মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪

‘গৃহকাজে নিয়োজিত শিশুর অধিকার সুরক্ষায় দ্রুত আইন প্রণয়নের আহ্বান’

ছবি: সংগৃহীত
বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত
বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ২২:১১

গৃহকাজে নিয়োজিত শিশুর অধিকার ও সুরক্ষায় দ্রুত সুনির্দ্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করার আহ্বান জানিয়েছেন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, দেশে ৪০ শতাংশ শিশু নির্যাতনের শিকার হয়। গৃহকর্মী শিশুদের প্রতিনিয়ত মারধরসহ নানা নিপীড়ন সহ্য করতে হচ্ছে। সুনির্দ্দিষ্ট আইন ও সেই আইনের যথাযথ প্রয়োগই এসব শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সম্মেলন কক্ষে ‘গৃহকাজে নিয়োজিত শিশুর অধিকার ও সুরক্ষায় সুনির্দ্দিষ্ট আইনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক সংলাপে এসব কথা বলেন তারা। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি), শাপলা নীড় ও এডুকো-বাংলাদেশ আয়োজিত সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। এএসডির কর্মসূচি পরিচালক মো. হামিদুর রহমানের সভাপতিত্বে সংলাপে বক্তৃতা করেন মানবাধিকার কমিশনের সদস্য মো. সেলিম রেজা ও পরিচালক কাজী আরফান আশিক, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব খোন্দকার মো. নাজমূল হুদা শামিম, শাপলা নীড়ের কান্ট্রি ডিরেক্টর তমকো উচিয়ামা, শিশু অধিকার ফোরামের সভাপতি মো. মাহবুবুল হক, এডুকোর ম্যানেজার আফজাল কবির খান, লেবার ফাউন্ডেশনের মিতু খাতুন, এএসডির ফিরোজা আক্তার শম্পা প্রমুখ। মানবাধিকার কমিশনের উপ-পরিচালক মো. রবিউল ইসলামের সঞ্চালনায় সংলাপে মূল বক্তব্য উত্থাপন করেন শিশু সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ সরফুদ্দিন খান।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, শিশুশ্রম বিশ্বের কোথাও গ্রহণযোগ্য নয়। তাই শিশুশ্রম বন্ধ করে শিশুদের মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে আমরা সভ্য সমাজের বাসিন্দা কি না তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেবে। তিনি আরও বলেন, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে গৃহকর্মে নিয়োজিত অনেক শিশু আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। আবার কারো আশ্রয় হয়েছে যৌনপল্লিতে। এমনকি অনেকে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। তাই সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে সকল ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনের লক্ষ্যে কাজ করছে। শুধু ঝুঁকিপূর্ণ নয়, সকল প্রকার শিশুশ্রম বন্ধে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

মো. হামিদুর রহমান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে সব ধরনের শিশু শ্রম নিরসনে অঙ্গীকারবদ্ধ। সরকারের এ প্রতিশ্রুতি ও ঘোষিত অঙ্গীকার বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু গৃহকর্মীর অধিকার ও সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে একটি যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন ও তার সফল বাস্তবায়ন প্রয়োজন।

সংলাপে মূল প্রবন্ধে বলা হয়, বিদ্যমান আইনি কাঠামোর দুর্বলতা এবং নীতিমালাগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়িত না হওয়ায় গৃহকর্মী শিশুরা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তাই নতুন আইন প্রণয়ন জরুরি। ইতিমধ্যেই গৃহকর্মী সুরক্ষা আইনের একটি খসড়া তৈরী করা হয়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনার মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে খসড়া আইনটি চূড়ান্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে প্রবন্ধে।


‘কখনোই বলিনি, এমপি আনার চোরাচালানে যুক্ত ছিলেন’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, কলকাতায় খুন হওয়া সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তা আমরা কখনোই বলিনি।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত হাইওয়ে পুলিশের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সব সময় বলে এসেছি ঝিনাইদহ সন্ত্রাসপূর্ণ একটি এলাকা। ওখানে সত্যিকারে কী হয়েছে সেটা আমাদের জানতে হবে। আমরা তদন্ত করছি, তদন্তের পরে আপনাদের সবকিছু জানাবো।

আনারের মেয়ে ডরিন সন্দেহভাজন কিছু ব্যক্তির নাম বলেছেন। সেগুলো কাদের নাম জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যখন তদন্ত চলে তখন আমাদের মন্ত্রী, আইজিপি কিংবা তদন্তকারী কর্মকর্তাদের তদন্ত না করে কোনো কিছু বলা সম্ভব না। আমরা মনে করি তদন্ত শেষ হলে এগুলো নিয়ে কথা বলবো।

বারিধারায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে সহকর্মীর গুলিতে পুলিশ সদস্যের নিহত হওয়ার ঘটনায় ওই বাহিনীর সদস্যদের কাউন্সেলিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশের ট্রেনিংয়ের সময় মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বিস্তারিতভাবে কয়েকদিন ট্রেনিং দেওয়া হয়। যাতে তাদের মেন্টাল স্ট্রেস কম থাকে।

গুলিতে পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনার কারণ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী হবে সেটা নিয়ে আইজিপি রিসার্চ করছেন বলেও জানান মন্ত্রী।


ঘর পেয়ে জীবনমান বদলে গেছে মানুষের: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে জমিসহ ঘর পাওয়ায় মানুষদের জীবনমান বদলে গেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ মঙ্গলবার সারা দেশে গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারকে আরও ১৮ হাজার ৫৬৬টি ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে জমিসহ ঘর করে দিচ্ছি। এরই মধ্যে যাদের ঘর দেওয়া হয়েছে তাদের জীবনমান বদলে গেছে। তাদের মাঝে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। মাথা উঁচু করে বাঁচার জন্য এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তিনি দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন। আমি সে কাজটি করে যাচ্ছি, সেটিই আমাদের কর্তব্য বলে মনে করি। এ জন্যই আমাদের এ প্রচেষ্টা। বঙ্গবন্ধুর মতো আজীবন দেশের মানুষের কল্যাণে ও তাদের সেবা করতে চাই। দেশের মানুষের সেবক হিসেবেই বাবার মতো সেবা করে যাবো। এ দেশের মানুষ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত জীবন পাবে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’

এ সময় আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে যারা ঘর পেয়েছেন এটি তাদের নিজেদের সম্পত্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে ঘর পাচ্ছেন এটা আপনাদের নিজের সম্পত্তি, এটার যত্ন নেওয়া আপনাদের দায়িত্ব। এ সময় পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।

সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঝড়ে কোথায় ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে সে বিষয়ে আমরা খোঁজ নিয়েছি, তথ্য সংগ্রহ করেছি। তাদের ঘর করে দেবো। আর ক্ষতিগ্রস্তদের উপকরণ দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছি। আপনাদের (ক্ষতিগ্রস্তদের) চিন্তার কোনো কারণ নেই। প্রত্যেকে যেন ঘর করতে পারেন, সে ব্যবস্থা আমি করে দেবো। প্রত্যেক এলাকা থেকে তথ্য নিয়েছি।’

জাতির পিতার স্বপ্নপূরণ করাই নিজের লক্ষ্য জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিটি গ্রামকে আমরা নাগরিক সুবিধার আওতায় নিয়ে আসবো। সেই নাগরিক সুবিধা আমরা নিশ্চিত করে যাচ্ছি। পাশাপাশি রাস্তাঘাট উন্নয়ন, বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা, দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করছি। যার সুফল মানুষ ভোগ করছে।

এদিন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা, কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা এবং ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে সুবিধাভোগীদের কাছে জমির মালিকানা দলিলসহ ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন তিনি।


হজ পালনের ‍উদ্দেশে সৌদি আরব গেলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে সৌদি আরবের পথে যাত্রা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আজ মঙ্গলবার ভোরে তিনি সৌদি এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে করে রওনা হন। ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসেফ ঈসা আল দুহাইলান পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে তাকে বিদায় জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হজ সফরে তার সঙ্গে রয়েছেন সহধর্মিণী নুরান ফাতেমা।

হজ যাত্রার প্রাক্কালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং চট্টগ্রাম-৭ আসনের সংসদ সদস্য ড. হাছান তার নিজ নির্বাচনী এলাকার জনগণকে পবিত্র ঈদ-উল-আযহার অগ্রিম শুভেচ্ছা জানান এবং সবার কাছে তার ও তার পরিবারের সদস্যদের জন্য দোয়া কামনা করেন।


নতুন সেনাপ্রধান হলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান

লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১১ জুন, ২০২৪ ১৩:২২
নিজস্ব প্রতিবেদক

সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। আজ মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ওয়াকার-উজ-জামানকে সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়। ২৩ জুন থেকে আগামী তিন বছরের জন্য তিনি সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পেলেন।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে ২৩ জুন (২০২৪) থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর প্রধানদের (নিয়োগ, বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা) আইন, ২০১৮ অনুসারে ওই দিন অপরাহ্ণ থেকে তিন বছরের জন্য সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ১৯৮৫ সালের ২০ ডিসেম্বর ১৩তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তিনি ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ, মিরপুর এবং যুক্তরাজ্যের জয়েন্ট সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। এ ছাড়া তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘মাস্টার্স অব ডিফেন্স স্টাডিজ’ এবং যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে ‘মাস্টার্স অব আর্টস ইন ডিফেন্স স্টাডিজ’ ডিগ্রি অর্জন করেন।

সুদীর্ঘ ৩৯ বছরের বর্ণাঢ্য সামরিক জীবনে ওয়াকার-উজ-জামান বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদের পাশাপাশি নবম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং এবং সাভার এরিয়ার এরিয়া কমান্ডার, সেনাসদরে সামরিক সচিব এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনে প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ট্যাকটিকস (এসআইএন্ডটি) এবং সেনাসদরে বিভিন্ন পদবি ও নিয়োগে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি প্রশিক্ষক হিসেবে জেসিও এনসিও একাডেমি (জেএনএ), স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিকস ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অ্যান্ড ট্রেনিংয়ে (বিপসট) অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে সব পদবির দেশি-বিদেশি সেনাসদস্যদের প্রশিক্ষণ দেন।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জাতিসংঘের ব্যানারে মিলিটারি অবজারভার হিসেবে অ্যাঙ্গোলা এবং সিনিয়র অপারেশন অফিসার হিসেবে লাইবেরিয়াতে দায়িত্ব পালন করেন। সেনাবাহিনীতে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি ‘অসামান্য সেবা পদক’ (ওএসপি)-এ ভূষিত হন। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি হিসেবে দেশ-বিদেশে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেছেন এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন।

ব্যক্তিগত জীবনে ওয়াকার-উজ-জামান ও সারাহনাজ কমলিকা জামান দম্পতি দুই কন্যাসন্তানের (সামিহা রাইসা জামান ও শাইরা ইবনাত জামান) বাবা-মা।


ভূমিহীন-গৃহহীনদের ১৮ হাজার ৫৬৬টি বাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সকলের জন্য আবাসন নিশ্চিত করতে সরকারের আবাসন কর্মসূচি আশ্রয়ণ-২ এর আওতায় গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে আরও ১৮ হাজার ৫৬৬টি বাড়ি হস্তান্তর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ মঙ্গলবার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ, কক্সবাজারের ঈদগাঁও এবং ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সুবিধাভোগীদের কাছে জমির মালিকানা দলিলসহ বাড়ি হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন তিনি।

বাড়ি হস্তান্তরের পাশাপাশি ২৬টি জেলার সব উপজেলাসহ আরও ৭০টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।নতুন ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত জেলা ও উপজেলা নিয়ে সারা দেশে জেলার মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৮টি এবং উপজেলা ৪৬৪টি।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রথম ধাপে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৩৩০টি, তৃতীয় ধাপে ৫৯ হাজার ১৩৩টি এবং চতুর্থ ধাপে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি বাড়ি বিতরণ করেন।

প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন প্রতিটি পরিবারকে দুই দশমিক ৫ শতাংশ জমির মালিকানা দিয়ে একটি আধা-পাকা বাড়ি দেওয়া হচ্ছে, যা স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই হবে। প্রতিটি বাড়িতে দু’টি বেডরুম, একটি রান্নাঘর, একটি টয়লেট এবং বারান্দা রয়েছে।

প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম পর্যায়ের প্রথম ধাপে মোট ২ লাখ ৬৬ হাজার ১২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে গৃহহীনদের পুনর্বাসন কর্মসূচি চালু করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের ঘর ও জমির মালিকানা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ সাল থেকে এই পর্যন্ত মোট ৭ লাখ ৭১ হাজার ৩০১টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। পুনর্বাসিত মানুষের সংখ্যা ৩৮ লাখ ৫৬ হাজার ৫০৫ জন (একটি পরিবারে পাঁচ জন করে)।

প্রকল্পের আওতায় এই পর্যন্ত সারা দেশে ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৯০৪ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের প্রায় ৪৩ লাখ ৪০ হাজার মানুষকে আশ্রয়ণ এবং অন্যান্য কর্মসূচির আওতায় পুনর্বাসন করা হয়েছে। শুধুমাত্র আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে ৫ লাখ ৮২ হাজার ৫৩ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের ২৯ লাখ ১০ হাজার ২৬৫ জনকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আবাসন প্রকল্পের ওপর একটি ভিডিও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।


‘তৈরি পোশাকে চাহিদার তুলনায় চার লাখ টন সুতার ঘাটতি’

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিশেষ প্রতিনিধি

তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে নিট সুতার চাহিদার তুলনায় ৪ লাখ মেট্রিক টন সুতার ঘাটতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।

আজ সোমবার বিকেলে সংসদের বাজেট অধিবেশনে মো. জাকারিয়ার লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে সভাপতিত্ব করেন।

মন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে ওভেন এবং ডেনম বস্ত্রের চাহিদা প্রায় আট বিলিয়ন মিটার। এর মধ্যে চার বিলিয়ন মিটার দেশে উৎপাদিত হয় এবং চার বিলিয়ন মিটার আমদানি করা হয়। তবে তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে নিট সুতার চাহিদা প্রায় ১৬ লাখ টনের মধ্যে ১২ লাখ টন সুতার দেশে উৎপাদিত হয় এবং প্রায় চার লাখ টন ঘাটতি রয়েছে, যা আমদানি করা হয়।

তিনি জানান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন বস্ত্র অধিদপ্তর পোশাক কর্তৃপক্ষ হিসেবে বস্ত্রশিল্পের নিবন্ধন প্রদান করছে। পোশাক কর্তৃপক্ষ সেবা সহজীকরণের ফলে শিল্প উদ্যোক্তারা দেশে নতুন নতুন বস্ত্র ও সুতা উৎপাদনকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করছে। ফলে তৈরি পোশাক রপ্তানির জন্য ওভেন রপ্তানির জন্য ওভেন ও ডেনিম বস্ত্রের ঘাটতি ক্রমান্বয়ে কমে আসবে।

জাহাঙ্গীর কবির নানক জানান, বর্তমানে দেশের স্থানীয় বাজারে বাৎসরিক বস্ত্রের চাহিদার পরিমাণ প্রায় ৭ বিলিয়ন মিটার। দেশের স্থানীয় বাজারে বস্ত্রের চাহিদার কোনো ঘাটতি নেই।


মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেটেড ১০ জুন, ২০২৪ ২১:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক

নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন আয়োজনে যোগদান শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ সোমবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।

এর আগে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে নয়াদিল্লির ভিভিআইপি বিমানবন্দর পালাম এয়ার ফোর্স স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয় ফ্লাইটটি।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) জয়দীপ মজুমদার, বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

ভারতের টানা তৃতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। গতকাল রোববার তার এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের অতিথিদের পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও যোগ দেন।

শপথ অনুষ্ঠান ছাড়াও রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী একান্তে বৈঠক করেন। বৈঠকে দুই নেতা বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আগামী দিনগুলোতে আরও দৃঢ় করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সংক্ষিপ্ত বৈঠকে দুই নেতা একে অপরের খোঁজখবর নেন। এরপর মোদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনের ব্যাঙ্কোয়েট হলে যান এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর নৈশভোজে যোগ দেন।


স্বদেশের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর দিল্লী ত্যাগ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

নয়াদিল্লীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় মেয়াদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানসহ ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে নয়াদিল্লির ভিভিআইপি বিমানবন্দর পালাম এয়ার ফোর্স স্টেশন থেকে রওনা হয়েছেন।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) জয়দীপ মজুমদার, বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।

ভারতের টানা তৃতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা। রোববার বিকেলে রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি একান্তে বৈঠক করেন। বৈঠকে দুই নেতা বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আগামী দিনগুলোতে আরও দৃঢ় করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সংক্ষিপ্ত বৈঠকে দুই নেতা একে অপরের খোঁজখবর নেন। এরপর মোদি শেখ হাসিনাকে সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনের ব্যাঙ্কোয়েট হলে যান এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর নৈশভোজে যোগ দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ভুটান, নেপাল, মরিশাস ও শেসেল-এর শীর্ষ নেতারাও মোদির শপথ-গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে ৮ হাজারেরও বেশি বিশিষ্টজন উপস্থিত ছিলেন।


যাত্রীবাহী রেল ইঞ্জিন বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে: রেলমন্ত্রী

রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, জনগণের চলাচলের সুবিধার্থে যাত্রীবাহী রেল চলাচল বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ইঞ্জিন ও যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে।

আজ সোমবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।

রেলমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ভারত থেকে ২০০টি ব্রডগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহের জন্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ ছাড়া ২৬০টি ব্রডগেজ প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ, ৪৫৪টি মিটার গেজ প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ, ৪৬টি ব্রডগেজ রেল ইঞ্জিন এবং ৫০টি মিটার গেজ রেল ইঞ্জিন সংগ্রহের জন্য প্রকল্প গ্রহণের কাজ চলমান রয়েছে।

সরকারি দলের অপর এক সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের আপামর জনসাধারণকে স্বল্প খরচে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় পরিবহন সেবা প্রদানের উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলপথ মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে দেশের সকল জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনয়নের নির্দেশনা প্রদান করেন।

এ লক্ষ্যে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলাকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনার জন্য ভাঙ্গা হতে বরিশাল হয়ে পায়রা সমুদ্র বন্দর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের লক্ষ্যে ‘বিশদ নকশা প্রণয়ন ও দরপত্র দলিল প্রস্তুতসহ ভাঙ্গা জংশন (ফরিদপুর) হতে বরিশাল হয়ে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা’ প্রকল্পের মাধ্যমে অ্যালাইনমেন্ট চূড়ান্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।


পাস হলো ৩৮ হাজার কোটি টাকার সম্পূরক বাজেট

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৩৭ হাজার ৮১৭ কোটি ৪০ লাখ ৫৭ হাজার টাকার সম্পূরক বাজেট পাস হয়েছে।

আজ সোমবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ‘নির্দিষ্টকরণ (সম্পূরক) বিল-২০২৪’ সংসদে তোলেন। পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

আগামী ৩০ জুন শেষ হতে যাওয়া অর্থবছরের কার্যক্রম নির্বাহের জন্য সংযুক্ত তহবিল থেকে মঞ্জুরিকৃত অর্থের বেশি বরাদ্দ ও নির্দিষ্টকরণের কর্তৃত্ব দেওয়ার জন্য এই সম্পূরক বিল আনা হয়।

চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে ৬২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনুকূলে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। সংশোধিত বাজেটে ২২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বরাদ্দ বেড়েছে ৩৭ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা। ৪০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বাজেট অপরিবর্তিত রয়েছে বা হ্রাস পেয়েছে। সার্বিকভাবে ৪৭ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা হ্রাস পেয়ে সংশোধিত বাজেট হয়েছে ৭ লাখ ১৪ হাজার ৪১৮ কোটি টাকা।

সম্পূরক বাজেটে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ৬৪৯ কোটি ৩৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা পেয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।

সম্পূরক বাজেটে ২০টি দাবির বিপরীতে ৬৬টি ছাঁটাই প্রস্তাব দেন চার জন সংসদ সদস্য। এর মধ্যে দুটি মঞ্জুরি দাবির ওপর ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনা হয়। সেগুলো হলো অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। এর আগে সম্পূরক বাজেটের ওপর সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করেন।

বিষয়:

আনার হত্যার তদন্ত শেষ হলে অনেকেই গ্রেপ্তার হবেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় তদন্ত শেষ হলে অনেকেই গ্রেপ্তার হতে পারেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

আজ সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তদন্ত শেষ হোক, অনেকেই গ্রেপ্তার হতে পারেন। তদন্তের আগে আমার মনে হয়, এগুলো বলা উচিত হবে না। আমরা এখনো বলছি, আমরা সত্যের কাছাকাছি এসে গিয়েছি। মরদেহের বিষয়টি নিশ্চিত হলেই আমরা আপনাদের কাছে অনেক কিছু প্রকাশ করতে পারব। মরদেহ নিশ্চিত হওয়ার জন্য যারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের জবানবন্দি শুনেছি। তারা বলেছে যে, মরদেহ তারা খণ্ডবিখণ্ড করেছে। কোথায় রেখেছে, সেটা নির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।’

এই মামলায় আসামিদের বিচার কোথায় হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন, মামলা দুটো হয়েছে। যেখানে ঘটনা ঘটেছে, সেখানে একটি মামলা হয়েছে। সেটা হতেই হবে। আর ওই সংসদ সদস্যের মেয়ে ঢাকায় একটি মামলা করেছেন, তার নিরুদ্দেশ হওয়ার পরেই। কাজেই এ ঘটনাগুলো দুদেশেই সম্পৃক্ত হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, তাদের দেশে যেহেতু ঘটনা ঘটেছে, তাদের আসামিকে ফেরত নেওয়া ও বন্দি করার দায়িত্ব তাদের। আমি যতটুকু জানি, ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দিবিনিময় চুক্তি আছে। সেক্ষেত্রে হয়ত সেই সুবিধা ভারত সরকার পাবে। আমাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দিবিনিময় চুক্তি নেই। তবে ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে। বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের সব কাজেই তারা সহযোগিতা করছেন এবং ভবিষ্যতে করবেন।

মরদেহ শনাক্তের ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের একটা প্রমাণ লাগবে যে এই খণ্ডবিখণ্ড মাংসগুলো তার। তার ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার মেয়ের সঙ্গে যদি মিলে যায়, তাহলে ভারত সরকার আমাদের জানাবে, তখন আমরা বলতে পারব।’


মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালেন শেখ হাসিনা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন। ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির আইটিসি মৌর্য হোটেলে গতকাল রোববার রাতে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি নরেন্দ্র মোদি এবং এনডিএ জোটকে নির্বাচনে বিজয়ের জন্য আবারও অভিনন্দন দেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

রাষ্ট্রপতি ভবনে এ সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুদেশের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করতে নরেন্দ্র মোদির নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করার আন্তরিক আগ্রহ ব্যক্ত করেন বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে এবং নিকটতম প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশ ও ভারতের অনেক কাজের সুযোগ রয়েছে। মানুষে মানুষে সংযোগ বৃদ্ধিতে যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নসহ উভয় দেশের আরও উন্নতিকল্পে আমাদের একযোগে কাজ করে যেতে হবে।

এদিকে, নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় মেয়াদে শপথ অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদান ও আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি শেষে আজ বিকেলে দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় নয়াদিল্লির ভিভিআইপি বিমানবন্দর পালাম এয়ার ফোর্স স্টেশন থেকে রওনা দিবেন। ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাবেন।

বিমানটি বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরনের কথা রয়েছে।

ভারতের টানা তৃতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা। গতকাল রোববার বিকেলে রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি একান্তে বৈঠক করেন। বৈঠকে দুই নেতা বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আগামী দিনগুলোতে আরও দৃঢ় করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এর আগে ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার ১৮তম নির্বাচনে ৫৪৩ আসনের ২৯৩টিতে বিজয়ী এনডিএ জোটের নেতা নরেন্দ্র মোদির তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অন্যতম শীর্ষ বিশ্বনেতা হিসেবে আমন্ত্রিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার বিকেলে দিল্লি পৌঁছান।


এনআইডি সেবা দিতে যেন দেরি না হয়: সিইসি

নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) এনআইডি সংশোধন সংক্রান্ত এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সোমবার বক্তব্য দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জনগণ আসলে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা দিতে যেন দেরি না হয় পাশাপাশি এনআইডি সেবা নিতে আসা নাগরিকদের হয়রানি; তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার যেন না হয় সেজন্য সতর্ক করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

আজ সোমবার নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) এনআইডি সংশোধন সংক্রান্ত এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন নির্দেশনা দেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, জাতীয় পর্যায়ে এনআইডির গুরুত্ব এখন অপরিসীম। আমাদের ভোটার তালিকাও এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ডিজিটাইজ হয়ে গেছে। এনআইডি এখনো শতভাগ সেটেলড ডাউন হয়েছে এটা আমার কাছে মনে হয় না। অনেকে কমপ্লেইন করেন যে পরিবর্তন, সংশোধন করতে হবে। আবার সংশোধনের কিছু কিছু ক্ষেত্রে যারা আবেদনকারী তাদের কারণে ভুল হয়ে থাকে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে তথ্যগুলো আমি যখন লিখছি, তখন সঠিকভাবে লিখছি না। কিছু সংকট আমাদের রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এনআইডি ব্যবস্থাপনা অনেক জটিল। আমি সেটা বুঝি না। তবে জনগণ এলে তাকে সেবা দিতে যেন দেরি না হয়। আমি সরকারি কর্মচারী। যেন হয়রানি না করি, দুর্ব্যবহার না করি, সেটা নিশ্চিত রাখতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিয়ের পরে অনেকের স্বামীর নাম পরিবর্তন করতে হয়। কোনো কোনো দেশে এটা অপরিহার্য হিসেবে প্রয়োজন হয়। তাই স্বামীর নামটা অরিজিনালি থাকা উচিত। তাহলে বিড়ম্বনা হবে না।’

সিইসি বলেন, আমি জানি স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন হয় না। তবে অস্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন হয়। আমার হয়ত অস্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন হয় না, কিন্তু যারা বস্তিতে থাকেন, ঘন ঘন অস্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করতে হয়, তাহলে কী এনআইডি সংশোধন করতে পারব, সে দিকটাও দেখতে হবে।

বেওয়ারিস মরদেহ শনাক্তকরণ, ব্যাংক ও আর্থিক খাতে এনআইডির ব্যবহার হচ্ছে। এটা আধুনিক ব্যবস্থাপনা সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনায় নিয়ে এসেছে বলেও জানান তিনি।

হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘প্রায়ই শুনি এ, ওর নাম নিয়ে ভিন্ন পরিচয় ধারণ করে এনআইডি নিয়েছে। বিভিন্ন অপরাধে সম্পৃক্ত হচ্ছে। অনেকে বাবার নাম পরিবর্তন করে চাচার নাম নিয়ে সহায় সম্পত্তি দখল করে ফেলছে। গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করে কোনো একটি উপায় বের করতে হবে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।’

তিনি বলেন, কেউ যদি ১০টা দেশের নাগরিক হন এবং বাংলাদেশের নাগরিক হন তাহলে তিনি এনআইডি পাবেন। দ্বৈত নাগরিকত্বের অযুহাতে কাউকে এনআইডি দেওয়া থেকে বাদ রাখা যাবে না। যদি সে কোনোভাবে বাংলাদেশের নাগরিক হন তবে সনদের প্রয়োজন নেই। তাকে এনআইডি দিতে হবে।’

বিষয়:

banner close