শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

চলছে ফরিদপুর-২ উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ, কম ভোটার উপস্থিতি

ফরিদপুর-২ উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। ছবি : দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
৫ নভেম্বর, ২০২২ ১২:১২
ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত
ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ৫ নভেম্বর, ২০২২ ১২:০৭

ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা, সালথা ও সদরপুর একাংশ) সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনে মোট ১২৩টি কেন্দ্রের ৮০৬টি কক্ষে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এক হাজার ৫২টি সিসি ক্যামেরায় ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সকালে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি তেমন চোখে পড়েনি। সালথা উপজেলার কয়েকটি কেন্দ্রে ঘুরে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা ইভিএম মেশিনে ভোট দিতে অসচেতন ও অনাগ্রহী। তাছাড়া উপ-নির্বাচনেও তাদের আগ্রহ কম।

সালথা সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার জীবাংশু দাস বলছেন, ‘সকাল থেকেই ভোটারদের সংখ্যা কম, সকাল ১০টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রটিতে মোট ১৩৪ জন ভোট দিয়েছেন।’ তবে বেলা বাড়লে ভোটারের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন তিনি।

সালথা উপজেলার আটঘর, গট্টী, ঠ্যানঠেনিয়া কেন্দ্রেও একই চিত্র দেখা গেছে। এই উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে মোট ৫০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৩২ হাজার ৪৪০জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৯ হাজার ৫ ৩জন এবং নারী ভোটার ৬৩ হাজার ৪০৭জন।

ইসির যুগ্ম সচিব এস এম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ১৬ থেকে ১৮ সদস্যের ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটের পরের দিন পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া পুলিশ, আনসার ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে সাতটি মোবাইল টিম ও ছয়টি স্ট্রাইকিং টিম এবং র‌্যাবের ১০টি টিম রয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে ছয় প্লাটুন বিজিবিও।

অন্যদিকে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন-নিশ্চিতকরণ ও সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ সম্পন্ন করতে ১০ জন নির্বাহী হাকিম ও তিনজন বিচারিক হাকিম নিয়োজিত রয়েছেন ভোটের মাঠে।

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর-২ আসনটি সালথা, নগরকান্দা ও সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ১৮ হাজার ৪৭৯ জন। এরমধ্যে নগরকান্দায় এক লাখ ৫৭ হাজার ৮৭৫, সালথায় এক লাখ ৩২ হাজার ৪৬০ ও সদরপুরের কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে ২৮ হাজার ১৩৭ জন ভোটার।

জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। প্রতি তিন কেন্দ্রের বিপরীতে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশন মনোনীত একজন ব্যক্তি নিয়োজিত থাকবেন। এ ছাড়া নির্বাচন উপলক্ষে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যাবস্থা।

নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রয়াত সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরীর ছেলে শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবু। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী বটগাছ প্রতীকে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বকুল মিয়া।

গত ১১ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করেন স্পিকার। এরপর উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ছয়জন। এর মধ্যে বাছাইয়ে বাতিল হয়ে যায় দুজনের মনোনয়নপত্র। বাকি চারজনের মধ্যে নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক জামাল হোসেন মিয়া এবং জাতীয় পার্টির আলমগীর হোসেন মিয়া শেষ দিনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।


শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল একটা জাগরণ: জাহাঙ্গীর কবির নানক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল একটা জাগরণ বলে মন্তব্য করেছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি। তিনি বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের পরাজয়কে মেনে নিতে পারেনি, তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, তারাই বাংলাদেশকে আবার উল্টো পথে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। ১৭মে শুধু জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন হয়নি, হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যাবর্তন, হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যাবর্তন।

আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে 'তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই...' শীর্ষক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জাহাঙ্গীর কবির নানক আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার পথ রুদ্ধ করার জন্য তাকে ৯ বার কারারুদ্ধ করা হয়েছিল, ১৪ বার হত্যা চেষ্টা করা হয়েছিল। তবুও থামাতে পারেনি।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস। ড. বিশ্বাস তার প্রবন্ধে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও শত বাধা সত্ত্বেও বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার বিশ্লেষণ তুলে ধরেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান বলেন, শেখ হাসিনা যখন দেশে ফিরেছিলেন তখন গোটা দেশ ছিল এক রুদ্ধ কারাগার। তিনি দেশে ফিরেই যেন দেশের ভার গ্রহণ করেছিলেন। শেখ হাসিনা দেশে ফেরার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রাণশক্তি ফিরে পেয়েছিল।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যায়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম পরিচালক, মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু গবেষক এবং দৈনিক বাংলা ও নিউজবাংলা২৪ এর নির্বাহী পরিচালক মোঃ আফিজুর রহমান, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে গবেষণামূলক প্রবন্ধ উপস্থাপন ও আলোচনা সভার অংশ হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিয়ে এ সেমিনারের আয়োজন করে।


বিএনপির আশায় গুড়েবালি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন (১৯৮১)’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির আশায় গুড়েবালি দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বার্তা দিয়ে গেছে, তারা সম্পর্ককে আরও গভীর করতে চায়। সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন (১৯৮১)’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি ও সাপ্তাহিক জয় বাংলা।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অথচ বিএনপির নেতারা কোনো কিছুই দেখতে পায় না। কালকে (বুধবার) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঘুরে যাওয়ার পর, তাদের (বিএনপি) মাথা খারাপ হয়ে গেছে। ওনারা আশা করেছিল কিনা কী বলে। অনেক চেষ্টাও করেছিল দেখা সাক্ষাৎ করার জন্য। কিন্তু তাদের আশায় গুড়েবালি দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বার্তা দিয়ে গেছে, তারা সম্পর্ককে আরও গভীর করতে চায়, সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। আমরাও সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এজন্য বিএনপির নেতাদের মাথা খারাপ। এখন তারা নানা ধরনের কথা বলছে।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আসলে বিএনপি এখন খেই হারিয়ে ফেলেছে। আগে দেখতাম দুই-একজন নেতা খেই হারায়। গয়েশ্বর বাবু খেই হারায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী আবোল-তাবোল বলে। এখন দেখি, সিনিয়র নেতারাও আবোল-তাবোল বলে, খেই হারিয়ে ফেলেছে। আসলে কেউ যখন আশার আলো দেখে না, তখন তারা খেই হারিয়ে ফেলে। তো বিএনপির অবস্থা হচ্ছে সেটি।’

‘বিএনপির জন্য আকাশটা ছোট হয়ে আসছে’ মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপিকে আমি অনুরোধ জানাবো আপনারা যে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছেন, সেই ষড়যন্ত্র করে কোনও লাভ হয় নাই। বরং আপনারা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন থেকে বাইরে থাকার যে পথ অনুসরণ করছেন, এতে করে বিএনপির জন্য আকাশটা ছোট হয়ে আসছে। সেই পথে যদি থাকেন, তাহলে এক সময় বিএনপি হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে। আমরা চাই না বিএনপি আরও দুর্বল হোক। আমরা চাই, বিএনপি আরও শক্তিশালী হোক, শক্তিশালী বিরোধী দলের দ্বায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করুক। কারণ, গণতন্ত্রকে সংহত কর‍তে হলে শক্তিশালী বিরোধী দলের প্রয়োজন রয়েছে। তারা সেই দায়িত্বটি পালন করুক, সেটিই আমরা চাই।’

‘দেশে শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনা’, এমন মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৭ মে ১৯৮১ সালে যে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, ‘মা- বাবা-ভাইকে হারিয়ে দেশের মানুষকে আপন করে নিয়ে পথ চলতে চাই’, শেখ হাসিনা তাই করে চলেছেন। এবং সে কারণেই আজকে দেশ এগিয়ে চলেছে। তার এই পথযাত্রায় বহু প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছেন জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া। কিন্তু কোনও লাভ হয় নাই। শেখ হাসিনা দিন দিন আরও শক্তিশালী হয়েছেন। দেশকে আরও যদি এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়, তাহলে এ দেশে শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনা, অন্য কেউ না।’

স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুর সভাপতিত্বে ও বঙ্গবন্ধু অ্যাকাডেমির মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজিরের সঞ্চালনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, আওয়ামী লীগের নেতা এম এ করিম, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির চেয়ারম্যান মো. সুমন সরদার, মহাসচিব এম এ বাশার, কো-চেয়ারম্যান সেহেলী পারভীন প্রমুখ।


লুর বক্তব্যের পর ফখরুলের কথার মূল্য নেই: কাদের

আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আজ সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে সুষম খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আগের অবস্থানে আছে’- মির্জা ফখরুলের এমন দাবি প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মির্জা ফখরুল কী করে জানলেন যুক্তরাষ্ট্র তার আগের অবস্থানে রয়েছে? মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর বক্তব্য পরিষ্কার। তিনি যে কথা বলেছেন, এরপর ফখরুলের বক্তব্যের কোনো মূল্য নেই। ডোনাল্ড লুর বক্তব্যের মাধ্যমেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বুঝতে পারা যায়।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে সুষম খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গত ৪৩ বছরের সবচেয়ে সাহসী নেতা ও সৎ রাজনীতিকের নাম বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। গত ১৫ বছরে উন্নয়ন অর্জন ও আধুনিকতায় বাংলাদেশ বদলে গেছে। ১৫ বছর আগের বাংলাদেশ আর এখনকার বাংলাদেশের কোনো মিল নেই।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আসলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন। স্বাধীনতার আদর্শের প্রত্যাবর্তন। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধের প্রত্যাবর্তন। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি জয় বাংলার প্রবর্তন। তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই গণতন্ত্র শৃঙ্খল মুক্ত হয়েছে। যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন হয়েছে। মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু হয়েছে। পাহাড় সমতল সর্বত্রই উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। যারা এসব অস্বীকার করে তারা দিনের আলোতে অন্ধকার দেখে।’

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি এসেছিলেন বলেই আজ ঢাকায় তরুণ প্রজন্মের স্বপ্নের মেট্রোরেল তৈরি হয়েছে। তার কারণেই নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করা সম্ভব হয়েছে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেস হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল হয়েছে যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম। বাংলাদেশের ভাগ্য পরিবর্তন শেখ হাসিনাই করেছেন। এর আগে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা নিজেদের ভাগ্য আর পকেটের উন্নয়ন করেছে। শেখ হাসিনার সততা আজ সারাবিশ্বে প্রশংসনীয়।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্যসচিব আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এতিমখানার শিক্ষার্থীসহ ঢাকা মহানগরের অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।


স্যাংশন-ভিসানীতির কেয়ার করে না সরকার: কাদের

সচিবালয়ে মঙ্গলবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

যুক্তরাষ্ট্রের কোনো রকম স্যাংশন বা ভিসানীতির কেয়ার করে না সরকার বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফর বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা দাওয়াত করে কাউকে আনি নাই, তাদের এজেন্ডা আছে; তারা সেসব নিয়ে ঢাকায় এসেছে। বিএনপির সঙ্গে তাদের কি আছে, তারাই ভালো জানে। ওপরে ওপরে বিএনপি তাদের পাত্তা দেয় না বললেও, তলে তলে বিএনপি কি করে তারাই ভালো জানে। আমরা মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পাত্তা দেই না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একজন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তাকে নিয়ে বাংলাদেশ এত মাতামাতি কেন? তার প্রয়োজনে সে এসেছে। তাদের অ্যাজেন্ডা আছে। সম্পর্ক যখন থাকে সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা থাকে। তো সেটা তারা করতে আসছেন। আমরা দাওয়াত করে কাউকে আনছি না।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কোনো প্রকার স্যাংশন, ভিসানীতি এগুলোর কেয়ার করি না।’

তিনি আরও বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক বিএনপির আন্দোলনের ব্যর্থ চেষ্টা। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে খড়কুটো ধরে বাজতে চায় তারা। আসলে তাদের কোনো ইস্যু নাই। তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনকে ইস্যু বানাতে চায়। আমার প্রশ্ন হলো-ভারতীয় মসলা ছাড়া কি আমাদের চলে?


বিএনপি ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রেস ক্লাবের সামনে মঙ্গলবার বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ ও বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্যে দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৪ মে, ২০২৪ ১৫:১১
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ ও বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এক মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে। নেতানিয়াহুর দোসরে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের এজেন্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণ আছে। এদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।

তিনি বলেন, কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপি ও জামায়াত, যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করে, এই মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিরুদ্ধে একটা শব্দও উচ্চারণ করেনি। কারণ কেউ অসন্তুষ্ট হতে পারে।

আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত নির্বাচনে তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার পর ইসরায়েলি লবিস্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

সামাজিক মাধ্যমে সরকারের সমালোচনাকারীদের নিয়ে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেককেই দেখি সরকারের বিরুদ্ধে বড় বড় ভাষণ দেয়, সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তাদের কথা বলতে তো শুনলাম না। এরা কোথায়? এরা কোথায় লুকিয়ে আছে? এরা আসলে ইসলাম প্রেমী নয়, এরা হলো মুখোশধারী ধর্ম ব্যবসায়ী। এদের মুখোশও উন্মোচন করতে হবে।

ফিলিস্তিনি মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসরায়েলি বর্বরতার কারণে যারা নিহিত হয়েছেন তাদের মাগফেরাত কামনা করি। যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি সহানুভূতি জানাই। বাংলাদেশের মানুষের অবস্থান সবসময় মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে ছিল। আমাদের নীতি ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে।

বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েলের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য বলরাম পোদ্দার প্রমুখ।


সন্ত্রাস করলে ছাড় নয়: ওবায়দুল কাদের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচি আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়েই মোকাবিলা করবে, তবে সন্ত্রাস করলে কোনো ছাড় নয় বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এবং তাদের শরিকরা যদি রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচি নিয়ে মাঠে আসে তাহলে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়েই মোকাবিলা করা হবে। তবে যদি দলটি সন্ত্রাসের পথ বেছে নেয় তাহলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার কাউকে ভয় পায় না। বিশ্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলেছে। বাংলাদেশে এসে যারা দাপট দেখাবে তাদের ক্ষমতা মধ্যপ্রাচ্যেই সংকুচিত হয়ে গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথা ইসরায়েলই শোনে না। বাংলাদেশে এসে কেউ আবার বিএনপিকে মদদ দেবে, সে পরিস্থিতি এখন আর নেই।

তিনি আরও বলেন, মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে আসছেন দুই দেশের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যা বলছেন তার বাস্তবায়নটা আমরা দেখব।

সেতুমন্ত্রী বলেন, এখানে কে আসছে তা নিয়ে ভাবছি না। যাদের প্রেসিডেন্টের কথা ইসরায়েলই শোনে না। আমরা যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার আমরা কাকে ভয় পাব?

বিএনপি ফের নতুন করে তাদের শরিকদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে এ বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা আন্দোলন করবে, শরিকদের সঙ্গে বসবে। সেখানে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। তারা যদি রাজনৈতিকভাবে এগোতে চায় তাহলে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করব। কিন্তু তারা যদি অগ্নি সন্ত্রাসের প্রস্তুতি নিয়ে রাস্তায় নামে তাহলে আমরা মোকাবিলা করব।

আওয়ামী লীগের অপরাধ আকাশচুম্বি, ক্ষমার অযোগ্য- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাসে পালিয়ে যাওয়ার রেকর্ড নেই। ২০০৭ সালে আর রাজনীতি করবো না এই মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাদের মূল নেতাই পালিয়ে আছে। ২৮ শে অক্টোবরের বক্তব্য তারা বলেছিল আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখলাম পল্টনের ময়দানে একে একে অলিগলি কোথা দিয়ে কোথায় পালালো- এটা বিএনপি। আমরা পালাবো কেন? আমাদের শক্তি দেশের জনগণ। আবারও আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস শুরু করলে তাদের পালিয়ে যেতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে আওয়ামী লীগের দরকার নেই। তাদের নেতিবাচক রাজনীতি যথেষ্ট। নির্বাচনে না এসে বিএনপি যে মস্তবড় (গ্রেট মিসটেক) ভুল করেছে তার মাশুল তাদের দিতে হবে।

১৪ দলীয় জোট আছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৪ দলীয় জোট আছে। জোট নেত্রী শেখ হাসিনা নিজেই বলেছেন, জোট আছে এবং যথাসময়ে আলাপ আলোচনার জন্য বসবেন।

উপজেলা নির্বাচনে এমপি মন্ত্রী স্বজনদের প্রার্থিতা নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় নির্দেশ অমান্য করলে তাদের শাস্তি পেতেই হবে। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ৭৩ জন এমপি মনোনয়ন পাননি, ২৫ জন ক্যাবিনেটে বাদ পড়েছেন শাস্তিটা অনেকভাবেই আসতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক দিয়ে মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেনসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।


জি এম কাদেরের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালনে বাধা নেই: আপিল বিভাগ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পদে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ আজ রোববার এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে হাইকোর্টকে আপিল বিভাগ এ মামলার রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।

এর আগে, জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের ওপর দেওয়া অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রশ্নে জি এম কাদেরের করা আবেদন ও বিবিধ আপিল খারিজ করে আদেশ দেন নিম্ন আদালত। এ আদেশের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্ট রিভিশন আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে ২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। দলের চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখে তার আবেদন খারিজ করে ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত এবং বিবিধ আপিল খারিজ করে ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি ঢাকার জেলা জজের দেওয়া আদেশ অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। ফলে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালন ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চালানোর ক্ষেত্রে বাধা কাটে।

এরপর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে জিয়াউল হক মৃধা ২০২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগে আবেদন করেন, যা একই বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। এর মধ্যে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ আদেশ প্রকাশিত হওয়ায় আদালত আবেদনকারীকে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে নির্দেশ দেন। পরে জিয়াউল হক মৃধা লিভ টু আপিল করেন, যা চেম্বার আদালত হয়ে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে।


যে কারণে বাংলাদেশে আসছেন ডোনাল্ড লু, জানালেন ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে রোববার বিফ্রিং করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১২ মে, ২০২৪ ১৮:০৫
নিজস্ব প্রতিবদেক

আমেরিকার দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আসছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ রোববার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক এগিয়ে নিতে তিনি আসবেন। বিএনপি মনে করেছে আবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেবে কি না। এই ধরনের উদ্ভট চিন্তা করছে।

এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাছিম, মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, গত ৭ মে সোমবার ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র-সচিব খুরশেদ আলমের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে লুর ঢাকা সফরের বিষয়টি তিনি জানান। আগামী ১৪ থেকে ১৬ মে লু ঢাকা সফর করবেন।

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটিই তার প্রথম বাংলাদেশ সফর।


দলের শৃঙ্খলা ভাঙলে শাস্তি পেতেই হবে: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

যারা দলের নিয়ম-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে সময় মতো তাদের শাস্তি পেতেই হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাওয়া মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের পরিবারের সদস্যদের নিবৃত্ত করতে দলের সাংগঠনিক বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। তারা সক্রিয় উদ্যোগে রয়েছেন। দলের শৃঙ্খলা নিয়ে তিনি বলেন, যারা শৃঙ্খলা ভাঙবে, সময় মতো তাদের কোনো না কোনো শাস্তি পেতেই হবে। আমাদের অ্যাকশন কোনো না কোনোভাবে থাকেই। ৭০ জনের বেশি সংসদ সদস্যকে মনোনয়ন না দেওয়া, আগের মন্ত্রিপরিষদের ২৫ জনকে নতুন কেবিনেটে না রাখা কি এর উদাহরণ নয়?

বিএনপিকে উদ্দেশে করে কাদের বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ১৯৭৫ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ধ্বংস করেছে তারা। প্রহসনের নির্বাচন, এক কোটি ভুয়া ভোটার, হ্যাঁ-না ভোটতো তাদেরই সৃষ্টি। গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করার কাজ শেখ হাসিনাই করেছেন। বিএনপিরই গণতন্ত্রে কোনোদিন আগ্রহ ছিল না।

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপজেলা পর্যন্ত পালন করা হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘থানা, জেলা, উপজেলা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করা হবে। বিশেষ প্রার্থনা করা হবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মসজিদ, গির্জা ও জাতীয় মন্দিরে। বিকেলে আলোচনা সভা হবে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে। এ ছাড়া ১৬ মে অসচ্ছল ও গরিব মানুষদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করা হবে। কোথায় কোথায় বিতরণ করা হবে সে স্থান পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।’

আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর প্রস্তুতি নিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের সব অনুষ্ঠানে বিএনপিকে দাওয়াত দিয়েছি। এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতেও পাবে।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে তিনি বলেন, আমরা ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দলের প্লাটিনাম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করব আগামী ২৩ জুন। আমরা ব্যাপকভাবে পালন করার চিন্তা ভাবনা করছি। এটা থানা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোচনা সভা করা হবে সেদিন। সেখানে প্রধানমন্ত্রীসহ দলের নেতা, বুদ্ধিজীবীদের আমন্ত্রণ জানাব। আলোচনা সভার আগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হবে।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘সবুজ ধরিত্রী’ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন করা হবে। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় আলোকসজ্জা বাদ দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংকটের কথা চিন্তা করে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আনন্দ র‌্যালি করবে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন।

এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এস এম কামাল হোসেন ও মির্জা আজম, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাশ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মাশরাফি বিন মর্তুজা, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


‘মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা আ. লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আপডেটেড ৫ মে, ২০২৪ ১৫:০৪
বাসস

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা আওয়ামী লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এখানে আইনগত কোনো বিষয় নেই।

আজ রোববার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করলে নির্বাচনটি আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ হবে এ ভাবনা থেকে আওয়ামী লীগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ স্থগিত করেছে। এর মানে এই নয় অন্যান্য দলগুলো নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ করতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই। তবে সত্য বললে তাদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তো কিছু করার নেই। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ দমনে যে আচরণ করা হয়েছিল একই রকম নির্মম আচরণ এখনও করা হচ্ছে। এটা বললে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার কী আছে?’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের মানবাধিকার নিয়ে তারা কথা বলে। আমরা কি এসব নিয়ে কথা বলতে পারব না? আমাদের দেশে তারা যে দৃষ্টিতে মানবাধিকার দেখে সে দৃষ্টিতে নিজের দেশে দেখবে না কেন? তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব নেই এমন কথা তো আমরা বলিনি। আমাদের দেশে যখন বিরোধীরা ধ্বংসযজ্ঞ চালায় যখন সাংবাদিকদের ওপর হামলা হয় পুলিশকে পিটিয়ে মারে তখন যুক্তরাষ্ট্র চুপ থাকে।’

কাদের বলেন, যুদ্ধের কারণে বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে তা বাংলাদেশেও আছে। বাংলাদেশ এ প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। আমদানি-রপ্তানি, জ্বালানি, ডলার সংকট এগুলো অর্থনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তাই সে ক্ষেত্রে আমরা চাপে আছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম ও এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা আগামীকাল

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা আগামীকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে। দলের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে সভায় উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।


মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নই আ.লীগের মূল লক্ষ্য: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আপডেটেড ২ মে, ২০২৪ ১৭:২৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য।

আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিভ্রান্তিকর ও উস্কানিমূলক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে এমন বিবৃতি দেওয়া হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তাদের অপশাসন-দুঃশাসনের ফলে দেশের জনগণকে দুঃসহ জীবনযাপন করতে হতো। আজ তারা শ্রমজীবী মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলেছে! অথচ তারা ক্ষমতায় থাকতে কোনোদিন শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেনি। তারা বেতন-বোনাসের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকের বুকে গুলি চালিয়ে হত্যা, সারের দাবিতে আন্দোলন করায় কৃষক হত্যা ও বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করায় সাধারণ মানুষকে হত্যার মাধ্যমে বন্দুকের জোরে মানুষকে জিম্মি করে বাংলাদেশকে দুঃশাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট করেছিল।’

তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি-জামায়াত) আদমজী জুট মিলসহ বিভিন্ন কল-কারখানা বন্ধ করে শ্রমজীবী মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে কয়েক ধাপে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে, চা-শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে। এ সরকারের আমলে শ্রমজীবী মানুষসহ সকল মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে।’

আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগ কোনো মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল না বা ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলও না। আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিকভাবে এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারসহ সকল অধিকার প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছে এবং জনগণের মধ্য থেকে উত্থিত রাজনৈতিক শক্তি। তারই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের ভোটাধিকারসহ অন্যান্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৭৫ সালের পর দেশে অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচনের তুলনায় সুষ্ঠু হয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে এবং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনা করছে।

সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি সর্বদা ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। যে কারণে তাদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ভীতি রয়েছে এবং তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় না। একবার তারা তাদের ক্ষমতায় আসার পথ নির্বিঘ্ন করতে অর্ধকোটি ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল। আবার ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করেছিল।

তিনি বলেন, যারা জনগণের ভোটাধিকার হরণের জন্য বিভিন্ন অপকৌশল গ্রহণ করেছিল তাদের মুখে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের কথা মানায় না। বিএনপির রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য হলো- যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল করা। তারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল এবং তা অবৈধভাবে ব্যবহার করে দুর্নীতি ও লুটপাট-তন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। তারা বাংলাদেশের ললাটে পাঁচ পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কলঙ্ক লেপন করেছিল।


ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবলীগের ৪টি উপজেলা কমিটি গঠন

আপডেটেড ২ মে, ২০২৪ ১৭:০২
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলা, বিজয়নগর উপজেলা, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ও সদর পৌরসভা শাখার কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আজ জেলা যুবলীগের সভাপতি এড. মোঃ শাহানুর ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক এড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস নতুন গঠিত এই কমিটিগুলোর ঘোষণা দিয়েছেন।

সদর উপজেলা যুবলীগের আংশিক কমিটির সভাপতি মোঃ আলী আজম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন রানা ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ বিল্লাল আহমেদ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা শাখা যুবলীগের আংশিক কমিটির সভাপতি আল-আমিন সওদাগর, সহ-সভাপতি আমজাদ হোসেন রনি, সহ-সভাপতি মোঃ এমরান হোসেন মাসুদ এবং সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন লিটন।

বিজয়নগর উপজেলা যুবলীগের আংশিক কমিটির সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মুখলেসুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাসেল খান।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা যুবলীগের আংশিক কমিটির সভাপতি সমাপ্ত রঞ্জন সাহা, সহ-সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন, সহ-সভাপতি মোঃ ইমতিয়াজ উদ্দিন বেলাল, সাধারণ সম্পাদক আবু নাছির উদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন টিপু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মাইন উদ্দিন।

কমিটিগুলোকে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে জেলা যুবলীগের অনুমোদনের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।


banner close