সোমবার, ২০ মে ২০২৪

বিশ্বজয়ী একমাত্র প্রোটিয়া গ্যারি কার্স্টেন

ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৩ মার্চ, ২০২৪ ১৩:১৬

বিশ্বে দক্ষিণ আফ্রিকা অন্যতম দেশ যাদের কখনো তারকা শূন্য থাকতে হয়নি। বছরের পর বছর, দশকের পর দশক, যুগের পর যুগ প্রোটিয়াদের জার্সিতে ২২ গজ মাতিয়েছেন সব তারকারা; কিন্তু প্রত্যেককেই একটা আফসোস নিয়েই ক্যারিয়ার শেষ করতে হয়েছে; একটা বিশ্বকাপ! গ্যারি কার্স্টেনের ক্যারিয়ারও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে তিনি অবশ্য সেই আক্ষেপ পূরণ করেছেন কোচিং ক্যারিয়ারে এসে।

১৯৯৩ সালে একদিনের ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সিতে অভিষেক হয় গ্যারি কার্স্টেনের। ওই বছরেই মেলবোর্নে অজিদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ক্রিকেটের রাজসিক ফরম্যাট টেস্ট ক্রিকেটে পথচলা শুরু হয় তার। শুরুর পরে আর কখ‌নও পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি গ্যারি কার্স্টেনকে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি এ ওপেনার ছিলেন ধৈর্যের মূর্তপ্রতীক। ইনিংস ওপেন করতে নেমে বাকিরা খালি হাতে ফিরে গেলেও প্রিয়তমার মতো একপাশ আগলে রেখেছেন তিনি। ডারবানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফলোঅনে পড়ার পর সাড়ে ১৪ ঘণ্টা ক্রিজে থেকে যেমন গড়েছেন রেকর্ড, তেমনি দলকে জিতিয়েছেন নিশ্চিত হেরে যাওয়া ম্যাচ। পাকিস্তানের হানিফ মোহাম্মদের ৯৭০ মিনিটের ইনিংসের গড়া পর বিশ্বরেকর্ড দ্বিতীয় মন্থরতম ইনিংস।

প্রোটিয়াদের জার্সিতে প্রথম ১০০ টেস্ট খেলা ক্রিকেটার গ্যারি কার্স্টেন। তার উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের বর্ণনা পাওয়া যায় আরেকটি রেকর্ড থেকে। তার সময়ে টেস্ট খেলা সকল দেশের বিপক্ষেই সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। শুধু টেস্টই নয়, ওয়ানডেতেও রেকর্ড আছে তার নামের পাশে। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে তাঁর খেলা ১৮৮ রানের দুর্দান্ত ঐ ইনিংসটি এখনও দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ।

২০০৩ সালে ওয়ানডে আর ২০০৪ সালে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান তিনি। সেসময় ১০১ টি টেস্ট ম্যাচে ২১ টি সেঞ্চুরিতে ৭ হাজার ২৮৯ রানে তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে হয়ে টেস্টে সবচেয়ে বেশি রান ও সেঞ্চুরির রেকর্ড। ১৮৫ ওয়ানডেতে ১৩ সেঞ্চুরিতে করেছেন ৬ হাজার ৭৯৮ রান।

কোচিং ক্যারিয়ারে ২০১১ সালে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করে গায়ে জড়ান ‘বিশ্বচ্যাম্পিয়ন’ কোচের তকমা।

পুরো নাম- গ্যারি কার্স্টেন।

জন্ম- ২৩ নভেম্বর, ১৯৬৭ সাল।

জন্মস্থান- কেপটাউন, দক্ষিণ আফ্রিকা।

রাশি: ধনু রাশি।

প্রিয় খেলা: ক্রিকেট।

প্রিয় খাবার: মাংসের ঝোল।

প্রিয় পানীয়: ফ্রুট জুস।

প্রিয় রং: কালো।

প্রিয় ক্রিকেটার: ভিভ রিচার্ডস।

প্রিয় ক্রিকেট দল: দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল।

প্রিয় সতীর্থ: জ্যাক ক্যালিস।

প্রিয় গাড়ি: মার্সিডিজ বেঞ্জ।

প্রিয় শখ: ভ্রমণ, সিনেমা দেখা।

প্রিয় জুতার ব্র‌্যান্ড: অ্যাডিডাস।


ধোনির অবসরের ইঙ্গিত দিলেন কোহলি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

ভারতীয় ক্রিকেটে মহেন্দ্র সিং ধোনি নামটি জ্বলজ্বল করবে আজীবন। ধোনির নেতৃত্বেই শেষবার বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছে ভারত। ভারতের জার্সিতে বহু ম্যাচের জয়ের নায়ক তিনি। যেমন ব্যাট হাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তেমনি দলনেতা হিসেবেও পথ চিনিয়েছেন গোটা দলকে। চনমনে ধোনি উইকেটের পেছন থেকেও ভয় দেখিয়েছেন প্রতিপক্ষকে; গড়েছেন অনেক রেকর্ডও।

ইতোমধ্যেই জাতীয় দলকে বিদায় জানিয়েছেন তিনি। ২০২০ সালের ১৫ আগস্ট হঠাৎ করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ভারতীয় এই কিংবদন্তি। তারপর থেকে শুধু আইপিএল টুর্নামেন্টেই ধোনিকে দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু সেটাও আর কতদিন? বয়সটা যে তেতাল্লিশ ছুঁইছুঁই, ১৯৯৯ সালে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট দিয়ে শুরু এখন ২০২৪ সাল। ২৫ বছরের লম্বা ক্যারিয়ার।

তাই প্রতিবছরই আইপিএল আসে, আর প্রতিবারই প্রশ্ন ওঠে! এবারই কি শেষ? গত কয়েক আসরে এমন প্রশ্ন অসংখ্যবার শুনেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। প্রতিবারই তার জবাব ছিল, না। চলতি আসরে অবশ্য চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক হিসেবে খেলছেন না তিনি। তাই পোস্ট ম্যাচ প্রেজেন্টেশনে বা সংবাদ সম্মেলনেও আসা হয় না তার।

আইপিএল এখন শেষের দিকে। গতকাল বাঁচা-মরার লড়াইয়ে চেন্নাইয়ের মুখোমুখি হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ধোনির সঙ্গে এটাই কি শেষ ম্যাচ? বিরাট কোহলির মনেও উঁকি দিচ্ছে সেই প্রশ্ন। ইঙ্গিত দিলেন এবারের আসর শেষেই হয়তো অবসর নিতে পারেন ধোনি।

কোহলি বলেন, ‘ভারতের যেকোনো স্টেডিয়ামে তাকে খেলতে দেখাটা বড় বিষয়। আমি আর তিনি হয়তো শেষবারের জন্য একসঙ্গে খেলছি। এটা একটা বিশেষ ব্যাপার। আমাদের দুর্দান্ত কিছু স্মৃতি রয়েছে। জাতীয় দলের হয়ে বেশ কিছু দারুণ পার্টনারশিপ রয়েছে। আমাদের একসঙ্গে দেখতে পাওয়াটা সমর্থকদের কাছে বড় বিষয়। মানুষ বলে কেন তিনি ২০ ওভার, ৫০ ওভার পর্যন্ত খেলা টেনে নিয়ে যান। কিন্তু তিনি ভারতের হয়ে কয়টা ম্যাচ ফিনিশ করেছেন!’

ভারতের বর্তমান এ তারকা বলেন, ‘সম্ভবত তিনিই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি কী করতে চলেছেন, সেটা জানেন। সেখান থেকেই তিনি ম্যাচ ফিনিশ করতেন। আমার কাছে এটা মাসল মেমরি। তিনি জানেন, তিনি যদি ম্যাচ ৫০ ওভার পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে পারেন, তাহলে ম্যাচ বের করে ফেলবেন।’

কোহলি আরও বলেন, ‘আমার মানসিকতা আবার একটু আলাদা। আমি ভাবতাম, চলো ৪৯তম ওভারে (ওয়ানডেতে), ১৯তম ওভারে (টি২০-তে) ম্যাচ ফিনিশ করে ফেলি। তিনি যদি আমার সঙ্গে ব্যাট করেন তাহলে তার চিন্তাভাবনা আলাদা হবে। তিনি শেষ ওভারে ম্যাচ নিয়ে যাবেন- যেখানে প্রতিপক্ষ দল কাঁপতে থাকবে ভয়ে।’


মাঝমাঠের হৃৎপিণ্ড পল পগবা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

২০১৮ সালে ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ের পেছনে বড় অবদান ছিল দলটির মিডফিল্ডার পল পগবার। ফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে হারানোর সে ম্যাচে গোলও করেছিলেন তিনি। নিজের পায়ের কারুকার্য দিয়ে মন জয় করে নেন ফুটবলপ্রেমীদের। ফ্রান্সে যত অভিবাসী ফুটবলার খেলেছেন তিনিও তাদের মধ্যেই একজন।

১৯৯৩ সালে পগবার জন্ম ফ্রান্সের লানি-সুর-মার্ন অঞ্চলে। তবে পগবার বাবা-মা গিনির অধিবাসী। বড় দুই ভাই ম্যাথিয়াস পগবা আর ফ্লোরেন্তিন পগবার জন্মের পর পুরো পরিবার সহ ফ্রান্সে পাড়ি জমায় এই গিনিয়ান পরিবার। ছোট বেলা থেকেই ফ্রান্সের মাটিতে ফুটবল খেলে বেড়ে উঠেছেন। নজর কাড়েন বড় বড় ক্লাবগুলোর।

১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে, পগবার ফুটবলে আনুষ্ঠানিক হাতেখরি ফরাসি ফুটবল ক্লাব রোয়াসি-অঁ-ব্রিয়ের যুব দলের হয়ে। এরপর সেখান থেকে পাড়ি জমান তর্সি, ল্য আভ্র এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের যুব দলের হয়ে। সেখান নিজের প্রতিভার প্রমাণ দিয়ে জায়গা করে নেন ইউনাইটেডের মুল দলে। সেখান পাড়ি জমান জুভেন্তাসে। পড়বার ক্যারিয়ারের ভালো সময়টা কাটে এখানেই। ২০১৬ সালে ১০৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে আবার সেই ওল্ড ট্রাফোর্ডে ফিরেন এই প্রতিভাবান মিডফিল্ডার। কিন্তু এরপর আর তেমন কিছুই করতে পারেনি।

ফ্রান্স অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে দুর্দান্ত খেলতে থাকেন পগবা। দলটির হয়ে বিশ্বকাপও জেতেন তিনি। সেটার পুরস্কার হিসেবেই ২০১৩ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সেই অভিষেক হয় ফ্রান্স জাতীয় দলে। তবে পগবা হুট করেই জাতীয় দলে ডাক পায়নি; জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিল নির্দিষ্ট পক্রিয়া অনুরসরন করেই। পগবা ফ্রান্স অনূর্ধ্ব-১৬, ফ্রান্স অনূর্ধ্ব-১৭, ফ্রান্স অনূর্ধ্ব-১৮, ফ্রান্স অনূর্ধ্ব-১৯ এবং ফ্রান্স অনূর্ধ্ব-২০ সহ প্রায় সব অনূর্ধ্ব দলেই খেলেছেন।

ইতোমধ্যেই ফ্রান্সের মুল দলের হয়েই খেলেছেন দুইটি বিশ্বকাপ। ফ্রান্সের হয়ে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ জেতার পর জাতীয় দলের হয়েও এই বয়সেই খেলে ফেলেছেন ৬০টি ম্যাচ, করেছেন ১০টি গোল। জিতেছেন সবচেয়ে আরাধ্য ট্রফি বিশ্বকাপও। এরই মধ্যে ফ্রান্সের মাঝমাঠের হৃৎপিণ্ড হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

পুরো নাম: পল লাবিল পগবা

জন্ম: ১৫ মার্চ ১৯৯৩ সাল।

জন্মস্থান: লানি-সুর-মার্ন, ফ্রান্স।

রাশি: মীন রাশি।

প্রিয় খেলা: ফুটবল, বাস্কেটবল।

প্রিয় খাবার: ফরাসি খাবার।

প্রিয় পানীয়: জুস।

প্রিয় রং: সাদা।

প্রিয় ফুটবলা: ডেভিড বেকহ্যাম।

প্রিয় সতীর্থ: কিলিয়ান এমবাপ্পে।

প্রিয় স্টেডিয়াম: স্তাদ দ্য ফ্রান্স, ফ্রান্স।

প্রিয় ফুটবলার: কিলিয়ান এমবাপ্পে।

প্রিয় ফুটবল দল: ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ফ্রান্স ফুটবল দল।

প্রিয় গাড়ি: ব্রেন্টলি চেন্টাগায়া।

প্রিয় শখ: কার্টুন দেখা।

প্রিয় স্থান: প্যারিস।

প্রিয় জুতার ব্র্যান্ড: নাইকি।


মেসির চুক্তিপত্রের দাম ১১ কোটি টাকা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

শৈশবেই মুগ্ধতা ছড়িয়েছিলেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। ১৩ বছর বয়সী মেসির বাঁ-পায়ের জাদুতেই বুঁদ হয়ে পড়েছিল ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলো। বিস্ময় জাগানীয়া এ কিশোরের দিকে তখন নজর বড় বড় ক্লাবগুলোর স্কাউট এবং স্পোর্টিং ডিরেক্টরদের। সেই তালিকায় ছিলেন বার্সেলোনার তৎকালীন স্পোর্টিং ডিরেক্টর কার্লেস রেক্সাসও। সেদিনের কিশোর মেসির মধ্যেই তিনি দেখতে পেয়েছিলেন আজকের মেসিকে। এমন একটি প্রতিভাকে হারানোর দুঃসাহস তিনি করেননি। চুক্তির কাগজপত্র না থাকায় একটি ন্যাপকিন পেপারেই সারেন কাজ।

বার্সেলোনার সঙ্গে মেসির সেই চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার ন্যাপকিন পেপারটি তোলা হয়েছিল নিলামে। ঐতিহাসিক সেই ন্যাপকিন পেপারটি গড়েছে আরেক ইতিহাস; ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকায় বিক্রি হলো মেসির স্বাক্ষরিত সেই ন্যাপকিন।

একটি সাধারণ ন্যাপকিন পেপার। খাওয়ার পর হাত মুছে বিনা সঙ্কোচে ফেলে দেন অনেকেই। কিন্তু সেই ন্যাপকিনেই যদি থাকে লিওনেল মেসির স্বাক্ষর? তাও আবার একটি ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী বহন করছে যে পেপারটি, তার মূল্য যে আকাশছোঁয়া হবে, সেটা ছিল জানা কথা।

মাত্র ১৩ বছর বয়সে মেসির বাবা হোর্হে মেসির সঙ্গে একটি হোটেলে আলোচনায় বসেছিলেন বার্সেলোনার তৎকালীন স্পোর্টিং ডিরেক্টর কার্লেস রেক্সাস। তখনও মেসিকে সই করানোর বিষয়ে কাগজপত্র তৈরি হয়নি। কিন্তু আর্জেন্টাইন ক্ষুদে ফুটবলারের প্রতিভা বুঝতে একটুও অসুবিধা হয়নি রেক্সাসের। কোনো মতেই এমন ফুটবলারকে সই করানোর সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি রেক্সাস।

সেই হোটেলের একটি ন্যাপকিন পেপারেই মেসিকে দিয়ে প্রাথমিক স্বাক্ষর করিয়ে নেন। ন্যাপকিন পেপারটির লেখার বক্তব্য অনুযায়ী, ১৪ ডিসেম্বর ২০০০ সালে বার্সেলোনার হয়ে প্রথমবার কোনো চুক্তিতে সই করেছিলেন মেসি। সেখানে রেক্সাস ছাড়াও হোসে মিঙ্গুয়েলা এবং আর্জেন্টিনায় মেসির এজেন্ট হোরাসিও গ্যাগিওলি ছিলেন। রেক্সাস প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, মেসিকে নিজের তত্ত্বাবধানে যত্নে রাখবেন।

পরে এক সাক্ষাৎকারে রেক্সাস জানিয়েছিলেন, হাতের কাছে আর কিছু না পেয়েই ন্যাপকিন পেপারে স্বাক্ষর করিয়েছিলেন মেসিকে। মেসির বাবাকে রাজি করিয়েছিলেন এই বলে যে, তার নাম থাকলে বিশ্বাসযোগ্যতা থাকবে এই স্বাক্ষরের।

এত দিন সেই ন্যাপকিন অ্যান্ডোরার একটি ভল্টে লুকিয়ে রাখা ছিল। হোরাসিও গ্যাগিওলির তত্ত্বাবধানেই ছিল পেপারটি। এর মধ্যেই মেসি বার্সেলোনার ইতিহাসে সর্বকালের সেরা ফুটবলার হয়ে ওঠেন। বেশ কয়েক বছর হলো সেই ক্লাব ছেড়েও দিয়েছেন।

এত দিনে সেই ন্যাপকিন পেপারকে ব্রিটিশ নিলাম হাউজ বোনহামসের মাধ্যমে নিলামে তুললেন গ্যাগিওলি। নিলামে এর ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছিল ৩ লাখ পাউন্ড (প্রায় ৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা)। সেই ন্যাপকিন পেপারটি শেষ পর্যন্ত বিক্রি হলো ৭ লাখ ৬২ হাজার পাউন্ডে।

বিষয়:

ঝড়ে লণ্ডভণ্ড স্টেডিয়াম, ‘অনিশ্চিত’ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্স। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে ভয়াবহ ঝড় হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এই ঝড়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭ জন। এই ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্স। এখানেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলার কথা বাংলাদেশের।

আগামী ২১, ২৩ ও ২৫ মে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে ম্যাচগুলো। তবে ক্রিকেট ভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি পিটার ডেল্লা পেন্না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ জানিয়েছেন, এই ম্যাচগুলো হওয়া এখন অনিশ্চিত।

তিনি লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজ হওয়া এখন অনিশ্চিত হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার বড় একটি ঝড় হয়ে গেছে হিউস্টনে। সম্প্রতি তৈরি করা প্রেইরি ক্রিকেট কমপ্লেক্সের বেশিরভাগ স্থাপনাই তাতে ধ্বংস হয়ে গেছ।’

এর আগে বিশ্বকাপের উদ্দেশে গত ১৫ মে রাত ১টা ৪০ মিনিটের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে দেশ ছাড়ে বাংলাদেশ দল। দুবাই হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান সাকিব-মাহমুদুল্লাহরা।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ‘ডি’ গ্রুপে দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলংকা, নেপাল ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। ৮ জুন শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করবে টাইগাররা। এরপর গ্রুপ পর্বে ১০ জুন দক্ষিণ আফ্রিকা, ১৩ জুন নেদারল্যান্ডস এবং ১৭ জুন নেপালের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।


বার্সেলোনার ত্রাতা লোপেজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

গত ম্যাচে জয়ের পরই জানা গিয়েছিল শেষ তিন ম্যাচ জিতে রানার্সআপ হয়ে সম্মানের সঙ্গেই মৌসুম শেষ করতে চায় বার্সেলোনা। কারণ শিরোপার আশা ইতোমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। সেই লক্ষ্যে প্রথম ধাপটা ভালোভাবেই উৎরে গেল জাভি হার্নান্দেজের দল। এবার বার্সার ত্রাতা ফের্মিন লোপেজ। তার জোড়া গোলেই জয়ের স্বাদ পেয়েছে কাতালানরা।

বৃহস্পতিবার রাতে লা লিগার ম্যাচে প্রতিপক্ষ আলমেরিয়ার মাঠ থেকে ২-০ গোলের জয় নিয়ে ঘরে ফিরেছে জাভি হার্নান্দেজের দল। এ জয়ে ৩৬ ম্যাচে ২৪ জয় ও ৭ ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট হলো ৭৯। সমান ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে জিরোনা। আগেই শিরোপা জেতা রেয়াল মাদ্রিদের ৯৩ পয়েন্ট। বাকি আর দুই রাউন্ড।

ম্যাচজুড়ে চমৎকার খেললেন ফের্মিন লোপেজ। দুই অর্ধে করলেন একটি করে গোল। লিগ টেবিলের তলানির দল আলমেরিয়াকে হারিয়ে দ্বিতীয় স্থান মজবুত করল বার্সেলোনা। অন্যদিকে বার্সেলোনার কোচ হিসাবে লা লিগায় জাভির শততম ম্যাচ ছিল এটি। উপলক্ষটা জয়ে রাঙালেন দলটির সাবেক এই মিডফিল্ডার।

শুরু থেকে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা দলটাকে চেপে ধরে বার্সেলোনা। গোলের দেখা পেতে খুব একটা দেরি হয়নি তাদের। ১৪তম মিনিটেই এগিয়ে যায় সফরকারীরা। বাম দিক থেকে ১৭ বছর বয়সী ডিফেন্ডার এক্তর ফোর্তের ক্রসে ছয় গজ বক্সে দারুণ হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন ফের্মিন।

দ্বিতীয়ার্ধেও একই ধারা বজায় রাখে বার্সেলোনা। তবে খুব সহজে গোল আসছিল না। অবশেষে দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় কাতালুনিয়ারা। ৬৭তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল পূর্ণ করেন ফের্মিন লোপেজ। বাম দিক থেকে সের্হি রবের্তো পাস দেন বক্সে, ছুটে গিয়ে প্রথম স্পর্শে বাম পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন ফের্মিন।

বার্সেলোনার মূল দলের হয়ে অভিষেক মৌসুমে ২১ বছর বয়সী স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের গোল হলো ১০টি, মৌসুমে দলটির কোনো মিডফিল্ডারের যা সর্বোচ্চ।

বাকি সময়ে সুযোগ পেলেও সেটাকে আর গোলে রূপান্তর করতে পারেনি জাভি হার্নান্দেজের দল। ফলে ২-০ গোলের জয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের। অন্যদিকে ঘরের মাঠেও কোনো গোলের দেখা পায়নি স্বাগতিক আলমেরিয়া।

৩৬ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে ১৮ নম্বরে আছে আলমেরিয়া। স্পেনের শীর্ষ লিগ থেকে তাদের অবনমন নিশ্চিত হয়েছে আগেই।


পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ দেখছেন কারস্টেন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

বিশ্বকাপের আগেই পাকিস্তানের কোচিং প্যানেলে আমূল পরিবর্তন এনেছে বোর্ড। ঢেলে সাজানো হয়েছে তিন ফরম্যাটের কোচিং স্টাফ। ভিন্ন ভিন্ন ফরম্যাটের জন্য ভিন্ন ভিন্ন কোচ নিয়োগ দিয়েছে পিসিবি। পরিবর্তন এসেছে অধিনায়কত্বেও; শাহীন আফ্রিদিকে সরিয়ে আবারও আস্থা রেখেছে বাবর আজমের ওপরই। তিনিও নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছেন দায়িত্ব।

সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ম্যান ইন গ্রিনদের এ ফরম্যাটের কোচ দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক তারকা গ্যারি কারস্টেন। বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান। সে সিরিজ দিয়েই দায়িত্ব নেবেন গ্যারি কারস্টেন। তবে অধিনায়ক বাবরের ঘাড় থেকে দায়িত্বের বোঝা কমাতে চান তিনি। বাবর আজমের ওপর অতিনির্ভরশীলতা মোটেও তার প্রতি ন্যায্য নয় বলেও মনে করেন তিনি।

টকস্পোর্টে কথা বলার সময় কারস্টেন বাবর প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা (বাবরের ওপর নির্ভরশীলতা) কোনো খেলোয়াড়ের জন্যই ন্যায্য নয়। দলের জন্য সব সময়ই কিছু করতে হবে, তার এমন বোধ হওয়া উচিত নয়। আমার বাবরের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। সে দারুণ করেছে, দলের অনেকটা বোঝা সে নিজের কাঁধে বহন করে। কোচিং স্টাফ হিসেবে আমরা যা করব, সেই বোঝার ভার একটু কমাব। তাকে বোঝাতে হবে, সে একটা দলের একজন খেলোয়াড় মাত্র। সে নিজেকে আরেকটু স্বাধীনতা দিতে পারে সহজাত খেলাটা খেলতে।’

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচে ৪২ বলে ৭৫ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলেন বাবর। কারস্টেনের আশা, সামনে এমন আরও ইনিংস দেখা যাবে, ‘আমার মনে হয় তার ওই স্বাধীন সত্তাটা যদি বের করে আনতে পারি এবং আমরা বুঝাতে পারি যে বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ম্যাচ জয়ে অবদান রাখার মতো আরও খেলোয়াড় আছে, তাহলে তার ওপর থেকে অনেকটা চাপ কমে আসবে।’

এবারের বিশ্বকাপেও পাকিস্তান বেশ শক্তিশালী দল। পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনাও দেখেছেন অনেকেই। সেই দলেরই নতুন কোচ গ্যারি কার্স্টেন। তিনি বলেন, ‘আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমাদের সামর্থ্য দেখানো ও শক্তিশালী দল হিসেবে নিজেদের অতীত অর্জনকে ধরে রাখার দারুণ এক সুযোগ।’ সে জন্য তিনি মনে করেন, ‘সম্মিলিত চেষ্টা, যথাযথ পরিকল্পনা এবং একে অপরের প্রতি সমর্থনের ওপর সাফল্য নির্ভর করে। শিরোপার জন্য অন্য ১৯টি দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করতে হবে।’

পাকিস্তানের মতো আন্তর্জাতিক দলের হয়ে কাজ করতে পেরে নিজের খুশির কথাও জানান বিশ্বকাপ জয়ী এ কোচ।


রোনালদোর কাছে এটা অবিশ্বাস্য

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

২০ বছরের শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবল ক্যারিয়ার, বয়সটাও চল্লিশ ছুঁইছুঁই; কিন্তু পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো যেন এখনো চির তরুণ। রোনালদো যেন ওয়াইনের মতো- যতই পুরোনো হচ্ছে, ততই স্বাদ বাড়ছে। এ বয়সে এসে যখন সবাই বুট জোড়া তুলে রেখে একটু আরাম-আয়েসে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চান, সিআরসেভেন তখন সৌদি আরবে সাজাচ্ছেন গোলের পসরা। একটুও কমেনি তার পুরোনো সেই গতি কিংবা শারীরিক শক্তি। তরুণদের চেয়েও তিনি তরুণ। বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এভাবেই উঁচুমানের খেলা চালিয়ে যেতে চান এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।

সৌদি ক্লাব আল নাসরের হয়ে চলতি মৌসুমে ৪১ ম্যাচ খেলে ৪২ গোল করেছেন রোনালদো। লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতাও তিনিই। স্বাভাবিকভাবেই গোল বুট জয়েরও দ্বারপ্রান্তে তিনি। ক্যারিয়ারের এমন পড়ন্ত বেলায়ও নিজেকে ধারাবাহিক রাখতে পেরে গর্বিত বোধ করেন তিনি। শুধু তাই নয়, অবিশ্বাস্যও লাগে তার কাছে।

এক পডকাস্টে রোনালদো বলেন, ‘এই বয়সে এখনো সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে যাওয়ায় আমি গর্বিত বোধ করি। এটাই আমাকে চালিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দেয়। গত ২০ বছরে আমার ক্যারিয়ারের দিকে তাকালে দেখবেন, আমার মানটা উঁচুতে আছে। ২০ বছর ধরে শীর্ষ পর্যায়ে থাকাটা অবিশ্বাস্য। আমি সেটা করছি এবং করতে থাকি। আমার কাছে এটি একটি বড় অর্জন।’

এই বয়সে এসেও শীর্ষ পর্যায়ে থাকা যে সহজ নয় সেটা মানেন, ‘এই (শীর্ষ) পর্যায়ে থাকাটা সহজ নয়। নিজেকে তাড়না দিতে, অনুপ্রাণিত করতে, চালিয়ে যেতে, গোল করতে, ভালো ছন্দে থাকতে, উঠে আসা তরুণ সিংহদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে শুধু শারীরিকভাবেই নয়, মানসিকভাবেও খুব ভালোভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। এটাই চ্যালেঞ্জ।’

ক্যারিয়ার দীর্ঘ করার জন্য প্রতিভা ও পরিশ্রম দুটোই দরকার বলে মনে করেন রোনালদো। একই সঙ্গে বজায় রাখতে হবে ধারাবাহিকতাও। তিনি বলেন, ‘প্রতিভা ছাড়া পরিশ্রম এবং পরিশ্রম ছাড়া প্রতিভা কিছুই নয়। দুটোই একসঙ্গে থাকা দরকার। আমার মধ্যে দুটোই আছে। অবশ্য এটা বলতে পারি না, একটার চেয়ে অন্যটা বেশি আছে। ছোট বিষয়গুলোই পার্থক্য তৈরি করে দেয়। তাই ধারাবাহিকতা ধরে রাখা সবচেয়ে কঠিন জিনিস।’

রোনালদো একটি ব্র্যান্ড! বিশ্বের অনেক তরুণই তার মতো হতে চায় কিন্তু সেটা সহজ বলেই জানালেন তিনি, ‘সবাই ক্রিস্টিয়ানো হতে চায়, কিন্তু তেমনটা হওয়া কঠিন। নিজেকে শৃঙ্খলার মধ্যে রাখাটা সবচেয়ে কঠিন ব্যাপার। কখনো কখনো নিজের মনের বিরুদ্ধে লড়াই করি আমি, আমরা সবাই মানুষ। অবশ্যই প্রতিদিন জিমে যেতে আমারও ভালো লাগে না, কারোরই লাগে না; কিন্তু তা করতে হবে।’

বিষয়:

ফিনিশিংয়ের বস ডোয়াইন ব্রাভো

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

বল হাতে প্রতিপক্ষকে কঠিন মুহূর্তে চেপে ধরা, ব্যাট হাতে দলের হাল ধরা, ফিল্ডিংয়ে নেমে দুর্দান্ত কিছু রান আটকানো বা ক্যাচ লুটে নেওয়া; এগুলোই একজন আদর্শ অলরাউন্ডারের বৈশিষ্ট্য। আর এর সবটাই উপস্থিত ক্যারিবীয় তারকা ডোয়াইন ব্রাভো। ব্যাট হাতে তিনি দুর্দান্ত এক ফিনিশার। পরিস্থিতি বুঝে ব্যাট করায় তার ‍জুড়ি নেই। তিনি ডেথ ওভারের তুখোড় বোলার। বিরল প্রজাতির পেস বোলিং অলরাউন্ডার তিনি। তার নিখুঁত পারফরম্যান্স দিয়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন পুরো ক্রিকেট বিশ্ব।

ডোয়াইন ব্রাভো ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে পরিচিত আরেকটা কারণে, ক্যারিবীয় ক্রিকেটারদের উপস্থিতি কিংবা উদ্‌যাপন সব সময়ই ক্রিকেট মাঠে বাড়তি সৌন্দর্য ছড়ায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার ডোয়াইন ব্রাভোও তার ব্যতিক্রম নন। বিশেষ করে উইকেট পাওয়ার পর তার নাচ আইপিএলের অন্যতম ট্রেডমার্ক দৃশ্য। তবে এসবের মাঝেও লুকিয়ে আছে বিরাট এক সৌন্দর্য।

দুইটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য তিনি। নিজের মানকে তিনি এমন জায়গায় নিয়ে গেছেন যে, শত নিজেদের মধ্যে শত ঝামেলা আর বিবাদের পরও বারবারই ক্যারিবিয়ান বোর্ড তার দ্বারস্থ হয়। আর তিনিও ফিরেন, আর আন্তর্জাতিক ময়দানে এন্টারটেইন করেন।

১৯৮৩ সালে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর সান্তা ক্রুজ এলাকায় জন্ম নেওয়া ব্রাভোর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক ২০০২ সালে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো ক্রিকেট দলের হয়ে। ব্রাভোর শুরুটা হয়েছিল ব্যাটার হিসেবেই; অভিষেকের এক মাস পরেই পেয়েছিলেন সেঞ্চুরি। পুরস্কার হিসেবে ডাক পেয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলে। অলরাউন্ডার ব্রাভোর আত্মপ্রকাশ ঘটে ২০০৩ সালে উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডের বিপক্ষে ১১ রান খরচ করে ৬ উইকেট শিকারের পর।

২০০৪ সালে ভাগ্য খুলে যায় ব্রাভোর। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে প্রথমবারের মতো ক্যারিবীয় জার্সি গায়ে জড়ানোর সুযোগ পান ডানহাতি এ অলরাউন্ডার। ওই সিরিজেই গায়ে জড়ান ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণ টেস্টের জার্সি। ব্রাভোর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয় ২০০৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।

ব্রাভো টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানান ২০১৫ সালে। বিদায় বলেছিলেন ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিকেও কিন্তু বোর্ডের অনুরোধে আবার ফিরেও এসেছিলেন। কিন্তু আর কত দিন? ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই বিদায় জানান জাতীয় দলকে। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টকেও বিদায় জানিয়েছেন।

পুরো নাম: ডোয়েন জেমস জন ব্র্যাভো।

জন্ম: ৭ অক্টোবর, ১৯৮৩ সাল।

জন্মস্থান: সান্তা ক্রুজ, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো।

রাশি: তুলা রাশি।

প্রিয় খেলা: ক্রিকেট, গলফ, বাস্কেটবল।

প্রিয় খাবার: স্টু চিকেন, পাস্তা ও চকোলেট।

প্রিয় পানীয়: ওয়াইন।

প্রিয় রং: সাদা।

প্রিয় ক্রিকেটার: ব্রায়ান লারা, ম্যাথিউ হেইডেন।

প্রিয় ক্রিকেট দল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল।

প্রিয় সতীর্থ: আন্দ্রেরাসেল, নিকোলাস পুরান, কাইরন পোলার্ড।

প্রিয় ফুটবলার: কিলিয়ান এমবাপ্পে।

প্রিয় ফুটবল দল: চেলসি এফসি।

প্রিয় গাড়ি: লর্ড রোভার স্পোর্ট।

প্রিয় স্টেডিয়াম: কুইন’স পার্ক ওভাল, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো।

প্রিয় স্থান: লাস ভেগাস।

প্রিয় শখ: নৃত্য করা ও গান শোনা।

প্রিয় জুতার ব্র‌্যান্ড: নিউ ব্যালেন্স।


যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্বিপাক্ষিক সিরিজ এবং বিশ্বকাপ খেলতে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।

যুক্তরাষ্ট্রে হিউজটনের জর্জ বুশ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের ভিডিও নিজেদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে পোস্ট করে জাতীয় দলের পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। খবর বাসসের।

ভিডিওতে দেখা যায়, বাংলাদেশকে দলকে বহনকারী বিমানটি বিমানবন্দরে অবতরণ করছে। এরপর নিজেদের লাগেজসহ বিমানবন্দর থেকে বের হচ্ছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। সেখান থেকে টিম বাসে চড়ে হোটেলে যান তারা।

বিশ্বকাপের উদ্দেশে ১৫ মে রাত ১টা ৪০ মিনিটে দেশ ছাড়ে বাংলাদেশ দল। দুবাই হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান সাকিব-মাহমুদুল্লাহরা।

বিশ্বকাপ মিশন শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের দ্বিাপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ২১, ২৩ ও ২৫ মে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে।

এরপর বিশ্বকাপের মঞ্চে খেলতে নামার আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ২৮ মে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এবং পহেলা জুন ভারতের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ রয়েছে টাইগারদের।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ‘ডি’ গ্রুপে দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলংকা, নেপাল ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। ৮ জুন শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করবে টাইগাররা। এরপর গ্রুপ পর্বে ১০ জুন দক্ষিণ আফ্রিকা, ১৩ জুন নেদারল্যান্ডস এবং ১৭ জুন নেপালের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।


বাংলাদেশ দলকে মাশরাফির বার্তা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

মাশরাফি জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন, সেও প্রায় অনেকদিন হলো। জাতীয় সংসদের হুইপ মাশরাফি এখন ব্যস্ত রাজনীতি নিয়ে। তবে জাতীয় দলের খোঁজখবর রাখেন ঠিকই। দলের সুসময়ে যেমন প্রশংসায় ভাসান, তেমনি দুঃসময়েও অভিভাবকের মতো পাশে থেকে অনুপ্রেরণা জোগান। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নাজমুল হোসেন শান্তদের শুভকামনা জানালেন সাবেক এই অধিনায়ক।

বিশ্বকাপ দলকে শুভকামনা জানিয়ে সাবেক এই অধিনায়ক নিজের ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, “সাহস সব সময় গর্জন করে না, শুধু দিন শেষে শান্ত কণ্ঠস্বরে বলে, আগামীকাল চেষ্টা করব। ‘Go and kill it champs’ সব সময় শুভকামনা আমার প্রাণের দেশ, প্রাণের দলের প্রতি বাংলাদেশ।”

আগামী ২ জুন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বসতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। আইসিসির মেগা আসরটিতে অংশ নেওয়ার আগে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ২১, ২৩ ও ২৫ মে হবে সিরিজের ম্যাচগুলো। সে কারণেই আগেভাগে দেশ ছেড়েছে টিম টাইগার্স।

বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে আগামী ৮ জুন। যেখানে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন, ভেন্যু যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস। এরপর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ১০ জুন বাংলাদেশ লড়বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। তৃতীয় ম্যাচে ১৩ জুন নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে টাইগাররা। এরপর ১৭ জুন নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গ্রুপপর্ব শেষ করবে বাংলাদেশ।


১৩৫ বছরের ইতিহাসের সামনে ম্যানসিটি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

সব নাটকীয়তা শেষে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে ম্যানচেস্টার সিটি। লিগের একদম অন্তিম মুহূর্তে এসে দেখতে পাচ্ছে আলোর রেখাও। শিরোপা থেকে আর মাত্র এক হাত দূরে দাঁড়িয়ে পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি। বুধবার রাতে বাঁচা-মরার ম্যাচে আর্লিং হলান্ডের জোড়া গোলে টটেনহ্যামকে হারিয়ে শীর্ষে উঠেছে সিটিজেনরা। ৩৭ ম্যাচে সিটির পয়েন্ট এখন ৮৮। অন্যদিকে সমান ম্যাচ খেলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ৮৬। শেষ ম্যাচে জিতলেই আরেকটি শিরোপা উঠবে সিটিজেনদের ঘরে। আর এতেই ১৩৫ বছরের ইতিহাস বদলে দেবে পেপ গার্দিওলার দল।

প্রিমিয়ার লিগের ১৩৫ বছরের ইতিহাসে টানা ৪টি শিরোপা জয়ের রেকর্ড নেই কোনো দলের। শেষ ধাপটি পেরোতে পারলে প্রথমবারের মতো টানা চার লিগ শিরোপা জেতার সেই ইতিহাসই গড়বে পেপ গার্দিওলার দল। এর আগে ইংল্যান্ডের কয়েকটি ক্লাব ৫ মৌসুমের মধ্যে চারটি শিরোপা জিতলেও টানা চার শিরোপা জিততে পারেনি কোনো দলই। ১৮৯০-এর দশকে অ্যাস্টন ভিলা এবং ১৯৮০ দশকে লিভারপুল পাঁচ মৌসুমের মধ্যে চারবার লিগ শিরোপা জেতার কীর্তি গড়েছিল।

এ ছাড়া হ্যাটট্রিক শিরোপা জেতার কৃতিত্ব আছে হাডার্সফিল্ড টাউন (১৯২৬-২৭), আর্সেনাল (১৯৩৫-৩৬), লিভারপুল (১৯৮৪-৮৫) এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের (২০০১-০২ এবং ২০০৯-১০)। কিন্তু গার্দিওলার দলের সামনে ইতিহাস নতুন করে লেখার হাতছানি।

সেই দলগুলোর ইতিহাস গড়তে না পারার কিছু কারণও আছে। তবে গার্দিওলার সিটি সেই ভুলগুলোর পুনরাবৃত্তি না ঘটিয়েই এখন ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায় আছে। যদিও আরেকটি বাধা পেরোতে হবে তাদের।

শেষ দিকে এসে প্রিমিয়ার লিগের লড়াইটা ছিল মূলত আর্সেনাল আর ম্যানসিটির মধ্যে। সে সময় এক ম্যাচ বেশি খেলে টানা ২ সপ্তাহ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ছিল গানাররা। তবে ম্যাচের পরিসংখ্যান সমান সমান হওয়াতেই পিছিয়ে পড়েছে আর্সেনাল। সমান ৩৭ ম্যাচ খেলে ২ দুই পয়েন্টে পিছিয়ে আছে মিকেল আর্তেতার দল।

দুই দলেরই ম্যাচ বাকি ১টি করে। নিজেদের শেষ ম্যাচে আর্সেনাল লড়বে এভারটনের বিপক্ষে আর ম্যান সিটি লড়বে ওয়েস্টহামের বিপক্ষে। শেষ ম্যাচে যদি ওয়েস্টহামের কাছে হোঁচট না খায় সিটিজেনরা তাহলেই ১৩৫ বছরের ইতিহাস ভেঙে নতুন ইতিহাস লেখা হবে তাদের।

তখন সমান ম্যাচে ২ পয়েন্ট কম থাকায় আর্সেনালকে সন্তুষ্ট থাকতে হবে রানার্সআপ হয়েই। তবে ভুলেও কোনো কারণে যদি পেপ গার্দিওলার দল হেরে যায় আর আর্সেনাল এভারটনকে হারায় তাহলে ২০ বছর পর লিগ শিরোপা উদ্ধার করবে গানাররা।


হারিয়ে যাবেন বিরাট কোহলি!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

মাঝখানের সময়টাকে বিরাট কোহলির স্ট্রাইকরেট নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়েছে। পারিবারিক কারণে কোহলি নিজেও মাঠের বাইরে ছিলেন মাস দুয়েক। ফলে তার আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছিল শঙ্কা। কিন্তু বেঙ্গালুরুর জার্সিতে আইপিএল দিয়ে ফিরেই সেসব শঙ্কা দূর করে দিয়েছেন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক। চলতি আইপিএলে এখনো সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কোহলি। ফলে বিশ্বকাপের দলে জায়গা করে নিতে আর বেগ পেতে হয়নি।

২০০৮ সালে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপানোর পেরিয়ে গেছে প্রায় ১৬টা বছর; বয়সটাও ছত্রিশ ছুঁইছুঁই, আর কতদিন খেলবেন তিনি ভারতের হয়ে? তাই কোহলিকে এবার উত্তর দিতে হয়েছে অবসর নিয়ে প্রশ্নের। তবে ভারতীয় এ তারকা জানালেন ক্রিকেট ছাড়লে হারিয়ে যাবেন তিনি, চলে যাবেন আড়ালে।

বেঙ্গালুরু ফ্র্যাঞ্চাইজির একটি অনুষ্ঠানে নিজের অবসর নিয়ে কথা বলেছেন কোহলি। সেখানে ডানহাতি এ ওপেনার বলেন, ‘সহজ কথায় বলতে গেলে আমি কোনো আক্ষেপ রেখে যেতে চাই না। মাঠ থেকে যা যা পাওয়ার, নিয়ে যেতে চাই। যতদিন খেলব নিজের সবটাই দিয়ে যাব, কিন্তু যখন খেলাটা শেষ করব, তখন চলে যাব, আপনারা আমাকে অনেক দিনের জন্য দেখবেন না (হাসি)।’

প্রতি ম্যাচে নিজের সেরাটা দেওয়ার তাড়না কোথায় পান- এ প্রশ্নে কোহলির উত্তর, ‘বিষয়টা সহজ। খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের ক্যারিয়ারের শেষ আছে। এটা ভেবে ক্যারিয়ার শেষ করতে চাই না- ওহ! ওই দিন যদি ওটা করতাম! কারণ, সারা জীবন তো খেলে যেতে পারব না। এটা আসলে অসমাপ্ত কাজ রেখে না যাওয়ার বিষয়, পরে অনুশোচনায় না ভোগার বিষয়, যেটা আমি নিশ্চিত, ভুগব না।’

বাকি ফরম্যাটগুলোয় তার ভবিষ্যৎ কী হবে, সেটি না জানা গেলেও সম্ভবত এ আসর শেষেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে তিনি নিজেকে গুটিয়ে নেবেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসেও সর্বোচ্চ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। ২৫ ইনিংসে অবিশ্বাস্য গড় ৮১.৫০ আর ১৩১.৩০ স্ট্রাইক রেটে কোহলি ১১৪১ রান করেছেন।

এদিকে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, সীমিত ওভারের ক্রিকেট থেকে অবসরের পর কোহলি হয়তো টেস্ট ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন বলে ধারণা অনেকের। কিন্তু বাস্তবিক ক্ষেত্রে সেই সম্ভাবনা কম। কারণ আগ্রাসী মনোভাবের ব্যাটার কোহলি ওয়ানডে ও টি-২০ খেলার যে লড়াই বা মজা, তার থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখে টেস্ট খেলার মানসিকতা খুব বেশি দিন থাকবে না। সে ক্ষেত্রে আপাদমস্তক ফ্যামিলিম্যান কোহলি পরিবারের সঙ্গেই সময় দেওয়াকে বেছে নিতে পারেন।


শুরুর প্রক্রিয়াতেই ক্ষুব্ধ হামজা চৌধুরী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

বাংলাদেশ ফুটবল দলে ভালো মানের খেলোয়াড়ের অভাব বেশ পুরোনো। কম সময়ের মধ্যে সে অভাব পূরণে ফুটবল বোদ্ধাদের দাবি, প্রবাসী ফুটবলারদের দলে ভেড়ানো। যার শুরুটা হয়েছিল জামাল ভূঁইয়াকে দিয়ে। ‍ফিনল্যান্ড ছেড়ে তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন লাল-সবুজের জার্সি গায়ে জড়াতে। এরপর নাম এসেছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরীর।

হামজাকে নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই দেশের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে। তার বাংলাদেশে আসা নিয়ে আলোচনা কিংবা গুঞ্জন অনেক দিনের। তার মতো ফুটবলারকে বেশ দরকারও বাংলাদেশ জাতীয় দলে। শুরুতে হামজার চিন্তা ছিল ইংল্যান্ড জাতীয় দল নিয়ে কিন্তু সে চিন্তা থেকে বের হয়ে এসেছেন তিনি। গায়ে জড়াতে চান লাল-সবুজের জার্সি।

ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে খেলার শুরু করে দিয়েছেন হামজা। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পর গত মঙ্গলবার তিনি বাংলাদেশের পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য আবেদন করতে গিয়েছিলেন লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে। তবে হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সহযোগিতা না পাওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে চলে গেছেন বলে হামজার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে।

অনলাইনে পাসপোর্টের আবেদন করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসসহ মাকে নিয়ে হাইকমিশনে গিয়েছিলেন হামজা। তবে তিনি ভিআইপি ট্রিটমেন্ট পাননি। একজন সাধারণ নাগরিকের মতো তার সঙ্গে আচরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি বাফুফের কর্মকর্তাদের অবহিত করেছেন হামজা।

হামজা চৌধুরী বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার আগ্রহ প্রকাশের পর বাফুফে থেকে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে সব ধরনের সহযোগিতার জন্যও বলা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে হামজা কোনো সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে।

লেস্টার সিটির একাডেমি থেকে উঠে আসা হামজা ক্লাবটির মূল দলের সঙ্গে যুক্ত হন ২০১৫ সালে। তবে প্রথম দুই বছর ধারে খেলেছেন বার্টন আলবিয়নে। ২০১৭ সালে লিভারপুলের বিপক্ষে লিগ কাপের ম্যাচ দিয়ে লেস্টার সিটির জার্সিতে অভিষেক হয় ডিফেন্সিভ এ মিডফিল্ডারের। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে দলটির হয়ে অধিনায়কত্বের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। গত মৌসুমে তার দল লেস্টার সিটি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ থেকে রেলিগেটেড হয়ে গেলেও এবার আবারও জায়গা করে নিয়েছে প্রিমিয়ার লিগে।

হামজা যদি বাংলাদেশের ফুটবলে যোগ দেয় তাহলে দেশের ফুটবলের সবচেয়ে বড় আইকন হবেন তিনি। পরিসরটাকে আরেকটু বড় করলে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলেরই বড় নাম হবেন তিনি। কিন্তু একজন ফুটবলার বাংলাদেশে খেলতে চাইছেন, তার জন্য সবকিছু সহজই তো হওয়ার কথা ছিল। হলো উল্টো। এরই মধ্যে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ফুটবলপ্রেমীদের।


banner close