অভাবের তাড়নায় ২০১২ সালে ১৫ বছর বয়সী মেয়ে পারভীন আক্তার সুমিকে কাজের জন্য ননদের মেয়ে ফাতেমা বেগমের কাছে পাঠিয়েছিলেন মা খোদেজা বেগম। তারপর পেরিয়ে গেছে ১০ বছর। দীর্ঘ সময়ে মেয়ে সুমির সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারেননি খোদেজা। তার অভিযোগ, মেয়ের খোঁজ নিতে ফাতেমার বাড়িতে গেলে গালাগাল করে তাড়িয়ে দেন ফাতেমা ও তার স্বামী শের আলী। কোনোভাবেই তারা মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেন না। মেয়েকে ভারতের কোনো চক্রের কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে বলেও দাবি তার। মেয়ের সন্ধান পেতে ষাটোর্ধ্ব খোদেজা বেগম এখন পাগলপ্রায়।
বাগেরহাট সদর উপজেলার দেপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবুল খাঁর স্ত্রী খোদেজা বেগম জানান, সুমি ছাড়াও তার আরও দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। ছেলে আল আমিন ও স্বামী আবুল খাঁ ভ্যান চালান। বিয়ের পর দুই মেয়ে রয়েছে স্বামীর বাড়িতে।
খোদেজা ও তার পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত ফাতেমা ও তার স্বামী শের আলী বর্তমানে খুলনা শহরের সেনহাটি ২ নম্বর ঘাটে বসবাস করেন। তারা সুমিকে ভারতে পাচার করে দিয়েছেন। খোদেজা বলেন, ‘ফাতেমা ও তার স্বামী আমার মেয়েকে ফরিদপুরের জাকির ও খুলনার আজমলের মাধ্যমে ভারতে দালাল চক্রের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। ফাতেমার কাছে মেয়ের খোঁজ নিতে গেলে আমাকে গালিগালাজ করে বলে, বিয়ে করে তোমার মেয়ে ফিরে আসবে। বেশি জ্বালাবা না। তাইলে কিন্তু মেয়েকে কখনো ফিরে পাবা না।’
সুমির বাবা আবুল খাঁ বলেন, ‘ফাতেমা বেগম আমার বোনের মেয়ে। মামা হয়ে আমি ওর পা ধরে কান্না করেছি মেয়েকে ফিরে পাওয়ার জন্য। তার পরও সে আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দেয়নি। বরং এখন গেলে আমাদের গালিগালাজ করে ফাতেমা ও তার স্বামী শের আলী।’ তবে ১০ বছরেও ফাতেমা দম্পতির বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নিতে কোথাও কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি খোদেজা ও তার পরিবার।
খোদেজা বেগমের প্রতিবেশী সাফিয়া বেগম বলেন, ‘ফাতেমা এসে সুমিকে নিয়ে গেল। আর ফিরে আসেনি। শুনেছি ভারতে পাচার করে দিয়েছে। ১০ বছরে কাউকে কখনো একটা ফোনও করেনি মেয়েটা।’
আরেক প্রতিবেশী নাঈম হাওলাদার বলেন, ‘মেয়ের শোকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এই নারী। দারিদ্র্যের কারণে তিনি এক সময় মানুষের বাড়িতে কাজ করতেন। এখন আর কাজ করতে পারেন না। সারা দিন শুধু মেয়ের জন্য বিলাপ করেন। আর পরিচিত-অপরিচিত কোনো মানুষের সঙ্গে দেখা হলেই মেয়েকে ফেরানোর জন্য সহযোগিতা চান।’
এ বিষয়ে গোটাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ শমসের আলী বলেন, ‘আবুলের পরিবারটি খুবই দরিদ্র। মানুষের বাড়িতে কাজ করে কোনোমতে দিন পার করে। বেশ কিছুদিন আগে মেয়ের খোঁজ পেতে আমার কাছে খোদেজা বেগম ও আবুল এসেছিল। আমি তাদের লিগ্যাল এইডের একজন আইনজীবীর সঙ্গে যোগোযোগ করিয়ে দিয়েছি, যেন দরিদ্র পরিবারটি বিনাপয়সায় আইনি সহায়তা পায়।’
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে কখনো কেউ আসেনি। আপনার কাছ থেকেই জানলাম বিষয়টি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেব।’
বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়কারী পুলিশ পরিদর্শক এস এম আশরাফুল আলম জানান, বিষয়টি তাদের জানা নেই। ভুক্তভোগী পরিবারও কিছু জানায়নি। লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য খোদেজা বেগমের দেয়া অভিযুক্ত ফাতেমা ও আজমলের মোবাইল নম্বরে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।
গত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে যাতায়াতকারী যানবাহনগুলোর কাছ থেকে মোট ২ কোটি ১৩ লাখ ৪৩ হাজার টাকার টোল আদায় করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিস সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাত ১২টা থেকে গত শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ২৩ হাজার ২৭৬টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। যাদের কাছ থেকে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ১৩ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব অংশে ১১ হাজার ২৯৮টি যানবাহন পারাপার হয়। এ থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪ লাখ ২৪ হাজার ৬০০ টাকা। সিরাজগঞ্জে সেতুর পশ্চিম অংশে ১১ হাজার ৯৭৮টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৯ লাখ ১৮ হাজার ৪০০ টাকা।
বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, ‘অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে মহাসড়কে পশুবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ আগের তুলনায় বেড়েছে। কিন্তু স্বাভাবিক গতিতেই যানবাহন চলাচল করছে।’
আর মাত্র ৮ দিন পরেই পবিত্র ঈদ উল আযহা। ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে কোরবানির পশুবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ আগের তুলনায় বেড়েছে। কিন্তু স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের কোথাও আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত যানজটের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
শেষ হলো স্থগিত হওয়া ১৯টি উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ। আজ রোববার সকাল ৮টায় এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই ১৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষ হলো। এর আগে চার ধাপে ভোট সম্পন্ন করেছে ইসি।
এবারে নেত্রকোণার খালিয়াজুরী, বাগেরহাটের শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও মোংলা, খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া, বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া, পটুয়াখালীর পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকী, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, ভোলার তজুমদ্দিন ও লালমোহন এবং বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা উপজেলায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।
বাকি জেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হলেও ভোটার উপস্থিতি কম ছিল।
এই ১৯টি উপজেলায় তৃতীয় ধাপে ২৯ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবের কারণে তা স্থগিত করা হয়। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এগুলোতে চেয়ারম্যান পদে ১১৯, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩২ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৯ জনসহ মোট ৩৩০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। ইসি জানিয়েছে, ১৭৯টি কেন্দ্রে ভোটের আগের দিন এবং ১ হাজার দুইটি কেন্দ্রে ভোটের দিন অর্থাৎ আজ সকালে ব্যালট গেছে।
মিয়ানমারে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন ৪৫ জন বাংলাদেশি।
বঙ্গোপসাগরের শূন্যরেখার জলসীমায় আসা মিয়ানমারের নৌবাহিনীর জাহাজ ইউএমএস চিন ডুইন থেকে এসব বাংলাদেশিকে নিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি টাগবোট বা ছোট্ট জাহাজ রোববার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর মোহনা সংলগ্ন নুনিয়াছড়াস্থ বিআইডব্লিটিএ’র জেটি ঘাট এসে পৌঁছে।
একই সময় অপর একটি টাগবোটে করে ঘাটে আসেন মিয়ানমারের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
এর আগে সকাল ৭টার দিকে জেটি ঘাটে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আনা হয় মিয়ানমারে সংঘাতের জেরে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ১৩৪ জন বিজিপি ও সেনা সদস্যকে।
টানা ৩ ঘণ্টার বেশি সময় নানা প্রক্রিয়া শেষে ১৩৪ জন বিজিপি ও সেনা সদস্যকে গ্রহণ করে বাংলাদেশের নৌবাহিনীর সেই দুটি টাগবোটে করে এসে নিয়ে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিআইডব্লিটিএ ঘাট থেকে যাত্রা করে। তাদের সাগরে জলসীমার শূন্যরেখায় অবস্থানকারী মিয়ানমারের নৌবাহিনীর জাহাজে তুলে দেয়া হবে। সেখান থেকে জাহাজটি মিয়ানমারের উদ্দেশে রওনা দেবে।
বিজিবি ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের সূত্র জানিয়েছে, রোববার সকাল ৭টার দিকে মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনা সদস্যদের চারটি বাসে করে কক্সবাজার শহরের বিআইডব্লিউটিএর জেটি ঘাটে নিয়ে আসা হয়।
এর মধ্যে মিয়ানমারের কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা শেষে দেশে ফেরত আসা ৪৫ বাংলাদেশি নাগরিককে আনা হয় একই স্থানে। সেখানে চলে উভয় পক্ষের মধ্যে হস্তান্তর প্রক্রিয়া। পুরো কার্যক্রম শেষে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েসহ প্রতিনিধি দলকে বিদায় জানান উপস্থিত কর্মকর্তারা।
এ প্রক্রিয়া নিয়ে মিয়ানমার প্রতিনিধি দল বা বিজিবির কোনো কর্মকর্তাই সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলতে রাজি হননি, তবে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন জানান, বিভিন্ন সময় মিয়ানমারের বাহিনীর হাতে আটক শেষে কারাভোগ শেষ করা ৪৫ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। ফেরত আসাদের মধ্যে কক্সবাজার, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলার বাসিন্দা রয়েছেন। একই সঙ্গে মিয়ানমারে সংঘাতের জেরে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ১৩৪ জন বিজিপি ও সেনা সদস্যকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এর আগে দুই দফায় ২৫ এপ্রিল ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ৬১৮ জনকে ফেরত পাঠানো হয়। একই সঙ্গে গত ২৫ এপ্রিল মিয়ানমার থেকে কারাভোগ শেষে ফেরত আনা হয়েছে আরও ১৭৩ বাংলাদেশিকে।
গত ২৫ এপ্রিল মিয়ানমার থেকে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরে ছিলেন ১৭৩ জন বাংলাদেশি। একই সঙ্গে ওইদিন বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ২৮৮ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি ও সেনা সদস্যকে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।
তারও আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ৩৩০ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে স্বদেশে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।
এদিকে কারাভোগ শেষে দেশে ফেরা ৪৫ জনকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহাফুজুল ইসলাম জানান, ৪৫ জনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে রেখে যাচাই-বাছাইয়ের কার্যক্রম চলছে।
তিনি আরও জানান, মিয়ানমার থেকে ফেরত আসাদের মধ্যে কোনো আসামি থাকলে তাদের আইনি প্রক্রিয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হবে। না হয় স্বজনদের হস্তান্তর করা হবে। এটি সম্পন্ন করতে কিছু সময় লাগবে।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কোরবানির হাট মাতাবে সিন্দবাদ, আলাল, জায়েদখান, মেসি, রোনালদো, সম্রাট, সুলতান, সাদা বাবু, কালো বাবুসহ বিভিন্ন নামের বিশালদেহী সব গরু। সোনারগাঁয়ের কোরবানি হাটে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হলো এসব গরু। গরুগুলো এক নজর দেখতে প্রতিনিয়ত মানুষ ভিড় জমাচ্ছে খামারগুলোতে। নানা জাতের গরুর চাহিদার সঙ্গে বাহারি সব নামও নজর কাড়ছে ক্রেতাদের।
উপজেলার পশুর হাট ও ফার্মগুলো ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে ও দামের দিক দিয়ে সেরা অবস্থানে আছে সিন্দবাদ ও আলাল নামে আমেরিকান ফ্লাকবি জাতের ষাঁড় দুটি। এরপর আলোচনায় আছে জায়েদ খান, মেসি, রোনালদো।
সোনারগাঁ ডেইরি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, সিন্দবাদের ওজন প্রায় এক হাজার কেজি ও আলালের ওজন এক হাজার বিশ কেজি। ষাঁড় দুটির দাম হাঁকানো হয়েছে ১৭ থেকে ১৮ লাখ টাকা করে। উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের কাফাইকান্দা গ্রামের তার মালিকানাধীন সোনারগাঁ ডেইরি ফার্মে গত চার বছর ধরে আমেরিকান সিন্দবাদ, আলাল, সম্রাট, সুলতান, সিনবাদ, মেসি, রোনালদো, সাদা বাবু, কালো বাবুসহ ৭০টি ষাঁড় গরু তৈরি করেছেন তিনি। মেসির ওজন ৬০০ কেজি ও রোনালদোর ওজন ৫০০ কেজি। মেসির দাম ৮ লাখ ও রোনালদোর দাম ৬ লাখ টাকা।
তিনি আরও বলেন, সোনারগাঁ ডেইরি খামারে রয়েছে ফ্রিজিয়ান, শাহীওয়াল, গয়াল ক্রস ও ভুটানিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গরু। এই খামারের ভুটানি প্রজাতির ছোট গরুর বেশ চাহিদা রয়েছে। প্রাকৃতিক উপায়ে অর্গানিক খাদ্য দিয়ে কোরবানির জন্য তৈরি করা হয়েছে এসব গরু। খৈল, ভুসি, খড় ও নিজস্ব জমিতে উৎপাদিত ঘাসসহ স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ানো হয়েছে গরুগুলোকে।
জানা যায়, নজরুল ইসলাম তার নিজের দোকান সোনারগাঁ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের দুগ্ধ চাহিদা মেটানোর জন্য ২০০৯ সালে ক্ষুদ্র পরিসরে খামারটির যাত্রা শুরু করেন। পরবর্তীতে বাণিজ্যিকভাবে খামারটির কার্যক্রম শুরু হয়।
কোরবানি হাটে আরেক আলোচনার নাম জায়েদ খান। সোনারগাঁয়ে সনমান্দী ইউনিয়নের ভটেরকান্দি গ্রামে ফ্রিজিয়ান জাতের এই গরুটি দুই বছর আগে কেনেন আব্দুর রউফ। গরুটি খুব চঞ্চল ও অনেক লাফালাফি করে আর ডিগবাজি দিতে চায়। প্রায় ১ টন ওজনের বিশালদেহী জায়েদ খান নামে এই গরুটিকে এক নজর দেখতে প্রতিনিয়ত ভিড় জমাচ্ছে মানুষ। আব্দুর রউফ বলেন, ‘যেহেতু গরুটা খুব পাগলামি করে, লাফালাফি করে তাই গরুটির নাম দিয়েছি জায়েদ খান। প্রতিদিন দেড় হাজার টাকার খাবার খাওয়া মস্ত বড় ষাঁড়টির দাম হাঁকিয়েছি ৭ লাখ টাকা।’
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের স্থগিত হওয়া ১৯ উপজেলার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। উপজেলাগুলোর বিভিন্ন কেন্দ্রে আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে স্থগিত হওয়া ১৯টি উপজেলায় ভোটের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
ভোটের এলাকায় টহলে র্যাব, বিজিবি, পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরাও। নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনে মাঠে নিয়োজিত রয়েছেন প্রতি তিন ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। আর নির্বাচনি অপরাধ আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচার পরিচালনায় নিয়োজিত রয়েছেন ১৯ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম জানান, বাগেরহাট জেলার শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও মোংলা; খুলনা জেলার কয়রা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া; বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া; পটুয়াখালী জেলার সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি; ভোলার লালমোহন ও তজুমদ্দিন; ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঠালিয়া; বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা এবং নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ী উপজেলায় নির্বাচন হচ্ছে ব্যালট পেপারে।
আর পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১১৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩২ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে ৩০ লাখ ৪৬ হাজার ৮৮ জন ভোটার এক হাজার ১৮১ কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।
৮ মে থেকে ধাপে ধাপে দেশের উপজেলাগুলোয় ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ৯ জুন তা শেষ হবে, তবে কয়েকটি উপজেলায় মেয়াদপূর্তি না হওয়ায় নির্বাচন হবে আগামী বছর।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার জামতলা সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
আজ রোববার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার বাকশীমুল ইউনিয়নের জামতলা এলাকায় ভারতীয় সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. আনোয়ার হোসেন (৫০) বাকশীমুল ইউনিয়নের মীরপুর গ্রামের চারু মিয়ার ছেলে।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসনাত খন্দকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, মরদেহ ভারতীয় সীমান্তে আছে। যথাযথ প্রক্রিয়ায় মরদেহ পেলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মো. আবুল কাশেম জানান, মরদেহ কাঁটাতার সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে। এই মুহূর্তে ভারতীয় বিএসএফের তত্ত্বাবধানে আছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ভারত থেকে চিনি আনতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে।
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় উপবৃত্তির তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত এবং নগদ অ্যাকাউন্ট খোলার নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। শ্রেণিভেদে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
উপজেলার কুটিরচর স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৯ম শ্রেণি পড়ুয়া আল-আমিন বলেন, ‘উপবৃত্তির তালিকাভুক্তির জন্য তাদের কাছ থেকে ১৫০ টাকা করে নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। শ্রেণিশিক্ষকরা ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জোর করে ২০০ টাকা করে আদায় করেছেন।’
চরশৌলমারী বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র শান্ত বলেন, ভর্তির পর উপবৃত্তির তালিকায় নাম তুলে দেওয়ার জন্য ২০০ টাকা নিয়েছে।
বাইটকামারী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রদের কাছ থেকে ৪০০ এবং ৮ম শ্রেণির ছাত্রদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। সোনাভরী উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ১০৫ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।
এ ছাড়া যাদুরচর উচ্চবিদ্যালয় এবং রৌমারী কেরামতিয়া মাদ্রাসাসহ উপজেলার প্রায় সব মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উপবৃত্তির তালিকার নামে টাকা আদায় করেছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়।
অভিভাবক ফজর আলী আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ দিন আইনা দিন খাইয়া পোলাডারে লেখাপাড়া শিখাইতেছি। কিন্তু মাস্টারগো চাপে এহন আমি আর পারি না। সরকার বৃত্তি দেয়। সেই বৃত্তি নিতে আবার মাস্টারগো ৪০০ টেহা দেওয়া নাগে।’
অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাবা ভ্যানগাড়ি চালিয়ে আমার লেখাপড়া খরচসহ পরিবার চালায়। কিন্তু কয়দিন পরপর মাস্টাররা বলে আজকে উপবৃত্তির টাকা দেও, কাল সেশন ফি, বোর্ড ফি, পরীক্ষার ফি- এভাবেই শুধু টাকা দিতে হয়। না দিলে বলে পরীক্ষায় নাম্বার দিবে না।’
জানতে চাইলে সোনাভরী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান আলী বলেন, ‘শুধু ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে কম্পিউটার খরচ হিসাবে ১৫০ টাকা করে নিয়েছি।’
বাইটকামারী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি টাকা নিয়েছি, তবে সেটা উপবৃত্তির না।’
চরশৌলমারী বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমি উপবৃত্তির তালিকার নাম করে দেওয়ার জন্য ২০০ টাকা নেই নাই। ১০০ টাকা নিয়েছি খরচ হিসেবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. বদরুল হাসান বলেন, ‘টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ রকম কোনো সরকারি নীতিমালা নেই। যে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের মালিকানাধীন গোপালগঞ্জে অবস্থিত ‘সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের’ পুকুরের বিপুল পরিমাণ মাছ চুরি করার সময় কয়েকজন জেলেকে হাতেনাতে ধরেছেন দুদকের কর্মকর্তারা। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রায় ৬০০ কেজি মাছ জব্দ করা হয়।
এসময় আটককৃত জেলেরা জানায়, রিসোর্টে দায়িত্বরত মৎস্য কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামের নির্দেশে তারা মাছ ধরতে যায়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মৎস্য কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামের নামে মামলা করেছে দুদক।
আজ শনিবার (৮ জুন) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন, গোপালগঞ্জের উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের পুকুরের মাছসহ বিভিন্ন সম্পদ চুরি হচ্ছে বলে দুদক কর্মকর্তারা খবর পান। বিষয়টি দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহের জন্য নির্দেশনা দেন। এরপর দুদকের একটি টিম শুক্রবার (৭ জুন) গভীর রাতে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কে যায়। তখন রিসোর্টের ভেতরে ২০ একরের একটি পুকুর থেকে মাছ ধরতে দেখেন তারা।
তিনি আরও বলেন, দুদক টিম আসার খবর পেয়ে আসামিসহ অন্যরা পালিয়ে যান। এ সময় ৫৫৫ কেজি তেলাপিয়া ও সাড়ে ৩৭ কেজি কাতলা মাছ জব্দ করা হয়। পরে তা নিলামে তুলে ৮৩ হাজার ৭৫৪ টাকায় বিক্রি করা হয়। ওই অর্থ সরকারি খাতে জমা দেওয়া হয়েছে।
দুদকের ওই কর্মকর্তা বলেন, মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত জেলেদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রিসোর্টের দায়িত্বরত মৎস্য কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামের নির্দেশে তারা মাছ ধরেছেন। এ ঘটনায় সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের মৎস্য কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামকে আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সোহরাব হোসেন সোহেল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের স্থগিত হওয়া ২০ উপজেলার ভোট আগামীকাল রোববার অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাত ১২টার দিকে নির্বাচনের প্রচারণা শেষ হয়।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, আগামীকাল ৯ জুন সকাল ৮টায় ২০ উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ শুরু হবে।
৯ জুন যেসব উপজেলায় ভোট হবে
বাগেরহাট জেলার শরনখোলা, মোড়েলগঞ্জ, মোংলা, খুলনা জেলার কয়রা, পাইকগাছা, ডুমুরিয়া, বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, পটুয়াখালী জেলার সদর, মির্জাগঞ্জ, দুমকী, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, ভোলার লালমোহন, তজুমদ্দিন, ঝালকাঠির রাজাপুর, কাঠালিয়া, বরগুনার বামনা, পাথরঘাটা, রাঙামাটির বাঘাইছড়ি ও নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলা।
গত ৮ মে থেকে দেশের উপজেলাগুলোয় ভোট করেছে ইসি, ৯ জুন যা শেষ হবে। তবে কয়েকটি উপজেলায় এখনো মেয়াদপূর্তি না হওয়ায় ভোট হবে আগামী বছর।
কুড়িগ্রামে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পরিত্যক্ত প্লাস্টিক বর্জ্য জমা দিলেই মিলছে গাছ ও বই উপহার। পরিবেশ দূষণরোধ ও পরিবেশের সৌন্দর্য রক্ষায় এ উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি ফাইট আনটিল লাইট (ফুল) নামে একটি সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
সংগঠনের পক্ষ থেকে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে তিন দিন ধরে প্লাস্টিকের বিনিময়ে শহরের কলেজ মোড় এলাকায় গাছের চারা বিতরণ করা হচ্ছে।
জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য ‘পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের সামগ্রী জমা দিন, গাছ ও বই উপহার নিন’ শিরোনামে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক আব্দুল কাদের।
ব্যবহৃত প্লাস্টিক বর্জ্য জমা দিয়ে উপহার পাওয়া নূর ইসলাম বলেন, ‘প্লাস্টিকের বোতল যত্রতত্র পাওয়া যায়। এর বিনিময়ে যে বই ও গাছ উপহার পাব, তা কখনো ভাবিনি। অনেক ভালো লাগছে। এর মাধ্যমে আমরা সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ তৈরিতে উৎসাহিত হচ্ছি। ভবিষ্যৎ আমাদের জন্য ভালো হবে।’
সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক আব্দুল কাদের বলেন, রাস্তাঘাটে প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন বর্জ্য ফেলা হয়। এতে পরিবেশের হানি ঘটছে। প্লাস্টিক বর্জ্য জমা দিলেই সবার হাতে বই ও গাছ উপহার তুলে দেওয়া হচ্ছে। এই উদ্যোগের ফলে এসব বর্জ্য পরিষ্কারের পাশাপাশি জনসচেতনতার সৃষ্টি হচ্ছে। এই কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব মন-মানসিকতারও সৃষ্টি হচ্ছে। জনসচেতনতা ও বসবাসযোগ্য সুন্দর পরিবেশ তৈরিতে সবাইকে উৎসাহিত করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রামের সনাক সভাপতি আইনজীবী ও গণমাধ্যমকর্মী আহসান হাবীব নীলু বলেন, ‘আমরা নিজে বাঁচব, প্রকৃতিকে বাঁচাব এবং পৃথিবীকে বাচাব। পরিত্যক্ত প্লাস্টিক দিয়ে গাছ উপহার পাওয়ার বিষয়টি খুবই চমৎকার উদ্যোগ। এ জন্য সংগঠনকে ধন্যবাদ জানাই।’ প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ ও ভোলাহাটে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
আজ শুক্রবার দুপুর আড়াইটা থেকে ৩টার মধ্যে ঝড়বৃষ্টির সময় বজ্রপাত হলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। শিবগঞ্জ উপজেলায় শিশুসহ দুজন ও ভোলাহাটে একজন মারা যান।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, ঝড়বৃষ্টির সময় আম কুড়াতে গিয়ে শিবগঞ্জ পৌরসভার আলীডাঙ্গা মহল্লার সুভাস ভকতের স্ত্রী ববি ভকত (৩২) ও শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাকা নিশিপাড়ার এরশাদ আলীর মেয়ে কবিতা খাতুন (৮) টিউবয়েলের পানি আনতে গিয়ে বজ্রাঘাতে মারা যান।
ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার জানান, ভোলাহাট উপজেলার আন্দিপুরের (হঠাৎপাড়া, আশ্রয়ণ প্রকল্প) ইসলাম আলীর মেয়ে আমেনা খাতুন (১০) বাড়ির পাশের আম বাগানে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রাঘাতে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে এবার কোরবানির হাট মাতাবে বিভিন্ন নামের কয়েকটি গরু। ক্রেতাদের আকর্ষণ বাড়াতে তাদের নাম রাখা হয়েছে সিনবাদ, আলাল, জায়েদ খান, মেসি, রোনালদো, সম্রাট, সুলতান, সাদা বাবু, কালো বাবুসহ আরও অনেক।
গরুগুলোকে এক নজর দেখতে প্রতিনিয়ত মানুষ ভিড় জমাচ্ছে খামারগুলোতে। কোরবানিতে নানা জাতের গরুর চাহিদার সঙ্গে বাহারি সব নামও নজর কাড়ছে ক্রেতাদের। আর এই নজর কাড়তে খামারিরা গরুর নাম দেন রাজকীয় এবং ঐতিহ্যবাহী বা প্রভাবশালী পরিবারের নামকরণে।
উপজেলার পশুর হাট ও ফার্মগুলো ঘুরে দেখা গেছে সবচেয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে ও দামের দিক দিয়ে সেরা অবস্থানে আছে সিনবাদ ও আলাল নামে আমেরিকান ফ্লাকবি জাতের ষাঁড় দুটি। এর পর আলোচনায় আছেন জায়েদ খান, মেসি, রোনালদো।
সোনারগাঁ ডেইরি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নজরুল ইসলাম জানান, সিনবাদের ওজন প্রায় এক হাজার কেজি ও আলালের ওজন এক হাজার বিশ কেজি। ষাঁড় দুটির দাম হাঁকাচ্ছেন ১৭ থেকে ১৮ লাখ টাকা করে। উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের কাফাইকান্দা গ্রামের তার মালিকানাধীন সোনারগাঁ ডেইরি ফার্মে গত চার বছর ধরে আমেরিকান ফ্লাকবি সিনবাদ, আলাল, সম্রাট, সুলতান, সিনবাদ, মেসি, রোনালদো, সাদা বাবু, কালো বাবুসহ ৭০টি ষাঁড় গরু তৈরি করেছি। মেসির ওজন ৬০০ কেজি ও রোনালদোর ওজন ৫০০ কেজি। মেসির দাম ৮ লাখ ও রোনালদোর দাম ৬ লাখ টাকা। সোনারগাঁও ডেইরি ফার্মের ভেতর লালনপালন করা গরু এসব নামে গরুগুলো ইতিমধ্যে ক্রেতাদের নজর কেড়েছে। কোরবানির উপযোগী করে উৎপাদন করা গরু আলাল সবচেয়ে বড় গরু বলে জানান খামারের মালিক নজরুল ইসলাম।
তিনি আরও জানান, সোনারগাঁ ডেইরি খামারের রয়েছে ফ্রিজিয়ান,শাহীওয়াল,গয়াল ক্রস, ও ভুটানিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গরু। এই খামারের ভুটানি প্রজাতির ছোট গরুর বেশ চাহিদা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিক উপায়ে অর্গানিক খাদ্য দিয়ে কোরবানির জন্য তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গরু। খৈল, ভুসি, খড় ও নিজস্ব জমিতে উৎপাদিত ঘাসসহ স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ানো হয়েছে গরুগুলোকে। এখানে থাকা ফ্রিজিয়ান, ক্রস, শাহীওয়াল ও ভুটানিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গরুগুলো অর্ধেক আমার খামারে গাভীর বাছুর ও বাকি গুলো বিভিন্ন খামার ও গরুর হাট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
জানা গেছে, নজরুল ইসলাম তার নিজের দোকান সোনারগাঁ মিষ্টান্ন ভাণ্ডার এর দুগ্ধ চাহিদা মেটানোর জন্য ২০০৯ সালে ক্ষুদ্র পরিসরে খামারটির যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে বাণিজ্যিকভাবে খামারটির কার্যক্রম শুরু হয়।
তিনি বলেন, পশুর খাবারের তালিকায় খৈল, ভুসি, খড়, সবুজ ঘাস, ছোলা ও ঝাউয়ের মতো প্রাকৃতিক খাবার। প্রাকৃতিক উপায়ে সম্পূর্ণ স্টেরয়েড ও ইনজেকশনমুক্ত বিশুদ্ধ গো-খাদ্যের মাধ্যমে বড় করে কোরবানির জন্য বিক্রয় করছেন বলে জানিয়েছেন ফার্ম কর্তৃপক্ষ। বডি ওজন করেও বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে কোরবানি হাটে আরেক আলোচনার নাম জায়েদ খান। সোনারগাঁয়ে সনমান্দী ইউনিয়নের ভটেরকান্দি গ্রামে ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গরু দুই বছর আগে কেনেন আব্দুর রউফ। ওই গরু খুব চঞ্চল ও অনেক লাফালাফি করে আর ডিগবাজি দিতে চায়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে জায়েদ খানকে যেমনটা দেখা যায়। তাই এ অভিনেতার সঙ্গে এ গরুটির অনেকটা মিল থাকায় নাম রেখেছে জায়েদ খান। প্রায় ১ টন ওজনের বিশালদেহী জায়েদ খান নামে এই গরুটিকে এক নজর দেখতে প্রতিনিয়ত ভিড় জমাচ্ছে মানুষ।
গরুর মালিক আব্দুর রউফ বলেন, যেহেতু গরুটা খুব পাগলামি করে, লাফালাফি করে তাই গরুটির নাম দিয়েছি জায়েদ খান। মোবাইলে জায়েদ খানের ভিডিওতে দেখেছি জায়েদ খান খালি লাফ দেয়, বিভিন্ন স্থানে ডিগবাজি দেয়। এই গরুটাও লাফ দেয়, তাই গরুর নাম জায়েদ খান রাখা হয়। আব্দুর রউফ দুই বছর আগে ফ্রিজিয়ান জাতের এ গরুটি কেনেন। এরপর লালন পালন শুরু করেন। প্রতিদিন দেড় হাজার টাকার খাবার খাওয়া মস্ত বড় ষাঁড় গরুটি এখন প্রায় ১ টন ওজনের। এবাবের কোরবানি বিক্রি করব আশা করছি। জায়েদ খানের দাম হাঁকা হচ্ছে ৭ লাখ টাকা। যারা গরুটিকে দেখতে আসছেন তাদের কেউ কেউ বলছেন, আমরাও দেখলাম বিশাল এই গরু খুব পাগলামি করে। কোনো ভাবেই স্থির থাকে না, তাই এর নাম দেয়া হয়েছে জায়েদ খান।
দর্শনার্থী এনামুল, জাহিদ, রাবিকসহ কয়েকজন বলেন, জায়েদ খানকে কখনো সামনা সামনাসামনি দেখি নাই। শুনলাম গরুটির নাম জায়েদ খান রাখা হয়েছে। তাই এই গরুটিকে দেখতে আসছি। গরুটি আসলেই খুব সুন্দর।
দেশের ৯টি জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, এই প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দেওয়া হয়েছে।
পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্য জায়গায় মাঝারি অবস্থায় আছে।
বৃষ্টিপাতের বিষয়ে বলা হয়, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গা, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গা এবং রাজশাহী, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
তাপপ্রবাহ নিয়ে অধিদপ্তর জানায়, রাজশাহী, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি ও বরগুনার জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।