সোমবার, ৩ জুন ২০২৪

করোনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিকের শিশুরা

ফাইল ছবি
আপডেটেড
১৬ মার্চ, ২০২৩ ২০:১৪
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১৬ মার্চ, ২০২৩ ২০:১২

করোনা অতিমারির কারণে বিশ্বের যেসব দেশে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে স্কুল বন্ধ ছিল তার মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। করোনায় বাংলাদেশে প্রতি পাঁচজন শিশুর মধ্যে একজনেরও কম শিশু দূরশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ নেয়। ওই সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের শিশুরা।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ‘ন্যাশনাল সার্ভে অন চিলড্রেন’স এডুকেশন ইন বাংলাদেশ ২০২১’ শীর্ষক জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও ইউনিসেফ যৌথভাবে এই জরিপটি পরিচালনা করেছে।

জরিপে দেখা যায়, করোনাকালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রান্তিক পর্যায়ের শিশুরা। যাদের বাড়িতে ইন্টারনেট, টেলিভিশন, কম্পিউটার ও স্মার্টফোন ব্যবহারের সুযোগ সীমিত, তারাই সবেচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তাছাড়া, শহর এলাকার শিশুদের (২৮.৭ শতাংশ) তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় কম সংখ্যক শিশু (১৫.৯ শতাংশ) দূরশিক্ষণ ক্লাসে অংশ নিয়েছে।

জরিপে আরও বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতির সময় শিক্ষার ক্ষেত্রে বড় ধরনের ভৌগোলিক বৈষম্য হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে, দূরশিক্ষণ কার্যক্রমে বাংলাদেশের খুলনা (২৩.৪ শতাংশ) ও ঢাকার শিশুরা (২৩.১ শতাংশ) সবচেয়ে বেশি অংশ নিয়েছে। সবচেয়ে কম অংশ নিয়েছে ময়মনসিংহের শিশুরা।

আরও বলা হয়েছে, করোনায় সবচেয়ে কম বয়সী শিশুরা বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে। দূরশিক্ষণ ক্লাসে অংশগ্রহণের হার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের তুলনায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কম।


জবি ও সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের দফায় দফায় মারামারি, আহত ৪

মারামারিতে আহত হওয়া একজন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২ জুন, ২০২৪ ২০:৩১
জবি প্রতিনিধি

রাজধানীর পুরান ঢাকায় সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের কর্মীর সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের কিছু কর্মীর মধ্যে দফায় দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও ন্যাশনাল হাসপাতালের সামনে লাঠিসোঁটা-পাইপ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয় বলে জানা যায়।

এতে দুই গ্রুপরে ২ জন করে মোট ৪ জন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পূর্ব শত্রুতার জেরে মারামারি সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোহরাওয়ার্দী কলেজের সামনে প্রথমে মারামারির সূত্রপাত হয়। এ সময় সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের কর্মীরা রড, হাতুড়ি, ইট দিয়ে জবি শাখা ছাত্রলীগের কর্মী মেহেদী হাসান মিরাজসহ তার বন্ধুদের মারধর করে গুরুতর আহত করেন। এরপর তাদের ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ইন্সটিটিউট হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ সময় সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের কয়েকজনও হাসপাতালে ভর্তি হন। সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও সূত্রাপুর ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের সহকর্মীদের হাসপাতালে দেখতে গেলে খবর পেয়ে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি-সেক্রেটারি গ্রুপের ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী রড, লাঠি, জিআই পাইপ নিয়ে এসে তাদের ওপর হামলা করেন। এতে সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের সিয়াম ও ফয়সাল নামে দু’জন গুরুতর আহত হন।

আহত জবি ছাত্রলীগের কর্মী ও অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, ‘আমি পুরান ঢাকার স্থানীয়। শনিবার রাতে জবির ৫ থেকে ৬ জন ও পুরান ঢাকার আরও ৫ থেকে ৬ জন বন্ধুরা মিলে সোহরাওয়ার্দী কলেজের সামনে আমরা আড্ডা দিচ্ছিলাম। এ সময় আমার বন্ধু আকাশের সঙ্গে পূর্বের শত্রুতার জের ধরে আমাদের ওপর হামলা করা হয়। এ সময় তারা ৭ থেকে ৮ জন ছিলেন। তারা হাতুড়ি, রড দিয়ে হামলা করেন। এ সময় আমার কয়েকজন বন্ধু মার খেয়ে পালিয়ে যায়। একা পেয়ে আমাকে ও আমার বন্ধুদেরকে মেরে গুরুতর আহত করা হয়।

বিপক্ষ গ্রুপের পরিচয় জানতে চাইলে মিরাজ বলেন, ‘তারা কেউ সোহরাওয়ার্দী ছাত্রলীগের, আবার কেউ সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের কর্মী। তাদের নেতা আজিম। তারা সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ বিল্লালের রাজনীতি করেন।

জানা যায়, আলী আজিম খাঁন সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। পড়ালেখা করেছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজে। এদিকে ঘটনাস্থল থেকে শান্ত নামে মেহেদীর এক বন্ধুকে থানায় আটক করেছে সূত্রাপুর থানার পুলিশ।

সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আজম খাঁন বলেন, ‘সিয়ামকে মারতে জগন্নাথের ৩০-৪০ জন আসে। আর এরা ছিল মাত্র ৩-৪ জন। তাদের হামলায় সিয়াম ও ফয়সাল নামে দুইজন আহত হয়েছেন। সিয়াম একটি কলেজে ও ফয়সাল লালবাগ কলেজে পড়ে। আমার সঙ্গে রাজনীতি করত বলতে ছাত্রলীগের প্রোগ্রাম করত মাঝে মাঝে। এটা রাজনৈতিক ঘটনা নয়। বন্ধুদের ভিতর হাতাহাতি।’

সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কলেজের কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। বহিরাগতরা কলেজের নাম ভাঙিয়ে ঘটনা ঘটায়। সিয়াম, ফয়সাল কলেজের কেউ নয়।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হোসেন বলেন, ‘মারামারির ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কেউই ছিলেন না। ওখানে যারা মারামারি করেছেন সেটা তাদের ব্যক্তিগত কোন ঝামেলায় ঘটেছে। যারা ওখানে মারামারিতে ছিলেন তাদের সঙ্গে আমাদের মিছিল মিটিং করা অবস্থায় কোনো ছবি কেউ দেখাতে পারবে না। এমনকি ওখানে সোহরাওয়ার্দী কলেজেরও কেউ ছিলেন না। চাইলে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করতে পারেন।’

জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজী বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে জবি ছাত্রলীগের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থী সেখানে মারামারিতে জড়িত ছিলেন তাদের কাওকেই আমি চিনিনা।’

জবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ক্যাম্পাসের ভেতর কোনো মারামারি হয়নি। জেনেছি এই ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র ছিলেন। কোনো অপরাধকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশ্রয় দেয় না। পুলিশ প্রশাসন ঘটনা তদন্ত করছে। তারা ব্যবস্থা নেবে।’

সূত্রাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রবিউল ইসলাম জানান, ‘তুচ্ছ ঘটনায় হাতাহাতি। আমরা ঘটনাস্থলে আসার পর পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছি। এ ঘটনার তদন্ত চলছে।’


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ঠিক রাখাটা চ্যালেঞ্জিং: শিক্ষামন্ত্রী

রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে রোববার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২ জুন, ২০২৪ ১৮:০৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ছুটি ঠিক রাখাটা চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

আজ রোববার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বর্তমান শিক্ষা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিভিত্তিক। এ কারিকুলাম বাস্তবায়নে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেশি সময় খোলা রাখতে হচ্ছে। ফলে ছুটি ঠিক রাখা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠছে। এটা এক ধরনের চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।

রমজান মাসের ছুটি নিয়ে মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পক্ষের অনুরোধ রয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জানি রমজান মাসে কোরআন শিক্ষা নেন অনেকে। অনেকে কোরআনের হাফেজ, তারা এ মাসে বেশি বেশি তেলাওয়াত করেন, নামাজ পড়ান। এজন্য ছুটি চান। আগামী রমজানের আগেই আমরা এটা নিয়ে একটা প্রস্তুতি নেবো। রমজানে যেন কোরআন শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয় বাধাগ্রস্ত না হয়, সেটা আমাদের মাথায় রয়েছে।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সারা দেশের মাদ্রাসা আয়োজিত বইপড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ, মেধাবৃত্তি প্রদান এবং ফাজিল ও কামিল মাদরাসার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষদের বিদায় সংবর্ধনা উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়।

আরবি ভাষায় যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘অনেকেই আছেন আরবি ভাষায় অনেক দক্ষ। যোগাযোগের ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের দক্ষ হতে হবে। আমরা কোরআন প্রতিযোগিতা অবশ্যই করবো, আমি নিজেও শৈশবে কেরাত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতাম। আমার বাবা আমাকে মাখরাজ শিখিয়েছিলেন এবং কীভাবে উপস্থাপনা করতে হয়, সেই প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। কিন্তু আমি আরবিতে একটুও কথা বলতে পারবো না। এত সুন্দর করে মাখরাজ শেখার পর ভাষাটা রপ্ত করতে পারিনি।’

মাদ্রাসা শিক্ষকদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের কাছে একটা আবেদন, আমরা যেন শিক্ষার্থীদের দক্ষতানির্ভর করতে পারি। কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় যেন থাকে। আমরা যা-ই পড়াচ্ছি, সেটা হোক ইংরেজি কিংবা আরবি, যে ভাষাটা শিখলো, তা দিয়ে শিক্ষার্থী যেন যোগাযোগের ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারে।’

তিনি বলেন, অমুসলিম দেশেও কিন্তু আরবি ভাষা শেখানো হচ্ছে। সেটা আমাদের খেয়াল করতে হবে। বাংলা আমাদের রাষ্ট্রভাষা। কিন্তু পাশাপাশি অন্যান্য ভাষার প্রতিও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।

অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আজকে উপস্থিত বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ, যারা অবসর নিয়েছেন, তাদের অনেকে দ্বীনি শিক্ষার জন্য কাজ করছেন। যার যার অবস্থান থেকে আমাদের দ্বীনি শিক্ষাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানে, আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং সারা দেশ থেকে আসা মাদ্রাসা শিক্ষকরা অংশ নেন।


প্রযুক্তির অপব্যবহারে সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা হারিয়ে যাচ্ছে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

ইডেন মহিলা কলেজ অডিটরিয়ামে রোববার প্রতিষ্ঠানটির ‘বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ-২০২৪’ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার বলেছেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য অত্যাবশ্যকীয় চারটি স্তম্ভ হলো স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট সরকার। প্রত্যাশিত স্মার্ট নাগরিকরা অবশ্যই সৎ, নিষ্ঠাবান, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, দুর্নীতিমুক্ত ও দেশপ্রেমিক হবেন।

আজ রোববার রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ অডিটরিয়ামে প্রতিষ্ঠানটির ‘বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ-২০২৪’ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু দেশের প্রায় অর্ধেকই নারী সমাজ, তাই স্মার্ট বাংলাদেশ নিশ্চিত করতে হলে স্মার্ট নারী সমাজ গড়ে তুলতেই হবে। সেই লক্ষ্যে অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শিক্ষার্থীকেই সুশিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। বর্তমানে যান্ত্রিক জীবন আর আধুনিকতার নামে প্রযুক্তির অপব্যবহার যেভাবে বাড়ছে তাতে সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে একদিকে যেমন সমাজের এই হারিয়ে যাওয়া শিক্ষা-সংস্কৃতির প্রসার ঘটানো যায়; তেমনি যুবসমাজকে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে দূরে রেখে সঠিক পথে এগিয়ে নেয়া যায়।’

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে নারী শিক্ষায় অনন্য এক প্রতিষ্ঠান ইডেন মহিলা কলেজ; বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এখানকার শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ, প্রতিবাদী ও সাহসী ভূমিকা সত্যিই প্রশংসনীয়। দেশের প্রশাসন, রাজনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি সকল ক্ষেত্রেই এই কলেজের ছাত্রীদের রয়েছে গর্বিত বিচরণ।

বেগম শামসুন নাহার বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ এক বাংলাদেশ, সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবায়ন করছেন তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বেই উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার বাংলাদেশ এখন সমগ্র বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যেই আওয়ামী লীগ সরকার সময়োপযোগী নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

প্রধান অতিথি হিসেবে নিজের গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতার আগে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এসময় তিনি “বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ-২০২৪” এর আয়োজক এবং অংশগ্রহণকারী সকলের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০৪১ সালের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ “স্মার্ট বাংলাদেশ” গড়ে তুলতে হবে।’

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক বলেন, ইডেন মহিলা কলেজের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান ও পরিবেশ অত্যন্ত ভাল, নারী শিক্ষায় এর অবদান প্রশংসনীয়, সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় কলেজটির সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।

কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপাধ্যক্ষ ড. মমতাজ সাহানারা, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক অধ্যাপক সুফিয়া আখতার, বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক সাবরুনা আহমেদ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়:

সর্বজনীন পেনশনে যুক্ত হচ্ছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত ৫ লাখের বেশি শিক্ষক-কর্মচারীকে আগামী ১ জুলাই থেকে সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যয়ে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

উদ্যোগটি বাস্তবায়নে অর্থ মন্ত্রণালয়, জাতীয় পেনশন স্কিমের সমন্বয়ে ১৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সুপারিশের পর তা বাস্তবায়ন করা হবে।

সব ঠিক থাকলে বেসরকারি শিক্ষকরাও অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের মত পেনশন পাবেন। ফলে বিদ্যমান অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্ট বিলুপ্ত হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র এসব তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সারা দেশে প্রায় ৩০ হাজার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাড়ে ৫ লাখের বেশি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনতে ১৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তাদের পেনশনের আওতায় আনতে কি কি সমস্যা রয়েছে তা চিহ্নিত করে সমাধানের সুপারিশ করবে ওই কমিটি। এরপর সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে সরকার।

সূত্রটি জানায়, কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের (মাধ্যমিক-২) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. রবিউল ইসলামকে। কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, জাতীয় পেনশন স্কিমের প্রতিনিধি, শিক্ষার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের রাখা হয়েছে।

দ্রুত সময়ের মধ্যে গঠিত এই কমিটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। সে জন্য আজ রোববার প্রথম সভায় বসবে কমিটি।

তহবিল সংকটের কারণে অনেক শিক্ষক-কর্মচারী অবসর নেওয়ার পর তিন-চার বছর পরও প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা পান না। এমন প্রেক্ষাপটে গত ২২ ফেব্রুয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক ও অবসর সুবিধা অবসরের ছয় মাসের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট।

জানা গেছে, গত এপ্রিল মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনার বিষয়টি উঠে আসে।

বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন তৈরি করে সংসদীয় কমিটিতে উপস্থাপনের নির্দেশ দেন। গত ৬ মে বৈঠকের কার্যবিবরণী পাস হওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে।

কমিটি আহ্বায়ক অতিরিক্ত সচিব রবিউল ইসলাম বলেন, সংসদীয় কমিটির সুপারিশের আলোকে এই কমিটি করা হয়েছে। আজ প্রথম বৈঠকে বসছি। কমিটিকে যেসব কর্মপরিধি দেওয়া হয়েছে সেগুলো নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হবে। আমরা চেষ্টা করবো দ্রুত সময়ের প্রতিবেদন ও সুপারিশ জমা দেওয়ার।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, বর্তমানে এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৬৪টি। এর মধ্যে স্কুলকলেজ ২০ হাজার ৪৩৭টি, বাকিগুলো কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসা। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী আছেন সাড়ে ৫ লাখের মতো।

বিষয়:

এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর বিজ্ঞপ্তি ভুয়া, শুরু ৩০ জুনই

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষা এক মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে একটি বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটিকে ভুয়া আখ্যায়িত করে বিভ্রান্ত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা।

আজ শনিবার সকালে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ পরামর্শ দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর তারিখ সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রচারিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা শাখা কর্তৃক ইস্যু করা নয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সময়সূচি অনুসারে আগামী ৩০ জুন থেকে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ধরনের অপপ্রচার থেকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।’

পূর্বঘোষিত পরীক্ষা পেছানোর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন আন্তশিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আবুল বাসারও।

উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করা হয়।‌ সূচি অনুযায়ী ২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ৩০ জুন শুরু হবে। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১১ আগস্ট। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট থেকে ২১ আগস্টের মধ্যে শেষ করতে হবে।

রুটিন অনুযায়ী প্রথম দিন বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।


৪৩তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত জবিয়ানদের মিলনমেলা

সদরঘাটের একটি রেস্টুরেন্টে শুক্রবার মিলিত হন ৪৩তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত জবি শিক্ষার্থীরা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জবি প্রতিনিধি

৪৩তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সদরঘাটের একটি রেস্টুরেন্টে এই মিলনমেলার আয়োজন করা হয়।

পরিচয় পর্ব থেকে শুরু করে কেক কাটা ও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় এই আয়োজন। এ সময় সুপারিশপ্রাপ্তরা দেশ-জাতির কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘৪৩তম বিসিএসের ফলাফলের পরপরই চেষ্টা করছিলাম সুপারিশপ্রাপ্ত সবাইকে নিয়ে একটা সুন্দর আয়োজন করার। সবাই অত্যন্ত আন্তরিকভাবে এগিয়ে এসেছেন এবং অনুষ্ঠান সফল করার জন্য কাজ করেছেন। অনেকেই উপস্থিত থাকতে পারেননি। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে আয়োজন করতে চাই এ ধরনের মিলনমেলা আমাদের মধ্যে একটি বন্ধন গড়ে তোলে। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে জবি থেকে বিসিএসে আরও বেশি সুপারিশপ্রাপ্ত হবেন এবং সিভিল সার্ভিস থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে তাদের উপর দেওয়া দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন।’

প্রশাসনে সুপারিশপ্রাপ্ত আশফিয়া ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এখনো সকল শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় আবাসনের ব্যবস্থা করে উঠতে পারেনি তাই আমাদের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্কও তেমন গড়ে ওঠেনি। এ ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক হওয়ার একটা সুযোগ তৈরি হয়। আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করেন। ভবিষ্যতে ক্যাডার সার্ভিস থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে তাদের জ্ঞানের প্রতিফলন ঘটবে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে, এটিই আমাদের প্রত্যাশা।’

সুপারিশপ্রাপ্ত শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় আমাদের মধ্যে যোগাযোগের যে স্বাভাবিক ঘাটতি রয়েছে তা পূরণে এবং ভবিষ্যতের কর্মস্থলে জবিয়ানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও যোগাযোগ বৃদ্ধিতে এ ধরনের আয়োজন যুগান্তকারী হয়ে থাকবে। পরবর্তীতে যারা আসবেন তাদের জন্য শুভকামনা। তারা আরও ভালো কিছু করবেন।’

সুপারিশপ্রাপ্ত মাহমুদুল আলম পলাশ বলেন, ‘আজকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত সকলের অংশগ্রহণে একটা ছোট গেটটুগেদারের আয়োজন ছিলো- যা ছিলো অনবদ্য। আমাদের মতো অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের একসঙ্গে জড়ো করা ছিলো একটা চ্যালেঞ্জ। অনুষ্ঠানটি শফিক ভাইয়ের উদ্যোগে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সিনিয়র-জুনিয়র সকলে একত্রিত হতে পেরেছি। সবার সঙ্গে আলাদাভাবে পরিচিত হতে পেরেছি যা আমাদের ভবিষ্যৎ চাকুরিতে অনেক সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার একত্রে থেকে সবাই সবার বিভিন্ন প্রয়োজনে পাশে দাঁড়াতে পারবো। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের জুনিয়ররাও আমাদের মাধ্যমে বিভিন্ন সহযোগিতা লাভ করতে পারবেন। আজকের এ ছোট আয়োজনটি ভবিষ্যতে অনেক বড় প্ল্যাটফর্ম তৈরির পাথেয় হয়ে থাকবে। সকলের অংশগ্রহণে আজকে আমাদের একটি সুন্দর আয়োজন ছিলো আমাদের সবার প্রিয় বুড়িগঙ্গার তীরে। জয়তু ৪৩তম বিসিএস পরিবা।’

৪৩তম বিসিএসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ৭০ জন সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য মতে, পুলিশ ক্যাডারে ১ জন, প্রাশাসনে ৪ জন, ট্যাক্সে ৩ জন, অডিট এন্ড একাউন্টসে ১ জন, কাস্টমস এন্ড এক্সাইজে ১ জন, তথ্যে ১ জন, সমবায় ১ জন এবং বড় একটি অংশ শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।


গুচ্ছ ভর্তি আবেদনের সময় শেষ, পছন্দ তালিকায় শীর্ষে জবি

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৩১ মে, ২০২৪ ১৭:৩৫
জবি প্রতিনিধি

গুচ্ছভুক্ত দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি আবেদনের সময়সীমা শেষ হয়েছে।

ভর্তিচ্ছুদের আবেদনে বিভাগ পছন্দক্রমসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সবচেয়ে বেশি ভর্তি আবেদন পড়েছে। এবার প্রায় তিন লাখ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন।

গুচ্ছভুক্ত টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার আজ শুক্রবার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন ২৯ হাজার ৬০৩ জন। ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২২ হাজার ৪৬১ জন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০ হাজার ৮৪২, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭ হাজার ৬৬৪, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬ হাজার ৩৩৯, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭ হাজার ৯৮৭, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ হাজার ৮২৫, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ হাজার ৯৮০, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪ হাজার ৪১৮, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ হাজার ৬৭৩ জন।’

‘এ ছাড়া বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ হাজার ৯৭৩, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪ হাজার ২৬৪, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭ হাজার ৩৮৪, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬ হাজার ৪০৯, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ হাজার ৯০৮, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ হাজার ৪৬, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ হাজার ৯০৮, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ হাজার ২১৮, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ হাজার ১৭৮, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ হাজার ৫৭৮, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ হাজার ৫৮৫, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক হাজার ৩৭৬, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক হাজার ৮৪১, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ২৯৭ এবং পিরোজপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই হাজার ৫৩ জন ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন।’

এদিকে আজ শুক্রবার থেকে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র নির্বাচন শুরু হয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জগন্নাথ ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বিভাগসমূহ এবং ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে আবেদনকারীদের ৩১ মে হতে ১ জুন পর্যন্ত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে চারুকলা ব্যবহারিক পরীক্ষার কেন্দ্র নির্বাচন করতে হবে।

জাতীয় কবি কাজী নাজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে আবেদনকারীদের ব্যবহারিক পরীক্ষার স্থান ও সময়সূচি পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। চারুকলা ব্যতীত অন্যান্য বিশেষায়িত বিভাগসমূহের ব্যবহারিক পরীক্ষা সংক্রান্ত তথ্য সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

ভর্তি সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এবার ২০ জুলাইয়ের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষে ক্লাস শুরু হবে। চারটি মাইগ্রেশনের সুযোগ দেয়া হবে ভর্তিচ্ছুদের। এর মধ্যে সব কার্যক্রম শেষ করবেন তারা।

এর আগে ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান) অনুষদের পরীক্ষা ২৭ এপ্রিল, ‘বি’ ইউনিট (মানবিক) অনুষদের পরীক্ষা ৩ মে ও ‘সি’ ইউনিট (বাণিজ্য) অনুষদের পরীক্ষা ১০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষে নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাস পহেলা আগস্ট থেকে শুরু হবে বলে জানান গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) এবং বিবিএ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। গুচ্ছভুক্ত সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে ২০১৯, ২০২০ বা ২০২১ সালে এসএসসি/সমমান এবং ২০২২ বা ২০২৩ সালে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ভর্তির আবেদন করতে পারবেন।

‘এ’ ইউনিটের বিজ্ঞান শাখায় ভর্তির জন্য আবেদন করতে ন্যূনতম যোগ্যতা বিজ্ঞান, মাদ্রাসা (বিজ্ঞান), ভোকেশনাল (এইচএসসি) শাখার শিক্ষার্থীদের এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) মোট জিপিএ ৮ থাকতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৩.৫০ এর নিচে হওয়া যাবে না। ‘এ’ ইউনিটের শিক্ষার্থীদের ‘বি’ ও ‘সি’ ইউনিটের নির্ধারিত বিষয়েও ভর্তির সুযোগ রয়েছে। ‘বি’ ইউনিটের মানবিক শাখায় ভর্তির জন্য মানবিক, সংগীত, গার্হস্থ্য, অর্থনীতি, মাদ্রাসার (সাধারণ, মুজাব্বিদ) শিক্ষার্থীদের এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) মোট জিপিএ ৬.০০ থাকতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৩ এর নিচে গ্রহণযোগ্য হবে না। ‘বি’ ইউনিটের মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের ‘এ’ ইউনিটের বিজ্ঞান শাখার ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে ভর্তির সুযোগ রয়েছে।

‘সি’ ইউনিটের বাণিজ্য শাখায় ভর্তির জন্য বাণিজ্য, ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ, এইচএসসি (ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা), ডিপ্লোমা ইন কমার্সের শিক্ষার্থীদের এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) মোট জিপিএ ৭ থাকতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৩ এর নিচে থাকলে অযোগ্য বিবেচিত হবে। ‘সি’ ইউনিটের বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীদের ‘বি’ ইউনিটের মানবিক শাখার নির্ধারিত কয়েকটি বিষয়ে এবং ‘এ’ ইউনিটের বিজ্ঞান শাখার ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে ভর্তির সুযোগ রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির বিশেষায়িত সংগীত, নাট্যকলা, ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগে ভর্তির জন্য এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) মোট জিপিএ ৬ থাকতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৩ এর নিচে নয়। ড্রইং এন্ড পেইন্টিং, প্রিন্টমেকিং ও ভাস্কর্য বিভাগে ভর্তির জন্য এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) মোট জিপিএ ৬.৫০ থাকতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৩ এর নিচে নয়। বিশেষায়িত ছয়টি বিভাগে সকল শাখার শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। সংগীত, নাট্যকলা, ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন, ড্রইং এন্ড পেইন্টিং, প্রিন্টমেকিং ও ভাস্কর্য বিভাগ এই ৬টি বিভাগে বিষয়ভিত্তিক ব্যবহারিক এবং মৌখিক পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভাগ কর্তৃক নেয়া হবে।

সব ইউনিটের জন্য জিসিইর ক্ষেত্রে আইজিসিএসই (‘ও’ লেভেল) পরীক্ষায় অন্তত তিনটি বিষয়ে ‘বি’ গ্রেডসহ ন্যূনতম পাঁচটি বিষয়ে উত্তীর্ণ এবং ২০২৩ সালের আইএএল (‘এ’ লেভেল) পরীক্ষায় অন্তত দুটি বিষয়ে ‘বি’ গ্রেডসহ তিনটি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তির আবেদনের জন্য এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় বাংলাদেশের মানদণ্ডে ‘বি’ গ্রেড অথবা ৪.০০–এর স্কেলে ৩.০০ অথবা ৫.০০–এর স্কেলে ৩.৫০ থাকতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ‘এ’ ইউনিট, ‘বি’ ইউনিট,’সি’ ইউনিট এবং বিশেষায়িত বিভাগগুলোর ০৪ (চার) বছর মেয়াদী স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ ১ম বর্ষে ভর্তির আবেদনের সময়সূচি www.gstadmission.ac.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানানো হবে। এছাড়া বিশেষায়িত বিভাগগুলোর ব্যবহারিক এবং মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি https://admission.jnu.ac.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানানো হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৮১৫ টি আসনের মধ্যে ‘এ’ ইউনিট বিজ্ঞান অনুষদ এবং লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদে আসন সংখ্যা ৮৬০। ‘বি’ ইউনিট কলা অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, আইন অনুষদ, চারুকলা অনুষদ, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইআর) এবং ইনস্টিটিউট অব মডার্ন ল্যাংগুয়েজেস (আইএমএল) মোট আসন সংখ্যা ১২৭০। ‘সি’ ইউনিট বিজনেস স্টাডিজ অনুষদে আসন সংখ্যা ৫২০ এবং বিশেষায়িত বিভাগসমূহের মোট ১৬৫ টি আসন রয়েছে।


প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক পদে পরীক্ষার বাধা কাটল

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠায় তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৪৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ সংশোধন করে আদেশ দিয়েছেন চেম্বার আদালত। ফলে এই ৪৬ হাজার শিক্ষকের মৌখিক পরীক্ষা নিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। তবে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনার তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল না করা পর্যন্ত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা যাবে না বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) যুক্ত করতে বলা হয়েছে।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুল ইসলাম।

গত ২৮ মে ৪৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে একজন সচিবের নেতৃত্বে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের ক্লাস্টারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এরপর ২২ মার্চ দ্বিতীয় ধাপে রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে ১৭ জুন তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

প্রথম ধাপে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০, দ্বিতীয় ধাপে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৪৩৮ এবং তৃতীয় ধাপে ৩ লাখ ৪০ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন।

গত ২২ এপ্রিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলা) লিখিত পরীক্ষার সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচন করা হয়। নির্বাচিতদের মৌখিক পরীক্ষা চলছে। তবে এরই মধ্যে হাইকোর্ট এই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করেন।

বিষয়:

নতুন কারিকুলামের ষান্মাসিক মূল্যায়নের রুটিন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

২০২৪ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বিষয়ভিত্তিক ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সংশোধিত সময়সূচি (রুটিন) পাঠানো হয়েছে। সংশোধিত সূচি অনুযায়ী আগামী ৩ জুলাই পরীক্ষা শুরু হবে এবং শেষ হবে ৩০ জুলাই।

আজ বুধবার জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সংশোধিত এ রুটিন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠায়।

ষান্মাসিক মূল্যায়নের সময়সূচিতে (রুটিন) জানানো হয়, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সময়সূচি (রুটিন) এর আগে পাঠানো হয়েছিল। পাঠানো সময়সূচির সঙ্গে ২০২৪ সালের এইচএসসি আলিম ও সমমান পরীক্ষার কয়েকটি বিষয়ের পরীক্ষার তারিখ ও সময় মিলে যাওয়ায় সময়সূচি সংশোধন করা হলো। ২০২৪ সালের এইচএসসি, আলিম ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি বিবেচনায় নিয়ে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সংশোধিত সময়সূচি (রুটিন) প্রস্তাব করা হলো। প্রস্তাবিত সময়সূচি (রুটিন) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরুরিভিত্তিতে অবহিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

রুটিনে আরও জানানো হয়, ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিষয়ভিত্তিক ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশনা যথা সময়ে অধিদফতরগুলোর বরাবর পরবরতী কাজের জন্য পাঠানো হবে।

মূল্যায়ন সূচি

সময়সূচি অনুযায়ী আগামী ৩ জুলাই ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা, সপ্তম শ্রেণির ধর্ম, অষ্টম শ্রেণির জীব ও জীবিকা, নবম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান।

৬ জুলাই ষষ্ঠ শ্রেণির ইংরেজি, সপ্তম শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি, অষ্টম শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নবম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি।

১০ জুলাই ষষ্ঠ শ্রেণির গণিত, সপ্তম শ্রেণির বাংলা, অষ্টম শ্রেণির ধর্ম, নবম শ্রেণির জীব ও জীবিকা।

১৩ জুলাই ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান, সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি, অষ্টম শ্রেণির শিল্প সংস্কৃতি, নবম শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা।

১৫ জুলাই ষষ্ঠ শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, সপ্তম শ্রেণির গণিত, অষ্টম শ্রেণির বাংলা, নবম শ্রেণির ধর্ম।

২০ জুলাই ষষ্ঠ শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি, সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান, অষ্টম শ্রেণির ইংরেজি, নবম শ্রেণির শিল্প সংস্কৃতি।

২২ জুলাই ষষ্ঠ শ্রেণির জীব ও জীবিকা, সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, অষ্টম শ্রেণির গণিত, নবম শ্রেণির বাংলা।

২৪ জুলাই ষষ্ঠ শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা, সপ্তম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি, অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান, নবম শ্রেণির ইংরেজি।

২৭ জুলাই ষষ্ঠ শ্রেণির ধর্ম, সপ্তম শ্রেণির জীবন ও জীবিকা, অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, নবম শ্রেণির গণিত।

৩০ জুলাই ষষ্ঠ শ্রেণির শিল্প সংস্কৃতি, সপ্তম শ্রেণির স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা, অষ্টম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি ও নবম শ্রেণির বিজ্ঞান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।


এসএসসিতে দুই বিষয়ে ফেল করলেও কলেজে ভর্তি হওয়া যাবে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে এসএসসিতে এক বা দুই বিষয়ে ফেল করলেও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ রাখা হচ্ছে। তবে পরের দুই বছরের মধ্যে তাকে পাবলিক মূল্যায়নে অংশ নিয়ে বিষয়গুলোতে উত্তীর্ণ হতে হবে। ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ দুই বিষয়ে অনুত্তীর্ণ হলেও কলেজে ভর্তি হওয়ার এমন নিয়ম রাখা হচ্ছে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) তৈরি করা ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২-এর মূল্যায়ন কৌশল ও বাস্তবায়ন নির্দেশনা’ সংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। মঙ্গলবার কারিকুলাম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিভিশন কোর কমিটিতে এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন হয়। এখন এনসিটিবি বোর্ড সভা হয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) সভায় প্রতিবেদনটি চূড়ান্ত হবে।

প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় নতুন এ পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা হবে। ওই বছরের ডিসেম্বরে শুধু দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ওপর এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

নতুন এ নিয়মে এসএসসি পরীক্ষায় কেউ এক বা দুই বিষয়ে অনুত্তীর্ণ হলেও সে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে। ওই শিক্ষার্থীকে পরের দুই বছরের মধ্যে পাবলিক মূল্যায়নে অংশগ্রহণ করে অনুত্তীর্ণ বিষয়গুলোতে উত্তীর্ণ হতে হবে।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, একাদশে ভর্তি হয়েও মান উন্নয়নের জন্য এক বা একাধিক অথবা সব বিষয়ে পুনরায় পাবলিক মূল্যায়নে (এসএসসি) অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকছে।

অনন্য, অর্জনমুখী, অগ্রগামী, সক্রিয়, অনুসন্ধানী, বিকাশমান ও প্রারম্ভিক- এই সাতটি সূচকের ভিত্তিতে প্রকাশ করা হবে শিক্ষার্থীর রিপোর্ট কার্ড। এতে সব বিষয়ে পারদর্শিতা বা সর্বোচ্চ সূচক অনন্য, আর সর্বনিম্ন সূচক হলো প্রারম্ভিক।

বর্তমানে একজন শিক্ষার্থী এসএসসিতে এক বা দুই বিষয়ে ফেল করলে তার শুধু ওই দুই বিষয়ে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে; কিন্তু কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ নেই।

বিষয়:

তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগও পিএসসির মাধ্যমে করার সুপারিশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির (বর্তমানে গ্রেড হিসেবে পরিচিত) নিয়োগ হয় সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) অধীনে। আর তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ হয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের অধীনে। এখন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগও পিএসসির অধীনে করার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গঠিত একটি কমিটি।

সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোটার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত সংলাপ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তবে তিনি বলেছেন, এটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

প্রথম থেকে নবম গ্রেডের কর্মকর্তাদের প্রথম শ্রেণির বলা হয়। ১০ থেকে ১২তম গ্রেডের কর্মকর্তাদের বলা হয় দ্বিতীয় শ্রেণির। আর ১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডের কর্মচারীদের বলা হয় তৃতীয় শ্রেণি এবং ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের বলা হয় চতুর্থ শ্রেণির। যদিও ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আর এই শ্রেণিভিত্তিক পরিচয় নেই। সবাইকে গ্রেড হিসেবে বলা হয়। যদিও বাস্তবে এখনো শ্রেণিভিত্তিক হিসেবেই বলা হয়ে থাকে।

তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে আলাদা কর্তৃপক্ষ হবে নাকি পিএসসির অধীনে হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এই কমিটি গত জানুয়ারিতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

প্রাথমিকভাবে এই কমিটি ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডে সরকারি কর্মচারী নিয়োগের জন্য পিএসসিকে দায়িত্ব দেওয়ার সুপারিশ করেছে। পিএসসি বলছে, তারা এটি করতে সক্ষম হবে। তবে ওই কমিটির সুপারিশই চূড়ান্ত নয় বলেও উল্লেখ করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী। তিনি বলেন, এটা নিয়ে আরও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। প্রতিবেদনটি এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এটি পর্যালোচনা শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অর্থাৎ কী করা হবে সেটি এখনো প্রক্রিয়াধীন আছে।

মন্ত্রী আরও জানান, বিভিন্ন রকমের অনিয়মের অভিযোগে গত ৫ বছরে (২০১৯ থেকে ২০২৪) তদন্তের মুখে পড়েছেন প্রশাসনের ১৭৮ জন কর্মকর্তা (গ্রেড ১ থেকে ৯ম)। তাদের মধ্যে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী ২২ জনের গুরুদণ্ড ও ৬৯ জনের লঘুদণ্ড হয়েছে। অর্থাৎ ৯১ জনের শাস্তি হয়েছে। বাকি ৮৭ জনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিজীবীদের বিভাগীয় মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মূলত ওই দুই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এর মধ্যে সরকারি কর্মচারী আইন অনুযায়ী, লঘুদণ্ডগুলো হলো তিরস্কার, নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করা, বেতন স্কেলের নিম্নধাপে অবনমিত করা এবং সরকারি অর্থ বা সম্পত্তির ক্ষতি সংঘটিত হলে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ আদায় করা। আর গুরু দণ্ডগুলো হলো নিম্নপদ বা নিম্নতর বেতন স্কেলে অবনমিত করা, বাধ্যতামূলক অবসর, চাকরি থেকে অপসারণ এবং চাকরি থেকে বরখাস্ত করা।

৫ বছরের পাশাপাশি বিগত ১০ বছরে (২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত) কতজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তারও তথ্য দেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ১০ বছরে ৩৫১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। তাদের মধ্যে গুরুদণ্ড পেয়েছেন ৪১ জন এবং লঘুদণ্ড পেয়েছেন ১৪০ জন। বাকি ১৭০ জন অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, প্রতিনিয়ত বিভাগীয় মামলা চলে। যদি কোনো কর্মকর্তার বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেয়, তাহলে সেটি আমলে নিয়ে বিভাগীয় মামলা করা হয়। এ বিষয়ে প্রথমে প্রাথমিক তদন্ত করে সত্যতা বোঝার চেষ্টা করা হয়। কারণ, বিভাগীয় মামলা করতে গেলে একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে করতে হয়। এতে শুনানি হয়, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। তিনি বলেন, পুরস্কারের পাশাপাশি শাস্তির ব্যবস্থাও থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএসআরএফের সভাপতি ফসীহ উদ্দিন মাহতাব ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।

বিষয়:

প্রাথমিকে ৪৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া স্থগিত

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলা) লিখিত পরীক্ষার সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয় গত ২২ এপ্রিল। এতে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচিতদের ভাইভা পরীক্ষা চলমান রয়েছে। আজ হাইকোর্ট এই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করলেন।

ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল। আর এই ফাঁস হওয়া প্রশ্নে অনেকে পরীক্ষা দিয়েছেন। এরই মধ্যে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এ কারণে প্রকাশিত ফল নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তাই প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার ঘটনার তদন্ত এবং পরীক্ষা প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ঢাকা ও চট্রগ্রামের কয়েকজন পরীক্ষার্থী। হাইকোর্ট তাদের আবেদন শুনেছেন এবং এই ধাপের নিয়োগ প্রক্রিয়া ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন।

সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের ক্লাস্টারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এরপর ২২ মার্চ ২য় ধাপে রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে ১৭ জুন তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রথম ধাপে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০, দ্বিতীয় ধাপে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৪৩৮ এবং তৃতীয় ধাপে ৩ লাখ ৪০ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন।

বিষয়:

গুচ্ছে ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ল

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জবি প্রতিনিধি

গুচ্ছভুক্ত দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি আবেদনের সময়সীমা একদিন বাড়ানো হয়েছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ রিমালের তাণ্ডবের পরিপ্রেক্ষিতে পূর্বনির্ধারিত আবেদনের সময়ের চেয়ে ২৪ ঘণ্টা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর ফলে আগামীকাল বুধবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগ পছন্দক্রম দিতে পারবেন।

আজ মঙ্গলবার গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মঙ্গলবার যখন যে সময় শেষ হওয়ার কথা ছিল তার থেকে ২৪ ঘণ্টা বাড়ানো হচ্ছে। অর্থাৎ মঙ্গলবার যেই সময় শেষ হওয়ার কথা ঠিক বুধবার সেই সময় শেষ হবে।

এর আগে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ও ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার রাতেই এ সুযোগ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

ভর্তি আবেদন ও বিভাগ পছন্দক্রম দেয়া নিয়ে গুচ্ছের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিভাগ পছন্দক্রমসহ ভর্তির আবেদন ২০ মে দুপুর ১২টায় শুরু হয়েছে। ২৮ মে রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ভর্তিচ্ছুরা আবেদন করতে পারবেন।’

অনলাইনে বিভাগ পছন্দক্রমসহ ভর্তির আবেদন কীভাবে করতে হবে, সে জন্য একটি ভিডিও গাইডলাইন দেয়া হয়েছে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আবেদন ফি নির্ধারিত ছিল ৫০০ টাকা।

এর আগে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, আগামী ২০ জুলাইয়ের মধ্যে গুচ্ছের ভর্তি কার্যক্রম শেষ হবে। এরপর ক্লাস শুরু হবে। গত ২৭ এপ্রিল ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান), ৩ মে ‘বি’ ইউনিট (মানবিক) এবং ১০ মে ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

গুচ্ছভুক্ত ২৪টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুলনা), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (দিনাজপুর), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (টাঙ্গাইল), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোয়াখালী), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিল্লা), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যশোর), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবনা), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (বরিশাল), রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাঙ্গামাটি), রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ (সিরাজগঞ্জ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি (গাজীপুর), শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোনা), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জামালপুর), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পটুয়াখালী), কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কিশোরগঞ্জ) এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চাঁদপুর), সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সুনামগঞ্জ) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পিরোজপুর)।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ২ কোটি ৭০ লাখের বেশি গ্রাহক ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিহীন রয়েছেন। এ কারণে দেশের ২১ জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। এরইমধ্যে দেশের ৪৫ জেলার মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের ৮ হাজার ৪১০টি সাইটে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে অচল হয়ে পড়েছে।


banner close