সোমবার, ১০ জুন ২০২৪

সামার সেশনে ভর্তি নিচ্ছে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২০ মার্চ, ২০২৪ ২১:৪১

সামার ২০২৪ সেশনে ভর্তি শুরু হয়েছে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে (সিইউবি) । ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সর্বোচ্চ শতভাগ পর্যন্ত স্কলারশিপের সুযোগ। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এ বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। গ্রুপ ওয়েভার হিসেবে রয়েছে টিউশন ফি-তে ৫% ছাড়।

নর্থ আমেরিকান মানের শিক্ষা প্রদান, আধুনিক ও ডিজিটালাইজড ক্লাসরুম, ফ্রি ইন্টারনেট, উন্নতমানের ল্যাব, স্টুডেন্ট জোন, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, চাকরির নিশ্চয়তা বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ক্রমেই জনপ্রিয় করে তুলছে শিক্ষার্থীদের কাছে। সম্প্রতি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ তার শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি চালু করেছে। কানাডার অন্টারিও-তে নির্মিত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বহির্দেশীয় ক্যাম্পাস। এ বছরই চালু হবে ক্যাম্পাসটি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্রেডিট ট্রান্সফারের মাধ্যমে কানাডাতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তিতে থাকা অন্যান্য আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়েও ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা।

এ ছাড়া জাতীয় গণমাধ্যমে শতভাগ পর্যন্ত চাকরির নিশ্চয়তা দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া, কমিউনিকেশন ও জার্নালিজম বিভাগ। ল বিভাগে রয়েছে মুটকোর্টের সুবিধা। বাংলাদেশে প্রথম ও একমাত্র প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ শিপিং অ্যান্ড মেরিটাইম সায়েন্স বিষয়ে স্নাতক ও মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টেসন অ্যান্ড লজিস্টিকস-এ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করছে। এই দুই বিষয়ে সমুদ্র অর্থনীতিতে রয়েছে চাকরির অবারিত সুযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অনুষদ আইবিএ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি সমৃদ্ধ এবং বাংলাদেশে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম সেরা বিভাগ হিসেবে পরিচিত।

ইইই ও সিএসই-তে ডিপ্লোমা হোল্ডাররা অত্যন্ত স্বল্প খরচে বিএসসি ডিগ্রি লাভের সুযোগ পাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত ইউনিক মেঘনাঘাট পাওয়ার প্লান্টে হাতেকলমে শিক্ষার সুযোগ পায় ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সিএসই বিভাগে কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার প্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ থাকছে শিপিং ও মেরিটাইম সায়েন্স, সিএসই, ইইই, বিবিএ, ইংলিশ, মিডিয়া কমিউনিকেশন ও জার্নালিজম বিভাগে। স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ভর্তি চলছে এমবিএ, ইএমবিএ (রেগুলার ও এক্সিকিউটিভ) এবং মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টেশন ও লজিস্টিকস বিভাগে। ভর্তি সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭০৭০৭০২৮০, ০১৭০৭০৭০২৮১, ০১৭০৭০৭০২৮২, ০১৭০৭০৭০২৮৪। অনলাইনে আবেদন করতে ক্লিক করুন: https://cub.edu.bd/apply.php


শিশুদের অসাম্প্রদায়িক শিক্ষা দিতে হবে: জবি উপাচার্য

পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জবি প্রতিনিধি

শ্রেণিকক্ষে বাচ্চাদের অসাম্প্রদায়িক শিক্ষা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বিশিষ্ট সমাজচিন্তক অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

আজ সোমবার পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

অসাম্প্রদায়িক শিক্ষা পেলেই শিশুরা সুনাগরিক ও সত্যিকারের মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

উপাচার্য বলেন, ‘শিশুদেরকে আন্তর্জাতিক সনদে এবং আমাদের সংবিধানে উল্লিখিত অধিকার সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। শিশুদেরকে তাদের মতো করে চলতে ও খেলতে দিতে হবে এবং তাদের মনের কথা বলতে দিতে হবে।’

শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ এবং তারাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে জানিয়ে সাদেকা হালিম বলেন, ‘পোগোজ স্কুল বাংলাদেশের প্রাচীনতম বেসরকারি স্কুল। ঐতিহাসিক এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে উপমহাদেশের অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিরা পড়াশুনা করেছেন। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের রূপচিত্র পোগোজ স্কুলকে ঘিরেই রয়েছে। পোগোজের পাশেই রয়েছে মসজিদ-মন্দির-চার্চ। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা নিশ্চিন্তে তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করছেন।’

জবি কোশাধ্যক্ষ ও পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির অন্যান্য সদস্যরা।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. আব্দুস সাত্তার।

এসময় জবির সহকারী প্রক্টররা, পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরাও উপস্থিত ছিলেন।


‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে জবির ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১০ জুন, ২০২৪ ১৮:৩২
জবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা’ শীর্ষক একটি কর্মশালা আয়োজিত হয়েছে।

আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনফারেন্স কক্ষে এ কর্মশালা আয়োজিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জবি উপাচার্য ও এপিএ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। এ ছাড়া জবি আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুম বিল্লাহসহ উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তারা।

এ সময় তিনি বলেন, ‘এপিএয়ের বিভিন্ন উপাদান বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন কর্মশালা নিয়মিত আয়োজিত হলেও আমাদের মানোন্নয়ন আশানুরূপ হচ্ছে না। এ বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা করে ফলোআপ রিপোর্ট তৈরি করা প্রয়োজন। চুরি শুধু অর্থ দিয়েই হয় না বুদ্ধিভিত্তিক চুরিও হয়ে থাকে। এ কারণে আমাদের সততা ও স্বচ্ছতার সাথে সংশোধিত হতে হবে। আমরা বেশি মেধাসম্পন্ন হলে আমাদের মধ্যে নৈতিকতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।’

জবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ও এপিএ কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোশাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী।

কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে ছিলেন ইউজিসির উপ-পরিচালক ও ইনোভেশন ফোকাল পয়েন্ট দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র দাস এবং ইউজিসির সিনিয়র সহকারী সচিব প্রবীর চন্দ্র দাস।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমেল হক মোল্লা। জবি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।


ঈদের ছুটিতে প্রয়োজনে অনলাইন ক্লাস নেওয়া হবে: এনসিটিবি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদের আগে যদি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্ধারিত অংশের শিখন কার্যক্রম শেষ না হয়, প্রয়োজনে ওই প্রতিষ্ঠান ছুটির মধ্যেও অনলাইনে ক্লাস নেবে বলে জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

গতকাল রোববার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) মাধ্যমিক বিভাগের সহকারী পরিচালক এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ইতোমধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এনসিটিবির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বিষয়ভিত্তিক ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সিলেবাস ও এই সংক্রান্ত নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি সারা দেশ থেকে দ্বৈবচয়নের মাধ্যমে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করেছে এনসিটিবি। এইসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকের কতটুকু পড়ানো হয়েছে, সেই তথ্য নিয়ে একটি সিলেবাস প্রণয়ন করেছে। তাতে ষান্মাসিক মূল্যায়নে বইয়ের শুরু থেকে কত পৃষ্ঠা পর্যন্ত মূল্যায়নে অন্তর্ভুক্ত হবে, তা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আগামী ১২ জুন বুধবার পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস চলবে। এরপর ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হবে। ঈদের ছুটির আগেই সিলেবাসের অবশিষ্ট সিলেবাস সম্পন্ন করতে সামষ্টিক মূল্যায়নের জন্য বিকল্প উপায় অবলম্বন করতে নির্দেশনা দিয়েছে এনসিটিবি।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, প্রয়োজনে অনলাইনে ক্লাস করাতে হবে। কোন দল গত কাজ এখন তথ্য সংগ্রহ ইত্যাদি কাজ থাকলে তা বিকল্প উপায়ে গত কাজের বিষয়ে দলগত কাজের বদলে একক কাজ, পরিবারের সদস্যদের থেকে তথ্য সংগ্রহ পর্যবেক্ষণের কাজটি বাড়ির আশেপাশের থেকে ভিডিও দেখে ডকুমেন্ট দেখে বা অন্য করা সাহায্যে করা যেতে পারে। কাজ শেষে সক্রিয় পরীক্ষণের বদলে একটি অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিবে তার ধারণা আমাদের সময় ধারণ করে দেওয়ার বিষয়েও শিক্ষকদের দেয়া হয়, এ ছাড়া অভিভাবকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গ্রুপ, মোবাইল গ্রুপে নির্দেশনা প্রদান করে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বসে করা কাজ শিক্ষকরা পর্যবেক্ষণ করবেন এবং ফিডব্যাক দেবেন। তা ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের আগেই ছুটির মধ্যে শিক্ষার্থীদের করণীয় অভিজ্ঞতার ধাপগুলো সহজ ভাষায় বুঝিয়ে দিতেও শিক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিষয়:

মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের আদেশ বহাল

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় আপাতত বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। একই সঙ্গে এ বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী ৪ জুলাই দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।

আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম আজ রোববার এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। এর আগে আজ সকালে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

গত ৫ জুন সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

২০১৮ সালে সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ক্ষেত্রে কোটাপ্রথা বিলুপ্ত করা হয়। ওই বছরের ৪ অক্টোবর কোটা পদ্ধতি তুলে দিয়ে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এদিকে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের রায় বাতিলের দাবিতে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত আলটিমেটাম দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। এ সময়ের মধ্যে রায় বাতিল করা না হলে দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে আজ হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন তারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা ওই আলটিমেটাম দেন।

সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালের পরিপত্র বাতিল করে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল-সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদ এবং মেধাভিত্তিক নিয়োগ বহাল রাখার দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো আজ বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। ওই বিক্ষোভ শেষে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল আ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে ক্যাম্পাস ছাড়েন।

এর আগে শিক্ষার্থীদের মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়।

মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘চাকরিতে কোটা, মানি না মানব না’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, কোটার ঠাঁই নাই’, ‘হাইকোর্টের রায়, মানি না মানব না’, ‘সংবিধানের মূলকথা সুযোগের সমতা, মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা সুযোগের সমতা’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’ ধরনের স্লোগান দেন।

মিছিল-পরবর্তী সমাবেশে ঢাবি ছাত্রী তামান্না আক্তার বলেন, ‘আমি নারী হয়ে বলছি, আমি নারী কোটা চাই না। আমরা একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ নির্মাণ করতে চাই। মেধাবীরা যোগ্যতা দিয়ে চাকরি পাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে উপেক্ষা করে যে রায় দিয়েছে, তা আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলাম।’

বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের ছাত্র মোয়াজ্জেম হোসেন রিহাম বলেন, ‘আমরা হাইকোর্টের রায়কে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ‘কোটা প্রথা বিদ্যমান রাখার জন্য কিন্তু আমাদের প্রশ্ন উনি কি সাধারণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষামন্ত্রী, না কি দুই পারসেন্ট শিক্ষার্থীর মন্ত্রী?’

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র রিফাত রশিদ বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে সরকারি চাকরিতে সমতা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে, কিন্তু আজকে কোটার মাধ্যমে মেধাবীদের অবহেলা করা হচ্ছে। এই ছাত্রসমাজ কোনো দাবি আদায়ে যতবারই রাস্তায় নেমেছে, সেই দাবি আদায় করে রাজপথ ছেড়েছে। আজকেও আমরা কোটা পুনর্বহালের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছি। যদি এই বৈষম্যমূলক কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত বাতিল না করা হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা এই রাজপথ ছাড়বে না। প্রয়োজনে রক্ত ঝরবে, রাজপথে লাশ পড়বে, তবুও আমরা এই দাবি আদায় করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ।’


প্রতিটি শিক্ষার্থীকে আলাদা আলাদাভাবে পরিচর্যা করতে হবে: ড. জলিল চৌধুরী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের প্রবীণ অধ্যাপক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আবদুল জলিল চৌধুরী বলেছেন, ‘প্রতিটি শিক্ষার্থীকে আলাদা আলাদা ভাবে পরিচর্যা করতে হবে। বিশেষ গুরুত্বসহ পরিচর্যা করলে আজকের শিশু আগামী দিনে দেশ ও জাতির কাণ্ডারি হিসেবে গড়ে উঠবে।’

তিনি শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শ্যামলীতে অবস্থিত মেরিগোল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের ২০২৩ সালের মেধাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। মেধাবৃত্তির সনদ, ক্রেস্ট ও প্রাইজমানি বিতরণ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ আবদুল অদুদ। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের চেয়ারম্যান লায়ন দিদারুল ইসলাম। সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন কুমিল্লার নোমান আহম্মেদ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও মেরিগোল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেলিনা খাতুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা জেলা সভাপতি মো. আসাদুল্লাহ, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল আবছার, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী ও ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী পলাশ চন্দ্র দাশ ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম তালুকদার, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি শামীম আহমেদ ও প্রকৌশলী আহসান হাবিব প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ঢাকার বিভিন্ন স্কুল ও আশপাশের ১৩টি জেলার প্রতিনিধিদের কাছে মেধাবৃত্তির সনদ, ক্রেস্ট ও প্রাইজমানি তুলে দেওয়া হয়। সভায় শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতে জুলাই মাসে জাতীয় সম্মেলন আয়োজন করার সিদ্ধান্ত হয় এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুত রেজিস্ট্রেশন করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

বিষয়:

এমপিওবিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৪ হাজার ৬১৩টি: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। ফাইল ছবি
আপডেটেড ৯ জুন, ২০২৪ ১৪:৩১
নিজস্ব প্রতিবেদক

বর্তমানে সারা দেশে ৪ হাজার ৬১৩টি এমপিওবিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

আজ রোববার সংসদে টেবিলে উপস্থাপিত সরকারি দলের সদস্য এম আব্দুল লতিফের তারকা চিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ এর আলোকে কাম্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা,পাশের হার, প্রাপ্যতা ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতার ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত করা হয়ে থাকে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। এমপিওভুক্ত করার কাজটি বর্তমানে ডিজিটাল পদ্ধতিতে অটোমেশনের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘সারা দেশে এমপিওবিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক সময়ে সময়ে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এমপিওভুক্ত করা হয়ে থাকে। চলতি অর্থবছরের আর একমাসেরও কম সময় অবশিষ্ট রয়েছে। এই স্বল্প সময়ে নতুন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের আপাতত নেই।’

সরকারি দলের অপর সদস্য সিদ্দিকুর রহমান পটোয়ারীর তারকা চিহ্নিত অপর এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষকদের অবসরভাতা ও কল্যাণভাতা প্রাপ্তিতে বিলম্বের সমস্যা সমাধানে সরকার আন্তরিক রয়েছে। এ খাতে পর্যাপ্ত অর্থসংস্থান না থাকায় মূলত বেশি সময় লাগছে এবং সমস্যা তৈরি হচ্ছে। ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে অবসর উত্তরকালে শিক্ষকদের প্রাপ্য অর্থ যেন দ্রুততম সময়ে পেতে পারেন তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।’

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সমস্যার উত্তরণে কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং গঠিত কমিটি তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।


চাকরিতে কোটা: হাইকোর্টের রায় বাতিলে আলটিমেটাম শিক্ষার্থীদের

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল করার রায় বাতিলের দাবিতে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।

আজ রোববার ঢাবিতে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা এই ঘোষণা দেন। অন্যথায় দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।

সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালের পরিপত্র বাতিল করে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদ এবং মেধাভিত্তিক নিয়োগ বহাল রাখার দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো আজও এই বিক্ষোভ করা হয়। বিক্ষোভ শেষে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি অ্যাটর্নি জেনারেল বরাবর স্মারকলিপি জমা দিতে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।

এর আগে শিক্ষার্থীদের এই মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্য এসে শেষ হয়।

মিছিলে শিক্ষার্থীরা, চাকরিতে কোটা, মানি না মানবো না; মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, কোটার ঠাঁই নাই; হাইকোর্টের রায়, মানি না মানবো না; সংবিধানের মূলকথা সুযোগের সমতা; মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা সুযোগের সমতা; কোটা না মেধা, মেধা মেধা; সারা বাংলা খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে; ইত্যাদি স্লোগান দেন।

মিছিল পরবর্তী সমাবেশে ঢাবি শিক্ষার্থী তামান্না আক্তার বলেন, ‘আমি নারী হয়ে বলছি আমি নারী কোটা চাই না। আমরা একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ নির্মাণ করতে চাই। মেধাবীরা যোগ্যতা দিয়ে চাকরি পাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে উপেক্ষা করে যে রায় দিয়েছে তা আমরা প্রত্যাখান করলাম।’

বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের শিক্ষার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন রিহাম বলেন, ‘আমরা হাইকোর্টের রায়কে প্রত্যাখান করছি। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, কোটা প্রথা বিদ্যমান রাখার জন্য। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন, উনি কি সাধারণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষামন্ত্রী নাকি ২% শিক্ষার্থীর মন্ত্রী।’

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত রশিদ বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে সরকারি চাকরিতে সমতা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে কিন্তু আজকে কোটার মাধ্যমে মেধাবীদের অবহেলা করা হচ্ছে। এই ছাত্রসমাজ কোন দাবি আদায়ে যতবারই রাস্তায় নেমেছে সেই দাবি আদায় করে রাজপথ ছেড়েছে। আজকেও আমরা কোটা পুনর্বহালের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছি। যদি এই বৈষম্যমূলক কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত বাতিল না করা হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা এই রাজপথ ছাড়বে না। প্রয়োজনে রক্ত ঝরবে, রাজপথে লাশ পড়বে তবুও আমরা এই দাবি আদায় করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ।’


সরকারের ঋণ নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা চলছে: শিক্ষামন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারের ঋণ আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের চেয়ে অনেক কম দাবি করে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হেসেন চৌধুরী নওফেল বলেছেন, সরকারের ঋণের বিষয়ে প্রচার করা হচ্ছে অন্যভাবে। তবে ঋণ নিয়ে যেভাবে প্রচার করা হচ্ছে, ঋণ তার চেয়ে অনেক কম।

ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আজ শুক্রবার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রবৃদ্ধিটা যেন থাকে, মূল্যস্ফীতি যেন কমে যায় বা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে সরকারের ঋণ নিয়ে নেতিবাচক প্রচার করা হচ্ছে, যেভাবে প্রচার করা হয়েছিল কোভিডের। আমাদের ঋণ এখনও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের অনেক নিচে। অন্যদের তুলনায় এখনও অনেক ভালো আছে।’

তিনি বলেন, ‘জিডিপির ৩০তম দেশ আমাদের। আমরা বাজেটে প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতিকে প্রাধান্য দিয়েছি। তা ছাড়া কোনো দেশের বাজেটেই লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ পূরণ হয় না। উন্নত দেশে বাজেট ঘাটতি ৫ শতাংশের ওপরে, আমেরিকায় ৬ দশমিক ৮ শতাংশ ঘাটতি। আমাদের ঘাটতি বাজেট ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।’

সংবাদ সম্মেলন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান এবং এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ও অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।


বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ৮০ শতাংশই ভুগছেন হতাশায়: জরিপ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জবি প্রতিনিধি

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থীই হতাশায় কাটান বলে আঁচল ফাউন্ডেশনের এক জরিপে জানা গেছে। জরিপের তথ্যে জানা যায়, এই শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন বিভিন্ন সময়ে যেতে হয়েছে হতাশার মধ্য দিয়ে। ক্লান্তি, ওজন কমে যাওয়া, কোনো কিছু উপভোগ না করা, ঘুমের ধরনের পরিবর্তন, আত্মহত্যার চিন্তা, কাজে মনোযোগ দিতে না পারা ইত্যাদি অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে তাদের যেতে হয়েছে বলে জরিপে উল্লেখ করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার ‘বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির কারণ’ শীর্ষক সমীক্ষা নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়ায় ফাউন্ডেশনটি। জরিপটি গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে চলে ৩০ মে পর্যন্ত। এতে সারা দেশের ৮৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১ হাজার ৫৭০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন।

ফাউন্ডেশনের তথ্য-উপাত্ত থেকে আরও জানা যায়, ৭৯.৯ শতাংশ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে হতাশার মধ্য দিয়ে গেছেন। মাত্র ২০.১ শতাংশ শিক্ষার্থী এ ধরনের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাননি। অতীতের সঙ্গে হতাশার উপসর্গ তুলনা করে দেখা গেছে, ৬৬.১ শতাংশ শিক্ষার্থীদের আগের চেয়ে বেশি হতাশার উপসর্গ নিয়ে আছেন। এর মধ্যে ৮৩.৪ শতাংশ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বিষণ্নতার মুখোমুখি হয়েছেন বলে জানা গেছে। বাকি ১৬.৬ শতাংশ শিক্ষার্থীর ভেতর হতাশার উপসর্গ দেখা যায়নি। অপরদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ৭৯.৯ শতাংশ হতাশার উপসর্গগুলো দেখা গেছে। অন্যদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ৬১.৩ শতাংশ গেছেন হতাশার মধ্য দিয়ে।

জরিপে শিক্ষার্থীদের থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দেখা যায়, ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। বিভিন্ন কারণে নিজেকে অন্যদের সঙ্গে তুলনা করার কারণে হতাশায় ভুগছেন বলেও জানা গেছে। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা নিয়ে ৯.৪ শতাংশ, হল বা আবাসিক পরিবেশ নিয়ে ৯.০০ শতাংশ, সহপাঠী বা শিক্ষক কর্তৃক বুলিংয়ের কারণে ৫.৩ শতাংশ এবং ওপরের সবগুলো কারণের জন্য ১.৬ শতাংশ শিক্ষার্থী হতাশাগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানা যায়। এছাড়া অন্যান্য কারণে হতাশায় ভুগছেন ৩.৫ শতাংশ শিক্ষার্থী।

সহপাঠী, সিনিয়র কিংবা শিক্ষকের দ্বারা শারীরিক-মানসিক হয়রানির শিকার হয়েছেন ৩১.১ শতাংশ শিক্ষার্থী। বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন ১৫.৯ শতাংশ, র‍্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন ১৩.৪ শতাংশ, যৌন হয়রানি শিকার হয়েছেন ১.৮ শতাংশ এবং স্টাফ কর্তৃক ১.২ শতাংশ এবং অন্যান্যদের দ্বারা ৫.৭ শতাংশ শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হয়েছেন। কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হননি ৬৮.৯ শতাংশ।

হয়রানির ফলে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়েছে ৪২.৬ শতাংশ শিক্ষার্থীর, মোটামুটি প্রভাব পড়েছে ৪৮.৬ শতাংশ শিক্ষার্থীর এবং কোনোরূপ প্রভাব পড়েনি ৮.৮ শতাংশ শিক্ষার্থীর। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে পুরোপুরি অসন্তুষ্ট ৩৩.৫ শতাংশ শিক্ষার্থী, মোটামুটি সন্তুষ্ট ৫৮.১ শতাংশ এবং পুরোপুরি সন্তুষ্ট মাত্র ৮.৪ শতাংশ।

জরিপে ৫৯.৪ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন তারা মন খুলে কথা বলার মতো কোনো শিক্ষক পাননি। এর মাঝে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬২.৯ শতাংশ শিক্ষার্থী নিজ শিক্ষকদের সামনে নিজেকে প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। ৩৭.১ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন তারা নিজ বিভাগের শিক্ষকদের সামনে নিজেকে মেলে ধরতে পারেন। অন্যদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫৮.৮ শতাংশ শিক্ষার্থী স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন এবং ৪১.২ শতাংশ শিক্ষার্থী ফ্যাকাল্টির অন্যান্য মেম্বারদের সামনে নিজেকে প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেননি।

এ ছাড়া হলের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টির ক্ষেত্রে ৩৯.৩ শতাংশ জানিয়েছেন তারা পুরোপুরি অসন্তুষ্ট। সন্তুষ্টির জানিয়েছেন ১০.০০ শতাংশ শিক্ষার্থী। বাকিরা জানিয়েছেন তারা মোটামুটি সন্তুষ্ট।

অসন্তুষ্টির কারণ হিসেবে ৯.৯ শতাংশ শিক্ষার্থী থাকার পরিবেশকে দায়ি করেছেন। অনুন্নত খাবারকে দায়ি করেছেন ৭.৮ শতাংশ শিক্ষার্থী। গ্রন্থাগার সংকট মনে করছেন ৩.৭ শতাংশ শিক্ষার্থী এবং সবগুলো কারণকেই দায়ি করছেন ৬৮.২ শতাংশ শিক্ষার্থী। ১০.৪ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন তারা অন্যান্য কারণকে অসন্তুষ্ট। ৭০.১ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন হলের পরিবেশ তাদের মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

জরিপের তথ্য অনুসারে, ৩১.৭ শতাংশ শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। ২৯.৭ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্যারিয়ার হিসেবে সরকারি চাকরি করতে চান। ৯.৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ব্যবসা বা উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। মাত্র ৭.১ শতাংশ শিক্ষার্থী বেসরকারি চাকরি করতে চান। বাকি শিক্ষার্থীরা এখনো কোনোরূপ ক্যারিয়ার ভাবনা ঠিক করেনি যা মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ২২ শতাংশ।

এদিকে জরিপে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর মধ্যে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন ৫.৯ শতাংশ। আত্মহত্যা চিন্তায় এসেছে কিন্তু আত্মহত্যা চেষ্টা করেননি ৩৯.২ শতাংশ। আত্মহত্যা চিন্তা এসেছে এবং আত্মহত্যার উপকরণও জোগাড় করেছেন ৭.৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। কখনো আত্মহত্যা চিন্তা আসেনি ৪৭.৬ শতাংশ শিক্ষার্থীর। এছাড়াও জরিপে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫২.৪ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন তাদের আত্মহত্যা কথা মাথায়ও আসেনি।

আত্মহত্যাপ্রবণ এ সকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশা। ১৬.২ শতাংশ বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমানের কারণে হতাশ। ৯.৭ শতাংশ হতাশ প্রেমঘটিত বিষয়ে। আর ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী হতাশ অর্থনৈতিক কারণে। অন্যরা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করায় হতাশ ৪.৩ শতাংশ। ৩০.৮ শতাংশ শিক্ষার্থী অন্যান্য বিভিন্ন কারণে আত্মহত্যা করার চিন্তা এসেছে বলে জানিয়েছেন।

এছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে সন্তুষ্ট ৩৮.৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। এবং ৩৫.৫ শতাংশ শিক্ষার্থী অসন্তুষ্ট।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির দূর করতে সংগঠনটি বেশকিছু প্রস্তাবনা পেশ করেছে। এগুলো হলো, ক্যাম্পাসে কাউন্সেলিং ইউনিটের ব্যবস্থা করা। ক্যাম্পাসে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করা। ক্যাম্পাসে যেন কেউ বুলিংয়ের শিকার না হন তা মনিটরিং করা। নিরাপদ বাসস্থান ও উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা করা। প্রয়োজনে বৃত্তি ও প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা প্রদান করা। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের সম্মান ও আস্থার সম্পর্ক উন্নয়ন করা, প্রয়োজনে কাউন্সেলিং করানো। মানসিক স্বাস্থ্যসেবাকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা। সেমিনার ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করা। বিশিষ্ট মনোবিজ্ঞানী বা বিশেষজ্ঞদের এসব সেশনে বিভিন্ন সমস্যা ও এগুলোর সমাধান নিয়ে লেকচার দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো। দেশের সকল স্কুল, কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট (মনোবিদ) এডুকেশনাল কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া।

জরিপে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন ২৫১ জন, দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন ২৫৪ জন, তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন ৩৬৯ জন, চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন ৩৪০ জন, মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন ৩৪১ জন, এবং সদ্য গ্র্যাজুয়েট ছিলেন ১৫ জন।


যেদিন থেকে মিলবে এইচএসসির প্রবেশপত্র

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার প্রবেশপত্র আগামী ১০ জুন দেওয়া শুরু হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার এক চিঠিতে এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।

চিঠিতে বলা হয়, ‘২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র উল্লিখিত সময়সূচি অনুযায়ী বোর্ডের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শাখা থেকে বিতরণ করা হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজে অথবা তার প্রাধিকারপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষককে (স্বাক্ষর সত্যায়িতসহ) কেন্দ্রের আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশপত্র অফিস চলাকালীন গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। কোনো অবস্থায়ই শিক্ষক ছাড়া অন্য ব্যক্তিকে প্রবেশপত্র গ্রহণ করার ক্ষমতা দেওয়া যাবে না। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হলে আবেদনপত্রে গভর্নিং বডির সভাপতি-জেলা প্রশাসক-উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিস্বাক্ষর থাকতে হবে।’

এতে আরও বলা হয়- টাঙ্গাইল, নরসিংদী, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ জেলায় ১০ জুন এবং ঢাকা মহানগর, ঢাকা জেলা, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ জেলায় ১১ জুন প্রবেশপত্র বিতরণ করা হবে।

আগামী ১১ জুন শেষ হবে প্রবেশপত্র বিতরণ। প্রবেশপত্রে কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধনের জন্য অবশ্যই ২৩ থেকে ২৭ জুনের মধ্যে উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে নির্ধারিত ছক অনুযায়ী আবেদন করে ঠিক করে নিতে হবে।

৩০ জুন থেকে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে। এরইমধ্যে পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করেছে শিক্ষা বোর্ড। পরীক্ষা উপলক্ষে আগামী ২৯ জুন থেকে সব অ্যাকাডেমিক কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।

বছর ১১টি বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ শিক্ষার্থী। এসব পরীক্ষার্থীরা ৯ হাজার ৪৬৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে ২ হাজার ৭২৫টি কেন্দ্র পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

বিষয়:

প্রাথমিক শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ল ৪ হাজার ৯৭ কোটি টাকা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গত বছরের তুলনায় এবার ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রাথমিক শিক্ষার মান ও অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগের জন্য ৪ হাজার ৯৭ কোটি বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। তার আগে মন্ত্রিসভায় এ বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়।

অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তব্যে বলেন, ‘আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় ৩৮ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি, যা চলমান ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ৩৪ হাজার ৭২২ কোটি টাকা। সে হিসেবে আসন্ন অর্থবছরে ৪ হাজার ৯৭ কোটি টাকা বেড়েছে।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার মান নিশ্চিতকরণে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ২ লাখ ৩৮ হাজার ৫৭৯ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে এবং সহকারী শিক্ষকের ২৬ হাজার ৩৬৬টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। শিক্ষার প্রধান উপকরণ বই যাতে শিক্ষার্থীরা বছরের শুরুতেই পায় সে লক্ষ্যে ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর প্রাথমিক স্তরের শিশুদের ১ জানুয়ারি ‘বই উৎসব’ এর মাধ্যমে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষার স্তরে শিশুদের ঝরে পড়া রোধ করতে শতভাগ শিক্ষার্থীকে ইএফটির মাধ্যমে উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। সরকারের সুচিন্তিত নীতির ফলে প্রাথমিক শিক্ষায় নিট ভর্তির হার ২০০৯ সালের ৯০.৮ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২২ সালে ৯৭.৫৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।’

স্কুলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য হুইল চেয়ার, ক্রাচ, শ্রবণযন্ত্র ইত্যাদি ক্রয় ও বিতরণ করা হচ্ছে এবং তাদের শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের সুবিধার্থে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে র‍্যাম্প নির্মাণ করা হচ্ছে।

বিষয়:

সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলে ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল থাকবে।

এ সংক্রান্ত রিটে ইতোপূর্বে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ বুধবার এ রায় দেন।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান জামান।

আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মো. মুনসুরুল হক চৌধুরী। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম রিপন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান জামান।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত সরাসরি নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে একটি পরিপত্র জারি করে। সেখানে বলা হয়েছিল, নবম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ম-১৩তম গ্রেড (পূর্বতন ২য় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাতালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওই পদসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলো। যেখানে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ, উপজাতি ৫ ও প্রতিবন্ধীর ১ শতাংশ কোটা বাতিল করা হয়।

এই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা ৩০ শতাংশ চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষারসহ সাতজন হাইকোর্টে রিট করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ৩০ শতাংশ কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। আজ সে রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেয় হাইকোর্ট।


বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিংয়ে উন্নতি করল ঢাবি

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

‘ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং এশিয়া ২০২৫’ তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কোয়াক কোয়ারেল সাইমন্ডস (কিউএস)।

তালিকায় ৫৫৪তম স্থান অর্জন করে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ৭৬১ থেকে ৭৭০তম অবস্থান নিয়ে দ্বিতীয় এবং নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ৯০১ থেকে ৯৫০ অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।

এ ছাড়া ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ১০০১ থেকে ১২০০তম অবস্থানে, আর ১২০১ থেকে ১৪০০ তম স্থানে অবস্থান করছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট); ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়; খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

র‍্যাংকিংয়ে নিচে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সুনির্দিষ্ট অবস্থান প্রকাশ করা হয় না। ফলে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান সুনির্দিষ্টভাবে কত নম্বরে তা উল্লেখ করা হয়নি।

অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার এক বছর পার না হতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন অর্জনে উৎফুল্ল শিক্ষার্থীরা।

নকীব মো. নুরুন্নবী নামের এক শিক্ষার্থী ফেইসবুকে লিখেন, পর্যাপ্ত আবাসিক সিট নেই, স্বাস্থ্য সম্মত খাবারের ব্যবস্থা নেই, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ ভালো না, লাইব্রেরি ফেসিলেটিস কম- এত এত সমস্যা নিয়েও এতদূর এগিয়ে এসেছে ঢাবি।

এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক পয়েন্ট ২২.৪। অ্যাকাডেমিক খ্যাতিতে ২৩, সাইটেশন পার ফ্যাকাল্টিতে ২.৯, এমপ্লয়মেন্ট আউটকামসে ৯৩.৭, এমপ্লয়ার রেপুটেশনে ৪৫.৫, অনুষদ ও শিক্ষার্থীদের অনুপাতে ১১.২, আন্তর্জাতিক অনুষদ ও শিক্ষার্থী সংখ্যার অনুপাতে ১.৬ আর আন্তর্জাতিক গবেষণা নেটওয়ার্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পয়েন্ট ৫২।

বিশ্বজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নিয়ে প্রতিবছর র‌্যাংকিং প্রকাশ করে বেশ কয়েকটি সংস্থা। এর মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য হিসেবে ধরা হয় যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) র‌্যাংকিংকে।

গত এক দশকের কিউএস র‌্যাংকিং বিশ্লেষণ করে দেখা যায় কখনোই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৫৫০ এর মধ্যে আসেনি। ফলে গত এক দশকের তুলনায় এটিই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ অবস্থান।

তবে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে শুধু ঢাবি ৭০১ থেকে ৭৫০তম র‍্যাংকিংয়ে স্থান পায় আর ২০২৪ সালে প্রকাশিত র‍্যাংকিংয়ে ঢাবির অবস্থান হয় ৬৯১ থেকে ৭০০ অবস্থানের মধ্যে।

কিউএস তাদের তালিকায় এ বছরের ১ হাজার ৫০৩টি বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত করেছে। ১০০ স্কোর নিয়ে এবারও বিশ্বে প্রথম স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজ ও তৃতীয় স্থানে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।

এ ছাড়া এশিয়া মহাদেশে প্রথম স্থানে আছে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর, দ্বিতীয় চীনের পিকিং ইউনিভার্সিটি আর তৃতীয় অবস্থানে আছে নানইয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি সিঙ্গাপুর।

অ্যাকাডেমিক খ্যাতি, গবেষণা, চাকরিতে স্নাতকদের দক্ষতা, অনুষদ ও শিক্ষার্থীদের অনুপাত, আন্তর্জাতিক গবেষণা নেটওয়ার্ক, পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষক-কর্মকর্তার সংখ্যা, আন্তর্জাতিক অনুষদ ও শিক্ষার্থী সংখ্যার অনুপাতসহ প্রায় ১১টি সূচকের ওপর ভিত্তি করে তালিকা তৈরি করা হয়।


banner close