শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

ভারত-পাকিস্তানের শক্তি-দুর্বলতা

ছবি: সংগৃহীত
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশিত
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশিত : ২৩ অক্টোবর, ২০২২ ১২:৪৭

একদিকে খেলোয়াড়দের মধ্যে বন্ধুত্ব নতুন মাত্রা ছুঁচ্ছে, ওদিকে ক্রিকেট রাজনীতিতে আবার নতুন করে যোগ হচ্ছে ভূরাজনীতি। বিসিসিআই এবং পিসিবি যখন যুদ্ধংদেহী মূর্তিতে, এমন প্রেক্ষাপটে মেলবোর্নে আজ দেখা হচ্ছে ভারত-পাকিস্তানের। টি-টোয়েন্টির শীর্ষ দল ভারত ফেবারিট হিসেবেই অস্ট্রেলিয়ায় এসেছে, তবে পাকিস্তান এবার আন্ডারডগ। আজ চলুন দুই দলের তাদের দুর্বলতার খবর নেয়া যাক। যে দল প্রতিপক্ষের দুর্বলতার সুযোগ যত বেশি নেবে, শেষ হাসি তাদেরই হবে।

ভারত

তৃতীয় পেসারসংকট

পিঠের চোটে যশপ্রীত বুমরার ছিটকে যাওয়া বড় ধাক্কা ভারতের জন্য। প্রায় সপ্তাহ দেড়েক ভেবে মোহাম্মদ শামিকে বিশ্বকাপের টিকিট দিয়েছেন বিসিসিআইয়ের নির্বাচকরা। প্রস্তুতি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এক ওভারেই চার উইকেট তুলে নিয়েছিলেন ৩২ বছর বয়সী পেসার। ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে তাই নতুন করে ভাবতে হচ্ছে তৃতীয় পেসার নিয়ে। সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টিতে ভারতের একাদশে নিয়মিত মুখ দুই পেসার ভুবনেশ্বর কুমার এবং আর্শদীপ সিং। তৃতীয় পেসার হিসেবে এতদিন হার্শাল প্যাটেলের বড় কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলেও শামির উপস্থিতিতে সে চিত্র বদলে গেছে।

পান্ডিয়ার কিছু হলে…

পেস বোলিং অলরাউন্ডাররা টি-টোয়েন্টিতে দলের সম্পদ। পিঞ্চ হিটিংয়ের সঙ্গে মিডল ওভার বা শেষ দিকে কার্যকরী বোলিংয়ে দলের জয়ে অবদান রাখতে পারেন তারা। এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ভারতকে জয় এনে দিয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। তবে কোনো কারণে পান্ডিয়া জ্বলে উঠতে না পারলে বা চোটে পড়লে তার ভূমিকা পালন করার মতো কেউ নেই। পেস বোলিং অলরাউন্ডারে বিকল্পের অভাব ভোগাতে পারে ভারতকে।

পানসে পন্ত

মাস দুয়েক আগেও ব্যাটিং নিয়ে ভারতের টিম ম্যানেজমেন্টের চিন্তার অন্ত ছিল না। বিরাট কোহলির রানখরা, কে এল রাহুলের ফর্মহীনতা ভাবাচ্ছিল ভারতকে। তবে বিশ্বকাপের আগে সময়মতো ফর্ম খুঁজে পেয়েছেন তারা দুজনই। তবে ঋষভ পন্ত এখনো রানখরা থেকে মুক্তি পাননি। গত ফেব্রুয়ারির পর সর্বশেষ ১৫ টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট করে মাত্র দুবার ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন। ফর্ম নিয়ে যুঝতে থাকায় মূল একাদশ তৈরির ক্ষেত্রে টিম ম্যানেজমেন্টের পছন্দের তালিকায় দলের অপর উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান দীনেশ কার্তিকের চেয়ে বেশ পিছিয়ে পড়ছেন পন্ত।

ডেথ বোলিংয়ে দুর্দশা

ডেথ ওভারে খরচে বোলিং করে দলের দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছেন ভারতের পেস ত্রয়ী ভুবনেশ্বর কুমার, আর্শদীপ সিং এবং হার্শাল প্যাটেল। তাদের কেউই ডেথ ওভারে ঠিকঠাক ইয়র্কার দিতে পারছেন না, হার্শালের স্লোয়ার বলও এখন আর প্রতিপক্ষকে খুব একটা বিপদে ফেলতে পারছে না। বুমরার অনুপস্থিতিতে বিশ্বকাপে ভারতকে ডেথ ওভারের বোলিং নিয়ে তাই নতুন করে ভাবতে হতে পারে।

চাহাল নাকি অশ্বিন

পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত যুজবেন্দ্র চাহাল এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মধ্যে একজনকে বেছে নেয়া। অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে লেগ স্পিনাররা বরাবরই কার্যকরী এবং পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের মূল দুই স্তম্ভ বাবর এবং রিজওয়ান- দুজনই ডানহাতি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে চাহাল-ই টিম ম্যানেজমেন্টের প্রথম পছন্দ। তবে পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। বাবর-রিজওয়ান দুজনই অফ স্পিনের বিপক্ষে দুর্বল। ২০২১ সাল থেকে টি-টোয়েন্টিতে অফ স্পিনের বিপক্ষে বাবর ও রিজওয়ানের স্ট্রাইকরেট যথাক্রমে ৯০.৪ এবং ১০৪.২৪! মেলবোর্নের বড় সীমানাও অশ্বিনের কথা ভাবতে বলে।

পাকিস্তান

ওপেনিং- আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ?

বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান- বলতে গেলে এরা দুজনই পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ। এই দুজনের ব্যাট হাসলেই হাসে পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি পঞ্চাশোর্ধ্ব ও ১০০ ছাড়ানো জুটি তাদের। ওপেনিংয়ে তাদের যৌথ গড় প্রায় ৯৫। তবে শুধু গড় পুরো গল্পটা কখনো বলে না।

বাবর-রিজওয়ান টি-টোয়েন্টিতে যথাক্রমে ১২৯ এবং ১২৮ স্ট্রাইক রেটে রান তোলেন এবং এ দুজন অনেক দীর্ঘ সময় উইকেটে থাকেন। অর্থাৎ দুজন যদি ১৬ ওভার ৪ বল পর্যন্ত ব্যাট করেন, তাহলে দলের রান হবে ১২৯। বাকি ২০ বলে যতই মারকাটারি ব্যাটিং হোক না কেন, পাকিস্তানের পক্ষে রানটা ১৭০-এর বেশি করা কঠিন। বাস্তবেও এমনটা দেখা যায়। দলের স্কোরকে সম্মানজনক অবস্থানে নিতে পরের ব্যাটসম্যানদের ওপর পাহাড়সম চাপ সৃষ্টি হয়।

মিডল অর্ডার

পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা নিঃসন্দেহে দলটির মিডল অর্ডার। বেশির ভাগ ম্যাচেই দলকে ভালো শুরু এনে দেয়ার পরও একদিকে বাবর বা রিজওয়ান না থাকলেই ভেঙে পড়ে দলটির ব্যাটিং। আর কোনো কারণে বাবর বা রিজওয়ানদের দুজনের যদি দিনটা খারাপ কাটে পাকিস্তানের ব্যাটিং ধ্বংসস্তূপ হয়ে যায়। মিডল অর্ডার নিয়ে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্ট। নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে মোহাম্মদ নওয়াজ এবং হায়দার আলী এক ম্যাচে আশা দেখালেও বিশ্বকাপে দলটির বড় চিন্তার জায়গা মিডল অর্ডার।

চাপে ভেঙে পড়া

২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে ৪ বলে দরকার ছিল ৬ রান। দলকে জয়ের হাতছোঁয়া দূরত্বে নিয়ে যাওয়া মিসবাহ-উল-হক সেই মুহূর্তে খেললেন অপ্রয়োজনীয় এক স্কুপ। মিসবাহর এক ভুলে হাত ফসকে গেল শিরোপা। ২০২১ সালের বিশ্বকাপেও হাসান আলীর এক ক্যাচ মিসেই সাঙ্গ হয়েছিল পাকিস্তানের টুর্নামেন্ট। ১৯তম ওভারে ডিপ মিড উইকেট বাউন্ডারিতে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু ওয়েডের ক্যাচ হাতে জমাতে পারেননি। ফল, শাহীন আফ্রিদির সে ওভারের পরের ৩ বলে ৩ ছক্কায় ওয়েড অস্ট্রেলিয়াকে ফাইনালে তোলেন। গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এমন ভুল বরাবর পাকিস্তানকে ভুগিয়েছে।

প্রশ্নবিদ্ধ দল নির্বাচন

ব্যাটসম্যান বাবর আজমের সামর্থ্য নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে অধিনায়ক বাবর আজমকে নিয়ে কি একই কথা বলা যায়? টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাহসী অধিনায়কদের কদর বেশি, গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে যাদের সিদ্ধান্ত ম্যাচের দৃশ্যপট বদলে দেয়। দল নির্বাচনেও তাদের উদ্ভাবনী সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রচেষ্টা থাকে। তবে অধিনায়ক বাবরের সঙ্গে সাহসীর চেয়ে বরং সাবধানী শব্দটাই বেশি খাটে। কোচ সাকলাইন মুশতাকও দ্রুত পরিবর্তনশীল ক্রিকেটীয় বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে ‘অপ্রস্তুত’। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের হারের পর তার ‘দর্শন কপচানোয়’ বিরক্ত হয়েছেন পাকিস্তানের ক্রিকেট অনুরাগীরা।

প্রত্যাশার চাপ

৩০ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেই প্রথম বিশ্বজয়ের স্বাদ পেয়েছিল পাকিস্তান। ইমরানের খানের নেতৃত্বে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিল তারা। আবারও সে অস্ট্রেলিয়াতে বিশ্বকাপ খেলছে পাকিস্তান। এ নিয়ে পাকিস্তানের মিডিয়ায় চলা আলোচনা আর রসিকতায় আটকে নেই। খেলোয়াড়দের ওপর এটা বাড়তি চাপ হিসেবে কাজ করতে পারে।


ঝড়ে লণ্ডভণ্ড স্টেডিয়াম, ‘অনিশ্চিত’ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্স। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে ভয়াবহ ঝড় হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এই ঝড়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭ জন। এই ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্স। এখানেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলার কথা বাংলাদেশের।

আগামী ২১, ২৩ ও ২৫ মে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে ম্যাচগুলো। তবে ক্রিকেট ভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি পিটার ডেল্লা পেন্না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ জানিয়েছেন, এই ম্যাচগুলো হওয়া এখন অনিশ্চিত।

তিনি লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজ হওয়া এখন অনিশ্চিত হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার বড় একটি ঝড় হয়ে গেছে হিউস্টনে। সম্প্রতি তৈরি করা প্রেইরি ক্রিকেট কমপ্লেক্সের বেশিরভাগ স্থাপনাই তাতে ধ্বংস হয়ে গেছ।’

এর আগে বিশ্বকাপের উদ্দেশে গত ১৫ মে রাত ১টা ৪০ মিনিটের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে দেশ ছাড়ে বাংলাদেশ দল। দুবাই হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান সাকিব-মাহমুদুল্লাহরা।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ‘ডি’ গ্রুপে দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলংকা, নেপাল ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। ৮ জুন শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করবে টাইগাররা। এরপর গ্রুপ পর্বে ১০ জুন দক্ষিণ আফ্রিকা, ১৩ জুন নেদারল্যান্ডস এবং ১৭ জুন নেপালের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।


বার্সেলোনার ত্রাতা লোপেজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

গত ম্যাচে জয়ের পরই জানা গিয়েছিল শেষ তিন ম্যাচ জিতে রানার্সআপ হয়ে সম্মানের সঙ্গেই মৌসুম শেষ করতে চায় বার্সেলোনা। কারণ শিরোপার আশা ইতোমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। সেই লক্ষ্যে প্রথম ধাপটা ভালোভাবেই উৎরে গেল জাভি হার্নান্দেজের দল। এবার বার্সার ত্রাতা ফের্মিন লোপেজ। তার জোড়া গোলেই জয়ের স্বাদ পেয়েছে কাতালানরা।

বৃহস্পতিবার রাতে লা লিগার ম্যাচে প্রতিপক্ষ আলমেরিয়ার মাঠ থেকে ২-০ গোলের জয় নিয়ে ঘরে ফিরেছে জাভি হার্নান্দেজের দল। এ জয়ে ৩৬ ম্যাচে ২৪ জয় ও ৭ ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট হলো ৭৯। সমান ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে জিরোনা। আগেই শিরোপা জেতা রেয়াল মাদ্রিদের ৯৩ পয়েন্ট। বাকি আর দুই রাউন্ড।

ম্যাচজুড়ে চমৎকার খেললেন ফের্মিন লোপেজ। দুই অর্ধে করলেন একটি করে গোল। লিগ টেবিলের তলানির দল আলমেরিয়াকে হারিয়ে দ্বিতীয় স্থান মজবুত করল বার্সেলোনা। অন্যদিকে বার্সেলোনার কোচ হিসাবে লা লিগায় জাভির শততম ম্যাচ ছিল এটি। উপলক্ষটা জয়ে রাঙালেন দলটির সাবেক এই মিডফিল্ডার।

শুরু থেকে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা দলটাকে চেপে ধরে বার্সেলোনা। গোলের দেখা পেতে খুব একটা দেরি হয়নি তাদের। ১৪তম মিনিটেই এগিয়ে যায় সফরকারীরা। বাম দিক থেকে ১৭ বছর বয়সী ডিফেন্ডার এক্তর ফোর্তের ক্রসে ছয় গজ বক্সে দারুণ হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন ফের্মিন।

দ্বিতীয়ার্ধেও একই ধারা বজায় রাখে বার্সেলোনা। তবে খুব সহজে গোল আসছিল না। অবশেষে দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় কাতালুনিয়ারা। ৬৭তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল পূর্ণ করেন ফের্মিন লোপেজ। বাম দিক থেকে সের্হি রবের্তো পাস দেন বক্সে, ছুটে গিয়ে প্রথম স্পর্শে বাম পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন ফের্মিন।

বার্সেলোনার মূল দলের হয়ে অভিষেক মৌসুমে ২১ বছর বয়সী স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের গোল হলো ১০টি, মৌসুমে দলটির কোনো মিডফিল্ডারের যা সর্বোচ্চ।

বাকি সময়ে সুযোগ পেলেও সেটাকে আর গোলে রূপান্তর করতে পারেনি জাভি হার্নান্দেজের দল। ফলে ২-০ গোলের জয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের। অন্যদিকে ঘরের মাঠেও কোনো গোলের দেখা পায়নি স্বাগতিক আলমেরিয়া।

৩৬ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে ১৮ নম্বরে আছে আলমেরিয়া। স্পেনের শীর্ষ লিগ থেকে তাদের অবনমন নিশ্চিত হয়েছে আগেই।


পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ দেখছেন কারস্টেন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

বিশ্বকাপের আগেই পাকিস্তানের কোচিং প্যানেলে আমূল পরিবর্তন এনেছে বোর্ড। ঢেলে সাজানো হয়েছে তিন ফরম্যাটের কোচিং স্টাফ। ভিন্ন ভিন্ন ফরম্যাটের জন্য ভিন্ন ভিন্ন কোচ নিয়োগ দিয়েছে পিসিবি। পরিবর্তন এসেছে অধিনায়কত্বেও; শাহীন আফ্রিদিকে সরিয়ে আবারও আস্থা রেখেছে বাবর আজমের ওপরই। তিনিও নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছেন দায়িত্ব।

সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ম্যান ইন গ্রিনদের এ ফরম্যাটের কোচ দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক তারকা গ্যারি কারস্টেন। বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান। সে সিরিজ দিয়েই দায়িত্ব নেবেন গ্যারি কারস্টেন। তবে অধিনায়ক বাবরের ঘাড় থেকে দায়িত্বের বোঝা কমাতে চান তিনি। বাবর আজমের ওপর অতিনির্ভরশীলতা মোটেও তার প্রতি ন্যায্য নয় বলেও মনে করেন তিনি।

টকস্পোর্টে কথা বলার সময় কারস্টেন বাবর প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা (বাবরের ওপর নির্ভরশীলতা) কোনো খেলোয়াড়ের জন্যই ন্যায্য নয়। দলের জন্য সব সময়ই কিছু করতে হবে, তার এমন বোধ হওয়া উচিত নয়। আমার বাবরের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। সে দারুণ করেছে, দলের অনেকটা বোঝা সে নিজের কাঁধে বহন করে। কোচিং স্টাফ হিসেবে আমরা যা করব, সেই বোঝার ভার একটু কমাব। তাকে বোঝাতে হবে, সে একটা দলের একজন খেলোয়াড় মাত্র। সে নিজেকে আরেকটু স্বাধীনতা দিতে পারে সহজাত খেলাটা খেলতে।’

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচে ৪২ বলে ৭৫ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলেন বাবর। কারস্টেনের আশা, সামনে এমন আরও ইনিংস দেখা যাবে, ‘আমার মনে হয় তার ওই স্বাধীন সত্তাটা যদি বের করে আনতে পারি এবং আমরা বুঝাতে পারি যে বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ম্যাচ জয়ে অবদান রাখার মতো আরও খেলোয়াড় আছে, তাহলে তার ওপর থেকে অনেকটা চাপ কমে আসবে।’

এবারের বিশ্বকাপেও পাকিস্তান বেশ শক্তিশালী দল। পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনাও দেখেছেন অনেকেই। সেই দলেরই নতুন কোচ গ্যারি কার্স্টেন। তিনি বলেন, ‘আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমাদের সামর্থ্য দেখানো ও শক্তিশালী দল হিসেবে নিজেদের অতীত অর্জনকে ধরে রাখার দারুণ এক সুযোগ।’ সে জন্য তিনি মনে করেন, ‘সম্মিলিত চেষ্টা, যথাযথ পরিকল্পনা এবং একে অপরের প্রতি সমর্থনের ওপর সাফল্য নির্ভর করে। শিরোপার জন্য অন্য ১৯টি দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করতে হবে।’

পাকিস্তানের মতো আন্তর্জাতিক দলের হয়ে কাজ করতে পেরে নিজের খুশির কথাও জানান বিশ্বকাপ জয়ী এ কোচ।


রোনালদোর কাছে এটা অবিশ্বাস্য

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

২০ বছরের শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবল ক্যারিয়ার, বয়সটাও চল্লিশ ছুঁইছুঁই; কিন্তু পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো যেন এখনো চির তরুণ। রোনালদো যেন ওয়াইনের মতো- যতই পুরোনো হচ্ছে, ততই স্বাদ বাড়ছে। এ বয়সে এসে যখন সবাই বুট জোড়া তুলে রেখে একটু আরাম-আয়েসে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চান, সিআরসেভেন তখন সৌদি আরবে সাজাচ্ছেন গোলের পসরা। একটুও কমেনি তার পুরোনো সেই গতি কিংবা শারীরিক শক্তি। তরুণদের চেয়েও তিনি তরুণ। বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এভাবেই উঁচুমানের খেলা চালিয়ে যেতে চান এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।

সৌদি ক্লাব আল নাসরের হয়ে চলতি মৌসুমে ৪১ ম্যাচ খেলে ৪২ গোল করেছেন রোনালদো। লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতাও তিনিই। স্বাভাবিকভাবেই গোল বুট জয়েরও দ্বারপ্রান্তে তিনি। ক্যারিয়ারের এমন পড়ন্ত বেলায়ও নিজেকে ধারাবাহিক রাখতে পেরে গর্বিত বোধ করেন তিনি। শুধু তাই নয়, অবিশ্বাস্যও লাগে তার কাছে।

এক পডকাস্টে রোনালদো বলেন, ‘এই বয়সে এখনো সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে যাওয়ায় আমি গর্বিত বোধ করি। এটাই আমাকে চালিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দেয়। গত ২০ বছরে আমার ক্যারিয়ারের দিকে তাকালে দেখবেন, আমার মানটা উঁচুতে আছে। ২০ বছর ধরে শীর্ষ পর্যায়ে থাকাটা অবিশ্বাস্য। আমি সেটা করছি এবং করতে থাকি। আমার কাছে এটি একটি বড় অর্জন।’

এই বয়সে এসেও শীর্ষ পর্যায়ে থাকা যে সহজ নয় সেটা মানেন, ‘এই (শীর্ষ) পর্যায়ে থাকাটা সহজ নয়। নিজেকে তাড়না দিতে, অনুপ্রাণিত করতে, চালিয়ে যেতে, গোল করতে, ভালো ছন্দে থাকতে, উঠে আসা তরুণ সিংহদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে শুধু শারীরিকভাবেই নয়, মানসিকভাবেও খুব ভালোভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। এটাই চ্যালেঞ্জ।’

ক্যারিয়ার দীর্ঘ করার জন্য প্রতিভা ও পরিশ্রম দুটোই দরকার বলে মনে করেন রোনালদো। একই সঙ্গে বজায় রাখতে হবে ধারাবাহিকতাও। তিনি বলেন, ‘প্রতিভা ছাড়া পরিশ্রম এবং পরিশ্রম ছাড়া প্রতিভা কিছুই নয়। দুটোই একসঙ্গে থাকা দরকার। আমার মধ্যে দুটোই আছে। অবশ্য এটা বলতে পারি না, একটার চেয়ে অন্যটা বেশি আছে। ছোট বিষয়গুলোই পার্থক্য তৈরি করে দেয়। তাই ধারাবাহিকতা ধরে রাখা সবচেয়ে কঠিন জিনিস।’

রোনালদো একটি ব্র্যান্ড! বিশ্বের অনেক তরুণই তার মতো হতে চায় কিন্তু সেটা সহজ বলেই জানালেন তিনি, ‘সবাই ক্রিস্টিয়ানো হতে চায়, কিন্তু তেমনটা হওয়া কঠিন। নিজেকে শৃঙ্খলার মধ্যে রাখাটা সবচেয়ে কঠিন ব্যাপার। কখনো কখনো নিজের মনের বিরুদ্ধে লড়াই করি আমি, আমরা সবাই মানুষ। অবশ্যই প্রতিদিন জিমে যেতে আমারও ভালো লাগে না, কারোরই লাগে না; কিন্তু তা করতে হবে।’

বিষয়:

ফিনিশিংয়ের বস ডোয়াইন ব্রাভো

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

বল হাতে প্রতিপক্ষকে কঠিন মুহূর্তে চেপে ধরা, ব্যাট হাতে দলের হাল ধরা, ফিল্ডিংয়ে নেমে দুর্দান্ত কিছু রান আটকানো বা ক্যাচ লুটে নেওয়া; এগুলোই একজন আদর্শ অলরাউন্ডারের বৈশিষ্ট্য। আর এর সবটাই উপস্থিত ক্যারিবীয় তারকা ডোয়াইন ব্রাভো। ব্যাট হাতে তিনি দুর্দান্ত এক ফিনিশার। পরিস্থিতি বুঝে ব্যাট করায় তার ‍জুড়ি নেই। তিনি ডেথ ওভারের তুখোড় বোলার। বিরল প্রজাতির পেস বোলিং অলরাউন্ডার তিনি। তার নিখুঁত পারফরম্যান্স দিয়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন পুরো ক্রিকেট বিশ্ব।

ডোয়াইন ব্রাভো ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে পরিচিত আরেকটা কারণে, ক্যারিবীয় ক্রিকেটারদের উপস্থিতি কিংবা উদ্‌যাপন সব সময়ই ক্রিকেট মাঠে বাড়তি সৌন্দর্য ছড়ায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার ডোয়াইন ব্রাভোও তার ব্যতিক্রম নন। বিশেষ করে উইকেট পাওয়ার পর তার নাচ আইপিএলের অন্যতম ট্রেডমার্ক দৃশ্য। তবে এসবের মাঝেও লুকিয়ে আছে বিরাট এক সৌন্দর্য।

দুইটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য তিনি। নিজের মানকে তিনি এমন জায়গায় নিয়ে গেছেন যে, শত নিজেদের মধ্যে শত ঝামেলা আর বিবাদের পরও বারবারই ক্যারিবিয়ান বোর্ড তার দ্বারস্থ হয়। আর তিনিও ফিরেন, আর আন্তর্জাতিক ময়দানে এন্টারটেইন করেন।

১৯৮৩ সালে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর সান্তা ক্রুজ এলাকায় জন্ম নেওয়া ব্রাভোর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক ২০০২ সালে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো ক্রিকেট দলের হয়ে। ব্রাভোর শুরুটা হয়েছিল ব্যাটার হিসেবেই; অভিষেকের এক মাস পরেই পেয়েছিলেন সেঞ্চুরি। পুরস্কার হিসেবে ডাক পেয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলে। অলরাউন্ডার ব্রাভোর আত্মপ্রকাশ ঘটে ২০০৩ সালে উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডের বিপক্ষে ১১ রান খরচ করে ৬ উইকেট শিকারের পর।

২০০৪ সালে ভাগ্য খুলে যায় ব্রাভোর। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে প্রথমবারের মতো ক্যারিবীয় জার্সি গায়ে জড়ানোর সুযোগ পান ডানহাতি এ অলরাউন্ডার। ওই সিরিজেই গায়ে জড়ান ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণ টেস্টের জার্সি। ব্রাভোর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয় ২০০৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।

ব্রাভো টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানান ২০১৫ সালে। বিদায় বলেছিলেন ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিকেও কিন্তু বোর্ডের অনুরোধে আবার ফিরেও এসেছিলেন। কিন্তু আর কত দিন? ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই বিদায় জানান জাতীয় দলকে। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টকেও বিদায় জানিয়েছেন।

পুরো নাম: ডোয়েন জেমস জন ব্র্যাভো।

জন্ম: ৭ অক্টোবর, ১৯৮৩ সাল।

জন্মস্থান: সান্তা ক্রুজ, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো।

রাশি: তুলা রাশি।

প্রিয় খেলা: ক্রিকেট, গলফ, বাস্কেটবল।

প্রিয় খাবার: স্টু চিকেন, পাস্তা ও চকোলেট।

প্রিয় পানীয়: ওয়াইন।

প্রিয় রং: সাদা।

প্রিয় ক্রিকেটার: ব্রায়ান লারা, ম্যাথিউ হেইডেন।

প্রিয় ক্রিকেট দল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল।

প্রিয় সতীর্থ: আন্দ্রেরাসেল, নিকোলাস পুরান, কাইরন পোলার্ড।

প্রিয় ফুটবলার: কিলিয়ান এমবাপ্পে।

প্রিয় ফুটবল দল: চেলসি এফসি।

প্রিয় গাড়ি: লর্ড রোভার স্পোর্ট।

প্রিয় স্টেডিয়াম: কুইন’স পার্ক ওভাল, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো।

প্রিয় স্থান: লাস ভেগাস।

প্রিয় শখ: নৃত্য করা ও গান শোনা।

প্রিয় জুতার ব্র‌্যান্ড: নিউ ব্যালেন্স।


যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্বিপাক্ষিক সিরিজ এবং বিশ্বকাপ খেলতে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।

যুক্তরাষ্ট্রে হিউজটনের জর্জ বুশ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের ভিডিও নিজেদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে পোস্ট করে জাতীয় দলের পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। খবর বাসসের।

ভিডিওতে দেখা যায়, বাংলাদেশকে দলকে বহনকারী বিমানটি বিমানবন্দরে অবতরণ করছে। এরপর নিজেদের লাগেজসহ বিমানবন্দর থেকে বের হচ্ছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। সেখান থেকে টিম বাসে চড়ে হোটেলে যান তারা।

বিশ্বকাপের উদ্দেশে ১৫ মে রাত ১টা ৪০ মিনিটে দেশ ছাড়ে বাংলাদেশ দল। দুবাই হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান সাকিব-মাহমুদুল্লাহরা।

বিশ্বকাপ মিশন শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের দ্বিাপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ২১, ২৩ ও ২৫ মে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে।

এরপর বিশ্বকাপের মঞ্চে খেলতে নামার আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ২৮ মে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এবং পহেলা জুন ভারতের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ রয়েছে টাইগারদের।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ‘ডি’ গ্রুপে দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলংকা, নেপাল ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। ৮ জুন শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করবে টাইগাররা। এরপর গ্রুপ পর্বে ১০ জুন দক্ষিণ আফ্রিকা, ১৩ জুন নেদারল্যান্ডস এবং ১৭ জুন নেপালের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।


বাংলাদেশ দলকে মাশরাফির বার্তা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

মাশরাফি জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন, সেও প্রায় অনেকদিন হলো। জাতীয় সংসদের হুইপ মাশরাফি এখন ব্যস্ত রাজনীতি নিয়ে। তবে জাতীয় দলের খোঁজখবর রাখেন ঠিকই। দলের সুসময়ে যেমন প্রশংসায় ভাসান, তেমনি দুঃসময়েও অভিভাবকের মতো পাশে থেকে অনুপ্রেরণা জোগান। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নাজমুল হোসেন শান্তদের শুভকামনা জানালেন সাবেক এই অধিনায়ক।

বিশ্বকাপ দলকে শুভকামনা জানিয়ে সাবেক এই অধিনায়ক নিজের ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, “সাহস সব সময় গর্জন করে না, শুধু দিন শেষে শান্ত কণ্ঠস্বরে বলে, আগামীকাল চেষ্টা করব। ‘Go and kill it champs’ সব সময় শুভকামনা আমার প্রাণের দেশ, প্রাণের দলের প্রতি বাংলাদেশ।”

আগামী ২ জুন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বসতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। আইসিসির মেগা আসরটিতে অংশ নেওয়ার আগে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ২১, ২৩ ও ২৫ মে হবে সিরিজের ম্যাচগুলো। সে কারণেই আগেভাগে দেশ ছেড়েছে টিম টাইগার্স।

বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে আগামী ৮ জুন। যেখানে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন, ভেন্যু যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস। এরপর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ১০ জুন বাংলাদেশ লড়বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। তৃতীয় ম্যাচে ১৩ জুন নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে টাইগাররা। এরপর ১৭ জুন নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গ্রুপপর্ব শেষ করবে বাংলাদেশ।


১৩৫ বছরের ইতিহাসের সামনে ম্যানসিটি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

সব নাটকীয়তা শেষে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে ম্যানচেস্টার সিটি। লিগের একদম অন্তিম মুহূর্তে এসে দেখতে পাচ্ছে আলোর রেখাও। শিরোপা থেকে আর মাত্র এক হাত দূরে দাঁড়িয়ে পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি। বুধবার রাতে বাঁচা-মরার ম্যাচে আর্লিং হলান্ডের জোড়া গোলে টটেনহ্যামকে হারিয়ে শীর্ষে উঠেছে সিটিজেনরা। ৩৭ ম্যাচে সিটির পয়েন্ট এখন ৮৮। অন্যদিকে সমান ম্যাচ খেলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ৮৬। শেষ ম্যাচে জিতলেই আরেকটি শিরোপা উঠবে সিটিজেনদের ঘরে। আর এতেই ১৩৫ বছরের ইতিহাস বদলে দেবে পেপ গার্দিওলার দল।

প্রিমিয়ার লিগের ১৩৫ বছরের ইতিহাসে টানা ৪টি শিরোপা জয়ের রেকর্ড নেই কোনো দলের। শেষ ধাপটি পেরোতে পারলে প্রথমবারের মতো টানা চার লিগ শিরোপা জেতার সেই ইতিহাসই গড়বে পেপ গার্দিওলার দল। এর আগে ইংল্যান্ডের কয়েকটি ক্লাব ৫ মৌসুমের মধ্যে চারটি শিরোপা জিতলেও টানা চার শিরোপা জিততে পারেনি কোনো দলই। ১৮৯০-এর দশকে অ্যাস্টন ভিলা এবং ১৯৮০ দশকে লিভারপুল পাঁচ মৌসুমের মধ্যে চারবার লিগ শিরোপা জেতার কীর্তি গড়েছিল।

এ ছাড়া হ্যাটট্রিক শিরোপা জেতার কৃতিত্ব আছে হাডার্সফিল্ড টাউন (১৯২৬-২৭), আর্সেনাল (১৯৩৫-৩৬), লিভারপুল (১৯৮৪-৮৫) এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের (২০০১-০২ এবং ২০০৯-১০)। কিন্তু গার্দিওলার দলের সামনে ইতিহাস নতুন করে লেখার হাতছানি।

সেই দলগুলোর ইতিহাস গড়তে না পারার কিছু কারণও আছে। তবে গার্দিওলার সিটি সেই ভুলগুলোর পুনরাবৃত্তি না ঘটিয়েই এখন ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায় আছে। যদিও আরেকটি বাধা পেরোতে হবে তাদের।

শেষ দিকে এসে প্রিমিয়ার লিগের লড়াইটা ছিল মূলত আর্সেনাল আর ম্যানসিটির মধ্যে। সে সময় এক ম্যাচ বেশি খেলে টানা ২ সপ্তাহ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ছিল গানাররা। তবে ম্যাচের পরিসংখ্যান সমান সমান হওয়াতেই পিছিয়ে পড়েছে আর্সেনাল। সমান ৩৭ ম্যাচ খেলে ২ দুই পয়েন্টে পিছিয়ে আছে মিকেল আর্তেতার দল।

দুই দলেরই ম্যাচ বাকি ১টি করে। নিজেদের শেষ ম্যাচে আর্সেনাল লড়বে এভারটনের বিপক্ষে আর ম্যান সিটি লড়বে ওয়েস্টহামের বিপক্ষে। শেষ ম্যাচে যদি ওয়েস্টহামের কাছে হোঁচট না খায় সিটিজেনরা তাহলেই ১৩৫ বছরের ইতিহাস ভেঙে নতুন ইতিহাস লেখা হবে তাদের।

তখন সমান ম্যাচে ২ পয়েন্ট কম থাকায় আর্সেনালকে সন্তুষ্ট থাকতে হবে রানার্সআপ হয়েই। তবে ভুলেও কোনো কারণে যদি পেপ গার্দিওলার দল হেরে যায় আর আর্সেনাল এভারটনকে হারায় তাহলে ২০ বছর পর লিগ শিরোপা উদ্ধার করবে গানাররা।


হারিয়ে যাবেন বিরাট কোহলি!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

মাঝখানের সময়টাকে বিরাট কোহলির স্ট্রাইকরেট নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়েছে। পারিবারিক কারণে কোহলি নিজেও মাঠের বাইরে ছিলেন মাস দুয়েক। ফলে তার আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছিল শঙ্কা। কিন্তু বেঙ্গালুরুর জার্সিতে আইপিএল দিয়ে ফিরেই সেসব শঙ্কা দূর করে দিয়েছেন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক। চলতি আইপিএলে এখনো সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কোহলি। ফলে বিশ্বকাপের দলে জায়গা করে নিতে আর বেগ পেতে হয়নি।

২০০৮ সালে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপানোর পেরিয়ে গেছে প্রায় ১৬টা বছর; বয়সটাও ছত্রিশ ছুঁইছুঁই, আর কতদিন খেলবেন তিনি ভারতের হয়ে? তাই কোহলিকে এবার উত্তর দিতে হয়েছে অবসর নিয়ে প্রশ্নের। তবে ভারতীয় এ তারকা জানালেন ক্রিকেট ছাড়লে হারিয়ে যাবেন তিনি, চলে যাবেন আড়ালে।

বেঙ্গালুরু ফ্র্যাঞ্চাইজির একটি অনুষ্ঠানে নিজের অবসর নিয়ে কথা বলেছেন কোহলি। সেখানে ডানহাতি এ ওপেনার বলেন, ‘সহজ কথায় বলতে গেলে আমি কোনো আক্ষেপ রেখে যেতে চাই না। মাঠ থেকে যা যা পাওয়ার, নিয়ে যেতে চাই। যতদিন খেলব নিজের সবটাই দিয়ে যাব, কিন্তু যখন খেলাটা শেষ করব, তখন চলে যাব, আপনারা আমাকে অনেক দিনের জন্য দেখবেন না (হাসি)।’

প্রতি ম্যাচে নিজের সেরাটা দেওয়ার তাড়না কোথায় পান- এ প্রশ্নে কোহলির উত্তর, ‘বিষয়টা সহজ। খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের ক্যারিয়ারের শেষ আছে। এটা ভেবে ক্যারিয়ার শেষ করতে চাই না- ওহ! ওই দিন যদি ওটা করতাম! কারণ, সারা জীবন তো খেলে যেতে পারব না। এটা আসলে অসমাপ্ত কাজ রেখে না যাওয়ার বিষয়, পরে অনুশোচনায় না ভোগার বিষয়, যেটা আমি নিশ্চিত, ভুগব না।’

বাকি ফরম্যাটগুলোয় তার ভবিষ্যৎ কী হবে, সেটি না জানা গেলেও সম্ভবত এ আসর শেষেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে তিনি নিজেকে গুটিয়ে নেবেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসেও সর্বোচ্চ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। ২৫ ইনিংসে অবিশ্বাস্য গড় ৮১.৫০ আর ১৩১.৩০ স্ট্রাইক রেটে কোহলি ১১৪১ রান করেছেন।

এদিকে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, সীমিত ওভারের ক্রিকেট থেকে অবসরের পর কোহলি হয়তো টেস্ট ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন বলে ধারণা অনেকের। কিন্তু বাস্তবিক ক্ষেত্রে সেই সম্ভাবনা কম। কারণ আগ্রাসী মনোভাবের ব্যাটার কোহলি ওয়ানডে ও টি-২০ খেলার যে লড়াই বা মজা, তার থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখে টেস্ট খেলার মানসিকতা খুব বেশি দিন থাকবে না। সে ক্ষেত্রে আপাদমস্তক ফ্যামিলিম্যান কোহলি পরিবারের সঙ্গেই সময় দেওয়াকে বেছে নিতে পারেন।


শুরুর প্রক্রিয়াতেই ক্ষুব্ধ হামজা চৌধুরী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

বাংলাদেশ ফুটবল দলে ভালো মানের খেলোয়াড়ের অভাব বেশ পুরোনো। কম সময়ের মধ্যে সে অভাব পূরণে ফুটবল বোদ্ধাদের দাবি, প্রবাসী ফুটবলারদের দলে ভেড়ানো। যার শুরুটা হয়েছিল জামাল ভূঁইয়াকে দিয়ে। ‍ফিনল্যান্ড ছেড়ে তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন লাল-সবুজের জার্সি গায়ে জড়াতে। এরপর নাম এসেছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরীর।

হামজাকে নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই দেশের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে। তার বাংলাদেশে আসা নিয়ে আলোচনা কিংবা গুঞ্জন অনেক দিনের। তার মতো ফুটবলারকে বেশ দরকারও বাংলাদেশ জাতীয় দলে। শুরুতে হামজার চিন্তা ছিল ইংল্যান্ড জাতীয় দল নিয়ে কিন্তু সে চিন্তা থেকে বের হয়ে এসেছেন তিনি। গায়ে জড়াতে চান লাল-সবুজের জার্সি।

ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে খেলার শুরু করে দিয়েছেন হামজা। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পর গত মঙ্গলবার তিনি বাংলাদেশের পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য আবেদন করতে গিয়েছিলেন লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে। তবে হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সহযোগিতা না পাওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে চলে গেছেন বলে হামজার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে।

অনলাইনে পাসপোর্টের আবেদন করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসসহ মাকে নিয়ে হাইকমিশনে গিয়েছিলেন হামজা। তবে তিনি ভিআইপি ট্রিটমেন্ট পাননি। একজন সাধারণ নাগরিকের মতো তার সঙ্গে আচরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি বাফুফের কর্মকর্তাদের অবহিত করেছেন হামজা।

হামজা চৌধুরী বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার আগ্রহ প্রকাশের পর বাফুফে থেকে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে সব ধরনের সহযোগিতার জন্যও বলা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে হামজা কোনো সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে।

লেস্টার সিটির একাডেমি থেকে উঠে আসা হামজা ক্লাবটির মূল দলের সঙ্গে যুক্ত হন ২০১৫ সালে। তবে প্রথম দুই বছর ধারে খেলেছেন বার্টন আলবিয়নে। ২০১৭ সালে লিভারপুলের বিপক্ষে লিগ কাপের ম্যাচ দিয়ে লেস্টার সিটির জার্সিতে অভিষেক হয় ডিফেন্সিভ এ মিডফিল্ডারের। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে দলটির হয়ে অধিনায়কত্বের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। গত মৌসুমে তার দল লেস্টার সিটি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ থেকে রেলিগেটেড হয়ে গেলেও এবার আবারও জায়গা করে নিয়েছে প্রিমিয়ার লিগে।

হামজা যদি বাংলাদেশের ফুটবলে যোগ দেয় তাহলে দেশের ফুটবলের সবচেয়ে বড় আইকন হবেন তিনি। পরিসরটাকে আরেকটু বড় করলে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলেরই বড় নাম হবেন তিনি। কিন্তু একজন ফুটবলার বাংলাদেশে খেলতে চাইছেন, তার জন্য সবকিছু সহজই তো হওয়ার কথা ছিল। হলো উল্টো। এরই মধ্যে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ফুটবলপ্রেমীদের।


টি-টোয়েন্টিতে শীর্ষে এখন বাবর আজম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমকে এখন রেকর্ডের বরপুত্র বললে কোনোভাবেই ভুল হওয়ার কথা নয়। একের পর এক রেকর্ড বই তছনছ করে দিচ্ছেন তিনি। বাবর যেন নিজেই নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মিশনে নেমেছেন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নেমেই ছুঁয়েছেন কয়েকটি রেকর্ড। সিরিজে শেষ ম্যাচে নাম লেখালেন আরেকটি রেকর্ড। আর এতে ছাড়িয়ে গেলেন ভিরাট কোহলিকে।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। এ ম্যাচে ৪২ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন বাবর। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ৩৯তম হাফসেঞ্চুরি। তাতে বিরাট কোহলিকে ছাড়িয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ফিফটির রেকর্ড গড়লেন তিনি। সিরিজে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে কোহলির চেয়ে এক ইনিংস কম খেলে তাঁর এই কীর্তি ছুঁয়েছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক।

টি-টোয়েন্টিতে ১১০টি ইনিংস খেলে বাবর আজমের হাফসেঞ্চুরি এখন ৩৯টি। ক্রিকেটের এ ছোট ফরম্যাটে ১০৯টি ইনিংস খেলা ভিরাট কোহলির হাফসেঞ্চুরি ৩৮। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে বাবর সবচেয়ে বেশি ৮টি ফিফটি করেছেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচও খেলেছেন সবচেয়ে বেশি- ২৬টি। এরপর সর্বোচ্চ ৫টি করে ফিফটি করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ৪টি ফিফটি আছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।

কোহলিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার দিনে বাবর সিরিজ জিতিয়েছেন তার দলকেও। দারুণ ফর্মে থাকা পাকিস্তানের এ ওপেনার সিরিজের প্রথম ও শেষ ম্যাচে করেছেন দুটি অর্ধশতক। প্রথম ম্যাচে হারলেও শেষ ম্যাচে পাকিস্তান জিতেছে তার ব্যাটে ভর করেই।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারের পর চরম সমালোচনার মুখে পড়েছিল পাকিস্তান। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে রিজওয়ান ও ফখর জামানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাবর আজমের দল। সিরিজে সমতা ফেরানোর পর মঙ্গলবার আবারও রিজওয়ান জ্বলে উঠলেন, এবার সঙ্গ পেলেন বাবরের কাছ থেকে। দুজনের ১০০ ছাড়ানো জুটিতে তৃতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজ ২-১ এ জিতল পাকিস্তান।

আয়ারল্যান্ড আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৭৮ রান করে। জবাবে বাবর ও রিজওয়ানের ৭৪ বলে ১৩৯ রানের ঝড়ো জুটিতে সহজ জয়ের ভিত গড়ে পাকিস্তান। এরপর বাবর-রিজওয়ান আউট হলেও জয়ের কাজটা সহজ হয়ে যায়। আগের ম্যাচে ঝড় তোলা আজম খান ১৭তম ওভারের শেষ দুই বলে টানা দুটি ছয় মেরে দলকে জেতান। ১৭ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮১ রান করে পাকিস্তান।

বিষয়:

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছেড়েছেন টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

যুক্তরাষ্ট্র-ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে দেশ ছেড়েছেন বাংলাদেশের টাইগাররা। বৃহস্পতিবার শেষ রাতের দিকে বিসিবির বিশ্বকাপ দল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে উড়াল দেয় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট।

পরিবর্তিত পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নিতে বিশ্বকাপ শুরুর আগে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর তাদের ভারত ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা।

আগামী ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ। ডালাসে হতে যাওয়া ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টায়। টাইগারদের পরের ম্যাচ ১০ জুন সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে নিউ ইয়র্কে। দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে রাত সাড়ে ৮টায়।

পরের দুটি ম্যাচ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাবে টাইগাররা। ১৩ জুন সেন্ট ভিনসেন্টে রাত সাড়ে ৮টায় নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। একই ভেন্যুত আগামী ১৭ জুন ভোর সাড়ে ৫ টায় শেষ ম্যাচে টাইগারদের প্রতিপক্ষ নেপাল।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বিগত আসরগুলো থেকে ভালো কিছু অর্জনে বারবার ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। তাই এবার প্রত্যাশায় লাগাম টেনে বিশ্বকাপ মিশনে নামবেন সাকিব-শান্তরা। অন্তত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের মত তা-ই।

আসন্ন বিশ্বকাপে টাইগারদের স্কোয়াডে রিজার্ভ খেলোয়াড় হিসেবে রাখা হয়েছে আফিফ হোসেন ধ্রুব ও হাসান মাহমুদকে। দলের অন্য কোনো সদস্য ইনজুরিতে পড়লে তবেই ডাক পেতে পারেন তারা।

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড

নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাসকিন আহমেদ (সহ-অধিনায়ক), লিটন দাস, সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, সাকিব আল হাসান, তৌহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, মোহাম্মদ তানভীর ইসলাম, শেখ মেহেদী, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব।


স্বঘোষিত সুপারম্যান ইব্রাহিমোভিচ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ! এক স্বঘোষিত ফুটবলের সুপারম্যান। তবে দর্শকদের কাছেও তিনি, সুপার নাহলেও কম কিছু নয়। বল পায়ে দারুণ কারুকাজে ফুটবলের ওই মাঠটাকে আপন করে নিয়েছিলেন। নিজের ফুটবল শৈলী প্রদর্শন করেছেন ইউরোপের অনেক দেশে। যেখানেই গিয়েছেন সাফল্য তাকে ছেড়ে যাননি; নামের পাশে লিখেছেন এসেছেন বিশেষ কিছু। অর্জনের পাশাপাশি গর্জনের কারণেও আলোচনায় এসেছেন তিনি। ইব্রাহিমোভিচ ছিলেন ক্ষ্যাপাটে স্বভাবের এক ফুটবলার। সতীর্থের সঙ্গে মারামারি করে ভেঙেছিলেন নিজের মেরুদন্ডের হাড়। তবে বিতর্ক বাদ দিলে এ সুইডিশ ফুটবলার যুগ যুগ ধরে আলোচনায় থাকবেন তার ফুটবলীয় অর্জন দিয়েই। ১০ বছরে ৫টি ভিন্ন ক্লাবের হয়ে ৯ বার লিগ জিতেছেন।

তবে ইব্রার শৈশবটা এতোটা সহজ ছিল না। ১৯৮১ সালে সুইডেনের তৃতীয় বৃহত্তম শহর মালমোর অভিবাসী অধ্যুষিত রোজেনগার্ড শহরতলীতে জন্ম ইব্রার। যেখানে ছিল শুধুই মদ আর জুয়ার আসর। আর সেই বিপথগামী শহরেই আশির দশকে বেড়ে ওঠা জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের। তার উপর আবার মাত্র দুই বছর বয়সেই বিচ্ছেদ হয় বাবা-মায়ের; যার খারাপ প্রভাব পড়ে ইব্রার মাঝেও। শৈশব পেরিয়ে কৈশোরে পা দিতেই রুক্ষ, খিটখিটে আর মেজাজি চরিত্রের স্বভাব ভর করে ইব্রাহিমোভিচের ওপর। রোজেনগার্ডের বিপথগামী, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মদের নেশা হয়ে ওঠে তাঁর জীবন। সেখান থেকে ইব্রার জীবনে মুক্তির পথ খুঁজে দেয় ফুটবল।

ইব্রার বয়স যখন ১৫, তখন ফুটবল খেলার পাশাপাশি মালমো ডকে কাজ শুরু করলেন তিনি। একটা সময় পরে ফুটবলটাই ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কোচের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত ফুটবলটা আর ছাড়তে পারেননি ইব্রা। ১৭ বছর বয়সে যোগ দিলেন নিজের শহরের সবচেয়ে বড় ক্লাব মালমোতে। ১৯৯৯ সালে এই দলের হয়েই পেশাদার ফুটবলে অভিষেক হয় ইব্রার। সেখান থেকেই ইব্রাহিমোভিচের ভাগ্যের বাঁক বদল ঘটে যায়।

এরপর ইব্রা গায়ে জড়িয়েছেন আয়াক্স, জুভেন্টাস, ইন্টার মিলান, বার্সেলোনা, পিএসজি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, লা গ্যালাক্সি আর ক্যারিয়ারের শেষটা করেন এসি মিলান দিয়ে। জাতীয় দলেরও সফল তারকা তিনি। সুইডেনের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি।

পুরো নাম: জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ

জন্ম: ৩ অক্টোবর ১৯৮১ সাল।

জন্মস্থান: মালমো, সুইডেন।

রাশি: তুলা রাশি।

প্রিয় খেলা: সকার ফুটবল, আমেরিকান ফুটবল।

প্রিয় খাবার: ইতালিয়ান খাবার।

প্রিয় পানীয়: স্ট্রবেরি জুস।

প্রিয় রং: সাদা।

প্রিয় ফুটবলার: স্যামুয়েল ইতো।

প্রিয় ফুটবল দল: ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

প্রিয় সতীর্থ: কার্লেস পুয়েল, ফ্রান্সিসকো টটি, রবিনহো, পল পগবা।

প্রিয় গাড়ি: ল্যাম্বরগিনি ভেনেনো।

প্রিয় স্টেডিয়াম: সানসিরো স্টেডিয়াম, ইতালি।

প্রিয় জায়গা: লোফোটেন।

প্রিয় শখ: ফুটবল খেলা, ভিডিও গেমস খেলা, পোকার খেলা, টিভি সিরিজ দেখা।

প্রিয় জুতার ব্র‌্যান্ড: অ্যাডিডাস।


banner close