হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় নিহত জাপানি ৭ নাগরিকদের স্মরণে মেট্রোরেলের স্টেশনে তাদের নামফলক থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার উত্তরায় মেট্রোরেলের উদ্বোধীন অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এ কথা জানান।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘মেট্রোরেল যখন শুরু করি তখন এসেছিল আঘাত। সাতজন জাপানি পরামর্শক মৃত্যুবরণ করেন। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।’
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আরেকটি অহংকারের পালক বাংলাদেশের মানুষের মুকুটে সংযোজন করলাম। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় আরেকটি পালক দিতে পারলাম, ঢাকাবাসীকে, আরেকটি পালক সংযোজিত করতে পারলাম। এর বাকি অংশ তাড়াতাড়ি শেষ হবে। প্রযুক্তিগত দিক থেকে মাইলফলক বাংলাদেশের জনগণকে স্পর্শ করলো। মেট্রোরেল একটি মাইলফলক। এই প্রথম বাংলাদেশ বৈদ্যুতিক ট্রেনের জগতে প্রবেশ করল। দূর নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে মেট্রোরেল চলবে। এই রেল পরিবেশবান্ধব। শব্দ ও কম্পনদূষণ মাত্রার নিচে থাকবে।’
সরকারপ্রধান বলেন, অনেক টাকা খরচ করে মেট্রোরেল করা হয়েছে। এই মেট্রোরেল সংরক্ষণ করা সবার দায়িত্ব। যাতে মেট্রোরেলের কোনো কিছু নষ্ট না হয়, সে জন্য তিনি সবাইকে তা ব্যবহারে যত্নশীল হওয়ার আহ্বান জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, একটা অনুরোধ থাকবে, অনেক টাকা খরচ করে এই মেট্রোরেল করা হয়েছে। এটাকে সংরক্ষণ করা, এটার মান নিশ্চিত রাখা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা- এই সবকিছু কিন্তু যারা ব্যবহার করবেন তাদের দায়িত্ব।
‘এখানে অনেক আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে, ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার হয়েছে। এই সমস্ত জিনিস যেন নষ্ট না হয়। ব্যবহারের ক্ষেত্রে সকলে যত্নবান হবেন। খেয়াল রাখবেন কেউ যেন আমাদের রেল স্টেশনগুলিতে আবর্জনা-ময়লা না ফেলে, অপরিচ্ছন্ন করতে না পারে- সবাইকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, সুন্দরভাবে, নিয়মতান্ত্রিকভাবে এটা ব্যবহার করার জন্য আমি সবাইকে আন্তরিক আবেদন জানাচ্ছি, অনুরোধ জানাচ্ছি। ধন্যবাদ জানাব, যদি আপনারা কথাগুলি মেনে চলেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জনগণ সেবা করার সুযোগ দিয়েছিল। সে জন্য সবার প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহত হন জাপানি সমীক্ষক হিরোশি তানাকা (৮০), ২৯ বছরের তরুণী রুই শিমোদাইরা, কোইও ওগাসাওয়ারা (৫৭), নোবুহিরো কুরোসাকি (৪৯), হিদেকি হাশিমতো (৬৫), ওকামুরা মাকোতো (৩২) ও ইউকো সাকাই (৪২)।
যানজটের নগরী হিসেবে পরিচিত রাজধানী ঢাকাকে আধুনিক যোগাযোগব্যবস্থার আওতায় আনার পরিকল্পনা থেকে নেয়া মেট্রোরেল প্রকল্পের একটি অংশ চালু হওয়ার মাধ্যমে গণপরিবহনব্যবস্থায় ভিন্ন মাত্রা ও গতি যোগ হচ্ছে। মেট্রোর একাংশ উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার উড়াল পথ বুধবার খুলে দেয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার থেকে নগরবাসীর জন্যও উন্মুক্ত হবে স্বপ্নের এই গণপরিবহনব্যবস্থা।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সরকারকে টেনে ধরার জন্য রাষ্ট্রবিরোধী কিছু চক্র ষড়যন্ত্র করছে। সরকারের মধ্যে ঢুকে থেকে তারা ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। রাষ্ট্রবিরোধীরা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য মহাপরিকল্পনা নিয়েছে।
আজ রোববার দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার ৮নং ধর্মপুর ইউনিয়নের কালিয়াগঞ্জ এলাকার গোদাবাড়ী গ্রামে কামবালা সড়ক উদ্বোধন ও কামবালা নিবাসের দলিল হস্তান্তর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী চক্র এই দেশের বিরুদ্ধে একের পর এক চক্রান্ত করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হিমালয় তুল্য ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের চেষ্টা করছে তারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাবমূর্তি যদি নষ্ট করা যায় তাহলে বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দেওয়া যাবে, দেশ আর কখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না।
তিনি বলেন, আজ থেকে ৫৪ বছর আগে তরুণ যুবকদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। তাই বাংলাদেশ শুধু দক্ষিণ এশিয়ায় নয়, গোটা বিশ্বের নেতৃত্ব দেবে তার দায়িত্ব নিতে হবে তরুণদের।
এ দেশে গণমাধ্যম এখন স্বাধীন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মিডিয়ার ওপর হস্তক্ষেপ করা হয় না। গণমাধ্যমে আজ সবার বক্তব্য প্রচার করা হয়। যে যার মত প্রকাশ করছে, সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন টকশোতে কথা বলতে পারছে। একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল যার কাছে আছে, সে তার নিজের অভিব্যক্তি সবার সামনে প্রকাশ করতে পারছে।
তিনি বলেন, ‘এই এলাকার ভোটার আমাদের মায়ের তুল্য কামবালা যে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে আমরা সেই ইতিহাসের পথ ধরে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তারা দেশকে অন্ধকারে তলিয়ে দিয়েছিল। সেই অন্ধকারে তারা আবার দেশকে তলিয়ে দিতে চায়। আপনারা কোনো গুজবে কান দেবেন না। শেখ হাসিনার শরীরে বঙ্গবন্ধুর রক্ত প্রবাহিত, এই রক্ত কখনো পরাজিত হতে জানে না। আগামীতে বাংলাদেশ যুদ্ধজাহাজ তৈরির স্বপ্ন দেখছে। তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত রেল সড়ক স্থাপিত হয়েছে। ১০ হাজার কিলোমিটার নৌ-পথ আমরা তৈরি করেছি।’
দিনাজপুর বিরল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বহ্নিশিখার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ, বিরল পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সবুজার সিদ্দিক সাগর প্রমুখ।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমার্জেন্সি ফায়ার এক্সারসাইজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে ৫০ জন যাত্রীর ডামি ও ক্রুসহ এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
মহড়ায় উড়োজাহাজে আগুন দেওয়ার পর মুহূর্তেই সেখানে বিমানবন্দর ফায়ার শাখার দুইটি অগ্নিনির্বাপক গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, বিমানবাহিনীর অগ্নিনির্বাপণ গাড়ি, মেডিকেল টিম ও উদ্ধারকর্মীসহ একটি বেল-২১২ মডেলের সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ হেলিকপ্টার এসে উপস্থিত হয়।
এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি অগ্নিনির্বাপক গাড়ি ও একটি অ্যাম্বুলেন্সও সেখানে উপস্থিত ছিল।
পুরো দলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গুরুতর আহত একজন ডামি যাত্রীকে হেলিকপ্টারে করে সামরিক হাসপাতালে পাঠানোর ট্রায়াল দেওয়া হয়। দুর্ঘটনায় আহত ১৯ ডামি যাত্রীকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং জাহানারা ক্লিনিকে পাঠানোর মহড়ায় দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মুফিদুর রহমান বলেন, ‘এ বছরই বাংলাদেশে আইকাওয়ের অডিট হবে। এই অডিটে আমরা কীভাবে এ ধরনের কার্যক্রমগুলো সম্পাদন করি পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে তারা সেগুলো দেখবেন। এ ছাড়া আমরা এটাকে বাস্তবে কীভাবে করছি, আমরা সঠিকভাবে মহড়া করছি কি না, যারা অংশগ্রহণ করছে তারা কীভাবে অপারেশন করছে ইউনিটের যে বিভাগগুলো আছে সেগুলো তারা প্রত্যক্ষ করবেন। সে জায়গায় আজকের মহড়া খুবই টাইমলি ছিল এবং খুব সুন্দরভাবে এটাকে উপস্থাপন করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের প্রতিটি মহড়ায় আমরা আমাদের ভুল-ত্রুটিগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করি। আমাদের সিস্টেমগুলোকে আমরা রিভিউ করি। এভাবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের ইকোনমিতে এ ধরনের মহড়া ক্যাটালিস্ট ভূমিকা রাখতে পারে। আর সেই ভূমিকাটা পালন করার জন্য আমাদের দক্ষতার প্রয়োজন আছে।’
মহড়ার অন স্ক্রিন কমান্ডার ছিলেন হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘আজকের এ মহড়ার উদ্দেশ্য হলো, বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় করে বিমানবন্দরে দুর্ঘটনাকবলিত উড়োজাহাজের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যাচাই করা।’
আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (আইকাও) বিধি অনুসারে, প্রতি দুই বছর অন্তর-অন্তর সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ধরনের অগ্নিনির্বাপণ মহড়ার আয়োজন করতে হয়। সেই ধারাবাহিকতায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই মহড়ার আয়োজন করা হলো।
এই মহড়ার মূল উদ্দেশ্য হলো জরুরি অবস্থায় সব সংস্থার তৎপরতা পরীক্ষা করা, অগ্নিনির্বাপক গাড়িসহ যন্ত্রপাতির উপযোগিতা পরীক্ষা করা এবং জাতীয় পর্যায়ে বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় দক্ষতা বৃদ্ধি করা।
আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) বিশেষ স্টিমার সার্ভিস চালু থাকবে।
আগামী ১৩, ১৬ ও ২০ জুন ঢাকা থেকে মোড়েলগঞ্জ এবং ১৪, ১৮ ও ২২ জুন মোড়েলগঞ্জ থেকে ঢাকায় এই বিশেষ স্টিমার চলাচল করবে।
অগ্রিম টিকিটের জন্য যোগাযোগের নম্বরগুলো হলো- ০১৮১৭-১২৫১৮৪ (হেড অফিস) ০১৭১৫-৪০৮০৪২, ০১৮৭৬-০২৫৭৯৯ (সদরঘাট অফিস) এবং ০১৭৩১-৪৪২৫৫৩ (বরিশাল অফিস)।
গত ৩১ মে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদে নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমানকে শোকজ করে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল। সেই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রতিমন্ত্রী। আজ রোববার বিকেল ৩টায় আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে গিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি। এ সময় প্রতিমন্ত্রীর আইনজীবী হিসেবে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন তার সঙ্গে ছিলেন।
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনার পর ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রীর বিপক্ষে একটি শোকজ নোটিশ ছিল। যার জবাব দেওয়ার জন্য আমি আইনজীবী হিসেবে এখানে এসেছি। মূলত, একটি ভিডিও এখানে দেখানো হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি (প্রতিমন্ত্রী) তিনজনের জন্য ভোট চেয়েছেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ভোট চাওয়ার বিষয়টি দুইবার বলা হয়েছে। এর মানে এটি সুপার এডিট হতে পারে। আর এ বিষয়গুলো চ্যালেঞ্জ করলে সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।’
সুমন আরও বলেন, নির্বাচনের ইমেজ ঠিক রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন যে কাজ করছে এর জন্য প্রতিমন্ত্রী তাদের ধন্যবাদ দিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, কোনো কারণে যদি আমার জানার বাইরে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হয়ে থাকে, তার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। একই সঙ্গে আইনের ব্যত্যয় ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটানো হয়নি বলেও দাবি করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ মে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘনের ওই চিঠিতে বলা হয়, পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়া ঘাট এবং চালতাবুনিয়া ইউনিয়নের চালতাবুনিয়া বাজারে ত্রাণ বিতরণের সময় প্রতিমন্ত্রী প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন, যা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এই কার্যক্রম উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬-এর লঙ্ঘন। সে জন্য আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে কেন দোষী সাব্যস্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে বিষয়ে রোববার নির্বাচন কমিশনে (কক্ষ নং-৩১৪, নির্বাচন ভবন, আগারগাঁও, ঢাকা) ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য চিঠিতে বলা হয়েছিল।
আগামী ৬ জুন থেকে বিদেশ থেকে আসা কোনো যাত্রী নিজের লাগেজ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিলে বা ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য আনলে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে। আর তার লাগেজে থাকা পণ্য রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে। এছাড়া, নিষিদ্ধ পণ্য নিয়ে এলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
কাস্টমসের নতুন আইন-২০২৩ অনুসারে এমন বিধান রাখা হয়েছে।
গত ৩০ মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সই করা এক প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কাস্টমস আইনের ১৫৪ ধারায় বলা আছে, বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের কাস্টমসের কাছে তার লাগেজ সম্পর্কে তথ্য দিতে হবে। যাত্রী বা ক্রু লাগেজে রক্ষিত পণ্য সম্পর্কে কাস্টমস কর্মকর্তার কাছে লিখিত বা মৌখিক ঘোষণা দিতে পারবেন এবং কাস্টমস কর্মকর্তার প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। লাগেজ তল্লাশির আগে যাত্রী যদি রক্ষিত পণ্য সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে ব্যর্থ হন এবং তল্লাশিকালে ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য পাওয়া যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কাস্টমস কর্মকর্তা সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা করতে পারবেন। তাছাড়া, সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হবে।
প্রসঙ্গত, কাস্টমস আইন ১৯৬৯ অনুসারে, পণ্যের ক্ষেত্রে অসত্য ঘোষণা প্রদান করা হলে বা কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকার অথবা ব্যর্থ হলে, সেক্ষেত্রে যাত্রীকে ওই পণ্য-মূল্যের অনধিক তিনগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ডের বিধান ছিল।
রাজধানীর ঢাকাসহ দেশের একটি বড় অংশে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে মিয়ানমারের মাওলাইক এলাকায়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫। তাৎক্ষণিকভাবে এতে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। মিয়ানমারের এই ভূমিকম্প রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে বেশ অনুভূত হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা, কুমিল্লা ও কক্সবাজারেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বাংলাদেশ সময় আজ রোববার বেলা ২টা ৪৪ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডে ভূমিকম্পটি হয়। এর কেন্দ্র ঢাকা থেকে ৪৪১ দক্ষিণ–পূর্বে মিয়ানমারের মাউলাইক এলাকায়।
এর আগে গত বুধবার (২৯ মে) মিয়ানমারের একই এলাকায় ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ওই ভূমিকম্পও ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বড় অঞ্চলজুড়ে অনুভূত হয়েছিল।
মিয়ানমারের আজকের ভূমিকম্পটি ভূপৃষ্ঠের ১১০ কিলোমিটার গভীরে উৎপত্তি হয়েছে বলে ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে। তাদের তথ্য মতে, মিয়ানমারের স্থানীয় সময় বেলা ২টা ১৪ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডে ভূমিকম্পটি হয়েছে।
স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে নতুন প্রজন্মকে উপযুক্ত শিক্ষা দিয়ে সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে স্কাউট নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আজ রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্কাউটস এর জাতীয় কাউন্সিলের ৫২তম বার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি ও চীফ স্কাউট বলেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে তথ্যপ্রযুক্তি, কম্পিউটার, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ভাষাসহ জ্ঞান-বিজ্ঞানের সর্বশেষ প্রায়োগিক কলাকৌশল রপ্ত করতে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে সঠিক পথে পরিচালিত করে ‘স্মার্ট নাগরিক’ হিসেবে গড়ে তুলতে স্কাউট প্রশিক্ষণ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “দেশের শিশু, কিশোর ও যুব সমাজকে ব্যাপকভাবে স্কাউটিংয়ের আওতায় আনার লক্ষ্যে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।”
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন গতানুগতিক স্কাউটিং কার্যক্রমের পাশাপাশি সামাজিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে এবং জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন কার্যক্রমে জনমত গড়ে তুলতেও স্কাউট নেতৃবৃন্দকে এগিয়ে আসার তাগিদ দেন।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, “স্বার্থপরতা, হিংসা, লোভ ও নৈতিকতার অবক্ষয় মানুষের সুকুমার বৃত্তিকে ধ্বংস করে দেয়। আকাশ সংস্কৃতির নেতিবাচক প্রভাব, মাদকাসক্তি, তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার আমাদের কিশোর তরুণদের ওপর মারাত্মক কু-প্রভাব ফেলছে। শহর-উপশহরে কিশোর গ্যাং এর উত্থান ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম এসবেরই বহিঃপ্রকাশ।”
শিশু, কিশোর ও যুবকদেরকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে এবং মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে স্কাউট নেতৃবৃন্দকে আরও বেশি তৎপর হতে উপদেশ দেন চিফ স্কাউট।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আত্মনির্ভরশীল ও মূল্যবোধসম্পন্ন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার কর্মপ্রেরণায় সকল কাউন্সিলর, স্কাউটার ও স্কাউট আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত সকলকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি।
তিনি উল্লেখ করেন, যুব বয়সীদের সৎ, চরিত্রবান, আদর্শ ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী সর্বজনবিদিত ও কার্যকর শিক্ষামূলক কার্যক্রম হচ্ছে স্কাউট আন্দোলন।
বর্তমানে স্কাউটের সংখ্যা ২৫ লাখ ৮৭ হাজার যা জনসংখ্যার তুলনায় অপ্রতুল বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, “বাংলাদেশ স্কাউটস এর ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান-২০৩০ অনুসারে স্কাউট সদস্য ৫০ লক্ষে উন্নীত করার পাশাপাশি এর গুণগত মানও নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরকেও স্কাউটিংয়ে সমানভাবে সম্পৃক্ত করতে হবে।”
তিনি বলেন, বৃক্ষরোপণ, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্য-শিক্ষা, ইপিআই কর্মসূচি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ী হতে উদ্বুদ্ধকরণ এবং পরিবেশ সচেতনতার মতো স্কাউটদের সেবাধর্মী কাজ তৃণমূল পর্যন্ত আরও বিস্তৃত হলে দেশের মানুষও এর সুফল পাবে।
রাষ্ট্রপতি জনগণের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে দেশের যে কোনো দুর্যোগ-দুর্ঘটনায় বিভিন্ন সময়ে অগ্নিকাণ্ডে আহত-নিহতদের সেবাদানেও স্কাউটদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
এ সময়ে বাংলাদেশ স্কাউটসের বিগত বছরের কার্যক্রমের ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রশিক্ষণ, প্রোগ্রাম, সমাজ উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কার্যক্রমসহ স্কাউটিং সম্প্রসারণে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ ‘প্রেসিডেন্ট’স রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড’, স্কাউটসের সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড ‘রৌপ্য ব্যাঘ্র’ এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড রৌপ্য ইলিশ” প্রদান করা হয়।
পদকপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানান চিফ স্কাউট। তিনি সেখানে পুরস্কার প্রাপ্তদের সাথে একটি ফটোসেশনেও অংশ নেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে দেশের যুব সম্প্রদায়কে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ও দেশপ্রেমে উজ্জীবিত দক্ষ ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
স্কাউটিং এর সার্বিক কর্মসূচিকে সময়োপযোগী এবং দেশের টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে স্কাউটদের সক্রিয় অবদান রাখার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপ্রধান।
বাংলাদেশ স্কাউটস এর সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ এমপি এতে সভাপতিত্ব করেন। এ সময় বাংলাদেশ স্কাউটস এর প্রধান জাতীয় কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খানও বক্তব্য রাখেন।
জাতীয় নির্বাচন যদি ধাপে ধাপে আয়োজন করা যায় তাহলে নির্বাচন আরও গ্রহণযোগ্য হবে, এতে নির্বাচনের আয়োজন করতেও সহজ হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
আজ রোববার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘আমরা টিআইবিকে বলেছি- জাতীয় নির্বাচন ধাপে ধাপে করা যায় কিনা, সে ব্যাপারে জনমত গড়ে তুলতে। কারণ ধাপে ধাপে নির্বাচন আয়োজন করতে পারলে নির্বাচনকে আরও বেশি সুষ্ঠু করা যাবে। কারণ, তখন আরও বেশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা যাবে। আরও বেশি পোলিং এজেন্ট মোতায়েন করা সম্ভব হবে। নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে কখনও নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করা সম্ভব নয়। এটি করতে হলে সকল রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
এর আগে, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাকক্ষে নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠকে বসে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) একটি প্রতিনিধি দল। এতে টিআইবির পক্ষ থেকে নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানসহ মোট ৫ জন অংশ নেন।
আর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব:), নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিম অংশ নেন।
আগামী ৯ জুন ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে সব মন্ত্রণালয়ের সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।
আজ রোববার সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় রেমালের সার্বিক বিষয় নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন। এ জন্য আমরা আগামী ৯ তারিখে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা করে সব মন্ত্রণালয়ের ক্ষয়ক্ষতির তালিকা চূড়ান্ত করবো। এরপর এটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেওয়া হবে।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ে ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ২৬ মে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রিমাল আঘাত হানে। এর প্রভাবে উপকূলীয় বেশকিছু এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়। যার ফলে এসব এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়। এ ছাড়া ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। বেশকিছু রাস্তাঘাট, বেড়িবাঁধ, ঘরবাড়ি ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ১৯ জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের অনুকূলে ত্রাণকার্যে নগদ পাঁচ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, পাঁচ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল, ৯ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ২০০ বান্ডিল ঢেউটিন, গো- খাদ্যের জন্য দুই কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং শিশু খাদ্য কেনার জন্য দুই কোটি ৪৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত কয়েকদিন ধরে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও দিনাজপুর জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার্তদের সাহায্যে সিলেট জেলায় ২০ লাখ টাকা নগদ অর্থ, ৫০০ মে. টন চাল, ১০ লাখ টাকার গো-খাদ্য এবং ১০ লাখ টাকার শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে সুনামগঞ্জ জেলায় ১৫ লাখ টাকা নগদ অর্থ, ৫ লাখ টাকার গো-খাদ্য এবং ৫ লাখ টাকার শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। একইভাবে দিনাজপুর জেলায় ১৫ লাখ টাকার নগদ অর্থ এবং ৩ লাখ টাকার শুকনো ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে।
‘বাংলাদেশকে আর কেউ পেছনে টানতে পারবে না। ১৫ আগস্টের পর আমাদের যেভাবে ভিক্ষুক জাতিতে পরিণত করা হয়েছে আর যেন কেউ এটা না করতে পারে কেউ সেজন্য আমাদের সবসময় সজাগ থাকতে হবে। দেশটাকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’
আজ রোববার গণভবনে ‘আমার চোখে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক এক মিনিটের ভিডিও নির্মাণ প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিতদের সম্মাননাপত্র, ক্রেস্ট ও আর্থিক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘কোন দেশের সঙ্গে কোন দেশের ঝগড়া সেটা আমার দেখার দরকার নেই। নিজের দেশের উন্নয়নটা আমার আগে দরকার। উন্নয়নে যারা সহযোগিতা করবে আমি তাদের নিয়েই চলবো। সেভাবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা সবসময় শান্তি চাই, যুদ্ধ চাই না। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই এবং সেই বন্ধুত্ব রেখেই কিন্তু আমি এগিয়ে যাচ্ছি।’
নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের তৈরি করতে হবে। এখন যুগ হচ্ছে প্রযুক্তির যুগ, বিজ্ঞানের যুগ, জ্ঞানের যুগ। আমাদের ছেলেমেয়েদের বলবো লেখাপড়া ছাড়া, জ্ঞান অর্জন ছাড়া, নিজেকেও তৈরি করতে পারবো, দেশকেও তৈরি করতে পারবো না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের ছোট্ট সোনামনি, আমাদের নতুন প্রজন্ম তোমরাই একদিন এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। কিন্তু সেটা করতে হলে একটা আদর্শ লাগে। ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী দিনের পথ চলা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে, আমরা যেন আরও সুন্দর ভাবে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। সেভাবেই কিন্তু নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। শিক্ষা ছাড়া কখনো এটা সম্ভব না। শিক্ষা ছাড়া কোনোদিন একটা জাতিকে দারিদ্র্য মুক্ত করা যায় না। শিক্ষাই হচ্ছে সব থেকে বড় অর্জন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তোমাদেরকে তৈরি হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাটা যেন নষ্ট না হয়। বাংলাদেশ ক্ষুধা-দারিদ্র্য মুক্ত, উন্নত বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। তোমাদেরকেই গড়ে তুলতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কারো কাছে হাত পেতে চলবো না। নিজের মর্যাদা নিয়ে চলবো। আত্ম মর্যাদাবোধ নিয়ে চলবো, এটাই আমাদের মাথায় সব সময় রাখতে হবে। একটা কথা মনে রাখবে যে ভিক্ষুক জাতির কোনো ইজ্জত থাকে না। ১৯৭৫ সালের আমরা কিন্তু ভিক্ষুক জাতিতে পরিণত হয়েছিলাম।’
সঠিক ইতিহাস জানা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল আজকে সেই ইতিহাস বিকৃতি আস্তে আস্তে মুছে গেছে। এখন সঠিক তথ্যটা চলে এসেছে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিতদের হাতে সম্মাননাপত্র, ক্রেস্ট এবং আর্থিক পুরস্কার তুলে দেন।
পবিত্র ঈদুল আজহার ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি আজ রোববার থেকে শুরু হচ্ছে। এর আগে গত ২৮ মে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম টিকিট বিক্রির বিষয়টি ঘোষণা করেছেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ১৭ জুনকে ঈদের দিন ধরে ২ জুন আন্তনগর ট্রেনের অগ্রিম ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে। এবার দুই সময়ে ট্রেনের আসন বিক্রি করা হবে। পশ্চিমাঞ্চলের আসন বিক্রি শুরু হবে সকাল ৮টা থেকে আর পূর্বাঞ্চলের আসন বিক্রি শুরু হবে দুপুর ২টা থেকে। রেলওয়ের ওয়েবসাইট থেকে সহজেই যাত্রীরা এ আসন সংগ্রহ করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই চলবে।
যেভাবে করতে হবে রেজিস্ট্রেশন
রেলওয়ের ওয়েবসাইটে (https://eticket.railway.gov.bd) প্রবেশ করতে হবে। এরপর ওয়েবসাইটের ওপরে থাকা রেজিস্ট্রেশন ট্যাবে ক্লিক করতে হবে। এতে রেজিস্ট্রেশনের জন্য নতুন একটি পেজ আসবে। এ পেজে মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে I'm not a robot বক্সে ক্লিক করতে হবে। তারপর ভেরিফাই বাটনে ক্লিক করতে হবে। তখন মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি চলে আসবে। সব তথ্য ঠিক থাকলে রেজিস্ট্রেশন সফল হবে এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে নামে নতুন একটি পেজ আসবে। এখানে ইউজার অটো লগইন হয়ে যাবে। এবারও প্রথমে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। লগইন না হয়ে থাকলে আবার লগইন বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর যে পেজ আসবে তাতে কাঙ্ক্ষিত ভ্রমণ তারিখ, প্রারম্ভিক স্টেশন, গন্তব্য স্টেশন, শ্রেণি পূরণ করে ফাইন্ড টিকিট বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ট্রেন অনুযায়ী ভিউ সিটস বাটনে ক্লিক করে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে পছন্দের আসন সিলেক্ট করে কন্টিনিউ পারচেজে ক্লিক করতে হবে। ভিসা, মাস্টার কার্ড কিংবা বিকাশে পেমেন্ট করলে একটি ই-টিকিট অটো ডাউনলোড হবে। পাশাপাশি যাত্রীর ই-মেইলে টিকিটের কপি চলে যাবে। এদিকে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ট্রেন যাত্রার সুবিধার্থে ১০ জোড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর মধ্যে এক জোড়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটের ‘কক্সবাজার ঈদ স্পেশাল’ ট্রেন। সম্প্রতি ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের নেওয়া কর্মপরিকল্পনা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়, ঈদুল আজহায় চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল (১, ২, ৩ ও ৪) চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম, দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল (৫ ও ৬) ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা, ময়মনসিংহ ঈদ স্পেশাল (৭ ও ৮) চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ঈদ স্পেশাল (৮ ও ৯) চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে ১২ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এবং ঈদের পর মিলিয়ে মোট ১৪ দিন চলাচল করবে। এ ছাড়া পার্বতীপুর ঈদ স্পেশাল (১৫ ও ১৬) জয়দেবপুর-পার্বতীপুর-জয়দেবপুর রুটে আগামী ১৩ থেকে ১৫ জুন এবং ঈদের পর ২১ থেকে ২৩ জুন চলাচল করবে। অন্যদিকে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল (১১ ও ১২) ভৈরব বাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব বাজার, শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল (১৩ ও ১৪) ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ, গোর-এ-শহীদ ঈদ স্পেশাল (১৭ ও ১৮) পার্বতীপুর-দিনাজপুর-পার্বতীপুর, গোর-এ-শহীদ ঈদ স্পেশাল (১৯ ও ২০) ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর-ঠাকুরগাঁও রুটে শুধু ঈদের দিন চলাচল করবে।
এদিকে গত ঈদুল ফিতরে চালু হওয়া কক্সবাজার ঈদ স্পেশাল ট্রেন ঈদের আগে-পরে মোট ১৪ দিন চলার কথা থাকলেও যাত্রীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক দফায় সময় বাড়িয়ে ট্রেনটি আগামী ১০ জুন পর্যন্ত চালুর কথা ছিল; কিন্তু যান্ত্রিক বিভাগ থেকে ইঞ্জিন ও লোকো মাস্টারের সংকটের কথা জানিয়ে ওই ট্রেন চলাচল ৩০ মে থেকে বাতিল হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ওই পথের যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এ বিষয়ে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন নিয়মিত কোনো ট্রেন নয়। ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১২ জুন থেকে এটি চালু হবে। এরপর ১০-১২ দিন চলাচল করে আবার বন্ধ হয়ে যাবে। স্পেশাল ট্রেন মানে যেকোনো সময় চলবে, তারপর আবার বন্ধ হবে।’
প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানার পর গত সোমবারের (২৭ মে) পর থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে বেশ ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। ফলে এই গরমে জনমনে বেশ অস্বস্তি দেখা যাচ্ছে। গতকাল শনিবারও তীব্র দাবদাহ প্রবাহিত হয়। থেকে থেকে মেঘের লুকোচুরি থাকলেও অস্বস্তিকর ভ্যাপসা গরম কোনোভাবেই মুক্তি দেয়নি মানুষদের। এতে করে কাজের জন্য বের হওয়া মানুষকে বেশ ঘামতে দেখা যাচ্ছে। এতে যারা কর্মজীবী মানুষ রয়েছেন তাদের কষ্ট হচ্ছে বেশি।
তবে চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে গত মে মাসে সারা দেশে তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও ভ্যাপসা গরম মানুষকে বেশ অস্বস্তি দিচ্ছে। বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় এই ভ্যাপসা গরমের মাত্রা যেন একটু বেশিই অনুভূত হচ্ছে। ঘরে-বাইরে সবখানেই বিরাজ করে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি।
দেশের ১৬টি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে কিছু কিছু জায়গায় আজ রোববার তাপপ্রবাহ প্রশমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে গতকাল আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
তাপপ্রবাহ চলমান জেলাগুলো হচ্ছে- ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর, নোয়াখালী, বাগেরহাট, যশোর, বরিশাল, পটুয়াখালী ও ভোলা।
এদিকে দেশের ৮ বিভাগেই বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আর সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
গতকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, সারা দেশে বিস্তার লাভ করছে মৌসুমি বায়ু। এটি দেশের সাত বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘মৌসুমি বায়ু এখন কিছুটা দুর্বল, তাই সারা দেশে হালকা বৃষ্টির ধারণা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি গরমও কিন্তু থাকবে। তবে এক সপ্তাহ বা তারও কিছু সময় পর মৌসুমি বায়ু আরও সক্রিয় হলে বৃষ্টি বাড়বে। তখন গরম কিছুটা কমবে।’
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, রংপুর এবং রাজশাহী বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু আরও অগ্রসর হওয়ার জন্য পরিস্থিতি অনুকূলে রয়েছে।
এদিকে আট বিভাগেই বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, রাজশাহী, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
গতকালের আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বাড়তি অংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, রংপুর এবং রাজশাহী বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু আরও অগ্রসর হওয়ার জন্য পরিস্থিতি অনুকূল রয়েছে।
অন্যদিকে বর্ষার বার্তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে দেশে প্রবেশ করছে মৌসুমি বায়ু। তবে এখনও সারা দেশে বিস্তার লাভ করতে পারেনি সেটি। আগামী দুই থেকে তিন দিনে দেশব্যাপী মৌসুমি বায়ু বিস্তার লাভ করবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে এবং দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দেশের অবশিষ্টাংশে আরও অগ্রসর হওয়ার জন্য পরিস্থিতি অনুকূলে রয়েছে, যা আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে সারা দেশে ছড়িয়ে যাবে।’
তিনি আরও জানান, যেহেতু মৌসুমি বায়ু দেশে বিস্তার লাভ করছে, সেহেতু আপাতত তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা কম। তবে যেসব এলাকায় বৃষ্টি হবে না, সেসব এলাকায় মৃদু তাপপ্রবাহ হতে পারে। যেমন- ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা কম এবং খুলনা, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও টিকিট না পাওয়ায় তিন থেকে চার হাজার বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মী মালয়েশিয়া যেতে পারেননি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) মহাসচিব।
বায়রা মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আজ আমাদের অফিস বন্ধ থাকায় কতজন বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় গেছেন এবং কতজন সেখানে যেতে পারেননি তার চূড়ান্ত সংখ্যা আমরা এখনো পাইনি। আমরা আগামীকাল (রোববার) বলতে পারব।’
তিনি বলেন, কুয়ালালামপুরে পৌঁছানোর সময়সীমা গতকাল শেষ হওয়ায় এবং তাদের কাছে উড়োজাহাজের টিকিট না থাকায় প্রায় তিন থেকে চার হাজার বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিক মালয়েশিয়া যেতে পারেননি।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শ্রমিকদের প্রবেশের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় অনিশ্চয়তার মধ্যে গতকাল মালয়েশিয়াগামী কয়েকশ প্রবাসী শ্রমিক ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেন। স্থানীয় রিক্রুটিং এজেন্টরা সময়মত টিকিট দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর তারা উড়োজাহাজের টিকিট ছাড়াই বিমানবন্দরে আসেন।
গতকাল বিমানবন্দরের দুটি আন্তর্জাতিক টার্মিনালের সামনে ছিল প্রচণ্ড ভিড়। বৃহস্পতিবার রাতে বা তার আগেই অনেক শ্রমিক বিমানবন্দরে চলে আসেন। শ্রমিকদের কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন যে, রিক্রুটিং এজেন্টরা তাদের ফোন ধরছেন না। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক কামরুল ইসলাম জানান, ‘মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ শ্রমিকরা চলে যাওয়ায় বিমানবন্দরের পরিস্থিতি এখন শান্ত।’