বুধবার, ৫ জুন ২০২৪

একনেকে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকায় ১১ প্রকল্প অনুমোদন

ছবি: পিআইডি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৮ মার্চ, ২০২৪ ২২:১৬

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। প্রকল্পগুলোর অর্থ জোগানের বিষয়ে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং প্রকল্প ঋণ থেকে ৪৮৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা পাওয়া যাবে বলে সভায় উল্লেখ করা হয়।

অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- মিসরের কায়রোতে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স এবং আবাসিক ভবন নির্মাণ, বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ এবং ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ (১ম সংশোধিত)। কাশিনাথপুর-দাশুরিয়া-নাটোর-রাজশাহী-নবাবগঞ্জ-কানসাট-সোনামসজিদ-বালিয়াদিঘী বর্ডার (এন-০৬) জাতীয় মহাসড়ক যথাযথমান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (নবাবগঞ্জ অংশ)।

বিদ্যমান সরকারি মৎস্য খামারগুলোর সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম পর্যায়)। ইমপ্রুভমেন্ট অব ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টার অব বাংলাদেশ ফিশারিজ ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন ইন কক্সবাজার ডিস্ট্রিক্ট প্রকল্প।

আরও রয়েছে বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের জেলাগুলোর পল্লি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ (৩য় পর্যায়)। ৮টি বিভাগীয় শহরে পূর্ণাঙ্গ ক্যানসার, হৃদরোগ এবং কিডনি চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ (১ম সংশোধিত)-সহ মোট ১১টি প্রকল্প।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ সময় পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


বিশ্ব পরিবেশ দিবস আজ

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ৫ জুন, ২০২৪ ০০:০৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে।

দিবসটি উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনের উদ্যোগে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা।’

এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন উপলক্ষে সরকারিভাবে নেওয়া কর্মসূচি সর্ম্পকে জানাতে গতকাল দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে নেওয়া কর্মসূচি সম্পর্কে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী জানান, বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে পরিবেশ মেলা ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করবেন। পলাশ ও বেলগাছের দুটি চারা রোপণের মাধ্যমে জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন তিনি।

তিনি বলেন, শেরেবাংলা নগরের এই পরিবেশ মেলা চলবে ৫ থেকে ১১ জুন পর্যন্ত এবং বৃক্ষমেলা চলবে ৫ থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিদিন মেলা চলবে সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।

মন্ত্রী বলেন, অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ড কনজারভেশন ২০২৩ ও ২০২৪, বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার ২০২২ ও ২০২৩ এবং সামাজিক বনায়নে উপকারভোগীদের মধ্যে লভ্যাংশের চেক বিতরণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও জাতীয়, বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বৃক্ষমেলার আয়োজন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বৃক্ষের চারা বিতরণ এবং মোবাইল ফোন অপারেটরদের মাধ্যমে খুদে বার্তা পাঠানো হবে।

সাবের চৌধুরী বলেন, দেশের সব জেলা ও উপজেলায় এবং ঢাকা মহানগরীর একশটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন করা হচ্ছে।

মন্ত্রী জানান, পরিবেশ দিবস উপলক্ষে শিশু চিত্রাঙ্কন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিতর্ক ও স্লোগান প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বৃক্ষমেলার আয়োজন করা হবে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বৃক্ষের চারা বিতরণ করা হবে।

এ উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ অন্যান্য গণমাধ্যমে পরিবেশ দিবসের তাৎপর্যভিত্তিক অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয় সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র এবং পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে স্মরণিকা ও বুকলেট প্রকাশ করা হবে।

এ ছাড়াও রোপণ করা বৃক্ষের যত্ন বৃদ্ধির জন্য এবারের জাতীয় বৃক্ষমেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘বৃক্ষ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ।’


বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে আজ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ৫ জুন, ২০২৪ ০০:০৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

বর্তমান সংসদের প্রথম বাজেট অধিবেশন বসছে আজ। বিকেল ৫টায় শুরু হবে এ অধিবেশন। তার পরদিন বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন।

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হচ্ছে সংসদ অধিবেশন। নিয়ম অনুযায়ী স্পিকারের অনুমতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদ সদস্যদের সামনে আগামী অর্থবছরের রাষ্ট্রের আয়-ব্যয়ের হিসেব তুলে ধরবেন। বাজেট প্রস্তাবের পর তার ওপর প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে আলোচনা পাল্টা আলোচনার পর জুন মাসের ৩০ তারিখ তা চূড়ান্তভাবে পাস হবে। অবশ্য তার আগে ১০ জুন চলতি অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট পাস হতে পারে বলে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের প্রথম বাজেট হতে যাচ্ছে এটি। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৬তম বাজেট ঘোষণা হবে কাল। রীতি অনুযায়ী বাজেট ঘোষণার আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের বাজেটের আকার হতে যাচ্ছে ৭ লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকা। এটিই হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট। বড় ব্যয়ের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে বাজেটে থাকবে রাজস্ব আহরণের বড় লক্ষ্যমাত্রাও। জানা গেছে, এবারের বাজেটে মোট রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা থাকবে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরকে আদায়ের লক্ষ্য দেওয়া হবে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা।

এ ছাড়াও বাজেটে উন্নয়ন বরাদ্দ অর্থাৎ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। বড় বাজেটে ঘাটতির পরিমাণও বাড়বে। বড় অঙ্কের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়ার পরও বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ২ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা। আর এই ঘাটতি মেটাতে সরকারকে দেশ ও বিদেশের কয়েকটি উৎস থেকে ঋণ করতে হবে। তবে এবারই প্রথমবারের মতো সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে কোনো ঋণ নেবে না সরকার।

এদিকে, আজ বাজেট অধিবেশনের শুরুতে শোক প্রস্তাব উত্থাপন ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচন করবেন স্পিকার। তবে সম্প্রতি ভারতে নিহত হওয়া সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমের আসন শূন্য ঘোষণার বিষয়ে জাতীয় সংসদ এখনো কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি। মরদেহ এখনো না পাওয়ায় আসন শূন্য ঘোষণার বিষয়ে জটিলতা থাকায় শোক প্রস্তাবে তার নাম থাকছে না বলেও জানা গেছে।

বিষয়:

১০ মাসে সড়কে নিহত ৪ হাজার ৭২৫ জন: বিআরটিএ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

২০২৩ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত গত ১০ মাসে সারা দেশে ৫ হাজার ২৪৫টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৪ হাজার ৭২৫ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৬ হাজার ৭০২ জন।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) সদর দপ্তরে এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য তুলে ধরেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।

রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোডের (আরআরআর) সহায়তায় এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বিআরটিএ।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে সারা দেশে ৫৬৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫৩৩ জন এবং আহত হয়েছেন ৯৩৪ জন। আগস্ট মাসে ৪৫৮টি দুর্ঘটনায় ৩৭৬ জন নিহত এবং আহত হয়েছেন ৬৫৯ জন। সেপ্টেম্বর মাসে ৪৫৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৪১০ জন ও আহত হয়েছেন ৬০৯ জন। অক্টোবর মাসে ৪৩৭টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩৯৪ জন আর আহত হয়েছেন ৪৯২ জন। নভেম্বর মাসে ৫৫৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৪৭০ জন আর আহত হয়েছেন ৫৮১ জন। ডিসেম্বর মাসে ৪৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৩৩ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৬৪১ জন। আর ২০২৪ বছর জানুয়ারি দুর্ঘটনা ঘটে ৪৩৭টি, এতে নিহত হয়েছেন ৪০৪ জন আর আহত হয়েছেন ৫১৪ জন। ফেব্রুয়ারি মাসে ৫৬৯টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫২৩ জন এবং আহত হয়েছেন ৭২২ জন। মার্চ মাসে ৬২৪টি দুর্ঘটনায় ৫৫০ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৬৮৪ জন। আর এপ্রিল মাসে ৬৫৮টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৬৩২ জন, আহত হয়েছেন ৮৬৬ জন। সবমিলিয়ে গত ১০ মাসে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে ৫ হাজার ২৪৫টি। এতে নিহত হয়েছেন ৪ হাজার ৭২৫ জন আর আহত হয়েছেন ৬ হাজার ৭০২ জন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে দক্ষ ও মানবিক গুণসম্পন্ন মোটরযান চালক তৈরিতে বিআরটিএ ২০০৮ সাল থেকে পেশাজীবী মোটরযান চালকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সারা দেশে মোট ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৩০ জন পেশাজীবী মোটরযান চালককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে নিয়মিত পেশাজীবী মোটরযান চালকদের দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।


বাংলাদেশের ব্রিকসে যোগদানে চীনের সমর্থনের আশ্বাস

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

চীন ব্রিকসে যোগদানের জন্য বাংলাদেশের আগ্রহের প্রশংসা করেছে এবং এ বিষয়ে বেইজিংয়ের সক্রিয় সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ১৩তম দফার দ্বিপাক্ষিক রাজনৈতিক আলোচনায় এ আশ্বাস দেওয়া হয়।

ব্রিকস হল ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরান, মিসর, ইথিওপিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত নিয়ে গঠিত একটি আন্তসরকারি সংস্থা।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং চীনের পররাষ্ট্র-বিষয়ক ভাইস মিনিস্টার সান ওয়েইডং আলোচনায় নিজ নিজ পক্ষের নেতৃত্ব দেন।

এতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সুসংহতকরণ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রচার এবং বহুপাক্ষিক প্ল্যাটফর্মে সহযোগিতার সুযোগ খুঁজে বের করার ওপর আলোকপাত করা হয়।

চীনের ভাইস মিনিস্টার গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান এবং তার যোগ্য নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্ন পূরণ করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।

এদিকে উভয় পক্ষ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফর নিয়ে যৌথভাবে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।

পররাষ্ট্র সচিব মোমেন তার সূচনা বক্তব্যে উল্লেখ করেন, একই মূল্যবাধ, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে তার সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়।

তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৫২ এবং ১৯৫৭ সালের চীন সফরের কথা স্মরণ করে আসন্ন ভিভিআইপি সফরের আগে চীনা ভাষায় ‘আমার দেখা নয়া চীন’ বইটি প্রকাশিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

এ ছাড়া তিনি ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বাংলাদেশ সফরের কথা তুলে ধরেন, যা সম্পর্ককে ‘সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্বে’ উন্নীত করেছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব অবকাঠামোগত উন্নয়নে চীনকে তাদের সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পও রয়েছে।

তিনি বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন এবং চীনে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত কোটা ফ্রি (ডিএফকিউএফ) প্রবেশাধিকারের বিদ্যমান কাঠামো সহজতর করতে চীনের সহায়তা কামনা করেন।

মোমেন মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী সহযোগিতার ওপর জোর দেন।

তিনি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে চীনের অব্যাহত সমর্থনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

চীনের ভাইস মিনিস্টার বাংলাদেশি প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান এবং সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় ‘রিমেল’-এর কারণে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার জন্য গভীর সমবেদনা জানান।

তিনি ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর এবং গত বছরের ব্রিকস সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার আলোচনার কথা স্মরণ করেন।

ঢাকা ও বেইজিং দুই দেশের দূতাবাস উভয় দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে পারে বলে ওয়েইডং উল্লেখ করেন।

তিনি উচ্চ পর্যায়ের আদান-প্রদান এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

তিনি বাংলাদেশ থেকে আম ও অন্যান্য কৃষিপণ্য আমদানিতে এবং যুবকদের দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তায় একযোগে কাজ করতে চীনের আগ্রহের কথা জানান।

চীনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

উভয় পক্ষ দুই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে পরবর্তী দ্বিপাক্ষিক রাজনৈতিক আলোচনা আগামী বছর ঢাকায় অনুষ্ঠানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জসিম উদ্দিন, ইআরডির অতিরিক্ত সচিব আনোয়ার হোসেন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও চীনে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা ছিলেন।

অন্যদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও এ আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়:

‘খুব শিগগিরই নির্মাণ করা হবে টেকসই বেড়িবাঁধ’

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী। এ সময় নদীভাঙন রোধে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় আসেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম। এরপর স্পিডবোট যোগে বরগুনার নদীভাঙন এলাকা ঘুরে দেখেন ও ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। নদীভাঙন রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বরগুনা ১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু, বরগুনা ২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতা নাদিরা, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফারজানা সুমি, বরগুনা জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম, বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম মিঞা, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) জিয়াউর রহমানসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা।

৭নং ঢলুয়া ইউনিয়নের ডালভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীর গর্ভে বিলিনের মুখে থাকায় চেয়ারম্যান আলহাজ আজিজুল হক স্বপন ও স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দেন প্রতিমন্ত্রী।

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম বলেন, ‘নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ সরকারের একার পক্ষে সব কাজ করা অসম্ভব। তাই আমাদের সবার উচিত নদীর পাড়ে গাছ লাগানো। ইতোমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় রেমালের পরে প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারযোগে আপনাদের এলাকা ঘুরে দেখেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমি আপনাদের এলাকায় এসেছি এবং নদীভাঙন এলাকায় ঘুরে দেখছি। খুব শিগগিরই টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে।

বিষয়:

‘বন্যায় সুন্দরবন রক্ষায় পদক্ষেপ নিচ্ছে মন্ত্রণালয়’

বন ও পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

এবারের ঘূর্ণিঝড় রেমালে সুন্দরবনের অবকাঠামোর ৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে বন্যায় সুন্দরবনকে আরও কীভাবে রক্ষা করা যায় তা নিয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে মন্ত্রণালয়।

আজ মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব জানান বন ও পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত উপকূলে প্রায় ৯০ হাজার হেক্টর বনায়ন বাড়ানো হয়েছে। এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে গাছ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে ঢাকায় বনায়ন এবং জলাশয় বাড়াতে স্থানীয় সরকার, স্বাস্থ্য এবং গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বিত কাজ শুরু করবে পরিবেশ মন্ত্রণালয়। তবে ঢাকার বেশি অংশ কংক্রিটের হওয়ায় এখন তেমনিভাবে গাছ লাগানো সম্ভব হবে না।

৫ জুন পরিবেশ দিবস উপলক্ষে করা সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, নতুন শহর পূর্বাচলকে পরিবেশবান্ধব হিসেবে তৈরি করার জন্য এরই মধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, বায়ুদূষণ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের ১০০ দিনের কর্মসূচি শেষ হবে আগামী ৩০ জুন। এর মধ্যে ঢাকার চারপাশে ৫০০টি ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আরও যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেগুলো নিয়ে আগামী ১ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে।

বিষয়:

দক্ষিণখান-উত্তরখানের রাস্তা নির্মাণ নভেম্বরে শেষ হবে: ডিএনসিসি মেয়র

মঙ্গলবার দক্ষিণখানে চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) নতুনভাবে সংযুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের অন্তর্গত দক্ষিণখান, উত্তরখান ও হরিরামপুর এলাকার ৮১ কিলোমিটার রাস্তা ও ড্রেনেজ নির্মাণ কাজ আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর দক্ষিণখানে চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি রাস্তা ও ড্রেনেজ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে এলাকাবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এলাকাবাসীর সমস্যার কথা শোনেন এবং সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ প্রদান করেন।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর ধরে এই এলাকায় বিভিন্ন সমস্যা বিরাজ করছে। এই এলাকা একসময় ইউনিয়ন ছিল। তখনকার নির্মিত সব রাস্তাগুলো সরু। কখনও ড্রেন নির্মাণ করা হয়নি। টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে সিটি কর্পোরেশন প্রশস্ত রাস্তা ও ড্রেনেজ নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। দ্রুত সময়ে কাজ সম্পন্ন করার দিন রাত কাজ চলছে। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ৮১ কি.মি. রাস্তা, ড্রেনেজ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে। এ ছাড়াও এই এলাকায় ৫ হাজার ৭২২টি এলইডি স্মার্ট লাইট স্থাপন করা হবে।’

মেয়র আরও বলেন, বিগত ৫০ বছর এই এলাকার মানুষ কষ্ট করেছে। আগামী ৫০ বছর যেন কোনও কষ্ট না হয় সেই লক্ষ্যে আমরা টেকসই উন্নয়নের জন্য কাজ করছি। আমি উত্তরায় থাকি। এই এলাকার মানুষের কষ্ট আমি জানি। এখানে অনেক শাখা, গলি রাস্তা রয়েছে যেগুলো অনেক সরু। কোনও অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে পারে না। আমি সবাইকে অনুরোধ করছি আপনারা গলির রাস্তাগুলো ২০ ফুট প্রশস্ত করার জন্য জায়গা ছেড়ে দিন।

তিনি বলেন, ‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে মেয়র হয়েছি। তাই জনগণের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা রয়েছে। জবাবদিহিতা আছে বলেই আমি আজ এসেছি। দীর্ঘ ৫০ বছর আপনারা ধৈর্য ধরেছেন। আর অল্প কিছুদিন কষ্ট করে ধৈর্য ধরুন। নভেম্বরের মধ্যে এই এলাকার রাস্তার উন্নয়ন নিশ্চিত করব। জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধান হবে।’

বিষয়:

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিমান বাহিনীপ্রধানের বিদায়ী সাক্ষাৎ

বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে মঙ্গলবার বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন বিমান বাহিনীপ্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ৪ জুন, ২০২৪ ১৮:৩৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন বিমান বাহিনীপ্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান।

আজ মঙ্গলবার বঙ্গভবনে তাদের এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন ব্রিফিংয়ে জানান, সাক্ষাৎকালে বিমান বাহিনী প্রধান দায়িত্ব পালনে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়ায় রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এ সময় তিনি বিমানবাহিনীর সার্বিক কার্যক্রম বিশেষ করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সফল ভাবে দায়িত্ব পালন করায় বিদায়ী বিমান বাহিনীপ্রধানকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বিমান বাহিনীর উন্নয়নে তার ভূমিকার প্রশংসা করেন ।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন, বিমান বাহিনীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে এবং সরকার এ ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা দেবে।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব ওয়াহিদুল ইসলাম খান এবং সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।


৩১টি আসনের চূড়ান্ত ফলাফলে এগিয়ে মোদী

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ৩১টি আসনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত আসনগুলোর ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

এতে দেখা যায়, চূড়ান্ত ঘোষিত ৩১টি আসনের মধ্যে ২১টিতে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। ৪টি আসনে জয় পেয়েছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। আর অন্যান্য দলগুলো পেয়েছে ৬টি আসন।

দেশটির লোকসভায় সর্বমোট ৫৪৩টি আসন রয়েছে। যদি কোনো দল বা জোট সরকার গঠন করতে চায় তাহলে তাদের অন্তত ২৭৭টি আসনে জয় পেতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি ২০১৯ সালের নির্বাচনে একাই ৩০৩টি আসন পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল। আর তাদের জোট এনডিএ পেয়েছিল ৩৫৩টি আসন।

তবে মোদির বিজেপি এবার আর এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে যখন ফলাফল ঘোষণা শুরু হয় তখন থেকে দেখা যাচ্ছিল বিজেপি গতবারের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে।

নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিজেপি ২১টি আসনে জয় পাওয়ার সঙ্গে আরও ২২২টি আসনে এগিয়ে আছে। অর্থাৎ তারা সবমিলিয়ে ২৪৩টি আসনে জয় পেতে পারে।

অপরদিকে রাহুল গান্ধীর ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস ৪টি আসনে জয় পাওয়ার পাশাপাশি এগিয়ে আছে ৯৪টি আসনে। অর্থাৎ একক দল হিসেবে কংগ্রেস ৯৮টি আসনে জয় পেতে পারে।

তবে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে যাচ্ছে। যার অর্থ মোদি আবারও ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। তবে এক্ষেত্রে তাকে জোট দলগুলোর সহায়তা নিতে হবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, মোদির বিজেপির জোট এনডিএ ২৯৫টি আসনে এগিয়ে আছে। রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট ইন্ডিয়া এগিয়ে আছে ২৩০টি আসনে। আর অন্যান্য দলগুলো এগিয়ে আছে ১৭টি আসনে।

বিষয়:

তারেক রহমানই বিএনপির দুঃশাসনের মুখ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মঙ্গলবার বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দুর্নীতি আর সন্ত্রাসের প্রতীক তারেক রহমানই বিএনপির দুঃশাসনের মুখ।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশ-উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতাদের সাম্প্রতিক মন্তব্যের জের ধরে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘ মহাসচিব, ওআইসি মহাসচিব সবাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন। আজকে যখন দেশ এগিয়ে যায় তখন বিএনপি-জামায়াত এবং বুদ্ধিজীবী নামধারীরা কোনো উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা শুধু বিষোদ্‌গার করে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, যেন তাদের হেদায়েত দেন। তাদের বুদ্ধি যেন উন্নয়নের কাজে লাগে, অপপ্রচারের কাজে নয়।’

হাছান বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে মনে করিয়ে দিতে চাই, আপনাদের শাসনামলে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তারেক রহমানের দুর্নীতির বিষয়ে এফবিআই সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। বিএনপির তারেক রহমান দুর্নীতির বরপুত্র।’

তিনি আরও বলেন, ‘বেগম জিয়া অসুস্থ মানুষ। তিনি আমার মায়ের বয়সী। তার বিষয়ে বেশি কথা বলতে চাই না। তিনিও দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত। বিএনপির আমলে হাওয়া ভবন, খোয়াব ভবন ছিল। হাওয়া ভবনের বিষয়ে আপনারা জানেন, খোয়াব ভবনের বিষয়ে কথা বলতে আমার লজ্জা লাগে।’

দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবস্থান তুলে ধরে হাছান বলেন, ‘আমাদের সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে, আদালত এবং দুদক স্বাধীনভাবে কাজ করে।’

স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুর সভাপতিত্বে ও স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন টয়েলের সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ও আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।

স্বাধীনতা পরিষদ সভাপতি জিন্নাত আলী খান জিন্নাহ, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।


ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অতিসরল এক জীবনযাপনের পথ বেছে নিয়েছিলেন: উপাচার্য ড. মশিউর রহমান

ঢাকা মহিলা কলেজের মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অ্যাকাডেমিক ভবন উদ্বোধন এবং এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্রীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রোববার বক্তব্য দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অতিসরল এক জীবনযাপনের পথ বেছে নিয়েছিলেন। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ধানমন্ডি ৩২ নম্বর- বাংলাদেশ সৃষ্টির নির্দেশনা কেন্দ্র। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর ২৫ মার্চের রাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্বাধীনতার ঘোষণার অব্যবহিত পরে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার জায়গা। যেই জায়গার নির্দেশনার পরে সারা বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৯ মাসের সশস্ত্র লড়াইয়ে গেরিলা যোদ্ধায় পরিণত হয়েছিল। আর আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়েছিল পাকিস্তানি বাহিনী।’

গত রোববার (২ জুন) বিকালে ধানমন্ডিতে ঢাকা মহিলা কলেজের মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অ্যাকাডেমিক ভবন উদ্বোধন এবং এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্রীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান।

দেশের বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ড. মশিউর রহমান আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মুজিব যিনি লুঙ্গি আর স্যান্ডু গেঞ্জি পরে এই ধানমন্ডিতে নিশ্চিন্তে থাকতেন। নানা গোয়েন্দা সংস্থা, এমনকি বিদেশি শক্তি তাকে জানিয়েছিল সতর্ক থাকতে হবে। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে নতুন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। মুজিব সেসব কথা উড়িয়ে দিয়ে বলেছিলেন বাঙালির সন্তান আমাকে কিছু করবে না। তিনি এই ধানমন্ডি ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে রাজি হইলেন না। এখানেই থাকলেন। এখানে তার সহধর্মিনী ফজিলাতুন্নেছা মুজিব যিনি নিজে দাঁড়িয়ে ধানমন্ডিতে তার বাড়ি করেছেন। ইটের পর ইট গেঁথেছেন। মিস্ত্রি কাজ করেছেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজে কাজ করেছেন। শ্রমিকের পয়সা যাতে কম লাগে। খরচটা যাতে কম হয়। স্বামীর অর্থ ব্যয় যাতে কম হয়। নিজ হাতে পানি ঢেলেছেন। একসময় সেই বাড়িতে কবুতার পেলেছেন। এসব কিছুর মধ্য দিয়ে একজন বাঙালি নারীর যা বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার তেমন করে তিনি অতিসাধারণ জীবনযাপন করেছেন। ক্ষমতার দম্ভ তার মধ্যে বিন্দুমাত্র ছিল না। বরং যতবেশি ক্ষমতার মধ্যে এসেছেন ততবেশি সরল জীবনযাপন করেছেন ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। তার সন্তানদেরও তাই শিখিয়েছেন। সে কারণেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একজন নির্লোভ, সৎ, সাহসী, দেশপ্রেমিক জীবনযাপন করেন। এই সব করবার জন্য নিশ্চয়ই তার মধ্যে একটি দীক্ষা রয়েছে। দীক্ষাটি হচ্ছে- বাঙালির মুক্তি। আমাদের সন্তানেরা যাতে আগামী দিনে সুশিক্ষিত হয়, ভালো নাগরিক হয়, সেকারণে বঙ্গবন্ধুর কন্যা বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন।’

উপাচার্য বলেন, ‘নানা স্মৃতি বিজড়িত ধানমন্ডি যেখানে বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে শেখ রাসেল মায়ের চোখকে আড়াল করে সাইকেল চালাতে বের হতেন। ধানমন্ডির অলিতে-গোলিতে বঙ্গবন্ধুর ছেলে যখন সাইকেল চালাতে নামতেন বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের চোখ তখন সড়কে থাকত। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নৃশংসভাবে এখানে হত্যা করা হয় জাতির পিতাকে। এখান থেকেই গোপালগঞ্জে নিভৃত পল্লীতে তাকে দাফন করা হয়, যেন বাঙালি চিরদিনের জন্য জাতির পিতাকে ভুলে যায়। কিন্তু ইতিহাসের বিচার ঠিক তার উল্টো হয়েছে। ধানমন্ডি থেকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় যে যোগসূত্রতা তৈরি হয়েছে তা বাঙালির ইতিহাসের এক ভিন্ন ধারা। ইতিহাসের বিচারে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া বাঙালির তীর্থে পরিণত হয়েছে। ৩২ নম্বরের সেই ধানমন্ডি আজ জনগণের জন্য উন্মুক্ত। বঙ্গবন্ধুর সেই রক্তচিহ্ন দেখার জন্য মানুষ লাইনে দাঁড়ায়, শ্রদ্ধা নিবেদন করে। সেকারণেই বাঙালির কাছে ধানমন্ডির এক ভিন্ন আবেদন আছে। এই অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত ঢাকা মহিলা কলেজ আজকে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অ্যাকাডেমিক ভবন উদ্বোধন এবং বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধনের যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে মুজিব এবং বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে স্মরণ করা হয়েছে।’

শিক্ষার্থীদের নিয়মিত অধ্যয়নের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিয়মিত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা অধ্যয়ন করবে। পড়ালেখার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও তোমাদের বিচরণ থাকতে হবে। তোমরা নিজেদের আদর্শবান, মানবিক ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে তৈরি করবে। তোমরা ই-বুক, ই-জার্নাল অ্যাকসেস নিশ্চিত করবে। তোমাদের হাতের মুঠোয় যে ডিজিটাল ডিভাইসটি রয়েছে সেটি যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করবে। পাঠগ্রহণের অনেক ম্যাটারিয়ালস তোমরা ওই মুঠোফোনে পাবে। একটি মুহূর্তও তোমরা অপচয় করবে না। কারণ প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে তোমাকে টিকে থাকতে হলে দক্ষতা অর্জনের কোনো বিকল্প পথ নেই।’

শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির নানা কর্মসূচি নিয়ে এগোচ্ছে। এসব সুযোগ আপনাদের গ্রহণ করতে হবে। মেন্টাল হেলথ, জিআইএস, আইসিটি, প্যাডাগোজি, বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক প্রশিক্ষণসহ সকল সুবিধা আপনারা গ্রহণ করবেন। আমাদের শিক্ষার্থীদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হলে শিক্ষকদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী ও গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রেরণ করবেন। তাদের লেখা-পড়ার দায়িত্ব জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বহন করবে। আমরা চাই না আমাদের কোনো শিক্ষার্থী অর্থাভাবে পড়াশোনা করতে পারবে না।’

ঢাকা মহিলা কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার, ডা. মো. মনোয়ার হোসেন, মো. মোমেন সরকার, রিয়াজ আহমেদ প্রমুখ।

বিষয়:

ঢাকাসহ ১০ জেলায় বইছে মৃদু তাপপ্রবাহ

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৪ জুন, ২০২৪ ১৩:৩১
নিজস্ব প্রতিবেদক

সারা দেশে বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে ঢাকাসহ ১০টি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ঘণ্টার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ‘রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।’

একই দিনে রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দেশের অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

তিনি আরও জানান, সোমবার পাবনায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত পর্যন্ত ৮ বিভাগেই কমবেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। সর্বোচ্চ ১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে জয়পুরহাটে। এছাড়াও ৮টি বিভাগেই হালকা থেকে অতিভারী বৃষ্টি হয়েছে বলে জানান তিনি।

আগামীকাল বুধবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানিয়ে তিনি বলেন, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।


পাটপাতা থেকে চা তৈরির গবেষণা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৪ জুন, ২০২৪ ১৪:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের রুচি বদলে গেছে। বিভিন্ন ধরনের ফ্লেভারের চায়ের চাহিদা বেড়েছে। শুধু চা পাতা বাল্কে বিক্রি না করে, ভ্যালু অ্যাড করেন। তাহলে ভালো দাম পাবেন। পাট পাতা থেকেও চা তৈরি হয়। এ নিয়ে গবেষণা হচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় চা দিবস ও জাতীয় চা পুরস্কার-২০২৪ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাজারে হার্বাল টি, মশলা টি, তুলসি পাতার চা, জেসমিন টি, এগুলো চলে। চা অর্থকরী ফসল হচ্ছে। দেশের মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা এনে দিতে সহায়তা করছে। এ নিয়ে গবেষণা অব্যাহত রাখতে হবে। গবেষণার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

মালিকদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, চা শ্রমিকদের প্রতি যত্নবান হলে তাদের থেকে বেশি কাজ করিয়ে নিতে পারবেন। তাদের ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া, চিকিৎসাসহ নানান বিষয় দেখবেন। চা শ্রমিকদের নাগরিকত্ব দিয়েছেন জাতির পিতা। তাদের মাথাগোঁজার ঠাঁই, আপন ভূমি নেই। আমরা তাদের সেই মাথাগোঁজার ঠাঁই করে দেবো। কেউ ভূমিহীন, গৃহহীন থাকবে না। আমাদের পরিষ্কার কথা।

তিনি বলেন, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রামের চা দোকানে আড্ডা বসে। চায়ের কাপে ঝড় তোলে। রাজা উজির মারে ওখানে। দেশি বিদেশি নানান খবর রাখে সেখানকার মানুষ। আর চা পান করে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা দেয়। এ কারণে আমাদের চায়ের চাহিদাও বেড়ে গেছে। নিজস্ব উৎপাদনে যেন চাহিদা পূরণ করতে পারি, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অবশ্য চায়েরও উৎপাদন বেড়েছে। উভয়ের সামঞ্জস্য রেখেই আমাদের চলতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, চা আমার খুব প্রিয়। আমি চা পান করি। কারণ, জাতির পিতা চা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। আর বিশেষ করে, চা শ্রমিকরা নৌকায় ভোট দেয়। অনেকে অনেকভাবে চেষ্টা করেছে, কিন্তু তাদের অন্য দিকে নিতে পারে নাই। তাদের (শ্রমিক) ভালোবাসা, আন্তরিকতা আমাকে মুগ্ধ করে।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বক্তব্য রাখেন। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে জাতীয় চা পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জাতীয় চা মেলার উদ্বোধন করেন।


banner close