বুধবার, ২৯ মে ২০২৪

বিশ্বকাপ নিশ্চিত, চোখ শিরোপায়

ছবি: সংগৃহীত
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১১:১৭

বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব নিয়মিতই খেলে বাংলাদেশের মেয়েরা। ২০১৪ সালে আয়োজক হিসেবে সরাসরি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেলেও ২০১৬, ২০১৮, ২০২০ বিশ্বকাপে বাছাইপর্বের বাধা ডিঙাতে হয়েছে।

২০২২ সালে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতেও বাছাইপর্ব পার হতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। ২০২৩ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও যোগ্যতা অর্জনের পরীক্ষা দিয়েই যাচ্ছে বাংলাদেশ।

আগামী জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাছাইপর্বে পরশু সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের মেয়েদের বিরুদ্ধে ১১ রানে জিতে বাছাইপর্বের ফাইনালে উঠেছেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ, ফাইনালে উঠে বিশ্বকাপও নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।

বাছাইপর্ব খেলতে গত ৮ সেপ্টেম্বর দেশ ছাড়ার আগে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক দুটি চ্যালেঞ্জের কথা শুনিয়ে যান। প্রথমটি প্রসঙ্গে জ্যোতি বলেছিলেন, ‘আমরা অবশ্যই বাছাইপর্ব উতরাতে চাই।’ দ্বিতীয়টি ছিল, ‘আমরা আসলে আর বাছাইপর্ব খেলতে চাচ্ছি না। কারণ, এটা বাড়তি একটা সূচি- বাঁচা-মরার অবস্থা হয়ে দাঁড়ায়, বিশ্বকাপ খেলতে পারব কি না, সে চাপও থাকে।’

এবার প্রথম চ্যালেঞ্জটি জয় করেছেন জ্যোতিরা। দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ জয়ের জন্য অবশ্য অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আয়োজক হিসেবে সরাসরি খেলবে বাংলাদেশ। আর ২০২৬ বিশ্বকাপে সরাসরি যেতে হলে কী করতে হবে, সেটা এখনো ঠিক হয়নি।

বর্তমানেই চোখ রাখছেন জ্যোতি। আজ ফাইনালে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি দল। অধিনায়ক অবশ্য বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়া নিয়েই আপাতত রোমাঞ্চিত, ‘আমরা এসেছিলাম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করতে এবং আমরা তা পেরেছি। এত বছর ধরে আমরা একসঙ্গে খেলছি, এখন সময় হয়েছে গোটা বিশ্বকে দেখিয়ে দেয়ার যে আমরা কতটা ভালো, দল হিসেবে কতটা উন্নতি করেছি।’

বাছাইপর্বে ‘এ’ গ্রুপে থাকা বাংলাদেশ ফাইনালের প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ডকে ১৪ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে। সেমিফাইনালে ওঠার পথে স্কটল্যান্ডকে ৬ উইকেটে ও যুক্তরাষ্ট্রকে ৫৫ রানে হারিয়েছে দল।

পরশু ‘বি’ গ্রুপ রানার্সআপ থাইল্যান্ডের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটাররা গ্রুপ পর্বের মতো পারফরম্যান্স করতে পারেননি। ইনিংস সর্বোচ্চ রুমানা আহমেদের ২৪ বলে অপরাজিত ২৮ রানের সুবাদে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।

এর আগে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ৪ ম্যাচ খেলে শতভাগ জয় থাকলেও ২০২১ সালে জিম্বাবুয়েতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের হারের ক্ষত টাটকা। এবারও তেমন শঙ্কা মাথাচাড়া দিয়েছিল। নাত্তাকান চানতামের ৫১ বলে ৬৪ রান ভয় দেখাচ্ছিল, কিন্তু সালমা (৩/১৮) ও সানজিদাদের (২/৭) কিপটে বোলিং থাইল্যান্ডকে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১০২ রানের বেশি করতে দেয়নি।

ফাইনাল নিশ্চিতের পাশাপাশি বিশ্বকাপের মূল পর্বের টিকিট পেয়ে স্বস্তির ঢেঁকুর জ্যোতির, ‘পুরো টুর্নামেন্টে সতীর্থরা যেভাবে খেলেছে, অধিনায়ক হিসেবে আমি গর্ব অনুভব করি। আজকে যদিও একটু ক্লোজ ম্যাচ ছিল। তারপরও আমার বিশ্বাস ছিল সবার ওপর। দলের সবারও বিশ্বাস ছিল, আমরা ম্যাচটা বের করে আনতে পারব। মেয়েরা দারুণ বোলিং ও ফিল্ডিং করেছে।’

এবার শিরোপায় চোখ বাংলাদেশের। সর্বশেষ তিনবার বাছাইপর্ব খেলে প্রথমবার রানার্সআপ ও পরের দুবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশের চোখ এবার হ্যাটট্রিক শিরোপায়। প্রতিপক্ষ ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন জিম্বাবুয়েকে সেমিফাইনালে ৪ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা আয়ারল্যান্ড।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১০ ম্যাচে ৭ জয় বাংলাদেশের। স্বাভাবিকভাবে ফেভারিটের তকমাটা জ্যোতিদের গায়েই। আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হবে বাছাইপর্বের শিরোপার লড়াই।


দুই বছর সময় চাইলেন নাজমুল শান্ত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

বাংলাদেশ প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলে ২০০৬ সালে। সময়ের হিসাব বলছে, বাংলাদেশ এখন টি-টেয়েন্টি ক্রিকেটের ১৮ বছরের যুবক। কিন্তু ক্রিকেটের ছোট সংস্করণের এ খেলায় বাংলাদেশের উন্নতি খুঁজতে আতশকাচ লাগবে; তবুও পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।

সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বিশ্বকাপের সবগুলো আসর খেললেও এখনো নকআউট পর্বে খেলার স্বাদ পায়নি লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। ২০০৭ সালে শুরু হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর মাঠে গড়ানোর দোড়গোড়ায়। সে হিসাবে ৮টি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে টিম বাংলাদেশের। এতগুলো বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা থাকা বাংলাদেশের সামনে আরও একটি বিশ্বকাপ। কিন্তু এ বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের প্রত্যাশা বলতে কিছু নেই। বিশ্বকাপে উড়াল দেওয়ার আগে, দর্শকদের প্রত্যাশা কম রাখার অনুরোধ করেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত।

আত্মবিশ্বাস না থাকার কারণ, টি-টোয়েন্টিতে এতদিনেও টিম পারফরম্যান্সে কোনো উন্নতি করতে না পারা। তবে কেন উন্নতি হচ্ছে না? যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচের আগে তার একটি উত্তর দিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ থেকেই দেশের উইকেটকে দায়ী করছেন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। টি-টোয়েন্টিতে ভালো করতে না পারার জন্য আরেকবার একই কথার পুনরাবৃত্তি করলেন তিনি। অর্থাৎ ভালো উইকেটে বেশি ক্রিকেট খেলে না বাংলাদেশ। যার ফলে উন্নতিও আসে না। যার পেছনে দায়ী বাংলাদেশের লো-স্কোরিং উইকেট।

এক সাক্ষাৎকারে শান্ত বলেছেন, ‘প্রথমত আমাদের ভালো উইকেটে খেলতে হবে। অনেকেই এটাকে অজুহাত হিসেবে দেখতে পারেন। তবে এটাই বাস্তবতা। আমরা খুব কম ম্যাচই ভালো উইকেটে খেলি।’

আধুনিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটারদের স্ট্রাইকরেট অনেকটাই দৃষ্টিকটু। অধিনায়ক শান্তর স্ট্রাইকরেট নিয়েই বড় প্রশ্ন। মাত্র ১০৯.৬৪ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করেন তিনি। বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ২০ দলের অধিনায়কদের মধ্যে স্ট্রাইকরেটে শান্তর অবস্থান ১৯তম।

টি-টোয়েন্টিতে ভালো করতে হলে এবং স্ট্রাইকরেট বাড়াতে হলে ক্রিকেটারদের সময় দিতে হবে। অল্প কয়েক দিন ভালো পিচে খেললেও সংকট কাটবে না। এর জন্য দীর্ঘমেয়াদে ভালো পিচে খেলার কথা বলেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। অনেকটা সময়ই চেয়েছেন তিনি।

শান্ত বলেন, ‘ছয় মাসের মধ্যে সবকিছু বদলে ফেলা কঠিন। আমরা যদি ভালো উইকেটে এক-দুই বছর খেলতে থাকি, তাহলে স্ট্রাইকরেটের উন্নতি হবে।’

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ খেলবে ডি-গ্রুপে। অন্যান্য গ্রুপের তুলনায় বাংলাদেশ অনেকটা কঠিন গ্রুপেই পড়েছে। এই গ্রুপে তাদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ লঙ্কানদের বিপক্ষে ৮ জুন ডালাসে।


বিশ্বকাপে নতুন স্বপ্ন জাকের আলীর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাংলাদেশ দলের ফিনিশিংয়ে সমস্যা বেশ পুরোনো। তবে আপাতত সেই সমস্যার সমাধান জাকের আলী অনিক। ইতোমধ্যেই দেখিয়েছেন প্রতিভার ঝলক। বিপিএল দিয়ে নজর কেড়েছিলেন। ভাগ্যও ‍খুলে যায় আলিস ইসলামের ইনজুরিতে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুযোগ পেয়েই ঝকঝকে ইনিংসে দাবি জানিয়ে রাখে জাতীয় দলে স্থায়ী হওয়ার। নির্বাচকরাও আস্থা রেখেছেন জাকেরের ওপর। জায়গা করে দিয়েছেন বিশ্বকাপ দলে। এখন নিজের প্রথম বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন পূরণের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে জাকের।

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে যে কয়জন ইনফর্ম ক্রিকেটার আছেন, জাকের আলী তাদেরই একজন। নিয়মিতই হাসছে তার ব্যাট। সেই আত্মবিশ্বাস থেকেই হয়তো বিসিবির ‘রেড-গ্রিন স্টোরি’তে দেখালেন বড় স্বপ্ন। বিশ্বকাপের বড় মঞ্চে বাংলাদেশের অর্জনে রাখতে চান বড় ভূমিকা। এমন কিছু অর্জন করে দেশে ফিরতে চান, যা বাংলাদেশ আগে করতে পারেনি।

নিজের প্রথম বিশ্বকাপ হলেও বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটারদের স্বপ্নটা বেশ বড়। জাকেরও তার ব্যতিক্রম নয়। বিশ্বকাপে নিজের স্বপ্ন ও লক্ষ্য নিয়ে বললেন, ‘দল হিসেবে আমি চাইব, আমরা প্রতিটা ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স করে দেখাতে এবং জিততে। নিজের দেশের জন্য বড় কিছু করার ইচ্ছা আছে। এ বিষয়টা সব সময় ভাবনায় কাজ করে। ইচ্ছা থাকবে, আগে যেসব জিনিস অর্জন করতে পারিনি, সেসব যেন এবার অর্জন করতে পারি।’

নিজের ব্যক্তিগত পরিকল্পনা নিয়েও কথা বলেছেন জাকের, ‘যখন থেকে শুনলাম যে আমি দলে আছি, তখন থেকেই ম্যাচ বাই ম্যাচ দেখা শুরু করে দিয়েছি। কার সঙ্গে কীভাবে খেলতে হবে, কোন প্রতিপক্ষের সঙ্গে কী রকম কৌশল নিতে হবে, সেগুলো নিয়ে ভাবছি। সেভাবেই আগাচ্ছি।’

ইতোমধ্যেই দেশের ক্রিকেটে সাড়া ফেলে দিয়েছেন জাকের। ২৬ বছর বয়সি এ ক্রিকেটার জানিয়েছেন নিজের ক্রিকেটে আসার গল্পও। জাকের বলেন, ‘ক্রিকেট দেখেই ক্রিকেটে আসা। ২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেট খুব ভালোভাবে অনুসরণ করি। তখন থেকেই ইচ্ছা ছিল বাংলাদেশের হয়ে ক্রিকেট খেলব। দেশের হয়ে খেলাটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার। সেটা যদি বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে হয়, তবে তো আরও ভালো।’

জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে পূরণ করেছেন মায়ের স্বপ্নও, “আম্মার স্বপ্ন ছিল, ‘আমি দেশের হয়ে খেলব। উনি সব সময় বলতেন, তোর তামিম ভাই, সাকিব ভাই, মাশরাফি ভাইদের দলে তুই কবে খেলবি।’ এটাই আমার আম্মার স্বপ্ন ছিল। আর এখন উনি খুব গর্ববোধ করেন। আব্বা যত দিন ছিলেন, তিনি মাঠে বসে থাকতেন। আব্বা যখন থাকতেন না, আমার বোন নিয়ে যেত।”


চার্লসের তাণ্ডবে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি সম্পন্ন ক্যারিবীয়দের  

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

বিশ্বকাপের আগে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের এটাই ছিল শেষ সিরিজ। প্রেটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছিল ক্যারিবীয়রা। শেষ ম্যাচে রেকর্ড গড়া জয়ে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকাকে ধবল ধোলাই করেই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারল স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এদিনও ক্যারিবীয় ব্যাটারদের কাছে নাস্তানাবুদ হয়েছে প্রোটিয়া বোলাররা। রেকর্ড গড়েছেন ওপেনার জনসন চার্লস।

সাবিনা পার্কে টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার টপ অর্ডার সুবিধা করতে পারেনি মোটেও। নবম ওভারে ৫০ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। মিডল অর্ডারে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক রেসি ফন ডার ডুসেনের ৫১ আর উইয়ান মাল্ডারের ৩৬ রানের ইনিংসে মোটামুটি একটা সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

আগের দুই ম্যাচেই দেখেই বোঝার বাকি ছিল না প্রোটিয়াদের জয়ের জন্য এ রান যথেষ্ট নয়। হলোও সেটাই; পাওয়ার-প্লেতেই জয়ের আশা নিঃশেষ হয়ে গেলো। প্রথম ৬ ওভারে ৮৩ রান তোলে ব্র্যান্ডন কিং ও চার্লসের ওপেনিং জুটি। চার্লস আউট হলে ভাঙে তাদের ৯২ রানের জুটি। ২৬ বলে ৯ চার ও ৫ ছক্কায় খেলা ৬৯ রানের ইনিংসে চার্লসের স্ট্রাইক রেট ২৬৫.৩৮। কমপক্ষে ৫০ রানের ইনিংসে আর কোনো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যানের এর চেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেট নেই এখন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে।

কাইল মায়ার্স ও অ্যালিক অ্যাথানাজের অবিচ্ছিন্ন ১৮ বলে ৩৫ রানের তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬ ওভার ১ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ক্যারিবীয়রা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এর আগে কখনোই এত বল বাকি রেখে জেতেনি ক্যারিবীয়রা। এ সিরিজে দুই দলেরই অধিনায়কসহ শীর্ষ সারির বেশ কয়েকজন ছিলেন না আইপিএলে ব্যস্ত থাকায়। এরপরও এমন জয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি রোভম্যান পাওয়েলের জায়গায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কত্ব করা কিং, ‘গুরুত্বপূর্ণ জয়। বিশ্বকাপের আগে শেষ সিরিজ। ফলে প্রস্তুতি ও ভালো একটা মোমেন্টাম নিয়ে যেতে পারছি বিশ্বকাপে। আমাদের বোলিং পারফরম্যান্স বেশ ভালো ছিল, ধারাবাহিক ছিলাম।’

মার্করামের জায়গায় প্রোটিয়াদের দায়িত্ব সামলানো ফন ডার ডুসেন বলেছেন, ‘কথা বলার পালা শেষ, আমাদের আরও অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের এসে দায়িত্ব নিতে হবে। অজুহাত দেওয়ার কিছু নেই। তারা ব্যাটিংয়ে যেভাবে খেলেছে আর বোলিংয়েও যেমন ভালো ছিল, তাতে আসলে আমরা ভড়কে গেছি।’


‘পারফেক্ট টিমম্যান’ আর্জেন্টাইন গঞ্জালো হিগুয়েন  

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

আর্জেন্টিনার হয়ে তিনটি ফাইনালের হতশ্রীকর পারফরম্যান্স বাদ দিলে গঞ্জালো হিগুয়েন নিঃসন্দেহে ছিলেন তার সময়ের সেরা নাম্বার নাইন। ফিনিশিং আর গোলক্ষুধা তাকে করে তুলেছিল অনন্য; পাশাপাশি ছিল ড্রিবলিং করার সামর্থ্য আর দুর্দান্ত গতি। অন্য স্ট্রাইকারদের মতো স্বার্থপর নন, এই আর্জেন্টাইন ছিলেন ‘পারফেক্ট টিমম্যান’।

দীর্ঘ এক ক্যারিয়ারে রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাস, এসি মিলান, চেলসি, নাপোলির মতো পরাশক্তিদের স্ট্রাইকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন গঞ্জালো হিগুয়েন। তুরিনের বুড়িদের হয়েই খেলেছেন তিন বছর। ইউরোপের পাঠ চুকানোর পর ক্যারিয়ারের শেষ দিকে ইন্টার মিয়ামির জার্সি গায়ে উঠেছিল তার। সব মিলিয়ে নিজের ক্লাব ক্যারিয়ারে ৭১০ ম্যাচ খেলে ৩৩৫ গোল করেছেন তিনি। সেই থেকে সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আর ১১৩টি গোল।

জাতীয় দল হিসেবে আর্জেন্টিনাকে বেছে নিলেও গঞ্জালো হিগুয়েনের জন্ম ফ্রান্সের ব্রেস্ত শহরে। কিন্তু মাত্র ১০ মাস বয়সেই দেশ ছাড়তে হয় তাকে। পাড়ি জমান আর্জেন্টিনায়। তার শৈশব কেটেছে সেখানেই। তাইতো আর্জেন্টিনার অন্য সব শিশুর মতই ফুটবলের বিদ্যাটা আগে শিখেছিলেন। এরপর ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন ডানা মেলেছিল রিভার প্লেটো ক্লাবের সঙ্গে পেশাদার চুক্তি করার পর থেকে। ১৯ বছর বয়সে রিভার প্লেটোতে যোগ দেয়ার পর দ্যুতি ছড়াতে থাকেন হিগুয়েন। ড্রিবলিং, গতির সঙ্গে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই নজর কাড়েন ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোর। সবাইকে টেক্কা দিয়ে হিগুয়েনকে ঘরে নিয়ে আসে স্পেন জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ। সেখানে ছয় মৌসুম পরে ম্যারাডোনার পরামর্শে লস ব্লাঙ্কোসদের বিদায় জানিয়ে পাড়ি জমান ইতালির ক্লাব নাপোলিতে। সেখানে গিয়ে তকমা পান নতুন ম্যারাডোনার।

২০০৯ সালে যখন আর্জেন্টিনার জার্সিতে অভিষেক হয় হিগুয়েনের তখন আকাশী-নীলদের শোচনীয় অবস্থা। বলিভিয়ার কাছে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর হেরেছে টানা তিন ম্যাচ; ফলে বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা পাওয়াই ছিল শঙ্কার মুখে। পেরুর বিপক্ষে মান বাঁচানোর সেই ম্যাচেই জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম গোল দিয়ে দলকে লিড এনে দিয়েছিলেন তিনি। তবে ক্লাব ক্যারিয়ারের দারুণ মুহুর্ত কিংবা ২০১০ বিশ্বকাপের আগে মান বাঁচানো সেই পারফরম্যান্সের জন্য নয় আর্জেন্টিনার গঞ্জালো হিগুয়েনকে ফুটবল বিশ্ব মনে রাখবে টানা তিনটি ফাইনালে ম্যাচে গোল মিস করার জন্য।

পুরো নাম: গঞ্জালো জেরার্ড হিগুয়েন

জন্ম: ১০ ডিসেম্বর, ১৯৮৭ সাল।

জন্মস্থান: ব্রেস্ত ফ্রান্স।

রাশি: ধনু রাশি।

প্রিয় খেলা: ফুটবল।

প্রিয় খাবার: পিৎজা।

প্রিয় পানীয়: ওয়াইন।

প্রিয় রং: সাদা, নীল।

প্রিয় ফুটবলার: দিয়েগো ম্যারাডোনা।

প্রিয় সতীর্থ: লিওনেল মেসি, ডি মারিয়া।

প্রিয় স্টেডিয়াম: সান্তিয়াগো বার্নাব্যু, স্পেন।

প্রিয় ফুটবল দল: নাপোলি এসএসসি, আর্জেন্টিনা ফুটবল দল।

প্রিয় গাড়ি: অডি এ৮।

প্রিয় শখ: ভ্রমণ, গান শোনা।

প্রিয় স্থান: মাদ্রিদ।

প্রিয় জুতার ব্র্যান্ড: পিউমা।


রিশাদের লক্ষ্য বিশ্বকাপে পারফর্ম করা

আপডেটেড ২৮ মে, ২০২৪ ১৬:২৪
ক্রীড়া ডেস্ক

বিশ্ব ক্রিকেটে প্রায় সব দলই যখন লেগস্পিন দিয়ে রাজত্ব করছে, তখন একজন লেগস্পিনারের হাহাকারে পুড়ছিল বাংলাদেশ। আমিনুল বিপ্লব কিংবা জুবায়ের লিখনদের দিয়ে চেষ্টা করা হলেও, লম্বা সময়ের জন্য কাউকেই সেভাবে পাওয়া যায়নি। তবে সেই আক্ষেপ পূরণের আশা দেখাচ্ছেন তরুণ লেগস্পিনার রিশাদ হোসাইন। বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও বেশ দক্ষ রিশাদ। নিজের প্রতিভা দিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন বিশ্বকাপের দলেও।

জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ার পর থেকেই নিয়মিত পারফর্ম করে যাচ্ছেন রিশাদ। যেমন বল হাতে অবদান রাখছে, তেমনি ব্যাট হাতে পালন করছেন ফিনিশিংয়ের রোল। লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচজয়ী পারফরম্যান্স কিংবা গালিতে ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত সব ক্যাচ নিয়ে ইতোমধ্যেই নজর কেড়েছেন তিনি। ক্যারিবীয় অঞ্চলের স্পিন সহায়তার কথা চিন্তা করে নিয়মতিই বিশ্বকাপ দলে দেখা যেতে পারে তাকে।

বিসিবির ‘রেড-গ্রিন স্টোরি’তে রিশাদ জানালেন বিশ্বকাপে নিজের লক্ষ্যের কথা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ক্রিকেট খেলা যখন শুরু করি, তখন লেগস্পিনার ছিলাম। কিন্তু আমার চিন্তা ভাবনা ছিল আরো বড় কিছু করার। দেশের জন্য কিছু করতে হলে আমাকে তিন মাধ্যম থেকেই অবদান রাখতে হবে। আর আপনি যখন ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সব ক্ষেত্রে ভালো করতে চাইবেন তখন আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’

লেগস্পিানার হলেও রিশাদ নজর কেড়েছিলেন তার পাওয়ার হিটিং সামর্থ্যের জন্য। শেষ দিকে বোলারদের উপর চড়াও হতে পারেন তিনি। নিজের এমন বড় শট খেলার প্রবণতা নিয়ে রিশাদ বলেন, ‘আমি চেষ্টা করেছি ব্যাটিংয়ে আরও উন্নতি করার জন্য। সব ব্যাটারই চায় বড় বড় শট খেলতে। আমিও সবসময় চাই যে বাউন্ডারির দিকে বেশি শট খেলতে। ছক্কা মারার জন্য নিজের ওপর বিশ্বাস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কে বল করছে সেদিকে আমি খুব একটা ভ্রূক্ষেপ করি না। আমি শুধু বল বিবেচনা করি এবং সে অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করি।’

বাংলাদেশ দলের স্পিন কোচ হিসেবে যোগ দেওয়া পাকিস্তানের কিংবদন্তি স্পিনার মুশতাক আহমেদ সম্পর্কে রিশাদ বলেন, ‘উনি ওনার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। কীভাবে বড় মঞ্চে পারফর্ম করা যায়। কীভাবে কাম অ্যান্ড কুল থেকে পারফর্ম করা যায়। আমি এগুলো ডেলিভার করার চেষ্টা করব।’

বোলার হিসেবে নিজের লক্ষ্যও জানিয়েছেন রিশাদ, ‘আমি যেহেতু বোলার সে হিসেবে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হতে চাই। আর অলরাউন্ডার হিসেবে নিজেকে আরেকটু উপরে নিয়ে যেতে চাই।’


যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে আবারও মাঠে নামছে বাংলাদেশ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

যুক্তরাষ্ট্রের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায় শুরু হবে খেলাটি।

যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের যৌথ আয়োজনে আগামী ২ জুন পর্দা উঠবে নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ। মূল পর্বের খেলার আগে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের প্রস্তুতিমূলক সিরিজেই হতাশ করেছে শান্তর দল। র‌্যাঙ্কিংয়ে দশ ধাপ পিছিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে বাজে হার। যদিও শেষটা দাপুটের সঙ্গে জিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল দল। নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে বাংলাদেশকে আরও একবার মুখোমুখি হতে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের।

এই ম্যাচ অবশ্য কোনো সিরিজের অংশ নয়, কেবল একটা প্রস্তুতি ম্যাচ। তবে শান্তরা বিশ্বকাপের জন্য কতটা প্রস্তুত তার প্রমাণ মিলবে এ ম্যাচে। এর তিন দিন পর ১ জুন ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচটি খেলবে বাংলাদেশ।


নেইমারের ফেরার বার্তা দিল কোচ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

নেইমার জুনিয়রের আবির্ভাবটা ছিল রূপকথার গল্প বাস্তবতায় রূপ নেওয়ার মতোই। কি দারুণ স্কিল নিয়ে ফুটবলের ১২০ গজের মাঠে নামলেন। তাকে আটকাতে প্রতিপক্ষের অন্তত তিনজন খেলোয়াড়কে ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। ব্রাজিল সমর্থকদের আশার পালে হাওয়া লাগালেন; মিশন হেক্সা বোধ হয় এবার পূরণ হবেই হবে। কিন্তু এরপর নেইমারের ক্যারিয়ারকে ভাগ করলে, অর্ধেকেরও বেশি সময় তিনি ছিলেন মাঠের বাইরে। ইনজুরি তাকে আষ্টেপৃষ্ঠে ধরেছে। ব্রাজিলের এ পোস্টারবয় যেন অভাগা এক রাজকুমার। যিনি সবকিছু থাকা সত্ত্বেও রাজত্ব নিতে পারেননি।

বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে চোট পেয়ে গত বছরের অক্টোবর থেকে মাঠের বাইরে নেইমার। একই কারণে মৌসুমের বেশির ভাগ ম্যাচে দর্শক হয়ে থাকতে হয়েছে তাকে। পুরো মৌসুমে আল হিলালের হয়ে নেইমার খেলেছেন মাত্র ৫ ম্যাচ, যেখানে সৌদি প্রো লিগের ম্যাচ ছিল ৩টি। এটুকুতেই অবশ্য লিগ শিরোপাজয়ীদের তালিকায় উঠেছে তার নাম। তবে শিরোপা জয়ের চেয়ে নেইমার কবে মাঠে ফিরবেন, তা নিয়েই তার ভক্ত-সমর্থকদের যত কৌতূহল।

ইতোমধ্যেই দক্ষিণ আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চ কোপা আমেরিকা থেকে ছিটকে গেছেন নেইমার। দলের সেরা তারকার জন্য শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও তাকে আর স্কোয়াডে রাখা যায়নি। ফলে নেইমারকে ছাড়াই কোপার স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন ব্রাজিলিয়ান কোচ দরিভাল জুনিয়র। এখন আগস্ট থেকে মাঠে গড়াতে যাওয়া সৌদি প্রো লিগের নতুন মৌসুমের শুরুতেও নেইমারকে পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। সম্প্রতি নেইমারের মাঠে ফেরা নিয়ে কথা বলেছেন আল হিলাল কোচ হোর্হে জেসুস।

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জেসুস বলেছেন, ‘আমি যত দূর জানি, নেইমারকে সেরে ওঠার জন্য যে সময় দেওয়া হয়েছে এবং এ ধরনের চোট থেকে পুরোপুরি সেরে উঠতে যে সময় লাগে, তা হচ্ছে ১০ থেকে ১১ মাস। আমরা যদি গাণিতিকভাবে হিসাব করি, তাহলে প্রাক্-মৌসুমের প্রস্তুতি থেকে পাওয়া যাবে না তাকে।’

হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ার পর নেইমার চিকিৎসকের ছুরি-কাঁচির নিচে যান নভেম্বরে। এরপর ডিসেম্বরে ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার কোপা আমেরিকায় নেইমারের খেলার সম্ভাবনা নাকচ করে দেন। পরে এর সত্যতা পাওয়া যায় দরিভালের ঘোষিত স্কোয়াডেও। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে আল হিলালে যোগ দিয়ে ফিটনেস ফিরে পেতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন নেইমার। শেষ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে নেইমার কবে মাঠে ফিরতে পারেন, সেটিই দেখার অপেক্ষা। হিসাব বলছে, আগামী সেপ্টেম্বরে মাঠে দেখা যেতে পারে নেইমারকে।

বিষয়:

টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালা কাইরেন পোলার্ড  

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি ভিনদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে অংশ নিয়ে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ফেরি করে ক্রিকেটের বিনোদন বিক্রি করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা। ক্রিকেট বিনোদন বেচাকেনা করা এই দলের একজন উইন্ডিজ তারকা কাইরেন পোলার্ড। রঙিন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের দুনিয়াতে তার মতো কার্যকর আর গ্রেট ক্রিকেটার আর এসেছেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ চোখ বুজেই করা যায়।

ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই মারকুটে ব্যাটসম্যান হিসেবে স্বীকৃতি ছিল পোলার্ডের। মুহূর্তের মাঝেই ম্যাচের রঙ পাল্টে দিতে পারতেন তিনি। ফলশ্রুতিতে বিশ্বজুড়ে ফ্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলোতে তার চাহিদা সবার ওপরে। বিশ্বের সব ফ্যাঞ্চাইজি লীগের নিয়মিত মুখ কাইরেন পোলার্ড।

কিন্তু শৈশবে চরম বাস্তবতার মধ্য দিয়ে পাড়ি দিতে হয়েছে বিনোদন বিকিয়ে বেড়ানো এ তারকা। বিনোদন তো দুরে থাক দু’মুঠো খাবারও জোটেনি ঠিকমত। ১৯৮৭ সালে ত্রিনিদাদের ছোট্ট দ্বীপ তাকারিগুয়াতে জন্ম কাইরেন পোলার্ডের। ছোটবেলা কেটেছে নিদারুণ কষ্টে, দারিদ্র্যের মাঝে। তার বাবা ছোটবেলাতেই তাদের ছেড়ে আলাদা হয়ে যান। পোলার্ড তার মা এবং ছোট দুই বোনের সাথে থাকতেন। বেশিরভাগ দিনই তাদের কাছে খাবার কেনার মতো টাকাও থাকত না। কিন্তু দুঃখ কষ্ট ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা কমাতে পারেনি পোলার্ডের। খাবার কেনার টাকা না থাকলেও চালিয়ে গেছেন ক্রিকেটটা। ভাগ্য চাকায় পরিবর্তনও আসে, এ ক্রিকেট দিয়েই। ২০০৫ সালে টিসিএল গ্রুপ ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টে ভালো খেলার পর পাকিস্তানগামী ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ দলে ডাক পান তিনি। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত ২০০৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নেন পোলার্ড।

২০০৬ মৌসুমে হ্যাক্সি ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলতে লিংকনশায়ারে আসেন পোলার্ড। সেখানে পাঁচ ম্যাচ খেলার পর ডাক পান ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগোর হয়ে স্টানফোর্ড টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে। টুর্নামেন্টে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতেও নেন ছয় উইকেট। এর মাসছয়েক পরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও অভিষেক হয়ে যায় পোলার্ডের।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ভালো খেলার পুরস্কারও পান দ্রুতই। ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গায়ে জড়ান ওয়ানডের জার্সি। আর পরের বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির জার্সি।

পুরো নাম- কাইরন আদ্রিয়ান পোলার্ড

জন্ম- ১২ মে, ১৯৮৭ সাল।

জন্মস্থান- তাকারিগুয়া, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো।

রাশি: বৃষ রাশি।

প্রিয় খেলা: ক্রিকেট, ফুটবল।

প্রিয় খাবার: ওয়েষ্ট ইন্ডিজের খাবার।

প্রিয় পানীয়: ওয়াইন।

প্রিয় রং: সাদা।

প্রিয় ক্রিকেটার: ব্রায়ান লারা, কার্টলি অ্যামব্রোস, কোর্টনি ওয়ালশ।

প্রিয় ক্রিকেট দল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল।

প্রিয় সতীর্থ: ডোয়েন ব্রাভো, সুনীল নারিন, ক্রিস গেইল।

প্রিয় ফুটবলার: কিলিয়ান এমবাপ্পে।

প্রিয় ফুটবল দল: ফ্রান্স ফুটবল দল।

প্রিয় গাড়ি: জাগুয়ার এক্সজে ৫০।

প্রিয় স্টেডিয়াম: কুইন’স পার্ক ওভাল, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো।

প্রিয় স্থান: দুবাই।

প্রিয় শখ: ভ্রমণ।

প্রিয় জুতার ব্র‌্যান্ড: এমই৩ প্লাস।

বিষয়:

সাকিবকে অধিনায়ক করার পরামর্শ আশরাফুলের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

দীর্ঘ মেয়াদে চিন্তা করেই তরুণ কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি। সে জন্য খুঁজে পায় নাজমুল হোসেন শান্তকে। দায়িত্ব পাওয়ার পর শুরুটাও মন্দ হয়নি নাজমুল শান্তর; কিন্তু সময় যত গড়াচ্ছে, ততই প্রশ্ন উঠছে তাকে নিয়ে। সমালোচনার শিকারও হচ্ছেন শান্ত। বিশেষ করে ক্রিকেটের ব্যাটিং ছোট ফরম্যাটের ব্যাটিং ব্যর্থতায় ডুবতে বসেছেন তিনি। স্ট্রাইকরেটও হচ্ছে টি-টোয়েন্টির সঙ্গে মানানসই; রানও পাচ্ছেন না।

শেষ ৬ ইনিংসে শান্তর নামের পাশে নেই কোনো অর্ধশতক। স্ট্রাইকরেটও একশর কাছাকাছি। এমন অবস্থায় তাকে বিশ্রাম দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। শান্তর বদলে বিকল্প হিসেবে তানজিদ হাসান তামিমের কথাও তুলেছেন তিনি। সঙ্গে শান্ত না থাকা অবস্থায় অধিনায়ক হিসেবে আশরাফুলের ভরসা সাকিব আল হাসান।

সম্প্রতি দেশের প্রথমসারির এক ক্রীড়া গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আশরাফুল বলেন, ‘শান্ত নিজে থেকে দুইটা ম্যাচ বিশ্রাম নিয়ে অন্য কাউকে সুযোগ দিতে পারে। রাতারাতি একাদশে পরিবর্তন আনার পক্ষে আমি না। তারপরও আমার মনে হয় তানজিদ তামিমকে নিয়ে আসতে পারি। ম্যানেজমেন্ট সাহস করতে পারছেন না যেহেতু, ৭ ব্যাটার নিয়েই খেলবেন। সেহেতু একটাই পরিবর্তন হতে পারে- শান্তর জায়গায় তামিমকে আনা।’

বাংলাদেশের তিন ফরম্যাটের অধিনায়কই নাজমুল শান্ত। তিনি বিশ্রামে থাকলে তাহলে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবেন কে? সেই প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন আশরাফুল, ‘ক্যাপ্টেন্সি সাকিব করতে পারে, যেহেতু সহ-অধিনায়ক তাসকিন ইঞ্জুরিতে। কোচ-ম্যানেজমেন্ট সাকিবকে অনুরোধ করতে পারে অধিনায়কত্বের জন্য। শান্তর একটু বিশ্রাম প্রয়োজন, বাইরে থেকে খেলা দেখা প্রয়োজন। যেহেতু স্ট্রাগল করছে, বিশেষ করে এই ফরম্যাটে।’

শান্তর বাজে ব্যাটিংয়ের জন্য আশরাফুল কিছুটা দায়ী করছেন বিপিএলকেই। তিনি বলেন, ‘বিপিএলেও সবগুলো ম্যাচ খেলানো হয়েছে, এখানেই বড় ভুলটা হয়েছে। বিপিএলে ৫-৬ ম্যাচে বিশ্রাম দিলে ভালো ছন্দে আসার সুযোগ থাকত। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটা ফিফটি করলেও জিম্বাবুয়ের সাথে এতটা ভালো করতে পারেনি। ব্যাটিং কনফিডেন্স খুব লো মনে হচ্ছে।’

শান্তর স্ট্রাইক রেট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আশরাফুল তুলে আনলেন দেশের ক্রিকেটের সমস্যাও। সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘ওর এই স্ট্রাইক রেট এটা তো সবাই জানি। আমাদের দেশে সমস্যা হলো- এক ফরম্যাটে ভালো খেললে সব ফরম্যাটে বিবেচনা করে ফেলি। একটা রান করলে সব কিছু ভুলে যাই।’

অধিনায়ককে ম্যাচে ভালো কিছুর তাগিদ দিয়ে আশরাফুলের মন্তব্য ‘পারফর্ম না করলে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেওয়া খুবই কঠিন। কীভাবে পারফর্ম করবেন আপনাকেই বের করতে হবে।’


সালাম মুর্শেদীর ১৩ লাখ টাকা জরিমানা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৪ মে, ২০২৪ ১২:৩০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আর্থিক অসঙ্গতির দায়ে সালাম মুর্শেদী ও আবু নাইম সোহাগসহ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ৫ কর্মকর্তাকে শাস্তির আওতায় এনেছে ফিফা। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) আর্থিক বিষয়াদি নিয়ে তদন্ত করেছিল ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। সেই তদন্তের রায় আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে ফিফা। অর্থাৎ বাফুফেতে দুর্নীতির ঘটনায় চূড়ান্ত শাস্তি ঘোষণা করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

এর মধ্যে সোহাগের শাস্তি প্রথমে ২ বছর নিষেধাজ্ঞা ছিল, আজ বলা হয়েছে তিনি তিন বছর নিষিদ্ধ থাকবেন। এছাড়া বাফুফের সাবেক প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেন ও অপারেশন্স ম্যানেজার মিজানুর রহমানকে সব ধরনের ফুটবল থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধের পাশাপাশি দশ হাজার সুইস ফ্রাঁ (প্রায় ১৩ লাখ টাকা) জরিমানা করা হয়েছে।

সোহাগকাণ্ডের পর ফুটবল ফেডারেশন তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল। বাফুফের তদন্ত কমিটিও তাদের দায় খুঁজে পেয়েছিল। এবার নিষেধাজ্ঞা এলে ফিফা থেকে।

বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বাফুফের ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান। আর্থিক অসঙ্গতি ও ফিফার কমপ্ল্যায়ন্স সঠিকভাবে ফেডারেশন পূরণ করতে না পারায় সালাম মুর্শেদীকেও দশ হাজার সুইস ফ্রাঁ (প্রায় ১৩ লাখ টাকা) জরিমানা করা হয়েছে। সালামের পাশাপাশি বাফুফের প্রকিউরমেন্ট ম্যানেজার ইমরুল হাসান শরীফকেও সাধারণ দায়িত্বের আওতায় ফিফা নির্দেশিত কমপ্ল্যায়ন্স পূরণ না করায় সতর্ক করা হয়েছে।

ফিফার এথিকস কমিটির এডজুকেটরি চেম্বার সবার সাক্ষ্য-প্রমাণ নিয়ে এই সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে। আবু নাঈম সোহাগ, আবু হোসেন, মিজানুর রহমানের ওপর সাধারণ দায়িত্ব, আনুগত্য ও মিথ্যাচারের কারণে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ১৪ এপ্রিল দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন আবু নাঈম সোহাগ। গতকাল বিজ্ঞপ্তিতে তাকে তিন বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। আর তার মোট জরিমানার পরিমাণ প্রায় ২৬ লাখ টাকা।


লিটন দাসের সহজ স্বীকারোক্তি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

সময়টা ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক ব্যাটার লিটন দাসের। ছন্দহীনতার কারণে অনেকেই ধারণা করেছিল বিশ্বকাপ দলে তিনি সুযোগ পাবেন কি না। তবে গত কয়েক ম্যাচে রান না পেলেও কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে লিটনের ওপর আস্থা রেখেছেন। লিটন নিজেও উপলব্ধি করেছেন, আগের বিশ্বকাপে তার যে দায়িত্ব নিয়ে খেলার কথা, তা পারেননি। দেশ ছাড়ার আগে বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়া ক্রিকেটারদের আলাদাভাবে ‘রেড-গ্রিন স্টোরি’ অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার নিয়েছে বিসিবি, যা একে একে প্রকাশ করছে তারা। গতকাল মঙ্গলবার লিটনের নেওয়া সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে বিসিবি। যেখানে নানা বিষয়ে কথা বলেছেন টাইগার এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

ভিডিওতে নিজের খারাপ সময়ে স্ত্রীর সাহস দেওয়াকেই সবচেয়ে বড় বলে মনে করেন লিটন দাস। তিনি জানিয়েছেন খারাপ সময়ে অনেকেই তার পাশে থাকেন, ‘আমার অনেক মানুষই আছে যে কিনা আমাকে মোটিভেট করে সব সময়। অনেক কোচই আছেন যাদের সঙ্গে কথা হয় যারা কিনা আমাকে মোটিভেট করেন। আসলে এই সময়ে মোটিভেট করাটা অনেক বড় বিষয়। সবচেয়ে আমার কাছের মানুষ হচ্ছে স্ত্রী। সব সময় আমাকে সাহস দেয়, এর থেকে আর বড় কিছু লাগে না।’

অধিনায়ক শান্তর অধীনে লিটন যাচ্ছেন নিজের তৃতীয় বিশ্বকাপে। এর আগে খেলছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং সাকিব আল হাসানের মতো দুই অভিজ্ঞ অধিনায়কের সঙ্গে। নতুন অধিনায়কত্ব নিয়ে লিটন বললেন, ‘খুবই ভালো শেষ কয়েকটা সিরিজে সে (শান্ত) অধিনায়কত্ব করেছে, আমার কাছে খুবই ভালো লাগতেছে। যেহেতু নিউ কামার তার কাছে তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব গিয়েছে। ওভার-অল যা দেখছি তাতে মনে হচ্ছে উন্নতি। স্বাভাবিক যেকোনো মানুষের উন্নতির শেষ নেই, সে খুব ভালো করছে।’

বিশ্বকাপে নিজের পারফরম্যান্সেরও মূল্যায়ন করেছেন লিটন। জানিয়েছেন, তার যে পারফর্ম করা উচিত সেটা করতে পারেননি তিনি। লিটন বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে উল্লেখযোগ্য কিছুই করতে পারিনি। আমি যে লেভেলের খেলোয়াড় বা যে পারফর্ম করা উচিত আমার, আমি তা করতে পারিনি। জিনিসটা যদি এভাবে বলি, ১০০ রান করি আগের দুই বিশ্বকাপে, এবারের বিশ্বকাপে যদি ১০১ করি, তার মানে ভালো কিছু করছি। যা করিনি, তার থেকে চেষ্টা করব ভালো কিছু করার।’

বিশ্বকাপে নিজেদের সুযোগ নিয়ে লিটন বলেছেন, ‘বিশ্বকাপে চাপ থাকবে, সেটা সব দলের ওপরই থাকবে। শান্ত ও সুস্থির থেকে ফলের কথা না ভেবে যদি ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলা যায়, আমার মনে হয় ভালো সুযোগ আছে। আজ বিসিবি প্রকাশিত এক ভিডিওতে এ কথা বলেছেন লিটন।’


ক্যারিবীয় পাওয়ার হাউস নিকোলাস পুরান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং স্তম্ভের নায়ক তিনি। ক্যারিবীয় দলের মিডল অর্ডারে প্রাণশক্তি তিনি। দলের প্রয়োজনে যেমন ব্যাট চালাতে পারেন পাগলাঘোড়ার মতো। আবার ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে খেলতে পারেন ঠাণ্ডা মাথায়ও। নিজের দিনে ঘুম হারাম করে দিতে পারেন যেকোনো বোলারের। হাঁকাত পারেন বিশাল বিশাল সব ছক্কা। ক্যারিবীয় রাজ্যের আরেক পাওয়ার হাউস তিনি। বলছি ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা নিকোলাস পুরানের কথা।

অথচ ২০১৬ সালে গাড়ি দুর্ঘটনায় জীবনটাই হারাতে বসেছিলেন নিকোলাস পুরান। বাইশ গজে আর কখনো ফিরতে পারবেন না এই তারকা এমনটাই আশঙ্কা করেছিল সবাই। তবে পুরান ফিরেছেন, বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ করছেন গোটা বিশ্বকে।

১৯৯৫ সালে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর কুভার উত্তরাঞ্চলীয় এলাকা ম্যাকবিনে জন্ম নিকোলাস পুরানের। ক্রিকেটের হাতেখড়িও সেখানেই। স্কুলে পড়ার সময়ই হাতে ধরেছিলেন ব্যাট; এরপর আর ছেড়ে দেননি। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ ভাবা হয় তাকে। ১৬ বছর বয়সেই অভিষেক হয়েছিল অনূর্ধ্ব-১৯ দলে।

২০১৪ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেই দেখিয়েছিলেন প্রতিভার ঝলক। তার পরিণত ব্যাটিং চমকে দিয়েছিল সবাইকে। দেখতে মাঝারি গড়নের হলেও বিশাল সব ছক্কা হাঁকাতে তার জুড়ি মেলা ভার।

ফলে অল্প বয়সেই বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলোর মূল আকর্ষণে পরিণত হয়েছেন এই তারকা। আইপিএল, বিপিএল, পিএসএল কিংবা সিপিএল, সব খানেই সরব উপস্থিতি এই তারকার। মজার ব্যাপার হলো, কেবল ব্যাটিং কিংবা উইকেট সামলানো নয়, দলের প্রয়োজনে পার্টটাইমার হিসেবে বল হাতেও দারুণ কার্যকরী এই তারকা।

তবে বাকি ক্যারিবীয় তারকাদের সঙ্গে পুরানের পার্থক্য হলো জাতীয় দলের খেলার সঙ্গে কখনো আপস করেননি। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে শত ব্যস্ততা থাকলেও জাতীয় দলের ডাকে সব সময়েই ছুটে গেছেন।

বাঁ-হাতি এ উইকেট রক্ষক-ব্যাটারের জাতীয় দলে অভিষেক ২০১৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে। এরপর প্রায় তিন বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে ওয়ানডে দলে সুযোগ পেতে ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পূরণ হয় সেই আশাও। তবে এখনো গায়ে জড়ানো হয়নি টেস্ট দলের জার্সি।

পুরো নাম : নিকোলাস পুরান

জন্ম : ২ অক্টোবর ১৯৯৫ সাল

জন্মস্থান : কুভা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো

রাশি: তুলা

প্রিয় খেলা: ক্রিকেট, গলফ, বাস্কেটবল

প্রিয় খাবার: ফ্রাইড চিকেন

প্রিয় পানীয়: লেমন জুস

প্রিয় রং: সাদা

প্রিয় ক্রিকেটার: অ্যালিস্টার কুক, জ্যাক ক্যালিস

প্রিয় ক্রিকেট দল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ

প্রিয় সতীর্থ: লেন্ডল সিমন্স, সুনীল নারিন

প্রিয় ফুটবলার: লিওনেল মেসি

প্রিয় ফুটবল দল: এফ সি বার্সেলোনা

প্রিয় গাড়ি: ল্যাম্বরগিনি ভেনেনো

প্রিয় স্টেডিয়াম: কুইন’স পার্ক ওভাল, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো

প্রিয় স্থান: পোর্ট অব স্পেন

প্রিয় শখ: ভ্রমণ, গান শোনা

প্রিয় জুতার ব্র‌্যান্ড: নাইকি


যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের হার

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২২ মে, ২০২৪ ০১:১০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে খেলতে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরে গেছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাটিংয়ে খুব বেশি রান করতে না পারার পর প্রতিপক্ষকে আটকে রাখতে পারেনি তারা। মঙ্গলবার রাতে প্রিইরে স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুরুতে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান করে বাংলাদেশ। পরে ওই রান তাড়া করতে নেমে তিন বল আগেই জয় পায় যুক্তরাষ্ট্র।

টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। এ ম্যাচে আবারও একাদশে ফেরানো হয় লিটন দাসকে। যদিও সুবিধা করতে পারেননি তিনি। ১ চার ও সমান ছক্কায় ১৫ বলে ১৪ রান করেন জাশদ্বীপ সিংয়ের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন তিনি। সৌম্য সরকারের সঙ্গে ৩৪ রানের উদ্বোধনী জুটি ছিল তার।

দুই ওপেনার অবশ্য ফিরে যান স্রেফ চার বলের ব্যবধানে। ৩ চারে ১৩ বলে ২০ রান করে বাউন্ডারি লাইনের কাছাকাছি মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। দুই উইকেট পড়ে যাওয়ার পর তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

তিনিও অবশ্য ব্যর্থ হন। ১১ বল খেলে স্রেফ ৩ রান করে স্টিভেন টেইলের বলেই স্টাম্পিং হন তিনি। শুরুতে ধরে খেলার চেষ্টা করা সাকিব আল হাসানও বড় রান করতে পারেননি। ১২ বল খেলে ৬ রান করে রান আউটের শিকার হন তিনি। ইনিংসের শুরু ভালো না হলেও শেষটা দারুণ করে বাংলাদেশ।

এর কৃতিত্ব তাওহীদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৪৭ বলে ৬৭ রান করেন তারা। ২ চার ও ১ ছক্কায় ২২ বলে ৩১ রান করে আউট হয়ে যান মাহমুদউল্লাহ। হৃদয়ের থেকে ব্যাট থেকে আসে হাফ সেঞ্চুরি। ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪৭ বলে ৫৮ রান করেন তিনি।

রান তাড়ায় নেমে ২৭ রানের উদ্বোধনী জুটির দেখা পায় যুক্করাষ্ট্র। দুই ওপেনারের মধ্যে মনাক প্যাটেল ১২ বলে ১০ ও স্টেবন টেইলর ২৯ বলে ২৮ রান করেন। তিনে খেলতে নামা আন্দ্রিয়াস গুইস ১৮ বলে ২৩ রান করেন।

এরপর অ্যারণ জোন্স ও নিতিশ কুমারও রান করতে পারেননি। তবে দলটির হয়ে ভিত ধরেন করি অ্যান্ডারসন ও হারম্রিত সিং। তবে পরের জুটিতেই জয়ের নিশানা খুঁজে পায় যুক্তরাষ্ট্র। একপ্রান্ত আগলে থাকা কোরি অ্যান্ডারসন ২৫ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন। তার সঙ্গী হারম্রিত ১৩ বলে ৩৩ রানের ঝড় তোলেন। দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তারা দুজন।


banner close