বুধবার, ৮ মে ২০২৪

বিএনপি নেতা আবু সাইদ চাঁদকে গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ছাত্রলীগের

প্রতিনিধি, ঢাবি
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, ঢাবি
প্রকাশিত : ২২ মে, ২০২৩ ০৮:২৪

রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ প্রকাশ্যে জনসভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন অভিযোগ তুলে তাকে গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে ছাত্রলীগ। অন্যথায় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের কাফেলা বিএনপির ওই নেতার বাড়ির দিকে রওনা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।

গত রোববার রাত ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

মিছিল শেষে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত সমাবেশে উপস্থিত হয়ে এ ঘোষণা দেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।।

এর আগে তীব্র বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হল থেকে মিছিল নিয়ে টিএসসিতে জড়ো হন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পরে বৃষ্টির মধ্যে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়।

মিছিলটি শাহবাগ মোড় ঘুরে ফের রাজু ভাষ্কর্যে এসে শেষ হয়। এ সময় নেতা-কর্মীরা একটা বোমা মারলে দশটা বোমা মারব, ধরি ধরি ধরি না, ধরলে মোরা ছাড়ি না, আমার মাটি আমার মা পাকিস্তান হবে না, ইত্যাদি স্লোগান দেন।

মিছিল শেষে শেখ ইনান বলেন, যারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে, তাদের উদ্যেশে ছাত্রলীগ হিন্দি গান গাইবে। এরপর তিনি ‘অ্যা দেখে যা কিস মে কিতনা হে দম.. গানের কয়েক লাইন গেয়ে বলেন, শেখ হাসিনাকে আপনারা হত্যার হুমকি দেন! আমরা রাজপথে খেলব। দেখি আপনাদের কত দম। খোলা ময়দানে খেলা হবে। এই খেলায় যদি জিতি তাহলে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের জয় হবে।

ইনান বলেন, যখনই বিশ্ব আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিককে স্বীকৃতি দিয়ে শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ নামে রেজুলেশন পাশ করলে, তখন তাদের হৃদয় জ্বলে, তাদের মধ্যে পাকিস্তানি ভাবধারা জেগে উঠেছে। তখনই তারা বলে, শেখ হাসিনাকে নাকি তারা কবরে পাঠাবে।

‘আরে তুই যদি বাপের বেটা হও, আয় দেখি শেখ হাসিনা কবরে যায় নাকি তুই কবরে যাস।’

২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আমরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছি। আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, কালকে ভোরের সূর্য এই বাংলার মাটিতে ফোটার আগে যদি ওই কুলাঙ্গার, বিএনপির সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা না হয়, তাহলে ভোরের আলো ফোটার পর ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের কাফেলা রাজশাহীতে তার বাড়ির দিকে রওনা হবে। এর দায়ভার ছাত্রলীগ নেবে না। ছাত্রলীগ জানে কীভাবে এই খুনিদের শায়েস্তা করতে হয়।

শেখ ইনান আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে যতবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ছাত্রলীগ ততবার রাজপথ প্রকম্পিত করেছে। সাধু সাবধান। সাধু হুঁশিয়ার। খালেদা এবং তার কুপুত্র তারেক রহমানের তালে পড়ে যদি বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটিতেও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল বোনা হয়, তাহলে ছাত্রলীগ সেই জালের ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে সেই জালের সুতা দিয়ে আপনাদেরকে বেঁধে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেবে।

ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইতোমধ্যে আপনারা অনেকবার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছেন। আবার যদি শেখ হাসিনার দিকে একটি বুলেট, চাকু কিংবা বোমা তাক করা হয়, তাহলে ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতা-কর্মী নিজের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে শেখ হাসিনাকে রক্ষা করবে। এরপর সেই বুলেট, বোমা বা চাকু আপনাদের উদ্দেশে প্রেরণ করবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের সঞ্চালনায় সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বক্তব্য রাখেন। এ সময় বিভিন্ন হলের প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা বিএনপি নেতা আবু সাইদ চাঁদের কুশপুতুল দাহ করেন।

গত ১৯ মে রাজশাহীর পুঠিয়ায় এক জনসভায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, আর ২৭ দফা ১০ দফা নাই। এক দফা শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। এবং শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে যা যা করার দরকার আমরা তা করব ইনশাআল্লাহ।

বিষয়:

৪৬তম বিসিএসে ভুল প্রশ্নের জন্য কেউ বঞ্চিত হবেন না

পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৮ মে, ২০২৪ ১৫:৪১
নিজস্ব প্রতিবেদক

৪৬তম বিসিএসের কয়েকটি প্রশ্ন ভুল ছিল, সে জন্য কারও নম্বর কাটা যাবে না বা কেউ বঞ্চিত হবেন না। শতভাগ নিশ্চিত হয়ে ফল প্রকাশ করা হবে হবে বলে জানিয়েছেন সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন।

আজ বুধবার সকালে তিনি গণমাধ্যমকে এসব কথা জানান।

চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা প্রশ্নকর্তা ও মডারেশনের দায়িত্বে যারা ছিলেন, তাদের ডেকেছিলাম। কিছু প্রশ্নে ভুল পাওয়া গেছে। তবে পরীক্ষার্থীদের মনে হয়েছে ভুল, কিন্তু আমরা পেয়েছি সেটি ভুল না। তবে ভুল প্রশ্নের জন্য কোনো নম্বর কাটা যাবে না। পিএসসি কাউকে বঞ্চিত করবে না। সেভাবেই খাতা দেখা হচ্ছে। শতভাগ নিশ্চিত হয়েই ফল প্রকাশ করা হবে।’

গত মাসে অনুষ্ঠিত ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নের ভুল ও অসংগতির বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কিছু পরীক্ষার্থী। তারা এই ভুল পর্যালোচনা করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেছেন পিএসসির কাছে। আর পিএসসি বলছে, তারা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।

পিএসসির চেয়ারম্যান আজ বলেন, ‘প্রশ্নে ভুলের দায় আমাদের। কিন্তু এই প্রশ্নে কী আছে তা আমরা পরীক্ষা হওয়ার আগে দেখতে পারি না। ছয় সেট প্রশ্ন হয়, প্রশ্নকর্তা ও মডারেটর জানেন না কোন সেট আসবে। এক সেটের প্রশ্নে পরীক্ষা হওয়ার পর অন্য সেট আমরা নষ্ট করে ফেলি।’

মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘প্রশ্নকর্তা ও মডারেশনের দায়িত্বে যারা ছিলেন, তাদের ডেকেছিলাম আমরা। সবাই সম্মানিত ব্যক্তি। তাদের অনুরোধ করেছি, শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে প্রশ্ন জমা দেবেন না। প্রশ্নে ত্রুটি থাকলে পিএসসি বিব্রত হয়। আর যাতে এমন না হয়, সে অনুরোধ রেখেছি তাদের প্রতি।’

চাকরিপ্রার্থীরা জানান, ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় কিছু প্রশ্ন ভুল ও উত্তর না থাকা এবং দ্বৈত উত্তর থাকায় পরীক্ষার হলে তাদের অনেক চাপে পড়তে হয়েছে। তাদের দৃষ্টিতে এ রকম ১০টি প্রশ্নে ভুল দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সেট-৪ (কপোতাক্ষ) এ। এর মধ্যে গণিতে ৩৯, ৫৮ ও ৬০ নম্বর প্রশ্নের সঠিক উত্তর নেই এবং ইংরেজির ১৩৫, ১৫৩ ও ১৫৪ নম্বর প্রশ্নেরও সঠিক উত্তর নেই, তা ছাড়া ইংরেজির ১৩১ ও ১৪৯ নম্বর এবং বাংলার ১৭৯ নম্বর প্রশ্নের দ্বৈত উত্তর আছে। আবার, বাংলার ১৮১ নম্বর প্রশ্নের অপশনের বানান ভুল। তাই বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (বিপিএসসি) যথাযথ ব্যক্তিবর্গ উল্লিখিত ১০টি প্রশ্নসহ পুরো প্রশ্নের ২০০টি এমসিকিউ প্রশ্ন ও উত্তর পুনরায় যাচাই করে দেখলে এবং এ বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নিলে পরীক্ষার্থীরা প্রশ্ন ভুলের ক্ষতিকর প্রভাবমুক্ত হবে। যেহেতু প্রশ্নে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ভুল ছিল, সেটা তাদের একদিকে মানসিক চাপ সৃষ্টি করেছে, অন্যদিকে যথেষ্ট সময়ের অপচয় করেছে, যার কারণে তারা যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি, বিশেষ করে যাদের এটাই শেষ বিসিএস, তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই অন্তত তাদের কথা বিবেচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

৪৬তম বিসিএসের প্রশ্নে ভুলের অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য চাওয়া হলে ও পিএসসি কি করছে-এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাস গত ৫ মে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি।’

প্রশ্নে ভুল থাকলে পিএসসি আসলে কোন পন্থা অবলম্বন করে? এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘যদি অভিযোগ আসে, আমরা সেটি খতিয়ে দেখব। সাধারণত এ ধরনের অভিযোগ এলে আমরা সেটি আমলে নিয়ে প্রাথমিকভাবে যাচাই করি। এরপর একটি বিশেষজ্ঞ দল দিয়ে তা যাচাই করাই। যদি ভুল পাই, তাহলে সেই প্রশ্নের নম্বর কাটা হয় না। সবাই নম্বর পান। এবারও যদি এমন হয়, তাহলে সবাইকে ভুল প্রশ্নের জন্য নম্বর দেওয়া হবে। সেটিতে যে অপশনেই টিক মার্ক দিক না কেন, তা দেখা হয় না। কেউ বঞ্চিত হন না। সবাই মার্কস পান।’

গত ২৬ এপ্রিল ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়। সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) আয়োজিত এই পরীক্ষায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন কেন্দ্রে চাকরিপ্রার্থীরা অংশ নেন। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২০০ নম্বরের এই পরীক্ষা হয়।

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারিতে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৫৬১ প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। পরীক্ষা দেননি ৮৩ হাজার ৪২৫ জন। উপস্থিতির হার ৭৫। সরকারি কর্ম কমিশন পিএসসি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এ বিসিএসে ৩ হাজার ১৪০টি পদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এ ছাড়া সহকারী সার্জন ১ হাজার ৬৮২ জন, সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন নেওয়া হবে। এরপর সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে। বিভিন্ন বিষয়ে এ ক্যাডার থেকে বিসিএস শিক্ষায় ৫২০ জন নেওয়া হবে।


চবিতে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের দিতে হবে ডোপ টেস্ট

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত ভর্তির আগে দিতে হবে মাদকমুক্ত থাকার পরীক্ষা (ডোপ টেস্ট)। এ পরীক্ষায় ফল পজিটিভ এলে ওই শিক্ষার্থীকে ভর্তির অযোগ্য বলে বিবেচনা করা হবে। চলতি ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। তবে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন’স কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে বেলা ১১টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা চলে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। এতে উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে মাদকমুক্ত রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি বছর থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। নতুন যারা ভর্তি হবে, সবাইকে ডোপ টেস্ট দিতে হবে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এ টেস্ট নেবেন।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক ভর্তি শুরু হয়েছে গত ২৮ এপ্রিল। চূড়ান্ত ভর্তি এখনো শুরু হয়নি। কয়েক ধাপে আগামী এক মাস পর্যন্ত ভর্তি চলবে।

ডোপ টেস্ট সম্পর্কে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, ‘গাঁজা সেবনের ছয় মাস পর্যন্ত ডোপ টেস্টে শনাক্ত করা যায়। তবে যারা একবার বা দুইবার সেবন করেছেন, তাদের শনাক্ত হয় না। এর বাইরে অ্যালকোহল বা অন্য কোনো মাদকদ্রব্য সেবনের তিন দিন পরে আর ডোপ টেস্টে শনাক্ত করা যায় না।’

২০১৯ সালে পাঁচ ধরনের মাদকদ্রব্য পরীক্ষার জন্য পরিপত্র জারি করেছিল সরকার। এর মধ্যে আছে- বেনজোডায়াজেপিন (ঘুমের ওষুধ), অ্যামফেটামিন (ইয়াবা), অপয়েটস (হেরোইন, মরফিন, কোকেন), ক্যানাবাইনয়েডস (গাঁজা) ও অ্যালকোহল (মদ)। প্রস্রাবের নমুনা পরীক্ষা করে দুই তিন ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল জানিয়ে দেওয়া সম্ভব।


স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে ছাত্রলীগের সমাবেশ

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সমাবেশ করেছে ঢাবি ছাত্রলীগ। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৬ মে, ২০২৪ ১৮:০৭
ঢাবি প্রতিনিধি

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগ। সমাবেশে ছাত্রলীগ দাবি জানায়, ফিলিস্তিনের গাজায় সংগঠিত এই গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের অবিলম্বে বৈশ্বিক স্বীকৃতি দিয়ে এই অপরাধের বিচার করতে হবে এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাষ্কর্যের পাদদেশে এই সংহতি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা পাশাপাশি উত্তোলন করে সমাবেশ শুরু করা হয়।

সমাবেশে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, প্যালেস্টাইনে আগ্রাসনের জন্য যারা অস্ত্র এবং অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছে ইতিহাসের কি অমোঘ পরিণতি সেখান থেকেই দুর্বার প্রতিবাদের জয়ধ্বনি তৈরি হয়েছে। যারা বিভিন্ন সময়ে ইউনাইটেড নেশনস এর সিকিউরিটি কাউন্সিলে প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতার জন্য ভ্যাটো দিয়েছে সেই দেশের তারুণ্য আজ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য হ্যাঁ বলছে।

তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্রের মোড়ল, যারা বাক স্বাধীনতার সার্টিফিকেট দেয়, যারা বলে দেয় কোন দেশটি গণতান্ত্রিক আর কোন দেশটি-অগণতান্ত্রিক, যারা গণতন্ত্রের টেন্ডার নিয়েছে সারা জীবনের জন্য, যারা ফ্রিডম অফ এক্সপ্রেসন, রাইট টু প্রটেস্ট এবং পিচফুল এসেম্বলির কথা বলে আমরা দেখছি তাদের আসল মুখোশ উন্মোচিত হয়ে গেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর যারা নিপীড়ন নির্যাতন চালাচ্ছে তাদেরকে আমরা ধিক্কার জানাই।

তিনি আরও বলেন, প্যালেস্টাইনে যারা আগ্রাসন পরিচালনা করছে স্কুল কলেজ হাসপাতালে যারা আক্রমণ করে হাজার হাজার মানুষ বিশেষ করে নারী ও শিশুদের নির্বিচারে হত্যা করছে- তারা ওয়ারক্রাইমে অভিযোগে অভিযুক্ত। তারা মানবতাবিরোধী অপরাধে সম্পৃক্ত। ইন্টারন্যাশনাল কোড অফ ক্রাইমস অ্যান্ড ট্রাইবুনালের মাধ্যমে তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে এই মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিষ্পন্ন করতে হবে। গাজায় আমরা অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতি চাই।

সমাবেশে বাংলাদেশের অধ্যায়নরত ফিলিস্তিনের শিক্ষার্থী ইসহাক আহমেদ বলেন, আমার ফিলিস্তিনের মানুষের জন্য আপনারা আজকে এখানে সমাবেশ করছেন এজন্য আপনাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই। ৭৫ বছর ধরে আমরা আগ্রাসন, নির্যাতন আর দখলদারিত্বের শিকার হচ্ছি। গাজায় ত্রিশ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে যারা তাদের স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারছে না। ইনশাল্লাহ আমরা একদিন এই অত্যাচারের হাত থেকে মুক্তি পাবো।

বাংলাদেশে অধ্যয়নরত আরেক ফিলিস্তিনের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ বাদাওয়ী বলেন, আমরা শান্তি, ন্যায় বিচার আর মানবাধিকার চাই যেটি প্রতিটি মানুষের অধিকার। আমাদের দাবি, অবিলম্বে এই গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। আমরা যুদ্ধবিরতি চাই। আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, আমাদের শিশুরা আজকে যখন দুধে-ভাতে থাকছে তখন ফিলিস্তিনের শিশুরা অনাহারে মরছে। তাদের হাসপাতালগুলোতেও বোমা হামলা করা হচ্ছে যেটি আমরা কোন যুদ্ধের নীতিতে দেখিনি। সেই ঘটনাও ঘটিয়েছে মার্কিনের মদদপুষ্ট ইসরায়েলি বাহিনী। আমরা অবিলম্বে ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বিরতি চাই, আমাদের দাবি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হোক।

এর আগে সকাল থেকেই ফিলিস্তিন আর বাংলাদেশের পতাকা হাতে মধুর ক্যান্টিনে জড়ো হতে থাকেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এর সঙ্গে যোগ হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের নেতাকর্মীরা। পরে মধুর ক্যান্টিনের সামনে থেকে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। পতাকা হাতে পদযাত্রাটি প্রদক্ষিণ করে ক্যাম্পাস এলাকা। মিছিলটি রাজু ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এসময় ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিভিন্ন স্লোগানও দেন অংশগ্রহণকারীরা।

এ সময় সাদ্দাম হোসেন মেমোরেন্ডাম ফর পিচ নামে একটি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নসহ ঢাকার দুই মহানগরের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক বক্তব্য রাখেন। এসময় সমাবেশ কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, ঢাবির বিভিন্ন হল শাখা ও রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা স্বতস্ফুর্তভাবে এতে অংশগ্রহণ করেন।


কাল থেকে প্রাথমিকে স্বাভাবিক রুটিনে ক্লাস

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে প্রাথমিকে স্বাভাবিক রুটিনে ক্লাস শুরু হবে। এদিন থেকে শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী আগের সময়সূচিতে পুরোদমে চালু হবে ক্লাস। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গত কয়েকদিন সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সময়সূচিতে পাঠদান চলছিল। তবে গরম কমে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় বিদ্যালয়ও ফিরছে স্বাভাবিক সময়সূচিতে। আজ সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার থেকে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারে শ্রেণি কার্যক্রমসহ সব কার্যক্রম ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে। তবে ঢাকা মহানগরীর জন্য পরিপত্র অনুযায়ী নির্ধারিত সময়সূচি প্রযোজ্য হবে। অন্যদিকে প্রাক-প্রাথমিকের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা সময়সূচি নির্ধারণ করবেন।

বছরের শুরুতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর যে বর্ষপঞ্জি প্রকাশ করেছিল, সে অনুযায়ী- এক শিফটের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হবে সকাল ৯টায়, চলবে বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত। দুই শিফটের বিদ্যালয়ে প্রথম শিফট শুরু হবে সকাল ৯টায়, শেষ হবে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে। দ্বিতীয় শিফটে ক্লাস চলবে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত।


জাবিতে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ঘটনাস্থলে ভিড় করছেন স্থানীয়রা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৬ মে, ২০২৪ ১৩:৩৬
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সালাম-বরকত হল ও শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ হলের মধ্যবর্তী রাস্তার পাশে একটি গাছ থেকে ওই যুবকের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

মৃত যুবক বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-বেরুনি হলের স্টাফ নজরুল ইসলামের মেজো ছেলে জিসান আহমেদের (২৪)।

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক মো. আসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা জানতে পেরে সকাল ৭টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করি। কোনও অভিযোগ না থাকায় পরিবার মরদেহ ময়নাতদন্ত করতে দেয়নি। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।’

মৃত জিসানের বড় ভাই ওয়ালিউল্লাহ বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যায় ঝড়ের আগে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। ঝড় থামলে বাড়িতে ফিরলে মা তাকে কোথায় ছিল জিজ্ঞেস করে? গরুকে পানি খাওয়ানো হয়নি বলে তাকে মা বকাঝকা করে। পরে তিনি আবার রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান।’

জিসান পরিবারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাবাগান এলাকায় থাকতেন। তার পৈত্রিক নিবাস শেরপুর জেলায়। বাড়িতে তিনি একটি গরুর খামার দেখাশুনা করতেন।


৮ মে থেকে ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস শুরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

সারা দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ সহনশীল পর্যায়ে আসায় আগামী ৮ মে বুধবার থেকে সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষায় ফিরছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।

আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।

এর আগে গত ২১ এপ্রিল সারা দেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত নিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

তখন বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস চলবে। তবে পরীক্ষাগুলো সশরীরেই অনুষ্ঠিত হবে।


নিম্ন মাধ্যমিক পর্যন্ত ন্যূনতম শিক্ষা অধিকার নিশ্চিত করা হবে

অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অবৈতনিক করতে একসঙ্গে কাজ করবে দুই মন্ত্রণালয়
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মৌলিক ন্যূনতম শিক্ষা অধিকারের ধাপ প্রাথমিক থেকে নিম্ন মাধ্যমিক স্তরে উত্তরণের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় একযোগে কাজ করবে।

আজ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় এই দুটি মন্ত্রণালয়ের যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের অবৈতনিক শিক্ষা তথা পাঠদান কার্যক্রম ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত সম্প্রসারণ করবে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা ব্যয় কমিয়ে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে কাজ করবে।

প্রাথমিক থেকে নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি ও নানান আর্থ-সামাজিক কারণ ও প্রক্রিয়াগত কারণে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার রোধ করতে নিম্ন মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক বা নামমাত্র ব্যয়ে করার ব্যবস্থা করার বিষয়ে শিক্ষানীতি ২০১০ এ বর্ণিত অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইআর) এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হালিম, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, প্রাথমকি ও গণশক্ষিা মন্ত্রণায়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।


গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ

উত্তীর্ণ ৩১ হাজার ৮১ শিক্ষার্থী
ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জবি প্রতিনিধি

দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও বিবিএ প্রথম বর্ষের মানবিক বিভাগের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষায় মোট উত্তীর্ণ হয়েছেন ৩১ হাজার ৮১ জন। এই ইউনিটে এবার পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৩৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

রোববার গুচ্ছভুক্ত টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার দৈনিক বাংলাকে ফল প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করে এসব তথ্য জানান।

ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট ওয়েবাসাইটে ফল প্রকাশ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে ফল দেখতে পারবেন। পরীক্ষার ফল https://gstadmission.ac.bd ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন রুকাইয়া ফেরদৌস লামিয়া। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় তার রোল ছিল ৩১৮৬৩০ এবং কেন্দ্র ছিলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপকেন্দ্র ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ। তিনি বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন।

উপাচার্য অধ্যাপক নাছিম আখতার জানান, ভর্তি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে ‘বি’ ইউনিটে সর্বোচ্চ নম্বর উঠেছে ৭৬ দশমিক ২৫ এবং সর্বনিম্ন মাইনাস (-) ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

তিনি জানান, ‘বি’ ইউনিটে মোট পরীক্ষার্থী আবেদন করেন ৯৪ হাজার ৬৩১ জন। তাদের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেন ৮৫ হাজার ৫৪৮ জন, যা মোট আবেদনকারীর ৯০ দশমিক ৪০ শতাংশ। অনুপস্থিত ছিলেন ৯ হাজার ৮৩ জন অর্থাৎ ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ।

তিনি আরও জানান, ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৩১ হাজার ৮১ জন, যা পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীর ৩৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এছাড়াও অকৃতকার্য হয়েছেন ৫৪ হাজার ৪৪৪ জন পরীক্ষার্থী, যা মোট পরীক্ষার্থীর ৬৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ। অকৃতকার্য সবাই ৩০ এর কম নম্বর পেয়েছেন।

এদিকে ২৩ জন পরীক্ষার্থীর খাতা বাতিল হয়েছে, যা মোট পরীক্ষার্থীর দশমিক ০৩ শতাংশ৷ এদের মধ্যে ২ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার, রোল নম্বর ভুল লেখায় ১২ জনের খাতা বাতিল ও সেট নম্বর ভুল লেখায় ৯ জনের খাতা মূল্যায়ন করা হয়নি।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সাব-টেকনিক্যাল কমিটির তৈরি করা ফলাফলে দেখা গেছে, ‘বি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৭৫ ও এর উপরে পেয়েছেন একজন, ৭০ ও এর উপরে পেয়েছেন সাতজন, ৬৫ ও এর উপরে পেয়েছেন ৪৯ জন, ৬০ ও এর উপরে পেয়েছেন ২১৯ জন, ৫৫ ও এর উপরে পেয়েছেন ৭৮৩ জন, ৫০ ও এর উপরে পেয়েছেন ২ হাজার ৪২৫ জন, ৪৫ ও এর উপরে পেয়েছেন ৫ হাজার ৮৩০ জন, ৪০ ও এর উপরে পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৪৬ জন এবং ৩৫ ও এর উপরে পেয়েছেন ২০ হাজার ১৩২ জন। আর ৩০ ও এর উপরে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৮৩ জন পরীক্ষার্থী।

এদিকে গুচ্ছভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের আর্কিটেকচার (ড্রয়িং) পরীক্ষার ফলও এদিন ঘোষণা করা হয়েছে। ড্রয়িং (ব্যবহারিক) পরীক্ষার মোট নম্বরের ৩০ শতাংশকে পাস হিসেবে বিবেচনা করে ৮৭৭ জনকে উত্তীর্ণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। পাসকৃত শিক্ষার্থীরা এদিন রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের আগেই জিএসটির ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের ফল দেখতে পাবেন। গুচ্ছভুক্ত চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্কিটেকচারে ভর্তির জন্য মোট ১৬৫টি আসন রয়েছে।

এর আগে শুক্রবার দেশের ২৪টি পাবলিক এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তিতে ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র এবং এসব কেন্দ্রের উপকেন্দ্রগুলোতে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়। আগামী ১০ মে শুক্রবার ‘সি’ ইউনিটের বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এবারের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা।


প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস: শিক্ষামন্ত্রী

ফাইল ছবি।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

আজ রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে তাকে উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন কারিকুলামের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।

তাপদাহে কয়েক দফা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি ও আংশিক বন্ধ রাখার পর আজ রোববার থেকে সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পুরোপুরি পাঠদান শুরু হয়েছে। অবশ্য তাপপ্রবাহ কম থাকায় গত শনিবার থেকেই দেশের ৩১ জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা হয়।

দেশে এবার তীব্র দাবদাহ বইছে। বিশেষ করে গত এপ্রিল মাসজুড়েই সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ বিরাজ করে। তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪৩ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাওয়ায় শিশুদের সুরক্ষিত রাখতেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হয়। গত দুদিন থেকে দেশে দাবদাহ বেশ খানিকটা কমে গেছে এবং ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, এবার দেশ বৃষ্টিবলয়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। এর ফলে দেশে টানা ৬ থেকে ১০ দিন বৃষ্টি হতে পারে। এরপর আবারও তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

আবহাওয়ার এমন বিরূপ পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়ার আগাম আভাস দিলেন শিক্ষামন্ত্রী।


মানবিক গুণাবলী অর্জন ছাড়া শিক্ষা মূল্যহীন: মেয়র আতিকুল ইসলাম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জনাব মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মানবিক গুণাবলী অর্জন ছাড়া শিক্ষার কোনো মূল্য নেই। আপনি যত বড় শিক্ষিতই হোন না কেন, যদি মানুষের মতো মানুষ না হন, মানুষের বিপদ-আপদে এগিয়ে না আসেন, তাহলে সেই শিক্ষার কোনো মূল্য নেই।

মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কালচারাল ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত বৈশাখী উৎসব ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেয়র শিক্ষার্থীসহ সবাইকে মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন মানুষ হওয়ার এ আহ্বান জানান। আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুলিয়া ক্যাম্পাসের খেলার মাঠে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে জমকালো এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম।

মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টকে একটি সমৃদ্ধ ট্রাস্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি মনে করি বাংলাদেশে আর কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এত সমৃদ্ধ ট্রস্টি বোর্ড নেই। আমাদের এরকম একটি ট্রাস্টি বোর্ড উপহার দেওয়ায় আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।

তিনি এমআইইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যবৃন্দ, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দকে একটি পরিবার উল্লেখ করে বলেন, সুখে-দুঃখে, বিপদ-আপদে এ পরিবারের সদস্যরা এক ও অবিচল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ার যে স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখছেন তা বাস্তবায়ন করাই হোক আজকের বৈশাখী উৎসব ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের প্রতিজ্ঞা।

মানারাত ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ সংখ্যা নয়, গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিয়ম বহির্ভূতভাবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো নিয়োগ দেওয়া হয় না। নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম যিনি হন, তাকেই নিয়োগ দেওয়া হয়। আমরা মনে করি, গুণগত শিক্ষা তখনই নিশ্চিত করতে পারব, যখন মানসম্পন্ন শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ দেওয়া হবে। তাই আমরা গুণগত শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগে আপোষহীন।

তিনি মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ে র ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ সবাইকে অন্তত দশটি করে গাছ লাগানো এবং গাছগুলো বড় না হওয়া পর্যন্ত লালন-পালনের মাধ্যমে নগরবাসীকে সেবা করার আহ্বান জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যথাক্রমে উপস্থিত ছিলেন মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মেখলা সরকার, হাসুমণির পাঠশালার সভাপতি মারুফা আক্তার পপি, বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সদস্য ইসরাত জাহান নাসরিন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিবৃন্দ গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করার মাধ্যমে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিকে শীর্ষ ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠা করার বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতি বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান বৈশাখী উৎসব বাঙালি জাতির সার্বজনীন উৎসব উল্লেখ করে বলেন, বৈশাখী উৎসবকে সার্বজনীন করার কারিগর হলেন প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেলে বৈশাখী উৎসব ভাতা চালু করেন। এরপর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও বেশাখী ভাতা চালু করে। মানারাতেও এ বছর প্রথম বৈশাখী ভাতা প্রদান করা হয়েছে।

এজন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের পক্ষ থেকে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. মোয়াজ্জম হোসেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ফিতা কেটে বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম। পরে তিনি বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।


কাল থেকে সারা দেশে খুলছে মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ

ফাইল ছবি।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সারা দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগামীকাল রোববার থেকে ক্লাস চলবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আজ শনিবার মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে গত ২৮ এপ্রিল থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়। পরের দিন হাইকোর্ট দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার ক্লাস বন্ধের নির্দেশ দেন। পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

তবে ধাপে ধাপে দেশের কয়েকটি জেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কথা জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এদিকে গত ২৫ এপ্রিল উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তারের সই করা এক আদেশে জানানো হয়, ৪ মে থেকে শনিবারও স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

তাপপ্রবাহ এবং নানা কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে তা পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।

ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে গত ২১ এপ্রিল সারাদেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ২০ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়।


স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে ছাত্রলীগের কর্মসূচি

আপডেটেড ৪ মে, ২০২৪ ১৭:০২
ঢাবি প্রতিনিধি

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানানো এবং গাজায় নিরীহ মানুষকে হত্যা বন্ধ করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

আজ শনিবার বিকেলে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী সোমবার ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করবে ছাত্রলীগ। এ দিন বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত এই পদযাত্রা চলবে। এরপর সেখানেই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক ইউনিটের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করে বলা হয়, দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একইসেঙ্গ একইসময়ে এই কর্মসূচি পালিত হবে। ন্যায্যতা-ন্যায়-মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীনরাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী সমাজ, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছে তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাধীনরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ব দরবারে সদা-সর্বদা ক্রিয়াশীল একটি রাষ্ট্র। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম দিক ছিলো ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জন। একইভাবে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব মানচিত্রে যে বলিষ্ঠতার সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের দাবী উত্থাপন করেছেন তা অতুলনীয় ও অভাবনীয়।

এ ছাড়া এই পদাঙ্ক অনুসরণ করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ১৯৪ নং রেজুলেশন এবং নিরাপত্তা পরিষদের ২৪২ ও ৩৩৮ নং রেজুলেশনে বর্ণিত দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের মাধ্যমে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে শান্তির প্রতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অকুণ্ঠ সমর্থনের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয় এই বিজ্ঞাপ্তিতে।


ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ২১তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শহিদ আখতার ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দরা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পালিত হয়েছে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সাফল্য ও অর্জনের ২১তম প্রতিষ্ঠা দিবস। গত রোববার ২৯ এপ্রিল ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শহিদ আখতার হোসেনসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দের উপস্থিতিতে পালিত হয় দিনটি।

স্বল্প ব্যয়ে মানসম্মত উচ্চশিক্ষার লক্ষ নিয়ে একদল শিক্ষানুরাগী শিল্পপতি, শিক্ষাবিদ, প্রকৌশলী, এবং অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ২০০৩ সালের আজকের এই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাদের সেই মহৎ উদ্দেশ্য সফল করতে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি পরিবারের সকল সদস্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

এ দিন দুপুর ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজাকুল হায়দার হলে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন। ড. হুসাইন তার বক্তব্যে এ যাবত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অর্জন ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। উপাচার্য এ ধরণের একটি উন্নতমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সকল চেয়ারম্যান, সম্মানিত সদস্যবৃন্দ এবং ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ফাউন্ডেশনের সম্মানিত সদস্যবৃন্দকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মলগ্ন থেকে যারা নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন তারা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের বিভিন্ন সময়ের স্মৃতিচারণ করেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, বিভন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. আবুল বাশার খান বোর্ডের সকল সদস্যবৃন্দের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন এবং অনুষ্ঠানটি সফল ভাবে সমাপ্ত করায় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।


banner close