শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

বিএনপি-জামায়াতের বিচ্ছেদ, পাল্টে যাবে ভোটের হিসাব

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির লোগো। ছবি: সংগৃহীত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০৯:২৩

জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতা ঘরোয়া আলোচনায় জোট ছেড়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলেও বিএনপি এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাইছে না ভোটের হিসাবনিকাশের কারণে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে অস্ত্র ধরা দলটির পাঁচ শতাংশের আশপাশে ভোট রয়েছে, যে ভোট বিএনপিকে ৭০ থেকে ৮০টি আসনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি জোগায়।

এরশাদ সরকারের পতনের পর যেসব নির্বাচন হয়েছে, তাতে দেখা গেছে, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে সহযোগী থেকে দুটি নির্বাচনে সাফল্য পেয়েছে। অন্যদিকে যে নির্বাচনে দুই দল আলাদা ভোট করেছে, সে সময় দুই দলের আসনই অনেক কমে গেছে। অবশ্য এটাও ঠিক যে, সব মহলে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনে জোটে থাকার পরও বিএনপি-জামায়াতের ভরাডুবি হয়েছে। সেই নির্বাচনে আবার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগও জোটের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে লড়াইয়ে নামে।

একক শক্তিতে জামায়াতে ইসলামীর ক্ষমতার কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগও নেই। তবে তাদের যে পরিমাণ ভোট আছে, সেটি অন্য প্রধান দলের বাক্সে গেলে সেই দলকে শক্তি জুগিয়ে ক্ষমতায় নিয়ে আসতে পারে।

এই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নানা সমালোচনা এবং দেশি-বিদেশি চাপের মধ্যেও জামায়াতের সঙ্গে জোট চালিয়ে গেছে বিএনপি। তবে কয়েক বছর ধরে দূরত্বের মধ্যে এবার দলটির আমির জোট ছাড়ার কথা বলেছেন, যদিও দুই দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য আসেনি।

বিএনপি কেন এই বিষয়টি নিয়ে চুপচাপ, এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, তিনি মুখ খুলবেন না। তিনি এমনও বলেছেন, ‘কিছু না বলা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার।’

কুমিল্লার একটি ইউনিটের রুকন সম্মেলনে জামায়াত আমির স্পষ্ট করেই বলেন, বিএনপির সঙ্গে তাদের জোট আর নেই। এখন থেকে আল্লাহর ওপর ভরসা করে তারা আলাদা থাকবেন। প্রশ্ন হলো, জামায়াত সরে গেলে আওয়ামী লীগের মহাজোটের মোকাবিলায় ভোটের ময়দানে বিএনপির অবস্থান কী হবে।

১৯৯১ সালের পর থেকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রধান দুই দল- আওয়ামী লীগের ভোট প্রতিবার বেড়েছে। বিএনপির ভোট একবার কমেছে এবং সেটি অনেক বেশি। সেই নির্বাচনের পরই দলটি রাজনীতিতে অবস্থান হারায়।

বিএনপির পাশে জামায়াত না থাকলে সমীকরণটা কী হবে- জানতে চাইলে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা ব্রতীর চেয়ারম্যান শারমিন মুরশিদ দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘ঐতিহ্যগতভাবে বিএনপির ৩০ থেকে ৩২ শতাংশ ভোট আছে। সেখানে আওয়ামী লীগের ভোট আছে ৪০ শতাংশের মতো। নরমাল ইলেকশন হলে জামায়াত ভোট পাবে ৫ শতাংশের আশপাশে।’ তবে দীর্ঘদিন একটা দল ক্ষমতায় থাকার পর এসব ফল পাল্টে যেতে পারে বলেও মনে করেন তিনি। বলেন, ‘এসব বিষয়ে পলিটিক্যাল পার্টির গবেষণা থাকা উচিত।’

জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান কলিমুল্লাহ মনে করেন, জামায়াতের জোট ত্যাগ বিএনপির জন্য উপকারিও হতে পারে। তিনি বলেন, ‘জামায়াত অফিশিয়ালি বিএনপির সঙ্গ ত্যাগ করলে শাসক দল আওয়ামী লীগের অ্যাকশন থেকে তারা তুলনামূলকভাবে গা-বাঁচাতে পারবে। তা ছাড়া জামায়াতের সঙ্গে গাঁটছড়া থাকার কারণে আন্তর্জাতিকভাবে যে মৌলবাদঘেঁষা দল হিসেবে ট্রিট করার একটা সুযোগ ছিল, সেটা থেকে তাদের মুক্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।’

জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেও বিএনপি যে নির্ভার থেকেছে এমন নয়। গত নির্বাচনের আগে গণফোরাম, জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে জোট করার পরও জামায়াতের অবস্থান নিয়ে স্পষ্ট করতে চায়নি। সে সময় বিএনপি ঐক্যফ্রন্ট আর ২০ দলীয় জোট একসঙ্গে চালিয়ে গেছে। তবে ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের এ বিষয়ে ধোঁয়াশায় রেখেছে। এমনকি ভোটের আগে আগে ভারতীয় একটি দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেন জানান, জামায়াত জোটে থাকবে জানলে তিনি বিএনপির সঙ্গে জোটে যেতেন না।

জামায়াতের ভোট যদি বিএনপির বাক্সে না পড়ে, তাহলে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করা আপনাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে না কি?- এমন প্রশ্ন ছিল মির্জা ফখরুলের কাছে। কিন্তু তিনি কিছুই বললেন না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যদি বলতে কিছু নাই।’

অতীতের নির্বাচনে তো দেখা গেছে, জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা না হলে আপনারা ভোটে ভালো করেননি। তাহলে কেন জামায়াতের জোট ছাড়ার বিষয়ে মূল্যায়ন করা যাবে না। এমন প্রশ্নেও ফখরুল কোনো জবাব দেননি। উল্টো প্রশ্ন করে বলেন, ‘আপনার কি তাই মনে হয় নাকি?’ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবেন না বলে ফোন রাখেন বিএনপি নেতা।

বিএনপির সমর্থন ছাড়া জামায়াত ভোটে যে ‘অচল মাল’ সেই বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিলে দলটির প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘যদি দিয়ে কোনো কথার উত্তর নেই। তবে নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াত যুদ্ধে অবতীর্ণ হবে। নির্বাচনের সময় যখন আসবে তখনকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে জামায়াত সিদ্ধান্ত নেবে।’

১৯৯৬ সালে একা ভোট করে জামায়াতের কেবল তিনটা আসন পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একাদশে বিএনপি কেন ছয়টা আসন পেল?’ ভোটের ১৭ মাস আগে এসব হিসাবনিকাশ ঠিক হবে না বলেও মনে করেন।

ভোটের হিসাবনিকাশ

১৯৭০ সালের নির্বাচনে ৬ শতাংশ ভোট পাওয়া জামায়াত মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে অস্ত্র ধরে যুদ্ধ শেষে নিষিদ্ধ হয়। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাসনামলে রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ পাওয়ার পর ১৯৮৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে তারা অংশ নেয়। সেই নির্বাচনে দলটি ভোট পায় ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। আসন পায় ১০টি।

বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে সমঝোতায় ভোটের রাজনীতিতে কতটা প্রভাব পড়ে, সেটি বোঝা গেছে ১৯৯১ ও ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে।

এরশাদ পতনের পর নির্বাচন নিয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমানের লেখা একটি বইয়ের তথ্য বলছে, তাদেরকে অঘোষিতভাবে ৩৫ আসনে সমর্থন দেয় বিএনপি। আর বিএনপিকে শতাধিক আসনে ভোট দেয় দলটি। সেই নির্বাচনে বিএনপি আসন পায় ১৪০টি, জামায়াত পায় ১৮টি। আর আওয়ামী লীগ পায় ৮৮ আসন। ওই নির্বাচনে ধানের শীষ নিয়ে বিএনপি পায় মোট ভোটের ৩০ দশমিক ৮ শতাংশ আর নৌকা নিয়ে আওয়ামী লীগ পায় ৩০ দশমিক ১০ শতাংশ। জামায়াতের বাক্সে পড়ে ১২ দশমিক ১০ শতাংশ ভোট। দলটির রাজনৈতিক ইতিহাসে স্বাভাবিক হারের দ্বিগুণের বেশি ভোট পাওয়াতেই এটা স্পষ্ট হয় যে, নেপথ্যে কিছু একটা ছিল।

২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক জোটই করে দল দুটি। সঙ্গে ছিল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি থেকে বের হয়ে আসা একটি অংশ এবং কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক দলগুলোর মোর্চা ইসলামী ঐক্যজোট। এই সম্মিলিত শক্তিতে আওয়ামী লীগকে বলতে গেলে উড়িয়ে দেয় তারা। বিএনপি একাই পায় ১৯৩টি, জামায়াত পায় ১৭টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি বা বিজেপি পায় চারটি, ইসলামী ঐক্যজোট পায় দুটি আসন। ওই বছর আওয়ামী লীগ আসন পায় ৬২টি। এর মধ্যে উপনির্বাচনে দলটি আরও চারটি আসন হারিয়ে ফেলে। শেষ পর্যন্ত আসন দাঁড়ায় ৫৮তে। কিন্তু সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ভোটের পার্থক্য ছিল কমই। বিএনপি পায় ৪১ দশমিক ৪০ শতাংশ, আর আওয়ামী লীগ ৪০ দশমিক ০২ শতাংশ। জামায়াতের আসন ১৭টি হলেও তাদের ভোট ছিল ৪ দশমিক ২৮ শতাংশ।

১৯৯৬ সালের ১২ জুন সব দল একক শক্তিতে যে ভোট করে, তাতে জামায়াতের ভোট কমে যায়। ওই বছর জামায়াত মোট ভোটের ৮ দশমিক ৬০ শতাংশ পায়, আসন নেমে আসে ৩টিতে।

ভোটের ৩৭ দশমিক ৪০ শতাংশ পড়ে আওয়ামী লীগের বাক্সে, আসন পায় ১৪৬টি। বিএনপি ১১৬টি আসন পায় ৩৩ দশমিক ৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে। অর্থাৎ এই নির্বাচনেও যদি বিএনপি ও জামায়াতের সমঝোতা থাকত, তাহলে তারা আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশি ভোট পেতে পারত।

২০০৮ সালের পর নতুন সমীকরণ

২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে তৈরি হয় নতুন সমীকরণ। আওয়ামী লীগও ভোটে নামে জোটের শক্তি নিয়ে। নৌকা ও জাতীয় পার্টির সম্মিলিত ভোটে পাত্তা পায়নি বিএনপির জোট। ৪৮ দশমিক ০৪ শতাংশ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগ আসন পায় ২৩০টি। বিএনপির ধানের শীষে ভোট পড়ে ৩২ দশমিক ৫০ শতাংশ, আসন হয় ৩০টি।

জাতীয় পার্টিও পায় ২৭টি আসন। ভোট দাঁড়ায় ৭ দশমিক ০৪ শতাংশ, যা ছিল আগের নির্বাচনের চেয়ে বেশি। ওই নির্বাচনে জামায়াতের দাঁড়িপাল্লায় ভোট পড়ে ৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। আসন কমে হয় দুটি।

সমালোচনা গায়ে মাখেনি বিএনপি

নানা সময় ভোটের হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা গেছে কয়েকটি আসনে জামায়াত এককভাবেই লড়াই করতে পারে। এর মধ্যে আছে উত্তরে দিনাজপুর ও নীলফামারী, গাইবান্ধায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও পাবনায় দুটি করে, রাজশাহী, বগুড়া, সিরাজগঞ্জে একটি করে।

খুলনা বিভাগে সাতক্ষীরার চারটি, যশোরে দুটি, খুলনা ও ঝিনাইদহে একটি করে আসনে লড়াই করতে পারে তারা।

বরিশাল বিভাগে পিরোজপুরে একটি আসনে এবং চট্টগ্রাম বিভাগে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে একটি আসনে লড়াই করার শক্তি আছে তাদের। তবে এর বাইরে ৫০ থেকে ৬০টি আসনে ১০ থেকে ২০ হাজার ভোট আছে দলটির।

জামায়াতের এই ভোটের বিষয়টি হিসাবনিকাশ করেই বিএনপি ১৯৯৯ সালে জোট করে। সেই জোটে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি ও কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক দলগুলোর জোট ইসলামী ঐক্যজোটও ছিল। ভোটের আগে আগে এরশাদ বেরিয়ে যাওয়ার পর দলে ভাঙন ধরে এবং দলের একাংশ জোটে থেকে যায়। দেশ বিদেশে নানা চাপের মুখেও এই জোট চালিয়ে নিয়ে গেছে বিএনপি, যদিও ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্কই তাদের কাল হওয়ার একটি কারণ হিসেবে উঠে এসেছে দলের মূল্যায়নে। ওই নির্বাচনের পর বিএনপির পক্ষ থেকে ১০টি কমিটি গঠন করা হয় বিপর্যয়ের কারণ পর্যালোচনার জন্য। এর মধ্যে ৯টি কমিটিই জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধতাকে দায়ী করে, যা ছিল বিএনপির তৃণমূল নেতাদের অভিমত।

নির্বাচনের পর বিএনপির তরুণ নেতারাও প্রকাশ্যেই দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে দাবি তোলেন জামায়াত ছাড়ার।

২০০১ সালে এই জোট জেতার পর ১৯৭১ সালের খুনে বাহিনী আল বদরের দুই শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে মন্ত্রী করার পর সমালোচনার মুখে পড়ে বিএনপি। সেই সরকারের পাঁচ বছরের শাসন শেষে নানা ঘটনাপ্রবাহে জরুরি অবস্থা জারি হলে, ২০০৭ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের যে দাবি ওঠে, তাতে চাপে পড়ে জামায়াত এবং তার জোটসঙ্গী হিসেবে বিএনপিও। আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অঙ্গীকার করে বাজিমাত করে আওয়ামী লীগ।

এই নির্বাচনে জাতীয় পার্টির পাশাপাশি জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, গণতন্ত্রী পার্টি এবং আরও কিছু ছোট ছোট দলের সম্মিলিত ভোটও বিএনপি জোটকে হারাতে ভূমিকা রেখেছে।

সেই নির্বাচনের পর বিএনপি ও তার জোট আর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ফিরতে পারেনি। মাঝে ২০১৪ সালের নির্বাচন ঠেকানোর আন্দোলনে নেমে ব্যাপক সহিংসতার পর সমালোচিতও হয়। তবে ভোট ঠেকাতে পারেনি।


সরকারের ধারাবাহিকতায় এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারের ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্বতায় দেশে এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা একটা কথা কেউ বলি না, আজকের বাংলাদেশের এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ কেন হয়েছে? সরকারের ধারাবাহিকতায় এবং স্থায়িত্বতার কারণে। এর কারণেই বাংলাদেশের এত উন্নয়ন ও অর্জন সম্ভব হয়েছে। এই কারণে বিশ্বের বিস্ময়ে রূপান্তরিত হতে পেরেছে বাংলাদেশ।’

দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতি আপনজন এই দেশের জনগণ। হতাশা কবলিত বাংলাদেশে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে: প্রধানমন্ত্রী

ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

জনগণকে সুন্দর ও উন্নত জীবন দিতে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে বলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘প্রতিবার নির্বাচনের সময় চক্রান্ত হয়, সেটা মোকাবিলা করে আমরা বেরিয়ে আসি। আমাদের তা ধরে রাখতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিয়ে যে অধিকারগুলো আদায় করেছিল, সেটা আমরা সমুন্নত করতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি আজ তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে তাকে গণভবনে শুভেচ্ছা জানাতে আসা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন।

’৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘ প্রবাস জীবন কাটাতে বাধ্য হওয়া শেখ হাসিনা একরকম জোর করেই দেশে ফিরে আসেন। এর আগে তার অনুপস্থিতিতেই তাকে সর্বস্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এ দিন বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকার কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। ঝড়-ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ সেই দিনে বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে লাখ লাখ জনতা তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানায়।

তিনি যখন দেশে ফেরেন তখন যুদ্ধাপরাধী এবং জাতির পিতার হত্যাকারীরা ক্ষমতায় ছিল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার পাশে ছিল বাংলাদেশের জনগণ। তিনি জানতেন তাকেও তার বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যদের ভাগ্যবরণ করতে হতে পারে। কিন্তু দেশবাসী ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি ছিল তার আস্থা।

শেখ হাসিনা বলেন ‘আমি আমার বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলব, আমার সব শক্তি-সাহস মা-বাবার কাছ থেকে পেয়েছি।’

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার সময় এত বড় সংগঠন চালানোর অভিজ্ঞতা আমার ছিল না। সেই আওয়ামী লীগ এখন দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী, বৃহত্তম এবং জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য সংগঠনে পরিণত হয়েছে। পঞ্চম মেয়াদে ক্ষমতায় এসেছে।

আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ উল্লেখ করে টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের যদি রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা না থাকে, দেশপ্রেম না থাকে, সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় না থাকে, তাহলে সেটা এগোতে পারে না। সামনে আরও বদলাতে হবে। কারণ, আমার বাবার একটাই স্বপ্ন ছিল দেশটাকে গড়ার। আমাদের পরিকল্পনা সেটাই আছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ’৭৫-এর পর যারা ক্ষমতায় ছিল তারা নিজেদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করেছিল। দেশের কোনো উন্নতি করতে পারেনি। তারা বরং শত শত সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে এবং ক্ষমতায় থাকার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অমানবিক নির্যাতন ও হত্যা করেছে। এ সময় প্রতিরাতে কারফিউ বলবৎ রাখার জিয়াউর রহমানের কারফিউ গণতন্ত্রের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের অগণিত নেতা-কর্মীর গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ও আত্মাহুতির কথাও তিনি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী তার উন্নয়নের মূলমন্ত্র তুলে ধরে বলেন, কী পেলাম, না পেলাম সেই চিন্তা করেনি। ভবিষ্যৎ কী সেই চিন্তাও করি না। চিন্তা করি দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ যেন আরও সুন্দরভাবে গড়ে তুলে দিয়ে যাব। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

দলীয় নেতাদের আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, এটাই মনে রাখবেন একটা দল করি শুধু নেতা হওয়ার জন্য নয়, মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, কী দিতে পারলাম, কী দিয়ে গেলাম। এটাই রাজনৈতিক মানুষের জীবনের বড় কথা। এ কথা মাথায় রাখতে পারলে দেশের মানুষের জন্য অনেক কিছুই করা যেতে পারে।

সংগঠনকে শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আর যেন যুদ্ধাপরাধী, খুনিরা বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।

‘দেশের মানুষ রক্ত দিয়ে যে অধিকার পেয়েছিল, তা তারা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দেশের ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা হয়েছিল এবং বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার ও জয় বাংলা স্লোগান-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু জয়বাংলা স্লোগান আবার ফিরে এসেছে এবং জাতির পিতা ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিলে যেমন স্থান করে নিয়েছে, তেমনি অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভভাষা দিবসের স্বীকৃতি অর্জন করেছে।

এর আগে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা তাদের দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গণভবনে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

এ সময় আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।


বাংলাদেশের যে উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান তা শেখ হাসিনার ম্যাজিক: ওবায়দুল কাদের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,বাংলাদেশের গত ৪৪ বছরে সবচেয়ে সাহসী রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা, সবচেয়ে বিচক্ষণ নেতার নাম শেখ হাসিনা, সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসকের নাম শেখ হাসিনা, সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতার নাম শেখ হাসিনা, সবচেয়ে সফল কূটনীতিকের নাম শেখ হাসিনা।

আজ শুক্রবার (১৭মে) বিকেলে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর থেকে যে পরিবর্তন হয়েছে সেই পরিবর্তনের রূপান্তরের রূপকার শেখ হাসিনা। আজকে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন দৃশ্যমান তা শেখ হাসিনার ম্যাজিক।

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে মুক্তিযুদ্ধের হারিয়ে যাওয়া মূল্যবোধের প্রত্যাবর্তন বলেও মন্তব্য করেন তিনি ।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।

এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন শহীদ আলতাফ মাহমুদের কন্যা শাওন মাহমুদ, শহীদ বুদ্ধিজীবী ডাক্তার আলিমের কন্যা ডাক্তার নুজহাত, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বেনজির আহমেদ, দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান প্রমুখ।


শেখ হাসিনার কারণেই বিশ্বে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল

ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সরদার মাহামুদ হাসান রুবেল। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে এসেছেন বলেই বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশে এখন রোল মডেল। তিনি এসেছেন বলেই যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন সভার সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সরদার মাহামুদ হাসান রুবেল।

পদ্মা সেতুর শুরুর কথা তুলে ধরে বক্তারা বলেন, বিশ্বব্যাংক আমাদের চোর অপবাদ দিয়ে পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন করা থেকে সরে গিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু পরিবারের সবাইকে— শেখ রেহানা, জয়, ববি, সবার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছিল। সেদিন শেখ হাসিনা না থাকলে পদ্মা সেতু করার সাহস হতো না।

তারা বলেন, একাত্তর ও পঁচাত্তরের ঘাতকরা সবাই শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। কিন্তু মহান আল্লাহর রহমতে তিনি বেঁচে আছেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয় শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য, আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা হয়েছে। যারা বলে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে, তারা পাকিস্তানে যাক। বাংলাদেশ কখনো শ্রীলঙ্কা হবে না।

সংগঠনের নেতারা আরও বলেন, ছিটমহল সমস্যার সমাধান, তিস্তা পানি সমস্যার সমাধান, গৃহহীনদের বাড়ি দেওয়া, মেট্রোরেল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন এসবই শেখ হাসিনার দেশে প্রত্যাবর্তনের কারণে সম্ভব হয়েছে।

শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, ১৯৮১ সালে জিয়া সরকার স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তিদের দিয়ে ‘শেখ হাসিনা আগমন প্রতিরোধ কমিটি’ পর্যন্ত করিয়েছিল। আওয়ামী লীগেরও অনেকেই শেখ হাসিনার প্রত্যার্বতন হোক তা চাননি।

বঙ্গবন্ধু কন্যার দেশে ফেরার বিষয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ডা. এস এ মালেকের ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে ও দলের সভাপতি বানাতে ওই সময় ডা. মালেক অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নিজেও তা স্বীকার করে তার বক্তব্যে বলেছেন।

সরদার মাহামুদ হাসান রুবেল বলেন, ‘আমরা রাজনীতি শিখেছি ডা. মালেকের কাছ থেকে, যিনি শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনেন। শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি সব সময় উৎসাহিত করেছেন।’

রুবেল বলেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরা ঠেকাতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এরপরও তাকে আটকানো যায়নি। তিনি এসেছেন।

ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘একটা সময় ছিল ঈদ ছাড়া জামা-কাপড় কেনা হতো না। অনেক দরিদ্র বন্ধুদের দেখেছি ঈদের সময় স্কুলড্রেস বানিয়ে পরতো, পরে সেটিই পরে স্কুলে যেত। সেই দিন বাংলাদেশে আর নেই। দেশের এই উন্নয়ন ও পরিবতর্ন সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার দেশে ফেরার মধ্য দিয়ে।’

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন ড. আব্দুল ওয়াদুদ, ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি বিনয় ভূষন তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম ওয়াহিদুজ্জামান মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল আমিন রঞ্জন, মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক মাসুদুর রহমান, সংগঠনের আইনবিষয়ক সম্পাদক নিতীশ সরকার, নুর ইসলাম, হাবিবুর রহমান খোকন, দৃষ্টি প্রামানিক, মো. জামিল হোসেন, অহিদুর রহমান, আপেল মাহমুদ, এস এম শামীম আহমেদ, সাংবাদিক মাজেদুল হক তানভীর প্রমুখ।


শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল একটা জাগরণ: জাহাঙ্গীর কবির নানক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল একটা জাগরণ বলে মন্তব্য করেছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি। তিনি বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের পরাজয়কে মেনে নিতে পারেনি, তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, তারাই বাংলাদেশকে আবার উল্টো পথে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। ১৭মে শুধু জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন হয়নি, হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যাবর্তন, হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যাবর্তন।

আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে 'তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই...' শীর্ষক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জাহাঙ্গীর কবির নানক আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার পথ রুদ্ধ করার জন্য তাকে ৯ বার কারারুদ্ধ করা হয়েছিল, ১৪ বার হত্যা চেষ্টা করা হয়েছিল। তবুও থামাতে পারেনি।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস। ড. বিশ্বাস তার প্রবন্ধে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও শত বাধা সত্ত্বেও বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার বিশ্লেষণ তুলে ধরেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান বলেন, শেখ হাসিনা যখন দেশে ফিরেছিলেন তখন গোটা দেশ ছিল এক রুদ্ধ কারাগার। তিনি দেশে ফিরেই যেন দেশের ভার গ্রহণ করেছিলেন। শেখ হাসিনা দেশে ফেরার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রাণশক্তি ফিরে পেয়েছিল।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যায়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম পরিচালক, মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু গবেষক এবং দৈনিক বাংলা ও নিউজবাংলা২৪ এর নির্বাহী পরিচালক মোঃ আফিজুর রহমান, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে গবেষণামূলক প্রবন্ধ উপস্থাপন ও আলোচনা সভার অংশ হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিয়ে এ সেমিনারের আয়োজন করে।


বিএনপির আশায় গুড়েবালি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন (১৯৮১)’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির আশায় গুড়েবালি দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বার্তা দিয়ে গেছে, তারা সম্পর্ককে আরও গভীর করতে চায়। সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন (১৯৮১)’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি ও সাপ্তাহিক জয় বাংলা।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অথচ বিএনপির নেতারা কোনো কিছুই দেখতে পায় না। কালকে (বুধবার) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঘুরে যাওয়ার পর, তাদের (বিএনপি) মাথা খারাপ হয়ে গেছে। ওনারা আশা করেছিল কিনা কী বলে। অনেক চেষ্টাও করেছিল দেখা সাক্ষাৎ করার জন্য। কিন্তু তাদের আশায় গুড়েবালি দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বার্তা দিয়ে গেছে, তারা সম্পর্ককে আরও গভীর করতে চায়, সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। আমরাও সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এজন্য বিএনপির নেতাদের মাথা খারাপ। এখন তারা নানা ধরনের কথা বলছে।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আসলে বিএনপি এখন খেই হারিয়ে ফেলেছে। আগে দেখতাম দুই-একজন নেতা খেই হারায়। গয়েশ্বর বাবু খেই হারায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী আবোল-তাবোল বলে। এখন দেখি, সিনিয়র নেতারাও আবোল-তাবোল বলে, খেই হারিয়ে ফেলেছে। আসলে কেউ যখন আশার আলো দেখে না, তখন তারা খেই হারিয়ে ফেলে। তো বিএনপির অবস্থা হচ্ছে সেটি।’

‘বিএনপির জন্য আকাশটা ছোট হয়ে আসছে’ মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপিকে আমি অনুরোধ জানাবো আপনারা যে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছেন, সেই ষড়যন্ত্র করে কোনও লাভ হয় নাই। বরং আপনারা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন থেকে বাইরে থাকার যে পথ অনুসরণ করছেন, এতে করে বিএনপির জন্য আকাশটা ছোট হয়ে আসছে। সেই পথে যদি থাকেন, তাহলে এক সময় বিএনপি হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে। আমরা চাই না বিএনপি আরও দুর্বল হোক। আমরা চাই, বিএনপি আরও শক্তিশালী হোক, শক্তিশালী বিরোধী দলের দ্বায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করুক। কারণ, গণতন্ত্রকে সংহত কর‍তে হলে শক্তিশালী বিরোধী দলের প্রয়োজন রয়েছে। তারা সেই দায়িত্বটি পালন করুক, সেটিই আমরা চাই।’

‘দেশে শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনা’, এমন মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৭ মে ১৯৮১ সালে যে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, ‘মা- বাবা-ভাইকে হারিয়ে দেশের মানুষকে আপন করে নিয়ে পথ চলতে চাই’, শেখ হাসিনা তাই করে চলেছেন। এবং সে কারণেই আজকে দেশ এগিয়ে চলেছে। তার এই পথযাত্রায় বহু প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছেন জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া। কিন্তু কোনও লাভ হয় নাই। শেখ হাসিনা দিন দিন আরও শক্তিশালী হয়েছেন। দেশকে আরও যদি এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়, তাহলে এ দেশে শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনা, অন্য কেউ না।’

স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুর সভাপতিত্বে ও বঙ্গবন্ধু অ্যাকাডেমির মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজিরের সঞ্চালনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, আওয়ামী লীগের নেতা এম এ করিম, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির চেয়ারম্যান মো. সুমন সরদার, মহাসচিব এম এ বাশার, কো-চেয়ারম্যান সেহেলী পারভীন প্রমুখ।


লুর বক্তব্যের পর ফখরুলের কথার মূল্য নেই: কাদের

আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আজ সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে সুষম খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আগের অবস্থানে আছে’- মির্জা ফখরুলের এমন দাবি প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মির্জা ফখরুল কী করে জানলেন যুক্তরাষ্ট্র তার আগের অবস্থানে রয়েছে? মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর বক্তব্য পরিষ্কার। তিনি যে কথা বলেছেন, এরপর ফখরুলের বক্তব্যের কোনো মূল্য নেই। ডোনাল্ড লুর বক্তব্যের মাধ্যমেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বুঝতে পারা যায়।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে সুষম খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গত ৪৩ বছরের সবচেয়ে সাহসী নেতা ও সৎ রাজনীতিকের নাম বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। গত ১৫ বছরে উন্নয়ন অর্জন ও আধুনিকতায় বাংলাদেশ বদলে গেছে। ১৫ বছর আগের বাংলাদেশ আর এখনকার বাংলাদেশের কোনো মিল নেই।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আসলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন। স্বাধীনতার আদর্শের প্রত্যাবর্তন। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধের প্রত্যাবর্তন। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি জয় বাংলার প্রবর্তন। তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই গণতন্ত্র শৃঙ্খল মুক্ত হয়েছে। যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন হয়েছে। মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু হয়েছে। পাহাড় সমতল সর্বত্রই উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। যারা এসব অস্বীকার করে তারা দিনের আলোতে অন্ধকার দেখে।’

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি এসেছিলেন বলেই আজ ঢাকায় তরুণ প্রজন্মের স্বপ্নের মেট্রোরেল তৈরি হয়েছে। তার কারণেই নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করা সম্ভব হয়েছে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেস হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল হয়েছে যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম। বাংলাদেশের ভাগ্য পরিবর্তন শেখ হাসিনাই করেছেন। এর আগে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা নিজেদের ভাগ্য আর পকেটের উন্নয়ন করেছে। শেখ হাসিনার সততা আজ সারাবিশ্বে প্রশংসনীয়।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্যসচিব আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এতিমখানার শিক্ষার্থীসহ ঢাকা মহানগরের অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।


স্যাংশন-ভিসানীতির কেয়ার করে না সরকার: কাদের

সচিবালয়ে মঙ্গলবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

যুক্তরাষ্ট্রের কোনো রকম স্যাংশন বা ভিসানীতির কেয়ার করে না সরকার বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফর বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা দাওয়াত করে কাউকে আনি নাই, তাদের এজেন্ডা আছে; তারা সেসব নিয়ে ঢাকায় এসেছে। বিএনপির সঙ্গে তাদের কি আছে, তারাই ভালো জানে। ওপরে ওপরে বিএনপি তাদের পাত্তা দেয় না বললেও, তলে তলে বিএনপি কি করে তারাই ভালো জানে। আমরা মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পাত্তা দেই না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একজন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তাকে নিয়ে বাংলাদেশ এত মাতামাতি কেন? তার প্রয়োজনে সে এসেছে। তাদের অ্যাজেন্ডা আছে। সম্পর্ক যখন থাকে সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা থাকে। তো সেটা তারা করতে আসছেন। আমরা দাওয়াত করে কাউকে আনছি না।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কোনো প্রকার স্যাংশন, ভিসানীতি এগুলোর কেয়ার করি না।’

তিনি আরও বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক বিএনপির আন্দোলনের ব্যর্থ চেষ্টা। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে খড়কুটো ধরে বাজতে চায় তারা। আসলে তাদের কোনো ইস্যু নাই। তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনকে ইস্যু বানাতে চায়। আমার প্রশ্ন হলো-ভারতীয় মসলা ছাড়া কি আমাদের চলে?


বিএনপি ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রেস ক্লাবের সামনে মঙ্গলবার বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ ও বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্যে দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৪ মে, ২০২৪ ১৫:১১
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ ও বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এক মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে। নেতানিয়াহুর দোসরে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের এজেন্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণ আছে। এদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।

তিনি বলেন, কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপি ও জামায়াত, যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করে, এই মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিরুদ্ধে একটা শব্দও উচ্চারণ করেনি। কারণ কেউ অসন্তুষ্ট হতে পারে।

আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত নির্বাচনে তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার পর ইসরায়েলি লবিস্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

সামাজিক মাধ্যমে সরকারের সমালোচনাকারীদের নিয়ে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেককেই দেখি সরকারের বিরুদ্ধে বড় বড় ভাষণ দেয়, সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তাদের কথা বলতে তো শুনলাম না। এরা কোথায়? এরা কোথায় লুকিয়ে আছে? এরা আসলে ইসলাম প্রেমী নয়, এরা হলো মুখোশধারী ধর্ম ব্যবসায়ী। এদের মুখোশও উন্মোচন করতে হবে।

ফিলিস্তিনি মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসরায়েলি বর্বরতার কারণে যারা নিহিত হয়েছেন তাদের মাগফেরাত কামনা করি। যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি সহানুভূতি জানাই। বাংলাদেশের মানুষের অবস্থান সবসময় মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে ছিল। আমাদের নীতি ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে।

বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েলের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য বলরাম পোদ্দার প্রমুখ।


সন্ত্রাস করলে ছাড় নয়: ওবায়দুল কাদের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচি আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়েই মোকাবিলা করবে, তবে সন্ত্রাস করলে কোনো ছাড় নয় বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এবং তাদের শরিকরা যদি রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচি নিয়ে মাঠে আসে তাহলে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়েই মোকাবিলা করা হবে। তবে যদি দলটি সন্ত্রাসের পথ বেছে নেয় তাহলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার কাউকে ভয় পায় না। বিশ্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলেছে। বাংলাদেশে এসে যারা দাপট দেখাবে তাদের ক্ষমতা মধ্যপ্রাচ্যেই সংকুচিত হয়ে গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথা ইসরায়েলই শোনে না। বাংলাদেশে এসে কেউ আবার বিএনপিকে মদদ দেবে, সে পরিস্থিতি এখন আর নেই।

তিনি আরও বলেন, মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে আসছেন দুই দেশের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যা বলছেন তার বাস্তবায়নটা আমরা দেখব।

সেতুমন্ত্রী বলেন, এখানে কে আসছে তা নিয়ে ভাবছি না। যাদের প্রেসিডেন্টের কথা ইসরায়েলই শোনে না। আমরা যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার আমরা কাকে ভয় পাব?

বিএনপি ফের নতুন করে তাদের শরিকদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে এ বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা আন্দোলন করবে, শরিকদের সঙ্গে বসবে। সেখানে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। তারা যদি রাজনৈতিকভাবে এগোতে চায় তাহলে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করব। কিন্তু তারা যদি অগ্নি সন্ত্রাসের প্রস্তুতি নিয়ে রাস্তায় নামে তাহলে আমরা মোকাবিলা করব।

আওয়ামী লীগের অপরাধ আকাশচুম্বি, ক্ষমার অযোগ্য- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাসে পালিয়ে যাওয়ার রেকর্ড নেই। ২০০৭ সালে আর রাজনীতি করবো না এই মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাদের মূল নেতাই পালিয়ে আছে। ২৮ শে অক্টোবরের বক্তব্য তারা বলেছিল আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখলাম পল্টনের ময়দানে একে একে অলিগলি কোথা দিয়ে কোথায় পালালো- এটা বিএনপি। আমরা পালাবো কেন? আমাদের শক্তি দেশের জনগণ। আবারও আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস শুরু করলে তাদের পালিয়ে যেতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে আওয়ামী লীগের দরকার নেই। তাদের নেতিবাচক রাজনীতি যথেষ্ট। নির্বাচনে না এসে বিএনপি যে মস্তবড় (গ্রেট মিসটেক) ভুল করেছে তার মাশুল তাদের দিতে হবে।

১৪ দলীয় জোট আছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৪ দলীয় জোট আছে। জোট নেত্রী শেখ হাসিনা নিজেই বলেছেন, জোট আছে এবং যথাসময়ে আলাপ আলোচনার জন্য বসবেন।

উপজেলা নির্বাচনে এমপি মন্ত্রী স্বজনদের প্রার্থিতা নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় নির্দেশ অমান্য করলে তাদের শাস্তি পেতেই হবে। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ৭৩ জন এমপি মনোনয়ন পাননি, ২৫ জন ক্যাবিনেটে বাদ পড়েছেন শাস্তিটা অনেকভাবেই আসতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক দিয়ে মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেনসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।


জি এম কাদেরের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালনে বাধা নেই: আপিল বিভাগ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পদে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ আজ রোববার এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে হাইকোর্টকে আপিল বিভাগ এ মামলার রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।

এর আগে, জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের ওপর দেওয়া অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রশ্নে জি এম কাদেরের করা আবেদন ও বিবিধ আপিল খারিজ করে আদেশ দেন নিম্ন আদালত। এ আদেশের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্ট রিভিশন আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে ২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। দলের চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখে তার আবেদন খারিজ করে ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত এবং বিবিধ আপিল খারিজ করে ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি ঢাকার জেলা জজের দেওয়া আদেশ অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। ফলে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালন ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চালানোর ক্ষেত্রে বাধা কাটে।

এরপর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে জিয়াউল হক মৃধা ২০২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগে আবেদন করেন, যা একই বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। এর মধ্যে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ আদেশ প্রকাশিত হওয়ায় আদালত আবেদনকারীকে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে নির্দেশ দেন। পরে জিয়াউল হক মৃধা লিভ টু আপিল করেন, যা চেম্বার আদালত হয়ে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে।


যে কারণে বাংলাদেশে আসছেন ডোনাল্ড লু, জানালেন ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে রোববার বিফ্রিং করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১২ মে, ২০২৪ ১৮:০৫
নিজস্ব প্রতিবদেক

আমেরিকার দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আসছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ রোববার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক এগিয়ে নিতে তিনি আসবেন। বিএনপি মনে করেছে আবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেবে কি না। এই ধরনের উদ্ভট চিন্তা করছে।

এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাছিম, মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, গত ৭ মে সোমবার ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র-সচিব খুরশেদ আলমের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে লুর ঢাকা সফরের বিষয়টি তিনি জানান। আগামী ১৪ থেকে ১৬ মে লু ঢাকা সফর করবেন।

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটিই তার প্রথম বাংলাদেশ সফর।


দলের শৃঙ্খলা ভাঙলে শাস্তি পেতেই হবে: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

যারা দলের নিয়ম-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে সময় মতো তাদের শাস্তি পেতেই হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাওয়া মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের পরিবারের সদস্যদের নিবৃত্ত করতে দলের সাংগঠনিক বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। তারা সক্রিয় উদ্যোগে রয়েছেন। দলের শৃঙ্খলা নিয়ে তিনি বলেন, যারা শৃঙ্খলা ভাঙবে, সময় মতো তাদের কোনো না কোনো শাস্তি পেতেই হবে। আমাদের অ্যাকশন কোনো না কোনোভাবে থাকেই। ৭০ জনের বেশি সংসদ সদস্যকে মনোনয়ন না দেওয়া, আগের মন্ত্রিপরিষদের ২৫ জনকে নতুন কেবিনেটে না রাখা কি এর উদাহরণ নয়?

বিএনপিকে উদ্দেশে করে কাদের বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ১৯৭৫ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ধ্বংস করেছে তারা। প্রহসনের নির্বাচন, এক কোটি ভুয়া ভোটার, হ্যাঁ-না ভোটতো তাদেরই সৃষ্টি। গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করার কাজ শেখ হাসিনাই করেছেন। বিএনপিরই গণতন্ত্রে কোনোদিন আগ্রহ ছিল না।

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপজেলা পর্যন্ত পালন করা হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘থানা, জেলা, উপজেলা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করা হবে। বিশেষ প্রার্থনা করা হবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মসজিদ, গির্জা ও জাতীয় মন্দিরে। বিকেলে আলোচনা সভা হবে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে। এ ছাড়া ১৬ মে অসচ্ছল ও গরিব মানুষদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করা হবে। কোথায় কোথায় বিতরণ করা হবে সে স্থান পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।’

আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর প্রস্তুতি নিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের সব অনুষ্ঠানে বিএনপিকে দাওয়াত দিয়েছি। এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতেও পাবে।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে তিনি বলেন, আমরা ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দলের প্লাটিনাম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করব আগামী ২৩ জুন। আমরা ব্যাপকভাবে পালন করার চিন্তা ভাবনা করছি। এটা থানা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোচনা সভা করা হবে সেদিন। সেখানে প্রধানমন্ত্রীসহ দলের নেতা, বুদ্ধিজীবীদের আমন্ত্রণ জানাব। আলোচনা সভার আগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হবে।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘সবুজ ধরিত্রী’ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন করা হবে। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় আলোকসজ্জা বাদ দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংকটের কথা চিন্তা করে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আনন্দ র‌্যালি করবে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন।

এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এস এম কামাল হোসেন ও মির্জা আজম, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাশ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মাশরাফি বিন মর্তুজা, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


banner close