রোববার, ২ জুন ২০২৪

বিচ্ছিন্ন হাত লাগল জোড়া

বিচ্ছিন্ন হাত অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জোড়া লাগানোর পর মোকাররম হোসেনের সঙ্গে গ্রুপ ছবিতে অংশ নেন চিকিৎসকরা। ছবি: দৈনিক বাংলা
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশিত
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশিত : ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ২০:২৮

সপ্তাহ দুয়েক আগে সন্ত্রাসীদের হামলায় ডানহাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার অটোরিকশা চালক মোকাররম হোসেনের। বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে ওইদিন রাতে বিচ্ছিন্ন হাতসহ মোকাররমকে ভর্তি করা হয় চট্টগ্রামের এভারকেয়ার হাসপাতালে।

হাসপাতালের ট্রমা সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. ঋতুরাজ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে তৎক্ষণাৎ মোকাররমের অস্ত্রোপচার শুরু করে চিকিৎসকদের একটি দল। দীর্ঘ ১১ ঘণ্টার সফল অস্ত্রোপচারে জোড়া লাগে হাত। অস্ত্রোপচারের পরও তাকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখেন চিকিৎসকরা।

বিষয়টি জানাতে বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসকরা বলেন, ‘দুর্ঘটনায় শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো অঙ্গ সাধারণত ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত জীবিত থাকে। অর্থাৎ কোষগুলো সতেজ থাকে। এর মধ্যে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন কোনো অঙ্গ জোড়া লাগানো সম্ভব।’

এ বিষয়ে ট্রমা সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. ঋতুরাজ চক্রবর্তী বলেন, ‘ডানহাত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসার পর রোগী ও তার পরিবারের সম্মতিক্রমে আমরা দ্রুত সার্জারি করে হাত পুনঃস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিই। সার্জারি করে তার হাতের হাড়, রক্তনালী, স্নায়ু ও মাংসপেশি জোড়া লাগানো হয়। এটি অত্যন্ত জটিল ও সময়সাপেক্ষ একটি প্রক্রিয়া ছিল এবং এমন সার্জারির জন্য উন্নত প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনা খুবই প্রয়োজন। সার্জারি শেষে রোগীকে যথাযথ পর্যবেক্ষণে রাখা হয় এবং আটদিন পর তিনি বাড়ি ফিরে যান।’

অস্ত্রোপচারে ডা. ঋতুরাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে ছিলেন কার্ডিওভাসকুলার সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. মো. সানাউল হক সরকার, প্রফেসর ডা. জুনায়েদ ও ডা. নাবিলা।

বিচ্ছিন্ন হাত জোড়া লাগায় ভীষণ খুশি মোকাররম হোসেন বলেন, ‘এভারকেয়ার হসপিটাল, ডা. ঋতুরাজ ও তার দলের প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। আমি বর্তমানে সুস্থ আছি।’

বিষয়:

গজারিয়ায় শিপইয়ার্ড থেকে ৭ কোটি টাকার জাহাজ ‘উধাও’

উধাও হওয়া জাহাজ। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২ জুন, ২০২৪ ২২:০২
গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় থ্রি-অ্যাঙ্গেল মেরিন লিমিটেডের মালিকানাধীন শিপইয়ার্ড থেকে মেরামতের জন্য আনা একটি পুরাতন ওয়েল ট্যাঙ্কার উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জাহাজটির মালিক পক্ষ ও শিপইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ পরস্পরকে দায়ী করছেন। এ ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছে উভয় পক্ষ, বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৮ সালের নভেম্বরে স্ক্রাব হিসেবে সাতটি জাহাজ মেসার্স মাল্টিপল ইকুইপমেন্ট অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডকে হস্তান্তর করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।

সেখান থেকে টি টেকনাফ নামে পুরাতন একটি অয়েল ট্যাঙ্কার মেরামতের উদ্দেশ্যে প্রায় এক বছর আগে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার নয়ানগর এলাকার থ্রি অ্যাঙ্গেল মেরিন লিমিটেডের শিপইয়ার্ডে নিয়ে আসেন মিলন হাজী, আলাউদ্দিন ও রফিক নামে তিন ব্যবসায়ী। জাহাজটির মেরামত এবং প্রায় এক বছরের বাথিং খরচ বাবদ ৩০ লাখ টাকা বিল আসে। পাওনা টাকা দিতে একাধিকবার তাগাদা দিলেও তারা তা দিতে টালবাহানা শুরু করে। এর মধ্যে গত ১৯ মে সকাল থেকে জাহাজটি শিপইয়ার্ড এলাকায় দেখতে না পেয়ে বিষয়টি জাহাজটির মালিক পক্ষকে জানায় শিপইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছে দুই পক্ষ।

থ্রি-অ্যাঙ্গেল মেরিন লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) মোজাম্মেল হক বলেন, ‘জাহাজটি মেরামতের পরে আমাদের শিপইয়ার্ডের এক পাশে মেঘনা নদীতে নোঙর করে রাখা ছিল। মেরামত এবং বার্থিং চার্জ বাবদ ৩০ লাখ টাকা বিল আসে। আমরা বিল পরিশোধের জন্য একাধিক বার নোটিশ দিয়েছিলাম, কিন্তু তারা তা পরিশোধ করেনি। এর মধ্যে গত ১৯ মে সকাল থেকে আমরা জাহাজটি শিপইয়ার্ড এলাকায় না দেখতে পেয়ে জাহাজটির মালিকপক্ষকে জানাই।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের ধারণা পাওনা টাকা পরিশোধ না করার জন্য পরিকল্পিতভাবে তারাই জাহাজটি সরিয়ে ফেলেছে। ৮/৯ দিন চারদিকে খোঁজাখুঁজি করে আমরা জাহাজটির হদিস না পেয়ে ২৯ মে থানায় লিখিত অভিযোগ করি।’

মেসার্স মাল্টিপল ইকুইপমেন্ট অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রতিনিধি মহিউদ্দিন বলেন, ‘শিপইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ দুইবার আমাদের কাছে বিল পাঠায়। আমরা বিল পেয়ে তা পরিশোধ করি। গত ২৯ মে তারিখে আমাদের কোম্পানির কয়েকজন প্রতিনিধি জাহাজটি নিয়ে আসার জন্য শিপইয়ার্ডে গিয়ে দেখেন সেখানে জাহাজ নেই। আমাদের ধারণা জাহাজটি তারা অন্যত্র সরিয়ে ফেলেছে অথবা কেটে বিক্রি করে ফেলেছে। জাহাজটির বর্তমান বাজারমূল্য ৭ কোটি টাকারও বেশি। এ বিষয়ে আমরা গত ৩০ মে গজারিয়া থানাতে লিখিত অভিযোগ করেছি।’

গজারিয়া থানার ওসি মো. রাজিব খান বলেন, ‘উভয় পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। বিষয়টি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও জানে। আমাদের তদন্ত কার্যক্রম চলছে। বিস্তারিত পরে বলতে পারব।’

এদিকে জাহাজের নিবন্ধন দেওয়া প্রতিষ্ঠান নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নৌ বাণিজ্য দপ্তরের সবশেষ তালিকা ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত জাহাজটির মালিকানা দেখানো হয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন।

ক্রাব হিসেবে বেশ কয়েক বছর আগে বিক্রি করা একটি জাহাজের মালিকানা এখনো কেন সরকারি প্রতিষ্ঠানের নামে এটা জানতে নৌ বাণিজ্য দপ্তরের প্রিন্সিপাল অফিসার এবং রেজিস্টার অব বাংলাদেশ শিপস ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা নৌযানের নিবন্ধন দিয়ে থাকি। আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী ‘ট্যাঙ্কার টেকনাফের’ মালিকানা এখনো বিআইডব্লিউটিসির। প্রতিষ্ঠানটি যদি কোনো জাহাজ স্ক্রাব হিসেবে বিক্রি করতে চায়, তাহলে আগে আমাদের কাছ থেকে তাদের প্রত্যয়ন নিতে হবে এবং জাহাজটি স্ক্রাব হিসেবে বিক্রি করা হয়েছে কি না এ মর্মে লিখিতভাবে জানাতে হবে।’

সাব্বির মাহমুদ আরও বলেন, ‘এ নৌযানটির ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসি আমাদের কাছ থেকে কোনো প্রত্যয়ন নেয়নি এবং স্ক্রাব হিসেবে বিক্রির বিষয়টি আমাদের জানানো হয়নি। তারা কেন এমনটি করল আমি খবর নিয়ে দেখছি।’

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান ড. এ কে এম মতিউর রহমানের টেলিফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, জাহাজটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা শিপবিল্ডিংয়ের তথ্য বলছে, ৫৫ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৯ মিটার প্রস্থ বিশিষ্ট জাহাজটি নির্মাণ করা হয় ১৯৪৪ সালে। সেখানে জাহাজটির বর্তমান অবস্থা পরিত্যক্ত অথবা হারিয়ে যাওয়া দেখানো হয়ে। তবে নৌ বাণিজ্য দপ্তরে তালিকায় জাহাজটির নির্মাণ সাল ১৯৪৫ দেখানো হয়েছে।


পরিচয় মিলেছে ময়মনসিংহে চার টুকরো যুবকের মরদেহের

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ময়মনসিংহ ব্যুরো

ময়মনসিংহে সেতুর নিচ থেকে দুই পা ও মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় উদ্ধার করা যুবকের মরদেহের পরিচয় মিলেছে। নিহতের নাম ওমর ফারুক সৌরভ (২৩)। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইগবাজ ইউনিয়নের তারাটি গ্রামে।

আজ রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি দৈনিক বাংলাকে নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, বিকেলে নিহতের মামা পরিচয়ে এসে একজন জানিয়েছে নিহতের নাম সৌরভ। তিনি ঢাকার সাভারে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। সৌরভ ঢাকার গুলশানে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন বলেও জানা গেছে।

পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

সকাল ১০টার দিকে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সদর উপজেলার মনতলা এলাকায় সুতিয়া নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ((ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেন জানান, সুতিয়া নদীর ওপর সেতুর নিচে একটি কালো ট্রলি ব্যাগ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন। পরে থানা-পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ট্রলি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। মরদেহের মাথা ও দুই পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আলাদা পলিথিনে মোড়ানো ছিল। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটনসহ জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

বিষয়:

গজারিয়ায় তিন মাসে চার হত্যাকাণ্ড

  মূল অভিযুক্তরা ধরাছোঁয়ার বাইরে
আপডেটেড ২ জুন, ২০২৪ ০৮:৫৯
গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় গত তিন মাসে চারটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন এবং মূল অভিযুক্তদের আটক করতে পারেনি পুলিশ। এ অবস্থায় উপজেলায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেড়ে যাওয়া, পুলিশের ওপর হামলাসহ মানুষের আইন হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এতে উৎকণ্ঠা বাড়ছে সচেতন মহলে।

গজারিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত সময়ে উপজেলায় চারটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিভিন্ন স্থান থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে গত ৮ মার্চ পোড়াচক বাউশিয়া গ্রাম-সংলগ্ন নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় ডালিম দেওয়ান নামে একজনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে তাকে হত্যা করা হয় বলে জানা যায়। গত ৭ এপ্রিল ভবেরচর ইউনিয়নের পৈক্ষারপাড় গ্রাম-সংলগ্ন হিজলতলা বিলের জোড়া পুকুর এলাকা থেকে অর্ধগলিত এক পুরুষের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গত ১৫ এপ্রিল উপজেলার টেংগারচর ইউনিয়নের বৈদ্দারগাঁও গ্রামে ভুট্টাখেতের পাশ থেকে অজ্ঞাত এক তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল এবং মরদেহের পাশ থেকে রক্তমাখা একটি কাঁচি উদ্ধার করা হয়। গত ২৮ এপ্রিল নিখোঁজের দুই দিন পর মেঘনা নদীর নয়ানগর এলাকা থেকে বিল্লাল নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার দুই বন্ধু তাকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

নিহত ডালিম দেওয়ানের বড় ভাই আমিনুল দেওয়ান বলেন, ‘এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজন আটক হলেও আমরা পুলিশের ও রকম কোনো তৎপরতা দেখছি না। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে নিতে আগ্রহ নেই তাদের। এ অবস্থায় আমরা একেবারে হতাশ হয়ে পড়েছি।’

নিহত বিল্লালের স্ত্রী খায়রুন নেসা লাকী বলেন, বিল্লাল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত, তা এখন পানির মতো পরিষ্কার। বিষয়টি নৌ-পুলিশ তদন্ত করছে। এ ঘটনায় পুলিশ এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করতে না পারায় হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।

হত্যাকাণ্ডের বিষয় নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে মুন্সীগঞ্জ নাগরিক সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সুজন হায়দার জনি বলেন, ‘ন্যায় বিচার না পেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আস্থা হারাবে মানুষ। আর সাধারণ মানুষের আইন হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মূল দায়িত্ব মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া। অপরাধ প্রবণতা কমাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা আরও বাড়াতে হবে।’

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘ডালিম দেওয়ান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শামীমসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদিকে বিল্লাল হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউকে এখনো পর্যন্ত আটক করা যায়নি। অভিযুক্তদের আটকে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব খান বলেন, ‘এগুলো বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা। এতে সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার অবনতি ঘটছে, তা বলা যাবে না। চারটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুটি মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার হওয়ায় সেগুলো নৌ-পুলিশ দেখছে। আর বাকি দুটি আমরা দেখছি। আমরা যে দুটি মামলার তদন্ত করছি, তাদের কারও পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিহত অজ্ঞাত তরুণীর ফিঙ্গারপ্রিন্ট এনআইডি সার্ভারের সঙ্গে ম্যাচ করছে না। অন্যদিকে অজ্ঞাত পুরুষের মরদেহটি অর্ধগলিত হওয়ায় ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাদের পরিচয় উদ্ঘাটন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা।’


চালু হলো বেনাপোল-মোংলা রেল যোগাযোগ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জুন, ২০২৪ ২১:৩৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনা-মোংলা রেলপথ চালুর মাধ্যমে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে এ পুরো অঞ্চলে। উদ্বোধনের সাত মাস পর শনিবার সকাল ১০টায় খুলনা-মোংলা রেলপথ যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। মোংলা কমিউটার নামে ট্রেনটি বেনাপোল রেলস্টেশন থেকে ৫৪৯ যাত্রী নিয়ে নিজ গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। এর আগে সকালে ট্রেনটি খুলনা থেকে ছেড়ে ৯টা ২৫ মিনিটে বেনাপোল জংশনে পৌঁছায়। সেখান থেকে যাত্রী নিয়ে সকাল ১০টায় মোংলার উদ্দেশে যাত্রা করে ট্রেনটি।

স্থানীয়রা বলছেন, সরকারের এমন সিদ্ধান্তে এ অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে। এ পথে ট্রেন চলাচল শুরুর মধ্য দিয়ে তাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্নও পূরণ হলো। দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে মোংলা কমিউটার ট্রেনটি খুলনার মোহাম্মদ নগর স্টেশনে পৌঁছে। পাঁচ মিনিট বিরতি দিয়ে দুপুর ১টার দিকে যাত্রী নিয়ে মোংলার উদ্দেশে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। খুলনার মোহাম্মদ নগর রেলস্টেশনের টিকিট বুকিংয়ের দায়িত্বে থাকা মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘আমরা খুবই আনন্দিত। আজকে নতুন রেলপথে ট্রেন চালু হচ্ছে। স্টেশনে জনতা ও যাত্রীদের অনেক ভিড়। যাত্রীদের জন্য মোংলা থেকে বেনাপোল যাওয়ার ও বেনাপোল থেকে মোংলা গমনাগমনে সুবিধা হলো।’

এ রুটে ট্রেনটি মোট আটটি স্টেশনে দাঁড়াবে। খুলনার ফুলতলা পর্যন্ত এর সর্বোচ্চ গতি থাকবে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, এরপর ফুলতলা থেকে মোংলা নতুন রেলপথে এ ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি থাকবে ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার। খুলনা-মোংলা নতুন এই রুটে ট্রেনটি যাত্রাবিরতি করবে ফুলতলা রেলওয়ে স্টেশন, আড়ংঘাটা রেলওয়ে স্টেশন, মোহম্মদনগর রেলওয়ে স্টেশন, কাটাখালী রেলওয়ে স্টেশন, চুলকাটি রেলওয়ে স্টেশন, ভাগা রেলওয়ে স্টেশন, দিগরাজ রেলওয়ে স্টেশন ও মোংলা রেলওয়ে স্টেশনে।

এ ছাড়া বেনাপোল থেকে ট্রেন ছাড়ার পর নাভারণ, ঝিকরগাছা, যশোর জংশন, রূপদিয়া, সিঙ্গিয়া, চেঙ্গুটিয়া, নওয়াপাড়া, বেজেরডাঙ্গা, ফুলতলা, আড়ংঘাটা, মোহাম্মদনগর, কাটাখালি, চুলকাটি বাজার, ভাগা ও দিগরাজ স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিয়ে মোংলায় যাবে। সূচি অনুযায়ী ট্রেনটি মোংলায় পৌঁছাবে দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে। এরপর মোংলা থেকে ট্রেনটি ছাড়বে দুপুর ১টায় এবং বেনাপোলে পৌঁছাবে বিকাল সাড়ে ৪টায়। মঙ্গলবার ছাড়া সপ্তাহের অন্যান্য দিন এ রুটে একই সময়ে ট্রেন চলাচল করবে। ট্রেনটিতে মোট আসন সংখ্যা ৭১৬।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে একনেকে অনুমোদনের পর এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। নানা জটিলতায় পাঁচ দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে কাজ শেষে ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর প্রকল্পটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারত সরকারের ঋণ সহায়তা চুক্তির আওতায় খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এলঅ্যান্ডটি এবং ইরকন ইন্টারন্যাশনাল। ৯১ কিলোমিটার নতুন এ রেলপথে রূপসা নদীর ওপর ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি রেলসেতু নির্মাণ করা হয়। এ ছাড়া ১১টি প্ল্যাটফর্ম, ১০৭টি কালভার্ট, ৩১টি ছোট ব্রিজ ও ৯টি আন্ডারপাসের নির্মাণ সম্পন্ন। এরই মধ্যে চার দফায় পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলেছে এ রুটে।


বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটি'র খুলনা বিভাগীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রক্তদানের কার্যক্রমকে ও রক্তদানে উদ্বুদ্ধকরন বার্তা আরও ব্যাপক হারে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটি'র খুলনা বিভাগের উদ্যোগে কুষ্টিয়া জেলার শিল্পকলা একাডেমিতে বিভাগীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় এর উদ্বোধন করেন বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটির খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়ক জিয়াউল হাসান আমিন।

উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা. আকুল উদ্দিন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘যেসকল মানুষ এমন মহৎ কাজে যুক্ত থাকে তাদেরকে আমি শ্রদ্ধা করি, ভালোবাসি। বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটির সকল বীরকে জানাই স্যালুট। ইনশাআল্লাহ্ বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটির মাধ্যমে আমরা সারা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে একদিন।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটির সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক আনিসুজ্জামান নাহিদ এবং সাবেক প্রধান সমন্বয়কসহ বিভিন্ন বিভাগীয় সমন্বয়ক গণ।

উল্লেখ্য, এদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৩০০ এর অধিক স্বেচ্ছাসেবীকে নিয়ে এ বিশাল আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।


রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন নিয়ন্ত্রণে, পুড়ল ২ শতাধিক ঘর

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জুন, ২০২৪ ১৫:৫১
কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিটের দেড় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আজ শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৮ এপিবিএনের অধিনায়ক মো. আমির জাফর।

তিনি বলেন, ‘দুপুরে ১৩ নম্বর তানজিমারখোলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাঁঠালতলী বাজারে আকস্মিক আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। মুহুর্তেই আগুন বাজারসহ ক্যাম্পের আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশ তাৎক্ষণিক উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে অবহিত করেন। উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন। এরমধ্যে কক্সবাজার, রামু ও টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনকে খবর দেওয়া হয়। বেলা আড়াইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আগুন লাগার কারণ এখনো অজানা।’

তিনি আরও জানান, আজ শনিবার দুপুর ১টার দিকে ক্যাম্পের ডি-৩ ব্লকের কাঁঠালতলী বাজারে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। প্রাথমিকভাবে ২ শতাধিক রোহিঙ্গাদের ঘর ও এনজিও সংস্থার কেন্দ্র পুড়ে গেছে। হতাহতের কোন খবর এ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

গত ২৪ মে একই ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। এতে হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ভস্মিভূত হয় প্রায় ৩ শতাধিক বসত ঘরসহ নানা স্থাপনা।

বিষয়:

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের অগ্নিকাণ্ড

উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ১৩ নম্বর তানজিমারখোলা ক্যাম্পের ডি-৩ ব্লকের কাঁঠালতলী বাজারে শনিবার দুপুরে আগুন ধরে। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জুন, ২০২৪ ১৪:৫০
কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারে উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবার আগুনের ঘটনা ঘটেছে।

উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ১৩ নম্বর তানজিমারখোলা ক্যাম্পের ডি-৩ ব্লকের কাঁঠালতলী বাজারে শনিবার দুপুর ১ দিকে আগুন ধরে।

গত ২৪ মে একই ক্যাম্পে আগুন ধরেছিল। সে আগুনে কেউ হতাহত না হলেও ভস্মীভূত হয় বসতঘরসহ তিন শতাধিক স্থাপনা।

তানজিমারখোলা ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক আমির জাফর আগুন ধরার বিষয়টি জানিয়েছেন।

কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, তা তাৎক্ষণিক নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।

স্থানীয়দের বরাতে আমির জাফর বলেন, ‘দুপুরে ১৩ নম্বর তানজিমারখোলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাঁঠালতলী বাজারে আকস্মিক আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। মুহূর্তেই আগুন কাঁঠালতলী বাজারসহ ক্যাম্পের আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে।

‘খবর পেয়ে এপিবিএন তাৎক্ষণিক উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে অবহিত করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।’

আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি জানিয়ে ৮ এপিবিএনের অধিনায়ক বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে কক্সবাজার, রামু ও টেকনাফ ফায়ার স্টেশনকে খবর দেয়া হয়েছে।’

বিষয়:

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: বিদ্যুৎ ফিরে পেলেন ৯৯ শতাংশ গ্রাহক

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে প্রায় ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভৌগলিক এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিলেন প্রায় ৩ কোটি ৩ লাখ ৯ হাজার ৭০২ গ্রাহক। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এই গ্রাহকদের ৯৯ শতাংশকে ইতোমধ্যে পূনঃসংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) ৩ কোটি ২ হাজার গ্রাহকক, যা মোট বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন গ্রাহকের ৯৯ শতাংশ- ইতোমধ্যে পূনঃসংযোগ পেয়েছেন। অবশিষ্ট দুই লাখ ৮০ হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ পূনঃসংযোগ দেওয়ার কাজ চলছে বলেও জানায় বিদ্যুৎ বিভাগ।

বিদ্যুৎ বিভাগ আরও জানায়, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) শুক্রবার ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সব গ্রাহককে পূনঃসংযোগ প্রদান সম্পন্ন করেছে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বাকি ১ শতাংশ গ্রাহকের সার্ভিস ড্রপ ও আনুষঙ্গিক মালামাল প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যথাসম্ভব দ্রুততার সঙ্গে সংযোগের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রাথমিক তথ্যানুসারে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ১০৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ৮০টি সমিতির মধ্যে ৬০টি সমিতির শতভাগ গ্রাহককে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। সমিতি, আরইবি ও ঠিকাদার জনবলসহ বর্তমানে প্রায় ১৭ হাজার জনবল মাঠে কাজ করছে।

বিষয়:

বেনাপোল-মোংলা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু আজ

আপডেটেড ১ জুন, ২০২৪ ১১:২৪
বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

বহুল আকাঙ্ক্ষিত বেনাপোল থেকে মোংলাগামী ট্রেনের যাত্রা শুরু হচ্ছে আজ ১ জুন শনিবার। গত বছরের ১ নভেম্বর খুলনা-মোংলা পর্যন্ত নতুন রেললাইনের উদ্বোধন করা হয়েছিল। উদ্বোধনের ৭ মাস পর এ রুটে আজ বেনাপোল থেকে খুলনার ফুলতলা হয়ে মোংলা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে।

বুধবার রেলওয়ে পশ্চিমজোনের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মো. আব্দুল আওয়াল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, ১ জুন শনিবার বেনাপোল-মোংলা রুটের ট্রেনটি সকাল সোয়া ৯টায় বেনাপোল থেকে ছেড়ে যাবে এবং দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে মোংলা পৌঁছাবে। একই ট্রেন মোংলা থেকে দুপুর ১টায় ছেড়ে বিকেল সাড়ে ৪টায় বেনাপোল পৌঁছাবে। এই ট্রেনের সাপ্তাহিক বিরতি থাকবে মঙ্গলবার।

জানা গেছে, বেনাপোল থেকে মোংলার দূরত্ব প্রায় ১৩৮ কিলোমিটার। নতুন এই রুটটির কার্যক্রম সম্পন্ন করতে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।

ট্রেনটি বেনাপোল থেকে ছাড়ার পর নাভারন, ঝিকরগাছা, যশোর জংশন, রূপদিয়া, সিঙ্গিয়া, চেঙ্গুটিয়া, নওয়াপাড়া, বেজেরডাঙ্গা, খুলনার ফুলতলা, আড়ংঘাটা, মোহাম্মদনগর, কাটাখালি, চুলকাটি বাজার, ভাগা ও দিগরাজ স্টেশনে যাত্রাবিরতির পর মোংলায় পৌঁছাবে।

ওই চিঠিতে আরও জানানো হয়েছে, বেনাপোল থেকে খুলনা চলাচলের সময় এটির নাম বেতনা এক্সপ্রেস ঠিক রেখে খুলনা-মোংলা রুটে চলাচলের সময় এটি মোংলা এক্সপ্রেস নামে চলবে।

খুলনা-মোংলা রেলপথের নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান জানান, বর্তমানে খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত রেললাইনে ট্রেন চলাচলের জন্য উপযোগী রয়েছে। ইতোমধ্যে ৮ স্টেশনের আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পৌঁছে গেছে।

রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার অসীম কুমার তালকুদার জানান, খুলনা-মোংলা রুটের জন্য এখনো জনবল নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি। দেশের বিভিন্ন রেলওয়ে স্টেশন থেকে জনবল এনে আপাতত কমসংখ্যক জনবল দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এই রুটে ট্রেন চলাচলের কোনো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে না বলে তিনি জানান।


চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে স্পেশাল ট্রেন চলবে ঈদুল আজহায়

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সম্প্রতি বন্ধ ঘোষণা করা কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনটি আবারও চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে। তবে শুধুমাত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে স্পেশাল ট্রেন হিসেবেই এটি চালু হবে।

আজ শুক্রবার বিকেলে রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) সরদার সাহাদাত আলী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইঞ্জিন ও কর্মী সংকটে বন্ধ রাখা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে স্পেশাল ট্রেনটি আবারও বিশেষ ট্রেন হিসেবে চলাচলের পরিকল্পনা রয়েছে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১২ জুন থেকে পুনরায় চালু হতে যাওয়া বিশেষ ট্রেনটি চলবে ১ সপ্তাহ।

এর আগে মঙ্গলবার (২৮ মে) রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সহকারী প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা (এসিওপিএস) কামাল আখতার হোসেন সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে ট্রেন বন্ধের নির্দেশনা জারি করা হয়।


কাল থেকে সুন্দরবনে তিন মাস ঢোকা নিষেধ

আপডেটেড ১ জুন, ২০২৪ ১২:১৯
বাগেরহাট প্রতিনিধি

বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের নদী-খালে মাছ ও বণ্যপ্রাণীদের প্রজনন মৌসুম হওয়ার কারণে ১ জুন থেকে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস সুন্দরবনে প্রবেশ করায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এ সময় পর্যটক, জেলে-বাওয়ালীসহ সাধারণ মানুষের চলাচলও বন্ধ থাকবে।

বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সুন্দরবনে মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সমন্বিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী, ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছরের ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দুই মাস সুন্দরবনের সকল নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ থাকে। এরপর ২০২২ সালে মৎস্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে নিষেধাজ্ঞার সময় এক মাস বাড়িয়ে ১ জুন থেকে করা হয়। সেই থেকে প্রতি বছরের এই তিন মাস সুন্দরবনের নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ রাখা হয়।

বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মো. নুরুল করিম বলেন, ‘প্রতি বছর জুন থেকে আগস্ট, এই তিন মাস সুন্দরবনে মাছ ও বণ্যপ্রাণীর প্রজনন মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। এই তিন মাস সুন্দরবনের নদী ও খালে থাকা বেশিরভাগ মাছ ডিম ছাড়ে। তাই এ সময়ে সুন্দরবনে পর্যটকসহ জেলে-বাওয়ালীদের বনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকে।’

তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে সুন্দরবনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আশা করছি, তিন মাসের এ নিষেধাজ্ঞায় সুন্দরবন তার ক্ষয়-ক্ষতি কাটিয়ে উঠে জীববৈচিত্র্য নিয়ে আবারও আগের রুপে ফিরবে।’

এদিকে, তিন মাসের নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে পড়েন সুন্দরবনের জেলে, বাওয়ালী ও পর্যাটন খাতের সঙ্গে জড়িতরা।

সুন্দরবন-সংলগ্ন চিলা এলাকার জেলে জামাল শেখ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে বন থেকে বাড়িতে ফিরে আসি। ঝড়ের কারণে মাছ ধরতে পারিনি। এখন তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। ছেলে-মেয়েদের নিয়ে কীভাবে সংসার চালাব?’

তিনি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার এ সময়ে সাগরে মাছ ধরা জেলেরা চাল পেলেও আমরা কিছুই পাই না। তাই সরকারের কাছে দাবি জানাই, আমাদেরও সহায়তা দেয়া হোক।’

সুন্দরবনের পর্যাটকবাহী বোটের চালক কালাম বলেন, ‘পর্যাটক না আসলে আমাদের বোট বন্ধ। নিষেধাজ্ঞার এ সময় আমাদের খেয়ে না খেয়ে দিন পার করতে হয়।’


দুবাইয়ে নারী পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৩১ মে, ২০২৪ ১৯:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে ও বাসা-বাড়িতে কাজ পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত করার উদ্দেশ্যে নারী পাচার করে আসছে একটি চক্র। এমন অভিযোগে চক্রের মূলহোতাসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৩।
গ্রেপ্তাররা হলেন, ইতি বেগম (৩৬) ও তার স্বামী ওমর ফারদিন খন্দকার ওরফে আকাশ (৩০)। র‌্যাব বলছে গ্রেপ্তার ইতি বেগম নারী পাচার চক্রের মূলহোতা এবং তার স্বামী ওমর ফারদিন খন্দকার ওরফে আকাশ তার প্রধান সহযোগী। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে নারায়নগঞ্জের বন্দর বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বিকেলে র‌্যাব-৩ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এএসপি মো. শামীম হোসেন দৈনিক বাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানের বরাতে তিনি বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের জনশক্তি রপ্তানীর কোন বৈধ লাইসেন্স নেই। তারা সামাজিক ও আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারের যুবতী ও কিশোরী নারীদেরকে দুবাইয়ের বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে ও বাসা-বাড়িতে উচ্চ বেতনে চাকুরী এবং বিনামূল্যে থাকা খাওয়ার লোভনীয় সুযোগ-সুবিধার কথা বলে ফাঁদে ফেলেন।
দেশের বিভিন্ন এলাকার অনেক দরিদ্র নারী টাকা পয়সা ছাড়া দুবাই গিয়ে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী ও স্বচ্ছল হওয়ার আশায় দুবাই যেতে রাজি হন। এই প্রলোভনে যারা রাজি হয় তাদেরকে চক্রটির মূলহোতা ইতি বেগমের দুবাই প্রবাসী বোন শিউলী বেগমের কাছে পাঠানো হয়। শিউলী বেগম মূলত দুবাইয়ে পাচার করা এসব নারীদের এয়ারপোর্ট থেকে রিসিভ করে নিয়ে যান। পরবর্তীতে শিউলী বেগম তার সহযোগীদের নিয়ে পাচারকৃত নারীদের উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে অসামাজিক কাজে বাধ্য করেন।
এদের মধ্যে কেউ অসামাজিক কাজে লিপ্ত হতে অস্বীকার করলে ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে গেলে তাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং দেশে থাকা পাচারকৃত নারীর পরিবারকে ভয়-ভীতি দেখায়।
শামীম হোসেন আরও জানান, গত ৮ মার্চ চক্রটি বন্দর থানার ঝাউতলা এলাকার দরিদ্র পরিবারের একজন নারীকে রেস্টুরেন্টে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে দুবাইতে পাচার করে। দুবাই পৌঁছার পর কথা অনুযায়ী কাজ না পেয়ে এবং নির্যাতনের মাধ্যমে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হতে বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগী নারী তার পরিবারকে বিষয়টি জানান। একইভাবে দুবাইতে পাচার করা একাধিক নারীকে নির্যাতনের মাধ্যমে অসামাজিক কাজে বাধ্য করা হচ্ছে বলেও ভুক্তভোগী নারী তার পরিবারকে জানান।
ভুক্তভোগী ওই নারীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার সকালে বন্দর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এই নারী পাচারকারী চক্রের দুইজনকে গ্রেপ্তা করা হয়। চক্রের পলাতক অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানান এ র‌্যাব কর্মকর্তা।


মিয়ানমারের দুই মাদক কারবারিকে আটক করল বিজিবি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

কক্সবাজারের টেকনাফে মেরিন ড্রাইভ সড়ক সংলগ্ন নোয়াখালীয়া পাড়ায় অভিযান চালিয়ে ৩ কেজি ১০০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইসসহ মিয়ানমারের দুই মাদক কারবারিকে আটক করেছে বার্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের আটক করা হয়। আজ শুক্রবার বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন- মো. আলম (১৯) ও মো. আয়াছ (২১)। তারা দু’জনই মিয়ানমারের মংডু জেলার বাসিন্দা।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) একটি টহলদল মেরিন ড্রাইভ সড়ক সংলগ্ন নোয়াখালীপাড়ায় চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন তল্লাশি শুরু করে।

এক পর্যায়ে শাহপরীরদ্বীপ হতে হাজমপাড়াগামী একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চেকপোস্টের কাছে এলে তল্লাশির জন্য থামানো হয়। অটোরিক্সার পেছনের সিটে বসা দুই যাত্রীর আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাদের দেহ তল্লাশি করা হয়।

এসময় তাদের হাতে থাকা ব্যাগের ভেতর থেকে ৩ কেজি ১০০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস উদ্ধার করা হয়।

জব্দকৃত ক্রিস্টাল মেথ আইসসহ আটককৃত ব্যক্তিদেরকে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বিষয়:

banner close