মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪

ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার

ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ
প্রতিনিধি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত : ৯ নভেম্বর, ২০২২ ২৩:১০

ইডেন মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। বুধবার (৯ নভেম্বর) রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ইন্দ্রনীল রনি দৈনিক বাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ইডেন মহিলা কলেজ শাখা কমিটির ওপর আরোপিত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হলো।

এর আগে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর দুপক্ষের রেষারেষি ও মারামারির ঘটনায় ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। একইসঙ্গে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙের দায়ে ১৬ জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছিল।


তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগও পিএসসির মাধ্যমে করার সুপারিশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির (বর্তমানে গ্রেড হিসেবে পরিচিত) নিয়োগ হয় সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) অধীনে। আর তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ হয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের অধীনে। এখন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগও পিএসসির অধীনে করার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গঠিত একটি কমিটি।

সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোটার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত সংলাপ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তবে তিনি বলেছেন, এটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

প্রথম থেকে নবম গ্রেডের কর্মকর্তাদের প্রথম শ্রেণির বলা হয়। ১০ থেকে ১২তম গ্রেডের কর্মকর্তাদের বলা হয় দ্বিতীয় শ্রেণির। আর ১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডের কর্মচারীদের বলা হয় তৃতীয় শ্রেণি এবং ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের বলা হয় চতুর্থ শ্রেণির। যদিও ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আর এই শ্রেণিভিত্তিক পরিচয় নেই। সবাইকে গ্রেড হিসেবে বলা হয়। যদিও বাস্তবে এখনো শ্রেণিভিত্তিক হিসেবেই বলা হয়ে থাকে।

তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে আলাদা কর্তৃপক্ষ হবে নাকি পিএসসির অধীনে হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এই কমিটি গত জানুয়ারিতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

প্রাথমিকভাবে এই কমিটি ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডে সরকারি কর্মচারী নিয়োগের জন্য পিএসসিকে দায়িত্ব দেওয়ার সুপারিশ করেছে। পিএসসি বলছে, তারা এটি করতে সক্ষম হবে। তবে ওই কমিটির সুপারিশই চূড়ান্ত নয় বলেও উল্লেখ করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী। তিনি বলেন, এটা নিয়ে আরও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। প্রতিবেদনটি এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এটি পর্যালোচনা শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অর্থাৎ কী করা হবে সেটি এখনো প্রক্রিয়াধীন আছে।

মন্ত্রী আরও জানান, বিভিন্ন রকমের অনিয়মের অভিযোগে গত ৫ বছরে (২০১৯ থেকে ২০২৪) তদন্তের মুখে পড়েছেন প্রশাসনের ১৭৮ জন কর্মকর্তা (গ্রেড ১ থেকে ৯ম)। তাদের মধ্যে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী ২২ জনের গুরুদণ্ড ও ৬৯ জনের লঘুদণ্ড হয়েছে। অর্থাৎ ৯১ জনের শাস্তি হয়েছে। বাকি ৮৭ জনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিজীবীদের বিভাগীয় মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মূলত ওই দুই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এর মধ্যে সরকারি কর্মচারী আইন অনুযায়ী, লঘুদণ্ডগুলো হলো তিরস্কার, নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করা, বেতন স্কেলের নিম্নধাপে অবনমিত করা এবং সরকারি অর্থ বা সম্পত্তির ক্ষতি সংঘটিত হলে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ আদায় করা। আর গুরু দণ্ডগুলো হলো নিম্নপদ বা নিম্নতর বেতন স্কেলে অবনমিত করা, বাধ্যতামূলক অবসর, চাকরি থেকে অপসারণ এবং চাকরি থেকে বরখাস্ত করা।

৫ বছরের পাশাপাশি বিগত ১০ বছরে (২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত) কতজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তারও তথ্য দেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ১০ বছরে ৩৫১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। তাদের মধ্যে গুরুদণ্ড পেয়েছেন ৪১ জন এবং লঘুদণ্ড পেয়েছেন ১৪০ জন। বাকি ১৭০ জন অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, প্রতিনিয়ত বিভাগীয় মামলা চলে। যদি কোনো কর্মকর্তার বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেয়, তাহলে সেটি আমলে নিয়ে বিভাগীয় মামলা করা হয়। এ বিষয়ে প্রথমে প্রাথমিক তদন্ত করে সত্যতা বোঝার চেষ্টা করা হয়। কারণ, বিভাগীয় মামলা করতে গেলে একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে করতে হয়। এতে শুনানি হয়, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। তিনি বলেন, পুরস্কারের পাশাপাশি শাস্তির ব্যবস্থাও থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএসআরএফের সভাপতি ফসীহ উদ্দিন মাহতাব ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।

বিষয়:

প্রাথমিকে ৪৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া স্থগিত

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলা) লিখিত পরীক্ষার সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয় গত ২২ এপ্রিল। এতে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচিতদের ভাইভা পরীক্ষা চলমান রয়েছে। আজ হাইকোর্ট এই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করলেন।

ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল। আর এই ফাঁস হওয়া প্রশ্নে অনেকে পরীক্ষা দিয়েছেন। এরই মধ্যে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এ কারণে প্রকাশিত ফল নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তাই প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার ঘটনার তদন্ত এবং পরীক্ষা প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ঢাকা ও চট্রগ্রামের কয়েকজন পরীক্ষার্থী। হাইকোর্ট তাদের আবেদন শুনেছেন এবং এই ধাপের নিয়োগ প্রক্রিয়া ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন।

সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের ক্লাস্টারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এরপর ২২ মার্চ ২য় ধাপে রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে ১৭ জুন তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রথম ধাপে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০, দ্বিতীয় ধাপে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৪৩৮ এবং তৃতীয় ধাপে ৩ লাখ ৪০ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন।

বিষয়:

গুচ্ছে ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ল

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জবি প্রতিনিধি

গুচ্ছভুক্ত দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি আবেদনের সময়সীমা একদিন বাড়ানো হয়েছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ রিমালের তাণ্ডবের পরিপ্রেক্ষিতে পূর্বনির্ধারিত আবেদনের সময়ের চেয়ে ২৪ ঘণ্টা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর ফলে আগামীকাল বুধবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগ পছন্দক্রম দিতে পারবেন।

আজ মঙ্গলবার গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মঙ্গলবার যখন যে সময় শেষ হওয়ার কথা ছিল তার থেকে ২৪ ঘণ্টা বাড়ানো হচ্ছে। অর্থাৎ মঙ্গলবার যেই সময় শেষ হওয়ার কথা ঠিক বুধবার সেই সময় শেষ হবে।

এর আগে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ও ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার রাতেই এ সুযোগ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

ভর্তি আবেদন ও বিভাগ পছন্দক্রম দেয়া নিয়ে গুচ্ছের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিভাগ পছন্দক্রমসহ ভর্তির আবেদন ২০ মে দুপুর ১২টায় শুরু হয়েছে। ২৮ মে রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ভর্তিচ্ছুরা আবেদন করতে পারবেন।’

অনলাইনে বিভাগ পছন্দক্রমসহ ভর্তির আবেদন কীভাবে করতে হবে, সে জন্য একটি ভিডিও গাইডলাইন দেয়া হয়েছে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আবেদন ফি নির্ধারিত ছিল ৫০০ টাকা।

এর আগে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, আগামী ২০ জুলাইয়ের মধ্যে গুচ্ছের ভর্তি কার্যক্রম শেষ হবে। এরপর ক্লাস শুরু হবে। গত ২৭ এপ্রিল ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান), ৩ মে ‘বি’ ইউনিট (মানবিক) এবং ১০ মে ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

গুচ্ছভুক্ত ২৪টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুলনা), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (দিনাজপুর), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (টাঙ্গাইল), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোয়াখালী), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিল্লা), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যশোর), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবনা), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (বরিশাল), রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাঙ্গামাটি), রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ (সিরাজগঞ্জ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি (গাজীপুর), শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোনা), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জামালপুর), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পটুয়াখালী), কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কিশোরগঞ্জ) এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চাঁদপুর), সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সুনামগঞ্জ) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পিরোজপুর)।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ২ কোটি ৭০ লাখের বেশি গ্রাহক ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিহীন রয়েছেন। এ কারণে দেশের ২১ জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। এরইমধ্যে দেশের ৪৫ জেলার মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের ৮ হাজার ৪১০টি সাইটে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে অচল হয়ে পড়েছে।


হলের ময়লা-আবর্জনা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে ঢাবি

মঙ্গলবার ঢাবিতে আয়োজিত অষ্টম নগর সংলাপে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৮ মে, ২০২৪ ১৮:১৮
ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলগুলোতে উৎপন্ন হওয়া নানা ধরনের ময়লা-আবর্জনা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আজ মঙ্গলবার ঢাবিতে আয়োজিত অষ্টম নগর সংলাপে এসব কথা বলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের পথে টেকসই নগরায়ণ বিষয়ে এ সংলাপের আয়োজন করা হয়।

উপাচার্য বলেন, ‘বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নিজস্ব বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির এ যুগে ঢাবিতেও এ ধরনের কর্মকাণ্ড হওয়া উচিত। ঢাবির প্রতিটি হলের সামনে বিভিন্ন রঙের ডাস্টবিন রাখা হবে। ময়লার ধরনের ওপর ভিত্তি করে এসব ডাস্টবিনে বর্জ্য ফেলবেন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে এসব বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়া হবে। উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনার দিক থেকে এশীয়দের মধ্যে একেবারে তলানিতে বাংলাদেশের অবস্থান। দেশের সেরা বিদ্যাপীঠ ঢাবিতেই যে গবেষণা হয় তা অপ্রতুল। এতদিন বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা গবেষণামুখী ছিল না। এখন নতুন সিলেবাসে বিদ্যালয় থেকেই শিশুরা উদ্ভাবনী ক্ষমতার অংশীদার হতে পারবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘টেকসই উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্টদের পারস্পরিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলার মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে নগর উন্নয়নের লক্ষ্যে গবেষক, স্টেকহোল্ডারস্, সিটি কর্পোরেশন, এনজিও, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, নীতিনির্ধারকসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে আগে প্ল্যানিং করা হয় তারপর নগরায়ণ করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে আগে উন্নয়ন করা হয় তারপর নগরায়ণ করা হয়। এটি অনেক বড় সমস্যা। কারণ নগরায়ণ হয়ে যাওয়ার পরে প্ল্যানিং করাটা প্রকৃত অর্থে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তখন যেটি হয় সেটি হলো, বিট এনভায়রনমেন্টকে কীভাবে ম্যানেজ করা যায়। এটাকে ম্যানেজ করা খুবই কঠিন, বিশেষত বাংলাদেশের মতো দেশে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগ এবং ২০টি আন্তর্জাতিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কনসোর্টিয়াম, আরবান আইএনজিও ফোরামের যৌথ আয়োজনে নগর সংলাপের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘করোনা মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিভিন্ন দেশে চলমান যুদ্ধের কারণে উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলো সার্বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কার্বন নিঃসরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য উন্নত দেশগুলোই প্রধানত দায়ী, এজন্য তাদেরকেই দায়ভার নিতে হবে এবং দরিদ্র দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আমাদের পরিবেশ দূষণের জন্য আমরা নিজেরাও অনেকটা দায়ি। আমরা নানাভাবে এই মহানগরীর পরিবেশ দূষণ করছি। সুনাগরিক হিসেবে পরিবেশ সংরক্ষণে সকলকে সচেতন হতে হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। আগামী বাজেটে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সঙ্গে ঢাবির সমন্বয়কল্পে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হবে। বরাদ্দের ওপর ভিত্তি করে ঢাবির নানা প্রকল্পে উত্তর সিটি করপোরেশন সমন্বয় করব।’

বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ তৈরি প্রসঙ্গে মেয়র আতিক বলেন, ‘ইতোমধ্যে ঢাকার আমিনবাজার ল্যান্ডফিল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২০২৫ সাল থেকে এই এক ল্যান্ডফিলের মাধ্যমে সাড়ে ৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।’

হেবিট্যাট ফর হিউম্যানিটি ইন্টারন্যাশনালের ন্যাশনাল ডিরেক্টর জেমস স্যমুয়েলসের সভাপতিত্বে সংলাপের উদ্বোধনী সেশনে বিশেষ অতিথি হিসেবে ব্র্যাকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. লিয়াকত আলী, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মানিষ কুমার আগারওয়াল এবং গ্লোবালওয়ান বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার রায়হান মাহমুদ কাদেরী বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য, আরবান আইএনজিও ফোরাম বাংলাদেশ ২০টি আন্তর্জাতিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার একটি কনসোর্টিয়াম, যা ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ফোরামের উদ্দেশ্য হলো নগর উন্নয়ন সংস্থাগুলোর মধ্যে কার্যকর সমন্বয় সাধন এবং বিভিন্ন পর্যায়ের অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে সহযোগিতা নিশ্চিত করা এবং অনানুষ্ঠানিক বসতিতে নিম্ন-আয় সম্প্রদায়ের টেকসই উন্নয়ন সাধন করা। এই উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যে ২০১৩ সাল থেকে আরবান ডায়ালগ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।


প্রাথমিকের ম্যানেজিং কমিটি গঠনে এমপিদের পরামর্শ অবৈধ: হাইকোর্ট

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনার জন্য ১১ সদস্যের কমিটিতে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের (এমপি) পরামর্শে দুইজনকে মনোনীত করাকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। ফলে এখন থেকে ম্যানেজিং কমিটি গঠনে স্থানীয় এমপিরা আর পরামর্শ দিতে পারবেন না।

কুমিল্লার মেঘনার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সদস্যের করা রিটে জারি করা রুল চূড়ান্ত করে এ রায় দেন হাইকোর্ট।

২০২২ সালে ১৬ আগস্ট বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। সম্প্রতি এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল ও জর্জ চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।

২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয় শাখা-২ একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন এবং কমিটির দায়িত্ব বিষয়ে নীতিমালা রয়েছে।

সভাপতিসহ কমিটির সদস্য সংখ্যা হবে ১১ জন। কমিটির সদস্য সচিব হবেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।

নীতিমালাটির ২.২ ধারায় বলা হয়েছে, ১১ জনের মধ্যে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্য থেকে দুজন সদস্য স্থানীয় সংসদ সদস্যের পরামর্শক্রমে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক মনোনীত হবেন।

এ বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন কুমিল্লার মেঘনার রতনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি সদস্য মো. শহীদ উল্লাহ। ওই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট রায় দেন।

ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বলেন, ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বরের প্রজ্ঞাপনের বিধান হচ্ছে, প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিতে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্য থেকে দুজনকে (নারী ও পুরুষ) মনোনয়ন দেবেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। এ প্রজ্ঞাপনকে চ্যালেঞ্জ করেছেন কুমিল্লার একটি স্কুলের একজন সদস্য। যিনি ওই স্কুলের সভাপতি পদে কনটেস্ট করে সভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার পরেও সংসদ সদস্যের মনোনয়ন না পাওয়ার কারণে সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না এবং কমিটি স্থগিত অবস্থায় ছিল। সে অবস্থায় প্রজ্ঞাপনটি চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনকারীকে সভাপতি পদে যেন নিয়োগ করা হয়। রিটে জারি করা রুলের রায়ে হাইকোর্ট বিভাগ ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বরের প্রজ্ঞাপনের সংসদ সদস্যের মনোনয়নের অংশটুকু বাদ দিয়ে দেন, অসাংবিধানিক বললেন।

একই সঙ্গে আবেদনকারীকে সভাপতি ঘোষণা করে ম্যানেজিং কমিটির কার্যক্রম শুরু করতে বলেছেন। ফলে এখন থেকে প্রাথমিক স্কুলের ম্যানেজিং কমিটিতে এমপিদের পরামর্শ নেওয়ার বিধান আর থাকল না।


দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ: শিক্ষামন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্দান্ত অনুসারে সংশ্লিষ্ট এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

আজ রোববার রাজধানীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আরএডিপি বাস্তবায়ন এবং চলমান উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি ও মূল্যায়ন বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্ট্যান্ডিং অর্ডার অনুসারে, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি যে সমস্ত অবকাঠামো আছে সেগুলো ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেবেন। সেভাবে তারা সে সমস্ত ব্যবস্থা নেবেন।

তিনি বলেন, অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করায় সে সময় অর্থাৎ দুর্যোগ চলাকালীন এবং দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে সে প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদান কার্যক্রম জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্দেশনায় হবে। অর্থাৎ সে সময় স্থগিত থাকবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত। এক্ষেত্রে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি সিদ্ধান্ত নেবেন।

ঘূর্ণিঝড় নিয়ে রোববার (২৬ মে) দুপুরে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান জানান, ছয় ঘণ্টার মধ্যে ঘুর্ণিঝড় অতিক্রম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সন্ধ্যায় অগ্রভাগ অতিক্রম শুরু হবে, মধ্যরাতে মূল ঝড় অতিক্রম করবে। হয়তো ভোরের ভেতরে শেষ হবে।

তিনি জানান, স্কুলগুলো খোলা থাকবে। কর্তৃপক্ষ স্কুলে থাকবে যাতে মানুষ আসলে আশ্রয় নিতে পারে। কিন্তু ক্লাস বন্ধ থাকবে। শুধু আশ্রয়ের জন্য। এটা শুধু উপকূলের জন্য।


৭০ শতাংশ নম্বর ছাড়া পদোন্নতি পাবেন না ঢাবি শিক্ষকরা: উপাচার্য

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আ স ম মাসুদ কামাল। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুমিল্লা প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষকদের প্রভাষক থেকে পরবর্তী পদোন্নতি পেতে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ নিতে হবে এবং ৭০ শতাংশ নম্বর না পেলে পদোন্নতি দেওয়া হবে না। বছরে দুবার এই প্রশিক্ষণ হবে বলে সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রথমবারের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ১৪ দিনব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাবির উপাচার্য ও কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স কমিটির (কিউএসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আ স ম মাকসুদ কামাল এ কথা বলেন।

ঢাবির ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) উদ্যোগে আজ শুক্রবার (২৪ জুন) সকালে কুমিল্লা বার্ডের ময়নামতি অডিটোরিয়ামে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।

এ সময় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী নবীন শিক্ষকদের উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, যারা আজ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছ, মনোযোগ দিয়ে প্রশিক্ষণ নিও। কারণ এ দেশের মানুষের টাকায় তোমাদের প্রশিক্ষণ হচ্ছে। এসব প্রশিক্ষণে অনেক অর্থ ব্যয় হয়। একবারই যেন প্রশিক্ষণ শেষ হয়। দ্বিতীয়বার যেন প্রশিক্ষণে অংশ নিতে না হয়।

প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সামাদ, ঢাবির উপ-উপাচার্য (সংস্কৃতি) প্রফেসর ড. শীতেষ চন্দ্র বাচার, ঢাবির কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, কুমিল্লা বার্ডের মহাপরিচালক সাইফুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ঢাবির আইকিউএসি পরিচালক প্রফেসর ড. শবিতা রেজওয়ান রহমান।

মুখ্য বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রফেসর ড. হাসিনা খান, ঢাবির অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরী।

১৪ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ঢাবির ৪৮টি ডিপার্টমেন্ট থেকে ৫৮ নবীন শিক্ষক অংশ নিচ্ছেন।


ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে ডিসেম্বরে এসএসসি পরীক্ষা, সময় ৫ ঘণ্টা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

এক যুগের বেশি সময় ধরে দেশে ফেব্রুয়ারি মাসে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হলেও নতুন শিক্ষাক্রমে ২০২৬ সালে তা ডিসেম্বর মাসে শুরু হবে। সেই সঙ্গে প্রতিটি বিষয়ের মূল্যায়নে বিরতিসহ ৫ ঘণ্টা পরীক্ষা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার নতুন কারিকুলামের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।

জানা গেছে, স্কুলের বার্ষিক ও অর্ধবার্ষিক (ষান্মাষিক) মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার সাতটি ধাপ বা স্কেলে শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন পদ্ধতি নির্ধারণ করেছে নতুন কারিকুলাম নিয়ে গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটি। সেখানে এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে ডিসেম্বরে হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন কারিকুলামে শুধু দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ওপর ভিত্তি করে এসএসসি পরীক্ষা হবে। পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী পরীক্ষার লিখিত মূল্যায়নে ওয়েটেজ ৬৫ শতাংশ এবং কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়নে ৩৫ শতাংশ থাকবে। আগামী ৩১ মের মধ্যে পরীক্ষা পদ্ধতি চূড়ান্ত করা হবে।

ওই পরীক্ষার নাম এসএসসি থাকবে না কি, অন্য কোনো নাম হবে, সে বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। সবকিছু চূড়ান্ত করতে চলতি মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে একটি বৈঠক ডেকেছে মন্ত্রণালয়।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ‘নতুন কারিকুলামে এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে
বেশ কিছু নতুন সিদ্ধান্ত আসতে যাচ্ছে। আরেকটি বৈঠকের চূড়ান্ত হওয়ার পর দ্রুত সবাইকে এসব বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে। আগামী ২৭ মে কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। সেখান থেকে চূড়ান্ত হতে পারে নতুন কারিকুলামে মূল্যায়ন পদ্ধতি।’

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘বছরের শেষে নিলে শিক্ষার্থী শিক্ষাবর্ষ পুরোপুরি ব্যবহার করা যাবে। এসব বিবেচনায় ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে এসএসসি পরীক্ষা ডিসেম্বর নেওয়ার সুপারিশ রয়েছে। চলতি মাসের বৈঠকে তা চূড়ান্ত হতে পারে।

এনসিটিবির তৈরি করা ‘২০২৫-এর দশম শ্রেণি শেষে পাবলিক মূল্যায়ন পরীক্ষা’-সংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বর্তমান শিক্ষাক্রম অনুযায়ী মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট ও সমমান পরীক্ষা (এসএসসি) তিন ঘণ্টার হলেও আগামী বছর থেকে পরিবর্তন আসছে এ ধারায়। ২০২৬ সালে এ পরীক্ষা হবে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী। এতে মোট ১০টি বিষয়ের ওপর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। প্রতিটি বিষয়ের মূল্যায়ন হবে পাঁচ ঘণ্টায়। দীর্ঘ এ সময়টা পরীক্ষার হলেই অবস্থান করতে হবে পরীক্ষার্থীদের। অবশ্য মাঝে বিরতি পাবেন তারা।

আগামী বছর দশম শ্রেণিতে শিক্ষার্থীরা মোট ১০টি বিষয় পড়বে। বিষয়গুলো হলো- বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, ডিজিটাল প্রযুক্তি, জীবন ও জীবিকা, ধর্মশিক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতি। এই পাঠ্যসূচির ওপরই অনুষ্ঠিত হবে এসএসসি পরীক্ষা। বিষয়ের চাহিদা ও যোগ্যতা অনুযায়ী প্রকল্পভিত্তিক কাজ, সমস্যা সমাধান, অ্যাসাইনমেন্ট ইত্যাদির পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে পরীক্ষার্থীদের। মূল্যায়নে অনুসন্ধান, প্রদর্শন, মডেল তৈরি, উপস্থাপন, পরীক্ষণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ইত্যাদি বিষয় থাকবে।

এ ছাড়া নতুন পাঠ্যক্রম অনুযায়ী এসএসসি পরীক্ষা গ্রহণের সার্বিক আয়োজনের জন্য বিষয়ভিত্তিক ৬০০ শিক্ষকের সমন্বয়ে রিসোর্সপুল গঠন করার পরিকল্পনা রয়েছে এনসিটিবির। সূত্র বলছে, রিসোর্সপুলকে প্রথমে বোর্ডের আয়োজনে এনসিটিবির বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে ৭ দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আর ১১টি শিক্ষা বোর্ডের প্রতিটির জন্য প্রতি বিষয়ে চারজন করে মোট ৪৪ জন শিক্ষককে চূড়ান্ত করা হবে।

উল্লেখ্য, নতুন শিক্ষাক্রম গত বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে বাস্তবায়ন করা হয়। আর চলতি বছর বাস্তবায়ন করা হয় দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে। এরপর ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এই শিক্ষাক্রম চালু হবে।


চূড়ান্ত হচ্ছে নতুন কারিকুলামে মূল্যায়ন পদ্ধতি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নতুন কারিকুলামে মূল্যায়ন পদ্ধতি কেমন হবে, তা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এ নিয়ে এতদিন গণমাধ্যম ও বিভিন্ন সভা-সেমিনারে নানা খবর ও মতামত এলেও কোনো কিছুই চূড়ান্ত নয়।

অবশেষে মূল্যায়নের পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে কর্মশালা করতে যাচ্ছে এনসিটিবি। এটিকে তারা ‘ফাইন টিউনিং’ কর্মশালা হিসেবে উল্লেখ করছেন। ২৭ মে এ কর্মশালা হবে। এতে মতামত নেওয়ার পর ৩১ মের মধ্যে মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করে তা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা বোর্ডগুলোতে পাঠাবে এনসিটিবি।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মে) জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করার পর শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং মূল্যায়নের জন্য নৈপুণ্য অ্যাপস প্রস্তুত করা হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে যারা ইনভিজিলেশন দেবেন, তাদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

জানা গেছে, নতুন কারিকুলামে এসএসসির মূল্যায়ন হবে ৬৫ ভাগ লিখিত ও ৩৫ ভাগ দক্ষতাভিত্তিক। প্রতি বিষয়ের মূল্যায়ন হবে ৫ ঘণ্টা করে। এর মধ্যে দুই ঘণ্টা হবে লিখিত মূল্যায়ন। বাকি তিন ঘণ্টায় দক্ষতাভিত্তিক কাজের মূল্যায়ন করা হবে। বছরজুড়ে যে ব্যবহারিক কাজ শিক্ষার্থীরা করবে, সেগুলোর কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে করে দেখাতে হবে।

নতুন কারিকুলাম গত বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে বাস্তবায়ন করা হয়। চলতি বছর বাস্তবায়ন করা হচ্ছে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এ শিক্ষাক্রম চালু হবে।

বর্তমান কারিকুলামে দুই পদ্ধতিতে মূল্যায়ন হয়। এর একটি বছরজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিখনকালীন মূল্যায়ন, অন্যটি বছর শেষে সামষ্টিক মূল্যায়ন।

নতুন কারিকুলামের রূপরেখা অনুযায়ী প্রাক্-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা নেই। তিন শ্রেণিতে হবে শতভাগ শিখনকালীন মূল্যায়ন। চতুর্থ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সব বিষয়ে কিছু অংশের মূল্যায়ন হবে শিখনকালীন। বাকি অংশের মূল্যায়ন হবে সামষ্টিকভাবে।


‘ডিনস অ্যাওয়ার্ড’ পাচ্ছেন জবির ৪৭ শিক্ষার্থী

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে বিশেষ কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে ‘ডিনস অ্যাওয়ার্ড’ শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোর চার বছর মেয়াদি স্নাতক চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সর্বোচ্চ মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রথমবারের মতো এ অ্যাওয়ার্ড চালু হয়েছে। এবার ৪৭ জন শিক্ষার্থী পাচ্ছেন ডিনস অ্যাওয়ার্ড।

আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম দৈনিক বাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এ বিষয়ে ডিনস অ্যাওয়ার্ড কমিটির আহ্বায়ক এবং বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান বলেন, ‘ডিনস অ্যাওয়ার্ড সম্পর্কে বারবার মিটিং করে সর্বশেষ নিজস্ব বিভাগগুলো থেকে রেজাল্টের তথ্য পাঠানোর পরিপ্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত তালিকা করতে পেরেছি। এবার ২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ডিনস দেওয়া হবে।’

দুটি শিক্ষাবর্ষ মিলিয়ে কলা অনুষদ থেকে ৯ জন, বিজ্ঞান অনুষদ থেকে ৬ জন, বিজনেস স্টাডিজ থেকে ৮ জন, সামজিক বিজ্ঞান অনুষদ থেকে ৭ জন, আইন অনুষদ থেকে ২ জন, লাইফ অ্যান্ড সায়েন্স অনুষদ থেকে ১৩ জন এবং চারুকলা অনুষদ থেকে ২ জনকে দেওয়া হবে এই ডিনস অ্যাওয়ার্ড।

বিষয়টি সম্পর্কে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম বলেন, ডিনস অ্যাওয়ার্ড সামনের মাসের মধ্যে দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বাবা-মাকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের জন্য এ সম্পর্কে কাজ করেছি যেন এ পুরস্কারের মাধ্যমে তাদের মধ্যে সাহসের জায়গা তৈরি হয় এবং সামনে সবাই অনুপ্রাণিত হয়ে ভালো ফলাফল করে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিষয়টি সম্পর্কে উদ্বিগ্ন ছিলাম। বারবার ডিনদের সঙ্গে মিটিং করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য সবসময় কাজ করতে চাই। ডিনস অ্যাওয়ার্ড চালুর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফলে মনোনিবেশ করবে। খুব দ্রুত আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে চূড়ান্ত তালিকা করা শিক্ষার্থীদের মাঝে এ পুরস্কার প্রদান করা হবে।’

ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত প্রতিটি শিক্ষার্থীকে সনদ ও ক্রেস্ট দেওয়া হবে। উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, সব অনুষদের ডিন ও সংশ্লিষ্ট অনুষদের শিক্ষকদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে।


মানারাত ইউনিভার্সিটির ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

আপডেটেড ২১ মে, ২০২৪ ২০:০৯
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (এমআইইউ) ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ‌‘এমআইইউ ডে ২০২৪’।

দিবসটি উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুলশান ক্যাম্পাসে বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে কেক কাটেন উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান।

দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল ও প্রতিষ্ঠিত ছাত্র-ছাত্রীদের মিলনমেলায় পরিণত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। তারা উপাচার্যসহ বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রং-বেরঙের সাজে সাজানো হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন।

উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান আভিভাবকদের উদ্দেশে বলেন, ‘এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রাই শুরু হয়েছিল ‘আ সেন্টার অব একাডেমিক অ্যান্ড মোরাল এক্সিলেন্স’ স্লোগান ধারন করে। সুতরাং, আপনারা যারা নিজেদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত ও নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তারা মানারাত ইউনিভার্সিটিকে পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন।’

এমআইইউ ডে-২০২৪ উপলক্ষে বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক-কর্মকর্তাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘২০০১ সালের এদিনে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি শিক্ষাকার্যক্রম শুরু করে। এই দীর্ঘ পথযাত্রায় প্রায় ৮ হাজার গ্র্যাজুয়েট নিয়ে মানারাত আজ গর্বিত, যাদের বেশির ভাগই দেশে-বিদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দেশ, জাতি ও সমাজকে সেবা দিয়ে আসছেন।’

মানারাতের এই সাফল্যের অংশীদার সেই সব গ্র্যাজুয়েট ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই। সবার প্রচেষ্টায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

বিষয়:

ঢাকা বোর্ডে ১ লাখ ৭৯ হাজার খাতা চ্যালেঞ্জ করেছেন শিক্ষার্থীরা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত হয়েছে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল। এতে গড় পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন।

প্রকাশিত ফলাফলে কারও কাঙ্ক্ষিত ফল না এলে সে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন বা খাতা চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ দেয় শিক্ষাবোর্ডগুলো। গত ১৩ মে থেকে এ কার্যক্রম চলে ১৯ মে পর্যন্ত। এরমধ্যে শুধু ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে ১ লাখ ৭৯ হাজার ১৪৮টি খাতা চ্যালেঞ্জ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা শিক্ষাবোর্ড থেকে জানা গেছে, এসব শিক্ষার্থীদের আবেদন এখন পুনর্নিরীক্ষণ হবে। তারপর শিগগিরই সেই ফল প্রকাশ করা হবে। তবে কবে ফল প্রকাশ করা হবে তা এখন ঠিক হয়নি। যাদের ফল যদি পরিবর্তন হবে তাদের এসএমএস করে প্রাপ্ত ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া সংশোধিত ফল বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে।

শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, পুনর্নিরীক্ষণ করলে একজন শিক্ষার্থীর খাতা পুনরায় মূল্যায়ন করা হয় না। পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন হওয়া উত্তরপত্রের চারটি দিক দেখা হয়। এগুলো হলো, উত্তরপত্রের সব প্রশ্নের সঠিকভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক রয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে উঠানো হয়েছে কি না এবং প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে কি না। এসব পরীক্ষা করেই পুনর্নিরীক্ষার ফল দেওয়া হয়। এই চারটি জায়গা কোনো ভুল হলে তা সংশোধন করে নতুন করে ফল প্রকাশ করা হয়।

এদিকে আগামী ২৬ মে থেকে একাদশ শ্রেণির ভর্তির আবেদন শুরু হবে। এর মধ্যে অনেকেই কলেজ ভর্তির আবেদন করে ফেলবে। তবে যাদের ফল পরিবর্তন হবে তারা কলেজ ভর্তির আবেদন সংশোধন করার সুযোগ পাবেন বলে বোর্ড কর্মকর্তারা জানান।

গত বছর (২০২৩ সালে) ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে খাতা চ্যালেঞ্জ করে ফেল থেকে পাস করে ১০৪ জন শিক্ষার্থী। আর নতুন করে জিপিএ-৫ পায় ৩৬২ জন। এ ছাড়া অন্যান্য গ্রেড পরিবর্তন হয় ৩ হাজার ৮৫ জন শিক্ষার্থীর।

বিষয়:

স্নাতক স্তরে বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপ চালুর পরামর্শ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২০ মে, ২০২৪ ২০:১২
নিজস্ব প্রতিবেদক

শিল্প, বাণিজ্য, গবেষণাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা অর্জন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরে শিক্ষার্থীদের জন্য কমপক্ষে এক সেমিস্টার বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপের সুযোগ রেখে কারিকুলাম হালনাগাদ করার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।

আজ সোমবার ইউজিসিতে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শুদ্ধাচার সংক্রান্ত প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ পরামর্শ দেন।

বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানে যত সংখ্যক শিক্ষার্থীর ইন্টার্নশিপের সংযুক্তির সুযোগ রয়েছে সেটি বিবেচনায় এনে উচ্চশিক্ষা স্তরে শিক্ষার্থী ভর্তি করার বিষয়টি বিবেচনা করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। সক্ষমতার চেয়ে বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি করলে মানসম্মত গ্র্যাজুয়েট তৈরি না হওয়ার আশঙ্কার কথা রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

অধ্যাপক আলমগীর বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই। আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে গতানুগতিক কাজের ৫০ শতাংশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সম্পন্ন হবে। উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন কাজেই কেবল জনসম্পৃক্ততার প্রয়োজন হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুধু পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করলেই চলবে না। গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে কি না তা মানের সূচকে যাচাই করতে হবে।’ অন্যথায়, গ্র্যাজুয়েটরা দক্ষতার ঘাটতি নিয়ে শিক্ষাজীবন শেষ করবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে ড. ফেরদৌস জামান বলেন, ‘দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে তদারকি ও এগিয়ে নেওয়ার জন্য ইউজিসির কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।’

ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রিসোর্সপারসন হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের এমডিএস (আরএন্ডসি) ও অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুল ইসলাম।


banner close