বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

রোনালদোকে অপমান করেছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার খেলোয়াড়?

মাঠ ছাড়ার সময় কোরিয়ান খেলোয়াড় জে সুংকে চুপ থাকতে বলেন রোনালদো। ছবি: এএফপি
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশিত
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশিত : ৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৮:১৯

ম্যাচের তখন ৬৫ মিনিট। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে পর্তুগালের ম্যাচে তখন ১-১ গোলে সমতা। রোনালদোকে তুলে মাঠে নামানোর ইঙ্গিত দেয়া হয় আন্দ্রে সিলভাকে। মাঠ ছাড়ার সময় বেশ অসন্তুষ্ট দেখা যায় সিআরসেভেনকে। সবাই ভেবে নিয়েছিলেন কোচ ফের্নান্দো সান্তোসের সিদ্ধান্তে হয়তো নাখোশ হয়েছেন তিনি।

তবে ম্যাচশেষে ভিন্ন কথা জানিয়েছেন সান্তোস এবং সিআরসেভেন। কোরিয়ার জে সুং নাকি ‘অপমান’ করেছেন পর্তুগিজ তারকাকে। আর তাতে মাঠ ছাড়ার সময় পর্তুগিজ তারকাকে রাগান্বিত ও হতাশ দেখা গেছে। সে সময় জে সুংয়ের সাথে কিছু বাক্য বিনিময়ও হয়। তাকে চুপ করতেও বলেন রোনলাদো।

পর্তুগিজ এক রিপোর্টারকে রোনালদো বলেছেন, ‘এটা ঘটেছিল যখন আমাকে তুলে নেয়া হলো। সেই কোরিয়ান খেলোয়াড়টি (জে সুং) আমাকে আরও দ্রুত মাঠ ছাড়তে বলে। আমি তাকে শান্ত হতে বলি কারণ তার এটা বলার এখতিয়ার নেই। আমি যদি দ্রুত না যেতাম তাহলে রেফারি সেটা বলতে পারত। তাহলে কোনো বিতর্ক থাকত না। মুহূর্তের উত্তেজনা, এই যা।’

একই কথা পর্তুগিজ কোচ ফের্নান্দো সান্তোসের, ‘কোরিয়ার সেই খেলোয়াড়ের প্রতি সে (রোনালদো) রাগান্বিত ছিল এবং সবাই সেটা দেখেছে। (মাঠের বাইরে) যেতে বলে খেলোয়াড়টি তাকে অপমান করেছে। আমি কোরিয়ার সেই খেলোয়াড়ের সঙ্গে (রোনালদোর) ঘটনাটা দেখেছি। এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।’

যদিও বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক অবসানের চেষ্টা দক্ষিণ কোরিয়ার মিডফিল্ডার হোয়াং ইন-বিওমের। তিনি বলেছেন, ‘আমি সেটা দেখিনি, আমি খুবই ক্লান্ত ছিলাম। আমি মাঠের দিকে তাকিয়েছিলাম।… আমার এ ব্যাপারে কিছু বলার নেই।’

অতিরিক্ত সময়ের গোলে ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত জিতে নেয় দক্ষিণ কোরিয়া। যদিও তাতে পর্তুগালের শীর্ষস্থান অক্ষুন্নই থেকেছে। তবে টুর্নামেন্টে বেশি গোল করায় উরুগুয়ের সমান পয়েন্ট নিয়েও শেষ ষোলোতে পর্তুগালের সঙ্গী দক্ষিণ কোরিয়া।


তারুণ্যে ভরা নেদারল্যান্ডসের বিশ্বকাপ দল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

অনেকটা চমক দিয়েই আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল নেদারল্যান্ডস। ইংলিশ কাউন্টি দলের সঙ্গে থাকা চুক্তি পূরণ করতে গিয়ে বিশ্বকাপ খেলা হচ্ছে না দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার কলিন অ্যাকারমান ও রোয়েলফ ফন ডার মারউইয়ের। তাদের পরিবর্তে তরুণদের প্রতিই আস্থা রেখেছেন নির্বাচকরা।

স্কট অ্যাডওয়ার্ডসের নেতৃত্বে এবারের বিশ্বকাপে অংশ নেবে নেদারল্যান্ডস। গত বিশ্বকাপেও তার নেতৃত্বেই অংশ নিয়েছিল ডাচরা। এবারের দলে অবশ্য রয়েছে বেশ কিছু পরিবর্তন। দলে নেই শারিজ আহমেদ, টম কুপার, স্টিফেন মাইবার্গ, অ্যাকারমান, ফন ডার মারউই, গ্লোভার ও ফন ডার গুটেন। দলে এসেছেন ওয়েসলি বারেসি, আরিয়ান দত্ত, মাইকেল লেভিট, সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট, ভিভিয়ান কিংমা ও ড্যানিয়েল ডোরাম দলে ফিরেছেন।

ডি গ্রুপে নেদারল্যান্ডসের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামী ৪ জুন নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আসর শুরু করবে ডাচরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের ম্যাচ ১৩ জুন।

নেদারল্যান্ডসের বিশ্বকাপ স্কোয়াড: স্কট অ্যাডওয়ার্ডস (অধিনায়ক), আরিয়ান দত্ত, বাস ডি লিডা, ড্যানিয়েল ডোরাম, ফ্রেড ক্লাসেন, কাইল ক্লেইন, লোগান ফন বিক, ম্যাক্স ও’ডাউড, মাইকেল লেভিট, পল ফন মেকিরান, সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট, তেজা নিদামানুরু, টিম প্রিঙ্গল, বিক্রম সিং, ভিভিয়ান কিংমা ও ওয়েসলি বারেসি।


রঙিন হয়নি এমবাপ্পের প্যারিস বিদায়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

ইতোমধ্যেই পিএসজি ছাড়ার ঘোষনা দিয়ে দিয়েছেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। তাই এখন আনুষ্ঠানিকভাবে বলাই যায়, গত রাতে প্যারিসে শেষ রাত ছিল এমবাপ্পের জন্য। ঘরের মাঠ প্রিন্সেস দে পার্কে পিএসজির জার্সিতে শেষ ম্যাচ খেলেতে নেমেছিলেন এ ফরাসি তারকা। তবে শেষটা রাঙাতে পারেননি। এ যেন নিয়তির খেলা। যা বোঝে না শেষ কিংবা শুরু; চলে নিজের গতিতে। তবু প্রত্যাশা তো থাকে অনেককিছুই। কিলিয়ান এমবাপ্পেও হয়তো এমন অনেক কিছুই প্রত্যাশা করেছিলেন। তবে নিয়তি তাকে সেটি পেতে দেয়নি।

ম্যাচটি ছিল পার্ক দ্য প্রিন্সেসে নিজেদের সমর্থকদের সামনে লিগ ‘আঁ’র শিরোপা নিয়ে পিএসজির উৎসব করার। ম্যাচটি আবার প্যারিসে কিলিয়ান এমবাপ্পের বিদায়ী ম্যাচও। কিন্তু তুলুজের বিপক্ষে ৩-১ গোলে হেরে সেই আনন্দ মাটি হয়ে গেছে এমবাপ্পেদের। এই ম্যাচের পর আর প্যারিসের মাঠে পিএসজির জার্সিতে নামবেন না এমবাপ্পে। তবে মৌসুমের বাকি কয়েকটি ম্যাচে খেলতে পারেন এমবাপ্পে। সেসব ম্যাচ প্রিন্সেস দে পার্কে নয়।

প্রিন্সেস দ্য পার্কে নিজের শেষ ম্যাচটা রাঙনোর উপলক্ষও তৈরি করেছিল এমবাপ্পে। ৮ মিনিটেই গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এরপর আর পিএসজির কেউ স্কোরও করতে পারেনি, প্রতিপক্ষের স্কোরারদের রুখতেও পারেনি। তুলুজের হয়ে করেন থিস ডালিঙ্গা (১৩ মিনিটে), ইয়ান গোবো (৬৮ মিনিটে) ও ফাঙ্ক মাগরি ৯৫ মিনিটে গোল করে এমবাপ্পের বিদায়কে বিষাদময় করে দেন।

এমবাপ্পের শেষ ইচ্ছেটা ছিল, চলতি মৌসুমে পিএসজিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতাবেন। কিন্তু নিজের সেই ইচ্ছেও পূরণ করতে পারেননি তিনি। বুরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে হেরে বিদায় নিতে আসরের সেমিফাইনাল থেকেই। জার্মান বুন্দেস লিগায় ক্লাবটির কাছে দুই লেগেই হেরেছে এমবাপ্পের দল।

গতকাল ম্যাচ শেষে পিএসজি কোচ লুইস এনরিক বলেন, ‘অনুরাগীরা এমবাপ্পেকে তার প্রাপ্য শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তারুণ্য থাকা সত্ত্বেও সে একজন ক্লাব কিংবদন্তি। তার এখনো আমাদের সঙ্গে কয়েকটি ম্যাচ বাকি আছে। তবে আমি তাকে তার ক্যারিয়ারের জন্য শুভকামনা জানাই।’

এমবাপ্পেকে নিয়ে সতীর্থ ডেম্বেলে বলেন, ‘সে ক্লাবকে অনেক কিছু দিয়েছে। অনেক কিছু করেছে। সে যা করেছে তাতে আমরা খুশি। পিএসজিতে ভালোভাবে বড় হয়েছে, সে অনেক কিছু অর্জন করেছে। সে একজন পিএসজি কিংবদন্তি। আমরা তাকে নিয়ে গর্বিত।’


একের ভেতর সব জেমস নিশাম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

তাকে সাম্প্রতিক ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিনিশার বললেও বোধ হয় খুব একটা ভুল হবে না। ব্যাট হাতে চোখ জুড়ানো সব শটে প্রতিপক্ষের বোলারদের নাভিশ্বাস তুলে ম্যাচ শেষ করে আসার সক্ষমতা তার আছে। এর সঙ্গে বল হাতেও বেশ কার্যকরী; গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তুলে নিতে পারেন উইকেট কিংবা রানের গতি টেনে ধরে চেপে ধরতে পারেন প্রতিপক্ষকে। এর সঙ্গে বোনাস হিসেবে যোগ করুন দুর্দান্ত ফিল্ডিং স্কিল। এভাবেই কিউইদের ভালোবাসার পাত্রে পরিণত হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার জেমস নিশাম (জিমি নিশাম)।

জন্মটা ১৯৯০ সালে নিউজিল্যন্ডের অকল্যান্ড শহরে। যে দেশে ক্রিকেটটা ঠিক কেউ সিরিয়াসলি খেলে না। এমনিতেই জনসংখ্যা অনেক কম। তার ওপর রাগবির জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী, ফুটবলটাও কম নয়। তারপরও যুগে যুগে তাসমান সাগরপাড় থেকে উঠে এসেছে কালজয়ী সব ক্রিকেটার। সেই মশালই সামনে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন জিমি নিশামরা।

ঘরোয়া ক্রিকেটে শুরুটা অকল্যান্ডের হয়ে হলেও সাফল্যের শুরুটা হয় ওটাগোতে দল পরিবর্তন করার পর। ঘরোয়া ক্রিকেটে একই ম্যাচে চল্লিশোর্ধ্ব রান এবং পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর ডাক আসে জাতীয় দল থেকে।

স্কট স্টাইরিশ পরবর্তী যুগে এমন কাউকেই খুঁজছিল নিউজিল্যান্ড। অভিষেক ম্যাচেই সব আলো নিজের দিকে টেনে নেন নিশাম। ২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে খেলেন অপরাজিত ১৩৭ রানের ইনিংস। সেঞ্চুরির ধারা অব্যাহত রাখেন পরের ম্যাচেও, বনে যান ইতিহাসের প্রথম কিউই ক্রিকেটার হিসেবে প্রথম দুই ম্যাচেই সেঞ্চুরি করা প্রথম ক্রিকেটার। অবশ্য তার আগেই নিশামের অভিষেক হয়ে গেছে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে।

২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে প্রথমবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপান। পরের বছরই গায়ে জড়ান ওয়ানডে দলের জার্সিও। তবে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টির অভিষেকটা টেস্টের মতো হয়নি নিশামের।

দুর্দান্ত শুরুর পরও টেস্টে নিজেকে থিতু করতে পারেননি এ কিউই অলরাউন্ডার। বরং সাদা বলের ক্রিকেটেই তার পরিচিতি বেশি। সেখানেই নিজেকে থিতু করে নিয়েছেন।

পুরো নাম- জেমস ডগলাস শিয়াহ্যান নিশাম।

জন্ম- ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৯০ সাল।

জন্মস্থান- অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড।

রাশি: কন্যা।

প্রিয় খেলা: ক্রিকেট, গলফ, বাস্কেটবল।

প্রিয় খাবার: ভেজিটেরিয়ান ডিশ।

প্রিয় পানীয়: লেমন জুস।

প্রিয় রং: সাদা।

প্রিয় ক্রিকেটার: ড্যানিয়েল ভেট্টরি।

প্রিয় ক্রিকেট দল: নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল।

প্রিয় সতীর্থ: লুকি ফার্গুসন, কেন উইলিয়ামসন, টিম সাউদি।

প্রিয় ফুটবলার: লিওনেল মেসি।

প্রিয় ফুটবল দল: বার্সেলোনা এফসি।

প্রিয় গাড়ি: অ্যাস্টন মার্টিন ভ্যান্টেজ।

প্রিয় শখ: ভ্রমণ, সিনেমা দেখা।

প্রিয় জুতার ব্র‌্যান্ড: নিউ ব্যালেন্স।


সিস্টেমে পরিবর্তন চান ইমরুল কায়েস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে ওপেনার ইমরুল কায়েস। লাল-সবুজ জার্সিতে সবশেষ ম্যাচ খেলেছেন সেও প্রায় বছর পাঁচ হয়ে গেল। এরপর আর জাতীয় দলে ফেরা হয়নি এ ওপেনারের। ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করেও থেকেছেন নির্বাচকদের চোখের আড়ালে। ওপেনিং নিয়ে সমস্যায় জর্জরিত থাকা বাংলাদেশ বাজিয়ে দেখেনি রেকর্ড বইয়ে জ্বলজ্বল করা ইমরুলকে। নানা আলোচনা আছে তার দল থেকে বাদ পড়া নিয়ে। সেসব আলোচনার কিছুটা বাস্তবতাও আছে; পরপর দুই সিরিজে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার পরও বাদ পড়েছিলেন দল থেকে।

দল থেকে এভাবে বাদ পড়া নিয়ে ইমরুল জানালেন, জাতীয় দলে খেলতে সাপোর্ট লাগে কিন্তু সেটা তিনি পাননি। পর্যাপ্ত সুযোগও তিনি পাননি। দেশের একটি বেসরকারি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাতীয় দলের সাবেক এ ওপেনার বলেন, ‘আমি অবশ্যই পর্যাপ্ত সুযোগ পাইনি। আমার এখনো মনে আছে, দুই সিরিজে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে পরের সিরিজে ছিলাম না। এটা কিন্তু সবার ক্ষেত্রে হয় না। আমার ক্ষেত্রে এসব প্রায়ই হতো। জাতীয় দলে খেলতে গেলে কিছুতো সাপোর্ট লাগে, অধিনায়ক-টিম ম্যানেজমেন্টের সাপোর্ট লাগে।’

ইমরুল কায়েস প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় দলে ক্রিকেটারদের সিলেকশনের প্রসেস নিয়েও। বদল আনার দাবি জানিয়েছেন এ প্রসেসে, ‘আমার মনে হয় এই সিস্টেমগুলো আরও সুন্দরভাবে পেশাদারভাবে হওয়া উচিত। ঘরোয়া ক্রিকেটে যারা ভালো খেলবে, তাদের সুযোগটা আগে হওয়া উচিত। এই প্রসেসটা থাকলেই কিন্তু একজন তরুণ ক্রিকেটার কিংবা বাদ পড়া ক্রিকেটার ফোকাস রেখে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে পারবে। ব্যর্থ হওয়ার পরও নির্দিষ্ট খেলোয়াড়দের সুযোগ দেওয়ার সিস্টেমে পরিবর্তন আনা উচিত।’

সেই সাক্ষাৎকারে ইমরুল সামনে এনেছে নির্বাচক প্যানেলের সঙ্গে তার দূরত্বের বিয়ষটিও। দেশের সম্ভাবনাময়ী এ ওপেনারকে কখনোই ভুল ধরিয়ে দেননি নির্বাচক মিনহাজুল আবেদন নান্নুর কমিটি, ‘নান্নু ভাই কখনোই আমাকে কোনো স্পেস দেয়নি। আমাকে যদি নির্বাচকরা বলে দিত, তোর এই সমস্যা- এই জায়গায় তুই উন্নতি কর, কাজ কর, তাহলে আমরা তোকে নেব। তাহলে কিন্তু আমি মেসেজটা পেয়ে যাই। আমি কখনো কোনো মেসেজ পাই না। নান্নু ভাই একবার বলে তোকে টেস্ট দলে বিবেচনা করি না। আরেকবার বলে ওয়ানডে দলে বিবেচনা করি না। আবার কয়দিন পর বলে এই দুই ফরম্যাটের জন্যই বিবেচনায় আছিস। এর মানে তাদের পরিকল্পনায় গলদ আছে।’ ইমরুল জানিয়েছেন এখন আর তিনি জাতীয় দলে ফেরার কোনো আশাই করেন না। ঘরোয়াতেই পারফর্ম করে যেতে চান ফিটনেস যতদিন অনুমতি দেয়।


তাসকিনকে নিয়েই বিশ্বকাপের দল ঘোষণা বাংলাদেশের

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চোট নিয়ে শঙ্কা থাকলেও তাসকিন আহমেদকে নিয়েই আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের স্কোয়ড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।

আজ মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেনের নির্বাচক কমিটি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করেন।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বে থাকছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এ ছাড়া ভাইস ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাসকিন আহমেদকে। বাংলাদেশের স্কোয়াড নিয়ে গত কয়েক দিনে জল্পনা তুঙ্গে থাকলেও দল ঘোষণায় তেমন চমক দেখা যায়নি।

বিশ্বকাপের ১৫ জনের স্কোয়াডের বাইরে রিজার্ভ হিসেবে দলের সঙ্গে যাবেন পেসার হাসান মাহমুদ ও ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেন। বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলেও থাকছেন এই দুজন। তাসকিন চোট কাটিয়ে উঠতে না পারলে হাসানকে দেখা যাবে বিশ্বকাপেও।

আগামী ২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে পর্দা উঠছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। তবে বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে ৭ জুন থেকে। গ্রুপ অব ডেথখ্যাত ‘ডি’-তে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসেবে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল।

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড

নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাসকিন আহমেদ (সহ-অধিনায়ক), লিটন দাস, সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, মোহাম্মদ তানভীর ইসলাম, শেখ মেহেদী, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব।

রিজার্ভ : আফিফ হোসেন ধ্রুব, হাসান মাহমুদ।


মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে বৈঠক, অধিনায়ক বদলের গুঞ্জন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

শেরেবাংলায় জিম্বাবুয়ের কাছে ৮ উইকেটে বাংলাদেশ গতকাল হেরেছে। মাত্র ২ উইকেট খুইয়ে দিনের ৯ বল আগেই টাইগারদের করা ১৫৭ রান টপকে গেছে সিকান্দার রাজার দল। এ তো গেল মাঠের ভেতরের খবর। ম্যাচ শেষে শেরেবাংলার মাঠে ও বাইরে ঘটে গেছে আরও কিছু ঘটনা। পুরস্কার বিতরণী পর্ব শেষ হতেই হোম অব ক্রিকেটের সেন্টার উইকেটে দুইবারে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ব্যাটিং প্র্যাকটিস করেছেন সাকিব আল হাসান। ওদিকে সাকিবের অনুশীলনের পর টানা এক ঘণ্টা ব্যাটিংটা ঝালিয়ে নিয়েছেন লিটন দাসও।

অন্যদিকে অফিশিয়াল প্রেস কনফারেন্স ছাড়া মাঠের বাইরে কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এসব খবর পুরোপুরি চাউর না হলেও জেনে গেছেন অনেকেই।

কিন্তু তার বাইরে আরও এক বড় ঘটনা ঘটেছে হোম অব ক্রিকেটে অবস্থিত বিসিবি অফিস বিল্ডিংয়ে। সভাপতির কক্ষে বোর্ডের উচ্চপর্যায়ের এক নীতিনির্ধারণী বৈঠকে বসেছিলেন বোর্ডের ১০ শীর্ষ কর্তা। সেই অনির্ধারিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিসিবিপ্রধান নাজমুল হাসান পাপন, সিইও নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন, সিনিয়র পরিচালক জালাল ইউনুস, অন্যতম পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক, খালেদ মাহমুদ সুজন, ইফতেখার রহমান মিঠুসহ কয়েকজন।

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এবং বোর্ডের ৮-৯ জন শীর্ষ পরিচালক বৈঠকে বসেছিলেন একজন সিনিয়র ক্রিকেটারকে নিয়ে। কে তিনি?

ভাবছেন বরাবরের মতো সাকিব আল হাসান বুঝি? নাহ, সাকিবকে নিয়ে কোনো মিটিং হয়নি গতকাল। কী করে হবে? দুপুর ১টায় খেলা শেষ হওয়ার পর সাকিব ব্যস্ত ছিলেন ব্যাটিং প্র্যাকটিস নিয়েই। তাহলে বোর্ড পরিচালকরা প্রেসিডেন্টের রুমে কাকে নিয়ে মিটিংয়ে বসেছিলেন?

বিসিবি সভাপতির কক্ষে একান্ত বৈঠকটি হয়েছে মূলত বোর্ড শীর্ষ কর্তা আর অন্যতম সিনিয়র ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মধ্যে। কিন্তু হঠাৎ কী এমন হলো যে, মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে বোর্ড নীতি নির্ধারকদের বৈঠক?

প্রেস বক্সে চাপা গুঞ্জন, প্রাণচাঞ্চল্য। এরই মধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়ল যে, নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটিং ফর্ম ভালো যাচ্ছে না। বিসিবি সভাপতি পাপনও শান্তর ব্যাটিং নিয়ে খানিক অতৃপ্ত। তাই হয়তো শান্তর বদলে মাহমুদউল্লাহকে বিশ্বকাপে অধিনায়ক করার কথা ভাবছে বিসিবি। সে জন্যই রিয়াদকে ম্যাচ শেষে প্রেসিডেন্ট রুমে ডেকে নিয়ে একান্তে বসা।

পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ব্যাপারটা তা নয়। শান্তর ব্যাটিং ফর্ম নিয়ে যে কথা হয়নি, তা নয়। তবে অধিনায়ক রদবদলের কথা আলোচনা হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন শীর্ষ পরিচালক জানিয়েছেন, না, না। এ সময়ে এসে হঠাৎ অধিনায়ক পদে পরিবর্তন করা হবে কেন? শান্তর ক্যাপ্টেন্সি বদল নিয়ে কোনো কথা হয়নি।

ওই দুই পরিচালক জানান, আসলে রিয়াদ ভালো খেলেছে। এই বয়সেও নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে চলেছে। আজ প্রায় একাই লড়াই করেছে। তাই তাকে বাহবা দিতেই সঙ্গে নিয়ে বসা।

জানা গেছে, মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিংয়ের অকুণ্ঠ প্রশংসা করেছেন বোর্ড পরিচালকরা। বিসিবি প্রধানও মাহমুদউল্লাহকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং এখনই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে সরে দাঁড়ানোর চিন্তা বা ঘোষণা না দেওয়ার পরামর্শও নাকি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অধিনায়ক শান্তকে সহায়তা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে বর্ষীয়ান এই ক্রিকেটারকে।


এখনো উন্নতির সুযোগ দেখছেন শান্ত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের নড়বড়ে অবস্থা যেন শেষই হচ্ছে না। দিন পাল্টায়, বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের ধরনও পাল্টায়; কিন্তু উন্নতির কিছু দেখা মেলে না। কোনো দিন টপঅর্ডার ব্যর্থ হয়, আবার কোনো দিন শেষ মিডলঅর্ডার থেকে লোয়ারঅর্ডার। সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০১ রানের ওপেনিং জুটির পর মাত্র ৪৩ রান তুলতেই বাংলাদেশ হারিয়েছে ১০ উইকেট। গতকাল আবার দেখা গেল উল্টো চিত্র; ব্যর্থ হলো টপঅর্ডার। মিডলঅর্ডার চেষ্টা করলেও সেটা ম্যাচ জয়ের জন্য যথেষ্ট হলো না।

গতকাল সিরিজের শেষ ম্যাচে সিকান্দার রাজা-বেনেটের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে হার দেখতে হয়েছে বাংলাদেশকে। আর এতে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের চতুর্থ হোয়াইট ওয়াশের কীর্তি আর গড়া হলো না। এ দিন বাংলাদেশকে আফসোস করিয়েছে তাসকিন আহমেদের ইনজুরিও। বোলিংয়ে কিছুটা খাপছাড়াই লেগেছে টাইগারদের।

শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে টপঅর্ডারের ব্যর্থতা আর মিডলঅর্ডারেরর লড়াইয়ে ১৬৫ রান তোলে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৪৪ বলে ৫৪)। জবাবে সিকান্দার রাজা আর ব্রায়ান বেনেটর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৯ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় জিম্বাবুয়ে। হাফ সেঞ্চুরি করেন ব্রায়ান বেনেট (৭০) আর সিকান্দার রাজা (৭২)*।

৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতলেও দুর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বেশ ভুগতে দেখা গেছে বাংলাদেশকে। অধিনায়ক নাজমুল শান্ত তাই এখনো উন্নতির সুযোগ দেখছেন, ‘যেভাবে সিরিজ খেলেছি, তাতে (মনে হয়েছে) অনেক উন্নতির সুযোগ আছে। আমরা ভালো শুরু করিনি। তবে মাঝে ভালো করেছি। বিশ্বকাপে আমরা ভালোভাবে প্রস্তুতি নেব। প্রস্তুতির জন্য এখনো তিন ম্যাচ বাকি আছে।’

বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ে সিরিজ ছিল প্রস্তুতির মঞ্চ। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে টাইগার অধিনায়ক জানালেন, সেটা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন, ‘খুব ভালো একটা সিরিজ কেটেছে। সিরিজ জিতলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। আমরা এই সিরিজে যা যা দেখতে চেয়েছি, সেটার প্রায় সবই দেখতে পেরেছি। কিছু ক্লোজ ম্যাচ জিতেছি। আজ (গতকাল) মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়েছে। রিশাদ পুরো সিরিজে ভালো বোলিং করেছে। যা যা চেয়েছি, প্রায় সব হয়েছে।’

তবে পুরো সিরিজেই বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ ছিল ব্যাটিং। দু-একজন ছাড়া সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি তারা। সে জন্য অবশ্য অধিনায়ক শান্ত দুষলেন উইকেটকে, ‘এই সিরিজে উইকেট ভালো ছিল না। সাধারণত চট্টগ্রামে খুব ভালো উইকেট থাকে। এবার নতুন বল অনেক কঠিন ছিল সেই কন্ডিশনে। পাশাপাশি বৃষ্টির কারণে আমাদের দুটি ম্যাচে অন অ্যান্ড অফ ব্যাটিং করতে হয়েছে।’


হোয়াইটওয়াশ করা হলো না জিম্বাবুয়েকে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম চারটি জিতে আগেই সিরিজ জিতে নিয়েছিল বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে তাই লক্ষ্য ছিল ৫-০ তে সিরিজ জিতে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করা। কিন্তু তার বদলে মিরপুর শের-ই-বাংলায় নিজেদের ডেরায় উল্টো হারের যন্ত্রণা পেতে হলো টাইগারদের। শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়ে তুলে নিয়েছে ৮ উইকেটের বিশাল জয়।

আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ ৬ উইকেটে ১৫৭ রান করে। লক্ষ্য তাড়ায় জিম্বাবুয়ের জবাবটা ছিল দারুণ। ৪ ওভারেই বিনা উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান তুলে নেয় অতিথিরা।

উইকেটের খোঁজে থাকা বাংলাদেশ তাদের প্রথম উইকেটের দেখা পায় সাকিবের প্রথম ওভারেই। নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই সাকিব তুলে নেন মারুমানির উইকেট।

এরপরই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় জিম্বাবুয়ে। সিকান্দার রাজা ও বেনেট পাল্টা আক্রমণে গিয়ে বোলারদের কড়া শাসন করেন। অষ্টম ওভারে সাইফ উদ্দিনকে মিড উইকেটে ছক্কা উড়ানোর পর দারুণ কভার ড্রাইভে চার হাঁকান রাজা। এরপর লেগ স্পিনার রিশাদকে একই ওভারে দুই ছক্কা মারেন রাজা ও বেনেট। রাজা ছাড় দেননি মোস্তাফিজকেও। কাভারের ওপর দিয়ে বল তুলে মেরে আদায় করেন দৃষ্টিনন্দন চার। বেনেট ১৩তম ওভারে রিশাদ হোসেনকে ছক্কা মেরে পেয়ে যান ফিফটির স্বাদ।

তাকে থামানোর পথ খুঁজে পেতে সৌম্যকে বোলিংয়ে আনেন শান্ত। তার প্রথম বলই লং অফ দিয়ে বিশাল ছক্কা মারেন বেনেট। কিন্তু এরপরপরই সাইফ উদ্দিন নিজের দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে ফেরান বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানকে।

পানি পানের বিরতির পর প্রথম ওভারেই বেনেট ক্যাচ তোলেন লং অফে। অনেক উচুঁতে উঠা বল সহজেই তালুবন্দি করেন রিশাদ। ৪৯ বলে ৫টি করে চার ও ছক্কায় ৭০ রান করেন বেনেট। ওই সময়ে ২৯ বলে ৪৫ রান দরকার ছিল জিম্বাবুয়ের। কাজটা কঠিন ছিল না। রাজা ক্রিজে থাকায় জিম্বাবুয়ে ছিল আত্মবিশ্বাসী। অধিনায়কও হতাশ করেননি।

ওই ওভারেই সাইফ উদ্দিনকে দুটি চার মারেন দৃষ্টিনন্দন শটে। পরের ওভারে মোস্তাফিজকে পুল করে চার মেরে ৪১ বলে রাজা তুলে নেন ফিফটি। যা তার ক্যারিয়ারের ১৪তম টি-টোয়েন্টি ফিফটি। পরের ওভারে সাইফ উদ্দিনের স্লোয়ারে মিড উইকেট দিয়ে নিজের দ্বিতীয় ছক্কা তুলে নেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। শেষ দুই বলে আসে আরো ১০ রান। তাতে জয়ের লক্ষ্য চলে আসে সিঙ্গেল ডিজিটে।

মাহেদীর করা ইনিংসের ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে জয় নিশ্চিত হয়ে যায় জিম্বাবুয়ের। ৯ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের দারুণ জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়ায় অতিথিরা। ৪৬ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৭২ রান কেরন রাজা। পুরো সিরিজে নিষ্প্রভ থাকলেও শেষ ম্যাচে জ্বলে উঠেন তিনি।

বাংলাদেশের ব্যাটিং পুরো সিরিজেই ছিল হতাশাজনক। আজকেও ছিল না তার ব্যতিক্রম। এদিন ১৫ রান তুলতেই নেই ৩ উইকেট। তানজিদ হাসান শুরুতে মুজারাবানির শর্ট বল তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন মিড উইকেটে। এরপর স্পিনার বেনেটের পর পর দুই ওভারে সৌম্য ও তাওহীদ উইকেট বিলিয়ে আসেন। উইকেট খানিকটা ধীরগতির ছিল। তবে বাউন্স আদায় করতে পারছিলেন বোলাররা। ওই লাফিয়ে উঠা বাউন্সেই সৌম্য পয়েন্টে ক্যাচ দেন। তাওহীদ আটকে যান উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে।

প্রবল চাপে পড়া বাংলাদেশকে ওই অবস্থান থেকে টেনে তোলার কাজটা সহজ ছিল না। মাহমুদউল্লাহ ও শান্ত চতুর্থ উইকেটে জুটি বেঁধে ৬৯ রান যোগ করেন।

দুজনের জুটির ফিফটি চলে আসে ৩২ বলে। কিন্তু শান্তর বিদায়ে আবার চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। ২৮ বলে ৩৬ রান করে শান্ত মাসাদাকজার বলে আউট হন। বাঁহাতি স্পিনারের শর্ট বল স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন। ৫ চার ও ১ ছক্কা শান্ত ইনিংসটি সাজান। পাঁচ ইনিংস পর শান্তর রান ত্রিশ পেরিয়েছে।

সঙ্গী হারানোর পর মাহমুদউল্লাহর রানের গতিও কিছুটা কমে আসে। বেনেটকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে মিড উইকেটে ছক্কা হাঁকিয়ে চল্লিশের ঘরে প্রবেশ করেন মাহমুদউল্লাহ। সেখান থেকে ক্যারিয়ারের অষ্টম টি-টোয়েন্টি ফিফটিতে পৌঁছতে আরো ১০ বল নেন। চাপে পড়ে আক্রমণ বাড়াতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে আসেন বাংলাদেশের ইনিংসের টপ স্কোরার। ৪৪ বলে ৫৪ রান করে মুজারাবানির বলে ডিপ কাভারে ক্যাচ দেন। ৬ চার ও ১ ছক্কায় মাহমুদউল্লাহ সাজান নিজের ইনিংস।

মাঝে সাকিব নেমে ভালো কিছুর আশা দেখাচ্ছিলেন। আগের ম্যাচে ১ রানে তার ইনিংস থামলেও আজ ১৭ বলে ২১ রান করেন ১ ছক্কায়। লুক জোয়াংগিকে উড়াতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন সাকিব। দারুণ ডাইভে সেই ক্যাচ নেন ক্যাম্পবেল।

জিম্বাবুয়ের বোলাররা কাজটা সহজ করে দেন। জোয়াংগির ফুলটস বল ফাইন লেগ দিয়ে ছক্কা উড়ান জাকের আলী। পরের ওভারে মুজারাবানির হাফ ভলি বল লং অফ দিয়ে সীমানা পাড় করান ডানহাতি ব্যাটসম্যান। শেষ দিকে তার এই দুই ছক্কাতেই বাংলাদেশের স্কোরবোর্ড শেষপর্যন্ত পেরিয়েছে দেড়শ রানের কোটা।


আজ জানা যাবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বাকি নেই এক মাস সময়ও। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী ইতোমধ্যেই বিশ্বকাপের দল পাঠিয়েছে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। অনেকেই সেটা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণাও করেছে। তবে ব্যতিক্রম ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ এখনো পর্যন্ত জানানো হয়নি। তবে দর্শকদের সেই অপেক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে আজ রোববার। সবকিছু ঠিক থাকলে আজ বিকেলে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।

প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘সবকিছু চূড়ান্ত, এখন ক্রিকেট অপরারেশন্সের সবুজ সংকেত পেলেই আমরা দল দেব। আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছি। কাল ম্যাচ শেষে বিকেলের দিকে হয়তো ঘোষণা করব, যদি আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়।’

একই কথা জানিয়েছেন সহকারী নির্বাচক হান্নান সরকারও। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রস্তুত আছি দল ঘোষণা করার জন্য। বাকিটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। যেহেতু কাল ম্যাচ আছে, বোর্ড যখন বলবে তখন দল দেব। সেটা কাল হোক আর পরশু হোক।’

তবে কেমন হতে পারে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল সেটার আভাস দিয়ে রেখেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শ্রীলঙ্কার আর জিম্বাবুয়ে সিরিজের বেশির ভাগ ক্রিকেটারেরই নাম থাকবে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে।

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল কেমন হতে পারে, সে সম্পর্কে আভাস অবশ্য আগেই মিলেছিল অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কথায়। দলের এই টপ-অর্ডার ব্যাটার বলেছিলেন, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে সিরিজের দলের বেশির ভাগ সদস্য যাবেন বিশ্বকাপে।


বড় চ্যালেঞ্জ ব্যাটার শান্তর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাজমুল সাগর

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ প্রস্তুতিটা প্রথম চার ম্যাচে বেশ ভালোই হয়েছে। সবগুলোতেই জয় তুলে নিয়েছে নাজমুল শান্তবাহিনী। চট্টগ্রামে প্রথম তিন ম্যাচে জয়টা বেশ স্বাচ্ছন্দ্যের হলেও, ঢাকায় শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বুকে কাঁপুনি তুলে দিয়েছিল জিম্বাবুয়ে; কিন্তু শেষপর্যন্ত আর বাংলাদেশকে হারের তিক্ত স্বাদ দিতে পারেনি রোডেশিয়ান। পাঁচ ম্যাচ সিরিজে চার জয়ে বাংলাদেশের লক্ষ্য এখন হোয়াইট ওয়াশ। সে লক্ষ্যেই আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগাররা। হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে এ ম্যাচটি মাঠে গড়াবে সকাল ১০টায়। খেলার চলতি ধারাবিবরণী সরাসরি প্রচার করবে বাংলাদেশ বেতার।

নিকট অতীতে বাংলাদেশ এ সময় কোনো ম্যাচ খেলেনি। মূলত বিশ্বকাপের কথা চিন্তা করেই এমন সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশ্বকাপে একই সময়ে ম্যাচ রয়েছে বাংলাদেশের।

চতুর্থ ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে তাসকিন আহমেদ জানিয়েছিলেন, সিরিজ জয়ের পর বাকি দুই ম্যাচকে প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবেই নিচ্ছেন তারা। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চান নিজেদের অস্ত্রগুলো। মাঠেও দেখা গেল সেটাই। একাদশেও এনেছিল তিন পরিবর্তন। মাহমুদউল্লাহ, সাইফুদ্দিন আর লিটনকে বিশ্রামে পাঠানো হয়েছিল। ওপেনিংয়ে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে সৌম্য সরকারকে। শেষ ম্যাচেও তাই ব্যতিক্রম হওয়ার সম্ভাবনা কম।

ওপেনিং পজিশন নিয়ে বাংলাদেশের সমস্যা বেশ পুরোনো। বিশেষ করে লিটন দাসের অফফর্ম সেই চিন্তাকে আরও বৃদ্ধি করেছে। তবে চতুর্থ ম্যাচে বেশ আশাজাগানিয়া ওপেনিং জুটির দেখা মিলেছে। ইনফর্ম তানজিদ তামিমের সঙ্গে বেশ গুরুত্বপূর্ণ রোল প্লে করেছে সৌম্য সরকার। দুজনে মিলে ১০০ রানের জুটি গড়েছিল। শেষ ম্যাচেও তাদের ওপর আশা থাকবে বিশেষ কিছু করার।

তানজিদ-সৌম্য ফেরার পর ধস নেমেছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনে। ৪২ রান তুলতেই বাংলাদেশ হারিয়েছে ১০ উইকেট। দুর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও এমন অবস্থা বেশ চিন্তার। শেষ ম্যাচে তাই তাড়া থাকবে ব্যাটারদের রানে ফেরার।

অধিনায়ক হিসেবে নাজমুল শান্ত প্রশংসা কুড়ালেও তার পারফরম্যান্স বেশ হতাশার। বিশেষ করে তার ধারাবাহিক অফফর্ম বিশ্বকাপে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। শান্তর সামনে তাই চ্যালেঞ্জ থাকবে শেষ ম্যাচে ব্যাটহাতে রানে ফেরার।

প্রত্যেক ম্যাচেই জিম্বাবুয়ের অগ্রগামিতার দেখা মিলেছে। প্রতি ম্যাচেই তারা নিজেদের ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। যার প্রতিফলন দেখা গেছে চতুর্থ ম্যাচে। জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল ম্যাচ। শেষ ওভারে তো বাংলাদেশিদের হৃদয়ে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল তারা। তাই এটা বলতে কোনো দ্বিধা থাকার কথা নয়, শেষ ম্যাচে মরণ কামড় দিতে চাইবে সিকান্দার রাজারা।

সে ক্ষেত্রে শেষ ম্যাচটাও হয়তো কঠিনই হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের জন্য। তবে সেটা হলেও প্রস্তুতিতেই মন দেওয়া উচিত বাংলাদেশের।


ক্লিন সুইপের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত

আরেকটি ইতিহাস গড়ার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ। প্রথম চার ম্যাচে দাপুটে ক্রিকেট খেলেছে বাংলাদেশ। ফলাফল হিসাবে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে নাজমুল-শান্ত বাহিনী। জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়েই আজ শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাঠে নামবে টাইগাররা। লক্ষ্য শেষ ম্যাচে জয় দিয়ে রাঙিয়ে রোডেশিয়ানদের ধবল ধোলাই করা।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এর আগেও তিনবার এ কীর্তি গড়েছে বাংলাদেশ। আজ সিকান্দার রাজাদের হারাতে পারলেই টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইট ওয়াশের হালি পূর্ণ করবে বাংলাদেশ; অর্থাৎ চতুর্থ হোয়াইট ওয়াশের কীর্তি গড়বে।

সিরিজ জয়ের পাশাপাশি দুর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের আরেকটি লক্ষ্য বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। সেই কথা মাথায় রেখেই এ ম্যাচের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সকাল ১০টায়। নিকট অতীতে এ সময় কোনো ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ; এমন অভিজ্ঞতা খুব একটা নেই জিম্বাবুয়েরও। তাই এ ম্যাচে আবহাওয়া একটা ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা যেহেতু সদ্য সমাপ্ত ডিপিএলে একই সময় খেলেছে, তাই তাদের জন্য কন্ডিশন খুব একটা অপরিচিত হওয়ার কথা নয়।

বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি নিয়ে যে সমস্যা এতদিন ছিল তার কিছুটা হলেও মিটতে দেখা গেছে চতুর্থ ম্যাচে তানজিদ হাসান তামিম আর সৌম্য সরকারের ব্যাটিং দেখে। দীর্ঘদিন পরে টি-টোয়েন্টিতে ১০০ রানের জুটি গড়েছিল তারা। লিটন দাসের বিশ্রামে সুযোগ পেয়েই বিশ্বকাপে নিজের ওপেনিং পজিশনের দাবিটা জানিয়েছেন তিনি। শেষ ম্যাচে দাবিটা জোরাল করার চ্যালেঞ্জ থাকবে তার জন্য।

প্রথম চার ম্যাচেই জিম্বাবুয়ের ব্যাটিংয়ের দৈন্যদশা দেখা গেছে। খুব একটা দায়িত্ব নিতে পারেনি সিকান্দার রাজা-মাসাকাদজারা। ব্যর্থতার রেকর্ড তাদেরই বেশি। তাই অন্তত শেষ ম্যাচে তাদের সামনে চাপ থাকবে রানে ফেরার। তবে অভিজ্ঞ এ ক্রিকেটার বরাবরই চাপ সামলে নিয়েছেন।

পুরো সিরিজেই দুর্দান্ত বোলিং করেছে বাংলাদেশের বোলাররা। বিশেষ করে পেসার তাসকিন আহমেদ, সাইফুদ্দিন, তানজিদ হাসান সাকিব। ঘুরিয়ে দেখা হচ্ছে সব পেসারদের। তাই শেষ ম্যাচে আবারও একাদশে দেখা যেতে পারে সাইফুদ্দিনকে। আর ইনজুরির শঙ্কা চিন্তা করে বিশ্রামে দেওয়া হতে পারে তাসকিন আহমেদকে।

দীর্ঘদিন পরে দলে ফিরেই বল হাতে দুর্দান্ত করেছেন সাকিব আল হাসান। শেষ ওভারে গিয়ে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচ জিতিয়েছেন। যদিও তিনি ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন। আশা করা যায় ব্যাট হাতেও চ্যাম্পিয়ন রূপেই ফিরবেন তিনি।

আইপিএলে দুর্দান্ত করা মুস্তাফিজ ধারা বজায় রেখেছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও। ধোনী আর ব্রাভোর দেওয়া টোটকা ব্যবহার করতে দেখা গেছে চতুর্থ ম্যাচে। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের জন্য ফিজের বোংলিং এক্স ফ্যাক্টর হয়ে যেতে পারে।

তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে ভরসা করতে হবে তরুণদের ওপরই। বিশেষ করে ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম, জাকের আলি, তাওহীদ হৃদয়। তাদের ব্যাট হাসলেই জয়ের দ্বার উন্মোচিত হবে বাংলাদেশের। পাশাপাশি অধিনায়ক নাজমুল শান্তর ব্যাট হাসলে বাংলাদেশের জয় কেবলই সময়ের ব্যাপার।


সাকিবের ঘূর্ণিতেই জয়ের উল্লাস

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাজমুল সাগর

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ ম্যাচটিতে থ্রিলারের কোনো কমতি ছিল না। বাংলাদেশ উড়ন্ত শুরু পেলো, যেটা দেখে মনে হচ্ছিল বোধহয় আগের তিন ম্যাচের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে টাইগাররা। কিন্তু হঠাৎ ছন্দপতনে সেটা আর হল না। বোলিং ইনিংসেও সহজ ম্যাচটাও হয়ে গেলো কঠিন। শেষ ওভারে তো বাংলাদেশী সমর্থকদের বুকে কাপুনি তুলে দিয়েছিলেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। তবে সাকিবের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে সেটা আর সম্ভব হয়নি। চতুর্থ ম্যাচেও বাংলাদেশ জিতেছে ৫ রানে। দীর্ঘদিন পরে দলে ফিরেই চার উইকেট নিয়ে জয়ের নায়ক সাকিব।

টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় বাংলাদেশ। শুরুতেই মারমুখী হয়ে ব্যাটিং করতে থাকেন তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। তার যোগ্য সঙ্গী ছিলেন ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফেরা সৌম্য সরকার। দুজনে মিলে গড়েন ১০১ রানের জুটি। ব্যাট চালিয়ে যান ১১ ওভার পর্যন্ত। অর্ধশতক তুলে নেন তানজিদ। ৭ চার আর এক ছক্কায় ৩৭ বল থেকে ৫২ রান করে ফেরেন তামিম। ওই ওভারেই বিদায় নেন সৌম্য সরকারও। ৩২ বল থেকে করেন ৪১ রান।

এরপরই শুরু হয় বাংলাদেশের অন্ধকার অধ্যায়। মাত্র ৪২ রান তুলতেই সাজ ঘরে ফিরেছে আট ব্যাটার। ভালো শুরুর পরও তাওহিদ হৃদয় ফিরেছেন মোটে ১২ রান করে। সাকিব কাটা পড়েছেন ১ রানেই। ব্যর্থতা চলমান রেখেছেন অধিনায়ক নাজমুল শান্তও (২)। হাল ধরতে পারেনি জাকের আলিও (৬)। শেষ পর্যন্ত ১৪৩ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।

জবাবে শুরুটা এদিনও ভালো হয়নি জিম্বাবুয়ের। প্রথম ওভারেই হারায় উইকেট। ৯ ওভার ৩ বলে মাত্র ৫৭ রান তুলতেই হারায় ৪ উইকেট। তবে জীবন পেয়ে বাংলাদেশের উপর চড়াও হতে শুরু করেন জোনাথান ক্যাম্পবেল আর রায়ান বার্ল। দশম ওভারে মোস্তাফিজের জোড়া আঘাতে ফেরেন বার্ল আর লুক জঙ্গউ।

শেষ দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তোলার আভাস দেন হ্যামিল্টন মাসাদাকজা। খেলা নিয়ে যান শেষ ওভারে। জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের দরকার ১৪ রান। শেষদিকে দুই উইকেট তুলে নিয়ে সাকিব দেন মোটে ৮ রান। তৃতীয় বলে দারুণ দক্ষতায় মুজারাবানিকে স্টাম্পিং করেন জাকের। আর চতুর্থ বলে বোল্ড করেন এনগারাভাকে।

চার উইকেটে নিয়ে বাংলাদেশকে জয় এনে দেন সাকিব। এতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-০ তে এগিয়ে থাকলো বাংলাদেশ।


উদ্বিগ্ন নয় লিটন দাস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

লিটন দাসের রান খরার ইতিহাসটা বেশ পুরোনোই। কি ওয়ানডে, টেস্ট, আর কি টি-টোয়েন্টি- কোনো ফরম্যাটেই হাসছে না তার ব্যাট। দীর্ঘ অফফর্ম সমালোচনার জন্ম দিয়েছে দর্শকদের মনে। প্রশ্ন উঠছে লিটন দাসের আউট হওয়ার ধরন নিয়েও। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে এ ওপেনার ৪৩ বল খেলে করেছেন ৩৬ রান। বিশ্বকাপের আগে লিটন দাসের এমন পারফরম্যান্স উদ্বেগের জন্ম দিচ্ছে।

তৃতীয় ম্যাচ শেষে ব্রডকাস্টে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের অফফর্মের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন লিটন দাস। তবে এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়, জানালেন অচিরেই হাসবে তার ব্যাট। লিটন বলেন, ‘অবশ্যই (চেনা রূপে নাই)। চেষ্টা করছি, হচ্ছে না। পরিশ্রম করছি। এমন না যে পরিশ্রম করছি না। অনেক সময় আপনি পরিশ্রম করবেন, কিন্তু এটা তো ক্রিকেট। হতেই পারে। এটা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন না। চেষ্টা করছি। অবশ্যই আমার ভালো করা উচিত।’

শেষ ম্যাচে লিটন দাস যেন উইকেট বিলিয়ে এসেছেন। পরপর তিন বলে স্কুপ খেলেছেন, এরপর উইকেট দিয়ে এসেছেন। লিটনের এমন আউট নিয়ে সমালোচনায় মুখর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ক্রিকেট বিশ্লেষক। সেই আউটের ব্যাখ্যায় লিটন জানালেন, ‘না না তেমন না (জোর করে স্কুপ মারা)। আমার কাছে মনে হয়েছিল ওটাই আমার কাছে আদর্শ (বিকল্প)। এ জন্য আমি এটা চেষ্টা করেছি। দেখেন ব্যাটে লেগে স্টাম্পে লেগেছে। এটা ওদিক দিয়ে চলে গেলে বাউন্ডারি পেতাম। এটা ক্রিকেটের একটা অংশ। কোনো সময় ভালো শট খেলেও আউট হয়ে যাবেন। কোনো সময় খারাপ খেলেও রান পেয়ে যাবেন।’

শেষ দুই ম্যাচের দলে আছেন লিটন দাস। দুই ম্যাচে ভালো কিছু করে দেখানোর কথা জানালেন লিটন, ‘দেখা যাক আরও দুটি ম্যাচ আছে। আমি যেভাবে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার চেষ্টা করি, সেভাবেই খেলছি। আশা করি সামনেই আমার ব্যাট হাসবে।’

গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছিল রান খরায় থাকার পরও অনুশীলন না করে হোটেলে বিশ্রামে কাটিয়েছেন লিটন। এটা নিয়ে হয়েছে সমালোচনাও। লিটন বলেন, ‘গণমাধ্যমকে আমার পক্ষ থেকে কিছু বলার নেই। আমার কাজ আমি করে যাচ্ছি। হোটেলে থেকেও, ওটা যদি উন্নতির কাজ হয় ওটাও করব। আপনি যদি টানা পাঁচ দিন অনুশীলন না করেন তাহলেও ভালো। কিন্তু নিয়মিত অনুশীলন করেও যদি ব্যর্থ হন তাহলে ভাববে ওটাই খারাপ। ওটা নিয়ে উদ্বিগ্ন না।’

বিষয়:

banner close