সোমবার, ৩ জুন ২০২৪

ঝালকাঠিতে ট্রাক-প্রাইভেটকার-অটোরিকশা সংঘর্ষ: নিহত বেড়ে ১৪

আপডেটেড
১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১৭:২৬
ঝালকাঠি প্রতিনিধি
প্রকাশিত
ঝালকাঠি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১৭:২৪

ঝালকাঠিতে ট্রাক-প্রাইভেটকার ও অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ১২ জন থেকে বেড়ে ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২জন মারা যান।

বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলাম।

এর আগে বরিশাল-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠির গাবখান সেতু এলাকায় এই ত্রিমুখী সংঘর্ষে নারী, শিশুসহ ১‌২ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতুর টোলপ্লাজায় ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঝালকাঠি পুলিশ সুপার (এসপি) আফরুজুল হক টুটুল গণমাধ্যমকে ১২ জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল। সেই ১২ জনের সঙ্গে এখন নিহত আরও ২জন যোগ হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, দুপুর ২টার দিকে রাজাপুর থেকে বরিশালের দিকে যাচ্ছিল সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক। গাবখান সেতু থেকে নামার সময় ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টোলপ্লাজায় অবস্থানরত একটি মাইক্রোবাস ও অটোরিকশাকে ধাক্কা দিয়ে খাদে পড়ে। এতে ট্রাকের ক্ষতি কম হলেও মাইক্রোবাস ও অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান চালান। এসময় রক্তাক্ত অনেকগুলো দেহ উদ্ধার করা হয়।

শেখেরহাট হাট ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত গ্রাম পুলিশ মো. কামাল হোসেন বলেন, আমরা ৪টি ইজিবাইক এবং একটি মাইক্রো গাড়িতে শেখেরহাট গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলাম। গাবখান সেতুর টোলে আসার পর বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক আমাদেরকে সামনে থেকে চাপা দেয়। এতে আমার ছোট ভাই দশম শ্রেনিতে পড়ুয়া আতিকুর রহমান সাদি নিহত হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী মাইনুল হোসেন বলেন, বেপরোয়া গতিতে আসা ট্রাকটি ‘ব্রেক ফেইল’ করে চারটি ইজিবাইক এবং একটি মাইক্রোবাসকে সামনে থেকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১২ জন বিয়ের যাত্রী মারা যায়।

ক্ষতবিক্ষত দেহগুলো সদর হাসপাতালে নিলে সেখানে ১২ জনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এসময় আহত আরও ২০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা যায়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত বেশ কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছেও বলে জানা গেছে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ জনের মারা যাওয়ার খবর গেছে। আহত আরও কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যায়।

এদিকে দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের জন্য ৫ লাখ টাকা, যারা পঙ্গুত্বের শিকার হবেন তাদের জন্য ৩ লাখ টাকা এবং আহতদের জন্য ১ লাখ টাকা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক তারাহ গুল নিঝুম।

এছাড়া দুর্ঘটনার তদন্তে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রুহুল আমিনকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের স্পেশাল অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় সিমেন্টবোঝাই ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহনগুলোর উদ্ধার কার্যক্রম চলমান আছে।


মৌলভীবাজারে পৃথক দুর্ঘটনায় পাঁচজন চিরঘুমে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় কাভার্ড ভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের ৩ জন নিহত হয়েছেন। রোববার সন্ধ্যায় কুলাউড়া-জুড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের আছুরিঘাট নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া এদিন বিকেলে ও সন্ধ্যায় উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ও কর্মধা ইউনিয়নে ঝড়ে রাস্তার ওপর গাছ ভেঙে এবং গাছের ডাল কাটতে গিয়ে নিচে পড়ে গিয়ে আরও ২ জন নিহত হয়েছেন।

জানা যায়, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি ৫ জন যাত্রী নিয়ে জুড়ীর দিকে যাচ্ছিলো। পথে কুলাউড়া-জুড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের আছুরিঘাট নামক স্থানে পৌঁছলে বিপরীতদিক থেকে আসা একটি পণ্যবাহী কাভার্ড ভ্যানের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই পূজন মুণ্ডা নামে একজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হন পূজনের বাবাসহ আরও ৫ জন। তাদের সবাইকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৌলভীবাজারের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সিলেটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পূজনের বাবা দীনবন্ধু মুণ্ডা (৫৫) ও মৌলভীবাজারে যাওয়ার পথে দীনবন্ধুর বড় ভাই রবীন্দ্র মুণ্ডা (৬০) মারা যান। নিহত ও আহতরা সকলেই জুড়ী উপজেলার বাসিন্দা।

এ ছাড়া এদিন সন্ধ্যায় উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের মিশন নামক এলাকায় ঝড়ে মাথায় গাছ ভেঙে পড়ে আব্দুল মতিন (৩২) নামে এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। তিনি ওই ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং ওই বাজারের ব্যবসায়ী ছিলেন। সন্ধ্যার দিকে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পথে তিনি এ ঘটনায় মারা যান।

এদিকে এদিন বিকেলে উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের ভেলকুমা পুঞ্জিতে গাছ থেকে নিচে পড়ে রেনু মিয়া (৬০) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। দুপুরে তিনি পুঞ্জির একটি গাছে ডালপালা কাটতে গাছের ওপরে উঠেন। এ সময় অসাবধানতাবশত গাছ থেকে পড়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপংকর ঘোষ এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

বিষয়:

আনসার আল ইসলামের জঙ্গি সদস্য গ্রেপ্তার           

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের একজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জঙ্গি দমনে পুলিশের বিশেষায়ীত এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। তার নাম- আরাফাত হোসেন (১৯)।

গতকাল রোববার কক্সবাজারের রামু এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত বিভিন্ন উগ্রবাদী লেখা সংবলিত ৩৮ (আটত্রিশ) পাতা স্ক্রীনশটের প্রিন্টেড কপি ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

আজ সোমবার এটিইউ এর গণমাধ্যম ও সচেতনতা শাখার পুলিশ সুপার (এসপি) মাহফুজুল আলম রাসেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যে কক্সবাজারের রামু থানার দক্ষিণ মিঠাছড়ির বারাইয়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের ১ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামী ও তার সহযোগীরা ধর্মীয় অপব্যাখ্যা করে বাংলাদেশের সংহতি ও জননিরাপত্তা বিপন্ন করার উদ্দেশ্যে নিষিদ্ধ সংগঠনটির কর্মকাণ্ড গতিশীল ও সংগঠিত করার চেষ্টা করছিলেন।

তারা তথাকথিত খিলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে আনসার আল ইসলামের কথিত নেতা জসিম উদ্দিন রাহমানি ও আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আলকায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের বক্তব্যসহ বিভিন্ন উগ্রবাদী কন্টেন্ট প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মান্ডে সাধারণ মানুষকে প্ররোচিত করে আসছিলেন।

এ ঘটনায় আরাফাত হোসেনের বিরুদ্ধে রামু থানায় মামলা করা হয়।


সরে যাচ্ছে শাহবাগ থানা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) শাহবাগ থানা স্থানান্তরের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেয়েছে।

আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শাহবাগ থানা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকা থেকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের উলটো দিকে সাকুরা রেস্তোরাঁর পেছনে নেওয়া হবে।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন শাহবাগ থানা স্থানান্তরের প্রস্তাব অনুমোদনের তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের কারণে সেখানে অবস্থিত থানাটি স্থানান্তরের দরকার ছিল। মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের উলটো পাশে সাকুরার পেছনে যে জায়গা রয়েছে, থানাটি সেখানে যাবে।’

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ওই জায়গা দরকার। এটি তারা প্রস্তাব করেছিল। দুই মন্ত্রণালয় একমত হতে পারছিল না, এজন্য মন্ত্রিসভায় এসেছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সাকুরা রেস্তোরাঁর পেছনে রমনা মৌজার ৩২ নম্বর দাগে ৩৯ দশমিক ৭০ শতাংশ জায়গায় থানাটি নেওয়া হবে।

বিষয়:

৫৮ উপজেলায় ছুটি ঘোষণা করল সরকার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

উপজেলা নির্বাচনের চতুর্থ ও শেষ ধাপ উপলক্ষে আগামী ৫ জুন দেশের ৫৮টি উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রজ্ঞাপন থেকে বিষয়টি জানা গেছে। প্রজ্ঞাপনটি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে পাঠানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. কামরুজ্জামানের স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘অ্যালোকেশন অব বিজনেস অ্যামং দ্য ডিফারেন্ট মিনিস্ট্রিজ অ্যান্ড ডিভিশনসের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অংশে ৩৭ নম্বর ক্রমিকের অনুবলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা মোতাবেক ৫৮টি উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোটগ্রহণের দিন অর্থাৎ ৫ জুন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো।’

ইতোমধ্যে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তিন ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। আগামী ৫ জুন চতুর্থ ও শেষ ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে স্থগিত হওয়া ২০ উপজেলার ভোট আগামী ৯ জুন অনুষ্ঠিত হবে।

বিষয়:

নারায়ণগঞ্জের ডিএনডিতে পানিবন্দি ২০ লাখ মানুষ

ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে চলাচল করছে মানুষ। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৩ জুন, ২০২৪ ০৮:৩৫
এম এস ডালিম, নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের ডিএনডি (ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা) এলাকায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ২০ লাখ মানুষ। জলাবদ্ধতায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে ডিএনডি বাঁধের ভেতরে বসবাস করা ফতুল্লার লালপুর, পাগলা, নন্দলালপুর, নয়ামাটির বাসিন্দারা। এখানে বিভিন্ন শিল্প-কারখানা কেমিক্যাল যুক্ত ময়লা পানি বৃষ্টির পানির সঙ্গে মিশে দুর্গন্ধসহ ছড়িয়ে পড়ছে নানা পানিবাহিত রোগ।

১৯৬৪ সালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা এলাকা নিয়ে ডিএনডি প্রজেক্ট গড়ে তোলা হয়। মূলত কৃষি সেচ প্রকল্প হিসেবে এখানে বাঁধ দিয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও স্বাধীনতার পর থেকে এখানে বাসা বাড়ি তৈরি করে কয়েক লাখ মানুষ বসবাস শুরু করে। পরবর্তীতে ডিএনডি বাঁধের ভেতরে ছোট-বড় মিলিয়ে ৬ হাজার শিল্প-কলকারখানা গড়ে ওঠে। এদিকে খালগুলো ভরাট হয়ে পানি নিষ্কাশনের সুযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ে কয়েক লাখ মানুষ। গত সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে টানা বর্ষণে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার সড়কের ওপরে এখনো প্রায় দুই ফুট পানি জমে আছে। নিচু এলাকাগুলো তলিয়ে গেছে। আবাসিক এলাকার ঘরবাড়ি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে।

জলাবদ্ধতায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন ডিএনডি বাঁধের ভেতরে বসবাস করা ফতুল্লার লালপুর, পৌষাপুকুর পাড়, টাগার পাড়, পাগলা, নন্দলালপুর, নয়ামাটি, মুসলিমপাড়া, শহীদ নগর, দৌলতপুর, আদর্শ নগর, নূরবাগ, পিলকুনী, শিয়াচর, লালখার বাসিন্দারা। ফতুল্লার লালপুরের বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির পানিতে সব ডুবে গেছে। ভয়াবহ এক পরিস্থিতি এলাকার। বর্ষা মৌসুমে বছরের পর বছর ধরে জলাবদ্ধতায় ভোগান্তির শিকার হয় এলাকার মানুষ। জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএনডি প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও এখনো সুফল পাচ্ছে না মানুষ। নন্দলালপুর এলাকার বাসিন্দা জলিল মিয়া বলেন, ‘বছরে অধিকাংশ সময় আমরা পানিবন্দি থাকি। এই সময়ে সড়কে নৌকা চলে। অনেক সময়ে বাধ্য হয়ে এই নোংরা পানি দিয়েই আমাদের হাঁটাচলা করতে হয়৷’

দৌলতপুরের বাসিন্দা জুনায়েদ আহমেদ বলেন, ‘জলাবদ্ধতা আমাদের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ ব্যবসা বাণিজ্য স্থবির হয়ে আছে। এসব দেখার যেনো কেউ নেই। ভাবছি বাড়ি বিক্রি করে অন্যত্র চলে যাব।’ বৃষ্টিতে তলিয়ে যাওয়া ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকা ইতোমধ্যে পরিদর্শন করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। তিনি পানিবন্দি মানুষের ভোগান্তি কমাতে দ্রুত পানি নিষ্কাশন করার আশ্বাস দিয়েছেন। এ বিষয়ে শামীম ওসমান বলেন, ‘আমি লজ্জিত ৷ আমরা ভেবেছিলাম এবার এ জায়গা শুকনা থাকবে। ফতুল্লার লালপুর এলাকা ফতুল্লার হার্ট। এখানে রাস্তা উঁচু এলাকা নিচু। তাই তিন লাখ মানুষ প্রায় পানিবন্দি হয়ে আছে৷ আমরা এখানে তিনটি পানির মোটর পাম্প বসিয়েছিলাম। এখানে একটি ট্রান্সফরমার ছিল, সেটা খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ট্রান্সফরমার না হলে তিনটা পাম্প চালানো যাবে না। এটার কারণে প্রচুর পানি জমে রাস্তা ও মসজিদ, মন্দিরে প্রবেশ করছে। এই পানি টানতে ৭২ ঘণ্টা লাগে। তবে একটা ট্রান্সফরমার লাগবে। একটা ভালো ট্রান্সফরমারের ব্যবস্থা করো, আমি টাকা দেব।’

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নারায়ণগঞ্জ জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী এ.বি.এম. মাহবুবুল আলম খন্দকার জানান, ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ২০১৭ সালে মেগা প্রকল্প শুরু হয় । ১,২৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) এলাকা নিয়ে এ ডিএনডি প্রকল্পের কাজ গত বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা এখনো সম্পন্ন হয়নি। তবে জলাবদ্ধতা কমাতে দিন-রাত পাম্প চালু রাখার কথা জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। এ ছাড়া জায়গার জটিলতাসহ খনন করা খালগুলোতে ময়লা ফেলায় প্রকল্পের কাজ ধীরগতিতে চলছে বলে জানানএই কর্মকর্তা।

সূত্র মতে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) প্রকল্পের কাজ শুরু করে সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের অধীন ১৯ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন। এর আগে, প্রথম ধাপে ২০১৬ সালে একনেকের সভায় ডিএনডি প্রকল্পের জন্য ৫৫৮ কোটি টাকার এই মেগা প্রকল্প পাস হয়। পরবর্তীতে ডিএনডি এলাকায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নে (দ্বিতীয় পর্যায়, প্রথম সংশোধনী) বরাদ্দ বাড়িয়ে প্রায় ১৩০০ কোটি টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে প্রকল্পের অগ্রগতি আশানুরূপ না হওয়ায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে ডিএনডিবাসী।


গজারিয়ায় শিপইয়ার্ড থেকে ৭ কোটি টাকার জাহাজ ‘উধাও’

উধাও হওয়া জাহাজ। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২ জুন, ২০২৪ ২২:০২
গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় থ্রি-অ্যাঙ্গেল মেরিন লিমিটেডের মালিকানাধীন শিপইয়ার্ড থেকে মেরামতের জন্য আনা একটি পুরাতন ওয়েল ট্যাঙ্কার উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জাহাজটির মালিক পক্ষ ও শিপইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ পরস্পরকে দায়ী করছেন। এ ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছে উভয় পক্ষ, বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৮ সালের নভেম্বরে স্ক্রাব হিসেবে সাতটি জাহাজ মেসার্স মাল্টিপল ইকুইপমেন্ট অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডকে হস্তান্তর করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।

সেখান থেকে টি টেকনাফ নামে পুরাতন একটি অয়েল ট্যাঙ্কার মেরামতের উদ্দেশ্যে প্রায় এক বছর আগে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার নয়ানগর এলাকার থ্রি অ্যাঙ্গেল মেরিন লিমিটেডের শিপইয়ার্ডে নিয়ে আসেন মিলন হাজী, আলাউদ্দিন ও রফিক নামে তিন ব্যবসায়ী। জাহাজটির মেরামত এবং প্রায় এক বছরের বাথিং খরচ বাবদ ৩০ লাখ টাকা বিল আসে। পাওনা টাকা দিতে একাধিকবার তাগাদা দিলেও তারা তা দিতে টালবাহানা শুরু করে। এর মধ্যে গত ১৯ মে সকাল থেকে জাহাজটি শিপইয়ার্ড এলাকায় দেখতে না পেয়ে বিষয়টি জাহাজটির মালিক পক্ষকে জানায় শিপইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছে দুই পক্ষ।

থ্রি-অ্যাঙ্গেল মেরিন লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) মোজাম্মেল হক বলেন, ‘জাহাজটি মেরামতের পরে আমাদের শিপইয়ার্ডের এক পাশে মেঘনা নদীতে নোঙর করে রাখা ছিল। মেরামত এবং বার্থিং চার্জ বাবদ ৩০ লাখ টাকা বিল আসে। আমরা বিল পরিশোধের জন্য একাধিক বার নোটিশ দিয়েছিলাম, কিন্তু তারা তা পরিশোধ করেনি। এর মধ্যে গত ১৯ মে সকাল থেকে আমরা জাহাজটি শিপইয়ার্ড এলাকায় না দেখতে পেয়ে জাহাজটির মালিকপক্ষকে জানাই।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের ধারণা পাওনা টাকা পরিশোধ না করার জন্য পরিকল্পিতভাবে তারাই জাহাজটি সরিয়ে ফেলেছে। ৮/৯ দিন চারদিকে খোঁজাখুঁজি করে আমরা জাহাজটির হদিস না পেয়ে ২৯ মে থানায় লিখিত অভিযোগ করি।’

মেসার্স মাল্টিপল ইকুইপমেন্ট অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রতিনিধি মহিউদ্দিন বলেন, ‘শিপইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ দুইবার আমাদের কাছে বিল পাঠায়। আমরা বিল পেয়ে তা পরিশোধ করি। গত ২৯ মে তারিখে আমাদের কোম্পানির কয়েকজন প্রতিনিধি জাহাজটি নিয়ে আসার জন্য শিপইয়ার্ডে গিয়ে দেখেন সেখানে জাহাজ নেই। আমাদের ধারণা জাহাজটি তারা অন্যত্র সরিয়ে ফেলেছে অথবা কেটে বিক্রি করে ফেলেছে। জাহাজটির বর্তমান বাজারমূল্য ৭ কোটি টাকারও বেশি। এ বিষয়ে আমরা গত ৩০ মে গজারিয়া থানাতে লিখিত অভিযোগ করেছি।’

গজারিয়া থানার ওসি মো. রাজিব খান বলেন, ‘উভয় পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। বিষয়টি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও জানে। আমাদের তদন্ত কার্যক্রম চলছে। বিস্তারিত পরে বলতে পারব।’

এদিকে জাহাজের নিবন্ধন দেওয়া প্রতিষ্ঠান নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নৌ বাণিজ্য দপ্তরের সবশেষ তালিকা ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত জাহাজটির মালিকানা দেখানো হয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন।

ক্রাব হিসেবে বেশ কয়েক বছর আগে বিক্রি করা একটি জাহাজের মালিকানা এখনো কেন সরকারি প্রতিষ্ঠানের নামে এটা জানতে নৌ বাণিজ্য দপ্তরের প্রিন্সিপাল অফিসার এবং রেজিস্টার অব বাংলাদেশ শিপস ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা নৌযানের নিবন্ধন দিয়ে থাকি। আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী ‘ট্যাঙ্কার টেকনাফের’ মালিকানা এখনো বিআইডব্লিউটিসির। প্রতিষ্ঠানটি যদি কোনো জাহাজ স্ক্রাব হিসেবে বিক্রি করতে চায়, তাহলে আগে আমাদের কাছ থেকে তাদের প্রত্যয়ন নিতে হবে এবং জাহাজটি স্ক্রাব হিসেবে বিক্রি করা হয়েছে কি না এ মর্মে লিখিতভাবে জানাতে হবে।’

সাব্বির মাহমুদ আরও বলেন, ‘এ নৌযানটির ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসি আমাদের কাছ থেকে কোনো প্রত্যয়ন নেয়নি এবং স্ক্রাব হিসেবে বিক্রির বিষয়টি আমাদের জানানো হয়নি। তারা কেন এমনটি করল আমি খবর নিয়ে দেখছি।’

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান ড. এ কে এম মতিউর রহমানের টেলিফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, জাহাজটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা শিপবিল্ডিংয়ের তথ্য বলছে, ৫৫ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৯ মিটার প্রস্থ বিশিষ্ট জাহাজটি নির্মাণ করা হয় ১৯৪৪ সালে। সেখানে জাহাজটির বর্তমান অবস্থা পরিত্যক্ত অথবা হারিয়ে যাওয়া দেখানো হয়ে। তবে নৌ বাণিজ্য দপ্তরে তালিকায় জাহাজটির নির্মাণ সাল ১৯৪৫ দেখানো হয়েছে।


পরিচয় মিলেছে ময়মনসিংহে চার টুকরো যুবকের মরদেহের

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ময়মনসিংহ ব্যুরো

ময়মনসিংহে সেতুর নিচ থেকে দুই পা ও মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় উদ্ধার করা যুবকের মরদেহের পরিচয় মিলেছে। নিহতের নাম ওমর ফারুক সৌরভ (২৩)। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইগবাজ ইউনিয়নের তারাটি গ্রামে।

আজ রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি দৈনিক বাংলাকে নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, বিকেলে নিহতের মামা পরিচয়ে এসে একজন জানিয়েছে নিহতের নাম সৌরভ। তিনি ঢাকার সাভারে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। সৌরভ ঢাকার গুলশানে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন বলেও জানা গেছে।

পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

সকাল ১০টার দিকে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সদর উপজেলার মনতলা এলাকায় সুতিয়া নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ((ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেন জানান, সুতিয়া নদীর ওপর সেতুর নিচে একটি কালো ট্রলি ব্যাগ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন। পরে থানা-পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ট্রলি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। মরদেহের মাথা ও দুই পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আলাদা পলিথিনে মোড়ানো ছিল। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটনসহ জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

বিষয়:

গজারিয়ায় তিন মাসে চার হত্যাকাণ্ড

  মূল অভিযুক্তরা ধরাছোঁয়ার বাইরে
আপডেটেড ২ জুন, ২০২৪ ০৮:৫৯
গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় গত তিন মাসে চারটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন এবং মূল অভিযুক্তদের আটক করতে পারেনি পুলিশ। এ অবস্থায় উপজেলায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেড়ে যাওয়া, পুলিশের ওপর হামলাসহ মানুষের আইন হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এতে উৎকণ্ঠা বাড়ছে সচেতন মহলে।

গজারিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত সময়ে উপজেলায় চারটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিভিন্ন স্থান থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে গত ৮ মার্চ পোড়াচক বাউশিয়া গ্রাম-সংলগ্ন নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় ডালিম দেওয়ান নামে একজনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে তাকে হত্যা করা হয় বলে জানা যায়। গত ৭ এপ্রিল ভবেরচর ইউনিয়নের পৈক্ষারপাড় গ্রাম-সংলগ্ন হিজলতলা বিলের জোড়া পুকুর এলাকা থেকে অর্ধগলিত এক পুরুষের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গত ১৫ এপ্রিল উপজেলার টেংগারচর ইউনিয়নের বৈদ্দারগাঁও গ্রামে ভুট্টাখেতের পাশ থেকে অজ্ঞাত এক তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল এবং মরদেহের পাশ থেকে রক্তমাখা একটি কাঁচি উদ্ধার করা হয়। গত ২৮ এপ্রিল নিখোঁজের দুই দিন পর মেঘনা নদীর নয়ানগর এলাকা থেকে বিল্লাল নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার দুই বন্ধু তাকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

নিহত ডালিম দেওয়ানের বড় ভাই আমিনুল দেওয়ান বলেন, ‘এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজন আটক হলেও আমরা পুলিশের ও রকম কোনো তৎপরতা দেখছি না। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে নিতে আগ্রহ নেই তাদের। এ অবস্থায় আমরা একেবারে হতাশ হয়ে পড়েছি।’

নিহত বিল্লালের স্ত্রী খায়রুন নেসা লাকী বলেন, বিল্লাল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত, তা এখন পানির মতো পরিষ্কার। বিষয়টি নৌ-পুলিশ তদন্ত করছে। এ ঘটনায় পুলিশ এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করতে না পারায় হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।

হত্যাকাণ্ডের বিষয় নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে মুন্সীগঞ্জ নাগরিক সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সুজন হায়দার জনি বলেন, ‘ন্যায় বিচার না পেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আস্থা হারাবে মানুষ। আর সাধারণ মানুষের আইন হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মূল দায়িত্ব মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া। অপরাধ প্রবণতা কমাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা আরও বাড়াতে হবে।’

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘ডালিম দেওয়ান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শামীমসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদিকে বিল্লাল হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউকে এখনো পর্যন্ত আটক করা যায়নি। অভিযুক্তদের আটকে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব খান বলেন, ‘এগুলো বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা। এতে সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার অবনতি ঘটছে, তা বলা যাবে না। চারটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুটি মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার হওয়ায় সেগুলো নৌ-পুলিশ দেখছে। আর বাকি দুটি আমরা দেখছি। আমরা যে দুটি মামলার তদন্ত করছি, তাদের কারও পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিহত অজ্ঞাত তরুণীর ফিঙ্গারপ্রিন্ট এনআইডি সার্ভারের সঙ্গে ম্যাচ করছে না। অন্যদিকে অজ্ঞাত পুরুষের মরদেহটি অর্ধগলিত হওয়ায় ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাদের পরিচয় উদ্ঘাটন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা।’


চালু হলো বেনাপোল-মোংলা রেল যোগাযোগ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জুন, ২০২৪ ২১:৩৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনা-মোংলা রেলপথ চালুর মাধ্যমে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে এ পুরো অঞ্চলে। উদ্বোধনের সাত মাস পর শনিবার সকাল ১০টায় খুলনা-মোংলা রেলপথ যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। মোংলা কমিউটার নামে ট্রেনটি বেনাপোল রেলস্টেশন থেকে ৫৪৯ যাত্রী নিয়ে নিজ গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। এর আগে সকালে ট্রেনটি খুলনা থেকে ছেড়ে ৯টা ২৫ মিনিটে বেনাপোল জংশনে পৌঁছায়। সেখান থেকে যাত্রী নিয়ে সকাল ১০টায় মোংলার উদ্দেশে যাত্রা করে ট্রেনটি।

স্থানীয়রা বলছেন, সরকারের এমন সিদ্ধান্তে এ অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে। এ পথে ট্রেন চলাচল শুরুর মধ্য দিয়ে তাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্নও পূরণ হলো। দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে মোংলা কমিউটার ট্রেনটি খুলনার মোহাম্মদ নগর স্টেশনে পৌঁছে। পাঁচ মিনিট বিরতি দিয়ে দুপুর ১টার দিকে যাত্রী নিয়ে মোংলার উদ্দেশে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। খুলনার মোহাম্মদ নগর রেলস্টেশনের টিকিট বুকিংয়ের দায়িত্বে থাকা মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘আমরা খুবই আনন্দিত। আজকে নতুন রেলপথে ট্রেন চালু হচ্ছে। স্টেশনে জনতা ও যাত্রীদের অনেক ভিড়। যাত্রীদের জন্য মোংলা থেকে বেনাপোল যাওয়ার ও বেনাপোল থেকে মোংলা গমনাগমনে সুবিধা হলো।’

এ রুটে ট্রেনটি মোট আটটি স্টেশনে দাঁড়াবে। খুলনার ফুলতলা পর্যন্ত এর সর্বোচ্চ গতি থাকবে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, এরপর ফুলতলা থেকে মোংলা নতুন রেলপথে এ ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি থাকবে ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার। খুলনা-মোংলা নতুন এই রুটে ট্রেনটি যাত্রাবিরতি করবে ফুলতলা রেলওয়ে স্টেশন, আড়ংঘাটা রেলওয়ে স্টেশন, মোহম্মদনগর রেলওয়ে স্টেশন, কাটাখালী রেলওয়ে স্টেশন, চুলকাটি রেলওয়ে স্টেশন, ভাগা রেলওয়ে স্টেশন, দিগরাজ রেলওয়ে স্টেশন ও মোংলা রেলওয়ে স্টেশনে।

এ ছাড়া বেনাপোল থেকে ট্রেন ছাড়ার পর নাভারণ, ঝিকরগাছা, যশোর জংশন, রূপদিয়া, সিঙ্গিয়া, চেঙ্গুটিয়া, নওয়াপাড়া, বেজেরডাঙ্গা, ফুলতলা, আড়ংঘাটা, মোহাম্মদনগর, কাটাখালি, চুলকাটি বাজার, ভাগা ও দিগরাজ স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিয়ে মোংলায় যাবে। সূচি অনুযায়ী ট্রেনটি মোংলায় পৌঁছাবে দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে। এরপর মোংলা থেকে ট্রেনটি ছাড়বে দুপুর ১টায় এবং বেনাপোলে পৌঁছাবে বিকাল সাড়ে ৪টায়। মঙ্গলবার ছাড়া সপ্তাহের অন্যান্য দিন এ রুটে একই সময়ে ট্রেন চলাচল করবে। ট্রেনটিতে মোট আসন সংখ্যা ৭১৬।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে একনেকে অনুমোদনের পর এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। নানা জটিলতায় পাঁচ দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে কাজ শেষে ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর প্রকল্পটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারত সরকারের ঋণ সহায়তা চুক্তির আওতায় খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এলঅ্যান্ডটি এবং ইরকন ইন্টারন্যাশনাল। ৯১ কিলোমিটার নতুন এ রেলপথে রূপসা নদীর ওপর ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি রেলসেতু নির্মাণ করা হয়। এ ছাড়া ১১টি প্ল্যাটফর্ম, ১০৭টি কালভার্ট, ৩১টি ছোট ব্রিজ ও ৯টি আন্ডারপাসের নির্মাণ সম্পন্ন। এরই মধ্যে চার দফায় পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলেছে এ রুটে।


বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটি'র খুলনা বিভাগীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রক্তদানের কার্যক্রমকে ও রক্তদানে উদ্বুদ্ধকরন বার্তা আরও ব্যাপক হারে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটি'র খুলনা বিভাগের উদ্যোগে কুষ্টিয়া জেলার শিল্পকলা একাডেমিতে বিভাগীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় এর উদ্বোধন করেন বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটির খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়ক জিয়াউল হাসান আমিন।

উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা. আকুল উদ্দিন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘যেসকল মানুষ এমন মহৎ কাজে যুক্ত থাকে তাদেরকে আমি শ্রদ্ধা করি, ভালোবাসি। বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটির সকল বীরকে জানাই স্যালুট। ইনশাআল্লাহ্ বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটির মাধ্যমে আমরা সারা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে একদিন।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটির সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক আনিসুজ্জামান নাহিদ এবং সাবেক প্রধান সমন্বয়কসহ বিভিন্ন বিভাগীয় সমন্বয়ক গণ।

উল্লেখ্য, এদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৩০০ এর অধিক স্বেচ্ছাসেবীকে নিয়ে এ বিশাল আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।


রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন নিয়ন্ত্রণে, পুড়ল ২ শতাধিক ঘর

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জুন, ২০২৪ ১৫:৫১
কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিটের দেড় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আজ শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৮ এপিবিএনের অধিনায়ক মো. আমির জাফর।

তিনি বলেন, ‘দুপুরে ১৩ নম্বর তানজিমারখোলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাঁঠালতলী বাজারে আকস্মিক আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। মুহুর্তেই আগুন বাজারসহ ক্যাম্পের আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশ তাৎক্ষণিক উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে অবহিত করেন। উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন। এরমধ্যে কক্সবাজার, রামু ও টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনকে খবর দেওয়া হয়। বেলা আড়াইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আগুন লাগার কারণ এখনো অজানা।’

তিনি আরও জানান, আজ শনিবার দুপুর ১টার দিকে ক্যাম্পের ডি-৩ ব্লকের কাঁঠালতলী বাজারে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। প্রাথমিকভাবে ২ শতাধিক রোহিঙ্গাদের ঘর ও এনজিও সংস্থার কেন্দ্র পুড়ে গেছে। হতাহতের কোন খবর এ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

গত ২৪ মে একই ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। এতে হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ভস্মিভূত হয় প্রায় ৩ শতাধিক বসত ঘরসহ নানা স্থাপনা।

বিষয়:

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের অগ্নিকাণ্ড

উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ১৩ নম্বর তানজিমারখোলা ক্যাম্পের ডি-৩ ব্লকের কাঁঠালতলী বাজারে শনিবার দুপুরে আগুন ধরে। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জুন, ২০২৪ ১৪:৫০
কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারে উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবার আগুনের ঘটনা ঘটেছে।

উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ১৩ নম্বর তানজিমারখোলা ক্যাম্পের ডি-৩ ব্লকের কাঁঠালতলী বাজারে শনিবার দুপুর ১ দিকে আগুন ধরে।

গত ২৪ মে একই ক্যাম্পে আগুন ধরেছিল। সে আগুনে কেউ হতাহত না হলেও ভস্মীভূত হয় বসতঘরসহ তিন শতাধিক স্থাপনা।

তানজিমারখোলা ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক আমির জাফর আগুন ধরার বিষয়টি জানিয়েছেন।

কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, তা তাৎক্ষণিক নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।

স্থানীয়দের বরাতে আমির জাফর বলেন, ‘দুপুরে ১৩ নম্বর তানজিমারখোলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাঁঠালতলী বাজারে আকস্মিক আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। মুহূর্তেই আগুন কাঁঠালতলী বাজারসহ ক্যাম্পের আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে।

‘খবর পেয়ে এপিবিএন তাৎক্ষণিক উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে অবহিত করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।’

আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি জানিয়ে ৮ এপিবিএনের অধিনায়ক বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে কক্সবাজার, রামু ও টেকনাফ ফায়ার স্টেশনকে খবর দেয়া হয়েছে।’

বিষয়:

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: বিদ্যুৎ ফিরে পেলেন ৯৯ শতাংশ গ্রাহক

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে প্রায় ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভৌগলিক এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিলেন প্রায় ৩ কোটি ৩ লাখ ৯ হাজার ৭০২ গ্রাহক। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এই গ্রাহকদের ৯৯ শতাংশকে ইতোমধ্যে পূনঃসংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) ৩ কোটি ২ হাজার গ্রাহকক, যা মোট বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন গ্রাহকের ৯৯ শতাংশ- ইতোমধ্যে পূনঃসংযোগ পেয়েছেন। অবশিষ্ট দুই লাখ ৮০ হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ পূনঃসংযোগ দেওয়ার কাজ চলছে বলেও জানায় বিদ্যুৎ বিভাগ।

বিদ্যুৎ বিভাগ আরও জানায়, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) শুক্রবার ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সব গ্রাহককে পূনঃসংযোগ প্রদান সম্পন্ন করেছে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বাকি ১ শতাংশ গ্রাহকের সার্ভিস ড্রপ ও আনুষঙ্গিক মালামাল প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যথাসম্ভব দ্রুততার সঙ্গে সংযোগের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রাথমিক তথ্যানুসারে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ১০৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ৮০টি সমিতির মধ্যে ৬০টি সমিতির শতভাগ গ্রাহককে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। সমিতি, আরইবি ও ঠিকাদার জনবলসহ বর্তমানে প্রায় ১৭ হাজার জনবল মাঠে কাজ করছে।

বিষয়:

banner close