রোববার, ২ জুন ২০২৪

ঢাবির সুইমিংপুলে গোসলে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

মোহাম্মদ সোয়াদ। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
২২ এপ্রিল, ২০২৪ ১৫:৪১
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২২ এপ্রিল, ২০২৪ ১৫:৪০

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সুইমিংপুলে গোসল করতে গিয়ে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সংলগ্ন সুইমিংপুলে গোসল করতে নামলে পানিতে তলিয়ে যান তিনি। পরে আশেপাশের শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বেলা সোয়া ২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মারা যাওয়া শিক্ষার্থীর নাম মোহাম্মদ সোয়াদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষে পড়তেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জামিল নামের এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেছেন, যে পুলে সোয়াদ তলিয়ে যায় সেটির গভীরতা ছিল ৮/১০ ফিট। এটাতে কেউ ডুবে মারা যাবে, এটা স্বাভাবিকভাবে কারোর চিন্তায়ই আসবে না। পানির তলে গিয়ে ওপরের দিকে লাফ দিলেই ওপরে উঠে আসার কথা! আমরা শতাধিক ছাত্র ছিলাম। কিন্তু কেউই খেয়াল করিনি যে সে ডুবে গেছে!

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, পানিতে পড়ে গুরুতর আহত হওয়ার পর মেডিক্যালে নিয়ে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মারা গেছেন। মরদেহ মর্গে নেয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালক শাহজাহান আলী বলেন, দর্শন বিভাগের সোয়াদ নামে এক শিক্ষার্থী সুইমিংপুলের পানিতে লাফালাফি করতে গিয়ে পানির সাথে ধাক্কা বা আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয়। তখন সেখানে তার বন্ধুবান্ধব ছিল এবং আশেপাশে আমাদের লোকজনও ছিল।

তিনি বলেন, এ সময় তারা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে পাঠায়। পরে ঢাকা মেডিক্যালে নেয়া হয়। বিষয়টি আমি আমাদের প্রক্টর মহোদয়কেও জানিয়েছি।


এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর বিজ্ঞপ্তি ভুয়া, শুরু ৩০ জুনই

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষা এক মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে একটি বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটিকে ভুয়া আখ্যায়িত করে বিভ্রান্ত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা।

আজ শনিবার সকালে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ পরামর্শ দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর তারিখ সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রচারিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা শাখা কর্তৃক ইস্যু করা নয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সময়সূচি অনুসারে আগামী ৩০ জুন থেকে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ধরনের অপপ্রচার থেকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।’

পূর্বঘোষিত পরীক্ষা পেছানোর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন আন্তশিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আবুল বাসারও।

উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করা হয়।‌ সূচি অনুযায়ী ২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ৩০ জুন শুরু হবে। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১১ আগস্ট। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট থেকে ২১ আগস্টের মধ্যে শেষ করতে হবে।

রুটিন অনুযায়ী প্রথম দিন বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।


৪৩তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত জবিয়ানদের মিলনমেলা

সদরঘাটের একটি রেস্টুরেন্টে শুক্রবার মিলিত হন ৪৩তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত জবি শিক্ষার্থীরা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জবি প্রতিনিধি

৪৩তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সদরঘাটের একটি রেস্টুরেন্টে এই মিলনমেলার আয়োজন করা হয়।

পরিচয় পর্ব থেকে শুরু করে কেক কাটা ও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় এই আয়োজন। এ সময় সুপারিশপ্রাপ্তরা দেশ-জাতির কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘৪৩তম বিসিএসের ফলাফলের পরপরই চেষ্টা করছিলাম সুপারিশপ্রাপ্ত সবাইকে নিয়ে একটা সুন্দর আয়োজন করার। সবাই অত্যন্ত আন্তরিকভাবে এগিয়ে এসেছেন এবং অনুষ্ঠান সফল করার জন্য কাজ করেছেন। অনেকেই উপস্থিত থাকতে পারেননি। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে আয়োজন করতে চাই এ ধরনের মিলনমেলা আমাদের মধ্যে একটি বন্ধন গড়ে তোলে। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে জবি থেকে বিসিএসে আরও বেশি সুপারিশপ্রাপ্ত হবেন এবং সিভিল সার্ভিস থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে তাদের উপর দেওয়া দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন।’

প্রশাসনে সুপারিশপ্রাপ্ত আশফিয়া ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এখনো সকল শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় আবাসনের ব্যবস্থা করে উঠতে পারেনি তাই আমাদের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্কও তেমন গড়ে ওঠেনি। এ ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক হওয়ার একটা সুযোগ তৈরি হয়। আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করেন। ভবিষ্যতে ক্যাডার সার্ভিস থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে তাদের জ্ঞানের প্রতিফলন ঘটবে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে, এটিই আমাদের প্রত্যাশা।’

সুপারিশপ্রাপ্ত শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় আমাদের মধ্যে যোগাযোগের যে স্বাভাবিক ঘাটতি রয়েছে তা পূরণে এবং ভবিষ্যতের কর্মস্থলে জবিয়ানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও যোগাযোগ বৃদ্ধিতে এ ধরনের আয়োজন যুগান্তকারী হয়ে থাকবে। পরবর্তীতে যারা আসবেন তাদের জন্য শুভকামনা। তারা আরও ভালো কিছু করবেন।’

সুপারিশপ্রাপ্ত মাহমুদুল আলম পলাশ বলেন, ‘আজকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত সকলের অংশগ্রহণে একটা ছোট গেটটুগেদারের আয়োজন ছিলো- যা ছিলো অনবদ্য। আমাদের মতো অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের একসঙ্গে জড়ো করা ছিলো একটা চ্যালেঞ্জ। অনুষ্ঠানটি শফিক ভাইয়ের উদ্যোগে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সিনিয়র-জুনিয়র সকলে একত্রিত হতে পেরেছি। সবার সঙ্গে আলাদাভাবে পরিচিত হতে পেরেছি যা আমাদের ভবিষ্যৎ চাকুরিতে অনেক সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার একত্রে থেকে সবাই সবার বিভিন্ন প্রয়োজনে পাশে দাঁড়াতে পারবো। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের জুনিয়ররাও আমাদের মাধ্যমে বিভিন্ন সহযোগিতা লাভ করতে পারবেন। আজকের এ ছোট আয়োজনটি ভবিষ্যতে অনেক বড় প্ল্যাটফর্ম তৈরির পাথেয় হয়ে থাকবে। সকলের অংশগ্রহণে আজকে আমাদের একটি সুন্দর আয়োজন ছিলো আমাদের সবার প্রিয় বুড়িগঙ্গার তীরে। জয়তু ৪৩তম বিসিএস পরিবা।’

৪৩তম বিসিএসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ৭০ জন সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য মতে, পুলিশ ক্যাডারে ১ জন, প্রাশাসনে ৪ জন, ট্যাক্সে ৩ জন, অডিট এন্ড একাউন্টসে ১ জন, কাস্টমস এন্ড এক্সাইজে ১ জন, তথ্যে ১ জন, সমবায় ১ জন এবং বড় একটি অংশ শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।


গুচ্ছ ভর্তি আবেদনের সময় শেষ, পছন্দ তালিকায় শীর্ষে জবি

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৩১ মে, ২০২৪ ১৭:৩৫
জবি প্রতিনিধি

গুচ্ছভুক্ত দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি আবেদনের সময়সীমা শেষ হয়েছে।

ভর্তিচ্ছুদের আবেদনে বিভাগ পছন্দক্রমসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সবচেয়ে বেশি ভর্তি আবেদন পড়েছে। এবার প্রায় তিন লাখ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন।

গুচ্ছভুক্ত টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার আজ শুক্রবার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন ২৯ হাজার ৬০৩ জন। ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২২ হাজার ৪৬১ জন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০ হাজার ৮৪২, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭ হাজার ৬৬৪, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬ হাজার ৩৩৯, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭ হাজার ৯৮৭, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ হাজার ৮২৫, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ হাজার ৯৮০, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪ হাজার ৪১৮, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ হাজার ৬৭৩ জন।’

‘এ ছাড়া বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ হাজার ৯৭৩, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪ হাজার ২৬৪, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭ হাজার ৩৮৪, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬ হাজার ৪০৯, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ হাজার ৯০৮, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ হাজার ৪৬, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ হাজার ৯০৮, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ হাজার ২১৮, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ হাজার ১৭৮, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ হাজার ৫৭৮, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ হাজার ৫৮৫, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক হাজার ৩৭৬, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক হাজার ৮৪১, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ২৯৭ এবং পিরোজপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই হাজার ৫৩ জন ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন।’

এদিকে আজ শুক্রবার থেকে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র নির্বাচন শুরু হয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জগন্নাথ ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বিভাগসমূহ এবং ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে আবেদনকারীদের ৩১ মে হতে ১ জুন পর্যন্ত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে চারুকলা ব্যবহারিক পরীক্ষার কেন্দ্র নির্বাচন করতে হবে।

জাতীয় কবি কাজী নাজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে আবেদনকারীদের ব্যবহারিক পরীক্ষার স্থান ও সময়সূচি পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। চারুকলা ব্যতীত অন্যান্য বিশেষায়িত বিভাগসমূহের ব্যবহারিক পরীক্ষা সংক্রান্ত তথ্য সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

ভর্তি সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এবার ২০ জুলাইয়ের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষে ক্লাস শুরু হবে। চারটি মাইগ্রেশনের সুযোগ দেয়া হবে ভর্তিচ্ছুদের। এর মধ্যে সব কার্যক্রম শেষ করবেন তারা।

এর আগে ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান) অনুষদের পরীক্ষা ২৭ এপ্রিল, ‘বি’ ইউনিট (মানবিক) অনুষদের পরীক্ষা ৩ মে ও ‘সি’ ইউনিট (বাণিজ্য) অনুষদের পরীক্ষা ১০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষে নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাস পহেলা আগস্ট থেকে শুরু হবে বলে জানান গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) এবং বিবিএ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। গুচ্ছভুক্ত সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে ২০১৯, ২০২০ বা ২০২১ সালে এসএসসি/সমমান এবং ২০২২ বা ২০২৩ সালে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ভর্তির আবেদন করতে পারবেন।

‘এ’ ইউনিটের বিজ্ঞান শাখায় ভর্তির জন্য আবেদন করতে ন্যূনতম যোগ্যতা বিজ্ঞান, মাদ্রাসা (বিজ্ঞান), ভোকেশনাল (এইচএসসি) শাখার শিক্ষার্থীদের এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) মোট জিপিএ ৮ থাকতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৩.৫০ এর নিচে হওয়া যাবে না। ‘এ’ ইউনিটের শিক্ষার্থীদের ‘বি’ ও ‘সি’ ইউনিটের নির্ধারিত বিষয়েও ভর্তির সুযোগ রয়েছে। ‘বি’ ইউনিটের মানবিক শাখায় ভর্তির জন্য মানবিক, সংগীত, গার্হস্থ্য, অর্থনীতি, মাদ্রাসার (সাধারণ, মুজাব্বিদ) শিক্ষার্থীদের এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) মোট জিপিএ ৬.০০ থাকতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৩ এর নিচে গ্রহণযোগ্য হবে না। ‘বি’ ইউনিটের মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের ‘এ’ ইউনিটের বিজ্ঞান শাখার ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে ভর্তির সুযোগ রয়েছে।

‘সি’ ইউনিটের বাণিজ্য শাখায় ভর্তির জন্য বাণিজ্য, ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ, এইচএসসি (ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা), ডিপ্লোমা ইন কমার্সের শিক্ষার্থীদের এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) মোট জিপিএ ৭ থাকতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৩ এর নিচে থাকলে অযোগ্য বিবেচিত হবে। ‘সি’ ইউনিটের বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীদের ‘বি’ ইউনিটের মানবিক শাখার নির্ধারিত কয়েকটি বিষয়ে এবং ‘এ’ ইউনিটের বিজ্ঞান শাখার ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে ভর্তির সুযোগ রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির বিশেষায়িত সংগীত, নাট্যকলা, ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগে ভর্তির জন্য এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) মোট জিপিএ ৬ থাকতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৩ এর নিচে নয়। ড্রইং এন্ড পেইন্টিং, প্রিন্টমেকিং ও ভাস্কর্য বিভাগে ভর্তির জন্য এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) মোট জিপিএ ৬.৫০ থাকতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৩ এর নিচে নয়। বিশেষায়িত ছয়টি বিভাগে সকল শাখার শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। সংগীত, নাট্যকলা, ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন, ড্রইং এন্ড পেইন্টিং, প্রিন্টমেকিং ও ভাস্কর্য বিভাগ এই ৬টি বিভাগে বিষয়ভিত্তিক ব্যবহারিক এবং মৌখিক পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভাগ কর্তৃক নেয়া হবে।

সব ইউনিটের জন্য জিসিইর ক্ষেত্রে আইজিসিএসই (‘ও’ লেভেল) পরীক্ষায় অন্তত তিনটি বিষয়ে ‘বি’ গ্রেডসহ ন্যূনতম পাঁচটি বিষয়ে উত্তীর্ণ এবং ২০২৩ সালের আইএএল (‘এ’ লেভেল) পরীক্ষায় অন্তত দুটি বিষয়ে ‘বি’ গ্রেডসহ তিনটি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তির আবেদনের জন্য এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় বাংলাদেশের মানদণ্ডে ‘বি’ গ্রেড অথবা ৪.০০–এর স্কেলে ৩.০০ অথবা ৫.০০–এর স্কেলে ৩.৫০ থাকতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ‘এ’ ইউনিট, ‘বি’ ইউনিট,’সি’ ইউনিট এবং বিশেষায়িত বিভাগগুলোর ০৪ (চার) বছর মেয়াদী স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ ১ম বর্ষে ভর্তির আবেদনের সময়সূচি www.gstadmission.ac.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানানো হবে। এছাড়া বিশেষায়িত বিভাগগুলোর ব্যবহারিক এবং মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি https://admission.jnu.ac.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানানো হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৮১৫ টি আসনের মধ্যে ‘এ’ ইউনিট বিজ্ঞান অনুষদ এবং লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদে আসন সংখ্যা ৮৬০। ‘বি’ ইউনিট কলা অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, আইন অনুষদ, চারুকলা অনুষদ, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইআর) এবং ইনস্টিটিউট অব মডার্ন ল্যাংগুয়েজেস (আইএমএল) মোট আসন সংখ্যা ১২৭০। ‘সি’ ইউনিট বিজনেস স্টাডিজ অনুষদে আসন সংখ্যা ৫২০ এবং বিশেষায়িত বিভাগসমূহের মোট ১৬৫ টি আসন রয়েছে।


প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক পদে পরীক্ষার বাধা কাটল

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠায় তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৪৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ সংশোধন করে আদেশ দিয়েছেন চেম্বার আদালত। ফলে এই ৪৬ হাজার শিক্ষকের মৌখিক পরীক্ষা নিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। তবে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনার তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল না করা পর্যন্ত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা যাবে না বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) যুক্ত করতে বলা হয়েছে।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুল ইসলাম।

গত ২৮ মে ৪৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে একজন সচিবের নেতৃত্বে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের ক্লাস্টারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এরপর ২২ মার্চ দ্বিতীয় ধাপে রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে ১৭ জুন তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

প্রথম ধাপে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০, দ্বিতীয় ধাপে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৪৩৮ এবং তৃতীয় ধাপে ৩ লাখ ৪০ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন।

গত ২২ এপ্রিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলা) লিখিত পরীক্ষার সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচন করা হয়। নির্বাচিতদের মৌখিক পরীক্ষা চলছে। তবে এরই মধ্যে হাইকোর্ট এই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করেন।

বিষয়:

নতুন কারিকুলামের ষান্মাসিক মূল্যায়নের রুটিন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

২০২৪ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বিষয়ভিত্তিক ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সংশোধিত সময়সূচি (রুটিন) পাঠানো হয়েছে। সংশোধিত সূচি অনুযায়ী আগামী ৩ জুলাই পরীক্ষা শুরু হবে এবং শেষ হবে ৩০ জুলাই।

আজ বুধবার জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সংশোধিত এ রুটিন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠায়।

ষান্মাসিক মূল্যায়নের সময়সূচিতে (রুটিন) জানানো হয়, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সময়সূচি (রুটিন) এর আগে পাঠানো হয়েছিল। পাঠানো সময়সূচির সঙ্গে ২০২৪ সালের এইচএসসি আলিম ও সমমান পরীক্ষার কয়েকটি বিষয়ের পরীক্ষার তারিখ ও সময় মিলে যাওয়ায় সময়সূচি সংশোধন করা হলো। ২০২৪ সালের এইচএসসি, আলিম ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি বিবেচনায় নিয়ে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সংশোধিত সময়সূচি (রুটিন) প্রস্তাব করা হলো। প্রস্তাবিত সময়সূচি (রুটিন) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরুরিভিত্তিতে অবহিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

রুটিনে আরও জানানো হয়, ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিষয়ভিত্তিক ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশনা যথা সময়ে অধিদফতরগুলোর বরাবর পরবরতী কাজের জন্য পাঠানো হবে।

মূল্যায়ন সূচি

সময়সূচি অনুযায়ী আগামী ৩ জুলাই ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা, সপ্তম শ্রেণির ধর্ম, অষ্টম শ্রেণির জীব ও জীবিকা, নবম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান।

৬ জুলাই ষষ্ঠ শ্রেণির ইংরেজি, সপ্তম শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি, অষ্টম শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নবম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি।

১০ জুলাই ষষ্ঠ শ্রেণির গণিত, সপ্তম শ্রেণির বাংলা, অষ্টম শ্রেণির ধর্ম, নবম শ্রেণির জীব ও জীবিকা।

১৩ জুলাই ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান, সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি, অষ্টম শ্রেণির শিল্প সংস্কৃতি, নবম শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা।

১৫ জুলাই ষষ্ঠ শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, সপ্তম শ্রেণির গণিত, অষ্টম শ্রেণির বাংলা, নবম শ্রেণির ধর্ম।

২০ জুলাই ষষ্ঠ শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি, সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান, অষ্টম শ্রেণির ইংরেজি, নবম শ্রেণির শিল্প সংস্কৃতি।

২২ জুলাই ষষ্ঠ শ্রেণির জীব ও জীবিকা, সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, অষ্টম শ্রেণির গণিত, নবম শ্রেণির বাংলা।

২৪ জুলাই ষষ্ঠ শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা, সপ্তম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি, অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান, নবম শ্রেণির ইংরেজি।

২৭ জুলাই ষষ্ঠ শ্রেণির ধর্ম, সপ্তম শ্রেণির জীবন ও জীবিকা, অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, নবম শ্রেণির গণিত।

৩০ জুলাই ষষ্ঠ শ্রেণির শিল্প সংস্কৃতি, সপ্তম শ্রেণির স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা, অষ্টম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি ও নবম শ্রেণির বিজ্ঞান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।


এসএসসিতে দুই বিষয়ে ফেল করলেও কলেজে ভর্তি হওয়া যাবে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে এসএসসিতে এক বা দুই বিষয়ে ফেল করলেও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ রাখা হচ্ছে। তবে পরের দুই বছরের মধ্যে তাকে পাবলিক মূল্যায়নে অংশ নিয়ে বিষয়গুলোতে উত্তীর্ণ হতে হবে। ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ দুই বিষয়ে অনুত্তীর্ণ হলেও কলেজে ভর্তি হওয়ার এমন নিয়ম রাখা হচ্ছে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) তৈরি করা ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২-এর মূল্যায়ন কৌশল ও বাস্তবায়ন নির্দেশনা’ সংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। মঙ্গলবার কারিকুলাম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিভিশন কোর কমিটিতে এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন হয়। এখন এনসিটিবি বোর্ড সভা হয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) সভায় প্রতিবেদনটি চূড়ান্ত হবে।

প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় নতুন এ পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা হবে। ওই বছরের ডিসেম্বরে শুধু দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ওপর এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

নতুন এ নিয়মে এসএসসি পরীক্ষায় কেউ এক বা দুই বিষয়ে অনুত্তীর্ণ হলেও সে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে। ওই শিক্ষার্থীকে পরের দুই বছরের মধ্যে পাবলিক মূল্যায়নে অংশগ্রহণ করে অনুত্তীর্ণ বিষয়গুলোতে উত্তীর্ণ হতে হবে।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, একাদশে ভর্তি হয়েও মান উন্নয়নের জন্য এক বা একাধিক অথবা সব বিষয়ে পুনরায় পাবলিক মূল্যায়নে (এসএসসি) অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকছে।

অনন্য, অর্জনমুখী, অগ্রগামী, সক্রিয়, অনুসন্ধানী, বিকাশমান ও প্রারম্ভিক- এই সাতটি সূচকের ভিত্তিতে প্রকাশ করা হবে শিক্ষার্থীর রিপোর্ট কার্ড। এতে সব বিষয়ে পারদর্শিতা বা সর্বোচ্চ সূচক অনন্য, আর সর্বনিম্ন সূচক হলো প্রারম্ভিক।

বর্তমানে একজন শিক্ষার্থী এসএসসিতে এক বা দুই বিষয়ে ফেল করলে তার শুধু ওই দুই বিষয়ে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে; কিন্তু কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ নেই।

বিষয়:

তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগও পিএসসির মাধ্যমে করার সুপারিশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির (বর্তমানে গ্রেড হিসেবে পরিচিত) নিয়োগ হয় সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) অধীনে। আর তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ হয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের অধীনে। এখন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগও পিএসসির অধীনে করার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গঠিত একটি কমিটি।

সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোটার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত সংলাপ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তবে তিনি বলেছেন, এটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

প্রথম থেকে নবম গ্রেডের কর্মকর্তাদের প্রথম শ্রেণির বলা হয়। ১০ থেকে ১২তম গ্রেডের কর্মকর্তাদের বলা হয় দ্বিতীয় শ্রেণির। আর ১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডের কর্মচারীদের বলা হয় তৃতীয় শ্রেণি এবং ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের বলা হয় চতুর্থ শ্রেণির। যদিও ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আর এই শ্রেণিভিত্তিক পরিচয় নেই। সবাইকে গ্রেড হিসেবে বলা হয়। যদিও বাস্তবে এখনো শ্রেণিভিত্তিক হিসেবেই বলা হয়ে থাকে।

তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে আলাদা কর্তৃপক্ষ হবে নাকি পিএসসির অধীনে হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এই কমিটি গত জানুয়ারিতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

প্রাথমিকভাবে এই কমিটি ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডে সরকারি কর্মচারী নিয়োগের জন্য পিএসসিকে দায়িত্ব দেওয়ার সুপারিশ করেছে। পিএসসি বলছে, তারা এটি করতে সক্ষম হবে। তবে ওই কমিটির সুপারিশই চূড়ান্ত নয় বলেও উল্লেখ করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী। তিনি বলেন, এটা নিয়ে আরও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। প্রতিবেদনটি এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এটি পর্যালোচনা শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অর্থাৎ কী করা হবে সেটি এখনো প্রক্রিয়াধীন আছে।

মন্ত্রী আরও জানান, বিভিন্ন রকমের অনিয়মের অভিযোগে গত ৫ বছরে (২০১৯ থেকে ২০২৪) তদন্তের মুখে পড়েছেন প্রশাসনের ১৭৮ জন কর্মকর্তা (গ্রেড ১ থেকে ৯ম)। তাদের মধ্যে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী ২২ জনের গুরুদণ্ড ও ৬৯ জনের লঘুদণ্ড হয়েছে। অর্থাৎ ৯১ জনের শাস্তি হয়েছে। বাকি ৮৭ জনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিজীবীদের বিভাগীয় মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মূলত ওই দুই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এর মধ্যে সরকারি কর্মচারী আইন অনুযায়ী, লঘুদণ্ডগুলো হলো তিরস্কার, নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করা, বেতন স্কেলের নিম্নধাপে অবনমিত করা এবং সরকারি অর্থ বা সম্পত্তির ক্ষতি সংঘটিত হলে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ আদায় করা। আর গুরু দণ্ডগুলো হলো নিম্নপদ বা নিম্নতর বেতন স্কেলে অবনমিত করা, বাধ্যতামূলক অবসর, চাকরি থেকে অপসারণ এবং চাকরি থেকে বরখাস্ত করা।

৫ বছরের পাশাপাশি বিগত ১০ বছরে (২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত) কতজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তারও তথ্য দেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ১০ বছরে ৩৫১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। তাদের মধ্যে গুরুদণ্ড পেয়েছেন ৪১ জন এবং লঘুদণ্ড পেয়েছেন ১৪০ জন। বাকি ১৭০ জন অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, প্রতিনিয়ত বিভাগীয় মামলা চলে। যদি কোনো কর্মকর্তার বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেয়, তাহলে সেটি আমলে নিয়ে বিভাগীয় মামলা করা হয়। এ বিষয়ে প্রথমে প্রাথমিক তদন্ত করে সত্যতা বোঝার চেষ্টা করা হয়। কারণ, বিভাগীয় মামলা করতে গেলে একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে করতে হয়। এতে শুনানি হয়, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। তিনি বলেন, পুরস্কারের পাশাপাশি শাস্তির ব্যবস্থাও থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএসআরএফের সভাপতি ফসীহ উদ্দিন মাহতাব ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।

বিষয়:

প্রাথমিকে ৪৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া স্থগিত

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলা) লিখিত পরীক্ষার সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয় গত ২২ এপ্রিল। এতে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচিতদের ভাইভা পরীক্ষা চলমান রয়েছে। আজ হাইকোর্ট এই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করলেন।

ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল। আর এই ফাঁস হওয়া প্রশ্নে অনেকে পরীক্ষা দিয়েছেন। এরই মধ্যে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এ কারণে প্রকাশিত ফল নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তাই প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার ঘটনার তদন্ত এবং পরীক্ষা প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ঢাকা ও চট্রগ্রামের কয়েকজন পরীক্ষার্থী। হাইকোর্ট তাদের আবেদন শুনেছেন এবং এই ধাপের নিয়োগ প্রক্রিয়া ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন।

সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের ক্লাস্টারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এরপর ২২ মার্চ ২য় ধাপে রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে ১৭ জুন তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রথম ধাপে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০, দ্বিতীয় ধাপে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৪৩৮ এবং তৃতীয় ধাপে ৩ লাখ ৪০ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন।

বিষয়:

গুচ্ছে ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ল

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জবি প্রতিনিধি

গুচ্ছভুক্ত দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি আবেদনের সময়সীমা একদিন বাড়ানো হয়েছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ রিমালের তাণ্ডবের পরিপ্রেক্ষিতে পূর্বনির্ধারিত আবেদনের সময়ের চেয়ে ২৪ ঘণ্টা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর ফলে আগামীকাল বুধবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগ পছন্দক্রম দিতে পারবেন।

আজ মঙ্গলবার গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মঙ্গলবার যখন যে সময় শেষ হওয়ার কথা ছিল তার থেকে ২৪ ঘণ্টা বাড়ানো হচ্ছে। অর্থাৎ মঙ্গলবার যেই সময় শেষ হওয়ার কথা ঠিক বুধবার সেই সময় শেষ হবে।

এর আগে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ও ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার রাতেই এ সুযোগ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

ভর্তি আবেদন ও বিভাগ পছন্দক্রম দেয়া নিয়ে গুচ্ছের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিভাগ পছন্দক্রমসহ ভর্তির আবেদন ২০ মে দুপুর ১২টায় শুরু হয়েছে। ২৮ মে রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ভর্তিচ্ছুরা আবেদন করতে পারবেন।’

অনলাইনে বিভাগ পছন্দক্রমসহ ভর্তির আবেদন কীভাবে করতে হবে, সে জন্য একটি ভিডিও গাইডলাইন দেয়া হয়েছে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আবেদন ফি নির্ধারিত ছিল ৫০০ টাকা।

এর আগে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, আগামী ২০ জুলাইয়ের মধ্যে গুচ্ছের ভর্তি কার্যক্রম শেষ হবে। এরপর ক্লাস শুরু হবে। গত ২৭ এপ্রিল ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান), ৩ মে ‘বি’ ইউনিট (মানবিক) এবং ১০ মে ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

গুচ্ছভুক্ত ২৪টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুলনা), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (দিনাজপুর), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (টাঙ্গাইল), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোয়াখালী), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিল্লা), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যশোর), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবনা), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (বরিশাল), রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাঙ্গামাটি), রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ (সিরাজগঞ্জ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি (গাজীপুর), শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোনা), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জামালপুর), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পটুয়াখালী), কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কিশোরগঞ্জ) এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চাঁদপুর), সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সুনামগঞ্জ) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পিরোজপুর)।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ২ কোটি ৭০ লাখের বেশি গ্রাহক ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিহীন রয়েছেন। এ কারণে দেশের ২১ জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। এরইমধ্যে দেশের ৪৫ জেলার মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের ৮ হাজার ৪১০টি সাইটে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে অচল হয়ে পড়েছে।


হলের ময়লা-আবর্জনা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে ঢাবি

মঙ্গলবার ঢাবিতে আয়োজিত অষ্টম নগর সংলাপে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৮ মে, ২০২৪ ১৮:১৮
ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলগুলোতে উৎপন্ন হওয়া নানা ধরনের ময়লা-আবর্জনা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আজ মঙ্গলবার ঢাবিতে আয়োজিত অষ্টম নগর সংলাপে এসব কথা বলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের পথে টেকসই নগরায়ণ বিষয়ে এ সংলাপের আয়োজন করা হয়।

উপাচার্য বলেন, ‘বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নিজস্ব বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির এ যুগে ঢাবিতেও এ ধরনের কর্মকাণ্ড হওয়া উচিত। ঢাবির প্রতিটি হলের সামনে বিভিন্ন রঙের ডাস্টবিন রাখা হবে। ময়লার ধরনের ওপর ভিত্তি করে এসব ডাস্টবিনে বর্জ্য ফেলবেন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে এসব বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়া হবে। উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনার দিক থেকে এশীয়দের মধ্যে একেবারে তলানিতে বাংলাদেশের অবস্থান। দেশের সেরা বিদ্যাপীঠ ঢাবিতেই যে গবেষণা হয় তা অপ্রতুল। এতদিন বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা গবেষণামুখী ছিল না। এখন নতুন সিলেবাসে বিদ্যালয় থেকেই শিশুরা উদ্ভাবনী ক্ষমতার অংশীদার হতে পারবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘টেকসই উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্টদের পারস্পরিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলার মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে নগর উন্নয়নের লক্ষ্যে গবেষক, স্টেকহোল্ডারস্, সিটি কর্পোরেশন, এনজিও, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, নীতিনির্ধারকসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে আগে প্ল্যানিং করা হয় তারপর নগরায়ণ করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে আগে উন্নয়ন করা হয় তারপর নগরায়ণ করা হয়। এটি অনেক বড় সমস্যা। কারণ নগরায়ণ হয়ে যাওয়ার পরে প্ল্যানিং করাটা প্রকৃত অর্থে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তখন যেটি হয় সেটি হলো, বিট এনভায়রনমেন্টকে কীভাবে ম্যানেজ করা যায়। এটাকে ম্যানেজ করা খুবই কঠিন, বিশেষত বাংলাদেশের মতো দেশে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগ এবং ২০টি আন্তর্জাতিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কনসোর্টিয়াম, আরবান আইএনজিও ফোরামের যৌথ আয়োজনে নগর সংলাপের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘করোনা মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিভিন্ন দেশে চলমান যুদ্ধের কারণে উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলো সার্বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কার্বন নিঃসরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য উন্নত দেশগুলোই প্রধানত দায়ী, এজন্য তাদেরকেই দায়ভার নিতে হবে এবং দরিদ্র দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আমাদের পরিবেশ দূষণের জন্য আমরা নিজেরাও অনেকটা দায়ি। আমরা নানাভাবে এই মহানগরীর পরিবেশ দূষণ করছি। সুনাগরিক হিসেবে পরিবেশ সংরক্ষণে সকলকে সচেতন হতে হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। আগামী বাজেটে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সঙ্গে ঢাবির সমন্বয়কল্পে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হবে। বরাদ্দের ওপর ভিত্তি করে ঢাবির নানা প্রকল্পে উত্তর সিটি করপোরেশন সমন্বয় করব।’

বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ তৈরি প্রসঙ্গে মেয়র আতিক বলেন, ‘ইতোমধ্যে ঢাকার আমিনবাজার ল্যান্ডফিল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২০২৫ সাল থেকে এই এক ল্যান্ডফিলের মাধ্যমে সাড়ে ৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।’

হেবিট্যাট ফর হিউম্যানিটি ইন্টারন্যাশনালের ন্যাশনাল ডিরেক্টর জেমস স্যমুয়েলসের সভাপতিত্বে সংলাপের উদ্বোধনী সেশনে বিশেষ অতিথি হিসেবে ব্র্যাকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. লিয়াকত আলী, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মানিষ কুমার আগারওয়াল এবং গ্লোবালওয়ান বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার রায়হান মাহমুদ কাদেরী বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য, আরবান আইএনজিও ফোরাম বাংলাদেশ ২০টি আন্তর্জাতিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার একটি কনসোর্টিয়াম, যা ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ফোরামের উদ্দেশ্য হলো নগর উন্নয়ন সংস্থাগুলোর মধ্যে কার্যকর সমন্বয় সাধন এবং বিভিন্ন পর্যায়ের অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে সহযোগিতা নিশ্চিত করা এবং অনানুষ্ঠানিক বসতিতে নিম্ন-আয় সম্প্রদায়ের টেকসই উন্নয়ন সাধন করা। এই উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যে ২০১৩ সাল থেকে আরবান ডায়ালগ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।


প্রাথমিকের ম্যানেজিং কমিটি গঠনে এমপিদের পরামর্শ অবৈধ: হাইকোর্ট

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনার জন্য ১১ সদস্যের কমিটিতে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের (এমপি) পরামর্শে দুইজনকে মনোনীত করাকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। ফলে এখন থেকে ম্যানেজিং কমিটি গঠনে স্থানীয় এমপিরা আর পরামর্শ দিতে পারবেন না।

কুমিল্লার মেঘনার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সদস্যের করা রিটে জারি করা রুল চূড়ান্ত করে এ রায় দেন হাইকোর্ট।

২০২২ সালে ১৬ আগস্ট বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। সম্প্রতি এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল ও জর্জ চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।

২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয় শাখা-২ একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন এবং কমিটির দায়িত্ব বিষয়ে নীতিমালা রয়েছে।

সভাপতিসহ কমিটির সদস্য সংখ্যা হবে ১১ জন। কমিটির সদস্য সচিব হবেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।

নীতিমালাটির ২.২ ধারায় বলা হয়েছে, ১১ জনের মধ্যে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্য থেকে দুজন সদস্য স্থানীয় সংসদ সদস্যের পরামর্শক্রমে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক মনোনীত হবেন।

এ বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন কুমিল্লার মেঘনার রতনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি সদস্য মো. শহীদ উল্লাহ। ওই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট রায় দেন।

ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বলেন, ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বরের প্রজ্ঞাপনের বিধান হচ্ছে, প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিতে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্য থেকে দুজনকে (নারী ও পুরুষ) মনোনয়ন দেবেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। এ প্রজ্ঞাপনকে চ্যালেঞ্জ করেছেন কুমিল্লার একটি স্কুলের একজন সদস্য। যিনি ওই স্কুলের সভাপতি পদে কনটেস্ট করে সভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার পরেও সংসদ সদস্যের মনোনয়ন না পাওয়ার কারণে সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না এবং কমিটি স্থগিত অবস্থায় ছিল। সে অবস্থায় প্রজ্ঞাপনটি চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনকারীকে সভাপতি পদে যেন নিয়োগ করা হয়। রিটে জারি করা রুলের রায়ে হাইকোর্ট বিভাগ ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বরের প্রজ্ঞাপনের সংসদ সদস্যের মনোনয়নের অংশটুকু বাদ দিয়ে দেন, অসাংবিধানিক বললেন।

একই সঙ্গে আবেদনকারীকে সভাপতি ঘোষণা করে ম্যানেজিং কমিটির কার্যক্রম শুরু করতে বলেছেন। ফলে এখন থেকে প্রাথমিক স্কুলের ম্যানেজিং কমিটিতে এমপিদের পরামর্শ নেওয়ার বিধান আর থাকল না।


দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ: শিক্ষামন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্দান্ত অনুসারে সংশ্লিষ্ট এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

আজ রোববার রাজধানীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আরএডিপি বাস্তবায়ন এবং চলমান উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি ও মূল্যায়ন বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্ট্যান্ডিং অর্ডার অনুসারে, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি যে সমস্ত অবকাঠামো আছে সেগুলো ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেবেন। সেভাবে তারা সে সমস্ত ব্যবস্থা নেবেন।

তিনি বলেন, অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করায় সে সময় অর্থাৎ দুর্যোগ চলাকালীন এবং দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে সে প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদান কার্যক্রম জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্দেশনায় হবে। অর্থাৎ সে সময় স্থগিত থাকবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত। এক্ষেত্রে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি সিদ্ধান্ত নেবেন।

ঘূর্ণিঝড় নিয়ে রোববার (২৬ মে) দুপুরে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান জানান, ছয় ঘণ্টার মধ্যে ঘুর্ণিঝড় অতিক্রম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সন্ধ্যায় অগ্রভাগ অতিক্রম শুরু হবে, মধ্যরাতে মূল ঝড় অতিক্রম করবে। হয়তো ভোরের ভেতরে শেষ হবে।

তিনি জানান, স্কুলগুলো খোলা থাকবে। কর্তৃপক্ষ স্কুলে থাকবে যাতে মানুষ আসলে আশ্রয় নিতে পারে। কিন্তু ক্লাস বন্ধ থাকবে। শুধু আশ্রয়ের জন্য। এটা শুধু উপকূলের জন্য।


৭০ শতাংশ নম্বর ছাড়া পদোন্নতি পাবেন না ঢাবি শিক্ষকরা: উপাচার্য

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আ স ম মাসুদ কামাল। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুমিল্লা প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষকদের প্রভাষক থেকে পরবর্তী পদোন্নতি পেতে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ নিতে হবে এবং ৭০ শতাংশ নম্বর না পেলে পদোন্নতি দেওয়া হবে না। বছরে দুবার এই প্রশিক্ষণ হবে বলে সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রথমবারের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ১৪ দিনব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাবির উপাচার্য ও কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স কমিটির (কিউএসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আ স ম মাকসুদ কামাল এ কথা বলেন।

ঢাবির ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) উদ্যোগে আজ শুক্রবার (২৪ জুন) সকালে কুমিল্লা বার্ডের ময়নামতি অডিটোরিয়ামে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।

এ সময় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী নবীন শিক্ষকদের উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, যারা আজ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছ, মনোযোগ দিয়ে প্রশিক্ষণ নিও। কারণ এ দেশের মানুষের টাকায় তোমাদের প্রশিক্ষণ হচ্ছে। এসব প্রশিক্ষণে অনেক অর্থ ব্যয় হয়। একবারই যেন প্রশিক্ষণ শেষ হয়। দ্বিতীয়বার যেন প্রশিক্ষণে অংশ নিতে না হয়।

প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সামাদ, ঢাবির উপ-উপাচার্য (সংস্কৃতি) প্রফেসর ড. শীতেষ চন্দ্র বাচার, ঢাবির কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, কুমিল্লা বার্ডের মহাপরিচালক সাইফুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ঢাবির আইকিউএসি পরিচালক প্রফেসর ড. শবিতা রেজওয়ান রহমান।

মুখ্য বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রফেসর ড. হাসিনা খান, ঢাবির অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরী।

১৪ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ঢাবির ৪৮টি ডিপার্টমেন্ট থেকে ৫৮ নবীন শিক্ষক অংশ নিচ্ছেন।


banner close