শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪

বিএনপি শেখ হাসিনাকে হত্যার মিশনে নেমেছে: কাদের

ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। ছবি: ফোকাস বাংলা
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২৩ মে, ২০২৩ ১৯:১৬

বিএনপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘তাদের এক দফা শেখ হাসিনাকে হত্যা করা। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তাই আজকে তার একমাত্র শত্রু।’

মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে কাদের এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাজশাহী জেলা শাখা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদের ‘হত্যার হুমকির’ প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।

কাদের বলেন, ‘দেশে ঝড় বয়ে গেছে, সারাদেশ গর্জন করে উঠেছে। শেখ হাসিনাকে কটূক্তি, হত্যার হুমকি দেয়ায় বাংলাদেশের মানুষ অবাক হলো। প্রকাশ্য দিবালোকে রাজশাহীর পুঠিয়ায় জেলা আহ্বায়ক যে বক্তব্য, হত্যার হুমকি দেয়ার দুইদিন চলে গেল, মির্জা ফখরুল একটা কথাও বললেন না, বিএনপির কোনো সিনিয়র নেতা একটা কথাও বললেন না। সবাই নীরব হয়ে আছেন। তাই আজকে প্রশ্ন জাগে, এটা তার (চাঁদ) এক দফা নয়, এটা বিএনপির এক দফা।’

শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তাই তার একমাত্র শত্রু উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সেজন্যই বিএনপি ১৪ বছর পরে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। কিন্তু জনগণের সাড়া না পেয়ে তারা এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনপ্রিয়তার শীর্ষে যে নেত্রী তাকে স্তব্ধ করে দিতে হবে, এই ষড়যন্ত্র নিয়ে তারা আজকে মাঠে নেমেছে।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেব, আমাদের পার্টির কোনো জেলার নেতা যদি খালেদা জিয়াকে হত্যা করার হুমকি দিত, তাহলে আপনারা কী করতেন? কী জবাব দিতেন, আমি জানতে চাই!’

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে হত্যা করে আপনারা বাংলাদেশকে আপনাদের সেই ষড়যন্ত্রের, জঙ্গিবাদ-সাম্প্রদায়িকতার লীলাভূমিতে পরিণত করবেন, অস্ত্রপাচার-লুটপাট, গণতন্ত্রের হত্যার জন্য এই শ্যামল বাংলাদেশকে আফগানিস্তান-পাকিস্তান বানানোর যে দুঃস্বপ্ন আপনারা দেখছেন, তার পথের বাধা শেখ হাসিনা, তাকে হত্যা করে আপনারা স্বপ্নের আফগানিস্তান বাস্তবায়ন করতে চান।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘হত্যার হুমকির’ প্রতিবাদে দেশব্যাপী আন্দোলনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গত চব্বিশ ঘণ্টায় সারাদেশের মানুষ বুঝিয়েছে ১৯৭৫ আর ২০২৩ এক নয়। বিএনপির উপলব্ধি করা উচিত, রাজশাহীর এক নেতা হুমকি দেয়ায় সারাদেশ গর্জন করে উঠেছে। শেখ হাসিনার ওপর হামলা করলে আওয়ামী লীগ কর্মীরা চুপ করে বসে থাকবে না।’

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। তারা নির্বাচন চায় না। তারা চায় সংঘাত, অস্থিরতা, অশান্তি, রক্তপাত। আমরা চাই নির্বাচন-বাংলাদেশের জনকণ্ঠকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে। আমরা নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘আমরা কারও সঙ্গে সংঘাত-পাল্টা সংঘাতে যাব না। আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবো এই অপশক্তিকে। এই অপশক্তিকে বাংলার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে হবে। আমরা ভুল থেকে শিক্ষা নেব- এই আশ্বাস জনগণকে দিতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার বিষয়ে কাদের বলেন, ‘কাতারের উদ্দেশে রওনা দেয়ার আগে নেত্রী বলে গেছেন- কোনো সংঘাতে যাওয়া যাবে না। আমরা সংঘাতে যাব না, কিন্তু সংঘাত কেউ করতে আসলে আমরা চুপ করে বসে থাকব? আমাদের ওপর যদি কেউ হামলা চালায়, তাহলে আমরা হামলা চালাব না! হামলা করলে তার সমুচিত জবাব কীভাবে দিতে হয় তা আওয়ামী লীগ জানে।’

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কথায় কথায় আপনারা মাথা গরম করবেন না। ঠাণ্ডা মাথায় এই অপশক্তিকে বাংলাদেশের জনগণ রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করবে। যদি কেউ নির্বাচন প্রতিরোধ করতে আসে, আমরা সর্বশক্তি দিয়ে, জনগণকে নিয়ে প্রতিরোধ করব।’

বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে সারা বিশ্ব তাকিয়ে আছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমি সরকারি দলের সেক্রেটারি বলছি, দুই দিন পর সিটি করপোরেশন নির্বাচন, এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে। এই নির্বাচনে সরকারি দল নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। গাজীপুর সিটি নির্বাচনসহ সব সিটি নির্বাচন এবং আগামীতে জাতীয় নির্বাচন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার (অবাধ ও সুষ্ঠু) হবে। আমরা বিদেশিদের অনুরোধ করব, আপনারা আসুন এবং দেখুন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কীভাবে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন হবে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, ‘আপনি একা নন, বাংলাদেশের জনগণ আপনার সঙ্গে আছে, সমগ্র দেশের আওয়ামী লীগের শত শত কর্মী বিপদে-আপদে শত দুর্যোগে আপনার সঙ্গে আছে।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।


বিএনপি-জামায়াত দেশের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে: বাহাউদ্দিন নাছিম

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের এমপি কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য বিএনপি-জামায়াত নানা ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপি হলো স্বৈরশাসক গোষ্ঠীর দোসর ও ’৭৫-এর ঘাতক। এরা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। এরা জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চায়।

আজ শুক্রবার কেআইবিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক আলহাজ মকবুল হোসেনের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের স্মরণ সভার প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক শক্তিকে ধ্বংস করে বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার লড়াই কিন্তু আমাদের শেষ হয়ে যায়নি। আমরা ধনী-গরিবের বৈষম্য কমিয়ে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চাই। আমাদের জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করতে হবে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য যারা দায়ী তাদের বিপক্ষে আমাদের অবস্থান নিতে হবে। এরা দেশের শত্রু। যারা মূল্য বৃদ্ধি করে ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মানুষকে কষ্ট দেয় তাদের বিপক্ষে আমাদের অবস্থান থেকে নজর রাখতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য যখন বৃদ্ধি পায় তখন সরকার উদ্বিগ্ন হয়। তখন আমরা দেখি একটি রাজনৈতিক দল উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। দাম আরও বৃদ্ধি করার জন্য তারা নানা ধরনের প্রচেষ্টা চালায়। তারা বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের সুবিধা নেওয়ার জন্য সহযোগিতা করে। এরা কখনো দেশের মানুষের ভালো চায় না।’

নাছিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পর থেকেই লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ আজকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এ ঘুরে দাঁড়ানোর নায়ক হলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা। আমরা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এক থেকে অভিন্ন হয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের এই আদর্শের বন্ধনকে কেউ নষ্ট করতে পারবে না। আমরা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছি।’

স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ মকবুল হোসেনের ছেলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান স্বপন, আনোয়ারুল আজিম সাদেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান জুয়েল, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইসহাক মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান নাঈম, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক তারিক সাঈদ প্রমুখ।


সিলেটের আরেক কূপে গ্যাসের সন্ধান

সাত মাসে সিলেটের চার কূপে মিলল গ্যাস
ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দেবাশীষ দেবু, সিলেট

সিলেটের আরেকটি কূপে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। খননকাজ শেষে সিলেটের কৈলাশটিলা গ্যাস ক্ষেত্রের ৮নং কূপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)। এই নিয়ে গত সাত মাসে সিলেটের চারটি কূপে গ্যাসের সন্ধান মিলল।

এ তথ্য নিশ্চিত করে এসজিএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, গত বছরের জানুয়ারি থেকে কৈলাশটিলার ৮নং কূপে খননকাজ শুরু করে বাপেক্স। কূপের ৩ হাজার ৪৪০ থেকে ৫৫ হাজার ফুট গভীরতায় গ্যাস পাওয়া গেছে। এখন দৈনিক ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পরীক্ষামূলকভাবে উত্তোলন হচ্ছে। ৩ মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ উত্তোলন শুরুর আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এসজিএফএল সূত্রে জানা যায়, প্রাকৃতিক সম্পদের সমৃদ্ধ আধার হিসেবে পরিচিত সিলেটে গত বছর থেকেই কূপ অনুসন্ধান ও খননের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সিলেট গ্যাস ফিল্ড কর্তৃপক্ষ। তারই অংশ হিসেবে ২০২৩ সালের প্রথম দিকে কৈলাশটিলা ৮ নম্বর কূপে খননকাজ শুরু হয়। প্রায় দেড়শ কোটি টাকা খরচে এই কূপ খনন করা হয়।

সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের উৎপাদনে থাকা কূপগুলো থেকে এখন প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। চলতি বছরের মধ্যে আরও কয়েকটি প্রকল্পের কাজ শেষ করে তারা সেই উৎপাদনকে ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে নিয়ে যেতে চায়। আর সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী ২০২৫ সালের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে পারলে শুধু এই কোম্পানি থেকেই প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে ২৫০ মিলিয়ন গ্যাস যুক্ত করা সম্ভব হবে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি সিলেট গ্যাস ফিল্ডের আওতাধীন রশিদপুরের ২নং কূপে গ্যাসের নতুন স্তরের সন্ধান মেলে। যার পরিমাণ প্রায় ১৫৭ বিলিয়ন ঘনফুট।

তারও আগে গত ২৬ নভেম্বর দেশের সবচেয়ে পুরোনো গ্যাসক্ষেত্র হরিপুরের ১০ নম্বর কূপে গ্যাসের সন্ধান মেলে। খননকাজ শেষে ওই দিন গ্যাসপ্রাপ্তির তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড। গত বছরের জুনে এই কূপের খননকাজ শুরু হয়। ১৪৯ কোটি টাকায় সিলেট-১০ নম্বর কূপ খনন করে চীনা কোম্পানি সিনোপেক। কূপটিতে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত রয়েছে বলে জানিয়েছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস কর্তৃপক্ষ।

আর ২২ নভেম্বর সিলেটের কৈলাশটিলায় পরিত্যক্ত ২নং কূপ থেকে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। এখান থেকে দৈনিক ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে।

সিলেটের হরিপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায় ১৯৫৫ সালে। এরপর আবিষ্কার হতে থাকে একের পর এক গ্যাসক্ষেত্র। বর্তমানে এসজিএফএলের আওতায় পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। সেগুলো হলো- হরিপুর, রশীদপুর, ছাতক, কৈলাশটিলা ও বিয়ানীবাজার গ্যাসফিল্ড। এর
মধ্যে ছাতক গ্যাসফিল্ড পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। বাকিগুলোর মধ্যে ১৪টি কূপ থেকে বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ১০৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।

জানা যায়, জ্বালানি সংকট নিরসনে গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে দেশের ৪৬টি কূপ অনুসন্ধান, খনন ও পুনর্খননের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। ২০২৫ সালের মধ্যে এসব খননকাজ শেষ হওয়ার কথা। এতে ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এসজিএফএলের আওতাধীন ১৪টি কূপ খনন ও পুনর্খননের কাজ চলছে। সিলেটের ১৪ কূপের মধ্যে তিনটির খননকাজ থেকে ২০২২ সাল থেকে উৎপাদন শুরু হয়। ২০২৩ সালে আরও একটি থেকে উৎপাদন শুরু হয়।

২০২২ সালে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) আওতাধীন সিলেট-৮, কৈলাশটিলা-৭ ও বিয়ানীবাজার-১ নামে তিনটি পরিত্যক্ত কূপ পুনর্খনন করা হয়। এসব কূপ থেকে দৈনিক ১৬ থেকে ১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে।


নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার দাবি সমর্থন করি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় শুক্রবার বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ২৪ মে, ২০২৪ ১৫:৪২
নিজস্ব প্রতিবেদক

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) চিফ প্রসিকিউটর বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির দাবি জানিয়েছেন তাতে নিজের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

আজ শুক্রবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মনোভাব ব্যক্ত করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আইসিসির চিফ প্রসিকিউটর নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির যে দাবি জানিয়েছেন, তা আমরা সমর্থন করি। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী এখন মানবতার শত্রুতে পরিণত হয়েছেন। তিনি এত দূর গিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের কথাও শুনছেন না।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ফিলিস্তিনরাষ্ট্র গঠন জরুরি। ইসরায়েলি বাহিনী নির্বিচারে গুলি করছে। মানুষ হত্যা করছে। বিশ্বের সবখানের জনগণ এখন ফিলিস্তিনের পক্ষে। তবে জাতিসংঘে যখন এ ইস্যু তোলা হয়, তখন কোনো কোনো দেশ ভেটো দেয়। ফিলিস্তিন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় সোচ্চার। তিনি ফিলিস্তিনের জন্য সাহায্য পাঠিয়েছেন। সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলছেন।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত ইসলামের জন্য মায়াকান্না করলেও ফিলিস্তিনের পক্ষে কখনো একটি শব্দও বলে না। তাহলে মানুষের পাশে তারা কীভাবে দাঁড়াবে? বিএনপি-জামায়াত ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে। অথচ আওয়ামী লীগ ও সরকার সবসময়ই ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।’

আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল বলেন, ‘বাংলাদেশের অবস্থান ফিলিস্তিনের পক্ষে। বাংলাদেশ ইসরায়েলের নৃশংসতার জন্য সবসময় নিন্দা জানিয়ে আসছে। ইসরায়েল বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিলেও বাংলাদেশ তা প্রত্যাখ্যান করেছিল। ফিলিস্তিন ইস্যুতে আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট। আমরা দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান চাই। আল আকসার সঙ্গে মুসলমানদের আবেগ জড়িত। আমরা সেখানে মুসলমানদের আলাদা ভূখণ্ড, দেশ ও পতাকা চাই। এ বিষয়ে আমাদের সব সমর্থন ও সহযোগিতা থাকবে।’

সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আওলাদ হোসেন বলেন, ‘ফিলিস্তিনে মানবতা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। সেখানে শিশু, নারী ও পুরুষদের হত্যা করা হচ্ছে। সারা বিশ্বে এ নৃশংস হত্যাকে গণহত্যা বলে অভিহিত করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার মা বলেই ইসরায়েলের নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করছেন।’

মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু বলেন, ‘ফিলিস্তিনের ওপর কী অন্যায় হয়, আপনারা জানেন। বিশ্বে যারা মানবতার কথা বলে, ফিলিস্তিন ইস্যুতে তাদের মুখ বন্ধ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলে আসছেন। রোহিঙ্গাদের পক্ষেও প্রধানমন্ত্রী কথা বলে আসছেন। আমরাও সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে আছি।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপ-কমিটির সদস্য লায়ন মশিউর রহমান। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু, এম এ করিম প্রমুখ।


অপরাধীদের প্রটেকশন দেয় না সরকার: সেতুমন্ত্রী

২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার কাউকে প্রটেকশন দেয় না। অপরাধীকে আমরা অপরাধী হিসেবে দেখি। অপরাধ করলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে।

আজ শুক্রবার সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সাবেক আইজিপির সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও সাবেক সেনাবাহিনীপ্রধানের নিষেধাজ্ঞায় সরকার বিব্রত কি না? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তি যত প্রভাবশালী হোক অপরাধ করতে পারে, প্রশ্ন থেকে যায় সরকার অপরাধের শাস্তির ব্যাপারে সৎ সাহস দেখিয়েছে কি না। শেখ হাসিনা সরকারের সেই সৎ সাহস আছে। কেউ পার পাবে না। বিচার বিভাগ, দুদক স্বাধীন। সেখানে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে আমরা তাকে প্রটেক্ট করতে যাব না। সেখানে কোনো সাবেক আইজিপি বা কোনো সাবেক সেনাপ্রধান যে-ই থাকুক না কেন সরকারের কাউকে প্রটেকশন দেওয়ার বিষয়ে নেই।’

আবরার হত্যাকাণ্ডে যাদের দণ্ড হয়েছে তাদের সবাই ছাত্রলীগের উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার তাদের প্রটেকশন দিতে যায়নি। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডে যাদের ফাঁসি হয়েছিল তাদের সরকার প্রটেকশন দিতে যায়নি। ব্যক্তি অপরাধ করতে পারে। কথা হচ্ছে সরকার প্রটেকশন দিচ্ছে কি না। শেখ হাসিনা সরকার এখানে জিরো টলারেন্স। অপরাধ করলে শাস্তি তাকে পেতেই হবে।

এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক আব্দুস সোবহান গোলাপ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি ও নির্মল চ্যার্টাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


‘বিএনপি জনগণকে ভয় পায় বলেই ভোটে আসে না’

মঙ্গলবার বোচাগঞ্জ উপজেলার ধনতলা ভোটকেন্দ্রে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি দেশের জনগণকে ভয় পায় বলেই ভোটে অংশগ্রহণ করে না বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘তারা বুঝতে পেরেছে ভোটে আসলে তাদের সম্মান থাকবে না। কাজেই তারা এখন ভোট বর্জন শুধু না, দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডেও জড়িত।’

আজ মঙ্গলবার সকালে জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার ধনতলা ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমগ্র পৃথিবী আজ যুদ্ধের মধ্যে জড়িয়ে গিয়েছে। এ রকম একটি অর্থনৈতিক বিরাজমান পরিস্থিতিতে কোথায় তারা (বিএনপি) দেশের জন্য কথা বলবে। কিন্তু না, তারা দেশকে কীভাবে নিচে নামানো যায় সেই প্রক্রিয়াগুলোর সঙ্গে জড়িত। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।

খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘আমরা দেখেছি বিএনপি তাদের জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থা, দেশকে তলিয়ে দেওয়ার রাজনীতি করেছে। কেননা, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্বাস করে না, মুক্তিযুদ্ধকে মানে না। আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াক, তারা সেটা চায় না। এ জন্য তাদের অর্থমন্ত্রী বলেছিল যে, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার দরকার নাই। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে সাহায্য পাওয়া যায় না। বিএনপি একটি সাহায্যনির্ভর রাজনৈতিক দল।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন জাল ভোট দেওয়ার প্রচলন আর নেই। প্রচারণায় দেখা গেছে, ভোটে মানুষের আগ্রহ আছে। এখন কাজের মৌসুম এবং প্রচণ্ড গরম। বৃষ্টি হচ্ছে। প্রচারণা ভালো হয়েছে, ভোটকেন্দ্রে সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করছে। ভোটকেন্দ্র দখল করা, ভোটের যে কারচুপি, অনৈতিক কাজকর্ম ভোটের মধ্যে ছিল, তা ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। ভোটাররা যাকে ভালো মনে করবে তাকে নির্বাচন করবে। আমার ভোট আমি দেবো যাকে খুশি তাকে দেবো- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন সেটি বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

বিষয়:

জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে ভিসা নীতি প্রয়োগ হয়নি: সেতুমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর ভিসা নীতি নয় বরং যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্ট প্রয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে ধানমন্ডিতে অবস্থিত আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেটা বলেছে, বাংলাদেশের মিশনকে জেনারেল আজিজের বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। জেনারেল আজিজের বিষয়ে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেটা ভিসা নীতির প্রয়োগ নয়, এটি যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস আইনের প্রয়োগ। এটা নিয়ে আমি আর কিছু বলব না। এটা নিয়ে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও কথা বলেছেন। আমরা এতটুকুই জানি, এটুকুই বললাম।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপিসহ সমমনাদের অবিরাম মিথ্যাচার, টিআইবির অপপ্রচার ও নামিদামি বুদ্ধিজীবীদের মিথ্যাচারে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে। বিএনপিসহ সমমনাদের অবিরাম মিথ্যাচার মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। টিআইবির অপপ্রচার আছে। আরও কিছু নামিদামি বুদ্ধিজীবী আছেন, তারাও মিথ্যাচার, অপপ্রচার করে মানুষের আগ্রহ নষ্ট করেছেন ভোটের ব্যাপারে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভারতের পশ্চিম বঙ্গে এবং আমাদের বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয় এটা বলা যাবে না। এখানে কিছু সংঘাত, প্রাণহানি ঘটে। যদিও আমাদের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ক্যাজুয়ালটি নেই।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভোটাররা কেন্দ্রে আসেননি এটা যদি বলেন, এটা তো স্থানীয় নির্বাচন, ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনে ছিল ৪২ শতাংশ। বিএনপি নেতাদের বলব, ১৫ ফেব্রুয়ারির যে নির্বাচন তাতে বিবিসি বলেছিল ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। নির্বাচন কমিশন ২১ শতাংশ। আপনাদের জাতীয় নির্বাচনে ২১ শতাংশও যদি ধরি তাহলে ৩০ শতাংশ এটা কম কিসের?

তিনি আরও বলেন, যা ভোট পড়েছে সেটাকে খুব বেশি ভালো বলা যাবে না। বলব মোটামুটি ভালো হয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতি টার্ন আউট নিয়ে আমার মনে হয় বেশি কথার বলার প্রয়োজন নেই।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।


‘আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আগেই জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র’

মঙ্গলবার ডিআরইউ আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জনসমক্ষে আনার আগে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসকে জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র-ঘোষিত ভিসানীতির অধীনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। অন্য আইনের (অ্যাক্ট) অধীনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় সোমবার (বাংলাদেশ সময় সোমবার মধ্যরাতের পর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অযোগ্য ঘোষণার কথা জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার কারণে আজিজ আহমেদকে ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের ৭০৩১ (সি) ধারার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তর। এর ফলে আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যরা সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য হবেন।’


২৩ মে ১৪ দলের বৈঠক ডেকেছেন শেখ হাসিনা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ২৩ মে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে জোট শরিকদের নিয়ে বসবেন তিনি। আজ সোমবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

বৈঠকে শরিক দলগুলোর এজেন্ডায় কী থাকবে– জানতে চাইলে হাসানুল হক ইনু বলেন, দীর্ঘদিন পর, নতুন সরকার গঠনের পর প্রথম বৈঠক হচ্ছে ১৪ দলের। এতে জোট নেত্রী ১৪ দল সম্পর্কে কী বলেন, কী প্রস্তাব দেন সেটা আগে আমরা শুনব। তারপর দলগতভাবে এ নিয়ে আলাপ-আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সরকারের মেয়াদের শেষ দিকে কয়েকটি সমাবেশ হয় ১৪ দলের ব্যানারে। আর ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে গত ৪ ডিসেম্বর জোট নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার। নির্বাচনের আগে আসন ভাগাভাগি নিয়ে গত ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলীয় নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন আওয়ামী লীগ নেতারা।


ক্রেতারা প্লট বা ফ্ল্যাট কিনে যেন হয়রানির শিকার না হয়: রাষ্ট্রপতি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ক্রেতারা যাতে প্লট বা ফ্ল্যাট ক্রয় করতে গিয়ে কোনো ধরণের হয়রানির শিকার না হয়, সে ব্যাপারে রিহ্যাব কর্তৃপক্ষকে সচেষ্ট থাকার নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

আজ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সাথে রিয়েল এস্টেট এন্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)-এর সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, “আবাসন খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে রিহ্যাবের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

তিনি আরো বলেন, “ক্রেতারা যাতে প্লট বা ফ্ল্যাট কিনে কোনো ধরণের হয়রানির শিকার না হয়।”

সাহাবুদ্দিন বলেন, আবাসন মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে কেউ যেন গৃহহীন না থাকে, সে লক্ষ্যে আশ্রয়নসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বাসসকে জানান, সাক্ষাতকালে প্রতিনিধিদল রিহ্যাবের সার্বিক কার্যক্রম ও তাদের বিভিন্ন কর্মসূচি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।

এ সময় প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের আবাসন খাতে রিহ্যাবের অবদানের কথা তুলে ধরেন।

বৈঠককালে তারা এ খাতে বিরাজমান বিভিন্ন সমস্যার উত্তরণে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।

প্রতিনিধি দল আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় রিহ্যাব ফেয়ার ২০২৪-এ রাষ্ট্রপতিকে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানান। সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ব্যাটারিচালিত তিন চাকার গাড়ি চলবে: কাদের

বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার ওলামা লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মহানগরে ব্যাটারিচালিত তিন চাকার গাড়ি চলাচলের অনুমতি দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে দেশের ২২টি মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ সোমবার দুপুরে গুলিস্তান বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ওলামা লীগের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্মূল্যের বাজারে মেহেনতি মানুষের দুঃখ দুর্দশা বিবেচনা করে বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনা করে দ্রব্যমূল্যের কথা চিন্তা করে সিটি এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ওলামা লীগে চাঁদাবাজের স্থান নেই। ধর্মের নামে ধর্ম ব্যবসা চলবে না। আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাজ করতে হলে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতার আদর্শ মেনে চলতে হবে। শেখ হাসিনার সৎ রাজনীতিকে অনুসরণ করতে হবে। ফ্রি স্টাইলে যা খুশি বলিবেন, এই রকম লোকের আমাদের দরকার নেই।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা আমাদের পবিত্র ধর্ম ইসলামের জন্য ও এর বিকাশে যে অবদান রেখেছেন, যে সব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন বাংলাদেশে অন্য কোন শাসক কিছুই করেননি সে তুলনায়।’


আমাদের সবার বিকল্প আছে, শেখ হাসিনার বিকল্প নাই: শেখ পরশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৯ মে, ২০২৪ ২২:২২
নিজস্ব প্রতিবেদক

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে শেখ হাসিনা উপমহাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। তার নেতৃত্ব, দায়িত্বশীলতা, গুণ, ধৈর্য তাকে আজকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে। আমাদের সবারই বিকল্প আছে কিন্তু বাংলাদেশে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নাই।’

আজ রোববার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত শোভযাত্রার প্রাক্কালে তিনি এসব কথা বলেন।

যুবলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যুবলীগের নেতা-কর্মীদের দায়িত্ব রয়েছে বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা, দেশের উন্নয়নের যে ধারা, উন্নয়নের সুফল শুধু জনগণের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দিলেই হবে না, এই অপশক্তিরা আর কোন দিন যেন এদেশের জনগণের অধিকার ক্ষুণ্ন করতে না পারে সে দিকে যুবলীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীরা দৃষ্টি রাখবেন। দরকার হলে বুকের রক্ত দিয়ে জনগণের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন।

শেখ হাসিনার দেশে প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, যেখানে সামরিক জান্তারা রাতের পর রাত মুক্তিযোদ্ধা সেনাবাহিনীর অফিসারদের হত্যা করেছে, ফাঁসি দিয়েছে সেই প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনার এই আগমন ছিল অত্যন্ত সাহসী ও আত্মত্যাগী। সেই আগমনের বার্তা এদেশের লাখ লাখ নিপীড়িত, শোষিত মানুষকে উজ্জীবিত করেছিল, এদেশের জনগণ আস্তা ফিরে পেয়েছিল, স্বপ্ন দেখেছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্বপ্নের বাংলাদেশ পুনরায় প্রতিষ্ঠা করার।

তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিককালে যুক্ত হয়েছে পর-নির্ভর রাজনীতি। আজকে তারা বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভর করে। কিন্তু জনগণের ওপর নির্ভর করে না। তারা নির্ভর করে মিস্টার ল্যু’দের ওপর। যে তাদের হাত ধরে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। সেই স্বপ্ন আজকে ব্যর্থ হয়েছে, ধূলিসাৎ হয়েছে। কারণ, শেখ হাসিনার সঙ্গে এদেশের আপামর জনগণ রয়েছে।


সরকারের ধারাবাহিকতায় এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারের ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্বতায় দেশে এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা একটা কথা কেউ বলি না, আজকের বাংলাদেশের এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ কেন হয়েছে? সরকারের ধারাবাহিকতায় এবং স্থায়িত্বতার কারণে। এর কারণেই বাংলাদেশের এত উন্নয়ন ও অর্জন সম্ভব হয়েছে। এই কারণে বিশ্বের বিস্ময়ে রূপান্তরিত হতে পেরেছে বাংলাদেশ।’

দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতি আপনজন এই দেশের জনগণ। হতাশা কবলিত বাংলাদেশে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে: প্রধানমন্ত্রী

ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

জনগণকে সুন্দর ও উন্নত জীবন দিতে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে বলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘প্রতিবার নির্বাচনের সময় চক্রান্ত হয়, সেটা মোকাবিলা করে আমরা বেরিয়ে আসি। আমাদের তা ধরে রাখতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিয়ে যে অধিকারগুলো আদায় করেছিল, সেটা আমরা সমুন্নত করতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি আজ তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে তাকে গণভবনে শুভেচ্ছা জানাতে আসা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন।

’৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘ প্রবাস জীবন কাটাতে বাধ্য হওয়া শেখ হাসিনা একরকম জোর করেই দেশে ফিরে আসেন। এর আগে তার অনুপস্থিতিতেই তাকে সর্বস্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এ দিন বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকার কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। ঝড়-ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ সেই দিনে বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে লাখ লাখ জনতা তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানায়।

তিনি যখন দেশে ফেরেন তখন যুদ্ধাপরাধী এবং জাতির পিতার হত্যাকারীরা ক্ষমতায় ছিল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার পাশে ছিল বাংলাদেশের জনগণ। তিনি জানতেন তাকেও তার বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যদের ভাগ্যবরণ করতে হতে পারে। কিন্তু দেশবাসী ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি ছিল তার আস্থা।

শেখ হাসিনা বলেন ‘আমি আমার বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলব, আমার সব শক্তি-সাহস মা-বাবার কাছ থেকে পেয়েছি।’

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার সময় এত বড় সংগঠন চালানোর অভিজ্ঞতা আমার ছিল না। সেই আওয়ামী লীগ এখন দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী, বৃহত্তম এবং জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য সংগঠনে পরিণত হয়েছে। পঞ্চম মেয়াদে ক্ষমতায় এসেছে।

আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ উল্লেখ করে টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের যদি রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা না থাকে, দেশপ্রেম না থাকে, সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় না থাকে, তাহলে সেটা এগোতে পারে না। সামনে আরও বদলাতে হবে। কারণ, আমার বাবার একটাই স্বপ্ন ছিল দেশটাকে গড়ার। আমাদের পরিকল্পনা সেটাই আছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ’৭৫-এর পর যারা ক্ষমতায় ছিল তারা নিজেদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করেছিল। দেশের কোনো উন্নতি করতে পারেনি। তারা বরং শত শত সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে এবং ক্ষমতায় থাকার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অমানবিক নির্যাতন ও হত্যা করেছে। এ সময় প্রতিরাতে কারফিউ বলবৎ রাখার জিয়াউর রহমানের কারফিউ গণতন্ত্রের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের অগণিত নেতা-কর্মীর গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ও আত্মাহুতির কথাও তিনি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী তার উন্নয়নের মূলমন্ত্র তুলে ধরে বলেন, কী পেলাম, না পেলাম সেই চিন্তা করেনি। ভবিষ্যৎ কী সেই চিন্তাও করি না। চিন্তা করি দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ যেন আরও সুন্দরভাবে গড়ে তুলে দিয়ে যাব। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

দলীয় নেতাদের আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, এটাই মনে রাখবেন একটা দল করি শুধু নেতা হওয়ার জন্য নয়, মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, কী দিতে পারলাম, কী দিয়ে গেলাম। এটাই রাজনৈতিক মানুষের জীবনের বড় কথা। এ কথা মাথায় রাখতে পারলে দেশের মানুষের জন্য অনেক কিছুই করা যেতে পারে।

সংগঠনকে শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আর যেন যুদ্ধাপরাধী, খুনিরা বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।

‘দেশের মানুষ রক্ত দিয়ে যে অধিকার পেয়েছিল, তা তারা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দেশের ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা হয়েছিল এবং বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার ও জয় বাংলা স্লোগান-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু জয়বাংলা স্লোগান আবার ফিরে এসেছে এবং জাতির পিতা ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিলে যেমন স্থান করে নিয়েছে, তেমনি অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভভাষা দিবসের স্বীকৃতি অর্জন করেছে।

এর আগে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা তাদের দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গণভবনে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

এ সময় আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।


banner close