শনিবার, ১ জুন ২০২৪

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রথম ধাপের ভোটে বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬ জন

ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ২২:১০

নিজস্ব প্রতিবেদক

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ভোটে যাচাই-বাছাই শেষে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়িয়েছে ১ হাজর ৭৮৬ জন। আগামী ৮ মে সারা দেশের ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ তথ্য জানিয়েছেন। মাঠ পর্যায় থেকে পাঠনো তথ্য একীভূত করার পর এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।

নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন ৬৯৫ জন। এর মধ্যে বাতিল হয় ৪৬ জনের। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন ৭২৪ জন, এর মধ্যে বাতিল হয় ৪০ জনের। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন ৪৭১ জন, মনোনয়নপত্র বাতিল হয় ১৮ জনের।

তিনি আরও জানান, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান- এই তিন পদে মোট এক হাজার ৮৯০ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে বাতিল হয়েছে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র। এই তিন পদে বৈধ মোট প্রার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৭৮৬ জন। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।


এমপি আনোয়ারুল হত্যাকাণ্ড: তদন্তে বাংলাদেশকে পূর্ণ সমর্থন ভারতের

পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির বিশেষ তদন্ত দল গঠন
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জুন, ২০২৪ ০০:০৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার ভারতে গিয়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ায় এর তদন্তে গতকাল একটি বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি) গঠন করেছে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি। এর আগে এ হত্যা মামলা তদন্তে বাংলাদেশকে পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতা দেওয়ার কথা জানিয়েছে ভারত। গত বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ কথা বলেন। এদিকে এ হত্যার ঘটনায় দায়ের মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামির আবার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। নয়াদিল্লির ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের দিক থেকে সরকার এ বিষয়ে চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ পক্ষকে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছে।’ জয়সওয়াল বলেন, ‘এই বিশেষ মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে এবং বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সমন্বয় করছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্যবিনিময় করা হচ্ছে।’

এদিকে গতকাল শুক্রবার মামলাটি তদন্তে একটি বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি) গঠন করেছে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি। এ দলের নেতৃত্বে ইনস্পেক্টর জেনারেল পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা থাকবেন বলে সিআইডি সূত্র জানিয়েছে। তদন্ত দলে তিনজন ডিআইজি ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা থাকবেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিআইডির এক কর্মকর্তা বাংলাদেশি গণমাধ্যমকে জানান, সংসদ সদস্য আনারের দেহাবশেষ অনুসন্ধান অব্যাহত থাকবে। ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির কর্মকর্তারা এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দারা (ডিবি) গ্রেপ্তার ‘কসাই’ জিহাদ হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘খালে আমরা অনুসন্ধান চালাচ্ছি। এমপিকে শেষবার যে ভবনে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল সেখানকার স্যুয়ারেজ লাইন থেকে আরও কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আমরা সেগুলো পরীক্ষার জন্য পাঠাচ্ছি।’

জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আরও তথ্য পেতে গ্রেপ্তার জিহাদের মোবাইল ফোনের কল লিস্ট নিয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে সিআইডি। ‘ফোন কলের বিবরণ যাচাই করা হচ্ছে মূল ষড়যন্ত্রকারীর নম্বর পাওয়ার জন্য, যে কি না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসে আছে। যদি আমরা তার শেষ অবস্থান শনাক্ত করতে পারি, তাহলে অপরাধ সংঘটিত করার পর তিনি কোন পথে পালিয়েছেন, আমরা তা জানতে পারব’- বলেন ওই কর্মকর্তা। এ ছাড়া কলকাতার নিউটাউনের ওই ফ্ল্যাটে এমপি আনারকে হত্যার পর খুনিরা মরদেহের টুকরা অংশ কোথায় কোথায় ফেলেছে তা জানতে পুরো রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করছে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি।

এদিকে আনার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনতে ভারতের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার কলকাতা থেকে ফেরার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

সিয়ামের খোঁজে নেপাল যাচ্ছে সিআইডির বিশেষ দল

কলকাতায় খুন হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার তদন্তে ঘুরেফিরেই আসছে নেপালের নাম। বলা হচ্ছে, হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান শাহীন নেপালে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তিনি দুবাই হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়েছেন। কিন্তু মামলার আরেক আসামি সিয়াম এখনো নেপালেই রয়েছেন। এ কারণে অভিযুক্তদের খোঁজে প্রতিবেশী দেশটিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অপরাধ তদন্তকারী বিভাগ সিআইডি। শিগগিরই সিআইডির একটি বিশেষ দল নেপালে যাবে বলে জানা গেছে। এমপি আনার হত্যা মামলার তদন্তে গত সপ্তাহে কলকাতায় গিয়েছিল ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দেশে ফেরার আগে ডিবিপ্রধান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

আবার ৫ দিনের রিমান্ডে শিমুল-তানভীর-শিলাস্তি

ভারতে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামির আবার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল শুক্রবার দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিক তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামিরা হলেন সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, ফয়সাল আলী সাজী ওরফে তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমান। প্রথম দফায় আট দিনের রিমান্ড শেষে এদিন দুপুরে তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের হাজির করা হয়। এ সময় মামলার সুষ্ঠু-তদন্তের জন্য তাদের আবার ৮ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাহফজুর। শুনানি শেষে তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে গত বৃহস্পতিবার তিন আসামিকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে গত ২৪ মে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথি তাদের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার ভারতে চিকিৎসার জন্য গিয়ে নিখোঁজ হন। তার মেয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশে তার খোঁজ শুরু হলে গত ২২ মে তিনি কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে খুন হয়েছেন বলে তথ্য প্রকাশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এরপর থেকে উভয় দেশের গোয়েন্দাদের অভিযানে উঠে আসতে থাকে তাকে হত্যার বিভিন্ন নৃশংস তথ্য। তার মরদেহ উদঘাটনে এখন তল্লাশি ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


দফায় দফায় বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম

প্রতিকেজি মসলা বেড়েছে ১০০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জুন, ২০২৪ ০০:০৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টির কারণে নাকাল দেশবাসী। এ অবস্থায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণ আর অজুহাতে বেসামাল হয়ে পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজার। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মাছ, মাংস, ডিম, আলুসহ সব সবজির দাম। অন্যদিকে, ঈদুল আজহা যত ঘনিয়ে আসছে, মসলার বাজার ততই অস্থির হয়ে উঠছে। ধাপে ধাপে বাড়ছে বিভিন্ন মসলার দাম। সবশেষ সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে বেড়েছে পেঁয়াজ, আদা-রসুনের দাম। পাশাপাশি এলাচ, লবঙ্গ ও জিরাও অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বাজারে বেড়েই চলেছে সবজির দাম। ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টির প্রভাবে সবজি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাজারে সবজির সরবরাহ কমেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানের বাজারগুলোতে সবজির দাম বেড়েই চলেছে।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, নয়াবাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, মালিবাগ কাঁচাবাজার ও রামপুরা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই জানা গেছে।

মসলার বাজার-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুরো মসলার বাজারই এখন সিন্ডিকেটের কবলে। গত এক সপ্তাহে জিরা, এলাচ ও লবঙ্গের মতো মসলার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে অস্বাভাবিকভাবে। অথচ এসব মসলা আমদানি হয়েছে তিন থেকে চার মাস আগে। চাহিদার বিপরীতে অতিরিক্ত আমদানি হওয়ায় এ মুহূর্তে বাজারে মসলার কোনো সংকট নেই। এরপরও মসলার প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি মসলা ১০০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই চাল-ডাল-আটাসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। সে তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে এলাচ দানা, জিরা, লবঙ্গ, মরিচ, হলুদ, ধনিয়াসহ বিভিন্ন প্রকারের মসলা।

বাজারে খুচরা ছোট এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৬০০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে এই এলাচ কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৫০০ টাকায়। আর ভালো মানের বড় এলাচ প্রতি কেজি ৪ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে তিন হাজার ৮০০ টাকায়।

লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লবঙ্গের দাম বেড়েছে প্রায় এক হাজার টাকা। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হয়েছে মান ভেদে ৫৫৭ টাকায়, যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। গোলমরিচ প্রতি কেজি হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ৮৫০ টাকায় বিক্রি হয়। প্রতি কেজি দারুচিনি ৭০০ টাকা, হলুদ ৩৫০ টাকা, কালিজিরা ৪০০ টাকা, কিশমিশ ৮০০ টাকা, তেজপাতা ১২০ টাকা আর সাদা সরিষা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। এসবের কেজি প্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি জয়ত্রী বিক্রি হচ্ছে পাঁচ হাজার টাকায়।

এদিকে, সবজির বাজারে ছোট সাইজের লাউ প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা করে অথচ গত সপ্তাহেও এর দাম ছিল ৩০ টাকার আশপাশে। এ ছাড়া ৫০ টাকার বেগুন প্রতি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে। প্রতি হালি কাঁচাকলা ৪০ টাকা, লাল শাক ২০ টাকা আঁটি, জালি কুমড়া ৪০ টাকা পিস, পুঁইশাক ৪০ টাকা আঁটি, কলমি শাক ১০ টাকা আঁটি, করলা ৬০ টাকা কেজি, লেবু ২৫-৩০ টাকা হালি, টমেটো ৭০ টাকা কেজি, পটল ৫০ টাকা কেজি, ঢেঁড়শ ৪০ টাকা কেজি, বরবটি ৭০ টাকা কেজি।

গত সপ্তাহে যে আলু বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ৫০ টাকা দরে তা গতকাল বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা দরে। এ ছাড়া আদা বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি দরে।

ফার্মের লাল লেয়ার মুরগির দাম ট্রিপল সেঞ্চুরি পার করে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকা করে। আর ব্রয়লার ২২০ টাকা। তবে আগের মতোই বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৮০০ টাকা কেজি আর খাসি ১১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারের চিত্রও একই। গত সপ্তাহের তুলনায় বাজারে মাছের সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে বেড়েছে মাছের দামও। এক কেজি ওজনের বড় ইলিশ ২ হাজার টাকা কেজি আর মাঝারি সাইজের ইলিশ ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা কেজি, কার্ফু মাছ ৩৫০ টাকা কেজি, রুই আকারভেদে ৩৫০-৪৫০ টাকা প্রতি কেজি, পাঙাশ ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০-২৪০ টাকা কেজি, বড় চিংড়ি কেজি ১১০০ টাকা, গুলশা মাছ ১০০০ টাকা কেজি, টেংরা ৮০০ টাকা কেজি, কই মাছ ২৫০ টাকা কেজি, শিং ৪০০ টাকা কেজি এবং কাচকি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজি দরে।

রাজধানীর নয়াবাজারের মসলা বিক্রেতা মো. শাকিল বলেন, ‘পাইকারি দোকান থেকে পণ্য কিনে এনে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করি। দাম বাড়তি থাকলে আমাদেরও বাড়তি দামে কিনতে হয়। বিক্রিও করতে হয় বাড়তি দামে। কিন্তু ক্রেতারা আমাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি করেন। অভিযান পরিচালনা হলেও আমাদের এসে জরিমানা করে। আমরা অনেক সমস্যায় আছি।’

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ‘প্রতিবছর রোজা ও রোজার ঈদ এমনকি কোরবানির ঈদে ব্যবসায়ীরা একেকটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে অতি মুনাফা করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। যেখানে ধর্মীয় উৎসবে ক্রেতাকে স্বস্তি দিতে অন্যান্য দেশ পণ্যের দাম কমায়, আর এ দেশে ব্যবসায়ীরা বাড়তি মুনাফা করতে পণ্যের দাম বাড়িয়ে ক্রেতাকে নাজেহাল করে। এটা কোনোভাবেই ঠিক না। আর এগুলো দেখার যথাযথ কর্তৃপক্ষ আছে, তারাও বাজারে তদারকি করছে। কিন্তু দাম কোনোভাবে ক্রেতাসহনীয় করা যাচ্ছে না। এ জন্য দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি তা প্রয়োগ করতে হবে। প্রয়োজনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।’

রাজধানীর মহাখালীর বাজারে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আশরাফুল আলম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রেমালের অজুহাতে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বিক্রেতারা। এখন বাজারে ৫০/৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। সবজিসহ অন্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে কষ্ট যেন কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। সবকিছুর বোঝা গিয়ে পড়ে সাধারণ ক্রেতার ওপর।’


প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমানকে ইসির তলব      

মো. মহিববুর রহমান। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমানকে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

শুক্রবার ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মোহম্মদ শাহজালাল প্রতিমন্ত্রীকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আপনি ৩১ মে পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়াঘাট নামক স্থানে ও চালতাবুনিয়া ইউনিয়নের চালতাবুনিয়া বাজারে ত্রাণ বিতরণকালে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ধাপে আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠেয় রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মু. সাইদুজ্জামান মামুন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রওশন মৃধা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বেগম ফেরদৌসী পারভীনের পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন, যা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।’

উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬-এর বিধি ২২ অনুসারে একজন সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে আপনার উল্লেখিত প্রচারণা বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ আচরণবিধি লঙ্ঘন। উল্লিখিত আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে আপনাকে দোষী সাব্যস্ত করে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, সে বিষয়ে আগামী ২ জুন, ২০২৪ তারিখ বিকেল ৩টায় নির্বাচন কমিশনে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে।

এদিকে পৃথক চিঠিতে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদেরও তলব করেছে ইসি। এ ক্ষেত্রে একই দিন বিকেল ৪টায় তাদের ইসিতে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।


কালকের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করলো এনবিআর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঢাকার অঞ্চল-২০-এর জন্য ১১১ পদে কর্মী নিয়োগে আগামীকাল শনিবার লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। তবে আদালতের আদেশে শনিবারের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করেছে এনবিআর।

শুক্রবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ এ মুনেম।

তিনি বলেন, ‘আগামীকালকের ঢাকার কর অঞ্চল-২০ এর একটি নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উচ্চ আদালতের এক নির্দেশনা এসেছে। নিদের্শনা মানতে পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর।’

এক বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানায়, গ্রেড-১৩ থেকে গ্রেড-২০-এ নিয়োগের জন্য এই লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে কম্পিউটার অপারেটর পদে একটি, প্রধান সহকারী ১৭টি, উচ্চমান সহকারী পদে ২০টি, সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে ২০টি, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে ২১টি এবং অফিস সহায়ক পদে ২৩টি শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।


ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাতকে নিয়ে শফিকুর রহমানের মিথ্যাচার

মুহম্মদ শফিকুর রহমান।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান শিল্পোদ্যোক্তা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিক্ষানুরাগী ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাতকে নিয়ে একজন সাবেক সাংবাদিকের কিছু অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্ক্ষিত, কল্পনাপ্রসূত এবং সর্বৈব মিথ্যা বক্তব্য নিয়ে দু-একটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। সিটিজেন টিভির চেয়ারম্যান পরিচয়ে মুহম্মদ শফিকুর রহমান এমপি একটি কাল্পনিক গল্পের অবতারণা করেছেন।

ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত একজন অত্যন্ত সজ্জন ও পরিশ্রমী ব্যবসায়ী। দেশ-বিদেশে তার যে সুনাম ও সুখ্যাতি রয়েছে তা বিনষ্ট করার হীন উদ্দেশ্যে শফিকুর রহমান এই জঘন্য অপপ্রচারে নেমেছেন। শফিকুর রহমান যে কল্পকাহিনি রচনা করেছেন তা শুধু মিথ্যাই নয়, হাস্যকর এবং নিন্দনীয়।

একজন স্বনামধন্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য প্রচার সম্পূর্ণ আইনবহির্ভূত একটি গর্হিত কাজ। শফিকুর রহমান তার ওই অযাচিত বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

শফিকুর রহমানের গল্পটা পড়লেই বোঝা যায়, এটা সম্পূর্ণ বানোয়াট। তিনি বলতে চেয়েছেন হঠাৎ এক দিন গভীর রাতে চৌধুরী নাফিজ সরাফাত

তাকে (শফিকুর রহমান) তার বনানীর বাড়ি থেকে তুলে ওয়েস্টিন হোটেলে নিয়ে গিয়ে জোর করে তার স্বাক্ষর নিয়ে সিটিজেন টিভির শেয়ার লিখে নেন।

কোনো একজন ব্যক্তির পক্ষে অপর একজন ব্যক্তির বাসায় গিয়ে তাকে তার নিজ বাসা থেকে তুলে নেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয় এবং এটা বিশ্বাসযোগ্যও নয়। আর শফিকুর রহমানের মতো একজন চতুর সাংবাদিককে তো নয়ই। শফিকুর রহমান এতটা নির্বোধ নন যে, তাকে কেউ কোনো কাগজ দিলেই তিনি না পড়ে সই করে দেবেন। অথচ ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত কখনোই উক্ত শফিকুর রহমানের বাসায় যাননি। যাওয়ার কোনো প্রয়োজনই ছিল না। এই একটি ঘটনা থেকেই বোঝা যায় কতটা বানোয়াট এবং অপরিপক্ব গল্প সাজিয়েছেন তিনি।

ওয়েস্টিন একটি আন্তর্জাতিক হোটেল চেইন, কারও পক্ষেই কাউকে অপহরণ করে সেখানে নেওয়া সম্ভব নয়। অনেক মানুষ থাকার জন্য এবং ব্যবসায়িক মিটিংয়ের নিরাপদ স্থান হিসেবে ওয়েস্টিনের মতো পাঁচ তারকা হোটেলকে বেছে নেয়। সুতরাং তিনি এই বিশ্বমানের হোটেল চেইনেরও সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছেন।

একজন উগ্র মস্তিষ্কের মানুষ হিসেবে সাংবাদিক মহলে সমধিক পরিচিত শফিকুর রহমান জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে অহরহ দুর্ব্যবহার করে থাকেন বলে একাধিক সাংবাদিক এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।

২০১৮ সালে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে চাঁদপুরে নিজ নির্বাচনী এলাকায় তার মেয়ের জামাইকে দিয়ে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

একজন চাকরিজীবী সাংবাদিক হয়েও শেয়ারবাজারে রয়েছে তার শতকোটি টাকার বাণিজ্য। নামে-বেনামে বহু ব্যাংকে তার অসংখ্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকার অভিযোগও রয়েছে। সাংবাদিকতার অনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে তিনি শেয়ার মার্কেটে একটি ব্রোকারেজ হাউসের মালিক হয়েছেন।

শফিকুর রহমান জোর করে পথে প্রান্তরে নামে একটি পত্রিকা দখল করেছিলেন। পত্রিকাটির মালিক সাবেক সাংবাদিক ফিরোজ মান্না। ২০২৩ সালের ৮ জুন সদলবলে পত্রিকাটির অফিসে গিয়ে মান্নাকে জিম্মি করে জয়েন স্টক কোম্পানির কাগজে স্বাক্ষর নেন তিনি। মান্না পরে জয়েন্ট স্টক ও ডিসি অফিসে আপত্তি দেন। এ নিয়ে তিনি ডিইউজে ও বিএফইউজেতেও অভিযোগ করেন। গত ৫ অক্টোবর ডিসি অফিস এটা নিয়ে শুনানির জন্য ডাকলে শফিকুর রহমান লোকজন নিয়ে সেখানে মান্নাকে মারধর করেন।

সাংবাদিক ও সংসদ সদস্য শফিকুর রহমানের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে বিব্রত প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরাও। সংগঠনটির একাধিক সিনিয়র সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিবেদককে বলেন, শফিকুর রহমান মূলত জামায়াতঘেঁষা। জামায়াতের মালিকানাধীন অধুনা বিলুপ্ত বিতর্কিত টেলিভিশন দিগন্ত টিভির টকশোতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ফোরাম থেকে তিনিই প্রথম অংশ নিয়েছিলেন। এ ছাড়া সভাপতি থাকাকালীন তিনি অনেক জামায়াতপন্থিকে প্রেসক্লাবের সদস্য করেছেন।

শফিকুর রহমান সম্পর্কে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাংবাদিক জানান, ‘এই রগচটা এবং উগ্র মেজাজের মানুষটির কাজই হচ্ছে সম্মানিত মানুষদের অসম্মান করে কথা বলা এবং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করা।’

বিগত জাতীয় প্রেসক্লাব নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের (আওয়ামী লীগপন্থি) প্যানেলের বিপক্ষে কাজ করার অভিযোগও করেন তিনি শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে। তিনি আরও বলেন, নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য তিনি (শফিকুর রহমান) যেকোনো আদর্শের পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান নিতে একটুও দ্বিধা করেন না। এ রকম নীতিহীন মানুষের পক্ষে যেকোনো কাজ করা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অভিযোগ রয়েছে, নিজ সংসদীয় আসন চাঁদপুর-৪-এ নেতা-কর্মীদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে মদদ দেন তিনি। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার পর শফিকুর রহমানের সমর্থকদের সঙ্গে জাহিদুলের সমর্থকদের একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

দলীয় সূত্র জানায়, উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে জাহিদুলের লোকজনের প্রাধান্য পাওয়ায় শফিকুর রহমানের পক্ষ পাল্টা কমিটি দেয়।

ঢাকার অভিজাত এলাকায় অত্যাধুনিক বাড়ির মালিক শফিকুর রহমান। এমনকি তার মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। প্রথমবার সংসদ সদস্য হওয়ার পর তিনি মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট নেন।

শফিকুর রহমান মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন। তিনি দাবি করেন, তিনি মাদ্রাসায় ছাত্রলীগ করেছেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো মাদ্রাসায় তখন ছাত্রলীগের সংগঠন বা কার্যক্রম ছিল না।


‘পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগ করলে সমবায় সমিতিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়া হবে’

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুক্রবার মেট্রোপলিটন খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেডের ৩৬তম বার্ষিক সাধারণ সভায় বক্তব্য দেন বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, ‘কোনো সমবায় সমিতি পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগ করলে তাদেরকে বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়া হবে।’

আজ শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেট্রোপলিটন খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেডের ৩৬তম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘সমবায় সমিতিগুলো বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন খাতের বিভিন্ন বিষয়ে বিনিয়োগ করতে পারে। এতে যেমন সমিতিগুলোর আয় বৃদ্ধি পাবে, অপরদিকে তারা দেশের পর্যটন শিল্পের প্রসারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ পাবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে দেশের প্রচলিত সকল আইনকে যুগোপযোগী করার পদক্ষেপ নিয়েছেন। তার অংশ হিসেবে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় কর্তৃক সমবায় সম্পর্কিত আইন ও বিধি রিভিউ করার যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা একটি ভাল উদ্যোগ।’

ফারুক খান বলেন, ‘সমবায় সমিতি ভালোভাবে চলার জন্য এর প্রত্যেক সদস্যের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সমিতিগুলোকে সফল করতে হলে এর সদস্য ও তাদের সন্তানদের মধ্যে থেকে উচ্চ শিক্ষিত এবং প্রশিক্ষিত নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে। মেট্রোপলিটন খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেডের সফলতা দেখে অন্যরাও সমবায় সম্পর্কে আগ্রহী হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।’

মেট্রোপলিটন খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেডের সভাপতি অগাস্টিন পিউরিফিকেশনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী মো. আব্দুল ওয়াদুদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মো. আখতারুজ্জামান ও অনিমা মুক্তি গোমেজ।


‘রাজনীতির নামে জনবিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে ব্যবস্থা’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড যদি জনবিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, তাহলে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের নবনিযুক্ত সচিব জাহাংগীর আলম।

আজ শুক্রবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

নবনিযুক্ত সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, রাজনীতি একটা বিষয়, জনশৃঙ্খলা আরেকটি বিষয়। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের কর্মকাণ্ড শান্তিপূর্ণভাবে যেকোনো জায়গায় করতে পারে। কিন্তু এতে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। তবে কোনো দলের কর্মকাণ্ডে যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় তাহলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নতুন সচিব আরও বলেন, ‘আমি অবশ্যই চেষ্টা করব যাতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জনগণের জানমালের কোনো ক্ষয়ক্ষতি না ঘটে। সে ক্ষেত্রে বাহিনীগুলোকে যথাযথভাবে প্রয়োগ করে আইনের মাধ্যমে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখব। কারণ জননিরাপত্তা বিভাগের মূল কাজ হলো জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।’

এর আগে, তিনি জাতির পিতার সমাধি সৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে ফাতেহা পাঠ শেষে বঙ্গবন্ধুসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মউৎসর্গকারী সব শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রেজাউল মোস্তফা, যুগ্ম সচিব আবুল ফজল মীর, ধনঞ্জয় কুমার দাস, উপ-সচিব জাহিদ হাসান, মাহবুব রহমান শেখ, গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আল-বেলী আফিফা, স্থানীয় সরকার বিভাগ গোপালগঞ্জের উপ-পরিচালক আজহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. গোলাম কবির, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. বাবুল শেখ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইলিয়াস হোসেন, পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।


“আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীর ‘হাব’ হতে পারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প”

শুক্রবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীর হাব তৈরি হতে পারে। মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের নিয়ে আগে থেকে করা আশঙ্কার কিছু কিছু আলামত দেখা যাচ্ছে।’

আজ শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যারা যুদ্ধ করছে তাদের কয়েকজনের আনাগোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দেখা যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় ভয়ের বিষয় হচ্ছে আমাদের দেশ কোনো মাদক উৎপাদন করে না। কিন্তু মিয়ানমার থেকে মাদক আসছে অনেক আগে থেকে। এখন ক্যাম্পের কিছু সংখ্যক লোক মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। আমরা তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। একই সঙ্গে অস্ত্র ও খুনে জড়িতদেরও চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। এদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নেওয়াই আমাদের মূল কাজ।’

তিনি বলেন, ‘আজ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসে নিরাপত্তায় নিয়োজিত এপিবিএনের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তাদের চ্যালেঞ্জগুলো জেনেছি। জেনেছি তাদের সুবিধা-অসুবিধাগুলো। তাদের বলেছি বাংলাদেশ একটি ইতিহাস সৃষ্টি করেছে জঙ্গি-সন্ত্রাস দমনের মধ্য দিয়ে। এপিবিএন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা দিয়ে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ায় সহযোগিতা করছে। এপিবিএন তাদের দায়িত্ব পালন করছে বলেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ এবং নিয়ন্ত্রিত।’

মিয়ানমারের কথা ও কাজে মিল নেই উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ফেরত পাঠানো নিয়ে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। মিয়ানমার একটি অস্থিতিশীল দেশ। ওখানে যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা। বিভিন্ন সময় মিয়ানমারের সঙ্গে রোহিঙ্গা ফেরত নিয়ে নানা চুক্তি বা সমঝোতায় স্বাক্ষর হলেও তা মিয়ানমারের কারণে অগ্রগতি হয়নি। আশা করি মিয়ানমার দ্রুত সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে।’

এ সময় পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান, এপিবিএন প্রধান সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক আনোয়ার হোসেন, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, ৮ এপিবিএনের অধিনায়ক মো. আমির জাফর, ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক মো. ইকবাল, ১৬ এপিবিএনের অধিনায়ক হাসান বারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


ভালো কাজের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জনগণ উপকৃত হয়: ধর্মমন্ত্রী

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, ‘ভালো কাজের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জনগণ উপকৃত হয়। এর ফলে দেশ ও জাতির উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়ে থাকে।’

আজ শুক্রবার জামালপুরের ইসলামপুরে পচাবহলা জামেদ আলী দাখিল মাদ্রাসা মাঠে ‘সোনার তরী সমাজসেবা সংঘ’ আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। আমাদের সংবিধানে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণার বৈপ্লবিক সূচনা হয়েছিল। তিনি জনস্বাস্থ্য ও জনগণের পুষ্টি স্তর উন্নত করার অঙ্গীকার নিয়ে স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন।’

স্বাস্থ্যখাতে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথমবার সরকার গঠন করেই দেশের সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেন। পরবর্তীতে ক্ষমতায় এসে বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকার সেগুলো বন্ধ করে দেয়। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় কমিউনিটি চালু করে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দ্বার উন্মোচন করেন। এর ফলে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালেই প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে গেছে। এই কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো থেকে বর্তমানে প্রায় ৩২ ধরনের ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।’

ধর্মমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে গত দেড় দশকে স্বাস্থ্য অবকাঠামো খাতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। ৩১ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতালগুলোকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। এ ছাড়া ৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালগুলোকে ১০০ শয্যা এবং কোথাও কোথাও ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দিয়ে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যখাতের নানামুখী উন্নয়নের ফলে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার কমেছে। মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ এমডিজির অভীষ্ট অর্জনে লক্ষণীয় সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে।’

সোনার তরী সমাজসেবা সংঘের সভাপতি মো. মোরশেদুর রহমান খান মাসুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সিরাজুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার অভিজিৎ দাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস ছালাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আব্দুল খালেক আকন্দ, সন্ধানী স্পেশালাইজড হসপিটাল (প্রা.) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাহিদুল ইসলাম রবিউল প্রমুখ বক্তব্য দেন।

পরে ধর্মমন্ত্রী নিজের স্বাস্থ্য চেক-আপ-এর মধ্য দিয়ে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের চিকিৎসা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।


খালেদা জিয়া কেন জিয়া হত্যার বিচার করেননি, প্রশ্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

দুটি পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় থেকেও বিএনপি তথা খালেদা জিয়া কেন জিয়াউর রহমান হত্যার বিচার করেননি। সেই প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

স্থানীয় সময় শুক্রবার নিউইয়র্কের গুলশান টেরাসে ‘নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগ’ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই প্রশ্ন রাখেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি ৩০ মে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুদিবসে নানা বক্তব্য দেয়। কিন্তু তারা ক্ষমতায় থেকেও এই হত্যার বিচার করেননি, বরং এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা।’

ফলে জিয়া হত্যায় তার কাছের ও পরিবারের কারো হাত ছিল কি না সে প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ উল্লেখ করে হাছান বলেন, ‘কারণ জিয়া হত্যায় তার পরিবার যেভাবে লাভবান হয়েছিল তা নজিরবিহীন। বেগম জিয়া পেয়েছিলেন ৭ একর জমির ওপর বাড়ি ও বিপুল ব্যাংক সুবিধা আর জাতিকে দেখানো জিয়াউর রহমানের ভাঙা ব্রিফকেস থেকে পরে বেরিয়ে এসেছিল বহু জাহাজ ও ব্যবসা-বাণিজ্য।’

এ সময় বারবার মৃত্যু উপত্যকা থেকে ফিরে এসে জনগণের জন্য সংগ্রামে অবিচল বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ও দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রুখতে সকলকে তৎপর ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমলের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবদুস সামাদ আজাদ, যুক্তরাষ্ট্রের আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে নিজাম চৌধুরী ও ফজলুর রহমান।


বাংলাদেশ জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার: জাতিসংঘ মহাসচিব

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশকে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বলে মনে করেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

আজ শুক্রবার ঢাকায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে যুক্তরাষ্ট্র সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি একথা বলেন।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা, টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাসহ জাতিসংঘের অনেক কর্মযজ্ঞে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে এবং সেই কারণেই আমরা বাংলাদেশকে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসাবে বিবেচনা করি।’

জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশের উদারতার জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি, বিশেষ করে সে দেশের সেনাবাহিনী তরুণ রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক নিয়োগ করার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠকে মহাসচিব জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে বাংলাদেশের অভিযোজন ও প্রতিকূলতা মোকাবিলার সক্ষমতার প্রশংসা করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান নিম্ন আয়ের দেশের কাতার থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জাতিসংঘের সহযোগিতা কামনা করলে গুতেরেস এই বিষয়ে বিশ্বসংস্থার পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে বলেন, ‘এই জন্য বাংলাদেশকে পুরস্কৃত করা উচিত, শাস্তিদান নয়’।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান ফিলিস্তিনের গাজায় সংঘাতসহ চলমান বিশ্বের কঠিন চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় মহাসচিবকে তার নেতৃত্বের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ‘রাফায় সংঘাত এড়াতে সেখানে জাতিসংঘ মহাসচিব যেভাবে নিজে উপস্থিত হয়েছিলেন, শান্তিপ্রিয় বিশ্ববাসী তার প্রশংসা করেছে।’

এই সময় রোহিঙ্গা সঙ্কটের ওপর বিশ্বের আলোকপাত বজায় রাখা, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গার মর্যাদার সাথে নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন এবং মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতময় পরিস্থিতির উন্নতিকল্পে জাতিসংঘের জোরদার ভূমিকা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

জাতিসংঘ মহাসচিব গত দশকে বাংলাদেশের অসামান্য অগ্রগতির প্রশংসা করলে ড. হাছান মহাসচিব গুতেরেসকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি ও দক্ষ নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশ অনেক আগেই সামাজিক, অর্থনৈতিক, মানবিক সূচকসহ সকল সূচকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে এবং গত কয়েক বছরে অনেক সূচকে ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২১ সালে মাথাপিছু আয়েও ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান গত ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের দৃঢ় অংশীদারিত্ব এবং উন্নয়নে সহায়তার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশের জাতিসংঘে যোগদানের অর্ধশত বছরপূর্তিতে গুতেরেসকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসঙ্গীরা ও মিশনের কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়:

আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবসে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশ ও অস্ট্রিয়ার যৌথ অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আজ শুক্রবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সর্বোচ্চ অবদান রাখা বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন ও সহযোগিতার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বৈদেশিক নীতি অনুযায়ী বাংলাদেশ সবসময় শান্তির প্রচেষ্টায় জাতিসংঘের অগ্রভাগে রয়েছে। বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় অত্যন্ত আন্তরিকতা, পেশাদারিত্ব এবং নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।”

শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে এই যাবৎ নিহত সকলের পরিবার ও স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বময় সংঘাত ও সহিংসতার ক্রমাগত বৃদ্ধি শান্তির জন্য ক্রমবর্ধমান হুমকি এবং এ কারণে শান্তিরক্ষা কার্যক্রম জোরদার করার বিকল্প নেই।’

বক্তব্য শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের আন্ডার-সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ-পিয়েরে ল্যাক্রোইক্স এবং অস্ট্রিয়ার চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স স্টেফান প্রিটেরহফারকে সঙ্গে নিয়ে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য ২০২৩ সালে ৩৪টি দেশের ৬৪ জন আত্মদানকারী সামরিক, পুলিশ এবং বেসামরিক শান্তিরক্ষীর নামফলকে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

অনুষ্ঠানের আগে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছ থেকে ২০২৩ সালে শহিদ বাংলাদেশের দুই শান্তিরক্ষীর পক্ষে ‘দাগ হ্যামারশোল্ড পদক’ গ্রহণ করেন।

এদিকে বিকেলে জাতিসংঘ সদর দফতরের ওআইসি সম্মেলন কক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ নিউইয়র্কে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদেরকে মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন।

রোহিঙ্গাদের দুর্দশা নিরসনে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার অগ্রভাগে থাকার জন্য তিনি ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার প্রশংসা করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘাত বৃদ্ধির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন ও মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গার পূর্ণ নাগরিক অধিকারসহ তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টায় ওআইসি রাষ্ট্রদূতদের সংহতি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

ওআইসিভুক্ত দেশ সৌদি আরব, গাম্বিয়া, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, তুর্কি, ইরান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আলজেরিয়া, মিশর, ইন্দোনেশিয়ার জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধিরা সময়োপযোগী এই ব্রিফিংয়ের জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তারা উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদারতার প্রশংসা করেন ও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন।

৩০ মে থেকে দুই দিনের সরকারি সফরে নিউইয়র্কে অবস্থানরত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আরও বৈঠকে মিলিত হবেন।


‘এমপি আনার হত্যার তদন্তে সহযোগিতা করবে ভারত’

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

এমপি আনার হত্যা তদন্তে বাংলাদেশকে পূর্ণ সহযোগিতা দেবে ভারত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ঝিনাইদহ–৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের হত্যাকাণ্ডের তদন্তের অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে তারা পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে জয়সওয়াল এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের দিক থেকে সরকার এ বিষয়ে চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ পক্ষকে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছে। এই বিশেষ মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে এবং বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সমন্বয় করছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য বিনিময় করা হচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতের পশ্চিবঙ্গে যান এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার। সেদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে কলকাতায় তার পারিবারিক বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের সঙ্গে দেখা করতে যান। পরের দিন, ১৩ মে চিকিৎসক দেখাতে হবে জানিয়ে দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে গোপালের বাড়ি থেকে বের হন আনার। সন্ধ্যায় ফিরবেন বলেও জানান তিনি। পরে বিধান পার্কের কাছে কলকাতা পাবলিক স্কুলের সামনে থেকে ট্যাক্সিতে উঠেছিলেন তিনি।

বিষয়:

banner close