুবই খারাপ অবস্থা। এরা কবে যে ফেরত যাবে তার কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই। আর প্রতিদিনই তাদের বাচ্চা হচ্ছে, সংখ্যা তাদের বেড়েই যাচ্ছে।

১৪ দলীয় নেতাদের উদ্দেশ শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের মতামত শুনব, আলোচনা করব। ভবিষ্যতে আমরা কীভাবে এগোতে পারি এটাই আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি ছাড়া দেশের মানুষের কোনো কল্যাণ হবে না। গ্রেনেড হামলাকারী, দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারি, দুর্নীতিবাজ যদি বিদেশের মাটিতে রোজই আন্দোলন, সরকার উৎখাতের নানা রকম হুমকি-ধমকি দেয়, যতক্ষণ জনগণ সঙ্গে আছে ততক্ষণ ওইটা কেয়ার করি না।

শেখ হাসিনা বলেন, তারপরও দেশে জ্বালাও-পোড়াও অগ্নিসংযোগ যেন না করতে পারে, যারা করবে তাদের ছাড় নেই। যতই মুরব্বি ধরুক, যাকে ধরুক এদের আমরা ছাড়ব না। মানুষের ক্ষতি যারা করবে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে, আর কেউ যাতে পিছিয়ে না নিতে পারে... আর পারবেও না। কারণ জনগণই আমাদের শক্তি।


১২০ কিলোমিটার গতিতে আঘাত হানতে পারে ‘রেমাল’

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ২৪ মে, ২০২৪ ১০:২৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি আগামীকাল শনিবার (২৫ মে) ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর। পরের দিন রোববার সন্ধ্যায় ‘রেমাল’নাম নিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। ওই সময় ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার।

ভারতের আবহাওয়া দপ্তর গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বশেষ বুলেটিনে এসব তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি জানায়, ‘বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পূর্ব ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্যাঞ্চলের নিম্নচাপটি উত্তর-পূর্ব দিকে সরে গিয়েছে এবং বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ ও পশ্চিম-মধ্যাঞ্চলে অবস্থান করেছে। কাল এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।’

ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানা শুরু করতে পারে রোববার (২৬ মে) বিকেল ৫টা ৩০ মিনিট থেকে সোমবার (২৭ মে) রাত ২টা ৩০ মিনিটের মধ্যে।এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ আরও শক্তিশালী হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও শক্তিশালী হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে গভীর সাগরে বিচরণ করা জেলেদের নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলেছে সংস্থাটি।

গতকাল এক সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় আবহাওয়া অধিদপ্তর এ কথা জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপ সামান্য উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে সতর্কবার্তায়।

প্রাকৃতিক নানান কারণে সমুদ্রের কোনো কোনো স্থানে কেন্দ্রাভিমুখী ঝোড়ো হাওয়ার অঞ্চল বা লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। ক্রমান্বয়ে এ ঝোড়ো হাওয়ার অঞ্চলটি শক্তি সঞ্চয় করে (বাতাসের গতি বৃদ্ধি পেয়ে) সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ ও শেষে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সুস্পষ্ট লঘুচাপ হচ্ছে ঘণ্টায় ৩১ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগের ঝোড়ো হওয়ার অঞ্চল। নিম্নচাপ হচ্ছে একটি ঝোড়ো হাওয়ার অঞ্চল, যেখানে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪১ থেকে ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে। গভীর নিম্নচাপের ক্ষেত্রে বাতাসের গতিবেগ ৫১ থেকে ৬১ কিলোমিটারের মধ্যে থাকে।

কোনো ঝোড়ো হাওয়ার অঞ্চলে বাতাসের গতিবেগ ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটারের মধ্যে হলে তাকে বলে ঘূর্ণিঝড়।

'রেমাল' একটি আরবি শব্দ। যার বাংলা অর্থ বালু। নামটি দিয়েছে ওমান। বঙ্গোপসাগরে যেসব ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হবে সেগুলোর নাম আগে থেকেই ঠিক করা থাকে।

২০২০ সালে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয়। সেখান থেকেই এবারের ঘূর্ণিঝড়টির নাম নেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘূর্ণিঝড়ের ঘোষণা দেওয়া হয়নি। যখন এই ঘোষণা আসবে তখনই বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এ নিম্নচাপটিকে ‍ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ হিসেবে অভিহিত করা হবে।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) অধীন জাতিসংঘের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের ১৩ দেশের (বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, সৌদি আরব ও ইয়েমেন) আবহাওয়াবিদদের সংস্থা এস্কেপ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়ে থাকে।

সাগরের সুস্পষ্ট লঘুচাপ থাকলেও দেশব্যাপী তীব্র গরম বিরাজ করছে। বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে বইছে তাপপ্রবাহ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকাসহ দেশের ১৫ জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে সর্বনিম্ন ১ থেকে সর্বোচ্চ ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বেড়েছে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ঈশ্বরদী ও রাঙামাটিতে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বিকেলে রাজধানী ও আশপাশের এলাকাজুড়ে প্রায় ঘণ্টা খানেক অঝোরে বৃষ্টিপাত হয়। এতে ভ্যাপসা গরম কেটে যাওয়ায় স্বস্তিবোধ করেন রাজধানীবাসী। তবে বৃষ্টিতে শহরের প্রধান সড়কের কোথাও কোথাও পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ শুক্রবার থেকে সুস্পষ্ট লঘুচাপের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি বাড়তে পারে।


পাটের হারানো গৌরব ফেরাতে সারা দেশে ছুটে বেড়াচ্ছি: জাহাঙ্গীর কবির নানক

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘কেন, কীভাবে পাটের ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে আমরা সেটি হিসাব করতে চাই না। পাটের হারানো গৌরব ফেরাতে সারা দেশে ছুটে বেড়াচ্ছি। দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম খাত তৈরি পোশাক। প্রধানমন্ত্রী চান পাটশিল্পকে অন্যতম রপ্তানি খাতে পরিণত করা। এ লক্ষ্যে আমরা পাট পণ্যের মেলা করছি, অপরদিকে ভালো পাট, ভালো বীজ উৎপাদন কীভাবে করা যায় তা নিয়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করছি।’ রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে আজ বৃহস্পতিবার তিন দিনব্যাপী বহুমুখী পাটপণ্য মেলার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পাটমন্ত্রী।

নানক বলেন, ‘কোনো বিশ্ব মোড়ল কিংবা বিশেষ দেশের ওপর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বাজার নির্ভরশীল নেই। বিজিএমইএ আজ সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বাজার সৃষ্টি করেছে। যা এরই মধ্যে বিশাল বাজারে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা পাট ও চামড়াজাত শিল্পকে সেই জায়গায় নিয়ে যেতে চাই।’

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের নারী-পুরুষ, তরুণরা সবাই আজ পাটপণ্যের দিকে মনোনিবেশ করেছে। একসময় পোশাক শিল্পও ছোট্ট ছিল। আজ সেটি দেশের প্রধান রপ্তানি খাতে পরিণত হয়েছে। আজকের উদ্যোক্তারা একদিন পাটপণ্যকে দেশের প্রধান রপ্তানি খাতে পরিণত করবে বলে আশা করছি। এ লক্ষ্যে নানা সহযোগিতা দিয়ে যাবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সরকারের মন্ত্রণালয়গুলোকে অনুরোধ করেছি যেন বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাটপণ্যের ব্যবহার চালু করে। প্রধানমন্ত্রী পাট দিবসে ৬টি বন্ধ থাকা পাটকল চালু করেছেন। অবশিষ্ট বন্ধ থাকা পাটকলগুলো চালু করতে তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। আমরা পরিকল্পনা ও রুটিন মাফিক এগিয়ে যাচ্ছি। বহুমুখী পাটপণ্য মেলায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাটজাত পণ্যের ৩৫টি স্টল রয়েছে।’

এর আগে রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে পাট খাত-সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন পাটমন্ত্রী।

এতে বক্তব্য দেন রংপুর-১ আসনের এমপি আসাদুজ্জামান বাবলু, রংপুর-৫ আসনের এমপি জাকির হোসেন সরকার, সংরক্ষিত মহিলা এমপি নাছিমা জামান ববি, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুর রউফ, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জিনাত আরা, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়াসহ অন্যরা।


নদী দখল-দূষণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মেয়াদোত্তীর্ণ নৌপরিবহন এবং অতি মুনাফালোভী মালিকদের অতিরিক্ত যাত্রী বহনই নৌ-দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। সেই সঙ্গে বালু-খেকো, নদী-খেকোসহ যারা শিল্প-কারখানার বর্জ্য ক্যামিকেল পদার্থ নদীতে ঢেলে দেয় তারা দেশ ও সমাজের শত্রু, তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নদী ও পরিবেশ রক্ষায় ব্রতী সংগঠন ‘নোঙর ট্রাস্ট’ আয়োজিত দেশের নৌপথে নিহত সব শহীদ স্মরণে ২৩ মে জাতীয় নদী দিবস ঘোষণার দাবি ও ঢাকা নদী সম্মেলন প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নদ-নদী দেশের প্রাণবাহী শিরা-উপশিরার ন্যায়, দেশের পরিবেশ-প্রকৃতি রক্ষায় নদীরক্ষার বিকল্প নেই। তাই নদীকে ভালোবাসুন, নদীরক্ষায় ব্রতী হোন।’

নদী দখলের তীব্র সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের প্রথম পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে ২০০২ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত এক দশক দায়িত্ব পালনকারী হাছান মাহমুদ বলেন, বিত্তের ক্ষমতা অনেক সময় পদের ক্ষমতাকেও নিয়ন্ত্রণ করে। বিত্তবান আবার নিজেদের সুবিধার জন্য মিডিয়া লালন করে। ক্ষমতাবানরা নদী দখল করে। বুড়িগঙ্গা নদীর দুপাশে পাড় বাঁধাই করা হয়েছে, ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। তবুও বুড়িগঙ্গা দখল হচ্ছে।

আঞ্চলিক নদী সহযোগিতা বিষয়েও আলোকপাত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘নদী রক্ষা এবং সুষম পানি বণ্টনে আরও সমন্বয়, প্রচেষ্টা ও আঞ্চলিক উদ্যোগ দরকার ছিল। সুষমভাবে পানি বণ্টন নিশ্চিত করার জন্য আঞ্চলিক পদক্ষেপ প্রয়োজন। একটি আঞ্চলিক সহযোগিতা দাঁড় করানো গেলে সবার উপকার হবে। আমাদের গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা বেসিন বা অববাহিকা নিয়ে একটি আঞ্চলিক সহযোগিতার ফোরাম খুব প্রয়োজন।’

নোঙর ট্রাস্ট চেয়ারম্যান সুমন শামসের সভাপতিত্বে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মো. আওলাদ হোসেন, দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, রিভারাইন পিপল সংগঠনের মহাসচিব শেখ রোকন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।

২০০৪ সালের ২৩ মে একই রাতে মেঘনা নদীতে এমভি লাইটিং সান, এমভি দিগন্ত ও এমভি মজলিশপুর তিন জাহাজডুবিতে ব্যাপক প্রাণহানি ও গত ৫৩ বছরে দেশে নৌ দুর্ঘটনায় সব নিহতের স্মরণে নদী ও নদী নিরাপত্তার শপথে ২৩ মে জাতীয় নদী দিবস ঘোষণার জন্য ‘নোঙর’ উত্থাপিত দীর্ঘদিনের দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানান। নোঙর ট্রাস্ট চেয়ারম্যান সুমন শামস জানান, ২০০৪ সালের ২৩ মে জাহাজডুবিতে তার মা আছিয়া খাতুন মেঘনার তলদেশে চিরনিদ্রিত। এ দিনটিকে ‘নোঙর’ জাতীয় নদী দিবস পালন অব্যাহত রাখবে।

এমপি আজিমের মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে বাংলাদেশ-ভারত

অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ভারতের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে দুই দেশ এক সঙ্গে কাজ করছে। মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মিশন পুরো বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। যেহেতু তদন্তাধীন বিষয়, তাই এ নিয়ে বেশি কিছু বলা সমীচীন নয়।’


'বঙ্গবন্ধু ছিলেন শান্তির অন্বেষণ ও সমন্বয়কারী'

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন শান্তির অন্বেষণ ও সমন্বয়কারী। অশান্ত বিশ্বে তিনি শান্তির কপোত উড়াতে চেয়েছিলেন।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু জুলি ও কুরি পদকপ্রাপ্তি উপলক্ষে সম্প্রীতি বাংলাদেশের আয়োজনে 'শান্তি ও সম্প্রীতির অগ্রদূত বঙ্গবন্ধু' শীর্ষক এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু আগেই বলেছেন ক্ষুধা নিরসন ছাড়া বিশ্বে শান্তি আসবে না। প্রথমে দারিদ্র্য দূর করতে হবে। আর এই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করতে হবে। বঙ্গবন্ধু নিজে দাঙ্গা দমন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর জুলি ও কুরি পদকে ভূষিত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতিসংঘসহ বৈশ্বিক নেতৃবৃন্দ আজ এসডিজি গোল বাস্তবায়নে প্ল্যানেট (পৃথিবী), পিপল (জনগণ) ও পিস (শান্তি) এই তিনটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়েছে। ফলে বঙ্গবন্ধুর শান্তি প্রতিষ্ঠার দর্শন এখনো প্রাসঙ্গিক। আমি মনে করি এই দর্শনই হবে তরুণ প্রজন্মের আগামী দিনের পথচলা শক্তি। বঙ্গবন্ধু সবাইকে একই সমতলে রেখে দেশের উন্নয়ন করতে চেয়েছেন। ফিনিক্স পাখির মত দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করেছেন। সাধারণ মানুষের ভাগ্য ফিরিয়ে দিতে চেয়েছেন।

সভার সভাপতিত্বে সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেসহ পুঁজিবাদী দেশগুলো আমাদের পাশে দাঁড়ায় নি। বঙ্গবন্ধু শান্তির যে কথাগুলো বলে গেছেন, প্রধানমন্ত্রী এখন তা বাস্তবায়ন করছেন। এগুলাও এখনো প্রাসঙ্গিক। রাশিয়া-ইউক্রেন ও ফিলিস্তিনের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই বিশ্বে এখনো অস্থিরতা বিরাজ করছে।

আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বঙ্গবন্ধু গবেষক মেজর (অব) মোহাম্মদ আফিজুর রহমান ও ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বলেন, যুদ্ধ হত্যা করে। তবে যুদ্ধের পর যদি ইতিহাস চর্চা না করাও হত্যার সামিল। তরুণরা যখন বলে, তোমরা কি মুক্তিযুদ্ধ করলে? বঙ্গবন্ধুকে বাঁচাতে পারলে না। তাহলে আমরা কি শিক্ষা দেব, আর কি শিক্ষা নেব?

বঙ্গবন্ধু গবেষক মেজর (অব) মোহাম্মদ আফিজুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিকভাবেই দেশ স্বাধীন করেছেন। যুদ্ধে যে ক্ষতি হয়, তা থেকে তিনি বিরত থাকতে চেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করেন এবং বাঙালি যখন আক্রমণের শিকার হয়, তখন তিনি যুদ্ধের ঘোষণা দেন।


দেশে ৮০ শতাংশ নৌ-শ্রমিক চর্ম ও অন্ত্রের রোগে আক্রান্ত: এসসিআরএফ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৩ মে, ২০২৪ ১৯:০২
ইউএনবি

লবণাক্ত ও অপরিশোধিত পানি ব্যবহারের কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলকারী নৌযানগুলোর ৮০ শতাংশ শ্রমিক-কর্মচারী চর্মরোগ ও পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন ধরনের জটিল আন্ত্রিক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে ঢাকার গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ)। তাদের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সংগঠনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে নৌ-শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যাত্রী ও পণ্যবাহী সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের নৌযানে পানি শোধনাগার স্থাপন বাধ্যতামূলক করার সুপারিশও করা হয়েছে।

বছরব্যাপী জরিপ ও অনুসন্ধান চালিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, জরিপকালে ১০ শ্রেণির নৌযানের শতাধিক শ্রমিক ছাড়াও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা হয়েছে।

এ সব নৌযানের মধ্যে রয়েছে যাত্রীবাহী লঞ্চ, পণ্যবাহী বিভিন্ন ধরনের জাহাজ, এস্কেভেটর (খননযন্ত্র), ড্রেজার (পলি অপসারণ যন্ত্র), ডাম্ববার্জ ও হাউসবোটসহ বিভিন্ন ধরনের নৌযান।

এসসিআরএফ জানায়, দেশের এক-পঞ্চমাংশ উপকূলীয় জনপদ। সেখানকার নদ-নদীর পানিতে প্রায় সারা বছর তীব্র লবণাক্ততা থাকে। এ ছাড়া দেশের প্রায় সব নদী মারাত্মক দূষণের শিকার। নৌ-শ্রমিকরা দিনের পর দিন নৌযানে থাকেন। কিন্তু সরকারি-বেসরকারি নৌযানগুলোতে কোনো পানি শোধনাগার নেই।

সরকার ও বেসকারি নৌযান মালিক কোনো কর্তৃপক্ষই বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করে না। স্বল্প বেতনভোগী নৌ-শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে সব কাজে নদীর পানি ব্যবহার করছেন। এতে তারা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এসসিআরএফের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দীর্ঘদিন নদীর লোনা ও দূষিত পানি ব্যবহারের কারণে চর্ম রোগসহ স্কিন ক্যানসার ও শ্বাসকষ্টজনিত নানা রোগ হতে পারে। লিভার সিরোসিস, রক্ত আমাশয়, আমাশয়, গ্যাস্ট্রিক আলসার ও নিয়মিত ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের জটিল আন্ত্রিক রোগ হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। এই সংকট দূর করতে অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলরত সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের নৌযানে পানি শোধনাগার স্থাপন বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করেছে সংগঠনটি।


গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনার কাজ করা হচ্ছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

ছবি: ইউএনবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সাংবাদিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনার কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত বিএসআরএফ বার্তার মোড়ক উন্মোচন ও মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয় নিয়ে আমি এরই মধ্যে কাজ করছি। বিষয়টি একটু জটিল। যে সংখ্যা নির্ণয় করার যে ফর্মুলাটা আছে তার মধ্যেও কিছু গলদ আছে, সেটিকেও ম্যানুপুলেট করা যায়। যদি বলি ফর্মুলা অলরেডি আছে সেটি দিয়ে সঠিক তালিকা করে ফেলব, এরমধ্যেও দেখা যাবে সঠিক হয়ত অনেক কিছু হবে না। কারণ পেছন দিকে ম্যানুপুলেশন সমস্যা। যে কারণে আমি ফর্মুলাটা নিয়ে কাজ করছি।

তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে ক্রোড়পত্র দেই তা কিন্তু ডিএফপির লিস্ট দেখে দিচ্ছি না। আমি কিন্তু একটি লিস্ট বানিয়েছি, বিশেষ সোর্সের মাধ্যমে। যেটি আমাকে মোটামুটি সঠিক একটি সার্কুলেশনের চিত্র দিয়েছে, তার ভিত্তিতে আমি এখন সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, কারা কত ক্রোড়পত্র পেয়েছে তা এক্সেল সিটের মাধ্যমে মেইন্টেইন করি। কাছাকাছি সার্কুলেশনের দুটি পত্রিকার মধ্যে একটি পত্রিকা কম পেলে পরে তা ব্যালেন্স করার চেষ্টা করি। আমি ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করি। ৬০-৭০ শতাংশ সিদ্ধান্ত সার্কুলেশনের ওপর ভিত্তি করে নেই। কারণ এখানে সরকারের স্বার্থ আছে, বেশিরভাগ মানুষের হাতে এটি আমি পৌঁছাতে চাই। কিছু পত্রিকা আছে সার্কুলেশনের চ্যালেঞ্জ আছে কিন্তু তার একটি ইতিহাস ঐতিহ্য আছে, কিছু পত্রিকা আছে সার্কুলেশনের চ্যালেঞ্জ থাকলেও সেখানে নামকরা সম্পাদক আছে, যার নিজের ইতিহাস-ঐতিহ্য ব্র্যান্ডিং আছে, এগুলোকে যাচাই বাছাই করে ব্যালেন্স করে ক্রোড়পত্র দিয়েছি, কোনো ব্যক্তির সুপারিশে ক্রোড়পত্র দেইনি। সুপারিশ করেছে নিয়েছি, দেখেছি, কিন্তু দিন শেষে আমার যে ফর্মুলা সেটি অ্যাপ্লাই করেছি।

ডিএফপিতে নতুন ডিজি নিয়োগ দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে আরাফাত বলেন, ‘যারা সার্কুলেশনের কাজ করে তাদের নিয়ে আমি বসব। ফর্মুলাকে একটি ফাইনটিউন করে একটি ফর্মুলা আনার যে সত্যিকার অর্থে সার্কুলেট, অর্থাৎ শুধু প্রিন্ট করলে হবে না, বিক্রিত নম্বরটা আমরা পাওয়ার পর ফর্মুলা বের করব, যেখানে ম্যানুপুলেশনের সুযোগ থাকবে না। আমার কাছে আসল লিস্টটা যাতে থাকে। সব জায়গায় আমি এক ধরনের স্বচ্ছতা ও অবজেকটিভিটি আনার চেষ্টা করছি। আপনারা সবার সামনে যে বিষয়টি বলবেন, আমাকে একা পেলেও সেই কথাটিই বলবেন।’

সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বেঁধে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটি নিয়ে এ মুহূর্তে আমি বলতে পারব না, আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এ মুহূর্তে আমি গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে কাজ করছি।’

গণমাধ্যমকর্মী আইন পাস হলে এটি মোটামুটি সবকিছু কাভার করে ফেলবে। কারণ এখানে অনলাইন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মোটামুটি সবকিছুই কাভার করবে। গণমাধ্যমের সমস্যাগুলোর সমাধান হবে বলে জানান তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, শ্রম আইনের অধীনে যত সুরক্ষা দেওয়া আছে সেগুলোকে রেখে বাকি বিষয়গুলো গণমাধ্যমকর্মী আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

সাংবাদিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনার কাজ করা হচ্ছে বলে জানান আরাফাত।

‘বিটিভিসহ তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ১৫টি ডিপার্টমেন্টের দিকেই তাকাব। সবগুলোর ভেতরে ঢুকব, শুধু ভেতরেই ঢুকব না একেবারে তলদেশ পর্যন্ত যাব। ভেতর থেকে আমার সাধ্যের মধ্যে, সামর্থ্যের মধ্যে যতটুকু পরিবর্তন-পরিবর্ধন, সংস্কার করার সুযোগ আছে সবগুলোই করব। তবে এটিকে আমি প্রায়োরিটি বেসিসে করব। সব জায়গায় কিছু না কিছু পরিবর্তন আপনারা দেখতে পাবেন’- বললেন প্রতিমন্ত্রী।

বিএসআরএফ সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।


এমপি আনারের হত্যাকারীরা প্রায় চিহ্নিত, শুধু ঘোষণা বাকি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনারের হত্যাকারীদের প্রায় চিহ্নিত করে ফেলা হয়েছে এবং শুধু ঘোষণা দেওয়া বাকি রয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা একমত হতে পারলে ঘোষণা দেওয়া হবে। মরদেহ এখনো উদ্ধার করা যায়নি। যে পর্যন্ত মরদেহ উদ্ধার করা যাবে, সে পর্যন্ত অফিসিয়ালি সাংবাদিকদের কিছু বলা যাচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত নতুন কিছু আমাদের কাছে আসেনি। আমাদের পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা এবং ভারতের পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা মিলে দুই দেশ থেকেই আমরা কাজ করছি, যাতে আরও কিছু তথ্য বেরিয়ে আসে।’

‘আমরা সুনিশ্চিত হয়েছি তাকে হত্যা করা হয়েছে। যারা হত্যা করেছেন, তাদের মুখ থেকে আমরা এসব শুনেছি। তবে মরদেহ এখনো উদ্ধার করতে পারিনি। আমরা মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা করে যাচ্ছি’- যোগ করে বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘তদন্ত মোটামুটি গুছিয়ে এনে আপনাদের জানাব। আমরা এখনো নতুন কোনো আপডেট এ মুহূর্তে দিতে পারছি না। আর কোনো সংবাদ আমরা পাইনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটুকু বলতে পারি, প্রায় আমরা প্রায় চিহ্নিত করেছি। কারা হত্যা করেছেন, তাদের প্রায় চিহ্নিত করে ফেলেছি। আমাদের শুধু ঘোষণাটা বাকি। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা একমত হতে পারলে ঘোষণাটা দেব।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মরদেহ এখনো উদ্ধার করতে পারিনি। আমরা কিছু শুনেছি, আপনারা যা শুনেছেন, আমরা সেগুলোই শুনেছি। মরদেহ উদ্ধার না করা পর্যন্ত অফিসিয়ালি আপনাদের কিছু বলতে পারছি না। এ বিষয়ে দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে।’

তিনি বলেন, ‘আনোয়ারুল আজিম, যিনি আমাদের ঝিনাইদহ-৪ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য। ওই বর্ডার (সীমান্ত) এলাকা সন্ত্রাসকবলিত। সে এলাকারই তিনি সংসদ সদস্য। কী কারণে হত্যাকাণ্ড হয়েছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত না হয়ে আমাদের কিছুই বলা ঠিক হবে না। আমরা আগে নিশ্চিত হই, তারপর আপনাদের বিস্তারিত জানাব।’

তিনি আরও বলেন, ‘একজন সংসদ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। প্রধানমন্ত্রীসহ সবাই গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন বিষয়টি। আশা করছি, খুব অল্প সময়ে আমরা আপনাদের কিছু জানাতে পারব।’


ঈদের আগে পরে ৭ দিন ফেরিতে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পারাপার বন্ধ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঈদুল আজহার আগের তিনদিন ও পরের তিনদিন এবং ঈদের দিনসহ মোট সাতদিন পশুবাহী ও পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ থাকবে। ঈদ উপলক্ষে নৌরুটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগামী ১৩ থেকে ২৩ জুন মোট ১১ দিন সব নৌরুটে বাল্কহেড চলাচলও বন্ধ থাকবে।

আজ বৃহস্পতিবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নৌপথে ফেরি, স্টিমার, লঞ্চসহ জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কর্মপন্থা গ্রহণ সংক্রান্ত বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সভায় সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠকে আগের মতোই কাজীর হাট, পাটুরিয়া ঘাটে ফেরির সংখ্যা বাড়ানোসহ কিছু রুটে লঞ্চের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলেও জানানো হয়।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, গতবার (ঈদুল ফিতর) ঈদযাত্রা নিরাপদ হয়েছে। সব পথে নিরাপদে যাত্রীরা বাড়ি ফিরতে পেরেছেন। পরিবারের সঙ্গে আনন্দময় ঈদ করেছেন। এবারো যাতে ঈদ আনন্দময় ও নিরাপদ হয়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাত্রীসহ নৌপথে কোরবানির পশু পরিবহন নিরাপদ করার জন্য সবাই একযোগে কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, যাত্রীসেবার ক্ষেত্রে সরকার আন্তরিক। দেশবিরোধী, আইনবিরোধী কিছু মানুষ নৌপথের ক্ষেত্রেও আছে। তারা বিশৃঙ্খলা তৈরি করে সরকারের বা আমাদের সংস্থাগুলোর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চায়। আমরা গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর সুপারিশ করেছি। আবহাওয়া অফিস থেকে জানিয়েছে যে, এবারের ঈদ মৌসুমে আবহাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। যারা যাত্রী পারাপার ও পণ্য পারাপার করবেন, তারা আবহাওয়া বার্তাগুলো সঠিকভাবে পালন করবেন।


এমপি আনার অপকর্মে জড়িত ছিলেন কিনা, তদন্তে বেরিয়ে আসবে: কাদের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের কলকাতায় নিহত বাংলাদেশি সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার কোনো অপকর্মে জড়িত ছিলেন কিনা, সেটি তদন্তের মাধ্যমে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এসময় জনপ্রিয়তার কারণে আনারকে নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল বলেও উল্লেখ করেন এবং দলে অপরাধীদের কোনো ঠাঁই নেই বলে জানান।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে নবগঠিত কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া উপ কমিটির সদস্যদের পরিচিতি সভায় এ কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতে নিহত ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি অপকর্মে জড়িত কিনা তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে কিছু বলতে পারছি না। আওয়ামী লীগে অপরাধীদের কোনো ঠাঁই নেই।

তিনি বলেন, আনারকে তৃতীয়বার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল তার জনপ্রিয়তার জন্য। এলাকায় গিয়ে দেখেন, এলাকার মানুষরা তার জন্য শোকার্ত। ভেতরে সে কোনো অপকর্ম করে কিনা এসব যখন প্রমাণ হয় তখন শেখ হাসিনা কাউকে ছাড় দেন না, দলের লোক হলেও।’

‘জিরো টলারেন্স নীতি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার। ভারতের গণমাধ্যমে এসেছে চোরাচালানের কথা। তার মৃত্যুর আগে দেশের কোনো সাংবাদিকের অনুসন্ধানে প্রতিবেদনে কেন বিষয়টা এলো না ‘- যোগ করে বললেন ওবায়দুল কাদের।

যুব ও ক্রীড়া উপকমিটির চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসেন পল্টুর সভাপতিত্বে পরিচিত সভায় উপস্থিত ছিলেন উপকমিটির কো চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ, যুব ও ক্রীড়া উপকমিটির সদস্য সচিব ও হুইপ মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজহার খান প্রমুখ।


লঘুচাপটি এখনও বঙ্গোপসাগরে, আরও ঘনীভূত হতে পারে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করা লঘুচাপটি বর্তমানে পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। যা আরও ঘনীভূত হতে পারে।

অধিদপ্তরের বুলেটিনে আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এছাড়া দেশের অন্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এদিকে, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, সিলেট, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, বান্দারবান, খুলনা, মোংলা, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, খেপুপাড়া এবং ভোলা এলাকার উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস বলেছে, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্প বেশি থাকার কারণে অস্বস্তিভাব বৃদ্ধি পেতে পারে।

গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় বগুড়ায়।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ৮০ মিলিলিটার রেকর্ড করা হয় বগুড়ায়।


ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’

২৬ মে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে
প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ২৩ মে, ২০২৪ ০৩:৩৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ তৈরি হয়েছে, যা ঘনীভূত হয়ে ধাপে ধাপে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিচ্ছে। ‘রেমাল’ নামের ঘূর্ণিঝড়টি আগামী ২৬ মে সরাসরি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে গতকাল বুধবার জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, বর্তমান প্রেডিকশন অনুযায়ী- ঘূর্ণিঝড়টির গতিপথ বাংলাদেশ, মিয়ানমার বা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা অঞ্চলের দিকেই। তবে এর গতিপথ ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন হচ্ছে। প্রতিনিয়ত গতিপথ পরিবর্তন করছে; রাতে একটা গতিপথ থাকছে, আবার সকালে আরেকটা। তাই লঘুচাপ থেকে নিম্নচাপে পরিণত না হওয়া পর্যন্ত এমনই থাকবে। নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না। তবে নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তখন গতিপথ স্থির হবে। সেই সময় স্পষ্টভাবে বলা যাবে, এটা কোনো এলাকায় বা স্থানে আঘাত হানতে পারে।

তিনি বলেন, ২২ মে লঘুচাপ তৈরি হয়ে; ২৩ বা ২৪ মের মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। ২৪ মে রাতে বা ২৫ মে সকালের দিকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

আবহাওয়ার বিভিন্ন মডেল বিশ্লেষণ করে আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ ২৬ মে সকাল ৬টার পর থেকে রাত ১২টার মধ্যে বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলা থেকে শুরু করে; চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার মধ্যবর্তী উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় বৃত্তের অগ্রবর্তী অংশ উপকূলীয় এলাকায় প্রবেশ করতে পারে সকাল ৬টার পর থেকে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাব্য সময় ২৬ মে দুপুর ১২টার পর থেকে বিকাল ৬টার মধ্যে। ঘূর্ণিঝড় বৃত্তের পেছন দিকের অর্ধেক অংশ পুরোপুরি স্থলভাগে প্রবেশ করতে রাত ১২টা পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টি যদি জোয়ারের সময় উপকূলে আঘাত হানা শুরু করে, তবে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকাগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ১০ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলোর উপকূলে আঘাতের সময় ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা হাওয়াসহ ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাত শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে ২৪ মে থেকে, যা ২৮ মে পর্যন্ত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের ওপর মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ২৫, ২৬ ও ২৭ মে। অপেক্ষাকৃত হালকা পরিমাণে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে; মে মাসের ২৪ ও ২৮ তারিখে। মে মাসের ২৩ তারিখ থেকেই সমুদ্র উত্তাল শুরু হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের অবস্থান করছে ঘূর্ণাবর্ত, যা পূর্ব বাংলাদেশ ও সংলগ্ন এলাকার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ দশমিক ৫ থেকে ৫ দশমিক ৮ কিলোমিটার ওপরে রয়েছে। এর বিস্তৃতি ভারতের হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ থেকে বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ হয়ে পূর্ব বাংলাদেশ পর্যন্ত। এ ছাড়া রেমালের প্রভাবে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ বলয় তৈরি হতে পারে, যা পরে শুক্রবার নাগাদ নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।

ভারতের আবহাওয়া অফিস বলছে- ওই নিম্নচাপ বলয় উত্তর-পূর্বে সরে এসে নিম্নচাপ তৈরি করতে পারে। এ ছাড়া এটিই পরে শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার মতো অনুকূল পরিস্থিতি সাগরে ধীরে ধীরে তৈরি হচ্ছে।


আ.লীগ নেতা তপনের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আপডেটেড ২৩ মে, ২০২৪ ০০:০২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ২৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রুহুল কুদ্দুস তপনের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার। ২০২০ সালের ২৩ মে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫৪ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন। সে সময় সরকারি ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে রিজেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর রুহুল কুদ্দুস তপন ছাত্রলীগের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন। তার পিতা নজরুল ইসলাম ও ছোট চাচা রফিকুল ইসলাম স্বাধীনতা-পরবর্তী শেখ ফজলুল হক মণির সঙ্গে রাজনীতি করতেন এবং শেখ মণির ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। তপনের বড় ভাই ‘দৈনিক খবর’-এ কর্মরত সিনিয়র সাংবাদিক ইব্রাহিম খলিল খোকন বর্তমানে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ও জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য। এ ছাড়া তিনি একজন নাট্যশিল্পী হিসেবেও পরিচিত মুখ।

তেজগাঁওয়ের রাজনীতিতে রুহুল কুদ্দুস তপন একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান আওয়ামী লীগ নেতা ছিলেন। ঢাকার দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ রহিম মেটাল জামে মসজিদ নির্মাণে তপন অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এ ছাড়া মসজিদ সংলগ্ন মাদ্রাসা ও কবরস্থান উন্নয়নের কাজ তার হাত ধরেই হয়েছিল।


banner close