শনিবার, ১ জুন ২০২৪

মার্টিনেজরা সুযোগ পাবে কি আর্জেন্টিনা দলে!

ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশিত
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশিত : ৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১১:৫১

এ বছরই প্যারিসে বসছে অলিম্পিকের আসর। ব্রাজিলকে বিদায় করে সেখানে জায়গা করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। আকাশি-নীল জার্সি গায়ে অলিম্পিক মাতানোর ইচ্ছে পোষণ করেছেন বিশ্বকাপজয়ী গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজ। তবে চাইলেই ফ্রান্সের বিমান ধরতে পারছেন না তারা। কারণ একে তো অলিম্পিক দলে বয়সের বাধ্যবাধকতা, তার ওপর ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি অনিশ্চয়তায় ফেলেছে ফুটবলারদের। তার চেয়েও বড় বিষয় হচ্ছে হাভিয়ের মাশচেরানোর দলে পজেশন অনুযায়ী জায়গা করে নেওয়া। কিন্তু এমি মার্টিনেজ কিংবা এনজো ফার্নান্দেসের মতো ফুটবলার যদি নিজে থেকেই খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেন সেখানে নিশ্চয়ই আপত্তি তোলার কেউ থাকবে না।

অলিম্পিক গেমসে খেলতে তাকে ছাড়তে চেলসির কাছে রিলিজ লেটার চাইবেন বলে জানিয়েছেন কাতার বিশ্বকাপের সেরা উদীয়মান ফুটবলার এনজো ফার্নান্দেস। নিজ ক্লাব অ্যাস্টন ভিলাকেও নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়ে দিয়েছেন মার্টিনেজ। ক্লাবের চেয়ে জাতীয় দল সবসময় অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকে বলেও জানান এমি।

ফুটবলের অলিম্পিক ইভেন্টে খেলতে হলে বয়স হতে হবে ২৩-এর মধ্যে। সর্বোচ্চ তিন ফুটবলার পাবেন সিনিয়র ক্যাটাগরিতে খেলার সুযোগ। অবশ্য এই নিয়মের বেড়াজালে নেই কাতার বিশ্বকাপের সেরা উদীয়মান ফুটবলারের পুরস্কার জেতা এনজো ফার্নান্দেস। তাই নরমাল ক্যাটাগরিতেই তিনি জায়গা পাচ্ছেন দলে। আর্জেন্টিনার হয়ে অলিম্পিকে প্রতিনিধিত্ব করতে মুখিয়ে আছেন তিনি। গেমস চলাকালীন তাকে ছাড়তে চেলসির সঙ্গে এরই মধ্যে আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন তিনি।

ফিফা উইন্ডো ছাড়া ক্লাব তার নিবন্ধনকৃত ফুটবলার ছাড়তে বাধ্য নয়। অলিম্পিক গেমস এই উইন্ডোর বাইরে। আর তাই এনজো ফার্নান্দেসের মতো একই সমস্যায় এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। তিনিও খুব করে চাইছেন মাশচেরানোর দলের সদস্য হতে। কিন্তু সমস্যা হলো কোপা আমেরিকার ছুটি দেওয়ার পর অল্প সময়ের ব্যবধানে ক্লাব তাকে আবারও ছাড়বে কিনা।

আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ বলেন, ‘অলিম্পিকে খেলার জন্য আমরা মুখিয়ে আছি। যদি মাশচেরানো আমাদের চায় অবশ্যই দলের সঙ্গে যোগ দেব। ক্লাবের চেয়ে জাতীয় দল সব সময়ই আগে। যদি ক্লাব আমাদের ছাড়তে না চায়, আমাদের ক্ষমতা আছে সব সময় জাতীয় দলকে প্রাধান্য দেওয়ার।’

এনজো, এমি ছাড়াও ক্রিস্টিয়ানো রোমেরো এবং ওতামেন্ডি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন আর্জেন্টিনার হয়ে প্যারিস অলিম্পিক খেলার।


ভারতের বিপক্ষে টসে হেরে বোলিংয়ে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিজেদের ঝালাই করে নিতে ভারতের বিপক্ষে ওয়ার্মআপ ম্যাচ খেলতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। নাসাউ স্টেডিয়ামের টসে হেরে বোলিং পেয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

৮ জুন শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন। তার আগে ভারতের বিপক্ষে নিজেদের যাচাই করে নেওয়ার সুযোগ। তবে সেই সুযোগ পাচ্ছেন না তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। তাদের বিশ্রাম দিয়ে এ ম্যাচে খেলতে নামছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। ওয়ার্মআপ ম্যাচ বিধায় বাকি সবাই হয়তো ভূমিকা অনুযায়ী ব্যাটিং কিংবা বোলিংয়ের সুযোগ পাবেন।

অন্যদিকে ভারতের হয়ে এ ম্যাচে খেলাচ্ছে না বিরাট কোহলি। একদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখা কোহলির ভ্রমণক্লান্তি কাটাতেই হয়তো তাকে বিশ্রাম দিয়েছে টিম ইন্ডিয়া।

বাংলাদেশ দল

লিটন দাস, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম, তানজিদ হাসান, তানজিম সাকিব ও তানভীর ইসলাম।

ভারত দল

রোহিত শর্মা, যশ্বসী জয়সওয়াল, সূর্যকুমার যাদব, সাঞ্জু স্যামসন, হার্দিক পান্ডিয়া, রিশভ পন্ত, শিভম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ, আর্শদীপ সিং ও যুজবেন্দ্র চাহাল।


বাফুফের উদাসীনতায় হারিয়ে যাচ্ছেন কৃষ্ণা!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাজমুল সাগর

গত কয়েক বছরে দেশের ফুটবলে যে অর্জন তার বেশির ভাগই নারীদের। আর এ অর্জনের সঙ্গে মিশে আছে একটি নাম; কৃষ্ণা রানী সরকার। ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা উঁচিয়ে ধরে বাংলার মেয়েরা। ফাইনালে নেপালের বিপক্ষে দুটি গোল করে সে ইতিহাসে নিজের নাম লিপিবদ্ধ করেছেন এ ফরোয়ার্ড। কিন্তু এর পরই তিনি হারিয়ে গেছেন ফুটবল থেকে। সেটার পেছনে অবশ্য দায়ী বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।

২০১৪ সালে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়িয়েছেন কৃষ্ণা। এরপর একটানা খেলে গেছেন ২০২২ সাল পর্যন্ত। তাই যোগ্যতা কিংবা অভিজ্ঞতার বিচারে কৃষ্ণার চেয়ে এগিয়ে কেবলই অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এ খেলোয়াড় ইনজুরিতে দীর্ঘদিন দলের বাইরে থাকলেও নেই বাফুফের কার্যকর কোনো উদ্যোগ।

২০২২ সাফের পর থেকেই ইনজুরিতে কৃষ্ণা। পায়ের আঙুল শুকিয়ে আসে এ ফরোয়ার্ডের। তাই ব্যথা অনুভব করায় স্বাভাবিক অনুশীলন ও দৌড়াতে পারেন না। এ সমস্যা নিয়েই এক বছরের বেশি সময় কাটাচ্ছেন। ঝুঁকি নিয়েই এবার লিগে নাসরিন স্পোর্টস একাডেমির কিছু ম্যাচে খেলেছেন এবং গোলও করেছেন। তবে ঘরোয়া লিগে খেললেও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার পরিস্থিতিতে নেই তিনি।

নারী দলের ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলারের সাফ কথা, ‘সে পূর্ণাঙ্গ ফিট নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আনফিট খেলোয়াড় আমি নিতে পারি না।’

নিজের ইনজুরি নিয়ে গণমাধ্যমে কিছু না বললেও নিজের ফেসবুক পেজে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাসে নিজের মনের ক্ষোভ ঝেড়েছেন কৃষ্ণা। স্ট্যাটাসে কৃষ্ণা লেখেন, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ফিজিও দেবাশীষ চৌধুরী স্যারকে দেখিয়েছিলাম। উনি প্রায় আমাকে অনেক দিন দেখেন, যখন ব্যথা কমতে ছিল না। স্যার বলেছিলেন অস্ট্রেলিয়া, ইন্ডিয়া গিয়ে ট্রিটমেন্ট করাতে। কিন্তু যখন আমি বাফুফেকে জানাই, তারা বলেন আরও কিছুদিন দেশে ডাক্তার দেখাতে। আমি অনেক দিন তাদেরকে ইন্ডিয়াতে যাওয়ার কথা বলেছি। কিন্তু তারা আমার কথার কোনো গুরুত্ব দেননি। আজও পর্যন্ত ব্যথা নিয়ে প্র্যাকটিস করছি।

তবে ভিন্ন কথা বলেছেন বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ, ‘ও একবার নিজেই ভারত যেতে চেয়েছিল। আমরা ভিসার ব্যাপারে সহায়তা করেছিলাম। ওকে ফিজিও প্রতিনিয়ত দেখছে এবং দেশীয় চিকিৎসকরা তত্ত্বাবধান করছেন।’

ফিজিও এবং দেশীয় চিকিৎসকদের অধীনে রেখে কৃষ্ণার কার্যত কোনো উন্নতি হচ্ছে না। তার বিদেশ যাওয়া প্রয়োজন। এ বিষয়টি নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান অনুধাবন করলেও আর্থিক কারণে মূলত আড়ালের চেষ্টা। ফেডারেশনের কর্মকর্তারা অনেকেই বিত্তবান ও সচ্ছল। মাত্র কয়েক লাখ টাকা ব্যয়ে এই গুণী খেলোয়াড়ের চিকিৎসা করাতে না পারলে তাদের পদে থাকার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে এভাবে চলতে থাকলে নিজের হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন কৃষ্ণা।


আরেকটি বিশ্বকাপ খেলতে চান সাকিব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

২০০৭ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ক্রিকেটের ছোট সংস্করণের বিশ্ব আসর; টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবার মাঠে গড়ানোর অপেক্ষায় নবম আসর। বিশ্বের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে সবগুলো আসরেই মাঠে নেমেছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপের মঞ্চে সাকিবের পরিসংখ্যানও বেশ ভালো। সবমিলিয়ে বলা যায় ক্রিকেটের এ ফরম্যাটটাকে বেশ উপভোগই করেন তিনি।

সময়ের হিসাব বলছে সাকিবের বয়সটা পেরিয়েছে ৩৬। বিশ্বকাপের আরেকটা আসর আসতে বাকি আরও দুই বছর। এ সময়ে হয়তো অনেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন ব্যাট-প্যাড তুলে রাখার। তবে সাকিব খেলতে চান আরেকটি বিশ্বকাপ। বিসিবির ‘রেড-গ্রিন স্টোরি’তে জানালেন সেটাই।

হাসতে হাসতে সাকিব বলেন, ‘প্রথম বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত যতগুলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হলো সবগুলোতেই অংশ নিতে পেরেছি। আমার জন্য এটা গর্বের ও আনন্দের। মাত্র দুজন খেলোয়াড়- আমি এবং রোহিত শর্মাই হয়তো সবগুলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছি। আশা করব আরও একটি বিশ্বকাপ যেন খেলতে পারি। তার আগে এই বিশ্বকাপে পারফরম্যান্সটা যেন ভালো থাকে। বাংলাদেশ যেন অন্যান্য যে কোনো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চেয়ে ভালো ফল করে আসতে পারে।’

তবে বিশ্বকাপে ব্যক্তি সাকিবের তেমন কোনো লক্ষ্য নেই। দেশের হয়ে অবদান রাখাটাই তার মুখ্য বিষয়, ‘আমার নামের পাশে আমি কিছু দেখতে চাই না। একটি জিনিসই চাই যেন বাংলাদেশের হয়ে অবদান রাখতে পারি। এই বিশ্বকাপে যেন বাংলাদেশের হয়ে ভালো কিছু করতে পারি।’

বিশ্বব্যাপী ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের আবির্ভাবের ফলে অন্য দুই সংস্করণের চেয়ে টি-টোয়েন্টিই এখন দর্শকদের কাছে বেশি জনপ্রিয়। এমন পরির্তনকে সাকিব কীভাবে দেখছেন? সে প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, ‘আমার কাছে মনে হয় এটা ওয়ানডেরই বর্ধিত সংস্করণ। ওভার কাটলে যেটা হতো সেটাই। অনেক রোমাঞ্চকর। দর্শকরা অনেক পছন্দ করেন। আমি একটি জিনিসই শুধু মনে করি যে, ব্যাট ও বলের যেন সমান প্রতিযোগিতা এখানে থাকে। যেকোনো একতরফা টুর্নামেন্টটা যেন না হয়। সাধারণত বিশ্বকাপে কখনোই সেটা হয় না। আমি মনে করি এবারও একই রকম হবে।’

গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচের দুটি হবে যুক্তরাষ্ট্রে আর দুটি হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। দর্শক সমর্থন নিয়ে সাকিব বলেন, ‘প্রচুর বাংলাদেশি দর্শক সেখানে অপেক্ষা করছে। আশা করি তারা পূর্ণ সমর্থন দেবে আমাদের। তাদের এই সমর্থন আমাদের কাজে আসবে এবং আমরা ভালো ফল পেতে সমর্থ হবো।’

কন্ডিশন নিয়ে সাবেক এ অধিনায়ক বলেন, ‘এর আগে ফ্লোরিডায় যখন খেলেছি বাংলাদেশ ভালো করেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমরা সব সময়ই সুবিধা পাই। কারণ পিচগুলো অনেকটা আমাদের মতোই হয়ে থাকে। তাই আমি আশা করছি দুই জায়গাতেই আমরা সুবিধা পাব।’


পর্দা উঠছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত

চার-ছক্কার ধুন্ধুমার লড়াই দেখার অপেক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ক্রিকেটের সবচেয়ে উত্তেজনা ছড়ানো ফরম্যাট টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর্দা উঠছে আজ। প্রথম ম্যাচেই মাঠে নামবে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র আর কানাডা। গ্র্যান্ড পেইরি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রোববার ভোর সাড়ে ৫টায়। দিনের দ্বিতীয় খেলায় আরেক স্বাগতিক দেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাঠে নামবে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে। এ ম্যাচটি শুরু হবে রোববার রাত সাড়ে ৮টায়। খেলার চলতি ধারাবিবরণী সরাসরি প্রচার করবে বাংলাদেশ বেতার।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই যেন চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে দর্শকদের বিনোদনের চাহিদা পূরণ। আধুনিক ক্রিকেটে অন্য দুই সংস্করণের চেয়ে টি-টোয়েন্টিই এখন দর্শকদের কাছে বেশি জনপ্রিয়। তাই ক্রিকেটের মারকাটারি এ সংস্করণের বিশ্বকাপ এলেই দেশে দেশে বেজে ওঠে দামামা; দেখা মেলে নানা আয়োজন, উৎসাহ ও উদ্দীপনা। আয়োজক দেশগুলোতে সেটা আরও বেশি নজর কাড়ে।

২০০৭ সাল থেকে মাঠে গড়াচ্ছে টি-টোয়ন্টি বিশ্বকাপ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর যুক্তরাষ্ট্রে বসছে বৈশ্বিক এ টুর্নামেন্টের নবম আসর। টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে নতুনভাবে সেজেছে আয়োজক দেশ দুটি।

এবারই প্রথমবারের মতো ২০ দল নিয়ে আয়োজন হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যেটি যেকোনো আইসিসি ইভেন্টে সবচেয়ে বেশি দেশের অংশগ্রহণও। এবারের বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ পেয়েছে ১২টি দেশ। বাকি ৮টি দেশকে আসতে হয়েছে বাছাইপর্ব পেরিয়ে। মূলপর্বে উত্তীর্ণ ২০টি দলকে ৪টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে, যেখানে প্রতি গ্রুপে ৫টি করে দল রয়েছে।

দল বাড়ায় পরিবর্তন এসেছে নিয়মেও। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল সুপার এইট পর্বে কোয়ালিফাই করবে। যে আটটি দল সুপার এইটে কোয়ালিফাই করবে তাদের আবার দুটি গ্রুপে ভাগ করা হবে। সেখান একে অপরের বিরুদ্ধে খেলবে সবকটি দল। তারপর সেখান থেকে পয়েন্ট ও রানরেটের বিচারে ২টি করে দল পৌঁছবে সেমিফাইনালে। তারপর দুটি দল পৌঁছবে মেগা ফাইনালে।

লিগ পর্বে কোনো ম্যাচে বৃষ্টি হলে কমপক্ষে ৫ ওভার করে খেলা হলেই ফলাফল পাওয়া যাবে। নকআউট পর্বে সেটা ১০ ওভার। আর লিগ পর্বে খেলা ভেস্তে গেলে পয়েন্ট ভাগাভাগি হবে। সেমিফাইনালে একটি ম্যাচে থাকছে রিজার্ভ ডে। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে থাকছে না রিজার্ভ ডে। তবে অতিরিক্ত ৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করা হবে।

বিশ্বকাপে গ্রুপ অব ডেথ-খ্যাত ‘ডি’ গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল। গ্রুপ ‘এ’-তে রয়েছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত-পাকিস্তান। তাদের সঙ্গী আয়ারল্যান্ড, স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। ‘বি’ গ্রুপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নামিবিয়া, স্কটল্যান্ড ও ওমান খেলবে। আর ‘সি’ গ্রুপে আছে নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান, উগান্ডা ও পাপুয়া নিউগিনি।

সবমিলিয়ে ৯টি (যুক্তরাষ্ট্রে তিনটি এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ছয়টি) ভেন্যুতে হবে এবারের বিশ্বকাপ। ২৯ দিনব্যাপী চলা এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে আগামী ২৯ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বার্বাডোজে। গ্রুপ পর্বসহ এবার বিশ্বকাপে সর্বমোট ৫৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। তার মধ্যে গ্রুপপর্বে হবে ৪০টি ম্যাচ, সুপার এইট পর্বে ১২টি ম্যাচ; এ ছাড়াও দুটি সেমিফাইনাল ও একটি ফাইনাল ম্যাচ রয়েছে।

বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে ৭ জুন, ডালাসের ম্যাচটিতে তাদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা।


পারফেক্ট অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষের বোলারদের নাভিশ্বাস তোলার পর বল হাতে চেপে ধরা; বোনাস হিসেবে ফিল্ডিংয়ে দারুণ কিছু করা। একজন অলরাউন্ডারের এ কাজগুলো বেশ ভালোভাবেই সামাল দিতে পারেন ভারতের সহঅধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। বারবার সেটার প্রমাণও দিয়েছেন তিনি। হারের চোখ রাঙানি থেকে অনেক ম্যাচ বের করে এনেছেন তিনি। নিজের প্রতিভার জানান দিয়েই স্থায়ী হয়েছেন দলে। ক্রিকেটে বিশ্বে নিজেকে পরিচিত করেছেন একজন জাত অলরাউন্ডার হিসেবে।

ভারত দলে হার্দিক পান্ডিয়া অপরিহার্য নাম। ইংরেজিতে একটি প্রবাদ চালু আছে, যা ‘টিআইএনএ’ নামে পরিচিত। অর্থাৎ ‘দেয়ার ইজ নো অলটারনেটিভ’। সোজা বাংলায় ‘এর কোনো বিকল্প নেই’। হার্দিক পান্ডিয়ার ক্ষেত্রে যেন এই প্রবাদ ষোলো আনাই প্রযোজ্য। তার কোনো বিকল্পই খুঁজে পান না ভারতের নির্বাচকরা।

১৯৯৩ সালে ভারতের গুজরাট প্রদেশে জন্ম হার্দিক পান্ডিয়ার। বাবা ছিলেন ছোট একজন ব্যবসায়ী। কিন্তু স্বপ্ন ছিল দুই ছেলেকেই বানাবেন ক্রিকেটার। সে জন্য ব্যবসা গুটিয়ে চলে আসেন বরদোরা শহরে। দুই ছেলে ক্রুনাল পান্ডিয়া আর হার্দিক পান্ডিয়াকে ভর্তি করে দেন কিরণ মোরের একাডেমিতে। সেখান থেকেই ভারতের আজকের ম্যাচ জয়ের নায়ক কিংবা সেরা অলরাউন্ডার।

ছোটবেলায় অনেকটা রগচটা ছিলেন পান্ডিয়া। সে জন্য পারফর্ম করলেও জায়গা হয়নি রাজ্যদলে। ক্যারিয়ারের শুরুতে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত ছিলেন একজন লেগস্পিনার। কিন্তু সে সময়ের একাডেমি কোচ পান্ডিয়ার মধ্যে খুঁজে পেয়েছিলেন বিশেষ কিছু। পান্ডিয়াকে পরামর্শ দেন পেস বোলিং করার। সেখান থেকেই শুরু।

২০১৩ সালে ইউসুফ পাঠানের এর নেতৃত্বে বরোদা ক্রিকেট দলের হয়ে ক্রিকেট জীবনে অভিষেক পান্ডিয়ার। ২০১৩-১৪ মৌসুমে বরোদা দলের হয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি জয়ে ছিল ডানহাতি এ অলরাউন্ডারের গুরুত্বপূর্ণ অবদান।

পান্ডিয়া প্রথমবার আলোচনায় আসেন ২০১৫ সালের আইপিএল দিয়ে। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে সে বছর বাইশ গজে ঝড় তুলেছিলেন তিনি। সেটার পুরস্কার পেতেও দেরি হয়নি। পরের বছরই অভিষেক হয় ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। ২০১৭ সালে অভিষেক হয় টেস্ট ক্রিকেটেও।

পুরো নাম: হার্দিক হিমাংশু পান্ডিয়া

জন্ম: ১১ অক্টোবর, ১৯৯৩

জন্মস্থান সুরাট, গুজরাট, ভারত

রাশি: তুলা

প্রিয় খেলা: ক্রিকেট, ক্যারম

প্রিয় খাবার: গুজরাটি খাবার

প্রিয় পানীয়: হরলিক্স

প্রিয় রং: সাদা

প্রিয় ক্রিকেটার: শচীন টেন্ডুলকার, যুবরাজ সিং

প্রিয় ক্রিকেট দল: ভারত ক্রিকেট দল

প্রিয় সতীর্থ: কে এল রাহুল, যুবেন্দ্র চাহাল।

প্রিয় ফুটবলার: জিনেদিন জিদান।

প্রিয় ফুটবল দল: রিয়াল মাদ্রিদ সিএফ।

প্রিয় গাড়ি: মার্সিডিজ জি৬৩

প্রিয় স্টেডিয়াম: ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম, ভারত

প্রিয় স্থান: দুবাই

প্রিয় শখ: রান্না করা, ভ্রমণ, গান শোনা

প্রিয় জুতার ব্র‌্যান্ড: আরিত্ত


পঞ্চম শিরোপার স্বপ্নে আদিল রশিদ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

একজন খেলোয়াড়ের কিংবদন্তি হওয়ার পেছনে অনেকাংশেই নির্ভর করে দেশের হয়ে একটি বিশ্বকাপ ট্রফি জয়। লম্বা ক্যারিয়ারে কেউ কেউ দেখা পান এক বা একাধিক শিরোপার। আবার কারও ক্যারিয়ার শেষ হয় খালি হাতেই। শোকেসে একাধিক শিরোপা রাখা কিংবদন্তিদের সংখ্যা খুব একটা বেশি না। কিন্তু এরপরও থামতে চান না তারা।

সেই দলেই আছেন ইংল্যান্ডের দুইবারে বিশ্বকাপজয়ী তারকা আদিল রশিদ। ইংলিশদের জার্সিতে এ লেগ স্পিনার স্বাদ নিয়েছেন ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। তিনি স্বপ্ন দেখেন তিনটি, চারটি কিংবা পাঁচটি বিশ্বকাপ জয়ের!

সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘ডেইলি মেইল’কে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সাদা বলে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে সফল (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ৩০৭ উইকেট) স্পিনার। সাক্ষাৎকারে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজের লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন রশিদ।

আদিল রশিদ বলেন, ‘যত দিন আমি ফিট ও (উইকেটের জন্য) ক্ষুধার্ত থাকব, তত দিন খেলা চালিয়ে যাব। আমি শুধু দুটি বিশ্বকাপ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে চাই না। আমার স্বপ্ন ও লক্ষ্য তিনটি, চারটি কিংবা পাঁচটি বিশ্বকাপ জেতা।’

বয়সটা ৩৬ পেরিয়ে ৩৭ ছুঁই ছুঁই। রশিদের ক্যারিয়ারও তাই দাঁড়িয়েছে সায়াহ্নে এসে। ইংল্যান্ডের মতো দলে যে খুব বেশি সুযোগ আসবে না, সেটা ভালো করেই জানে রশিদ। তবে দলের জন্য সবসময়ই তৈরি আছেন তিনি। এ লেগস্পিনার বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, ক্যারিয়ারে এমন সুযোগ বারবার আসে না। তাই ইংল্যান্ড যদি মনে করে দলে আমাকে প্রয়োজন, আমি তৈরি আছি। আমার (আন্তর্জাতিক) ক্যারিয়ার আরও পাঁচ বছর লম্বা হতে পারে আবার এক বছরও হতে পারে। তবে আমার লক্ষ্য যত দিন সম্ভব খেলা চালিয়ে যাওয়া।’

গত বছর ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ধরে রাখার অভিযানে গিয়ে ভরাডুবি হয়েছিল ইংল্যান্ডের। ৯ ম্যাচের ৬টিতেই হেরে প্রথম পর্ব থেকে বাদ পড়ে ইংলিশরা। ওয়ানডে বিশ্বকাপের ব্যর্থতা নিয়ে রশিদ বলেছেন, ‘এ নিয়ে কারও কোনো অভিযোগ নেই। সত্যি কথা, আমরা ভালো ক্রিকেট খেলিনি এবং আমাদের আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি ছিল।’

টি-টোয়েন্টির বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। শিরোপা ধরে রাখার মিশনেই ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্চে উড়াল দেবে তারা। সংস্করণ আলাদা হওয়ার কারণেই এবার ভালো করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী রশিদ, ‘দেখুন, এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন সংস্করণ, দুই বছরের কম সময় আগে আমরা যেটিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। আমার বিশ্বাস, এবারের দলটা ২০২২ বিশ্বকাপজয়ী দলের চেয়েও শক্তিশালী। এই দলের ১৫ জনই ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড়। জফরা আর্চারের ফেরাটা বড় ব্যাপার।’


আরিফের গোলে ঢাকা ডার্বি মোহামেডানের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

দেশের ফুটবলে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ মানেই ফুটবল উন্মাদনার এক পশলা বৃষ্টি। কালের বিবর্তনে সেটা কিছুটা হারিয়ে গেলেও একেবারে মিলিয়ে যায়নি। গতকাল ছিল তেমনই আরেকটি দিন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের শেষদিনের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী আর মোহামেডান। গ্যালারিতে আগের সেই উত্তেজনা না থাকলেও মাঠের খেলায় ঠিকই ছিল উত্তেজনার পারদ। ছিল আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ, ফুটবলারদের কথার লড়াই।

মাত্র এক সপ্তাহ আগেই বসুন্ধরা কিংসের কাছে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে হেরেছে মোহামেডান। এক সপ্তাহের মাথায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ; সেখানে আবার প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী। এ ম্যাচে কোনো রকম ভুল কিছু হলেই শেষ হবে লিগের রানার্স আপ হওয়ার স্বপ্নও। তবে আলফাজ আহমেদের দল তেমন কিছু করেনি। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে রানার্স আপ হয়েই মাঠ ছেড়েছে।

গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে আবাহনীকে ২-১ গোলে হারিয়েছে মোহামেডান। এই জয়ে ১৮ ম্যাচে নবম জয়ে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে রানার্স আপ হয়েই মৌসুম শেষ করল সাদা-কালোরা। অন্যদিকে সমান ম্যাচে চতুর্থ হারে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে থেকে লিগ শেষ করল আকাশি-নীল জার্সিধারীরা।

ম্যাচ শুরুর ১৩ মিনিটেই আবাহনী এগিয়ে যায়। জামাল ভূঁইয়ার কর্নারে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রোচা দারুণ হেডে বল জড়িয়ে দেন জালে।

মোহামেডান সমতায় ফেরার সুযোগ খুঁজছিল। ২৯ মিনিটে এল সুযোগ এবং সেটাকে কাজে লাগালেন আরিফ হোসেন। বক্সে জটলার মধ্যে বল পেয়ে বাঁ পায়ের স্লাইডিং শটে গোলকিপারের পাশ দিয়ে জাল কাঁপান তিনি। স্কোর লাইন তখন ১-১ সমতায়।

মাঝখানে একবার সুলেমান দিয়াবাতে বল জালে জাড়ালেও সেটা বাতিল হয়ে যায় অফসাইডের ফাঁদে। ড্র করলেও রানার্সআপ মোহামেডানই হতো। তবে সেটা ছাড়িয়ে লড়াইটা যে সম্মানের। তাই জয় পেতেই হবে। অবশেষে সেটাও হলো; যোগ করা সময়ের শুরুর দিকে মোহামেডান জয়সূচক গোল পায়। মুজাফফরভের ফ্রি কিকে আরিফ বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে গোলকিপারকে পরাস্ত করেন। এতেই সাদা-কালো শিবিরে উৎসব শুরু। দীর্ঘ ১৪ বছর পর অন্তত রানার্সআপ ট্রফি যে নিশ্চিত হলো!


সিংহাসন হারালেন সাকিব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

দীর্ঘদিন পরে আন্তর্জাতিক টি-টেয়েন্টি ক্রিকেটে ফিরেছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। কিন্তু ফেরাটা যেন ঠিক সাকিবসুলভ হচ্ছে না। বোলিংয়ে কিছুটা ভূমিকা রাখলেও ব্যাট হাতে যেন কিছুই করতে পারছেন না তিনি। জিম্বাবুয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষেও হাসেনি সাকিবের ব্যাট।

সাকিবের এ অফফর্মের প্রভাব পড়েছে আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়েও। দীর্ঘদিন পরে সিংহাসন খোয়ালেন বাঁ-হাতি এ অলরাউন্ডার। সাকিবের অবনতি হলেও র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান।

গতকাল র‍্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রকাশ করেছে আইসিসি। সেখানে দেখা যায়, অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়ে শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার কাছে শীর্ষস্থান খুইয়েছে সাকিব। ২২৩ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুই নম্বরে নেমে এসেছেন তিনি। অন্যদিকে ২২৮ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ অলরাউন্ডার এখন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ পিছিয়ে ৩১ নম্বরে নেমে গেছেন সাকিব।

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ হাজার রান ও ৭০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন ঠিকই। তবে সিরিজজুড়ে আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে পারেননি। যুক্তরাষ্ট্র সিরিজে ১৮ গড় ও ১০২.৮৫ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ৩৬ রান। ৭.৪০ ইকোনমিতে নেন ১ উইকেট।

দীর্ঘদিন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বাইরে থাকলেও র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিলেন সাকিব। কিন্তু গত মাসে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে মাঠে ফেরেন তিনি। ফিরেই পেয়েছিলেন দুঃসংবাদ। আইসিসির আগের র‌্যাঙ্কিংয়েই সাকিবকে ছুঁয়ে ফেলেছিলেন হাসারাঙ্গা। এ কয়দিন যৌথভাবে দুজনই ছিলেন শীর্ষে। এবার এককভাবে সেই স্থান হয়ে গেল হাসারাঙ্গার।

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বল হাতে ছন্দে ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিন ম্যাচে ১০ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি হয়েছেন সিরিজ সেরা। এছাড়া শেষ ম্যাচে ১০ রানে নেন ৬ উইকেট। দুই ধাপ এগিয়েছেনে এই পেসার। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবার ওপরে ২৩ নম্বরে অবস্থান তার। একই সিরিজে বল হাতে ভালো পারফম্যান্স করেছেন রিশাদ হোসেনও। তিন ম্যাচে ৪.৪০ ইকোনোমিতে তিনি পান ৪ উইকেট। যে কারণে ৩৮ ধাপ এগিয়ে তার অবস্থান ৫২।

ভালো খেলার সুবাদে টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের র‌্যাংকিংয়ে ১২ ধাপ এগিয়েছেন হৃদয়। ক্যারিয়ার সেরা ৪৭৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তিনি অবস্থান করছেন ৬০ নম্বরে। এছাড়াও ৩৪ ধাপ এগিয়ে একশোর ভেতরে ঢুকেছেন তানজিদ হাসান।

সিরিজজুড়ে বাজে পারফরম্যান্সে ৫ ধাপ পিছিয়েছেন লিটন দাস। ৪০তম অবস্থানে থাকা এই ব্যাটারই আছেন দেশের হয়ে সবার ওপরে। একই কারণে পিছিয়েছেন নাজমুল হাসান শান্তও। ৪ ধাপ পিছিয়ে তার অবস্থান ৪৪তম।


দুই বছর সময় চাইলেন নাজমুল শান্ত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

বাংলাদেশ প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলে ২০০৬ সালে। সময়ের হিসাব বলছে, বাংলাদেশ এখন টি-টেয়েন্টি ক্রিকেটের ১৮ বছরের যুবক। কিন্তু ক্রিকেটের ছোট সংস্করণের এ খেলায় বাংলাদেশের উন্নতি খুঁজতে আতশকাচ লাগবে; তবুও পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।

সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বিশ্বকাপের সবগুলো আসর খেললেও এখনো নকআউট পর্বে খেলার স্বাদ পায়নি লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। ২০০৭ সালে শুরু হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর মাঠে গড়ানোর দোড়গোড়ায়। সে হিসাবে ৮টি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে টিম বাংলাদেশের। এতগুলো বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা থাকা বাংলাদেশের সামনে আরও একটি বিশ্বকাপ। কিন্তু এ বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের প্রত্যাশা বলতে কিছু নেই। বিশ্বকাপে উড়াল দেওয়ার আগে, দর্শকদের প্রত্যাশা কম রাখার অনুরোধ করেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত।

আত্মবিশ্বাস না থাকার কারণ, টি-টোয়েন্টিতে এতদিনেও টিম পারফরম্যান্সে কোনো উন্নতি করতে না পারা। তবে কেন উন্নতি হচ্ছে না? যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচের আগে তার একটি উত্তর দিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ থেকেই দেশের উইকেটকে দায়ী করছেন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। টি-টোয়েন্টিতে ভালো করতে না পারার জন্য আরেকবার একই কথার পুনরাবৃত্তি করলেন তিনি। অর্থাৎ ভালো উইকেটে বেশি ক্রিকেট খেলে না বাংলাদেশ। যার ফলে উন্নতিও আসে না। যার পেছনে দায়ী বাংলাদেশের লো-স্কোরিং উইকেট।

এক সাক্ষাৎকারে শান্ত বলেছেন, ‘প্রথমত আমাদের ভালো উইকেটে খেলতে হবে। অনেকেই এটাকে অজুহাত হিসেবে দেখতে পারেন। তবে এটাই বাস্তবতা। আমরা খুব কম ম্যাচই ভালো উইকেটে খেলি।’

আধুনিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটারদের স্ট্রাইকরেট অনেকটাই দৃষ্টিকটু। অধিনায়ক শান্তর স্ট্রাইকরেট নিয়েই বড় প্রশ্ন। মাত্র ১০৯.৬৪ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করেন তিনি। বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ২০ দলের অধিনায়কদের মধ্যে স্ট্রাইকরেটে শান্তর অবস্থান ১৯তম।

টি-টোয়েন্টিতে ভালো করতে হলে এবং স্ট্রাইকরেট বাড়াতে হলে ক্রিকেটারদের সময় দিতে হবে। অল্প কয়েক দিন ভালো পিচে খেললেও সংকট কাটবে না। এর জন্য দীর্ঘমেয়াদে ভালো পিচে খেলার কথা বলেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। অনেকটা সময়ই চেয়েছেন তিনি।

শান্ত বলেন, ‘ছয় মাসের মধ্যে সবকিছু বদলে ফেলা কঠিন। আমরা যদি ভালো উইকেটে এক-দুই বছর খেলতে থাকি, তাহলে স্ট্রাইকরেটের উন্নতি হবে।’

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ খেলবে ডি-গ্রুপে। অন্যান্য গ্রুপের তুলনায় বাংলাদেশ অনেকটা কঠিন গ্রুপেই পড়েছে। এই গ্রুপে তাদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ লঙ্কানদের বিপক্ষে ৮ জুন ডালাসে।


বিশ্বকাপে নতুন স্বপ্ন জাকের আলীর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাংলাদেশ দলের ফিনিশিংয়ে সমস্যা বেশ পুরোনো। তবে আপাতত সেই সমস্যার সমাধান জাকের আলী অনিক। ইতোমধ্যেই দেখিয়েছেন প্রতিভার ঝলক। বিপিএল দিয়ে নজর কেড়েছিলেন। ভাগ্যও ‍খুলে যায় আলিস ইসলামের ইনজুরিতে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুযোগ পেয়েই ঝকঝকে ইনিংসে দাবি জানিয়ে রাখে জাতীয় দলে স্থায়ী হওয়ার। নির্বাচকরাও আস্থা রেখেছেন জাকেরের ওপর। জায়গা করে দিয়েছেন বিশ্বকাপ দলে। এখন নিজের প্রথম বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন পূরণের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে জাকের।

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে যে কয়জন ইনফর্ম ক্রিকেটার আছেন, জাকের আলী তাদেরই একজন। নিয়মিতই হাসছে তার ব্যাট। সেই আত্মবিশ্বাস থেকেই হয়তো বিসিবির ‘রেড-গ্রিন স্টোরি’তে দেখালেন বড় স্বপ্ন। বিশ্বকাপের বড় মঞ্চে বাংলাদেশের অর্জনে রাখতে চান বড় ভূমিকা। এমন কিছু অর্জন করে দেশে ফিরতে চান, যা বাংলাদেশ আগে করতে পারেনি।

নিজের প্রথম বিশ্বকাপ হলেও বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটারদের স্বপ্নটা বেশ বড়। জাকেরও তার ব্যতিক্রম নয়। বিশ্বকাপে নিজের স্বপ্ন ও লক্ষ্য নিয়ে বললেন, ‘দল হিসেবে আমি চাইব, আমরা প্রতিটা ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স করে দেখাতে এবং জিততে। নিজের দেশের জন্য বড় কিছু করার ইচ্ছা আছে। এ বিষয়টা সব সময় ভাবনায় কাজ করে। ইচ্ছা থাকবে, আগে যেসব জিনিস অর্জন করতে পারিনি, সেসব যেন এবার অর্জন করতে পারি।’

নিজের ব্যক্তিগত পরিকল্পনা নিয়েও কথা বলেছেন জাকের, ‘যখন থেকে শুনলাম যে আমি দলে আছি, তখন থেকেই ম্যাচ বাই ম্যাচ দেখা শুরু করে দিয়েছি। কার সঙ্গে কীভাবে খেলতে হবে, কোন প্রতিপক্ষের সঙ্গে কী রকম কৌশল নিতে হবে, সেগুলো নিয়ে ভাবছি। সেভাবেই আগাচ্ছি।’

ইতোমধ্যেই দেশের ক্রিকেটে সাড়া ফেলে দিয়েছেন জাকের। ২৬ বছর বয়সি এ ক্রিকেটার জানিয়েছেন নিজের ক্রিকেটে আসার গল্পও। জাকের বলেন, ‘ক্রিকেট দেখেই ক্রিকেটে আসা। ২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেট খুব ভালোভাবে অনুসরণ করি। তখন থেকেই ইচ্ছা ছিল বাংলাদেশের হয়ে ক্রিকেট খেলব। দেশের হয়ে খেলাটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার। সেটা যদি বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে হয়, তবে তো আরও ভালো।’

জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে পূরণ করেছেন মায়ের স্বপ্নও, “আম্মার স্বপ্ন ছিল, ‘আমি দেশের হয়ে খেলব। উনি সব সময় বলতেন, তোর তামিম ভাই, সাকিব ভাই, মাশরাফি ভাইদের দলে তুই কবে খেলবি।’ এটাই আমার আম্মার স্বপ্ন ছিল। আর এখন উনি খুব গর্ববোধ করেন। আব্বা যত দিন ছিলেন, তিনি মাঠে বসে থাকতেন। আব্বা যখন থাকতেন না, আমার বোন নিয়ে যেত।”


চার্লসের তাণ্ডবে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি সম্পন্ন ক্যারিবীয়দের  

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

বিশ্বকাপের আগে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের এটাই ছিল শেষ সিরিজ। প্রেটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছিল ক্যারিবীয়রা। শেষ ম্যাচে রেকর্ড গড়া জয়ে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকাকে ধবল ধোলাই করেই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারল স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এদিনও ক্যারিবীয় ব্যাটারদের কাছে নাস্তানাবুদ হয়েছে প্রোটিয়া বোলাররা। রেকর্ড গড়েছেন ওপেনার জনসন চার্লস।

সাবিনা পার্কে টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার টপ অর্ডার সুবিধা করতে পারেনি মোটেও। নবম ওভারে ৫০ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। মিডল অর্ডারে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক রেসি ফন ডার ডুসেনের ৫১ আর উইয়ান মাল্ডারের ৩৬ রানের ইনিংসে মোটামুটি একটা সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

আগের দুই ম্যাচেই দেখেই বোঝার বাকি ছিল না প্রোটিয়াদের জয়ের জন্য এ রান যথেষ্ট নয়। হলোও সেটাই; পাওয়ার-প্লেতেই জয়ের আশা নিঃশেষ হয়ে গেলো। প্রথম ৬ ওভারে ৮৩ রান তোলে ব্র্যান্ডন কিং ও চার্লসের ওপেনিং জুটি। চার্লস আউট হলে ভাঙে তাদের ৯২ রানের জুটি। ২৬ বলে ৯ চার ও ৫ ছক্কায় খেলা ৬৯ রানের ইনিংসে চার্লসের স্ট্রাইক রেট ২৬৫.৩৮। কমপক্ষে ৫০ রানের ইনিংসে আর কোনো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যানের এর চেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেট নেই এখন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে।

কাইল মায়ার্স ও অ্যালিক অ্যাথানাজের অবিচ্ছিন্ন ১৮ বলে ৩৫ রানের তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬ ওভার ১ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ক্যারিবীয়রা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এর আগে কখনোই এত বল বাকি রেখে জেতেনি ক্যারিবীয়রা। এ সিরিজে দুই দলেরই অধিনায়কসহ শীর্ষ সারির বেশ কয়েকজন ছিলেন না আইপিএলে ব্যস্ত থাকায়। এরপরও এমন জয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি রোভম্যান পাওয়েলের জায়গায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কত্ব করা কিং, ‘গুরুত্বপূর্ণ জয়। বিশ্বকাপের আগে শেষ সিরিজ। ফলে প্রস্তুতি ও ভালো একটা মোমেন্টাম নিয়ে যেতে পারছি বিশ্বকাপে। আমাদের বোলিং পারফরম্যান্স বেশ ভালো ছিল, ধারাবাহিক ছিলাম।’

মার্করামের জায়গায় প্রোটিয়াদের দায়িত্ব সামলানো ফন ডার ডুসেন বলেছেন, ‘কথা বলার পালা শেষ, আমাদের আরও অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের এসে দায়িত্ব নিতে হবে। অজুহাত দেওয়ার কিছু নেই। তারা ব্যাটিংয়ে যেভাবে খেলেছে আর বোলিংয়েও যেমন ভালো ছিল, তাতে আসলে আমরা ভড়কে গেছি।’


‘পারফেক্ট টিমম্যান’ আর্জেন্টাইন গঞ্জালো হিগুয়েন  

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

আর্জেন্টিনার হয়ে তিনটি ফাইনালের হতশ্রীকর পারফরম্যান্স বাদ দিলে গঞ্জালো হিগুয়েন নিঃসন্দেহে ছিলেন তার সময়ের সেরা নাম্বার নাইন। ফিনিশিং আর গোলক্ষুধা তাকে করে তুলেছিল অনন্য; পাশাপাশি ছিল ড্রিবলিং করার সামর্থ্য আর দুর্দান্ত গতি। অন্য স্ট্রাইকারদের মতো স্বার্থপর নন, এই আর্জেন্টাইন ছিলেন ‘পারফেক্ট টিমম্যান’।

দীর্ঘ এক ক্যারিয়ারে রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাস, এসি মিলান, চেলসি, নাপোলির মতো পরাশক্তিদের স্ট্রাইকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন গঞ্জালো হিগুয়েন। তুরিনের বুড়িদের হয়েই খেলেছেন তিন বছর। ইউরোপের পাঠ চুকানোর পর ক্যারিয়ারের শেষ দিকে ইন্টার মিয়ামির জার্সি গায়ে উঠেছিল তার। সব মিলিয়ে নিজের ক্লাব ক্যারিয়ারে ৭১০ ম্যাচ খেলে ৩৩৫ গোল করেছেন তিনি। সেই থেকে সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আর ১১৩টি গোল।

জাতীয় দল হিসেবে আর্জেন্টিনাকে বেছে নিলেও গঞ্জালো হিগুয়েনের জন্ম ফ্রান্সের ব্রেস্ত শহরে। কিন্তু মাত্র ১০ মাস বয়সেই দেশ ছাড়তে হয় তাকে। পাড়ি জমান আর্জেন্টিনায়। তার শৈশব কেটেছে সেখানেই। তাইতো আর্জেন্টিনার অন্য সব শিশুর মতই ফুটবলের বিদ্যাটা আগে শিখেছিলেন। এরপর ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন ডানা মেলেছিল রিভার প্লেটো ক্লাবের সঙ্গে পেশাদার চুক্তি করার পর থেকে। ১৯ বছর বয়সে রিভার প্লেটোতে যোগ দেয়ার পর দ্যুতি ছড়াতে থাকেন হিগুয়েন। ড্রিবলিং, গতির সঙ্গে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই নজর কাড়েন ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোর। সবাইকে টেক্কা দিয়ে হিগুয়েনকে ঘরে নিয়ে আসে স্পেন জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ। সেখানে ছয় মৌসুম পরে ম্যারাডোনার পরামর্শে লস ব্লাঙ্কোসদের বিদায় জানিয়ে পাড়ি জমান ইতালির ক্লাব নাপোলিতে। সেখানে গিয়ে তকমা পান নতুন ম্যারাডোনার।

২০০৯ সালে যখন আর্জেন্টিনার জার্সিতে অভিষেক হয় হিগুয়েনের তখন আকাশী-নীলদের শোচনীয় অবস্থা। বলিভিয়ার কাছে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর হেরেছে টানা তিন ম্যাচ; ফলে বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা পাওয়াই ছিল শঙ্কার মুখে। পেরুর বিপক্ষে মান বাঁচানোর সেই ম্যাচেই জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম গোল দিয়ে দলকে লিড এনে দিয়েছিলেন তিনি। তবে ক্লাব ক্যারিয়ারের দারুণ মুহুর্ত কিংবা ২০১০ বিশ্বকাপের আগে মান বাঁচানো সেই পারফরম্যান্সের জন্য নয় আর্জেন্টিনার গঞ্জালো হিগুয়েনকে ফুটবল বিশ্ব মনে রাখবে টানা তিনটি ফাইনালে ম্যাচে গোল মিস করার জন্য।

পুরো নাম: গঞ্জালো জেরার্ড হিগুয়েন

জন্ম: ১০ ডিসেম্বর, ১৯৮৭ সাল।

জন্মস্থান: ব্রেস্ত ফ্রান্স।

রাশি: ধনু রাশি।

প্রিয় খেলা: ফুটবল।

প্রিয় খাবার: পিৎজা।

প্রিয় পানীয়: ওয়াইন।

প্রিয় রং: সাদা, নীল।

প্রিয় ফুটবলার: দিয়েগো ম্যারাডোনা।

প্রিয় সতীর্থ: লিওনেল মেসি, ডি মারিয়া।

প্রিয় স্টেডিয়াম: সান্তিয়াগো বার্নাব্যু, স্পেন।

প্রিয় ফুটবল দল: নাপোলি এসএসসি, আর্জেন্টিনা ফুটবল দল।

প্রিয় গাড়ি: অডি এ৮।

প্রিয় শখ: ভ্রমণ, গান শোনা।

প্রিয় স্থান: মাদ্রিদ।

প্রিয় জুতার ব্র্যান্ড: পিউমা।


রিশাদের লক্ষ্য বিশ্বকাপে পারফর্ম করা

আপডেটেড ২৮ মে, ২০২৪ ১৬:২৪
ক্রীড়া ডেস্ক

বিশ্ব ক্রিকেটে প্রায় সব দলই যখন লেগস্পিন দিয়ে রাজত্ব করছে, তখন একজন লেগস্পিনারের হাহাকারে পুড়ছিল বাংলাদেশ। আমিনুল বিপ্লব কিংবা জুবায়ের লিখনদের দিয়ে চেষ্টা করা হলেও, লম্বা সময়ের জন্য কাউকেই সেভাবে পাওয়া যায়নি। তবে সেই আক্ষেপ পূরণের আশা দেখাচ্ছেন তরুণ লেগস্পিনার রিশাদ হোসাইন। বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও বেশ দক্ষ রিশাদ। নিজের প্রতিভা দিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন বিশ্বকাপের দলেও।

জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ার পর থেকেই নিয়মিত পারফর্ম করে যাচ্ছেন রিশাদ। যেমন বল হাতে অবদান রাখছে, তেমনি ব্যাট হাতে পালন করছেন ফিনিশিংয়ের রোল। লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচজয়ী পারফরম্যান্স কিংবা গালিতে ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত সব ক্যাচ নিয়ে ইতোমধ্যেই নজর কেড়েছেন তিনি। ক্যারিবীয় অঞ্চলের স্পিন সহায়তার কথা চিন্তা করে নিয়মতিই বিশ্বকাপ দলে দেখা যেতে পারে তাকে।

বিসিবির ‘রেড-গ্রিন স্টোরি’তে রিশাদ জানালেন বিশ্বকাপে নিজের লক্ষ্যের কথা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ক্রিকেট খেলা যখন শুরু করি, তখন লেগস্পিনার ছিলাম। কিন্তু আমার চিন্তা ভাবনা ছিল আরো বড় কিছু করার। দেশের জন্য কিছু করতে হলে আমাকে তিন মাধ্যম থেকেই অবদান রাখতে হবে। আর আপনি যখন ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সব ক্ষেত্রে ভালো করতে চাইবেন তখন আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’

লেগস্পিানার হলেও রিশাদ নজর কেড়েছিলেন তার পাওয়ার হিটিং সামর্থ্যের জন্য। শেষ দিকে বোলারদের উপর চড়াও হতে পারেন তিনি। নিজের এমন বড় শট খেলার প্রবণতা নিয়ে রিশাদ বলেন, ‘আমি চেষ্টা করেছি ব্যাটিংয়ে আরও উন্নতি করার জন্য। সব ব্যাটারই চায় বড় বড় শট খেলতে। আমিও সবসময় চাই যে বাউন্ডারির দিকে বেশি শট খেলতে। ছক্কা মারার জন্য নিজের ওপর বিশ্বাস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কে বল করছে সেদিকে আমি খুব একটা ভ্রূক্ষেপ করি না। আমি শুধু বল বিবেচনা করি এবং সে অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করি।’

বাংলাদেশ দলের স্পিন কোচ হিসেবে যোগ দেওয়া পাকিস্তানের কিংবদন্তি স্পিনার মুশতাক আহমেদ সম্পর্কে রিশাদ বলেন, ‘উনি ওনার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। কীভাবে বড় মঞ্চে পারফর্ম করা যায়। কীভাবে কাম অ্যান্ড কুল থেকে পারফর্ম করা যায়। আমি এগুলো ডেলিভার করার চেষ্টা করব।’

বোলার হিসেবে নিজের লক্ষ্যও জানিয়েছেন রিশাদ, ‘আমি যেহেতু বোলার সে হিসেবে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হতে চাই। আর অলরাউন্ডার হিসেবে নিজেকে আরেকটু উপরে নিয়ে যেতে চাই।’


banner close