মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪

আইনের মাধ্যমে চিকিৎসকদের ফি কত হবে তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে:স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশিত
কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ২২:১৬

চিকিৎসকদের রোগী দেখার সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হবে এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনের মাধ্যমে চিকিৎসকদের ফি কত হবে সেটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা সদরে জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

এ সময় তিনি রোগীদের চিকিৎসাসেবা ঠিকমতো পাওয়ার বিষয়ে জোর দিয়ে বলেন, ‘জীবন চলে গেলে আর ফিরে আসে না। যার যায়, সে জানে। জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা করতে দেওয়া হবে না।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘হাসপাতালগুলোতে পরিদর্শন করে, সার্ভে করে কী কী যন্ত্রপাতি কেনা লাগবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা সরকারি হাসপাতালে হচ্ছে সেগুলো হবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্যদের নিজ নিজ এলাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলো মনিটরিং করার আহ্বান জানান।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা-৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, চান্দিনা আসনের সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. তাহসীন বাহার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলম ও কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার। এর আগে সামন্ত লাল সেন কুমিল্লা পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বোর্ডে কুমিল্লাসহ ছয় জেলার সব সিভিল সার্জন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রধান ও চিকিৎসক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা সভায় অংশ নেন।


শিশুশ্রম নিরসনে সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশ ও শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করাসহ শিশুশ্রম নিরসনে প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আগামীকাল ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশুশ্রম নিরসনে একযোগে কাজ করার এখনই সময়। এসডিজি ৮.৭ অর্জনে শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বাস করতেন আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, শিশুরাই তার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। এই ভাবনা থেকেই জাতিসংঘ শিশু সনদের ১৫ বছর আগে ১৯৭৪ সালে তিনি জাতীয় শিশু নীতি প্রণয়ন করেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের শিশু, নারী ও অনগ্রসর অংশসহ প্রতিটি মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, কর্মের স্থিতিশীলতা, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণ ও অধিকার সংরক্ষণকে বিশেষ গুরুত্ব দেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থাতে (আইএলও) যোগ দেয়। শিশু শিক্ষার বিকাশ নিশ্চিত করতে তিনি প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে শিশুসহ সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের ২৮(৪) অনুচ্ছেদে নারী, শিশু ও সমাজের অনগ্রসর অংশের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান প্রণয়নের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধান ও জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশে শিশু শ্রম প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে।

তিনি বলেন, শ্রমজীবী শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে প্রত্যাহারের লক্ষ্যে আমরা ‘জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি-২০১০’ প্রণয়ন করেছি। এ নীতি বাস্তবায়নে জাতীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদ, উপজেলা শিশুশ্রম পরিবীক্ষণ কমিটি, জেলা শিশুশ্রম পরিবীক্ষণ কমিটি এবং বিভাগীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদ গঠন করা হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় শিশুদের জন্য ৪৩টি কাজকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হিসেবে চিহ্নিত করে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে।

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯০ হাজার শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হতে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আইএলও কনভেনশন অনুযায়ী শিশুশ্রম নিরসনের লক্ষ্যে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘শিশুশ্রম নিরসন ও পুনর্বাসন প্রকল্প’ নামে মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে যা এবছর শেষ হবে। গৃহকর্মে শিশুশ্রম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি-২০১৫’।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অনুযায়ী আমরা দেশকে সকল ধরনের শিশুশ্রম থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০২১-২৫ প্রণয়ন করেছি এবং এটি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের সরকার ‘জাতীয় শিশুনীতি-২০১১’, ‘শিশু আইন-২০১৩’, ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭’ প্রণয়ন করেছে। এ ছাড়া সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের পুনর্বাসন এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের বিকাশে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বছরের শুরুতে বিনামূল্যে নতুন বই প্রদান করা হচ্ছে। প্রায় শতভাগ শিশু আজ স্কুলে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা শিশু ও তাদের পরিবারের সহায়তায় বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এর মধ্যে রয়েছে শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ, শিশু সংবেদনশীল সামাজিক সুরক্ষা নীতি প্রণয়ন এবং পারিবারিক আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে সমাজ ভিত্তিক শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করা। এ ছাড়া শিশুশ্রম নিরসনে আমরা বেসরকারি খাতগুলোকে সম্পৃক্ত করেছি। সহিংসতা ও শোষণ থেকে শিশুদের সুরক্ষা সম্পর্কে নিয়োগদাতাদের প্রশিক্ষিত করার বিষয়টিতে আমরা অগ্রাধিকার দিয়েছি।

আগামীকাল বুধবার বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হল ‘শিশুশ্রম বন্ধ করি, প্রতিশ্রুতি রক্ষা করি।’


মূলহোতা বিমানে, সাগরেদ পর্যটক এক্সপ্রেসে, ইয়াবা চালান এল কুরিয়ারে

আপডেটেড ১১ জুন, ২০২৪ ২০:২৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইয়াবা পাচারকারী দলের নেতা এলেন বিমানে, সাগরেদ এলেন পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনে আর এসএ পরিবহনের কুরিয়ারে এল মাদকের চালান। ১২ হাজার ইয়াবার এমনই একটি চালানসহ ৩ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিপ্তর (ডিএনসি)।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন, চক্রের মূলহোতা মো. নুরুল হুদা (৩৮), তার সহযোগী মো. মোক্তার (৩৭) ও মো. রনি শেখ (৩১)। গত রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অভিযান চালিয়ে রাজধানীর মতিঝিল, বিমানবন্দর এবং মালিটোলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় ১২ হাজার ইয়াবা।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে ডিএনসির ঢাকা মেট্রো (দক্ষিণ) কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুব্রত সরকার শুভ দৈনিক বাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ডিএনসি কর্মকর্তা জানান, গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়, কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ১২ হাজার ইয়াবার একটি চালান তিনটি মাধ্যমে ঢাকায় আসবে। এ তথ্যে গত রোববার সকালে রাজধানীর মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে কক্সবাজার থেকে পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনে আসা মো. মোক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছে থাকা শুঁটকি মাছের ব্যাগের ভেতরে লুকানো ৪ হাজার ইয়াবা জব্দ করা হয়।

পরে তার দেওয়া তথ্যে এপিবিএন-১৩ এর সহযোগিতায় সোমবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১ নম্বর টার্মিনালের সামনে থেকে মো.নুরুল হুদাকে চার হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মোক্তার ও নুরুল হুদার তথ্য বিশ্লেষণ করে মঙ্গলবার বিকেলে মালিটোলা এলাকায় এসএ পরিবহন প্রাইভেট লিমিটেডে অভিযান চালানো হয়।

এ সময় পানির মটরের ভেতরে লুকিয়ে পাচার করার সময় ৪ হাজার ইয়াবাসহ মো. রনি শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা জানান, মো. মোক্তার, মো. নুরুল হুদা এবং মো. রনি শেখ একটি সংঘবদ্ধ ইয়াবা পাচার চক্রের সদস্য। নুরুল হুদা এ চক্রের অন্যতম হোতা।

তিনি বিমানে ইয়াবার একটি অংশ পাচার করে এবং তার সহযোগিরা ট্রেন ও কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবহার করে ইয়াবার বাকি চালান ঢাকায় পাঠায়। চালানটি ঢাকা ও বাগেরহাটে যাচ্ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইননে মতিঝিল ও বিমানবন্দর থানায় দুটি এবং বংশাল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের অন্যান্য সদস্যকে আটক করতে অভিযান চলমান রয়েছে। এই অপরাধের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড বলে উল্লেখ করেন এই ডিএনসি কর্মকর্তা।


ব্যবসায়িদের নিয়ম-নীতি মেনে কার্যক্রম পরিচালনার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়িদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে জনগণের যাতে ভোগান্তি না বাড়ে সেদিকে খেয়াল রাখার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

চার দিনব্যাপী পাবনা সফরের তৃতীয় দিনে আজ মঙ্গলবার দুপুরে পাবনা সার্কিট হাউসে জেলার চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, নিয়ম নীতি মেনে ব্যবসা করলে সরকার সবসময় ব্যবসায়িদের পাশে থাকবে। সরকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণে ব্যবসায়িদের পরামর্শ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে।

ব্যবসায়িরা নিয়ম নীতি মেনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী মন্দা বিরাজ করছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের যুগোপযোগী ও সাহসী সিদ্ধান্ত এবং ব্যবসায়িদের সহযোগিতায় বাংলাদেশের অর্থনীতি সচল রয়েছে বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।

ইতোমধ্যে সরকারের প্রস্তাবিত ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট বাস্তবায়নে ব্যবসায়িদের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।

এ ছাড়া, তিনি পাবনার কৃষি, শিল্পসহ বিভিন্ন খাতের ঐতিহ্য ও বাণিজ্যিক সম্ভাবনা তুলে ধরেন।

রাষ্ট্রপতি ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে বিদ্যমান এসব সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে কার্যকারী পদক্ষেপ নেওয়ারও আহ্বান জানান।

মতবিনিময়কালে পাবনা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সাইফুল আলম স্বপন চৌধুরী তাদের কার্যক্রম এবং পাবনার ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।

অন্যদিকে সোমবার রাতে পাবনা প্রেস ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে আনন্দ আড্ডা দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

এ সময় তিনি বলেন, পাবনা প্রেস ক্লাব ও পাবনার সাংবাদিকতার সঙ্গে আমার জন্ম জন্মান্তরের সম্পর্ক। আমি প্রাণ দিয়ে যে সব প্রতিষ্ঠানকে লালন করি তার মধ্যে পাবনা প্রেস ক্লাব অন্যতম। এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি পাবনা জেলার উন্নয়নে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই। এ জন্য কোনো সমালোচনা বা পিছু কথা আমি মনে রাখি না। আমি আমার সাধ্যমতো জেলার উন্নয়নে কাজ করব। আমি ইছামতি নদীর সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে দিয়েছি। যাতে করে একটি দৃষ্টিনন্দন শহর হয়। আমি ৫০০ বেডের পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছি। প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক সহায়তায় পাবনার উন্নয়নে আমি কাজ করে যাব।

তিনি আরও বলেন, আমি পাবনা প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য। প্রেস ক্লাবের নিজস্ব ভবন তৈরিতে আমার সার্বিক সহায়তা থাকবে। এ জন্য যাকে বলা দরকার আমি তাদের বলব।

পাবনা প্রেস ক্লাব সভাপতি এ বি এম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গভবনের সচিব ওবায়দুজ্জামান খান, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মো. আদিল উদ্দিন, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, পাবনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম রবি, সাবেক সভাপতি প্রফেসর শিবজিত নাগ, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি মীর্জা আজাদ, সহসভাপতি শহীদুর রহমান শহীদ, পাবনা প্রেস ক্লাব সাবেক সম্পাদক আব্দুল মতীন খান, সাবেক সম্পাদক উৎপল মির্জা, সাবেক সম্পাদক আখিনুর ইসলাম রেমন প্রমুখ।

এর আগে রাষ্ট্রপতি পাবনা ডায়বেটিক সমিতি, লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, প্যারাডাইস মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে কিছু সময় কাটান।

গত রোববার (৯ জুন) দুপুরে হেলিকপ্টারযোগে চার দিনের সফরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন পাবনার শহীদ আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে পৌঁছান। পরে সেখান থেকে সড়কপথে পাবনা সার্কিট হাউসে যান তিনি। রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর পাবনায় এটি তার চতুর্থ সফর। রাষ্ট্রপতি তাঁর কর্মসূচি অনুযায়ী আজ বুধবার (১২ জুন) ১১টা ৪০ মিনিটে পাবনা থেকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।


‘কারাগার থেকে কারামুক্তি: বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১১ জুন, ২০২৪ ১৮:৪২
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে ‘কারাগার থেকে কারামুক্তি: বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়কের নামে বিদেশি অশুভ শক্তি ও সামরিক মদদপুষ্ট সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কারারুদ্ধ করে বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল। তাদের ষড়যন্ত্র বহু আগে থেকেই শুরু হয়েছিল। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী ছিল তারা রাজাকার, আলবদর, আল শামছসহ বিভিন্ন বাহিনীর ব্যানারে এ দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তারা তাদের ষড়যন্ত্রের বাস্তবায়ন করেছিল।’

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।

এ ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাস, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ আসকারী, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুর রব খান, সংরক্ষিত মহিলা আসনের (গোপালগঞ্জ) সংসদ সদস্য বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজমা আক্তার, বঙ্গবন্ধু গবেষক এবং দৈনিক বাংলা ও নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমের নির্বাহী পরিচালক মেজর মো. আফিজুর রহমান (অব) প্রমুখ সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়:

ঈদুল আজহায় বায়তুল মোকাররম মসজিদে ৫ জামাত

ফাইল ছবিটি সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সারা দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা আগামী ১৭ জুন (সোমবার) অনুষ্ঠিত হবে। মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় এ উৎসবে ঈদগাহ ও মসজিদে মুসল্লিরা দুই রাকাত ঈদের ওয়াজিব নামাজ আদায় করবেন। প্রতি বছরের মতো এবারও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

আজ মঙ্গলবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ঈদুল আজহার দিন সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টা, ১০টা ও ১০টা ৪৫ মিনিটে বায়তুল মোকাররমে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

প্রথম জামাত হবে সকাল ৭টায়। এতে ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররমের অবসরপ্রাপ্ত মুয়াজ্জিন হাফেজ ক্বারী মো. আতাউর রহমান।

দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহীউদ্দিন কাসেম এতে ইমামতি করবেন। মুকাব্বির হবেন মসজিদের খাদেম আব্দুল হাদী।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী সকাল ৯টায় তৃতীয় জামাতে ইমামতি করবেন। মুকাব্বির হবেন মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

চতুর্থ জামাত হবে সকাল ১০টায়। এ জামাতে ইমাম হবেন জামেয়া আরাবিয়া মিরপুরের মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম রুহুল আমিন এ জামাতে মুকাব্বির থাকবেন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এ জামাতে ইমামতি করবেন। তার সঙ্গে মুকাব্বির থাকবেন খাদেম মো. আক্তার মিয়া।

এ পাঁচটি জামাতে কোনো ইমাম উপস্থিত না থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন হাইকোর্ট মাজার মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. আশরাফুল ইসলাম।


নেপাল থেকে বিদ্যুৎ কিনবে সরকার

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ৫ বছরের জন্য ভারতের জাতীয় গ্রিড ব্যবহার করে এই বিদ্যুৎ আমদানি করবে বাংলাদেশ।

সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে আজ মঙ্গলবার এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের দাম পড়বে ৮ টাকা ১৭ পয়সা। বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হবে। কারণ, বিদ্যুৎ নেপালের, আসবে ভারতের সঞ্চালন লাইন হয়ে।

মাহমুদুল হোসাইন খান আরও বলেন, ৫ বছরের জন্য চুক্তি করা হবে। প্রতিবছর আনুমানিক ১৩০ কোটি টাকা লাগবে। এতে পাঁচ বছরে আনুমানিক ব্যয় হবে ৬৫০ কোটি টাকা। ভারতের গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশের ভেড়ামারায় জাতীয় গ্রিডে এই বিদ্যুৎ যুক্ত হবে।

এর আগে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে ভারতের জাতীয় গ্রিড ব্যবহার করে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে নীতিগত অনুমোদন দেয় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বাবিউবো) আন্তর্জাতিক ক্রয় প্রস্তাব ইস্যু করলে নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটি (এনইএ) এবং ভারতের এনটিপিসি বিদ্যুৎ ভাইপার নিগম লিমিটেড (এনভিভিএন) প্রস্তাব দাখিল করে।

পিইসি প্রস্তাবটি যাচাই-বাছাই করে নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশ করা দর প্রস্তাবে নেপাল থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্রয়ে ৫ বছরের জন্য চুক্তি করা হবে।

নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আনার ক্ষেত্রে ভারতের মোজাফফরবাদ সাবস্টেশনে প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের দাম ধরা হচ্ছে ৬ দশমিক ৪০ ইউএস সেন্ট। এনভিভিএন ট্রেডিং মার্জিন হবে শূন্য দশমিক শূন্য ৫৯৫ ভারতীয় রুপি। এ ছাড়া ট্রান্সমিশন চার্জ হবে ভারতের সেন্ট্রাল ইলেকট্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশনের (সিইআরসি) নিয়ম অনুযায়ী।

এ বিষয়ে গতকাল সোমবার বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান বলেন, মন্ত্রিসভা কমিটি অনুমোদন দিলে এই মাসের মধ্যে চুক্তি হবে। চুক্তি সই হলে নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আনতে আরও মাস খানেক সময় লাগবে। আমরা আশা করছি এক-দুই মাসের মধ্যে নেপালের বিদ্যুৎ চলে আসবে।

বিষয়:

‘কখনোই বলিনি, এমপি আনার চোরাচালানে যুক্ত ছিলেন’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, কলকাতায় খুন হওয়া সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তা আমরা কখনোই বলিনি।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত হাইওয়ে পুলিশের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সব সময় বলে এসেছি ঝিনাইদহ সন্ত্রাসপূর্ণ একটি এলাকা। ওখানে সত্যিকারে কী হয়েছে সেটা আমাদের জানতে হবে। আমরা তদন্ত করছি, তদন্তের পরে আপনাদের সবকিছু জানাবো।

আনারের মেয়ে ডরিন সন্দেহভাজন কিছু ব্যক্তির নাম বলেছেন। সেগুলো কাদের নাম জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যখন তদন্ত চলে তখন আমাদের মন্ত্রী, আইজিপি কিংবা তদন্তকারী কর্মকর্তাদের তদন্ত না করে কোনো কিছু বলা সম্ভব না। আমরা মনে করি তদন্ত শেষ হলে এগুলো নিয়ে কথা বলবো।

বারিধারায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে সহকর্মীর গুলিতে পুলিশ সদস্যের নিহত হওয়ার ঘটনায় ওই বাহিনীর সদস্যদের কাউন্সেলিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশের ট্রেনিংয়ের সময় মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বিস্তারিতভাবে কয়েকদিন ট্রেনিং দেওয়া হয়। যাতে তাদের মেন্টাল স্ট্রেস কম থাকে।

গুলিতে পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনার কারণ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী হবে সেটা নিয়ে আইজিপি রিসার্চ করছেন বলেও জানান মন্ত্রী।


ঘর পেয়ে জীবনমান বদলে গেছে মানুষের: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে জমিসহ ঘর পাওয়ায় মানুষদের জীবনমান বদলে গেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ মঙ্গলবার সারা দেশে গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারকে আরও ১৮ হাজার ৫৬৬টি ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে জমিসহ ঘর করে দিচ্ছি। এরই মধ্যে যাদের ঘর দেওয়া হয়েছে তাদের জীবনমান বদলে গেছে। তাদের মাঝে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। মাথা উঁচু করে বাঁচার জন্য এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তিনি দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন। আমি সে কাজটি করে যাচ্ছি, সেটিই আমাদের কর্তব্য বলে মনে করি। এ জন্যই আমাদের এ প্রচেষ্টা। বঙ্গবন্ধুর মতো আজীবন দেশের মানুষের কল্যাণে ও তাদের সেবা করতে চাই। দেশের মানুষের সেবক হিসেবেই বাবার মতো সেবা করে যাবো। এ দেশের মানুষ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত জীবন পাবে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’

এ সময় আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে যারা ঘর পেয়েছেন এটি তাদের নিজেদের সম্পত্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে ঘর পাচ্ছেন এটা আপনাদের নিজের সম্পত্তি, এটার যত্ন নেওয়া আপনাদের দায়িত্ব। এ সময় পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।

সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঝড়ে কোথায় ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে সে বিষয়ে আমরা খোঁজ নিয়েছি, তথ্য সংগ্রহ করেছি। তাদের ঘর করে দেবো। আর ক্ষতিগ্রস্তদের উপকরণ দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছি। আপনাদের (ক্ষতিগ্রস্তদের) চিন্তার কোনো কারণ নেই। প্রত্যেকে যেন ঘর করতে পারেন, সে ব্যবস্থা আমি করে দেবো। প্রত্যেক এলাকা থেকে তথ্য নিয়েছি।’

জাতির পিতার স্বপ্নপূরণ করাই নিজের লক্ষ্য জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিটি গ্রামকে আমরা নাগরিক সুবিধার আওতায় নিয়ে আসবো। সেই নাগরিক সুবিধা আমরা নিশ্চিত করে যাচ্ছি। পাশাপাশি রাস্তাঘাট উন্নয়ন, বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা, দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করছি। যার সুফল মানুষ ভোগ করছে।

এদিন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা, কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা এবং ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে সুবিধাভোগীদের কাছে জমির মালিকানা দলিলসহ ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন তিনি।


হজ পালনের ‍উদ্দেশে সৌদি আরব গেলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে সৌদি আরবের পথে যাত্রা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আজ মঙ্গলবার ভোরে তিনি সৌদি এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে করে রওনা হন। ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসেফ ঈসা আল দুহাইলান পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে তাকে বিদায় জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হজ সফরে তার সঙ্গে রয়েছেন সহধর্মিণী নুরান ফাতেমা।

হজ যাত্রার প্রাক্কালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং চট্টগ্রাম-৭ আসনের সংসদ সদস্য ড. হাছান তার নিজ নির্বাচনী এলাকার জনগণকে পবিত্র ঈদ-উল-আযহার অগ্রিম শুভেচ্ছা জানান এবং সবার কাছে তার ও তার পরিবারের সদস্যদের জন্য দোয়া কামনা করেন।


নতুন সেনাপ্রধান হলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান

লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১১ জুন, ২০২৪ ১৩:২২
নিজস্ব প্রতিবেদক

সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। আজ মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ওয়াকার-উজ-জামানকে সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়। ২৩ জুন থেকে আগামী তিন বছরের জন্য তিনি সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পেলেন।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে ২৩ জুন (২০২৪) থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর প্রধানদের (নিয়োগ, বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা) আইন, ২০১৮ অনুসারে ওই দিন অপরাহ্ণ থেকে তিন বছরের জন্য সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ১৯৮৫ সালের ২০ ডিসেম্বর ১৩তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তিনি ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ, মিরপুর এবং যুক্তরাজ্যের জয়েন্ট সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। এ ছাড়া তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘মাস্টার্স অব ডিফেন্স স্টাডিজ’ এবং যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে ‘মাস্টার্স অব আর্টস ইন ডিফেন্স স্টাডিজ’ ডিগ্রি অর্জন করেন।

সুদীর্ঘ ৩৯ বছরের বর্ণাঢ্য সামরিক জীবনে ওয়াকার-উজ-জামান বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদের পাশাপাশি নবম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং এবং সাভার এরিয়ার এরিয়া কমান্ডার, সেনাসদরে সামরিক সচিব এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনে প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ট্যাকটিকস (এসআইএন্ডটি) এবং সেনাসদরে বিভিন্ন পদবি ও নিয়োগে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি প্রশিক্ষক হিসেবে জেসিও এনসিও একাডেমি (জেএনএ), স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিকস ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অ্যান্ড ট্রেনিংয়ে (বিপসট) অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে সব পদবির দেশি-বিদেশি সেনাসদস্যদের প্রশিক্ষণ দেন।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জাতিসংঘের ব্যানারে মিলিটারি অবজারভার হিসেবে অ্যাঙ্গোলা এবং সিনিয়র অপারেশন অফিসার হিসেবে লাইবেরিয়াতে দায়িত্ব পালন করেন। সেনাবাহিনীতে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি ‘অসামান্য সেবা পদক’ (ওএসপি)-এ ভূষিত হন। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি হিসেবে দেশ-বিদেশে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেছেন এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন।

ব্যক্তিগত জীবনে ওয়াকার-উজ-জামান ও সারাহনাজ কমলিকা জামান দম্পতি দুই কন্যাসন্তানের (সামিহা রাইসা জামান ও শাইরা ইবনাত জামান) বাবা-মা।


ভূমিহীন-গৃহহীনদের ১৮ হাজার ৫৬৬টি বাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সকলের জন্য আবাসন নিশ্চিত করতে সরকারের আবাসন কর্মসূচি আশ্রয়ণ-২ এর আওতায় গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে আরও ১৮ হাজার ৫৬৬টি বাড়ি হস্তান্তর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ মঙ্গলবার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ, কক্সবাজারের ঈদগাঁও এবং ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সুবিধাভোগীদের কাছে জমির মালিকানা দলিলসহ বাড়ি হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন তিনি।

বাড়ি হস্তান্তরের পাশাপাশি ২৬টি জেলার সব উপজেলাসহ আরও ৭০টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।নতুন ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত জেলা ও উপজেলা নিয়ে সারা দেশে জেলার মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৮টি এবং উপজেলা ৪৬৪টি।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রথম ধাপে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৩৩০টি, তৃতীয় ধাপে ৫৯ হাজার ১৩৩টি এবং চতুর্থ ধাপে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি বাড়ি বিতরণ করেন।

প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন প্রতিটি পরিবারকে দুই দশমিক ৫ শতাংশ জমির মালিকানা দিয়ে একটি আধা-পাকা বাড়ি দেওয়া হচ্ছে, যা স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই হবে। প্রতিটি বাড়িতে দু’টি বেডরুম, একটি রান্নাঘর, একটি টয়লেট এবং বারান্দা রয়েছে।

প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম পর্যায়ের প্রথম ধাপে মোট ২ লাখ ৬৬ হাজার ১২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে গৃহহীনদের পুনর্বাসন কর্মসূচি চালু করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের ঘর ও জমির মালিকানা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ সাল থেকে এই পর্যন্ত মোট ৭ লাখ ৭১ হাজার ৩০১টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। পুনর্বাসিত মানুষের সংখ্যা ৩৮ লাখ ৫৬ হাজার ৫০৫ জন (একটি পরিবারে পাঁচ জন করে)।

প্রকল্পের আওতায় এই পর্যন্ত সারা দেশে ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৯০৪ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের প্রায় ৪৩ লাখ ৪০ হাজার মানুষকে আশ্রয়ণ এবং অন্যান্য কর্মসূচির আওতায় পুনর্বাসন করা হয়েছে। শুধুমাত্র আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে ৫ লাখ ৮২ হাজার ৫৩ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের ২৯ লাখ ১০ হাজার ২৬৫ জনকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আবাসন প্রকল্পের ওপর একটি ভিডিও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।


‘তৈরি পোশাকে চাহিদার তুলনায় চার লাখ টন সুতার ঘাটতি’

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিশেষ প্রতিনিধি

তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে নিট সুতার চাহিদার তুলনায় ৪ লাখ মেট্রিক টন সুতার ঘাটতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।

আজ সোমবার বিকেলে সংসদের বাজেট অধিবেশনে মো. জাকারিয়ার লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে সভাপতিত্ব করেন।

মন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে ওভেন এবং ডেনম বস্ত্রের চাহিদা প্রায় আট বিলিয়ন মিটার। এর মধ্যে চার বিলিয়ন মিটার দেশে উৎপাদিত হয় এবং চার বিলিয়ন মিটার আমদানি করা হয়। তবে তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে নিট সুতার চাহিদা প্রায় ১৬ লাখ টনের মধ্যে ১২ লাখ টন সুতার দেশে উৎপাদিত হয় এবং প্রায় চার লাখ টন ঘাটতি রয়েছে, যা আমদানি করা হয়।

তিনি জানান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন বস্ত্র অধিদপ্তর পোশাক কর্তৃপক্ষ হিসেবে বস্ত্রশিল্পের নিবন্ধন প্রদান করছে। পোশাক কর্তৃপক্ষ সেবা সহজীকরণের ফলে শিল্প উদ্যোক্তারা দেশে নতুন নতুন বস্ত্র ও সুতা উৎপাদনকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করছে। ফলে তৈরি পোশাক রপ্তানির জন্য ওভেন রপ্তানির জন্য ওভেন ও ডেনিম বস্ত্রের ঘাটতি ক্রমান্বয়ে কমে আসবে।

জাহাঙ্গীর কবির নানক জানান, বর্তমানে দেশের স্থানীয় বাজারে বাৎসরিক বস্ত্রের চাহিদার পরিমাণ প্রায় ৭ বিলিয়ন মিটার। দেশের স্থানীয় বাজারে বস্ত্রের চাহিদার কোনো ঘাটতি নেই।


মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেটেড ১০ জুন, ২০২৪ ২১:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক

নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন আয়োজনে যোগদান শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ সোমবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।

এর আগে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে নয়াদিল্লির ভিভিআইপি বিমানবন্দর পালাম এয়ার ফোর্স স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয় ফ্লাইটটি।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) জয়দীপ মজুমদার, বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

ভারতের টানা তৃতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। গতকাল রোববার তার এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের অতিথিদের পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও যোগ দেন।

শপথ অনুষ্ঠান ছাড়াও রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী একান্তে বৈঠক করেন। বৈঠকে দুই নেতা বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আগামী দিনগুলোতে আরও দৃঢ় করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সংক্ষিপ্ত বৈঠকে দুই নেতা একে অপরের খোঁজখবর নেন। এরপর মোদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনের ব্যাঙ্কোয়েট হলে যান এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর নৈশভোজে যোগ দেন।


banner close