শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে সাহায্য করেছিল ভারত’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আপডেটেড
২৩ মার্চ, ২০২৪ ১৪:৩৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৩ মার্চ, ২০২৪ ১৪:৩৪

‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের যে ষড়যন্ত্র হয়েছিল সে সময়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পাশে ছিল ভারত’ বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করেছে। ৪১ ভাগেরও বেশি ভোট নির্বাচনে পড়েছে, যেটা অনেক উন্নত দেশেও এ পরিমাণ ভোট পড়ে না। তার পরও বলে, এখানে ইন্ডিয়া আমাদের নির্বাচিত করল। কোথায় ইন্ডিয়া? ভোটকেন্দ্রে আমাদের জনগণ, আমাদের ভোটাররা ভোট দিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইন্ডিয়াসহ বন্ধুদের যারা আছে, তারা দেশে-বিদেশে নির্বাচন বানচালের যে ষড়যন্ত্র, তখন আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। এটা সত্য। তারা আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেনি। তারা আমাদের ভোট বানচালের ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করার সময় আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিদেশে বসে বিবৃতি দিচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব সিঙ্গাপুরে। আবার প্রতিদিনই দেখি একেকটা বিবৃতি দেয়। আমি অবাক হই, কোনো দলের সেক্রেটারি জেনারেল, নেতৃত্ব বিদেশে গিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কথা বলে। আমি এ পর্যায়ে অনেকবার চেকআপে সিঙ্গাপুর গেছি, কিন্তু আমি কোনোদিনও কোনো বিবৃতি, মন্তব্য বিদেশ থেকে দিইনি। এটা নিয়ম নয়।’


অর্থনেতিক সংকটকালে এই বাজেট গণমুখী ও বাস্তবসম্মত: কাদের

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গত ৬ জুন জাতীয় সংসদে শেখ হাসিনা সরকারের অর্থমন্ত্রী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেছেন। অর্থনেতিক সংকটকালে এই বাজেট গণমুখী, বাস্তবসম্মত।

আজ শনিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ৪০ শতাংশ লোককে দারিদ্র্যসীমার নিচে রেখে গেছে। শেখ হাসিনা সরকার ১৮ শতাংশে আর অতিদরিদ্র ৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। বাংলাদেশে এখন শুধু ডালে ভাতে নয়, পুষ্টি উন্নয়নে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


বিএনপিসহ কিছু গোষ্ঠী চোখে ভালো কিছু দেখে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সংসদে প্রায় আট লক্ষ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ হয়েছে। প্রতিবার বাজেট পেশ করার পর আপনারা দেখবেন বিএনপির পক্ষ থেকে একটা সংবাদ সম্মেলন করা হয়। বলা হয়, এই বাজেট গণবিরোধী, গরীব মারার বাজেট, এই বাজেটে কোনো উপকার হবে না। বিএনপিসহ কিছু গোষ্ঠী আছে তারা চোখে ভালো কিছু দেখেন না। প্রকৃতপক্ষে গত ১৫ বছরে প্রতিটা বাজেট বাস্তবায়নের হার হচ্ছে ৯২ থেকে ৯৭ শতাংশ।’

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মামুদ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আবার যারা নিজেদের জ্ঞানী বলে মনে করেন তারা কোনো কিছুতে ভুল না ধরলে উনি যে জ্ঞানী এটা তো বোঝানো যায় না। সেজন্য সবকিছুতে ভুল ধরা ওনাদের অভ্যাস। সেজন্যই তারা বলেন, এই বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য নয়। সবকিছুতে না বলার যে অপসংস্কৃতি এটি দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির জন্য বাধা।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গত ১৫বছরে প্রতিটা বাজেট বাস্তবায়নের হার হচ্ছে ৯২ থেকে ৯৭ শতাংশ। বাজেটের আকার গত ১৫ বছরে সাড়ে ১১গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাথাপিছু আয় সাড়ে পাঁচগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। জিডিপির আকার প্রায় ছয়গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশে দারিদ্র সীমার নিচে থাকা জনগোষ্ঠী ছিল ৪১ শতাংশ। সেখান থেকে ১৮.৭ শতাংশে নেমেছে। অতি দরিদ্রতা ২২শতাংশ ছিল, সেখান থেকে সাড়ে ৫ শতাংশে নেমেছে।

তিনি আরও বলেন, বাজেট যদি গরিবের উপকারে না আসত, তাহলে দরিদ্রতা ও অতি দরিদ্রতা কমত না। মানুষের আয় সাড়ে ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ডলারের অঙ্কে। টাকার অঙ্কে আরও বেশি। এটি সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী ও তার নেতৃত্বাধীন সরকারের বাস্তবসম্মত বাজেট প্রণয়ন এবং সেই বাজেট বাস্তবায়নের কারণে।

সাংবাদিকরা সমাজের অগ্রসর অংশ। সমাজকে পথ দেখায়। সমাজের অনুম্মোচিত বিষয়গুলো উন্মোচিত করে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকরা সরকারের ভুলত্রুটি তুলে ধরবেন, সেটিকে আমরা স্বাগত জানাই। কাজকে পরিশুদ্ধভাবে করার ক্ষেত্রে সেটি সহায়ক হয়। তবে অনেক সময় দেখা যায় কিছু কিছু প্রতিবেদন এমনভাবে হয় সেগুলো দেশের জন্য ক্ষতিকারক।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, সিডিএর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ, জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, মহানগর পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বক্তব্য দেন।


৬ দফা স্বাধীনতা সংগ্রামের টার্নিং পয়েন্ট: কাদের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ৬-দফা স্বাধীনতা সংগ্রামের টার্নিং পয়েন্ট। যারা ৬-দফা মানে না, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না।

ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষ্যে আজ সকালে ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ছয় দফা বাস্তবায়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর যে আহ্বান, তারই সাথে ৭ জুনের হরতালে বেশ কয়েকজন শ্রমিক নেতা নিহত হন। ছয় দফা হচ্ছে স্বাধীনতা আন্দোলনের মাইলফলক। ছয় দফার ভিত্তিতে ১১ দফা আন্দোলন শুরু করে ছাত্রসমাজ।

তিনি বলেন, ৬৫’তে পাক-ভারত যুদ্ধে পূর্ব বাংলার কোনো নিরাপত্তা ছিল না। পূর্ব বাংলাকে রক্ষা করার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। সেই কারণে ছয় দফার প্রয়োজন বেশি ছিল।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ছয় দফা না হলে ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান হতো কি-না সেটিই হলো বড় কথা। এই ছয় দফা আমাদের ইতিহাসের বাক পরিবর্তন করেছে। ৭৫-এর পর ৭ জুন ও ৭ মার্চ এসব দিবসকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা নিষিদ্ধ করে দেয়, তারা ৭৫-এ সপরিবারের বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। তারা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি, তারা হত্যা করতে চেয়েছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে, আমাদের স্বাধীনতার আদর্শকে।সেই জন্য বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে জয় বাংলা, ৭ মার্চ এবং ৭ জুন নির্বাসিত হয়ে যায়।


বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে যুবলীগের আনন্দ মিছিল

বৃহস্পতিবার বিকেলে ফার্মগেট ও ২৩-বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আনন্দ মিছিল করে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নেতাকর্মীরা।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর ফার্মগেটে ও ২৩-বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলটির চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে এই আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

মিছিল ও শোভাযাত্রা শেষে বক্তারা বলেন, ‘একটি সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের এই জাতীয় বাজেট। বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার মেগা সরকারে মেগা বাজেট এটি। এ বাজেট জনগণের বাজেট, মানবতার বাজেট, মানুষের অধিকার ও কল্যাণের বাজেট।’

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই বাজেট উপহার দেওয়ায় যুবসমাজের পক্ষ থেকে বক্তারা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও অভিবাদন জানায়।

আরও পড়ুন: সংকটের সময়ে গণমুখী বাজেট হয়েছে: কাদের

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, মুহাম্মদ বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, জহির উদ্দিন খসরু, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইলর হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুক্তা আক্তার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. আলতাফ হোসেন, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্যসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দরা।

এর আগে বিকেলে সংসদে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। যা অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। বিশেষ বৈঠকে বাজেট প্রস্তাব অনুমোদন হয়।

দুপুর ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক শুরু হয়। অনুমোদিত এ বাজেট দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২৫তম এবং এ অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বিষয়:

সংকটের সময়ে গণমুখী বাজেট হয়েছে: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে সংকটের সময়ে বাস্তবসম্মত ও গণমুখী বাজেট বলে অভিহিত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বাজেট পেশের পর জাতীয় সংসদ ভবনে বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সংকটের এই সময়ে গণমুখী বাজেট হয়েছে। দলের নির্বাচনী ইশতেহারে দেওয়া অঙ্গীকার ও অগ্রাধিকার খাত বিবেচনায় নিয়ে বাজেট দেওয়া হয়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণেও ফোকাসটা থাকবে। বাস্তবসম্মত হয়েছে এই বাজেট।’

বাজেট প্রণয়নে আইএমএফের প্রেসক্রিপশন সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, কারো প্রেসক্রিপশন মেনে বাজেট প্রণয়ন করা হয়নি। শেখ হাসিনার সরকার কারো প্রেসক্রিপশন মেনে চলে না।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর প্রসঙ্গে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার নয়, শনিবার নরেন্দ্র মোদির শপথ উপলক্ষ্যে দিল্লি সফরে যাবেন।

এর আগে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। পরে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন।


বেনজীর-আজিজ আমাদের দলের লোক নয়: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বেনজীর ও আজিজ আমাদের দলের কোনো লোক নয়। তাদের পদায়ন হয়েছিল মেধা ও সিনিয়রিটির ভিত্তিতে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ‘৬ দফা দিবস’ এবং ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সিনিয়রিটি ও মেধার ভিত্তিতে বেনজীর আইজিপি হয়েছিলেন। তেমনি আজিজ আহমেদও তার যোগ্যতায় ও সিনিয়রিটিতে সেনাপ্রধান হয়েছেন। এখন ভেতরে তারা যদি কোনো অপকর্ম করে এটা যখন সরকারের কাছে আসে, তখন এদের বিচার করার সৎ সাহস সরকারের আছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে লক্ষ্য করেছি, বিরোধীদল বিএনপি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছে। অর্থপাচারের বিরুদ্ধে কথা বলছে। তাদের দলের প্রধান দুর্নীতির অভিযোগে সাজা ভোগ করছে। প্রধানমন্ত্রীর উদারতায় বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী নিজেই এটা করেছেন। বিএনপি আন্দোলন করতে পারেনি, তাদের আন্দোলনে জনগণ সম্পৃক্ত হয়নি। হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনেও অংশ নেয়নি।

বাংলাদেশের ইতিহাসে যত নির্বাচন হয়েছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন তার মধ্যে শান্তিপূর্ণ হয়েছে মন্তব্য করে কাদের বলেন, বিরোধীদল বিএনপি যোগ না দিলেও এ নির্বাচন সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ হয়েছে। ৭৫ পরবর্তী সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল ছিল এবারের নির্বাচন। উপজেলা নির্বাচন নিয়েও এত কথা, জনগণ নাকি ভোট দিতে যায় না। অথচ প্রথম ধাপে ৩৬, দ্বিতীয় ধাপে ৩৭ ও তৃতীয় ধাপে ৩৮ শতাংশেরও বেশি ভোটার উপস্থিতি ছিল। জাতীয় নির্বাচনেও ৪২ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি ছিল। এখানে কোনো প্রাণহানি হয়নি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে কাউকে পুলিশ, সেনাবাহিনী, র‍্যাবের, প্রশাসনের বড় পদে বসায়নি। ৮ জনকে পাশ কাটিয়ে ৯ নম্বর ব্যক্তি মঈনুল আহমেদকে সেনাপ্রধান করেছে। কে করেছে? বেগম খালেদা জিয়া। আশরাফুল, রকিবুল হুদা, কোহিনূর কার সৃষ্টি? মির্জা ফখরুল অন্ধকারে ঢিল ছুড়ছেন। ভুলে গেছেন, আপনার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অস্ত্র চোরাচালান, মানি লন্ডারিংয়ের মামলায়, দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশে বিদেশে সর্বত্রই একজন সৎ পলিটিশিয়ান হিসেবে পরিচিত। তার সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ নেই।

টিআইবি ও সুজনের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে টিআইবি একটা আছে, সুজন আছে, সুজন না কুজন জানি না। ফখরুল, গয়েশ্বর যে সুরে কথা বলে তারাও একই সুরে কথা বলে। আজকে মানুষের প্রশ্ন, টিআইবি সুজন কি বিএনপির ‘বি’ টিম? যে সুরে কথা বলে, কোনো পার্থক্য নেই, একই সুরে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে।

দলের নেতাকর্মীদের কারও কোনো অসুবিধা থাকলে, সচ্ছলতায় ঘাটতি থাকলে দলকে জানানো কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের অসচ্ছল, অসুস্থ লোককে খবর পেলেই তিনি ব্যবস্থা নেন। চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন, অসচ্ছলতার ব্যাপারে তার সদয় দৃষ্টি আমরা দেখতে পাই।

দলের নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, দলের বদনাম করে কেউ কোনো অপকর্ম করবেন না। সত্য সত্যই। বাইরে থেকে বেনজীরকে আমরা যেভাবে দেখেছি, তিনি যে আরেক বেনজীর ভেতর থেকে সেটা তো এখন সত্য হয়ে দেখা দিচ্ছে। একজন মানুষের চলতে ফিরতে কত লাগে? দলের নেতা যদি দলের কর্মীদের কাছে টাকা পয়সা চায় এটা খুব লজ্জার বিষয়।

প্রতিনিধি সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সভা সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। এসময় উত্তর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


১৪ দলীয় জোটের বৈঠক আজ

আপডেটেড ৪ জুন, ২০২৪ ০০:০৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের বৈঠক আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১১টা থেকে রাজধানীর ইস্কাটনে ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুর বাসভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।

গত ২৩ মে গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ১৪ দলীয় জোটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে নেতারা জোটের সমন্বয় নিয়ে নানান অভিযোগে তুলেছিলেন। তবে বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, জোটের দলগুলোর মধ্যকার দূরত্ব কমে যাবে।

২৩ মে এর ফলোআপ হিসেবে আজ জোটের মুখপাত্রের বাসভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যে আলাপ-আলোচনা করেছিলাম তার ফলোআপ হিসেবে মঙ্গলবার (আজ) আমরা বৈঠক করব।’


মারা গেছেন সাহসী রাজনীতিবিদ শফি আহমেদ

রাজনীতিবিদ শফি আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৩ জুন, ২০২৪ ২২:২০
নেত্রকোণা প্রতিনিধি

৯০’র গণ-অভ্যুত্থানের সাহসী রাজনীতিবিদ শফি আহমেদ (৬২) মারা গেছেন।

আজ সোমবার রাজধানীর উত্তরায় নিজ বাসায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়।

নেত্রকোণা জেলা শহরের একাধিক সূত্রে জানা যায়, দুপুরে নিজ বাসায় খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। তারপর ঘুমন্ত অবস্থায় স্ট্রোক করেন। সন্ধ্যায় তাকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেলে দ্রুত উত্তরায় ক্রিসেন্ট হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত্যুকালে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক স্ত্রী তাহেরা খন্দকার, লন্ডন ও কানাডা প্রবাসী দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

শফি আহমেদ নেত্রকোণা জেলার মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের মাখনা গ্রামের এবং জেলা শহরের মোক্তারপাড়া এলাকার মরহুম অ্যাডভোকেট এটিএম আজিজুল হক সাহেব ও মরহুমা মোছা. আছিয়া আক্তার খাতুনের একমাত্র ছেলে ছিলেন। ছয় বোনের একমাত্র বড় ভাই ছিলেন তিনি।

শফি আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। জাসদ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাবেক তুখোড় ছাত্রনেতা। ৯০ এর গণ-অভ্যুত্থানে সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাবেক সহসম্পাদক ছিলেন তিনি।


‘সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সঙ্গে বিএনপির গভীর বন্ধন রয়েছে’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

জামায়াতসহ সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সঙ্গে বিএনপির গভীর বন্ধন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। উগ্র-সাম্প্রদায়িকগোষ্ঠী স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অযৌক্তিক ও দ্বিচারিতাপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাতেই এই বিবৃতি দেওয়া হয়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র-সাম্প্রদায়িক অপশক্তি জামায়াত সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যে এ কথা আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে, তারা যেখানেই যে অবস্থাতেই থাকুক না কেন স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতসহ সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সঙ্গে বিএনপির গভীর বন্ধন রয়েছে।’

তিনি বলেন, জামায়াত নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যে যে বিষয়টি উঠে এসেছে তা সুস্পষ্টভাবে অবৈজ্ঞানিক ও অযৌক্তিক। জামায়াতের রাজনীতি বাংলাদেশের মূল চেতনা, মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও স্বাধীনতার মূল্যবোধের পরিপন্থী। রাজনীতির এ ধারা বার বার দেশবিরোধী হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, একজন দেশপ্রেমিক নাগরিক কখনোই ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের আখরে রচিত পবিত্র সংবিধান ও রাষ্ট্রের মৌলিক চেতনাবিরোধী এই রাজনীতিকে কোনোভাবেই স্বীকৃতি দিতে পারে না। যাদের রাজনীতি দেশের ভিত্তিমূলে আঘাত হানে তাদের কৌশলও কখনো বিজ্ঞানসম্মত বা যৌক্তিক হতে পারে না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে প্রগতিশীলতার মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে রাখা তার আসল চেহারা উন্মোচিত হয়েছে। একইসঙ্গে তার বক্তব্যে উগ্র-সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উস্কানি দেওয়ার দুরভিসন্ধি প্রকাশিত হয়েছে।

তিনি বলেন, সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান এদেশে স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র-সাম্প্রদায়িক অপশক্তির রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিল। ঐতিহাসিকভাবেই বিএনপির সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধী এই অপশক্তির গভীর আঁতাত ও সম্পর্ক রয়েছে। যে কারণে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দ তাদের প্রতি এক ধরনের দায়বদ্ধতা অনুভব করে এবং সর্বদা পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে থাকে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির রাজনীতির সামাজিক বৈধতা ও স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠায় বিএনপি বরাবরই প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। বিএনপির রাজনীতি এই চক্রেই আবর্তিত। তারা স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে নিজেদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি পরিচালিত হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শের ভিত্তিতে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শবিরোধী কোনো রাজনৈতিক অপশক্তিকে আওয়ামী লীগ কখনো স্বীকৃতি দেয়নি- ভবিষ্যতেও দেবে না।


দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার: হানিফ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে সরকার তাদের বিরুদ্ধেই কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

আজ সোমবার কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমি মিলনায়তনে বিভাগীয় পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামুলক কর্মশালায় যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহবুব উল আলম বলেন, বেনজির আহমেদের দেশ ত্যাগের বিষয়ে ঢালাও ভাবে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার কোন সুযোগ নেই। কেননা ইতোমধ্যে আমাদের সরকার প্রধান দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। এতে যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে সরকার তাদের বিরুদ্ধেই কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে হাওয়া ভবন করে দেশে লুটপাট করেছিল, সেটাকে ঢাকার জন্য বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নানান রকম গুজব ছড়াচ্ছেন তারা। দেশের মানুষ জানে বিএনপির আমলে আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশনের কথা। কোন লজ্জায় বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিয়ে কথা বলে তারা।

সরকারের উচ্চ পর্যায়ে সকলেই লুটের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন বিএনপির এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে হানিফ বলেন, হাওয়া ভবন বানিয়ে বিএনপি ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেশব্যাপী যে লুটপাট চালিয়েছিল, তা ঢাকতেই এসব মিথ্যাচার করছে।

তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত এবং তারেক রহমান দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত হয়ে পলাতক রয়েছেন। যে দলের শীর্ষ পর্যায়ের দুই নেতা দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়ে দণ্ডপ্রাপ্ত সেই দলের নেতাদের মুখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা মানায় না।

এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ, কামারুল আরেফিন, রেজাউল হক চৌধুরী এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাকারিয়া ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজা উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়:

‘বেনজীরকে কারা বিদেশ পাঠাল’- প্রশ্ন কাদেরের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদকে সরকারের কে বিদেশে পাঠিয়েছেন, তা জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ রোববার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘সরকার বেনজীর আহমেদকে বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে’– বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের এমন অভিযোগের বিষয়ে পালটা প্রশ্ন করেন তিনি।

কাদের বলেন, ‘বেনজীর আহমেদের বিষয়ে দুদক তদন্ত করছে। মামলা বা গ্রেপ্তার সব আইনি পন্থায় হবে। সরকার দুদককে এড়িয়ে আগবাড়িয়ে কেন ব্যবস্থা নেবে?’

শেখ হাসিনার সরকার দুর্নীতিবাজদের কোনো আশ্রয় দেয় না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তি দুর্নীতি করতে পারে, কিন্তু সরকার দুর্নীতিবাজকে কীভাবে দেখছে সেটা মূল বিষয়। মির্জা ফখরুলের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই: সরকারের কে বেনজীরকে বিদেশে পাঠাল?’

সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বেনজীর আহমেদ যে এত এতো অন্যায় করল গণমাধ্যম কী করেছে? গণমাধ্যম একটা সংবাদও করল না কেন?’

তিনি বলেন, ‘বিদেশে যাক আর যেখানেই থাকুক, আইন নিজস্ব গতিতে চলবে। তাই বিচার হবেই, একদিন না একদিন বেনজীরকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’

কাদের বলেন, ‘বিদেশে থাকলেও বেনজীরের বিচার চলবে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে দেশে ফিরতেই হবে, সরকার কোনো ছাড় দেবে না।’

বেনজীর ইস্যুতে কারো কোনো ব্যর্থতা থাকলে, গাফিলতি থাকলে সেটিরও বিচার হবে বলে জানান তিনি।


‘দুর্নীতিবাজদের তালিকায় প্রথমে বিএনপি নেতাদেরই নাম আসবে’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি দুর্নীতিবাজদের তালিকা করলে প্রথমেই আসবে তাদের নেতাদের নাম বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে বিদেশে পালিয়ে গেছেন কি না তা জানা নেই। যারা দুর্নীতি করেছে সবার তথ্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আছে। দুর্নীতিবাজরা বিচারের আওতায় আসছে।’

বিএনপি নাকি আজিজ ও বেনজীরের মতো দুর্নীতিবাজদের তালিকা করছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি দুর্নীতিবাজদের তালিকা করলে প্রথমেই আসবে তাদের নেতাদের নাম। কারণ তাদের অধিকাংশ নেতাই দুর্নীতিবাজ। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে, হাওয়া ভবন তৈরি করেছে, বিদ্যুতের খাম্বা লাগিয়ে বিদ্যুৎ দেয়নি। সব টাকা দুর্নীতের মাধ্যমে নিজেদের পকেটে ভরেছে।’

তিনি বলেন, সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নয়। বাংলাদেশও সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে আমাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। সম্ভাবনা আছে বলেই বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ বাংলাদেশকে সাপোর্ট করছে।

বিএনপির গণতন্ত্রকে ‘কারফিউ’ উল্লেখ করে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বাংলাদেশ ছাড়া অন্যদেশের গণতন্ত্র, নির্বাচন ও মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে না পশ্চিমারা। বিএনপির গণতন্ত্র ছিল ‘কারফিউ গণতন্ত্র’। বিএনপি গণতন্ত্রকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গিয়েছিল। নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রহসনে রূপ দিয়েছিল বিএনপি।”

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীরের ৬২১ বিঘা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে তার গুলশানের আলিশান ৪টি ফ্ল্যাট ও ৩৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। এতো সম্পদ কীভাবে গড়লেন বেনজীর, তা জানতে ৬ জুন তলব করা হয়েছে তাকে। স্ত্রী ও সন্তানকে ডাকা হয়েছে ৯ জুন।

অন্যদিকে, দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তার (আজিজ আহমেদ) কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের অবমূল্যায়ন এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার ওপর জনগণের আস্থা কমেছে। এ ছাড়া আজিজ আহমেদ তার ভাইকে বাংলাদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহিতা এড়াতে সহযোগিতা করেন। এ সময় তিনি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন বলেও জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। এ ছাড়া অন্যায্যভাবে সামরিক খাতে কাজ পাওয়া নিশ্চিত করতে তিনি তার ভাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। তিনি নিজের স্বার্থের জন্য সরকারি নিয়োগের বিনিময়ে ঘুষ নিয়েছেন।

এরপর আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান।


অবাধ-সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা: কাদের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ভোটারের উপস্থিতি ৩৫ শতাংশের কিছু বেশি। আগামীকাল চূড়ান্তভাবে জানা যাবে। অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটাররা ভোট প্রয়োগ করেছেন। নির্বাচন কমিশন অনেক তৎপর ছিল।’

আজ বুধবার বিকেলে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মোটামুটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় আওয়ামী লীগের পক্ষে অভিনন্দন জানাচ্ছি। সারা দেশে দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।’

বিএনপির গলাবাজি আগের তুলনায় বেড়ে গেছে দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন সফল করা সত্যিই চ্যালেঞ্জ। এই নির্বাচনকে ঘিরে কত মিথ্যাচার, অপপ্রচার...। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের পরেও বিএনপি এখন তাদের গলাবাজি আগের তুলনায় বেড়ে গেছে। তারা মাঠের রাজনীতিতে ব্যর্থ। নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ। এই ব্যর্থতার কারণে তারা হতাশ।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের (বিএনপি) সবশেষ আন্দোলন দেখলাম লিফলেট বিতরণ। তারা ভেবেছিল জাতীয় নির্বাচনের পর দেশে একটা দুর্ভিক্ষ হবে। মানুষ মারা যাবে। তাদের এই স্বপ্ন কর্পুরের মতো উড়ে গেছে। একটি মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি।’

এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপপ্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী উপস্থিত ছিলেন।


banner close