সোমবার, ২০ মে ২০২৪

পায়ুপথ ও সিটে ৩ কেজি সোনা, দুবাই ফেরত ২ যাত্রী আটক

ছবি: সংগৃহীত
প্রতিবেদক,
প্রকাশিত
প্রতিবেদক,
প্রকাশিত : ১৫ অক্টোবর, ২০২২ ১৭:৪৩

দুবাই ফেরত দুই যাত্রী সুমন এবং আমিন অর রশিদ। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে সোনা পাচারের চেষ্টা করেন। পায়ুপথ ও সিটের সঙ্গে কৌশলে আড়াই কোটি টাকা মূল্যের ৩ কেজি সোনা এনেছেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। হযরত শাহজালাল আন্তর্জতিক বিমানবন্দরে কাস্টমস, এএপিবিএন ও এনএসআইসহ বিভন্ন সংস্থার জালে আটক হয়েছেন তারা।

গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উড়োজাহাজের ভেতর থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

আজ শনিবার বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের (এএপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউর হক দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘শুক্রবার রাত ১১ টা ২০ মিনিটে দুবাই থেকে ইকে ৫৮৪ নম্বর ফ্লাইটটি শাহজালালে আসে। এ সময় গোয়েন্দা তথ্য আসে, দুই যাত্রীর পায়ুপথে সোনা আছে। এ তথ্য বিমানবন্দর শুল্ক গোয়েন্দা সার্কেলকে জানানো হয়। পরে শুল্ক গোয়েন্দা, এএপিবিএন ও এনএসআই যৌথ অভিযান চালিয়ে উড়োজাহাজের ভেতর থেকে দুই যাত্রী সুমন এবং আমিন অর রশিদকে আটক করে কাস্টমস হলে নিয়ে আসে। তাদের কাছ থেকে ৪৬৪ গ্রাম (চারটি বার) ও ১৯৬ গ্রাম অলংকার উদ্ধার করা হয়।’

তিনি জানান, পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে এমিরেটস এয়ারলাইন্স ও এভিয়েশন সিকিউরিটি (এ্যাভসেক) ও গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যে কাস্টমস প্রিভেন্টিভ টিম, শুল্ক গোয়েন্দা, এপিবিএন ও বিমানবন্দরের অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ অভিযানে ওই ফ্লাইটের ৩৫ডি নম্বর ও ৩৫জি নম্বর সিটের সঙ্গে স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ১০টি ছোট ছোট প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। পরে কাস্টমস হলে এসব প্যাকেট খুলে স্বর্ণসদৃশ দুই কেজি ৩৪০ গ্রাম পেস্ট উদ্ধার করা হয়। সব মিলিয়ে উদ্ধার করা সোনার ওজন ৩ কেজি যার বাজার মূল্য আড়াই কোটি টাকা। এ ঘটনায় কাস্টমস আইনে বিমানবন্দর থানায় মামলা করা হয়েছে।


জয়পুরহাটে পানিতে ডুবে তিন বছরের শিশুর মৃত্যু

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জয়পুরহাট প্রতিনিধি

জয়পুরহাটের কালাইয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে তিন বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার পাঁচশিরা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশু কালাই পৌরশহরের পাঁচশিরা এলাকার আল আমিনের ছেলে ইসমাইল হোসেন (৩)।

স্থানীয়রা জানান, বাড়ির বাইরে খেলা করছিলো শিশু ইসমাইল আর বাড়ি পাশেই ছিল পুকুর। খেলার কোনো এক সময়ে শিশুটি পুকুরে পড়ে যায়। তারপর তাকে পরিবারের লোকজন খুঁজেতে বের হন। পরে পুকুরে ডুবন্ত অবস্থায় শিশুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসা হয়।

কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘পুকুরে পানিতে ডুবে একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশুটি হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মারা গেছে। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেছেন।’

বিষয়:

রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের ডাকা অর্ধদিবস অবরোধ চলছে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২০ মে, ২০২৪ ১০:৫৮
সারা বাংলা ডেস্ক

রাঙামাটির লংগদুতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এক কর্মী ও এক সমর্থককে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে তাদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে ডাকা অর্ধদিবস অবরোধ চলছে।

আজ সোমবার সকাল ৬টা থেকে ইউপিডিএফের অবরোধ শুরু হয়। এর প্রভাবে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম ও রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে জেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামের শাসন বিধি (১৯০০ সালের রেগুলেশন) বাতিল করার প্রচেষ্টার প্রতিবাদে ইউপিডিএফ আন্দোলন গড়ে তুলেছে। ঠিক এমন সময় সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও আন্দোলন বানচাল করে দেওয়ার জন্য সন্তু লারমা তার সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দিয়ে শনিবার লংগদুতে ইউপিডিএফ কর্মী বিদ্যাধন চাকমা ও সমর্থক ধন্যমণি চাকমাকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করেছে। খুনিদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে আজকের এই অবরোধ।

অবরোধ সমর্থনে রাঙামাটি শহরে কোনো ধরনের পিকেটিং চোখে না পড়লেও রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের সাপছড়ি, রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের কুতুকছড়ি, ঘিলাছড়ি এলাকায় ইউপিডিএফ কর্মীরা অবস্থান নিয়ে রাস্তায় গাছ জ্বালিয়ে বিক্ষোভ, মিছিল ও সমাবেশ করেছে। এ সময় রাস্তায় কিছু পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়ে। তবে শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার ১৮ মে সকালে লংগদুতে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ইউপিডিএফ কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এ হামলায় ঘটনাস্থলে ইউপিডিএফ সদস্য বিদ্যা ধন চাকমা ওরফে তিলক (৪৫) ও সমর্থক ধন্য মনি চাকমা (৩৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এই ঘটনায় ইউপিডিএফ সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেছে। তবে সংগঠনটির নেতারা এই অভিযোগ অস্বীকার করে এটি ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দের বহিঃপ্রকাশ বলে পাল্টা অভিযোগ করেছে।


৪০০ বছর পর সংস্কার করা হচ্ছে সুন্দরবনের মন্দির

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২০ মে, ২০২৪ ১০:৪৮
আওয়াল শেখ, খুলনা ব্যুরো

সুন্দরবনের অভ্যন্তরে শেখেরটেকে মোগল আমলে নির্মিত হয়েছিল একটি দুর্গ। সেই দুর্গের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে এখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে কালী মন্দির। অনুমানিক ৪০০ বছরের পুরোনো মন্দিরটি প্রথমবারের মতো সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

অধিকাংশ ইতিহাসবিদ শেখেরটেক এলাকার দুর্গটিকে মোগল আমলে রাজা প্রতাপাদিত্যের নির্মিত কোনো দুর্গ বলে মনে করেন। সেই দুর্গের মন্দিরটি এখন সরকারের বনবিভাগ ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর যৌথভাবে সংস্কার করছে। এতে অর্থায়ন করছে বনবিভাগ। আর কারিগরি সহায়তা করছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর।

খুলনাঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, ‘মন্দিরটির ওপরে গাছপালা জন্ম নিয়েছে। ওই ভারে এটি যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে। তা ছাড়া দেয়ালেও কোথাও কোথাও ইট খুলে পড়ছে। তাই টেকসইভাবে এটি সংস্কার করা হচ্ছে। সুন্দরবন সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় এখানে ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে যেহেতু এটি ঐতিহাসিক নিদর্শন, তাই প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কাছ থেকে কারিগরি সহায়তা নিয়ে সংস্কার করা হচ্ছে।’

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মন্দিরটি ধ্বংসপ্রাপ্ত অবস্থায় কোনো রকম টিকে আছে। এর স্থাপত্য কাঠামো ও শিল্পশৈলী দেখে অনুমান করা হয়, ৪০০ বছর আগে এটি নির্মিত হয়েছে। এর দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকে রয়েছে দুটি প্রবেশদ্বার। এতে মোট চার ধরনের ইট ব্যবহার করা হয়েছে।

মন্দিরের বাইরের অংশ ৬৫৫ সেন্টিমিটার বর্গাকার। আর ভেতরের অংশ ৩২৫ সেন্টিমিটার বর্গাকার। দেয়ালের পুরুত্ব ১৬৫ সেন্টিমিটার। ভেতরে উত্তরদিকে একটি ছোট কুঠুরি রয়েছে। দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশের প্রতিটি প্রবেশপথ ৯৭ সেন্টিমিটার চওড়া।

মন্দিরের বাইরের দিকে জ্যামিতিক নকশা, ফুল-লতা-পাতা প্রভৃতি সংবলিত পোড়ামাটির অলঙ্কৃত ইট ব্যবহার করা হয়েছে। দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকে প্রবলভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত মন্দিরটির অভ্যন্তরের বিভিন্ন স্থানেও ফাটল ধরেছে। মন্দিরটির শীর্ষে গাছপালা ও উদ্ভিদপূর্ণ। বড় বড় গাছের শিকড় প্রবেশ করে মন্দিরের ডোম ও দেওয়ালগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ইতোমধ্যে ডোম ও দেয়ালগুলোতে ফাটল ধরেছে। এই ফাটলের ফলে মন্দিরের ডোম ও দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ এবং উত্তর-পূর্ব কোণের ইট খসে পড়েছে।

মন্দিরের চারপাশে দেয়াল থেকে খসে পড়া ইটের অংশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। এ ছাড়া মন্দিরের চারপাশে বিশেষ করে দক্ষিণ দিকে প্রচুর ছোট-বড় গাছ রয়েছে, যার ছায়ার কারণে মন্দিরে সূর্যের আলো প্রবেশ করতে পারে না।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর বলছে, মন্দির নির্মাণে স্থানীয় শামুকের তৈরি চুন, মাটি পুড়িয়ে তৈরি করা ইট ও শিবসা নদীর বালু ব্যবহার করা হয়েছিল।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর থেকে সংস্কার কাজটি তদারকি করছেন খুলনা ও বরিশাল বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক লাভলী ইয়াসমিন। তিনি বলেন, ‘একমাস আগে থেকে আমরা সংস্কার কাজ শুরু করে দিয়েছি। সংস্কারের আগে আমাদের প্রকৌশলীরা এর প্রাক্কলন তৈরি করেছিলেন। সংস্কারের জন্য আগে যেসব আকারের ইট ছিল, সেই আকারের ইট তৈরি করে, মন্দিরের আকৃতি অপরিবর্তনীয় রাখা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ঠিক তৈরির সময়ে এটি যেমন ছিল, এখনো তেমন থাকবে। শুধু দীর্ঘস্থায়ী সংরক্ষণের জন্য এটাকে মজবুত করা হবে।

কাজ শেষ হতে অনেক সময় লাগবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি দুর্গম এলাকা। সেখানে বাঘের আধিক্য রয়েছে। মালামাল পৌঁছাতে ও শ্রমিক দিয়ে কাজ করাতে খুবই জটিলতা হচ্ছে, তবুও আমরা হাল ছাড়ছি না। ইতোমধ্যে আমাদের দুই ধাপের শ্রমিকরা সেখান থেকে পালিয়ে চলে এসেছেন। এখন শ্রমিকদের বুঝিয়ে, বন বিভাগের অস্ত্রধারী নিরাপত্তারক্ষী রেখে সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে।’

কালী মন্দিরটিকে ঘিরে ইতোমধ্যে বনবিভাগ নির্মাণ করেছে শেখেরটেক ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র। এটি সুন্দরবনের পশ্চিম বনবিভাগের খুলনা রেঞ্জের কালাবগি ফরেস্ট স্টেশনের আদাচাই টহল ফাঁড়ির ১৬নং কম্পার্টমেন্ট এলাকায় শিবসা নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থিত। যা খুলনা শহর থেকে নদীপথে প্রায় ৮৫ কিলোমিটার দূরে।

বনবিভাগ জানায়, ২০২১ সালে সুন্দরবনে নতুন করে চারটি পর্যটন কেন্দ্র তৈরির উদ্যোগ নেয় বনবিভাগ। সেগুলো হলো- সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের শেখেরটেক ও কালাবগী, শরণখোলা রেঞ্জের আলীবান্ধা ও চাঁদপাই রেঞ্জের আন্ধারমানিক। ২৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন বছরমেয়াদি এ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে নতুন যে চারটি পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়ে, তার মধ্যে ঐতিহাসিক নিদর্শন থাকায় সব থেকে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে শেখেরটেক ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রটি।

মন্দিরটির সংস্কার একটি ভালো উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. ওয়াসিউল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘মন্দিরটি আরও ২০ বছর আগে আমি পরিদর্শন করেছি। খুবই ভঙ্গুর দশায় রয়েছে। এটির সংরক্ষণ করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি ছিল।’

তবে ওই এলাকার জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি এড়াতে বনবিভাগের আরও সতর্ক হতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সেখানে প্রচুর গাছপালা কেটে কংক্রিটের ফুট ট্রেইল নির্মাণ করা হয়েছে। উচিত ছিল পরিকল্পিতভাবে পরিবেশের সঙ্গে ভারসাম্য রেখে পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণ করা। বনবিভাগের উচিত হবে, সেখানে সীমিত পরিসরে পর্যটক পাঠানো। কারণ পর্যটনের জন্য বনের পরিবেশ নষ্ট বা বাঘেদের যন্ত্রণা দেওয়া ঠিক হবে না।


বান্দরবানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কেএনএফের তিন সদস্য নিহত

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বান্দরবান প্রতিনিধি

বান্দরবানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কেএনএফের তিন সদস্য নিহত হয়েছে। আজ রোববার সকালে রুমা-রোয়াংছড়ি সীমান্তের রৌনিনপাড়া এলাকার গভীর জঙ্গলে কেএনএফের একটি আস্তানায় অভিযান চালানোর সময় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রৌনিনপাড়া এলাকার গহিন অরণ্যে কেএনএফ আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে যৌথ বাহিনী। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলাগুলির ঘটনায় কেএনএফের তিন সদস্য ঘটনাস্থলে নিহত হন। নিহতদের এখনো কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।

এদিকে ঘটনার পর আশপাশের পাড়াগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় সেনাবাহিনী তল্লাশি চালাচ্ছে। সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।

মরদেহ পাওয়ার খবর শোনার পর রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ আলী জানান, রুমা-রোয়াংছড়ি সীমান্তবর্তী রৌনিনপাড়া এলাকায় তিনজন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। মরদেহ উদ্ধারে আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।

মরদেহ তিনটি উদ্ধারের পর বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী বলেন, উপজেলার দুর্গম রৌনিনপাড়া এলাকা থেকে পুলিশ তিনটি মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ সময় মরদেহের পাশ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।

তিন যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

গত ২ এপ্রিল রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি করে অর্থ লুট করে একদল সশস্ত্র লোক। পুলিশের ১০টি এবং আনসার সদস্যের ৪টি অস্ত্রও লুট করে নিয়ে যায় তারা। অপহরণ করা হয় ব্যাংকটির ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে। তবে দুদিন পর রুমার একটা পাহাড়ি এলাকা থেকে ছাড়া পান তিনি। রুমার ঘটনার পরদিনই থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকেও দিন-দুপুরে অর্থ লুটের ঘটনা ঘটে। দুটি ঘটনায় পাহাড়ে সশস্ত্র সংগঠন ‘কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ’ জড়িত বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর থেকে লুট হওয়া অস্ত্র-অর্থ উদ্ধার, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুমা ও থানচিতে অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশ সদস্যের যৌথ বাহিনী। অভিযান সমন্বয় করছেন সেনাবাহিনী। যৌথ বাহিনীর এই অভিযানে বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ২২ নারীসহ ৭৮ জনকে গ্রেপ্তারের খবর জানিয়েছে পুলিশ।

বিষয়:

আগামীকাল থেকে ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের প্রজনন বিস্তার বাড়াতে মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল সোমবার থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

নিষেধাজ্ঞার কারণে সমুদ্রগামী জেলেদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। জেলেরা বলেন, বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে বিভিন্ন ধাপে ১৪৭ দিন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ায় লাখো জেলে ও ব্যবসায়ীর মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে।

জেলেরা যে সরকারি সহায়তা পান, তা অপ্রতুল। ফলে তাদের জীবন কাটে চরম দুর্দশায়। ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা, মার্চ-এপ্রিল ৬০ দিনের অভয়াশ্রমের শেষ হতে না হতেই আবার ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। এমনিতেই তাদের রোজগারের টান পড়ায় ঋণে জর্জরিত। এই ১৪৭ দিন ছাড়াও ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা ধরায় ৮ মাসের নিষেধাজ্ঞা হয়েছে। এসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মৎস্য সম্পদ মন্ত্রণালয়।

সেখানে বলা হয়েছে, সামদ্রিক জলসীমায় মাছের বংশবৃদ্ধির পাশাপাশি উৎপাদন, সামদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।

ভাইভাই ফিসের পরিচালক শাহআলম হাওলাদার দৈনিক বাংলাকে জানান, পটুয়াখালীর সবচেয়ে বড় দুটি মৎস্য বন্দর মহিপুর-আলীপুর। এখান থেকে কোটি কোটি টাকার মাছ চালান হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে গত কয়েক বছর ধরে বছরে দুই বার নিষেধাজ্ঞা, বৈরী আবহাওয়া, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি। সব মিলিয়ে এই পেশা এখন হুমকির মুখে।

ট্রলারের মালিক ইব্রাহিম হাওলাদার বলেন, ‘কোম্পানির কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা দাদন নিয়ে দুটি ট্রলার তৈরি করেছি। দুই বছরে এখন পর্যন্ত লাভের মুখ দেখিনি। এর ওপর আবার অবরোধ, এখন এই পেশায় টিকে থাকা আমাদের মতো মানুষের পক্ষে সম্ভব না।’

জেলে মাঝি নয়া মিয়া বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে একটি দাবি করে আসছি, ৬৫ দিনের অবরোধকালে আমরা মাছ ধরা বন্ধ রাখলেও পার্শ্ববর্তী ভারতীয় জেলেরা আমাদের দেশের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকার করে। আমাদের দাবি, এই সময়ে আমাদেরও মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা, নয়তো অবৈধভাবে ভারতীয় জেলে ট্রলারগুলো বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ বন্ধ করা হোক।’

কলাপাড়া উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘জেলেদের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করা হচ্ছে। এ ছাড়া জেলেদের ঋণসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর পরিকল্পনাও চলছে।’

বিষয়:

নির্বাচনে ভোট কম পড়ার পেছনে বড় কারণ বিএনপি: ইসি

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রোববার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফ করেন ইসি মো. আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৯ মে, ২০২৪ ১৭:১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচনে ভোট কম পড়ার পেছনে বড় একটি ফ্যাক্টর হলো বিএনপি। তবে এটিই একমাত্র ফ্যাক্টর নয়। বিশেষ করে আরেকটি বড় কারণ হলো স্থানীয় নির্বাচনে ভোটাররা চাকরিস্থল থেকে আসতে চান না। এখন ৬০ শতাংশের বেশি ভোটাররা আসতে চান না। এটা সারা পৃথিবীতেই এমন। ভারতেও সব দল অংশ নিলেও ৬০ শতাংশ ভোট পড়েনি।

আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।

ইসি আলমগীর বলেন, ‘আমরা আশা করি, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। ছোটখাটো যেসব সমস্যা মাঠে আছে সেগুলো যাতে না হয়, সেজন্য আমরা প্রশাসন অত্যন্ত সতর্ক রয়েছি। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন প্রথম ধাপের নির্বাচনের চেয়েও সুষ্ঠু হবে।’

আলমগীর বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসন ভোটের পরে ৪৮ ঘণ্টা থাকে। সে সময়ের মধ্যে তো কিছু হয়নি। ভোটাররা যাতে ভোট দিতে পারেন, তবে কত ভোট পড়বে তা বলা কঠিন। সেটা বলা যাবে না। যেহেতু সব দল অংশ নিচ্ছে না, তাই ভোটের হার নিয়ে এখনই কিছু বলা যাবে না।’

নির্বাচনী সহিংসতার জেরে গোপালগঞ্জে একজন মারা গেছে, সেখান থেকে কি শিক্ষা নিচ্ছে কমিশন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভোটের কয়দিন পর এ ঘটনা ঘটেছে। তবে সেটা নির্বাচনের কারণে নাকি ব্যক্তিগত কারণে সেটাও দেখতে হবে। তদন্ত না হলে তো মূল কারণ বলা যায় না। এ ছাড়া নির্বাচন না থাকলে এ দেশে সহিংসতা হয় না, বিষয়টি তো এমন নয়। এখন পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে কি না সেটা দেখতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ধান কাটার কারণে ভোট কম পড়েছে, বিষয়টা এমন নয়। আপনারা কেন বিষয়টা ওইদিকে নিয়ে আমাদের খোঁচা দেন। তাৎক্ষণিক কারণ ছিল সকালে বৃষ্টি। অন্যান্য কারণের মধ্যে ধান কাটাও একটা ছিল। তার বাইরে বড় একটি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি, এসব কারণে ভোট কম পড়েছে। তারা নির্বাচনে ভোট দিতে ভোটারদের নিষেধ করেছে এটা তারা বলতে পারেন। তবে জোর করে কাউকে ভোট দিতে যেতে বাধা দিতে পারবেন না। ভোট বর্জনের কথা তারা বলতেই পারবেন।

বিষয়:

উপজেলা নির্বাচন: দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সারা দেশে ৪৫৭ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম আজ রোববার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আগামী ২১ মে, ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার নিমিত্তে In Aid to the Civil Power-এর আওতায় অদ্য ১৯ মে থেকে আগামী ২৩ মে, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত নির্বাচনি এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।’

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ হচ্ছে ২১ মে, মঙ্গলবার। রোববার মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে এ ধাপের প্রচার।

সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন করতে ১৫৭ উপজেলায় একই দিন মাঠে নামছে বিজিবি, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভোটের আগে-পরে পাঁচ দিনের জন্য তারা দায়িত্ব পালন করবে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান শনিবার জানান, বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা পাঁচ দিনের জন্য মাঠে নিয়োজিত থাকবেন। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে পরিপত্র জারি করেছে।

বিষয়:

প্রবাসফেরত আনোয়ারের বাগানে থোকায় থোকায় রসালো আঙুর

আপডেটেড ১৯ মে, ২০২৪ ১২:৩৭
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা

সবুজ পাতায় আচ্ছাদিত মাচা। তার নিচে থোকায় থোকায় ঝুলছে আঙুর। দিন কুড়ি পরে পেকে উঠলে তা সংগ্রহ করা হবে বাগান থেকে। আঙুর বাগানের এমন দৃশ্য দেখা গেল দেবিদ্বার উপজেলার মরিচা গ্রামে। ওই গ্রামের সৌদিপ্রবাসী আনোয়ার হোসেন সরকার আঙুর চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। বাগানটি দেখতে স্থানীয়রা ভিড় করছেন প্রতিদিনই।

স্থানীয়রা জানান, মো. আনোয়ার হোসেন সরকার সৌদি আরবে কাজ করতেন। দেশে এসে বিভিন্ন ব্যতিক্রমী ফসলের চাষ করেন। এবার তিনি মনোযোগী হয়েছেন আঙুর চাষে। ১৫ মাস আগে দুই বিঘা জমিতে আঙুর চাষ শুরু করেন। চারা এনেছেন ঝিনাইদহ থেকে।

দলাহাস গ্রামের কাছে সড়কের পাশে উঁচু জমি। সেখানে বাঁশ ও সিমেন্টের পিলার দিয়ে মাচা করা হয়েছে। মাচায় লতানো আঙুর গাছ। হালকা বাতাসে ঝুলছে আঙুর। প্রতিটি থোকায় ৫০ থেকে ১০০টি করে আঙুর রয়েছে।

আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, আঙুর বাগানের পেছনে তার ৬ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। প্রথমবারেই বাগানে ভালো ফলন এসেছে। আশা করছেন সামনের বছর এই ফলন আরও বাড়বে। একই গাছ থেকে ২০-২৫ বছর ফল আসবে বলেও তিনি জানান। আগামীতে আরও তিন বিঘা জমিতে আঙুর চাষ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

তবে আঙুর নিয়ে আনোয়ারের শুরুটা ভালো ছিল না। প্রথম প্রথম এলাকার লোকজন হাসিঠাট্টা করত। বাগানে ফলন ভালো হওয়ায় অন্যরাও উৎসাহিত হচ্ছেন আঙুর চাষে।

উপজেলা কৃষি অফিসার বানিন রায় বলেন, ‘বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ৬০ শতাংশ জমিতে আঙুর বাগান করেছেন কৃষক আনোয়ার হোসেন। আমরা বাগানটি পরিদর্শন করেছি। ভালো ফলন হয়েছে। পরিপক্ব হতে আরও ১৫-২০ দিন লাগবে। ফলন বা বাণিজ্যিক সফলতা বা ব্যর্থতা এখনই বলা যাচ্ছে না। আমরা পরামর্শ দিয়ে তাদের সহযোগিতা করছি।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) শেখ আজিজুর রহমান বলেন, ‘আঙুর মূলত ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় ভালো হয়। এদিকে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে আঙুর চাষ হচ্ছে। তবে কুমিল্লায় যারা আঙুর চাষ করেছেন, তাদের ফল সংগ্রহের পর আমরা একটা সিদ্ধান্তে আসতে পারব। তারা কেমন সফল হয়েছেন, সেটা তখনই বোঝা যাবে।’


দূষণে মাছশূন্য শীতলক্ষ্যা নদী, পেশা বদল জেলেদের

আপডেটেড ১৯ মে, ২০২৪ ০৮:৩৪
এম এস ডালিম, নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ জেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া শীতলক্ষ্যা নদীর পানি দূষিত হয়ে কালো কুচকুচে বর্ণ ধারণ করেছে। জেলায় গড়ে ওঠা অজস্র শিল্প-কারখানার বর্জ্য নদীতে ফেলায় এই দশা। বিষাক্ত পানিতে নদীর মাছ যাচ্ছে মরে। আর মাছ সংকটে জেলে পরিবারগুলো এই পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। ফলে এই জেলায় প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি জেলের সংখ্যা কমেছে।

কয়েক যুগ আগেও নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে জেলেরা জাল ফেললেই ঝাঁকে ঝাঁকে রুই-কাতলা-বোয়ালসহ নানান রকমের মাছ পেতেন। এমনকি ইলিশ মাছ পর্যন্ত পাওয়া যেত। আর তাতেই বেশ স্বাচ্ছন্দে কেটেছে শীতলক্ষ্যা পাড়ের জেলেদের জীবন-সংসার।

কিন্তু সময়ের ব্যবধানে নদীর আশপাশে শত শত শিল্প-কারখানা গড়ে উঠেছে এ জেলায়। সেসব প্রতিষ্ঠানের দূষিত পানি সরাসরি ফেলা হয় শীতলক্ষ্যা নদীতে। এতে ধীরে ধীরে নদীর পানি দূষিত হয়ে পড়েছে। আর সেই বিষে নদী মাছশূন্য হয়ে পড়েছে। তবে বর্ষা মৌসুমে অল্প পরিমাণে ঘাউরা, চাপিলা, বাছা মাছ পাওয়া যায়। তবে এটুকু দিয়ে জেলেদের সংসার চালানো মুশকিল। তাই তারা বাধ্য হচ্ছেন পেশা পরিবর্তন করতে।

পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জে তরল বর্জ্য নির্গমন হয় এমন শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে চার শতাধিক। এর মধ্যে ৩৪৮টি প্রতিষ্ঠানের পানি শোধনাগার বা অ্যাফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) আছে। বাকি ৬৫টি প্রতিষ্ঠানে ইটিপি নেই।

জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘ইটিপি না থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৩টি প্রতিষ্ঠানের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া নদীদূষণ রোধে সরকারিভাবে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।’

এদিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় শীতলক্ষ্যা নদীর নিকটবর্তী একরামপুর এলাকায় জেলে পল্লিতে প্রায় ১১৯টি জেলে পরিবার বসবাস করতেন। তবে এদের মধ্যে এখন মাত্র গুটিকয়েক পরিবারের ১০-১২ জন এ পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। বাকিরা পেশা পরিবর্তন করে গার্মেন্টশ্রমিক, মাছ ব্যবসা, নিম্নআয়ের নানা চাকরিসহ বিভিন্ন পেশা বেছে নিয়েছেন।

এ বিষয়ে জেলেপাড়ার সভাপতি মহাদেব বর্মণ বলেন, শীতলক্ষ্যা নদীতে মাছ না থাকায় অনেক জেলে মেঘনা ও ধলেশ্বরী নদীতে মাছ ধরতে যায়। প্রতি নৌকায় কমপক্ষে ৫-৭ জনের একটি দল মাছ ধরে তা বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে। এই খরচ বণ্টন করে জনপ্রতি কখনো ৫০০ কখনো ২০০-৩০০ টাকা উপার্জন করে। তবে এই টাকা দিয়ে সংসার চলে না। ফলে পরিবারের অন্য সদস্যদের আয়ের ওপর নির্ভর করতে হয় জেলেদের। যে কারণে শতাধিক জেলে পরিবার থেকে এখন মাত্র গুটিকয়েক পরিবারের ১০-১২ জন জেলে এই পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছে।

মহাদেব বর্মণের মেজো ছেলে মিঠু বর্মণ একটি সিমেন্ট তৈরির কারখানায় কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘আমার পরিবারে চার ভাইয়ের মধ্যে শুধু বড় ভাই জেলে পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছে। এখন জেলে পেশার অবস্থা ভালো না। তাই আমরা সবাই অন্য পেশা বেছে নিয়েছি।’

পেশা বদল করেছেন জেলে পাড়ার রতন বর্মণ। তিনি এখন পেশায় একজন গার্মেন্টকর্মী। তিনি বলেন, ‘নদীতে মাছ নেই। এরপরও কিছুদিন চেষ্টা করেছিলাম জেলে পেশায় টিকে থাকতে; কিন্তু অভাব-অনটন সংসারে জেঁকে বসে। এ কারণে বাধ্য হয়ে পেশা বদল করেছি।’

নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা ড. ফজলুল কবীর দৈনিক বাংলাকে বলেন, নদী দূষণের ফলে শীতলক্ষ্যার এখন মাছশূন্য হয়ে পড়েছে। এমনকি শীতলক্ষ্যার পানিদূষণের ফলে মেঘনা নদীর অনেক এলাকার মাছ মারা গেছে। এতে জেলের সংখ্যা দিন দিন কমছে। বর্তমানে এই জেলায় জেলের সংখ্যা প্রায় ৪৬০০ জন, এর মধ্যে নিবন্ধকৃত জেলের সংখ্যা ৪৪৯৫ জন। মৎস্য সম্পদ ও জেলেদের টিকিয়ে রাখতে হলে পানি দূষণমুক্ত করার কোনো বিকল্প নেই।


প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে: পরশ

আপডেটেড ১৮ মে, ২০২৪ ২১:৩৭
পিরোজপুর প্রতিনিধি

যুবলীগ কর্মীদের যে কোন মূল্যে বঙ্গবন্ধু কন্যার অর্জন সমূহ নির্ণয় করতে হবে এবং মানুষের দোরগোড়ায় সুফল পৌঁছে দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র রাজপথে মোকাবিলা করতে হবে বলে জানিয়েছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।

আজ শনিবার দুপুরে পিরোজপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পিরোজপুর জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ‘শেখ হাসিনা একজন আত্মপ্রত্যয়ী মানবতাবাদী এবং দূরদর্শী নেতৃত্ব হিসেবে নিজেকে সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি গণমানুষের নেতা থেকে আজকে বিশ্বনেতায় পরিণত হয়েছেন। তিনি তার কর্মের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে একমাত্র শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য। শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি- জামাত সরকার গঠন করে এদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়েছিল আর শেখ হাসিনার সরকার সেই জঙ্গিবাদ এ দেশ থেকে নির্মূল করে দিয়েছে। বিএনপি'র অপরাজনীতির একটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পরনির্ভর রাজনীতি। তারা দেশের জনগণের বদলে বিদেশী শক্তির উপর নির্ভর করে ক্ষমতায় আসতে চায়। তার অন্যতম কারণ কোন জাতীয় সংকটে বিএনপি কখনোই জনগণের পাশে দাঁড়ায় নাই।’

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘ক্ষমতার লোভে মিথ্যাচার এবং অপপ্রচারের রাজনীতি বন্ধ করেন।’

স্থানীয় সরকারী বালক বিদ্যালয় মাঠে জেলা যুবলীগের প্রথম ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারন সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। সম্মেলনে জেলা যুবলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান ফুলুর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আফজাল হোসেন। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মো. মাঈনুল হোসেন খান নিখিল (এমপি)।

অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, পিরোজপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক এমপি এ কে এম এ আউয়াল, পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম, পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন মহারাজ, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কানাই লাল বিশ্বাস, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সালমা রহমান হ্যাপি,কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহম্মদ বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোঃ মাজহারুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, উপ-দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, আইটি সম্পাদক এস আই আহম্মেদ সৈকত , কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মশিউর রহমান মহারাজ সহ কেন্দ্রীয়-জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্ধ।


আজ রাত ১টার মধ্যে যেসব জেলায় ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সারা বাংলা ডেস্ক

আজ রাত ১টার মধ্যে দেশের পাঁচটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালি, নোয়াখালী এবং চট্টগ্রাম অঞ্চল সমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।’

এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।


চা-শ্রমিকের দুই সন্তান জিপিএ-৫ পেলেও উচ্চশিক্ষা নিয়ে শঙ্কায়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর এএটিএম বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় থেকে এ বছর জিপিএ-৫ অর্জন করেছে কানিহাটি চা-বাগানের শ্রমিক বিরেন্দ্র সিংহের ছেলে মেধাবী ছাত্র অরুপ সিংহ ও ক্যামেলীয়া ডানকান ব্রাদার্স ফাউন্ডেশন স্কুল থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে সুদর্শন তেলীর মেয়ে স্বর্ণালী তেলী। দুজনই বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। উচ্চশিক্ষা শেষে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে তারা; কিন্তু টাকার অভাবে তারা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে।

জানা যায়, অভাব-অনটনের সংসারে বেড়ে উঠেছে অরুপ সিংহ ও স্বর্ণালী তেলীর। অভাবের সঙ্গে যুদ্ধ করে এতদূর এগিয়েছে। তাদের স্বপ্ন অনেক, কিন্তু বাঁধা অর্থ।

সবার সহযোগিতায় পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চায় তারা।

দুই পরিবার অনেক অভাব-অনটনের মধ্যে বসবাস করছে। ছেলেমেয়ের লেখাপড়া করানোর জন্য দুই পরিবারের অভিভাবকরা চিন্তিত। পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের খবর পেয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের লেখাপড়া করার সহযোগিতার জন্য ব্যক্তিগতভাবে কিছু অর্থ প্রদান করেন। এ সময় দুই শিক্ষার্থী ইউএনওর সহযোগিতার আশ্বাস পেয়ে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক ক্যামেলীয়া ডানকান ব্রাদার্স হাসপাতালে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত আছেন।

অরুপ সিংহ ও স্বর্ণালী তেলী বলে, ‘উচ্চশিক্ষা অর্জন করে, দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করব। ডাক্তার হয়ে এ দেশের মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করব।’

অরুপ সিংহের বাবা বিরেন্দ্র সিংহ ও স্বর্ণালী তেলীর বাবা সুদর্শন তেলী বলেন, ‘কষ্ট করে এতদূর এসেছে তারা। আমাদের যতই কষ্ট হোক- সন্তানদের পড়াশোনা করাব। মানুষের মতো মানুষ করে তুলব। পাশাপাশি সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’

শমশেরনগর এএটিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিহির ধর চৌধুরী বলেন, ‘দরিদ্র পরিবারের সন্তান হলেও অরুপ সিংহের মনোবল ছিল দৃঢ়। তার সাফল্যে আমরা গর্বিত।’

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘অদম্য মনোবল আর ইচ্ছাশক্তির কারণে অরুপ সিংহ ও স্বর্ণালী তেলী সাফল্য পেয়েছে। তাদের প্রশাসন থেকে সহযোগিতা করা হবে।

বিষয়:

লংগদুতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই কর্মী নিহত: ইউপিডিএফ

রাঙ্গামাটির লংগদু থানা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাঙামাটি প্রতিনিধি

রাঙ্গামাটির লংগদুতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই কর্মী নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। পার্বত্য চট্টগ্রামভিত্তিক দলটির প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের পক্ষে নিরন চাকমা আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন দাবি করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লংগদুর বড়হাড়িকাবার ভালেদি ঘাটের পার্শ্ববর্তী স্থানে (পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি তথা জেএসএস) সন্তু গ্রুপের সাতজনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী এসে সেখানে সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ইউপিডিএফ কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এ হামলায় ইউপিডিএফ সদস্য বিদ্যা ধন চাকমা ওরফে তিলক (৪৫) ও সমর্থক ধন্য মনি চাকমা (৩৫) ঘটনাস্থলে নিহত হন।’

এতে বলা হয়, নিহত ইউপিডিএফ সদস্য বিদ্যা ধন চাকমার বাড়ি লংগদুর কুকিছড়া গ্রামে। আর ধন্য মনি চাকমার বাড়ি উপজেলার ধুধুকছড়া গ্রামে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, হামলায় নেতৃত্ব দেন পোয়া চাকমা ওরফে আপন (৩২), যার বাড়ি বড় হাড়িকাবার পাশে কুট্টছড়ি গ্রামে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লংগদু থানার ওসি হারুন অর রশিদ বলেন, ‘এ রকম ঘটনা শুনছি। আমরা ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছি। এখনও পৌঁছাই নাই। ঘটনাস্থলে যাওয়ার পরে জানা যাবে।’

পুলিশ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে নিশ্চিত কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না, এখনও নিশ্চিত না।’

ইউপিডিএফের দাবির বিষয়ে জেএসএসের কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।


banner close