মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

অর্ধেকে নেমেছে তাঁতের উৎপাদন, বেড়েছে খরচ

ছবি: সংগৃহীত
গোলাম মোস্তফা, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত
গোলাম মোস্তফা, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত : ২৪ অক্টোবর, ২০২২ ০৮:২৭

দেশব্যাপী চলমান লোডশেডিংয়ের বিরূপ প্রভাব পড়েছে সিরাজগঞ্জের তাঁতশিল্পে। ঘন ঘন লোডশেডিং আর তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন কমে অর্ধেকে নেমেছে। বেতনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় অনেক শ্রমিক এ শিল্প ছাড়তে শুরু করেছেন।

তাঁতমালিকরা বলছেন, উৎপাদন কমেছে, তেলের দাম বেড়েছে। কিন্তু কাপড়ের দাম বাড়েনি। ফলে কম পরিমাণ কাপড় তৈরি হলেও তাতে যে খরচ হচ্ছে, বিক্রির টাকায় তা পোষানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তাঁতশিল্পের বিপর্যয় এড়াতে সরকারের সহায়তা চেয়েছেন তারা। এমন পরিস্থিতিতে সমন্বয় করে পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস তাঁত বোর্ডের।

জেলার প্রায় প্রতিটি উপজেলায় কমবেশি তাঁত কারখানা আছে। সদর, বেলকুচি, এনায়েতপুর, শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া ও চৌহালী উপজেলায় পাওয়ারলুম ও হ্যান্ডলুম রয়েছে অন্তত পাঁচ লাখ। এখানে তৈরি হয় আন্তর্জাতিক মানের জামদানি, কাতান, সিল্ক, বেনারসী, লুঙ্গি, থ্রি-পিস, গামছা ও থান কাপড়। এখানকার উৎপাদিত শাড়ি, লুঙ্গি ও গামছার কদর দেশজুড়ে। জেলার অর্থনৈতিক চালিকাশক্তির অন্যতম এ শিল্পের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত অন্তত ১৫ লাখ মানুষ। এ কারণে জেলার ব্র্যান্ডিংয়ে বলা হচ্ছে তাঁতকুঞ্জ সিরাজগঞ্জ।

বেলকুচি উপজেলার শেরনগর গ্রামের হাজি আশরাফুল ইসলাম বলেন, তার কারখানায় ৪৫টি পাওয়ারলুম চলমান। আগে প্রতি সপ্তাহে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার কাপড় উৎপাদন করতেন। কিন্তু বর্তমানে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে কারখানায় এখন প্রতি সপ্তাহে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার কাপড় উৎপাদন হচ্ছে।

উৎপাদন কমার কথা বলেন সোহাগপুর কাপড়হাটের ইজারাদার হাজি বদর উদ্দিন মণ্ডলও। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের আগে সোহাগপুর কাপড়হাটে প্রতি সোম ও মঙ্গলবার ৪০-৫০ কোটি টাকার কাপড় বিক্রি করতেন তাঁতিরা। কিন্তু করোনার পর থেকে ধীরে ধীরে বেচাকেনা কমে গেছে। বিশেষ করে লোডশেডিং ও তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে কাপড়হাটে ২৫-৩০ কোটি টাকার কাপড় বিক্রি হচ্ছে।

বর্তমান পরিস্থিতির কারণে কারখানা বন্ধ রাখার কথাও জানিয়েছেন কয়েকজন কারখানার মালিক। তাদেরই একজন বেলকুচির শেরনগর গ্রামের গোলাম সারোয়ার। তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় লোডশেডিংয়ের সময় জেনারেটর ব্যবহার করতে হয়। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু কাপড়ের দাম না বাড়ায় বাধ্য হয়ে উৎপাদন বন্ধ রাখতে হচ্ছে কারখানায়।

কারখানা যেমন বন্ধ হচ্ছে, তেমনি পেশাও বদলাচ্ছেন শ্রমিকরা। বেলকুচি পৌর এলাকার চন্দগাতী বসুন্ধরার তাঁতশ্রমিক আয়নাল হক ১৪ বছর বয়স থেকে এ পেশার সঙ্গে জড়িত। আগে হ্যান্ডলুমে কাপড় তৈরি করতেন। তখন মজুরি কম হলেও দ্রব্যমূল্যের দাম কম থাকায় দিন চলে যেত।

আয়নাল বলেন, এখন বিদ্যুৎচালিত পাওয়ারলুম আসায় পরিশ্রম কম হলেও সুখ নেই। তেলের দাম বৃদ্ধির পর থেকে কাজ নেই বললেই চলে। আগে বিদ্যুৎ গেলে মহাজন জেনারেটর চালিয়ে দিতেন। এখন জেনারেটর চালানো হয় না। অন্যদিকে দিনে পাঁচ-সাতবার বিদ্যুৎ চলে যায়। দিনে ৩০০ টাকারও কাজ করতে পারেন না।

পারিবারিকভাবে তাঁতের কাজ করেন বানিয়াগাতী গ্রামের জয়নাল আবেদিন। তার ঘরে চারটি পাওয়ারলুম আছে। পরিবারের সদস্যরা মিলে চালান। বাইরের কোনো শ্রমিক নেই।

জয়নাল বলেন, জেনারেটর না থাকায় বিদ্যুতের ওপর ভরসা করতে হয়। করোনাকালে তাঁত চালাতে গিয়ে অনেক ঋণগ্রস্ত হয়েছেন। সেই ঋণ কিছুদিন আগে পরিশোধ করতে পারলেও লোডশেডিংয়ে নতুন বিপর্যয় হয়েছে। বাধ্য হয়ে তাঁত বন্ধ করে অন্য কাজ করার চেষ্টা করছেন। বড় ছেলেকে ঋণ করে একটা অটোভ্যান কিনে দিয়েছেন।

বেলকুচি তাঁত বোর্ডের লিয়াজোঁ অফিসার তন্নী সরকার দৈনিক বাংলাকে বলেন, এমন পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে পদক্ষেপ নেয়া হবে। তবে বিদ্যুতের ঘাটতির কারণে তাঁতশিল্পে উৎপাদন অনেক কমে গেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক হলেই আবার প্রাণ ফিরে পাবে এই শিল্প।

বেলকুচি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা যেভাবে বিদ্যুৎ পাই, সেভাবেই বণ্টন করে থাকি। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই। তবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমাদের বলেছেন, আগামী মাস থেকে হয়তো বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক অবস্থায় আসবে।’


দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার বাদ পড়েনি হাসপাতালও

আপডেটেড ১৪ মে, ২০২৪ ১০:০২
খোরশেদ আলম, সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী)

দেয়ালে দেয়ালে ঝুলছে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানপ্রার্থীর পোস্টার। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের রঙিন পোস্টারও রয়েছে। কোনো ধরনের নির্বাচনী বিধি না মেনেই এসব পোস্টার লাগানো হয়েছে সরকারি স্থাপনাতেও। বাদ পড়েনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দেয়াল পর্যন্ত। নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগে এমনই অবস্থা দেখা গেছে নির্বাচনী এলাকায়।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, ভবন, দেয়াল, গাছ, বিদ্যুৎসহ টেলিফোনের খুঁটি বা অন্য কোনো দণ্ডায়মান বস্তুতে পোস্টার লাগানো নিষেধ। সরকারি স্থাপনাতেও পোস্টার লাগানো নিষেধ। কিন্তু উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তোয়াক্কা করছেন না প্রার্থীরা। অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারে মিছিল নিষিদ্ধ থাকলেও মানছেন না কেউই। প্রার্থীরা নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় মিছিল নিয়ে ঘুরছেন। আবার এই মিছিলের ছবি ও ভিডিও নিজেদের ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থীদের মোটরসাইকেল ও গাড়ি নিয়ে মহড়া করতে দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দেয়ালে প্রার্থীদের ছবি লাগানো হয়েছে। নবাবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুলের দেয়াল, বৈদ্যুতিক খুঁটি ও বিভিন্ন স্থাপনায় লাগানো হয়েছে পোস্টার। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রকেয়া বেগম রঙ্গিন পোস্টার করে বিভিন্ন দেয়ালে লাগিয়েছেন।

এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী রয়েছেন। সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ প ম বাবুল বাবু। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের নোয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি ও উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক মনির ইসলাম মনির।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে খলিলুর রহমান, আবু বকর সিদ্দিক রুবেল। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রুবিনা আক্তার, আয়েশা আক্তার পারুল, রোকেয়া বেগম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। তারা প্রার্থীদের আচরণবিধি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।


জবরদখলকারীদের কব্জায় কোটি কোটি টাকার সরকারি জমি

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের পুকুর ভরাট করে জমি দখল চলছে। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১৪ মে, ২০২৪ ০৩:১৯
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি জবরদখল করে সড়ক-মহাসড়কের পাশে গড়ে তোলা হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা। সংশ্লিষ্টদের চোখের সামনে এভাবেই বেদখল হচ্ছে কোটি কোটি টাকা মূল্যের সরকারি জমি; কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এসব ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।

এলাকাবাসী এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কগুলোর মধ্যে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অন্যতম। কালিয়াকৈর উপজেলার ওপর দিয়ে চলে গেছে এ মহাসড়ক। এ ছাড়া এ উপজেলায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সড়ক রয়েছে। এসব মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে গাজীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

সড়ক বিভাগের জমি রক্ষায় চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কের পাশে উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় একটি রেস্ট হাউস ও ধামরাই-কালিয়াকৈর-মাওনা সড়কের কালিয়াকৈর বাজার এলাকায় একটি সাইট অফিস তৈরি করা হয়। তারপরেও দিন দিন সড়ক ও মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে দখল করে অবৈধ হাট-বাজার ও ফুটপাত দখল করে অবৈধ দোকানপাট বসিয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বিভিন্ন চক্রের সদস্যরা।

চন্দ্রা এলাকায় সড়ক বিভাগের রেস্ট হাউসের পাশেও হাট-বাজার এবং ফুটপাতে দোকানপাট বসিয়ে রমরমা বাণিজ্য চালানো হচ্ছে। হাইওয়ে পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, জেলা পুলিশের চোখের সামনে অবৈধভাবে এসব বাণিজ্য হলেও অজ্ঞাত কারণে তারা নীরব দর্শক। এ ছাড়া সড়ক বিভাগের জমি জবর-দখল করে বিভিন্ন স্থানে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে বাণিজ্য চালিয়ে আসছে সিন্ডিকেট চক্র। এভাবে সড়ক বিভাগের জমি দখল করে অনায়াসে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। আর এসব টাকার ভাগ যাচ্ছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অসাধু কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পকেটে। ফলে তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না।

সংশ্লিষ্টদের এমন উদাসীনতায় গত কয়েক দিন ধরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার লতিফপুর এলাকার জোড়া ব্রিজের পাশে সড়ক বিভাগের জমি জবরদখল করে বিল্লাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি বড় দোকান নির্মাণ করছেন। এর পাশে ট্রাক স্টেশন এলাকায় মোরশেদ আলম দুরে (সাগর) গং বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে সড়ক বিভাগের সরকারি জমি ভরাট করে। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কালিয়াকৈর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এরপর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রজত বিশ্বাসের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ভেকু গাড়ি জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত; কিন্তু প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দু-এক দিন পর আবার রাতের আঁধারে ওই সরকারি জমি ভরাট করা শুরু হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করেই কোটি কোটি টাকার সরকারি জমি ভরাটের মাধ্যমে জবরদখল করে সাগর গং। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোরশেদ আলম দুরে (সাগর) বলেন, ‘এটা আমাদের সম্পত্তি। এর এক পাশের সম্পত্তি মহাসড়কে গেছে; কিন্তু এখনো অ্যাকোয়ার করা হয়নি। অন্য পাশে মহাসড়ক থেকে অ্যাপ্রোচ সড়কের জন্য আবেদন করেছি; কিন্তু সড়ক বিভাগের জমি দখল করছি না। তবে এখানে অস্থায়ী গরুর হাট করা হবে।’

এ ছাড়া কালিয়াকৈর বাজার এলাকায় সড়ক বিভাগের ওই সাইট অফিসের পাশে একটি বড় দোকান নির্মাণ করা হচ্ছে। বর্তমানে প্রকাশ্য দিবালোকে সে দোকানের ফ্লোর ঢালাই চলমান রেখেছেন দোকান মালিক দীপংকর।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সড়ক বিভাগের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেই এটা নির্মাণ করতেছি।’ এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে দোকান মালিক বলেন, ‘আপনারা কেন আসছেন? এ বিষয়ে আপনাদের কি করার আছে?’

গাজীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের কার্যসহকারী তায়েব আলম বলেন, ‘ওই জমি ভরাট করার বিষয়ে মামলা হবে। ওই জমি ভরাটের বিষয়ে চিঠি করেছি। এটা ইউএনও অফিস ও থানায়ও দেওয়া আছে। সরকার পক্ষ থেকে ভরাটকারীদের নামে মামলা হবে। বিষয়টি মন্ত্রী মহোদয়ও জানেন। এটা নিয়ে তিনবার বসা হয়েছে। আমরা খুব শিগগির এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

গাজীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী অভি আহম্মেদ সুজন বলেন, ‘ওই জমি ভরাটের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া দোকানপাট নির্মাণের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসব সমস্যা সমাধানে এ সপ্তাহে অভিযান পরিচালনা করা হবে।’


কেএনএফের অপতৎপরতা যতদিন, ততদিন চলবে যৌথ অভিযান: বিজিবি মহাপরিচালক

কেএনএফের অপতৎপরতা বন্ধে বান্দরবানের থানচি ও রুমা সীমান্তে বিজিবির সক্রিয় দায়িত্ব পালন দেখার পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১৩ মে, ২০২৪ ১৯:০৩
বান্দরবান প্রতিনিধি

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে দুঃসাহসিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে কোনো সন্ত্রাসী পার পাবে না। কেএনএফের কার্যক্রম যতদিন থাকবে যৌথ অভিযান ততদিন চলবে। সরকারের আদেশে কুকি-চিন সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে বিভিন্ন বাহিনী মিলে যৌথ বাহিনী হিসেবে অভিযান এখনো চলমান রয়েছে।

আজ সোমবার বিকেল ৪টার দিকে বান্দরবানের থানচি ও রুমা উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে রুমা দোপানিছড়া বিওপি পরিদর্শন শেষে সব পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে অপারেশনাল, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক বিষয়ে মতবিনিময় করেন। পরে বলিপাড়া ব্যাটালিয়নের অধীন স্পটহাইট টিওবি, থানচি বিওপি এবং থানচি বাজার পোস্ট পরিদর্শন করেন।

বিজিবি মহাপরিচালক মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, ‘একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যাংক ডাকাতির মতো দুঃসাহসিক সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে কেউ পার পাবে না। তা ছাড়া সাধারণ বম জনগোষ্ঠীরাও কেএনএফের সন্ত্রাসী ঘটনা সমর্থন করে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিরীহ বম সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচারের অপপ্রচারের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’

তিনি বলেন, ‘যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে, তা সরেজমিনে পরিদর্শন করতে এসেছি। থানচি বলিপাড়া ৩৮ বিজিবি ও রুমা ৯ ব্যাটালিয়ন বিজিবি অভিযানে অংশগ্রহণ করায় তাদের উৎসাহ ও পরামর্শ প্রদান করার জন্য এসেছি।’

তিনি আরও বলেন, বলিপাড়ায় একটি নতুন বেইস ক্যাম্প করা হয়েছে এবং বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় অপারেশন এবং সীমান্তের ওপারে যাতে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যেতে না পারে সে জন্য বিজিবির সব সদস্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এ সময় বান্দরবান বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সোহেল আহমেদ, কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম, বান্দরবান রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মেহেদি হাসান, রুমা ৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেনান্ট কর্নেল হাসিবুল হকসহ বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ২ ও ৩ এপ্রিল কেএনএফ সন্ত্রাসীরা জেলার রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংক ব্যবস্থাপক অপহরণ, টাকা লুট ও পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র ছিনতাই করে। ব্যাংক ব্যবস্থাপক উদ্ধার হলেও লুট হওয়া অস্ত্র ও টাকা উদ্ধার করা যায়নি। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, অস্ত্র ও টাকা উদ্ধারের অভিযানে অংশ নিচ্ছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। অভিযান সমন্বয় করছে সেনাবাহিনী।


কুতুবদিয়া পৌঁছেছে জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৩ মে, ২০২৪ ১৮:৩২
চট্টগ্রাম ব্যুরো

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে ২৩ ক্রুসহ মুক্ত হওয়া জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ আজ সোমবার বিকেলে কক্সবাজারের কুতুবদিয়াতে পৌঁছেছে। এরপর জাহাজটির দায়িত্ব নেবে নাবিকদের আরেকটি টিম। ওই ২৩ নাবিকের টিম আজ বিকেল ৪টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে রওনা দিয়েছেন। এমভি জাহান মনি-৩ নামে একটি লাইটার জাহাজে করে তারা রওনা দিয়েছেন।

জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এমভি জাহান মনি কুতুবদিয়া পৌঁছাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা লাগবে। ওই জাহাজে করে এমভি আবদুল্লাহ-তে থাকা ২৩ নাবিক আগামীকাল ১৪ মে ভোরে রওনা দেবেন। এবং দুপুরের পর চট্টগ্রামের সদরঘাট কেএসআরএম জেটিতে পৌঁছাবেন। সেখানে মালিকপক্ষ এবং নাবিকদের স্বজনরা তাদের বরণ করে নেবেন।

কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানান,আজ সন্ধ্যা নাগাদ আব্দুল্লাহ কুতুবদিয়া পৌঁছাতে পারে। সেখানে কিছু চুনাপাথর খালাস করার পর চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেবে জাহাজটি। এতে দুদিন সময় লাগতে পারে। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসার পর জাহাজটির বাকি পণ্য খালাস করবে।

গত ৩০ এপ্রিল ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর থেকে ২৩ জন নাবিকসহ দেশের পথে রওনা দেয় জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।

এর আগে ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে ৫৮ হাজার টন কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে যাওয়ার পথে ১২ মার্চ সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি।

৩২ দিন জিম্মি থাকার পর ১৩ এপ্রিল জলদস্যু থেকে মুক্ত হয়ে দুবাই যায় জাহাজটি। এ সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুইটি যুদ্ধ জাহাজের পাহারায় এমভি আবদুল্লাহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পার হয়। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে তখন জাহাজের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া, ডেকে হাই প্রেসার ফায়ার হোস বসানো হয়, যাতে জলদস্যুরা ফের হামলা করলে উচ্চচাপে পানি ছিঁটানো যায়।


উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ১৩০ জনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে ১৩০ জন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের কারণে ৬ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন বলে জানান ইসির পরিচালক (জনসংযোগ) শরিফুল আলম।

তিনি আরও জানান, প্রার্থিতা প্রত্যাহারকারীদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৭৩ জন, সংরক্ষিত নারী পদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৩ জন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৪ জন প্রার্থী রয়েছেন। এ ছাড়া পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় ৩টি পদে ৬জন, শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং ফেনীর সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সংরক্ষিত নারী প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন।

আজ থেকে নির্বাচন কমিশন তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর প্রার্থীরা প্রচারণা শুরু করতে পারবেন। তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬১৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪০০ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, তৃতীয় ধাপে ২৯ মে ১১২টি উপজেলা পরিষদে এবং ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ১৬০টি উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ২৮ জন এবং দ্বিতীয় ধাপে ২১ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

বিষয়:

ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচন ৫ জুন

নির্বাচন কমিশন ভবন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১৩ মে, ২০২৪ ১৬:৪১
বাসস

ঝিনাইদহ-১ শূন্য আসনের উপনির্বাচন আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। এই আসনে নির্বাচনের সময়সূচি পুনর্নিধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে নতুন সময়সূচি নির্ধারণের বিষয়টি জানানো হয়।

এর আগে গত ৮ মে ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। ফলে ওই আসনে উপনির্বাচনে বাধা কেটে যায়।

গত ১৬ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। পরে এই আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

তবে গত ৬ মে আসনটির স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নজরুল ইসলামের এক আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করে আদেশ দেন বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ। ওইদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। পরে তিনি সাংবাদিকদের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২১ দিনের জন্য এ নির্বাচন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

সবশেষ গত ৮ মে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করেন। এতে আসনটিতে নির্বাচনের বাধা কেটে যায়।

বিষয়:

জলঢাকায় ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় ২০০ একর জমির ধান নষ্ট

দিশাহারা কৃষক
ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১৩ মে, ২০২৪ ১৪:০৭
রবিউল ইসলাম রাজ, জলঢাকা (নীলফামারী)

ছবি: দৈনিক বাংলা




নীলফামারীর জলঢাকায় এ কে ব্রিকস-২ ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় প্রায় ২০০ একর জমির ধান নষ্ট হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্বপ্নের সোনালি ধান হারিয়ে দিশাহারা হাজারও কৃষক। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নের পূর্ব খুটামারা এলাকায়। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর গণস্বাক্ষর সংবলিত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয় কৃষকরা। এর অনুলিপি উপজেলা কৃষি অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়া এ ঘটনায় গত ৭ মে (বুধবার) দুপুরে ইটভাটার প্রবেশ ফলকের সামনে মানববন্ধন করেছে শত শত নারী ও পুরুষ। মানববন্ধনে বক্তারা ইটভাটা বন্ধের পাশাপাশি কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এর ব্যত্যয় ঘটলে তারা সড়ক অবরোধের হুমকি দেন।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পূর্ব খুটামারা এলাকায় অবস্থিত এ কে ব্রিকস-২ কোম্পানি ৭ বছর আগে স্থানীয় কিছু কৃষকদের লোভ দেখিয়ে কিছু জমি ১০ বছরের জন্য চুক্তি নিয়ে একটি ইটভাটা স্থাপন করেন। এরপর প্রতিবছর পর্যায়ক্রমে আশপাশের জমির মালিকদের চাপে ফেলে সুকৌশলে আরও জমি নেয়। এভাবে কোম্পানিটি আবাদি ৩০ বিঘা জমি চুক্তি নিয়েছে। আর এতে সহযোগিতা করেন স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। এই ভাটা স্থাপনের পর থেকে প্রতিবছর ভাটার কালো ধোঁয়ায় কৃষকের ফসল নষ্ট হচ্ছে। এ বছর নষ্ট হয়েছে ধান, ভুট্টাখেতসহ আম ও লিচু গাছের।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ মে রোববার দিবাগত রাতে ৬ মাসের জমে থাকা ইটভাটার কালো ধোঁয়ার গ্যাস ছেড়ে দিলে পরের দিন সোমবার সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ধান গাছগুলো ঝলসে যেতে শুধু করে। গত দুই-তিন দিনে ইটভাটার উত্তর পশ্চিম দিকের প্রায় ৩ কিলোমিটার জুড়ে আনুমানিক ২০০ একর জমির আবাদি ধানের গাছ ঝলসে গেছে। ধান গাছগুলো লালচে আকার ধারণ করেছে। এতে ধানের দানাগুলো চিটা হয়ে গেছে।

এদিকে এ কে ব্রিকস-২-এর ইটভাটার বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই বলে স্বীকার করেছেন এ কে আনোয়ার ব্রিকস-২-এর ম্যানেজার তাজুল ইসলাম। ভাটার কালো ধোঁয়ায় ফসল নষ্টের কথাও স্বীকার করেন তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি শোনার পর তাৎক্ষণিক সরেজমিনে দেখেছি। ধারণা করা হচ্ছে ভাটার কালো ধোঁয়ায় এমনটি হতে পারে। তবে আমরা কৃষকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করব এবং ধানখেত পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা থাকবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি আর সারোয়ার বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি তদন্ত টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


কৃষক ও ধান ব্যবসায়ীদের ৩৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১৩ মে, ২০২৪ ১২:২৫
নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর মহাদেবপুরে ওসমান অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ (প্রা.) লিমিটেডের চেয়ারম্যান ওসমান গনির বিরুদ্ধে ধান ব্যবসায়ী ও কৃষকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা টাকা না পেয়ে হণ্যে হয়ে ঘুরছেন। বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগী পাওনাদাররা রোববার মহাদেবপুর উপজেলার মডেল স্কুল মোড়ে ‘ভুক্তভোগী সব পাওনাদার গং’ এর ব্যানারে মানববন্ধন করছেন। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।

মানববন্ধনে আড়ৎদার আবু আহসান হাবিরের সভাপতিত্বে আড়ৎদার সামিউল আলম, ইমতিয়াজ হোসেন সরদার, মাসুদ মোল্লাসহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ও ভুক্তভোগী কৃষকরা বক্তব্য রাখেন। মানববন্ধনে প্রায় দুই শতাধিক ব্যবসায়ী ও কৃষক উপস্থিত ছিলেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার মহাদেবপুর উপজেলার নওগাঁ-মহাদেবপুর সড়কের আখেড়া এলাকায় ওসমান গনি প্রায় ৪০ বছর আগে চালকল গড়ে তুলে ব্যবসা শুরু করেন। পর্যায়ক্রমে চালকলটি অটোমেটিকে রূপান্তর করে ওসমান অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ (প্রা.) লিমিটেড নাম দেন। যেখানে কয়েক একর জায়গার ওপর পাঁচটি ইউনিট গড়ে তুলেন, যা টাকার অঙ্কে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ।

ধানের আড়ৎদারদের কাছ থেকে নগদ ও বাকিতে ধান কিনে চালকল পরিচালনা করা হতো। এতে ব্যবসার সুবাদে আড়ৎদারদের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে। এভাবে জেলা ও জেলার বাইরের প্রায় ২৬০ জন ধান ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নগদ ও বাকিতে ধান কিনতেন তিনি। এক পর্যায়ে প্রায় ৩৫ কোটি টাকার ধান ব্যবসায়ীদের কাছে বকেয়া রাখেন। গত ৩-৪ মাস ধরে ধান ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ওসমানের দূরত্ব বাড়তে থাকে। তিনি ওই এলাকা ছেলে পরিবারসহ ঢাকায় অবস্থান করতে থাকেন। গোপনে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি একটি কোম্পানির কাছে ভাড়া দিয়ে দেন। এরপর ধান ব্যবসায়ীরা বুঝতে পারেন ওসমান লাপাত্তা হয়ে যাচ্ছেন। গত দেড় মাস ধরে ওই প্রতিষ্ঠানটি অন্য একটি কোম্পানির দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। কৌশল হিসেবে ওসমান গনি ব্যবসায় লোকসান দেখিয়ে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করার পরিকল্পনা করছেন।

উপজেলার মাতাজি হাট এলাকার মোল্লা ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারী সামিউল আলম বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে ওসমান গনিকে ধান দিয়ে আসছি। প্রায় ১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা পাওনা রয়েছি। পাওনা টাকা চাইলেই বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করেন। ঢাকায় বাড়ি-গাড়ি করে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে আলিসান জীবনযাপন করছেন। আর আমরা পথে পথে ঘুরছি।’

জেলার ধামইরহাট উপজেলার মেসার্স বেলাল ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারী আবু আহসান বলেন, ‘ওসমান গনির সঙ্গে প্রায় ১৫ বছর ধরে ব্যবসা করে আসছি। আমন মৌসুম থেকে আর লেনদেন করা হয়নি। কিন্তু সপ্তাহে ৫০ হাজার করে টাকা দিতেন। সবশেষ ফেরুয়ারিতে ১ লাখ টাকা দিয়েছেন। লেনদেনের সুবাদে প্রায় ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বকেয়া পড়ে যায়। পাওনা টাকা দিচ্ছি, দেব বলে সময়ক্ষেপণ করছিলেন। এখন লাপাত্তা হয়ে গেছেন। কৃষকের কাছ থেকে ধান নিয়েছিলাম। তারা এখন টাকার জন্য চাপ দিচ্ছেন।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহাদেবপুর উপজেলার ওসমান অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ (প্রা.) লিমিটেড এর চেয়ারম্যান ওসমান গনি বলেন, ‘প্রায় ৩৮ বছর ধরে ব্যবসা করছি। ব্যবসার সুবাদে অনেক টাকা লোকসান হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের কাছেও আমার দেনা রয়েছে। আমার কাছে নগদ টাকা নাই। পাওনাদারদের বলেছি যে সম্পদ আছে তা বিক্রি করে দেনা পরিশোধ করা হবে। আমি গত ৩১ জানুয়ারি নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করার জন্য আদালতে একটি আবেদন করেছি। তবে আমি আমার প্রতিষ্ঠানটি ভাড়া দিয়েছি।’


চার মাসের কাজ শেষ হয়নি ১৫ মাসেও, ফের বন্যার আশঙ্কা

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১৩ মে, ২০২৪ ১১:১৬
দেবাশীষ দেবু, সিলেট

২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় পুরো সিলেট তলিয়ে যাওয়ার পর দাবি ওঠে সুরমা নদী খননের। অব্যাহত দাবির মুখে ২০২৩ সালে ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে স্বল্প পরিসরে সুরমা নদীর খননকাজ শুরু হয়। ওই বছরেরই জুনে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে চার মাসের সেই কাজ শেষ হয়নি ১৫ মাসেও।

এ অবস্থায় আরেকটি বর্ষা মৌসুম সামনে। এবার বর্ষায় সিলেট ও সিলেটের উজানে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমনটি হলে সিলেট আবারও বন্যায় তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

আর পরিবেশ কর্মীরা বলছেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গাফিলতির কারণে নদী খননের পুরো টাকাই বরবাদ হচ্ছে। যতটুকু খনন হয়েছে, তারও কোনো সুফল পাবে না সিলেটবাসী। কারণ আসন্ন বর্ষা মৌসুমেই আবার পানির সঙ্গে পলি এসে জমবে নদীতে। ফলে আবার শুরু থেকে খননকাজ করতে হবে।

তবে পাউবো কর্মকর্তারা বলছেন, নদীতে প্লাস্টিক, পলিথিনসহ আবর্জনার স্তূপ জমে থাকায় বারবার খননযন্ত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে খননকাজে দেরি হচ্ছে। আগামী জুনে প্রকল্পের পুরো কাজ সম্পন্নের আশা তাদের।

২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় তলিয়ে যায় সিলেট নগরসহ জেলার প্রায় ৭০ শতাংশ। দীর্ঘমেয়াদি এই বন্যায় মাসখানেক দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীকে। পলি জমে সুরমা নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় অল্প বৃষ্টিতেই সিলেটে বন্যা হয়ে যাচ্ছে বলে সে সময় জানান বিশেষজ্ঞরা। এরপর পুরো সুরমা নদী খননের জোরালো দাবি ওঠে। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে সিলেট নগরীর কুশিঘাট থেকে বিশ্বনাথের দশগ্রাম পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারের খননকাজ শুরু হয়। এই ১৫ কিলোমিটারের খননকাজ ১৫ মাসেও শেষ হয়নি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, আগামী জুন পর্যন্ত তারা খননকাজ চালিয়ে যাবে। এর মধ্যে ১৫ কিলোমিটার খনন সম্পন্ন না হলেও যতটুকু কাজ হবে, তা নিয়েই প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যাবে। এর মধ্যে অন্তত ৮০ ভাগ কাজ শেষ করতে চায় পাউবো।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দাবি, চলতি মৌসুমে দ্রুত খননকাজ এগিয়ে চলছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কনফিডেন্স গ্রুপের সিনিয়র ম্যানেজার আজিম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে টুকেরবাজার ও জাঙ্গাইল এলাকায় খননকাজ চলছে।

এ বিষয়ে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, ‘চলমান প্রকল্পটি আগামী জুন পর্যন্ত চালানো যাবে। এর মধ্যে শতভাগ খননকাজ শেষ না হলেও অন্তত ৮০ শতাংশ শেষ হবে।’

তিনি বলেন, সুরমার সিলেট অংশের কুশিঘাট এলাকা নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হচ্ছে, সেটি প্রকল্পের আওতাধীন। দুই-এক মাসের মধ্যে এই অংশে খননকাজ শুরু হবে। এখানে একসঙ্গে সব ড্রেজার চালাতে হবে। এ জন্য সবশেষে কুশিঘাট এলাকা খনন শুরু হবে। প্রকল্পের মেয়াদ নতুন করে আর বাড়বে না।

জানা যায়, গত ১১ বছরে সিলেটের সুরমা নদী খননে চারটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনাগুলো (ডিপিপি) মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এরপর তিনবার সমীক্ষাও চালানো হয়। কিন্তু ওই প্রকল্পগুলোর কোনোটাই আলোর মুখ দেখেনি। এরপর ২০২৩ সালে ছোট পরিসরে যে একটি প্রকল্প চলছে তাও নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি।

সিলেট পরিবেশ রক্ষা ট্রাস্টের আহ্বায়ক ডা. মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী বলেন, সিলেটের মানুষ আশা করেছিল সুরমা নদী খননের মাধ্যমে নাব্য ফেরানো হবে। কিন্তু নদী খননের কাজ লক্ষ্যমাত্রা থেকে বহু দূরে। নদী খনন নিয়ে রাজনৈতিক নেতৃত্বের নজরদারি না থাকায় প্রকল্পের ৫০ কোটি টাকা বরবাদ হবে বলে মনে হচ্ছে। এতে সিলেটের মানুষ কোনো সুফল পাবে না। উলটো এবারো বন্যা দেখা দিতে পারে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন, সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম কিম বলেন, গত বছরের ২১ জানুয়ারি সুরমা নদীর খননকাজের উদ্বোধন করেছিলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। সে সময় তিনি আসছে বর্ষার আগে খননকাজ শেষ হওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু বর্ষা শেষ হয়ে আরেক বর্ষা আসছে। অথচ কাজের অগ্রগতি খুব কমই হয়েছে। ধীরগতিতে এ খননকাজ চলছে।

তিনি বলেন, কেবল ১৫ কিলোমিটার নয়। পুরো সুরমা নদী খনন করতে হবে। না হলে সিলেটে বন্যা জলাবদ্ধতা কমবে না। কারণ পলি জমে পুরো নদী ভরাট হয়ে গেছে। উৎসমুখসহ নদীজুড়ে অসংখ্য চর পড়েছে। ফলে বর্ষায় বৃষ্টির পানি নদী দিয়ে নামতে পারে না। শহরে ঢুকে পড়ে।

খননকাজ যথাসময়ে শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের বর্তমান এমপি ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘২০২২ সালের বন্যার পর দুটি প্রধান দাবি ছিল সুরমা খনন ও শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ। সেসময় প্রধানমন্ত্রী সিলেট এলে তাকেও এসব দাবি জানানো হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনোটিরই কাজ সম্পন্ন হয়নি, যা খুবই হতাশাজনক।’


দুই বছরেও চালু হয়নি মেহেরপুরের ওয়েদার ডিসিশন সাপোর্ট সিস্টেম

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১৩ মে, ২০২৪ ০৩:৪৮
সোহেল রানা বাবু, মেহেরপুর

পাইলট প্রকল্প হিসেবে দুই বছর আগে মেহেরপুরে ওয়েদার ডিসিশন সাপোর্ট সিস্টেম স্থাপন করা হলেও জনবল সংকটসহ নানা সমস্যার অজুহাতে আজ অবধি যন্ত্রটি চালু হয়নি। ফলে শীত কিংবা গরম সব ঋতুতেই এর সেবা থেকে বঞ্চিত থাকছে জেলার মানুষ।

ওয়েদার ডিসিশন সাপোর্ট সিস্টেমটি এখন শুধু খাতা কলমেই বিদ‍্যমান। দীর্ঘসময় পেরিয়ে গেলেও এখান থেকে আবহাওয়ার কোনো তথ্য-উপাত্ত না পেয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন অনেকে। সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছেন কষিনির্ভর জেলার লাখো কৃষক।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও বতর্মান জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ওয়েদার ডিসিশন সিস্টেমের কন্ট্রোল রুম উদ্বোধন করেন।

সে সময়ে জেলা প্রশাসক এ সিস্টেমটি সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘অত্যাধুনিক এ সিস্টেমটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকলেও বাংলাদেশের মধ্যে মেহেরপুরই হচ্ছে প্রথম জেলা, যেখানে এ সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। যন্ত্রটি চালু হলে জেলার মানুষ প্রাত্যহিক জেলার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ডসহ জেলায় বজ্রপাত, ঝড়, ভূমিকম্প, ভূগর্ভস্থ পানি দূষণসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাসের তথ‍্যসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা পাবেন। ফলে কমবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ।

তিনি আরও বলেছিলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে লোকবল না দেওয়া পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের দুজন লোকবল দিয়ে সিস্টেমটির কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। তবে এটি এখন পুরোপুরি অকেজো হয়ে পড়ে আছে।

কৃষক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘এই সামনে ঝড় বৃষ্টির সময় আসছে। মাঠে উঠতি ফসল থাকলে আমরা বাড়িতে খুব দুশ্চিন্তায় থাকি। না জানি কখন ঝড় বৃষ্টি হয়। আমার এমনো হয়েছে ধান কাটতে দুইদিন দেরি হওয়ায় সব ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। অথচ একদিন আগে জানতে পারলে অনেক ফসলই রক্ষা করা যেতো। এমনকি আমাদের ইউনিয়ন পরিষদে থাকা আবহাওয়া সাপোর্ট সিস্টেম থেকেও আমরা কোন সেবা পাইনি।’

মাছ চাষি কালু বাবু বলেন, ‘দুই বছর আগে আমার পুকুরে বর্ষা মৌসুমে মাছ ভরা ছিলো। হঠাৎ মধ‍্যরাতে ব‍্যাপক ঢল (বৃষ্টি) শুরু হয়ে পুকুর ভেসে আমার প্রায় দশ লক্ষ টাকার মাছ বেরিয়ে গেছে। অথচ আমি যদি আগে থেকে বৃষ্টির তথ‍্য পেতাম, তাহলে পুকুর পাড়ে নেট দিয়ে মাছগুলো রক্ষা করতে পারতাম।’

বামন্দী আনন্দ ডিজিটাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘মাস চারেক আগেও প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষে থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। অথচ আমরা জেলা থেকে আবহাওয়ার সঠিক তাপমাত্রার তথ‍্য না পাওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে বিপাকে পড়েছিলাম।’

বামন্দী গ্রামের ব্লক কৃষি সুপার ভাইজার জাফর কুদ্দুস বলেন, ‘আমরা কৃষকদের নিয়ে মাঠে কাজ করি। তাদের পাশে থেকে সবসময় কৃষির উন্নয়নের জন‍্য পরামর্শ দিয়ে থাকি। অথচ তাদের আবহাওয়ার পূর্বাভাস সমন্ধে তথ‍্য দিতে গেলে মোবাইল অ্যাপস থেকে তথ‍্য দিয়ে থাকি, যা অধিকাংশ সময় মেলেনা। এতে অনেক সময় ঝড় বৃষ্টির কারণে মাঠে থাকা ফসলের ক্ষতিসাধন হয়। অগ্রীম তথ‍্য পেলে কৃষকের ফসলের ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা কমানো সম্ভব হয়।’

গণমাধ্যমকর্মী সুমন বলেন, আমাদের আবহাওয়ার তথ‍্য জানতে হলে এখনো পার্শ্ববর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে সংগ্রহ করতে হয়। সেজন‍্য যতদ্রুত সময়ে সম্ভব আমাদের জেলায় অবস্থিত ওয়েদার ডিসিশন সাপোর্ট সিস্টেমটি চালু করা প্রয়োজন।

মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক শামীম হাসান বলেন, ‘ওয়েদার ডিসিশন সাপোর্ট সিস্টেমটি চালু করতে আমরা লোকবল চেয়ে একাধিকবার চিঠি দিয়েছি। কিন্তু এখনো কোনো লোকবল না পাওয়ায় সিস্টেমটির কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না।’


ফতুল্লায় ফ্লাইওভারের পাইলিংয়ে গ্যাস পাইপ ফেটে অগ্নিকাণ্ড

নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ সড়কে ফতুল্লার শাসনগাঁও এলাকায় রোববার তিতাসের গ্যাসরে পাইপ ফেটে আগুন লাগে। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১২ মে, ২০২৪ ১৮:৩৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ফ্লাইওভার প্রকল্পের নির্মাণ কাজের জন্য পাইলিং করার সময় তিতাস গ্যাসের মূল সংযোগের পাইপ ফেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে রাস্তার পাশের একটি ভবনের প্লাস্টিকের সুয়ারেজের বেশ কয়েকটি লাইন ও বিদ্যুতের তার পুড়ে যাওয়া সহ ৮ থেকে ৯টি টিনসেড দোকান পুড়ে যাওয়াতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আজ রোববার সকালে নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ সড়কে ফতুল্লার শাসনগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, পঞ্চবটি থেকে মুক্তারপুর পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ সড়কে ২০২৩ সাল থেকে দ্বিতল ফ্লাইওভার প্রকল্পের নির্মাণ কাজ চলছে। রোববার সকাল ১০টার দিকে শাসনগাঁও এলাকায় রাস্তা খুঁড়ে পাইলিং নির্মাণের কাজ করার সময় মাটির নিচে তিতাস গ্যাসের মূল বিতরণ সংযোগের বারো ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ ফেটে সেখানে আগুন ধরে যায়।

তারা আরও জানান, গ্যাসের অতিরিক্ত চাপের কারণে আগুন প্রায় ছয় তলা ভবন সমান উঁচুতে উঠতে দেখা গেছে। এ সময় আতঙ্কে আশপাশের লোকজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তার বের হয়ে এসে ছোটাছুটি শুরু করেন। তবে আগুনে কেউ হতাহত হননি বলে জানা গেছে।

আগুন লাগার খবর পেয়ে তিতাস কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক ওই এলাকার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিলে আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের ফতুল্লা, পাগলা ও শহরের মন্ডলপাড়া স্টেশনের ছয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে বেলা ১১টার দিকে আগুন পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রণে আনে।

তিতাসের নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফখর উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আগুনের খবর পাওয়ার পর আমাদের তিনটি স্টেশন থেকে মোট ছয়টি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। তবে এর আগে তিতাস কর্তৃপক্ষ ওই পাইপ লাইনের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল।’

তবে এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়িদের অভিযোগ, কোন ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা না রেখে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ফ্লাইওভার প্রকল্পের নির্মাণ কাজ করায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। শিগগিরই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ করার দাবি জানান তারা।


হাসপাতালের লিফটে ‘৪৫ মিনিট’ আটকা পড়ে রোগীর মৃত্যু

গাজীপুরে অবস্থিত শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১২ মে, ২০২৪ ১৬:৩৮
গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটে আটকা পড়ে মমতাজ বেগম (৫০) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালের ৩ নম্বর লিফটে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত মমতাজ বেগম গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়িগাঁও গ্রামের শারফুদ্দিন স্ত্রী।

মৃতের ভাগ্নে খন্দকার শাহদত হোসেন সেলিম জানান, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগ নিয়ে হাসপাতালের ১১ তলার মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয় মমতাজ বেগমকে। এরপর চিকিৎসকরা তাকে একই ভবনের চতুর্থ তলার কার্ডিওলজি বিভাগে নিয়ে যেতে বলেন। রোগীর স্বজনরা তাকে দ্রুত নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রলিতে উঠিয়ে লিফটে তোলেন। কিন্তু লিফট হাসপাতালের নবম ও দশম তলার মাঝমাঝি এসে থেমে যায়। তখন লিফটের অপারেটরদের রোগীর স্বজনেরা বার বার ফোন করলেও তারা কোনো যোগাযোগ করেননি। একপর্যায়ে আটকে থাকার ৪৫ মিনিট পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও লিফট অপারেটররা দরজা ফাঁকা করে কয়েকজনকে বের করে আনেন। কিন্তু ততক্ষণে লিফটের ভেতরই মমতাজ বেগমের মৃত্যু হয়।

লিফটে আটকে পড়ে রোগীর মৃত্যুর খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, ‘ঘটনার তদন্তে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. রুবিনা ইয়াসমিনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কারও ঘাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এর আগে ৪ মে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব অবহেলার কারণে হাসপাতালের ১২ তলার ভেতরের দেওয়াল ও মেঝের মধ্যে থাকা ফাঁকা স্থান দিয়ে এক রোগী ১০ তলা থেকে পড়ে মৃত্যুর বরণ করেন। ওই ঘটনার সপ্তাহ না ঘুরতেই আবার আরেকজন রোগী একই হাসপাতালে মারা গেলেন।


কালিয়াকৈরে লড়াই হবে গুরু-শিষ্যের 

কামাল উদ্দিন সিকদার (আনারস প্রতীক), সেলিম আজাদ (মোটরসাইকেল প্রতীক)। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১২ মে, ২০২৪ ০৮:৩৮
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে জমে উঠেছে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। উপজেলা চেয়ারম্যানের চেয়ারটি দখলে নিতে মরিয়া গুরু ও তার শিষ্য। চেয়ার পেয়ে গুরুর জনবিমুখ ও চেয়ার পেয়ে শিষ্যের জনমুখো হওয়া নিয়ে হিসাব কষছেন জনগণ। তবে জনমুখো ও কর্মফলের কারণে তাদের এ লড়াইয়ে জনমুখে ভাসছে শিষ্যের নাম।

এলাকাবাসী, নেতা-কর্মী ও উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২১ মে কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। দ্বিতীয় ধাপের এ নির্বাচন সামনে রেখে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত। নেতা-কর্মী, সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনা চলছে উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নিয়ে। এখানে চেয়ারম্যান পদে কাগজে-কলমে তিন প্রার্থী। তাদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী (কাপ-পিরিচ) মুরাদ কবীর শেষ মুহূর্তে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। তাই এ পদে লড়ছেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সিকদারের (আনারস) সঙ্গে তারই এক সময়ের ঘনিষ্ঠ সহচর, বর্তমান উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ও গাজীপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম আজাদ (মোটরসাইকেল)। নেতা-কর্মী, সমর্থক ও সাধারণ ভোটাররা এই দুই নেতার লড়াইকে গুরু-শিষ্যের লড়াই হিসেবে দেখছেন। তাদের ভাষ্যমতে, কামাল উদ্দিন সিকদার দুইবার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু তিনি নির্বাচনের পর উন্নয়নে ভূমিকা রাখলেও ধীরে ধীরে জনবিমুখ হয়ে পড়েছেন। নির্বাচনের পর তিনি জনগণের কাছে না যাওয়ার কারণে এমনটি হয়েছে বলে মনে করছেন ভোটাররা।

পক্ষান্তরে, তার শিষ্য সেলিম আজাদ বিপুল ভোটে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েও থেমে থাকেননি। প্রত্যেকটা গ্রাম পাড়া-মহল্লায় জনগণের দ্বারে দ্বারে গিয়েছেন এবং এখনো যাচ্ছেন। তাদের সমস্যা ও সুখ-দুঃখে পাশে দাঁড়ান সেলিম আজাদ। সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় তিনি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভূমিকা রেখেছেন। ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে প্রায় তিন হাজারের বেশি ওয়াজ মাহফিলে যোগদান করেন। তার অনুদানের ছোঁয়া লেগেছে বিভিন্ন মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মন্দিরসহ প্রতিষ্ঠানগুলোতে। এমন কোনো গ্রাম, পাড়া-মহল্লা নেই যেখানে চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম আজাদের অনুদান যায়নি। এমন জনমুখো ও কর্মফলের কারণে গুরু-শিষ্যের এ লড়াইয়ে জনমুখে ভাসছে শিষ্যের নাম। তাদের ভাষ্য, যাকে আমরা কাছে পাই, তাকেই আমরা নির্বাচিত করব। জনগণ মোটরসাইকেল মার্কায় ভোট দিবে, এতে সেলিম আজাদের ভোটের অভাব হবে না।

তবে সাধারণ ভোটারদের ভাষ্য, বর্তমান চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন সিকদার উন্নয়নমূলক কাজ করলেও এলাকায় যোগাযোগ কম। তবে সেলিম আজাদও উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন। আবার বারবার এলাকাবাসীর কাছে গিয়েছেন, তাদের সমস্যার কথা শুনেছেন ও অনুদান দিয়েছেন।

মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী সেলিম আজাদ বলেন, ‘আনারস প্রতীকের প্রার্থী নিজেও তার সমর্থক, নেতা-কর্মীরা আমার মোটরসাইকেল সমর্থকদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। তাই আমি সুষ্ঠ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কিত। সুষ্ঠ নির্বাচন হলে অনেক ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হব।’

অন্যদিকে আনারস প্রতীকের প্রার্থী কামাল উদ্দিন সিকদার তার প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগে গিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার আশ্বাস দিচ্ছেন। তবে তিনি এবারও বিজয়ের মালা গলায় পরার বিষয়ে আশাবাদী।

অবাধ, সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসার হাফিজুর রহমান জানান, এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাতজন ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৭৯৪ জন।


banner close