বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

প্রশাসনিক কর্মকর্তা হলেন ডিসি-ইউএনও অফিসের ৫২ জন

আপডেটেড
১ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৮:৪৪
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৮:৪৩

জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের ৫২ জন কর্মচারীকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার।

বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তাদের পদোন্নতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। পদোন্নতিপ্রাপ্তদের তালিকা দেখতে ক্লিক করুন

সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সুপারিশ অনুযায়ী ডিসি-ইউএনও অফিসের উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং উপ-সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদের ৫২ জনকে জাতীয় বেতন স্কেলের ১০ম গ্রেডে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

পদোন্নতির পর পরবর্তী পদায়নের জন্য তাদের সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে। এখন বিভাগীয় কমিশনারের অফিস থেকে তাদের নতুন দপ্তরে পদায়ন করা হবে।


২০২৪-২৫ অর্থবছরে এডিপিতে মোট বরাদ্দ দুই লাখ ৬৫ হাজার

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সভায় বৃহস্পতিবার উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে চলমান অর্থনৈতিক চাপের কারণে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বাড়াচ্ছে না সরকার। আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপিতে মোট বরাদ্দ থাকছে দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের তুলনায় মাত্র দুই হাজার কোটি টাকা বেশি।

আজ বৃহস্পতিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সভায় এই উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার বিস্তারিত তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মোট বরাদ্দের বৈদেশিক ঋণ বা অনুদান লক্ষ্যমাত্রা এক লাখ কোটি টাকা। তবে এবারও উন্নয়ন বাজেটে পরিবহন ও বিদ্যুৎখাতকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ দুই খাতে তুলনামূলকভাবে অর্থ বরাদ্দও থাকছে বেশি।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রণয়নে গত ১৪ মার্চ নির্দেশনা দেয় পরিকল্পনা কমিশন। সেই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সব বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাছ থেকে এডিপির জন্য মোট দুই লাখ ৭৬ হাজার ৪০২ কোটি ৪৬ লাখ টাকার প্রাথমিক চাহিদা পাওয়া যায়। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন এক লাখ ৮৫ হাজার ৩৯১ কোটি ১৯ লাখ টাকা ও প্রকল্প ঋণ-অনুদান ৯১ হাজার ১১ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

পরে অর্থ বিভাগ থেকে পাঠানো নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপির আকার দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণপূর্বক কার্যক্রম বিভাগকে অবহিত করা হয়। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন এক লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা বা ৬২ দশমিক ২৬ শতাংশ। উন্নয়ন ব্যয় মেটাতে বৈদেশিক ঋণ-অনুদানের টার্গেট এক লাখ কোটি টাকা বা ৩৭ দশমিক ৭৪ শতংশ।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল ৮৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। সে হিসাবে এডিপিতে এক অর্থবছরের ব্যবধানে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বাড়ছে ১৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

সরকার নতুন উন্নয়ন বাজেটে পরিবহন ও বিদ্যুৎ খাত সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত এডিপির আকার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মূল এডিপি অপেক্ষা দুই হাজার কোটি টাকা বা দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি এবং সংশোধিত এডিপি অপেক্ষা ২০ হাজার কোটি টাকা বা ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ বেশি।

বিষয়:

আগামীতে জেলাভিত্তিক প্রকল্প নেওয়া হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামীতে উপজেলাভিত্তিক প্রকল্প থেকে সরে এসে জেলাভিত্তিক প্রকল্প প্রণয়নে সরকার গুরুত্ব দেবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম।

আজ বৃহস্পতিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এ উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘দেখা যায় অনেক উপজেলায় একাধিক প্রকল্প, আবার অনেক উপজেলা অবহেলিত থাকে। এটা বন্ধ করতেই জেলাভিত্তিক প্রকল্প হাতে নেব যাতে উন্নয়ন সমভাবে বণ্টন হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেসব সরকারি কর্মকর্তা নানান সময়ে বিদেশে প্রশিক্ষণে যান, সেখান থেকে ফেরার পর তাদের প্রশিক্ষণের ধরণ অনুযায়ী প্রকল্পে নিয়োগের অনুশাসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।’

পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার বলেন, চলতি অর্থবছরে ৩০ জুনের মধ্যে ৩৫৬টি প্রকল্প শেষ হবে যা এযাবৎকালে সর্বোচ্চ। কোনো চিকিৎসক প্রকল্প পরিচালক হলে তাকে আলাদা প্রশিক্ষণ দিতে এনইসি সভায় প্রধানমন্ত্রী অনুশাসন দিয়েছেন।

বিষয়:

রাজধানীতে বিমানবন্দরের সামনে হঠাৎ প্রাইভেটকারে আগুন

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিমানবন্দরের সামনের ফ্লাইওভারে প্রাইভেটকারে আগুন লাগে। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনের ফ্লাইওভারে একটি প্রাইভেটকারে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ১০ মিনিটের দিকে গাড়িটিতে আগুন লাগে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে আগুন নির্বাপণ করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।’

কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশনের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মোনায়েম বিল্লাহ জানান, গাড়িটিতে শুধুমাত্র চালক ছিলেন। কোনো যাত্রী ছিলেন না। আগুন লাগার পর চালক বাইরে বেরিয়ে আসেন। এতে কেউ হতাহত হননি।


ঢাকা ছাড়লেন লু

ফুলের তোড়া হাতে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু তিন দিনের সফর শেষ করে ঢাকা ছেড়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তিনি ঢাকা ছাড়েন।

সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের দেওয়া এক নৈশভোজে যোগ দেন ডোনাল্ড লু। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন তিনি। ডোনাল্ড লু নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।

বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্স ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সঙ্গে ক্রিকেট প্রীতি ম্যাচে অংশ নেন ডোনাল্ড লু।

উল্লেখ্য, গত ১৪ মে তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসেন ডোনাল্ড লু। ঢাকায় আসার আগে তিনি ভারত ও শ্রীলঙ্কা সফর করেন। চলতি বছর ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ডোনাল্ড লুর এটাই ছিল প্রথম ঢাকা সফর।


ন্যায়বিচার নিশ্চিতে মেধা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগান

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বিচারপ্রার্থীরা যাতে সহজে ন্যায়বিচার পেতে পারে সে জন্য সর্বোচ্চ আদালতসহ সব আদালতের বিচারকদেরকে সর্বাত্মক প্রয়াস চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট হচ্ছে বিচারপ্রার্থীদের বিচার পাওয়ার শেষ আশ্রয়স্থল। তাই বিচারকাজে বিচারপতিরা তাদের মেধা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাবেন।’

আজ বিকেলে বঙ্গভবনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত তিন বিচারপতির সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন এ কথা বলেন।

প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের জানান, রাষ্ট্রপতি নতুন বিচারপতিদের অভিনন্দন জানান।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, জনগণ যাতে দ্রুত ও সহজে ন্যায়বিচার পায় সে জন্য নতুন বিচারপতিরা তাদের মেধা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাবেন।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত তিন বিচারপতি হচ্ছেন বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম এবং বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এবং সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।


ক্ষমা চেয়ে দায়মুক্ত এমপি হাফিজ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বরিশাল-৬ আসনের এমপি আবদুল হাফিজ মল্লিক প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার ঘটনার ব্যাখ্যায় ‘ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ায়’ তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে দুপুরে কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রথম দফায় ৮ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি প্রকাশ্যে ভোট দিয়েছেন। কমিশনের কাছে ভুল স্বীকার করেন এই আইনপ্রণেতা।

কমিশনের কাছে ক্ষমা চাওয়ায় হাফিজ মল্লিককে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে অশোক কুমার জানান।

এর আগে সোমবার নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান এমপি আবদুল হাফিজ মল্লিককে চিঠি পাঠান। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বরিশাল-৬ আসনের এমপি হাফিজ মল্লিকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাকে তলব করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (১৫ মে) দুপুর ১২টায় তাকে নির্বাচন ভবনে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এমপি মল্লিককে দেওয়া ইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৮ মে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন আপনি ৪৭ নম্বর মঙ্গলসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে প্রকাশ্যে ভোট দিয়েছেন। যার ভিডিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায়) ছবিসহ প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়েছে।


কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় পড়লে ক্ষতিপূরণ পাবে পোশাকশ্রমিকরা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পোশাকশ্রমিক কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় পড়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। তবে এখন থেকে এ ধরনের দুর্ঘটনা ‘শিল্প দুর্ঘটনা’ হিসেবে বিবেচিত হবে। বাংলাদেশে এর আগে এই নিয়ম শুধু কর্মক্ষেত্রের ভেতরেই সীমাবদ্ধ ছিল। বর্তমান নিয়মের কারণে এ ধরনের দুর্ঘটনার শিকার পোশাকশ্রমিকরা ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবেন।

অ্যামপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কিম (ইআইএস) পাইলটের গভর্নেন্স বোর্ড সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ৮ম সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ‘যাতায়াত দুর্ঘটনা’-কে ‘শিল্প দুর্ঘটনা’ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করার অনুমোদন দিয়েছে। আগামী ১ জুলাই থেকে এই সিদ্ধান্তের পাইলটিং কার্যকর হবে।

অ্যামপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কিম (ইআইএস) পাইলটের গভর্নেন্স বোর্ডের সভায় সিদ্ধান্তটি নিয়োগকর্তাদের সংগঠন, শ্রমিক সংগঠন এবং সরকারি সংস্থাগুলোর সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, বাংলাদেশের শিল্প ও শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শিল্প দুর্ঘটনার মধ্যে যাতায়াতকালের দুর্ঘটনা অন্তর্ভুক্ত করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।

সভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলওর কারিগরি বিশেষজ্ঞরা এ ধরনের সম্প্রসারণের কারিগরি ও আর্থিক দিকগুলোর মূল পয়েন্টগুলো তুলে ধরেন। যাতায়াতকালীন দুর্ঘটনাকে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত উল্লেখ করা আছে- ঘটনা কারখানার বাইরে ঘটতে হবে, কারখানার সঙ্গে তাদের যুক্ততার রেকর্ড থাকতে হবে।

নিয়োগকর্তাদের সংগঠনগুলো পাইলট স্কিমের আওতায় আগামী ১ জুলাই থেকে যাতায়াত দুর্ঘটনা অন্তর্ভুক্ত করতে সম্মত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সামাজিক সুরক্ষার জন্য শ্রমিকদের মৌলিক অধিকারকে সমর্থন করি এবং নতুন সুবিধাগুলো বিবেচনা করতে পেরে খুশি হবো যদি সেটি শিল্পের প্রতিযোগিতাকে প্রভাবিত না করে।

এরইমধ্যে শ্রমিক প্রতিনিধিরাও এ উদ্যোগে সহযোগিতার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। তৈরি পোশাক খাত তুলনামূলকভাবে নিরাপদ খাত, তবে সড়ক পথে যাতায়াত এই কাজের সবচেয়ে ভয়াবহ অংশ, তাই যাতায়াত দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণের অন্তর্ভুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ।

আইএলও অ্যামপ্লয়মেন্ট ইনজুরি বেনিফিট কনভেনশন নং ১২১ (সি-১২১)-এর ৭ নম্বর অনুচ্ছেদে সদস্য দেশগুলোকে শিল্প দুর্ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে হবে এবং যার মধ্যে একটি যাতায়াত দুর্ঘটনাকে শিল্প দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হবে এমন শর্তগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

২০২২ সাল থেকে ইআইএস পাইলট তৈরি পোশাক খাতের আহত শ্রমিক ও মৃত শ্রমিকদের কর্মস্থলজনিত দুর্ঘটনার জন্য ক্ষতিপূরণ দিয়ে আসছে। আইএলওর বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পুটিয়াইনেন বলেন, যাতায়াত দুর্ঘটনা অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে এই উদ্যোগটি শ্রমিকদের সুরক্ষা বৃদ্ধি করবে এবং শিল্প সম্পর্কের উন্নতি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আইএলও এবং জিআইজেড যৌথভাবে অ্যামপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কিম পাইলট বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকার, নিয়োগকর্তা এবং শ্রমিক সংগঠনগুলোকে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে। আইএলও উদ্যোগটি নেদারল্যান্ডস এবং কানাডা সরকার দ্বারা অর্থায়ন করা হয়, অন্যদিকে জিআইজেড উদ্যোগটি জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিএমজেড) দ্বারা অর্থায়ন করা হয়।

এদিকে, মঙ্গলবার বাংলাদেশের শ্রম আইন নিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সঙ্গে তিন দিনের বৈঠকে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে আইএলও কিছু পরামর্শ দিতে চায়, যাতে আইনটি আরও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হয়। সংস্থার কমিটি অব এক্সপার্ট আইনটা দেখেছে, পড়েছে, সেখানে তারা আন্তর্জাতিক মান নিয়ে কিছু সুপারিশ দিয়েছে।


সময় নির্ধারণ করে সেবা দেওয়ার তাগিদ বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এখন যতগুলো সেবা দেয়, তার সবগুলো আগামীতে একটা লিপিবদ্ধ কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। লিপিবদ্ধ এ কর্মপরিকল্পনায় সেবা দেওয়ার সময় এবং প্রক্রিয়া উল্লেখ থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে আমরা যত সেবা দিই, সব সেবা আমরা একটা রিটেন ফ্লো চার্টের মধ্যে দেব; যেখানে সেবা দেওয়ার সময় এবং প্রক্রিয়া উল্লেখ থাকবে। কোন প্রক্রিয়া কত সময়ের মধ্যে দেব এটাও ঠিক করে ফেলব। এটা করে ফেলতে পারলে আমাদের পুরো সেবাটাকেই ই-গভর্নন্যান্সে পরিপূর্ণ রূপ দিতে পারব।’

আজ বুধবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ইনোভেশন শো-কেসিং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী অর্থবছর শুরু হবে এক মাসের মধ্যে। জুনে বাজেট শুরু হবে। আমি কয়েকটি কাজ করতে অনুরোধ করব আপনাদের। আমরা যে সেবা প্রদান করি সেই প্রক্রিয়াটাকে ডিজিটালাইজ করা। আমাদের ডিজিটালাইজেশনের ধারণাটা পরিষ্কার না। এটা ‌যেকোনো অটোমোশন বা ই-গভর্নেন্সের পূর্বশর্ত। যে সেবাটি আপনি দেবেন সেটা ফ্লো-চার্টের মতো সাজানো থাকা উচিত। খুব সহজ; আমি কী সেবা দিচ্ছি এবং সেবাটা কী প্রক্রিয়ায় দেব, স্টেপ বাই স্টেপ লিপিবদ্ধ থাকবে। আগামী বছর আমাদের উদ্ভাবন পরিকল্পনার একটা অন্যতম অনুষঙ্গ হবে এটা।’

তিনি বলেন, ‘এখন আর আরজিসিতে একটা কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন করতে কাউকে আমাদের অফিসে আসতে হয় না। দেশে বা বিদেশে যেখানেই থাকবে সেখানে বসেই কিন্তু একটা কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব। আমাদের আইআরসি, এক্সপোর্ট পারমিশন, ইমপোর্ট পারমিশন- সব সেবাই কিন্তু অনলাইনে দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি। যেখানে আমাদের সমস্যাটা সমাধান করতে হবে, সেটা হলো জিনিসটাকে একই লাইনে আনতে হবে। একটা প্রক্রিয়া অটোমেট করলেন, আরেকটা করলেন না; তাহলে তো হবে না। এই জায়গাগুলোতে আমাদের উদ্ভাবনী প্রক্রিয়াগুলো চিন্তা করতে হবে এবং সেটাকে ডিজিটালাইজ করার চেষ্টা করতে হবে।

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে এখন স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলেছেন; আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী চারটি পিলারের ওপর স্মার্ট বাংলাদেশকে দাঁড় করিয়েছেন। প্রথমত স্মার্ট সিটিজেন, তাদের নিয়েই আমাদের সব কর্মপরিকল্পনা। কোনো সিস্টেম ডিজিটাল করলাম কিন্তু পেমেন্ট মেথড ডিজিটাল করলাম না, তাহলে কিন্তু পরিকল্পনাটা সম্পূর্ণ হলো না। আপনি সেবা দিচ্ছেন কিন্তু পেমেন্টটা কীভাবে নিচ্ছেন সেটাও ভাবতে হবে। এটাকেও ডিজিটালাইজ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেকটা জিনিসের কর্মপরিকল্পনা লিপিবদ্ধ করে ডিজিটালাইজ এবং সম্পূর্ণ করতে পারলেই আমাদের সার্থকতা৷ আমরা বাংলা এবং ইংরেজি একেবারে গুলিয়ে ফেলছি। হয় পুরোটা ইংরেজিতে বলব, অথবা পুরোটা বাংলায় বলব। আমার মনে হয়, ইংরেজি যা লিখি সেটা ইংরেজি লেটার দিয়ে লিখলে ভালো হয়। আমাদের এই চর্চাটা শুরু করা উচিত।


রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ৩০ জুনের মধ্যে ফিটনেসহীন সব বাস চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়া রাজধানীতে যেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলতে না পারে সে বিষয়েও ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

আজ বুধবার বনানীতে বিআরটিএ কার্যালয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৭-এর অধীনে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম বৈঠকে ওবায়দুল কাদের এসব নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত কোন গাড়ি (তিন চাকার) যেন ঢাকা সিটিতে না চলে। আমরা ২২টি মহাসড়কে নিষিদ্ধ করেছি। শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, চালাতে যেন না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

এ সময় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ভয়াবহ ব্যাপার যে রিকশাচালকরা দুই পা ওপরে উঠিয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালান। অনেক প্রতিবন্ধী আছেন, যারা চোখে কিছুটা কম দেখেন তারাও এই রিকশা নিয়ে নেমে পড়েন।

উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, সিদ্ধান্তে আসা দরকার যে ঢাকায় ইজি বা অটোরিকশা চলবে না। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

সভায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র নগরের মধ্যে অটোরিকশা চলাচল বন্ধে সম্মতি দেন।

রাজধানীতে ফিটনেসহীন গাড়ির বিষয়ে নিজের ক্ষোভ করেছেন ওবায়দুল কাদের। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা শহরে যে ধরনের লক্কড়-ঝক্কড় ও রংচটা গাড়ি চলে তা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে দেখা যায় না।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শহরে আধুনিক গণপরিবহন চলাচল করে। কিন্তু ঢাকায় লক্কড়-ঝক্কড় ও রংচটা গাড়ি চলে। এগুলো দেখতেও তো খারাপ লাগে। এর চেয়ে ঢাকার বাইরে মফস্বল এলাকাগুলোতে উন্নতমানের গণপরিবহন চলে।

‘এই ‘লক্কড়-ঝক্কড়’ বাসগুলোর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না,’ বিআরটিএ কর্মকর্তাদের প্রশ্ন করেন মন্ত্রী।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সড়কে শৃঙ্খলা আনতে বিআরটিএ অনেক কর্মসূচি ও আইন করে। কিন্তু রেজাল্ট (ফল) কী? সড়কের দুর্ঘটনা ও যানজট তো কমছে না।’

তিনি বিআরটিএর কর্মকর্তাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এত উন্নয়নের পরও সড়ক, মহাসড়কে যানজট ও দুর্ঘটনা কেন? ঝালকাঠিতে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৪০ বছরের পুরানো গাড়ি কীভাবে সড়কে চলে। এতদিন কী করছিল বিআরটিএ?

ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়কে পরিবহনে যদি শৃঙ্খলা না আসে তাহলে নিরাপদ সড়কের স্বপ্ন দেখে কী লাভ। সড়কে শৃঙ্খলা না থাকলে, এতো মেগা প্রকল্প এবং ছয় থেকে আট লেনের সড়কেরও কোনও সুফল আসবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

নো হেলমেট, নো ফুয়েল
এদিকে দেশের বাইক চালকদের আবারও সতর্ক করে দিয়ে হেলমেট না থাকলে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তার স্পষ্ট নির্দেশ, ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল।’

এ নির্দেশ তার ঘোষণার পর থেকে সারাদেশে কার্যকর করার নির্দেশ দেন তিনি। দেশের সব জায়গায় এমনকি মফস্বলেও এই নীতি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সড়ক পরিবহনমন্ত্রী মন্তব্য করেন, ইজিবাইক ও মোটরসাইকেলের কারণেই দেশে সড়ক দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে।

প্রসঙ্গত সড়ক পরিবহন আইনে হেলমেট ছাড়া বাইক চালালে ১০ হাজার টাকা এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। কিন্তু আইনের বাস্তবায়ন দেখা যায় না বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্ঘটনা বিশ্বের কোথাও শূন্যের কোটায় নেই। তবে বাংলাদেশে এটি কমে আসবে।

সভায় বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।


ঈদের ছুটির আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস: শ্রম প্রতিমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া মেনে ঈদুল আজহার ছুটির আগেই তাদের বেতন-বোনাস পরিশোধে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, ‘প্রত্যেকবার ঈদের আগে শ্রমিকদের ধর্মঘট করা একটা রেওয়াজ ছিল। কিন্তু এবার থেকে আর এমন পরিস্থিতি তৈরি করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় শ্রমিক-মালিক পক্ষ একসঙ্গে বসে শ্রমিকদের যে চাহিদা ছিল, তা আমার মালিক ভাইয়েরা মেনে নিয়েছেন। যা চাহিদা ছিল সবকিছুর সমাধান হয়েছে।’

রাজধানীতে শ্রম ভবনে আজ বুধবার শ্রমিক ও মালিক পক্ষকে নিয়ে সভায় বসে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। ওই বৈঠকেই এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে সাংবাদিকদের জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “শ্রমিকরা যে দাবি করেছে, এগুলো আসলে দাবি না, তাদের প্রাপ্য। তাদের প্রাপ্যের বিষয়ে মালিকপক্ষ সমর্থন দিয়েছে এবং জানিয়েছে এগুলো তারা বাস্তবায়ন করবে। রেশনিংয়ের একটা বিষয় ছিল। রেশন কীভাবে দিলে শ্রমিকরা সুন্দরভাবে পাবে তা বসে আমরা নির্ধারণ করব। রেশন দেওয়া হবে, এটা প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন। সুতরাং শ্রমিকরা এটা পাবেই।”

এবারের কোরবানির ঈদ হচ্ছে জুনের তৃতীয় সপ্তাহে। শ্রম মন্ত্রণালয়ে সভায় মে মাসের বেতনের সঙ্গে জুনের অর্ধেকের বেতনও দাবি করেন শ্রমিক নেতারা।

বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি সভা শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের দাবি ছিল ঈদ যেহেতু জুন মাসে, তাই মে মাসের বেতন নিশ্চিত করে, জুন মাসেরও যেন অর্ধেক বেতন দেয়। কিন্তু সেটা বাস্তবতার সঙ্গে মানানসই হচ্ছে না। তাই মে মাসেরটাই দেওয়া হবে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর পরেও মূল্যস্ফীতির কারণে শ্রমিকরা ‘ভালো নেই’ বলে রনির ভাষ্য।

নিম্ন আয়ের শ্রমিকদের সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘যারা হেলপার বা আরও ছোট চাকরি করে তাদের বেতন ১২ হাজার টাকা। এটা দিয়ে সংসার তো চলে না। আবার ওভারটাইম করারও সুযোগ খুব একটা থাকে না। তাই বেতন আরও বাড়ানোর দাবি করেছি আমরা।’

শ্রমিকদের রেশনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের জন্য রেশনের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী নিজেই দিয়েছেন, কিন্তু তা তো আসলে সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আমরা মনে করি এটা এখনই দেওয়া সম্ভব না। তাই সবাইকে যেন টিসিবির কার্ড দেওয়া হয়, আপাতত সেই দাবি জানিয়েছি।’

প্রত্যেক ঈদের আগে একসঙ্গে পোশাক কারখানাগুলো ছুটি হলে হলে সড়কে ব্যাপক চাপ পড়ে। তীব্র যানজট তৈরি হয়। এ অবস্থা নিরসনে পোশাক কারখানাগুলোর ছুটির বিষয়েও বৈঠকের কথা জানান শ্রম প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

তিনি বলেন, ঈদে গার্মেন্টগুলো একসঙ্গে ছুটি দিলে সবসময় যানজটের সৃষ্টি হয়। তাই এটার জন্য একটা মিটিং করে ছুটি কীভাবে দিলে ভালো হয় তা ঠিক করা হবে। সেই মিটিংটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেট অনুযায়ী হবে।

“ঈদে একটা লম্বা ছুটি... প্রায় সাত থেকে দশ দিনের ছুটি হবে। এই ছুটি যাতে শ্রমিকরা স্বাচ্ছন্দ্যে ও স্বস্তিতে কাটাতে পারে সেই চিন্তা থেকে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। তা ছাড়া আমরা মনিটরিং করব কীভাবে কাজ করলে ভালো হয়। প্রশাসনের সকল লোকজন আছে। আরএমজি (তৈরি পোশাক) শিল্পকে দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে এগিয়ে নেব। এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে শ্রমিক-মালিক পক্ষ একজোট আছে,’বলেন তিনি।

সভায় পোশাক মালিকদের পক্ষে বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

শ্রমিকদের পক্ষে ছিলেন জাতীয় শ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগ, জাতীয় শ্রমিক জোট, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের প্রতিনিধিরা।


পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ডোনাল্ড লু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বাংলাদেশে সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু।

আজ বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় আরও ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

একই দিনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন ডোনাল্ড লু। পরে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে পৃথকভাবে আলোচনা করেন তিনি।

গতকাল মঙ্গলবার 'দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার' করতে এবং একটি উদার, উন্মুক্ত ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন প্রদর্শনে লু ঢাকা সফর করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, জলবায়ু সমস্যা সমাধানে দুই দেশ যাতে আরও সহযোগিতা করতে পারে, সেই লক্ষ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করাসহ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা আরও গভীর করার বিষয়ে আলোচনা করতে তিনি বাংলাদেশ সফর করছেন।


চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিপ্তরের নতুন মহাপরিচালক হলেন আকতার হোসেন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত কর্মকর্তা আকতার হোসেনকে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের (ডিএফপি) মহাপরিচালক (গ্রেড-২) করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৪ মে) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার থেকে তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেন।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বিসিএস (তথ্য-সাধারণ) ক্যাডারের এ কর্মকর্তাকে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-২) পদে পদায়ন করা হলো।

উল্লেখ্য, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর সরকারের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। বিশেষ প্রকাশনা, প্রামাণ্য ও চলচ্চিত্র নির্মাণের মাধ্যমে সরকারের অনুসৃত ও উন্নয়ন কার্যক্রমে জনগণকে সম্পৃক্ত করা এ প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য।

তিনটি নিয়মিত প্রকাশনা-সচিত্র বাংলাদেশ, নবারুণ ও বাংলাদেশ কোয়ার্টারলি এবং অ্যাডহক প্রকাশনার মাধ্যমে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ছাড়াও দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিষয়ে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও পুস্তক প্রকাশ করা হয়ে থাকে।

বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও গুরুত্বপূর্ণ দিবসে পোস্টার ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়। এছাড়া রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দৈনন্দিন রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত সংবাদচিত্র ও বিশেষ সংবাদচিত্র এবং বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করা হয়।

এ অধিদপ্তর সারাদেশ থেকে প্রকাশিত সকল দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক, ত্রৈমাসিক, ষান্মাসিক ও বার্ষিক পত্রিকার নামের ছাড়পত্রসহ নিবন্ধন করা ছাড়াও মিডিয়া তালিকাভুক্ত করা এবং পত্রিকার সার্কুলেশন, নিউজপ্রিন্ট কোটা ও বিজ্ঞাপন হার নির্ধারণসহ ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়ন নিয়মিতভাবে মনিটর করা হয়ে থাকে।


আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

চলতি মে মাসের শেষের দিকে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ণ রূপ নিলে এর নাম হবে ‘রেমাল’। এই নামটি দিয়েছে ওমান।

ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মে মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। ২০ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণাবর্ত। এরপর সেটি ক্রমে উত্তর দিকে হয়ে শক্তি বাড়িয়ে ২৪ মে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, আগামী ২০ মে থেকে এই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ স্পষ্ট হতে পারে। তবে কোথায়, কত গতিতে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। অনুমান করা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের মধ্যে কোথাও এটি আছড়ে পড়তে পারে।

ভারতীয় আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, ২০০৯ সালের ২৫ মে সুন্দরবনে আঘাত করেছিল ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় ‘আইলা’। চলতি বছরের ২৫ মে আঘাত হানতে পারে ‘রেমাল’ নামে একটি ঘূর্ণিঝড়। এতে ১৫ বছর আগের সেই দুঃস্বপ্ন ফের আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আগামী ২৫ মে সন্ধ্যার পর এই ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে ভারতীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে, ২৪ মে রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে উপকূল এলাকায়। বৃষ্টি চলতে পারে ২৬ মে পর্যন্ত।


banner close