বুধবার, ৫ জুন ২০২৪
ঢাবি উপাচার্য

‘বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী নেতৃত্ব পৃথিবীর নির্যাতিত মানুষের সম্পদ’

ছবি: সংগৃহীত
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২৬ মার্চ, ২০২৪ ২১:২৯

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব কালোত্তীর্ণ ও কালজয়ী এবং তিনি পৃথিবীর সব নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের সম্পদ বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। তিনি বলেন, দেশপ্রেম, নিষ্ঠা, সততার সঙ্গে বলিষ্ঠ আন্দোলন, সংগ্রাম ও অপরিসীম ত্যাগের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু মহত্ব অর্জন করেছেন।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদাসহ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী সমিতি, কারিগরী কর্মচারী সমিতি, শহীদ পরিবার কল্যাণ সমিতি ও চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন। সভা পরিচালনা করেন রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের গুণাবলির মধ্যে অন্যতম ছিল জনগণের প্রতি তার অপরিসীম ভালোবাসা ও গভীর আস্থা। তেমনি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রতি জনগণেরও ছিল অকৃত্রিম আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা। শৈশব ও কৈশোর থেকেই তার মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি পরিলক্ষিত ও বিকশিত হয়। বঙ্গবন্ধুর জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ই একটি নতুন ইতিহাস, আর এই ইতিহাসই আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাস।’

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জন্মগতভাবেই মহান ছিলেন। মানুষের মঙ্গল ও মুক্তির জন্য তিনি যা বিশ্বাস করতেন, তা তিনি বলতেন ও করতেন। এজন্য তিনি কখনও পরাজিত হননি, সাহস নিয়ে সব প্রতিকূলতা ও অপশক্তি মোকাবিলা করে সবসময় এগিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের ওপর গভীর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে তার নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বস্তরের জনতা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো ও আত্মহুতি দিয়েছিল।

স্বাধীনতা অর্জনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনঃর্গঠনে ও দেশের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে উপাচার্য আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য তিনি যে দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন, তা অনুসরণ করে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা, যোগাযোগ, তথ্য-প্রযুক্তিসহ সব ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী দেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন, আদর্শ ও দর্শন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনিমার্ণে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নের ধারা আরও এগিয়ে নিতে তরুণ প্রজন্মের প্রতি উপাচার্য আহ্বান জানান।


বন্যাকবলিত অঞ্চলে পরীক্ষা বন্ধ রাখা হবে: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বুধবার বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৫ জুন, ২০২৪ ১৪:২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

বন্যাকবলিত অঞ্চলে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

আজ বুধবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা-২০২৪ উপলক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় তিনি এ কথা জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও পানি সীমার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যে অঞ্চলে বন্যা ছড়াবে শুধুমাত্র সেখানে পরীক্ষা নেওয়া হবে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেই পরীক্ষা নেওয়া হবে।

মহিবুল বলেন, ‘এবার সকল পরীক্ষার্থী (নিয়মিত, অনিয়মিত, মানোন্নয়ন) জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ কর্তৃক প্রণীত ২০২৪ সালের পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী সকল বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোন পরীক্ষার্থীকে এর পরে প্রবেশ করতে দিলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে ঐ দিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট পূর্বে এসএমএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের নিকট প্রশ্ন পত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ব্যতীত অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না; শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন (তবে ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন)। পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ (যেমন পরীক্ষার্থী, কক্ষ প্রত্যবেক্ষক, মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, বোর্ডের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পরিদর্শন টিম, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য) ব্যতীত অন্য কেউই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।

এ বছর এইচএসসি ও সমমানের মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮১ এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৫০৯ জন। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৯১ হাজার ৪৪৮ জন।


বিআইআইসির ‘বাংলাদেশ টু ইউএসএ রোডম্যাপ’ সেমিনার

আপডেটেড ৫ জুন, ২০২৪ ১২:২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রায় ছয় শতাধিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীতে হয়ে গেলো ‘বাংলাদেশ টু ইউএসএ রোডম্যাপ’ শীর্ষক এক সেমিনার। বাংলায় আইএলটিস অ্যান্ড ইম্মিগ্রেশন সেন্টার (বিআইআইসি) আয়োজিত এই সেমিনারে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অংশ নেন দেশি বিদেশী অতিথিরা। রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে আয়োজিত এই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকার ওয়েবস্টার ইউনির্ভাসিটির ইন্টারন্যাশনাল এডমিশন ও বিজনেস ডেভলপমেন্ট ডিরেক্টর বেলরিন পলভিনা। একই ইউনির্ভাসিটির ওভারসিস রিক্রুটমেন্ট বিভাগের এসিট্যান্ট ডিরেক্টর সৈয়দ জাহিদুন নবী এবং বাংলায় আইএলটিস অ্যান্ড ইম্মিগ্রেশন সেন্টার (বিআইআইসি)- এর সিইও এবং ফাউন্ডার রাশেদ হোসাইন।

সেমিনারে বক্তরা শিক্ষার্থীদের আমেরিকায় স্কলারশীপ নিয়ে পড়তে যাওয়া এবং ডিগ্রি অর্জনের পাশাপশি সেখানে কাজ করার সুযোগ নিয়ে কথা বলেন। তারা উপস্থিত শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের প্রশ্নের উত্তর দেন।

ওয়েবস্টার ইউনির্ভাসিটির ইন্টারন্যাশনাল এডমিশন ও বিজনেস ডেভলেপমেন্ট অফিসার বেলরিন পলভিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আমাদের ভার্সিটিতে পড়ার জন্য উৎসাহিত করি। কারণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে স্কলারশীপ এবং নানা ধরণের সুযোগ সুবিধা।’

সৈয়দ জাহিদুন নবী বলেন, ‘আমেরিকার বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্ডিয়ান শিক্ষার্থী। আমরা এবার দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য দরজা খুলে দিয়েছি। তাই আইএলটিএস দিয়ে আপনারা যোগ্য হয়ে পড়তে আসতে পারেন।’

দিনব্যাপী এই সেমিনারের শেষদিকে কথা বলেন শিক্ষার্থীদের প্রিয় শিক্ষক রাশেদ হোসাইন। তিনি শিক্ষার্থীদের উৎসাহ উদ্দীপনার পাশাপাশি জানিয়ে দেন কিভাবে আইএলটিএস দিয়ে সঠিকভাবে স্কলারশীপ নিয়ে দেশের বাইরে যাওয়া সম্ভব।

সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন আইডিপি হেড অব আইইএলটিএস অপারেশন ইলোরো শার্মী এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের বিজনেস ডেভলপমেন্ট ম্যানেজার মো. বদরুদ্দোজা। এছাড়া এই আয়োজনের সহযোগী পার্টনার হিসেবে ছিলো ব্রাক ব্যাংক। তারা শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার পাশাপাশি সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

পরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মাঝ থেকে লটারি করে চারজনকে বিআইআইসি- এ ফ্রি আইইএলটিএস করার সুযোগ করে দেওয়া হয়।


‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিল চেয়ে ঢাবি শিক্ষক সমিতির কর্মবিরতি পালন

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবিতে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে শিক্ষকদের এই কর্মবিরতি শুরু হয় চলে দুপুর একটা পর্যন্ত। পাশাপাশি বেলা ১২টা থেকে দুপুর ১ট পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেন তারা। গত ২৬ তারিখ একই দাবিতে ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন ঢাবি শিক্ষকরা।

এর আগে গত ১৩ই মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা বা তাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানসমূহকে প্রত্যয় স্কিমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যা চলতি বছরের ১লা জুলাই এবং তার পরবর্তী সময়ে যারা চাকুরিতে নতুন যোগদান করবেন তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে। এরপর থেকেই এই স্কিম থেকে পাবলিক শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি বাতিলের বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ।

সে সময় সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক মো. নিজামুল হক ভূইয়া বলেন, এই স্কিমের ফলে ১ জুলাইয়ের আগে ও পরে চাকরিতে যোগদান করা ব্যক্তিদের মধ্যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য তৈরি হবে। যেটা সংবিধানের সমতার পরিপন্থি। প্রত্যয় স্কিমে মূল বেতন থেকে ১০ শতাংশ অর্থ কেটে নেওয়া হবে, যেটা আগে করা হত না। এ স্কিমে আনুতোষিক শূন্য।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পেনশনার ও নমিনি আজীবন পেনশনপ্রাপ্ত হন, কিন্তু নতুন এই স্কিমে পেনশনাররা ৭৫ বছর পর্যন্ত পেনশনপ্রাপ্ত হবেন। বিদ্যমান পেনশন ব্যবস্থায় প্রাপ্ত ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট পেতেন, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সেটা সুস্পষ্ট করা হয়নি।

প্রধানমন্ত্রী যেদিন সার্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করেন সেদিন এই প্রত্যয় স্কিমটি ছিল না উল্লেখ করে অধ্যাপক নিজাম বলেন, হঠাৎ করেই একটি মহল নিজেদের সুযোগ সুবিধা অক্ষুণ্ন রেখে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের উপর এ ধরনের একটি বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়েছে।


‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিল চেয়ে জবি শিক্ষকদের কর্মবিরতি পালন

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জবি প্রতিনিধি

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে অর্ধদিবস ক্লাসবিরত দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) শিক্ষকরা।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি এবং অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জবির বিভিন্ন বিভাগ, অনুষদ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষকরা।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনরে ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করেছেন। তবে এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস চালু থাকায় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, মার্কেটিং বিভাগসহ অনেক বিভাগেই শিক্ষকরা অনলাইনে ক্লাস নিয়েছেন।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিল, শিক্ষকদের সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে সারা দেশব্যাপী চলমান শিক্ষকদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি এবং অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে পরীক্ষাসমূহ এই কর্মসূচির আওতামুক্ত ছিল।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে আমরা কর্মবিরতি পালন করছি। পরবর্তী কর্মসূচিতে যাতে যাওয়া না লাগে, তার আগেই আশা করি সরকার আমাদের দাবি মেনে নেবে। প্রত্যয় স্কিম থেকে শিক্ষকদের বাদ দিতে হবে।’

এর আগে, গত ২৬ মে রোববার একই দাবিতে মানববন্ধন করেন শিক্ষকরা। বিষয়টি সুরাহা না হলে বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা।ধারাবাহিক আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে এ সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কার্যকর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন কর্তৃক ঘোষিত কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান শিক্ষক নেতারা।

সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আগের চারটি স্কিমের সঙ্গে ‘প্রত্যয় স্কিম’ নামের একটি প্যাকেজ চালু করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে সব ধরনের স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ২০২৪ সালের ১ জুলাই পরবর্তী সময়ে যোগ দেওয়া কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্ত হবেন।

সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিমের’ প্রজ্ঞাপনকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তার আওতামুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য সুপার গ্রেড কার্যকর এবং স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবি জানিয়েছে দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এ সংগঠন।


শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনা হবে: জবি উপাচার্য

জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

আজ সোমবার জবি বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. শিল্পী খানমের অকাল প্রয়াণে শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে তিনি এই কথা বলেন। এসময় শিক্ষক শিল্পী খানমের পরিবারের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় পাশে থাকবে বলেও জানান তিনি।

সাদেকা হালিম বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিমা চালু হয়েছে বেশি দিন হয়নি। সেখানে শুধু শিক্ষক, কর্মকর্তারা না, শিক্ষার্থীরাও বিমার আওতায় রয়েছে। আমরাও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাইকে বিমার আওতায় নিয়ে আসব। স্বাস্থ্যবিমা আমার শিক্ষার্থীদের জন্যও অনেক প্রয়োজন। কারণ, যে কষ্টে তারা থাকে। আর বড় কোনো অসুখ হলে তো আরও সমস্যা। প্রতিদিনই সাহায্যের জন্য আবেদনের চিঠি আসে। যতটা সম্ভব হয় আমরা সাহায্য করি। কিন্তু বেশি ফান্ড তো নেই। এজন্য স্বাস্থ্যবিমাটা খুব প্রয়োজন। আমরা স্বাস্থ্যবিমাটা নিয়ে আরও আলোচনা করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অনুমোদন করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া, হলের ক্যানটিনের খাবারের অবস্থা খুবই নাজুক। এসবে পরিবর্তন দরকার। শিক্ষকদের বলব, আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রতি সুনজর দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ গড়ে দিতে হবে।’

এ সময় কোশাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগীয় চেয়ারম্যানরা, প্রক্টর, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মমিন উদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, জবি প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।


ঈদুল আজহার পর থেকে অফিসের নতুন সময়সূচি

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

এ বছর ঈদুল আজহার ছুটি পর নতুন সময়সূচিতে চলবে দেশের সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধাস্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান।

আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে অফিস। দুপুর ১টা থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত থাকবে নামাজের বিরতি। এখন সরকারি অফিসের সময় সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

এদিকে, এ বছর ঈদুল আজহায় মোট টানা ৫ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকুরিজীবীরা। এর মধ্যে ৩ দিন ঈদের ছুটি ও বাকি ২ দিন সাপ্তাহিক ছুটি।

চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আগামী ১৭ জুন সোমবার দেশে কোরবানির ঈদ উদ্‌যাপিত হতে পারে। এ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে সরকারি ছুটির তালিকা। ছুটির তালিকা অনুযায়ী ঈদের আগের দিন ১৬ জুন থেকে কোরবানির ঈদের ছুটি শুরু হবে। যা চলবে ১৮ জুন পর্যন্ত। এর আগে ১৪ ও ১৫ জুন (শুক্র ও শনিবার) রয়েছে সাপ্তাহিক ছুটি।

মুসলমানদের বড় দুটি ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে ঈদুল আজহা তথা কোরবানির ঈদ অন্যতম। রোজার ঈদ তথা ঈদুল ফিতরের দুই মাস ১০ দিন পর মুসলমানরা ঈদুল আজহা পালন করে থাকেন।

বিষয়:

জবি ও সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের দফায় দফায় মারামারি, আহত ৪

মারামারিতে আহত হওয়া একজন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২ জুন, ২০২৪ ২০:৩১
জবি প্রতিনিধি

রাজধানীর পুরান ঢাকায় সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের কর্মীর সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের কিছু কর্মীর মধ্যে দফায় দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও ন্যাশনাল হাসপাতালের সামনে লাঠিসোঁটা-পাইপ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয় বলে জানা যায়।

এতে দুই গ্রুপরে ২ জন করে মোট ৪ জন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পূর্ব শত্রুতার জেরে মারামারি সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোহরাওয়ার্দী কলেজের সামনে প্রথমে মারামারির সূত্রপাত হয়। এ সময় সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের কর্মীরা রড, হাতুড়ি, ইট দিয়ে জবি শাখা ছাত্রলীগের কর্মী মেহেদী হাসান মিরাজসহ তার বন্ধুদের মারধর করে গুরুতর আহত করেন। এরপর তাদের ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ইন্সটিটিউট হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ সময় সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের কয়েকজনও হাসপাতালে ভর্তি হন। সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও সূত্রাপুর ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের সহকর্মীদের হাসপাতালে দেখতে গেলে খবর পেয়ে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি-সেক্রেটারি গ্রুপের ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী রড, লাঠি, জিআই পাইপ নিয়ে এসে তাদের ওপর হামলা করেন। এতে সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের সিয়াম ও ফয়সাল নামে দু’জন গুরুতর আহত হন।

আহত জবি ছাত্রলীগের কর্মী ও অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, ‘আমি পুরান ঢাকার স্থানীয়। শনিবার রাতে জবির ৫ থেকে ৬ জন ও পুরান ঢাকার আরও ৫ থেকে ৬ জন বন্ধুরা মিলে সোহরাওয়ার্দী কলেজের সামনে আমরা আড্ডা দিচ্ছিলাম। এ সময় আমার বন্ধু আকাশের সঙ্গে পূর্বের শত্রুতার জের ধরে আমাদের ওপর হামলা করা হয়। এ সময় তারা ৭ থেকে ৮ জন ছিলেন। তারা হাতুড়ি, রড দিয়ে হামলা করেন। এ সময় আমার কয়েকজন বন্ধু মার খেয়ে পালিয়ে যায়। একা পেয়ে আমাকে ও আমার বন্ধুদেরকে মেরে গুরুতর আহত করা হয়।

বিপক্ষ গ্রুপের পরিচয় জানতে চাইলে মিরাজ বলেন, ‘তারা কেউ সোহরাওয়ার্দী ছাত্রলীগের, আবার কেউ সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের কর্মী। তাদের নেতা আজিম। তারা সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ বিল্লালের রাজনীতি করেন।

জানা যায়, আলী আজিম খাঁন সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। পড়ালেখা করেছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজে। এদিকে ঘটনাস্থল থেকে শান্ত নামে মেহেদীর এক বন্ধুকে থানায় আটক করেছে সূত্রাপুর থানার পুলিশ।

সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আজম খাঁন বলেন, ‘সিয়ামকে মারতে জগন্নাথের ৩০-৪০ জন আসে। আর এরা ছিল মাত্র ৩-৪ জন। তাদের হামলায় সিয়াম ও ফয়সাল নামে দুইজন আহত হয়েছেন। সিয়াম একটি কলেজে ও ফয়সাল লালবাগ কলেজে পড়ে। আমার সঙ্গে রাজনীতি করত বলতে ছাত্রলীগের প্রোগ্রাম করত মাঝে মাঝে। এটা রাজনৈতিক ঘটনা নয়। বন্ধুদের ভিতর হাতাহাতি।’

সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কলেজের কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। বহিরাগতরা কলেজের নাম ভাঙিয়ে ঘটনা ঘটায়। সিয়াম, ফয়সাল কলেজের কেউ নয়।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হোসেন বলেন, ‘মারামারির ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কেউই ছিলেন না। ওখানে যারা মারামারি করেছেন সেটা তাদের ব্যক্তিগত কোন ঝামেলায় ঘটেছে। যারা ওখানে মারামারিতে ছিলেন তাদের সঙ্গে আমাদের মিছিল মিটিং করা অবস্থায় কোনো ছবি কেউ দেখাতে পারবে না। এমনকি ওখানে সোহরাওয়ার্দী কলেজেরও কেউ ছিলেন না। চাইলে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করতে পারেন।’

জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজী বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে জবি ছাত্রলীগের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থী সেখানে মারামারিতে জড়িত ছিলেন তাদের কাওকেই আমি চিনিনা।’

জবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ক্যাম্পাসের ভেতর কোনো মারামারি হয়নি। জেনেছি এই ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র ছিলেন। কোনো অপরাধকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশ্রয় দেয় না। পুলিশ প্রশাসন ঘটনা তদন্ত করছে। তারা ব্যবস্থা নেবে।’

সূত্রাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রবিউল ইসলাম জানান, ‘তুচ্ছ ঘটনায় হাতাহাতি। আমরা ঘটনাস্থলে আসার পর পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছি। এ ঘটনার তদন্ত চলছে।’


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ঠিক রাখাটা চ্যালেঞ্জিং: শিক্ষামন্ত্রী

রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে রোববার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২ জুন, ২০২৪ ১৮:০৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ছুটি ঠিক রাখাটা চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

আজ রোববার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বর্তমান শিক্ষা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিভিত্তিক। এ কারিকুলাম বাস্তবায়নে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেশি সময় খোলা রাখতে হচ্ছে। ফলে ছুটি ঠিক রাখা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠছে। এটা এক ধরনের চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।

রমজান মাসের ছুটি নিয়ে মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পক্ষের অনুরোধ রয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জানি রমজান মাসে কোরআন শিক্ষা নেন অনেকে। অনেকে কোরআনের হাফেজ, তারা এ মাসে বেশি বেশি তেলাওয়াত করেন, নামাজ পড়ান। এজন্য ছুটি চান। আগামী রমজানের আগেই আমরা এটা নিয়ে একটা প্রস্তুতি নেবো। রমজানে যেন কোরআন শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয় বাধাগ্রস্ত না হয়, সেটা আমাদের মাথায় রয়েছে।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সারা দেশের মাদ্রাসা আয়োজিত বইপড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ, মেধাবৃত্তি প্রদান এবং ফাজিল ও কামিল মাদরাসার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষদের বিদায় সংবর্ধনা উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়।

আরবি ভাষায় যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘অনেকেই আছেন আরবি ভাষায় অনেক দক্ষ। যোগাযোগের ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের দক্ষ হতে হবে। আমরা কোরআন প্রতিযোগিতা অবশ্যই করবো, আমি নিজেও শৈশবে কেরাত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতাম। আমার বাবা আমাকে মাখরাজ শিখিয়েছিলেন এবং কীভাবে উপস্থাপনা করতে হয়, সেই প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। কিন্তু আমি আরবিতে একটুও কথা বলতে পারবো না। এত সুন্দর করে মাখরাজ শেখার পর ভাষাটা রপ্ত করতে পারিনি।’

মাদ্রাসা শিক্ষকদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের কাছে একটা আবেদন, আমরা যেন শিক্ষার্থীদের দক্ষতানির্ভর করতে পারি। কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় যেন থাকে। আমরা যা-ই পড়াচ্ছি, সেটা হোক ইংরেজি কিংবা আরবি, যে ভাষাটা শিখলো, তা দিয়ে শিক্ষার্থী যেন যোগাযোগের ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারে।’

তিনি বলেন, অমুসলিম দেশেও কিন্তু আরবি ভাষা শেখানো হচ্ছে। সেটা আমাদের খেয়াল করতে হবে। বাংলা আমাদের রাষ্ট্রভাষা। কিন্তু পাশাপাশি অন্যান্য ভাষার প্রতিও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।

অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আজকে উপস্থিত বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ, যারা অবসর নিয়েছেন, তাদের অনেকে দ্বীনি শিক্ষার জন্য কাজ করছেন। যার যার অবস্থান থেকে আমাদের দ্বীনি শিক্ষাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানে, আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং সারা দেশ থেকে আসা মাদ্রাসা শিক্ষকরা অংশ নেন।


প্রযুক্তির অপব্যবহারে সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা হারিয়ে যাচ্ছে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

ইডেন মহিলা কলেজ অডিটরিয়ামে রোববার প্রতিষ্ঠানটির ‘বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ-২০২৪’ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার বলেছেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য অত্যাবশ্যকীয় চারটি স্তম্ভ হলো স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট সরকার। প্রত্যাশিত স্মার্ট নাগরিকরা অবশ্যই সৎ, নিষ্ঠাবান, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, দুর্নীতিমুক্ত ও দেশপ্রেমিক হবেন।

আজ রোববার রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ অডিটরিয়ামে প্রতিষ্ঠানটির ‘বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ-২০২৪’ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু দেশের প্রায় অর্ধেকই নারী সমাজ, তাই স্মার্ট বাংলাদেশ নিশ্চিত করতে হলে স্মার্ট নারী সমাজ গড়ে তুলতেই হবে। সেই লক্ষ্যে অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শিক্ষার্থীকেই সুশিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। বর্তমানে যান্ত্রিক জীবন আর আধুনিকতার নামে প্রযুক্তির অপব্যবহার যেভাবে বাড়ছে তাতে সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে একদিকে যেমন সমাজের এই হারিয়ে যাওয়া শিক্ষা-সংস্কৃতির প্রসার ঘটানো যায়; তেমনি যুবসমাজকে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে দূরে রেখে সঠিক পথে এগিয়ে নেয়া যায়।’

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে নারী শিক্ষায় অনন্য এক প্রতিষ্ঠান ইডেন মহিলা কলেজ; বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এখানকার শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ, প্রতিবাদী ও সাহসী ভূমিকা সত্যিই প্রশংসনীয়। দেশের প্রশাসন, রাজনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি সকল ক্ষেত্রেই এই কলেজের ছাত্রীদের রয়েছে গর্বিত বিচরণ।

বেগম শামসুন নাহার বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ এক বাংলাদেশ, সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবায়ন করছেন তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বেই উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার বাংলাদেশ এখন সমগ্র বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যেই আওয়ামী লীগ সরকার সময়োপযোগী নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

প্রধান অতিথি হিসেবে নিজের গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতার আগে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এসময় তিনি “বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ-২০২৪” এর আয়োজক এবং অংশগ্রহণকারী সকলের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০৪১ সালের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ “স্মার্ট বাংলাদেশ” গড়ে তুলতে হবে।’

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক বলেন, ইডেন মহিলা কলেজের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান ও পরিবেশ অত্যন্ত ভাল, নারী শিক্ষায় এর অবদান প্রশংসনীয়, সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় কলেজটির সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।

কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপাধ্যক্ষ ড. মমতাজ সাহানারা, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক অধ্যাপক সুফিয়া আখতার, বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক সাবরুনা আহমেদ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়:

সর্বজনীন পেনশনে যুক্ত হচ্ছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত ৫ লাখের বেশি শিক্ষক-কর্মচারীকে আগামী ১ জুলাই থেকে সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যয়ে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

উদ্যোগটি বাস্তবায়নে অর্থ মন্ত্রণালয়, জাতীয় পেনশন স্কিমের সমন্বয়ে ১৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সুপারিশের পর তা বাস্তবায়ন করা হবে।

সব ঠিক থাকলে বেসরকারি শিক্ষকরাও অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের মত পেনশন পাবেন। ফলে বিদ্যমান অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্ট বিলুপ্ত হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র এসব তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সারা দেশে প্রায় ৩০ হাজার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাড়ে ৫ লাখের বেশি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনতে ১৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তাদের পেনশনের আওতায় আনতে কি কি সমস্যা রয়েছে তা চিহ্নিত করে সমাধানের সুপারিশ করবে ওই কমিটি। এরপর সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে সরকার।

সূত্রটি জানায়, কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের (মাধ্যমিক-২) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. রবিউল ইসলামকে। কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, জাতীয় পেনশন স্কিমের প্রতিনিধি, শিক্ষার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের রাখা হয়েছে।

দ্রুত সময়ের মধ্যে গঠিত এই কমিটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। সে জন্য আজ রোববার প্রথম সভায় বসবে কমিটি।

তহবিল সংকটের কারণে অনেক শিক্ষক-কর্মচারী অবসর নেওয়ার পর তিন-চার বছর পরও প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা পান না। এমন প্রেক্ষাপটে গত ২২ ফেব্রুয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক ও অবসর সুবিধা অবসরের ছয় মাসের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট।

জানা গেছে, গত এপ্রিল মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনার বিষয়টি উঠে আসে।

বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন তৈরি করে সংসদীয় কমিটিতে উপস্থাপনের নির্দেশ দেন। গত ৬ মে বৈঠকের কার্যবিবরণী পাস হওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে।

কমিটি আহ্বায়ক অতিরিক্ত সচিব রবিউল ইসলাম বলেন, সংসদীয় কমিটির সুপারিশের আলোকে এই কমিটি করা হয়েছে। আজ প্রথম বৈঠকে বসছি। কমিটিকে যেসব কর্মপরিধি দেওয়া হয়েছে সেগুলো নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হবে। আমরা চেষ্টা করবো দ্রুত সময়ের প্রতিবেদন ও সুপারিশ জমা দেওয়ার।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, বর্তমানে এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৬৪টি। এর মধ্যে স্কুলকলেজ ২০ হাজার ৪৩৭টি, বাকিগুলো কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসা। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী আছেন সাড়ে ৫ লাখের মতো।

বিষয়:

এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর বিজ্ঞপ্তি ভুয়া, শুরু ৩০ জুনই

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষা এক মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে একটি বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটিকে ভুয়া আখ্যায়িত করে বিভ্রান্ত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা।

আজ শনিবার সকালে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ পরামর্শ দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর তারিখ সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রচারিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা শাখা কর্তৃক ইস্যু করা নয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সময়সূচি অনুসারে আগামী ৩০ জুন থেকে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ধরনের অপপ্রচার থেকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।’

পূর্বঘোষিত পরীক্ষা পেছানোর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন আন্তশিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আবুল বাসারও।

উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করা হয়।‌ সূচি অনুযায়ী ২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ৩০ জুন শুরু হবে। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১১ আগস্ট। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট থেকে ২১ আগস্টের মধ্যে শেষ করতে হবে।

রুটিন অনুযায়ী প্রথম দিন বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।


৪৩তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত জবিয়ানদের মিলনমেলা

সদরঘাটের একটি রেস্টুরেন্টে শুক্রবার মিলিত হন ৪৩তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত জবি শিক্ষার্থীরা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জবি প্রতিনিধি

৪৩তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সদরঘাটের একটি রেস্টুরেন্টে এই মিলনমেলার আয়োজন করা হয়।

পরিচয় পর্ব থেকে শুরু করে কেক কাটা ও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় এই আয়োজন। এ সময় সুপারিশপ্রাপ্তরা দেশ-জাতির কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘৪৩তম বিসিএসের ফলাফলের পরপরই চেষ্টা করছিলাম সুপারিশপ্রাপ্ত সবাইকে নিয়ে একটা সুন্দর আয়োজন করার। সবাই অত্যন্ত আন্তরিকভাবে এগিয়ে এসেছেন এবং অনুষ্ঠান সফল করার জন্য কাজ করেছেন। অনেকেই উপস্থিত থাকতে পারেননি। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে আয়োজন করতে চাই এ ধরনের মিলনমেলা আমাদের মধ্যে একটি বন্ধন গড়ে তোলে। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে জবি থেকে বিসিএসে আরও বেশি সুপারিশপ্রাপ্ত হবেন এবং সিভিল সার্ভিস থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে তাদের উপর দেওয়া দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন।’

প্রশাসনে সুপারিশপ্রাপ্ত আশফিয়া ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এখনো সকল শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় আবাসনের ব্যবস্থা করে উঠতে পারেনি তাই আমাদের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্কও তেমন গড়ে ওঠেনি। এ ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক হওয়ার একটা সুযোগ তৈরি হয়। আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করেন। ভবিষ্যতে ক্যাডার সার্ভিস থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে তাদের জ্ঞানের প্রতিফলন ঘটবে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে, এটিই আমাদের প্রত্যাশা।’

সুপারিশপ্রাপ্ত শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় আমাদের মধ্যে যোগাযোগের যে স্বাভাবিক ঘাটতি রয়েছে তা পূরণে এবং ভবিষ্যতের কর্মস্থলে জবিয়ানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও যোগাযোগ বৃদ্ধিতে এ ধরনের আয়োজন যুগান্তকারী হয়ে থাকবে। পরবর্তীতে যারা আসবেন তাদের জন্য শুভকামনা। তারা আরও ভালো কিছু করবেন।’

সুপারিশপ্রাপ্ত মাহমুদুল আলম পলাশ বলেন, ‘আজকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত সকলের অংশগ্রহণে একটা ছোট গেটটুগেদারের আয়োজন ছিলো- যা ছিলো অনবদ্য। আমাদের মতো অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের একসঙ্গে জড়ো করা ছিলো একটা চ্যালেঞ্জ। অনুষ্ঠানটি শফিক ভাইয়ের উদ্যোগে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সিনিয়র-জুনিয়র সকলে একত্রিত হতে পেরেছি। সবার সঙ্গে আলাদাভাবে পরিচিত হতে পেরেছি যা আমাদের ভবিষ্যৎ চাকুরিতে অনেক সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার একত্রে থেকে সবাই সবার বিভিন্ন প্রয়োজনে পাশে দাঁড়াতে পারবো। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের জুনিয়ররাও আমাদের মাধ্যমে বিভিন্ন সহযোগিতা লাভ করতে পারবেন। আজকের এ ছোট আয়োজনটি ভবিষ্যতে অনেক বড় প্ল্যাটফর্ম তৈরির পাথেয় হয়ে থাকবে। সকলের অংশগ্রহণে আজকে আমাদের একটি সুন্দর আয়োজন ছিলো আমাদের সবার প্রিয় বুড়িগঙ্গার তীরে। জয়তু ৪৩তম বিসিএস পরিবা।’

৪৩তম বিসিএসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ৭০ জন সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য মতে, পুলিশ ক্যাডারে ১ জন, প্রাশাসনে ৪ জন, ট্যাক্সে ৩ জন, অডিট এন্ড একাউন্টসে ১ জন, কাস্টমস এন্ড এক্সাইজে ১ জন, তথ্যে ১ জন, সমবায় ১ জন এবং বড় একটি অংশ শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।


গুচ্ছ ভর্তি আবেদনের সময় শেষ, পছন্দ তালিকায় শীর্ষে জবি

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৩১ মে, ২০২৪ ১৭:৩৫
জবি প্রতিনিধি

গুচ্ছভুক্ত দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি আবেদনের সময়সীমা শেষ হয়েছে।

ভর্তিচ্ছুদের আবেদনে বিভাগ পছন্দক্রমসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সবচেয়ে বেশি ভর্তি আবেদন পড়েছে। এবার প্রায় তিন লাখ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন।

গুচ্ছভুক্ত টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার আজ শুক্রবার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন ২৯ হাজার ৬০৩ জন। ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২২ হাজার ৪৬১ জন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০ হাজার ৮৪২, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭ হাজার ৬৬৪, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬ হাজার ৩৩৯, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭ হাজার ৯৮৭, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ হাজার ৮২৫, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ হাজার ৯৮০, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪ হাজার ৪১৮, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ হাজার ৬৭৩ জন।’

‘এ ছাড়া বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ হাজার ৯৭৩, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪ হাজার ২৬৪, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭ হাজার ৩৮৪, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬ হাজার ৪০৯, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ হাজার ৯০৮, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ হাজার ৪৬, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ হাজার ৯০৮, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ হাজার ২১৮, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ হাজার ১৭৮, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ হাজার ৫৭৮, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ হাজার ৫৮৫, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক হাজার ৩৭৬, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক হাজার ৮৪১, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ২৯৭ এবং পিরোজপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই হাজার ৫৩ জন ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন।’

এদিকে আজ শুক্রবার থেকে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র নির্বাচন শুরু হয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জগন্নাথ ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বিভাগসমূহ এবং ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে আবেদনকারীদের ৩১ মে হতে ১ জুন পর্যন্ত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে চারুকলা ব্যবহারিক পরীক্ষার কেন্দ্র নির্বাচন করতে হবে।

জাতীয় কবি কাজী নাজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে আবেদনকারীদের ব্যবহারিক পরীক্ষার স্থান ও সময়সূচি পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। চারুকলা ব্যতীত অন্যান্য বিশেষায়িত বিভাগসমূহের ব্যবহারিক পরীক্ষা সংক্রান্ত তথ্য সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

ভর্তি সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এবার ২০ জুলাইয়ের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষে ক্লাস শুরু হবে। চারটি মাইগ্রেশনের সুযোগ দেয়া হবে ভর্তিচ্ছুদের। এর মধ্যে সব কার্যক্রম শেষ করবেন তারা।

এর আগে ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান) অনুষদের পরীক্ষা ২৭ এপ্রিল, ‘বি’ ইউনিট (মানবিক) অনুষদের পরীক্ষা ৩ মে ও ‘সি’ ইউনিট (বাণিজ্য) অনুষদের পরীক্ষা ১০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষে নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাস পহেলা আগস্ট থেকে শুরু হবে বলে জানান গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) এবং বিবিএ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। গুচ্ছভুক্ত সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে ২০১৯, ২০২০ বা ২০২১ সালে এসএসসি/সমমান এবং ২০২২ বা ২০২৩ সালে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ভর্তির আবেদন করতে পারবেন।

‘এ’ ইউনিটের বিজ্ঞান শাখায় ভর্তির জন্য আবেদন করতে ন্যূনতম যোগ্যতা বিজ্ঞান, মাদ্রাসা (বিজ্ঞান), ভোকেশনাল (এইচএসসি) শাখার শিক্ষার্থীদের এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) মোট জিপিএ ৮ থাকতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৩.৫০ এর নিচে হওয়া যাবে না। ‘এ’ ইউনিটের শিক্ষার্থীদের ‘বি’ ও ‘সি’ ইউনিটের নির্ধারিত বিষয়েও ভর্তির সুযোগ রয়েছে। ‘বি’ ইউনিটের মানবিক শাখায় ভর্তির জন্য মানবিক, সংগীত, গার্হস্থ্য, অর্থনীতি, মাদ্রাসার (সাধারণ, মুজাব্বিদ) শিক্ষার্থীদের এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) মোট জিপিএ ৬.০০ থাকতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৩ এর নিচে গ্রহণযোগ্য হবে না। ‘বি’ ইউনিটের মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের ‘এ’ ইউনিটের বিজ্ঞান শাখার ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে ভর্তির সুযোগ রয়েছে।

‘সি’ ইউনিটের বাণিজ্য শাখায় ভর্তির জন্য বাণিজ্য, ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ, এইচএসসি (ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা), ডিপ্লোমা ইন কমার্সের শিক্ষার্থীদের এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) মোট জিপিএ ৭ থাকতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৩ এর নিচে থাকলে অযোগ্য বিবেচিত হবে। ‘সি’ ইউনিটের বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীদের ‘বি’ ইউনিটের মানবিক শাখার নির্ধারিত কয়েকটি বিষয়ে এবং ‘এ’ ইউনিটের বিজ্ঞান শাখার ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে ভর্তির সুযোগ রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির বিশেষায়িত সংগীত, নাট্যকলা, ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগে ভর্তির জন্য এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) মোট জিপিএ ৬ থাকতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৩ এর নিচে নয়। ড্রইং এন্ড পেইন্টিং, প্রিন্টমেকিং ও ভাস্কর্য বিভাগে ভর্তির জন্য এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) মোট জিপিএ ৬.৫০ থাকতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৩ এর নিচে নয়। বিশেষায়িত ছয়টি বিভাগে সকল শাখার শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। সংগীত, নাট্যকলা, ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন, ড্রইং এন্ড পেইন্টিং, প্রিন্টমেকিং ও ভাস্কর্য বিভাগ এই ৬টি বিভাগে বিষয়ভিত্তিক ব্যবহারিক এবং মৌখিক পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভাগ কর্তৃক নেয়া হবে।

সব ইউনিটের জন্য জিসিইর ক্ষেত্রে আইজিসিএসই (‘ও’ লেভেল) পরীক্ষায় অন্তত তিনটি বিষয়ে ‘বি’ গ্রেডসহ ন্যূনতম পাঁচটি বিষয়ে উত্তীর্ণ এবং ২০২৩ সালের আইএএল (‘এ’ লেভেল) পরীক্ষায় অন্তত দুটি বিষয়ে ‘বি’ গ্রেডসহ তিনটি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তির আবেদনের জন্য এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় বাংলাদেশের মানদণ্ডে ‘বি’ গ্রেড অথবা ৪.০০–এর স্কেলে ৩.০০ অথবা ৫.০০–এর স্কেলে ৩.৫০ থাকতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ‘এ’ ইউনিট, ‘বি’ ইউনিট,’সি’ ইউনিট এবং বিশেষায়িত বিভাগগুলোর ০৪ (চার) বছর মেয়াদী স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ ১ম বর্ষে ভর্তির আবেদনের সময়সূচি www.gstadmission.ac.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানানো হবে। এছাড়া বিশেষায়িত বিভাগগুলোর ব্যবহারিক এবং মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি https://admission.jnu.ac.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানানো হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৮১৫ টি আসনের মধ্যে ‘এ’ ইউনিট বিজ্ঞান অনুষদ এবং লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদে আসন সংখ্যা ৮৬০। ‘বি’ ইউনিট কলা অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, আইন অনুষদ, চারুকলা অনুষদ, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইআর) এবং ইনস্টিটিউট অব মডার্ন ল্যাংগুয়েজেস (আইএমএল) মোট আসন সংখ্যা ১২৭০। ‘সি’ ইউনিট বিজনেস স্টাডিজ অনুষদে আসন সংখ্যা ৫২০ এবং বিশেষায়িত বিভাগসমূহের মোট ১৬৫ টি আসন রয়েছে।


banner close