শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

ইয়ারফোন লাগিয়ে চালাচ্ছিলেন বাইক, ট্রেনের ধাক্কায় গেল প্রাণ

দুর্ঘটনার কবলে পড়া মোটরসাইকেল এবং গোলাম মওলা সুমন
আপডেটেড
৬ নভেম্বর, ২০২২ ১২:১৫
প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ
প্রকাশিত : ৬ নভেম্বর, ২০২২ ১২:১০

ময়মনসিংহে ট্রেনের ধাক্কায় গোলাম মওলা সুমন (৪৪) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। নগরীর কেওয়াটখালি রেলক্রসিং এলাকায় গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সুমন শহরের শ্যামাচরণ রায় রোড এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের ময়মনসিংহ জোনের ম্যানেজার ছিলেন।

বিষয়টি দৈনিক বাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন সুমন। ওই রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় আশেপাশের লোকজন ‘ট্রেন আসছে’ বলে তাকে থামতে বললেও প্রথমে খেয়াল করেননি। এক পর্যায়ে লোকজনের ডাকাডাকি শুনতে পেয়ে রেললাইনের কাছে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে পেছনে তাকান সুমন। ততক্ষণে ট্রেনটি কাছে চলে আসে এবং ধাক্কায় তিনি ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি জানান, নিহতের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।


ভেজাল মধুর রমরমা ব্যবসা

আপডেটেড ১০ মে, ২০২৪ ০০:১৩
আওয়াল শেখ, খুলনা

বিশ্বের একক বৃহত্তম লবণাক্ত পানির বন ভূমি সুন্দরবন। যেখান থেকে বছরের দুই মাস মধু আহরণের অনুমতি পান মৌয়ালরা। মধু ব্যবসায়ী, মৌয়াল ও বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সুন্দরবন থেকে যে মধু পাওয়া যায় তা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক। তাই এই মধুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তবে সেখান থেকে পর্যাপ্ত জোগান না হওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারে ভেজাল মধুকে সুন্দরবনের মধু হিসেবে সরবরাহ করে চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছেন। ১২ বছর ধরে সুন্দরবনের মধুর ব্যবসা করছেন সৈয়দ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, কৃত্রিমভাবে বাক্সের মাধ্যমে মৌমাছি রেখে, সরিষা, লিচু বা অন্যান্য ফুলের মধু উৎপাদন করা হয়, তাতে রাসায়নিকের উপস্থিতি থাকতে পারে। কারণ এখন ফলন বাড়ানোর জন্য ফসলে নানা রকমের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। তবে সুন্দরবনের গাছের ফুলে কোনো প্রকার রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় না। তাই সেখানের মধু পুরোপুরি প্রাকৃতিক ও খাঁটি। আর এ কারণেই বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ফলে সুন্দরবনের মধুর নামে সহজেই ভেজাল মধু বিক্রি করা যায়।

দেশে প্রতি বছর কী পরিমাণ মধুর চাহিদা রয়েছে তার হিসাব বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) বার্ষিক প্রতিবেদনে। বিসিকের উদ্যোগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে ৭,৩২৮ দশমিক ২৫ মেট্রিক টন মধু উৎপাদিত হয়েছে। এ ছাড়া বন বিভাগের তথ্য মতে, ওই অর্থবছরে সুন্দরবন থেকে মধু আহরণ হয়েছে ১২২ দশমিক ৫ মেট্রিক টন। ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান আরও বলেন, এ পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যায়, বাজারে কী পরিমাণ মধুর চাহিদা রয়েছে। আর ভোক্তারা যে পরিমাণ সুন্দরবনের মধু চাচ্ছেন, সে তুলনায় এই বন থেকে খুবই সামান্য পরিমাণ মধু আহরণ হচ্ছে। এদিকে বিপুল পরিমাণ চাহিদার বিপরীতে পর্যাপ্ত জোগান না হওয়ায় খুলনা শহরসহ উপকূলীয় উপজেলাগুলোতে গড়ে উঠেছে একাধিক ভেজাল মধুর কারখানা এবং অসাধু ব্যবসায়ীরা ভেজাল মধুর রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে ভোক্তারা প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।

গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর খুলনা শহরের খালিশপুরে ‘খুলনা মধুঘর’ নামের একটি কারখানায় অভিযান চালায় নগর গোয়েন্দা পুলিশ। সেখান থেকে তারা ৬শ লিটার ভেজাল মধু জব্দ করে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় ভেজাল কারখানার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিপুল পরিমাণ মধু জব্দ করে। গত ১১ সেপ্টেম্বর ১০৫ লিটার ভেজাল মধু জব্দ করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। কয়রা থানা পুলিশ ২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি ১৫ মণ, ২০২২ সালের ৯ নভেম্বর ১৫ মণ, ২০২০ সালের ১২ মে ২৩ মণ ভেজাল মধু জব্দ করে।

যারা ভেজাল মধু তৈরি করেন এমন কয়েকজন মৌয়ালের সঙ্গে কথা বললে তারা এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ চিনির সঙ্গে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ পানিসহ উত্তপ্ত করে তার সঙ্গে ‘হানি এথেন্স’ নামের এক প্রকার রাসায়নিক ফ্লেভার মিশ্রত করা হয়। যার ফলে ভেজাল মধু তৈরি করা হয়। ওই মধুর সঙ্গে সুন্দরবন থেকে আহরণ করা প্রাকৃতিক মধু মিশ্রিত করা হয়। তারা জানান, মধু আসল কিংবা নকল তা স্বাভাবিকভাবে কেউ অনুমান করতে পারে না। দুটির স্বাদ-ঘ্রাণ প্রায় একই রকমের হয়ে থাকে। শুধু যে উপকূলীয় মৌয়ালদের বাড়ি বা মধু ব্যবসায়ীদের বাড়িতে ভেজাল মধু তৈরি হয় তা নয়। অসাধু মৌয়ালরা বনের মধ্যে গিয়েও ভেজাল মধু তৈরি করে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে।

২০২১ সালের ২২ মে সুন্দরবনের কালাগাছি এলাকা থেকে ৭৫০ কেজি চিনিসহ সাত মৌয়াল আটক করেছিল বন বিভাগ। তারা বন বিভাগ থেকে মধু সংগ্রহের অনুমতি নিয়ে সুন্দরবনে গিয়ে ভেজাল মধু তৈরির প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, ‘চাক থেকে কীভাবে মধু কাটতে হবে, কীভাবে বেশি মধু আহরণ করা যায়, এসব নিয়ে মৌয়ালদের আমরা মাঝে মধ্যে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। একই সঙ্গে মধুর মৌসুমে কঠোর নজরদারি করা হয়, যাতে বনের মধ্য কেউ ভেজাল মধু তৈরি করতে না পারে। তবে অসাধু ব্যবসায়ীরা যদি বাড়িতে তৈরি করে, সেখানে আমাদের কিছু করার থাকে না।’ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম বলেন, আসল আর নকল মধু নির্ণয় করার সহজ কোনো উপায় নেই। আমরা এ ধরনের অভিযান চালাতে গেলে বিএসটিআইয়ের সহায়তা নিয়ে থাকি। যাচাই-বাছাই করে সবার মধু কেনা উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

এদিকে প্রতিবারের মতো এ বছরও এপ্রিলের শুরুতে সুন্দরবনে মধুর মৌসুম শুরু হয়েছে। ৩১ মে পর্যন্ত মৌয়ালরা সেখান থেকে মধু আহরণ করবেন। বন বিভাগ জানায়, চলতি অর্থবছরে ২ লাখ ৫০ হাজার কেজি মধু ও ৭৫ হাজার কেজি মোম আহরণের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এর বিপরীতে বনের রাজস্ব আয় হবে ৬০ লাখ টাকারও বেশি। তবে মৌয়ালরা বলছেন সুন্দরবন থেকে কী পরিমাণ মধু আহরণ করা যাবে তা নির্ভর করে মৌসুমে কী পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয় তার ওপর। সুন্দরবন সংলগ্ন কালাবগি গ্রামের মৌয়াল মোজাহিদ বলেন, ‘এই বছর মধুর মৌসুমে একেবারেই বৃষ্টিপাত হয়নি। ফলে গাছের ফুল শুকিয়ে পড়ে যাচ্ছে। যার কারণে আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণ মধু পাচ্ছি না।’

তিনি আরও বলেন, গত বছরেও মধুর মৌসুমে তেমন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বন থেকে আমরা পর্যান্ত পরিমাণ মধু পাইনি। একটি চাক থেকে মধু কাটার পর অন্তত ১৫ দিন পর আবার মধু কাটা যায়। বৃষ্টি ভালো হলে বড় চাক থেকে ২০ কেজিরও বেশি মধু পাওয়া যায়। আর বৃষ্টি না হলে ৭ থেকে ১০ কেজি মধু পাওয়া যায় বলে তিনি জানান। আবহাওয়া অধিদপ্তরের খুলনা কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, এ বছর মধুর মৌসুম শুরু হওয়ার পর খুলনা অঞ্চলে মাত্র ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা অন্যান্য বছরের তুলনায় খুবই কম। সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, ‘আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে অন্যান্য বছর এপ্রিলে খুলনা অঞ্চলে সাধারণত ৫০ মিলিমিটারের কাছাকাছি বৃষ্টি হয়ে থাকে।’

বৃষ্টিপাতের সঙ্গে মধু উৎপাদনের সম্পর্ক রয়েছে বলে স্বীকার করে পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, গত বছর মধুর সিজনে কোনো বৃষ্টি হয়নি। বৃষ্টির সঙ্গে মধু উৎপাদনের একটা সম্পর্ক আছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হলে ফুল ঝরে যায় ও ফুলে মধুর পরিমাণ কমে আসে। তাই গত বছর বৃষ্টি না হওয়ায় সুন্দরবনে মধু কম পাওয়া গেছে। এ বছরও বৃষ্টিপাত কম, তবে মে মাসে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। যদি ভালো বৃষ্টি হয় তবে মধু আহরণের পরিমাণ বাড়বে। খুলনা ও সাতক্ষীরার একাধিক মৌয়ালের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় অনেকে মৌয়াল প্রথমবার মধু আহরণ করতে গিয়ে লোকসান গুনছেন। মে মাসে যদি পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হয় তাহলে তারা মধু আহরণ করতে বনে যাবেন না।


উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে যারা বিজয়ী হলেন

ফাইল ছবি
আপডেটেড ৯ মে, ২০২৪ ১৫:৩১
নিজস্ব প্রতিবেদক

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোট গণনা শেষে রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। যারা এবার নির্বাচিত হলেন:

নবাবগঞ্জ (ঢাকা) : নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু বিপুল ভোটে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪১৪২১ ভোট। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইঞ্জিনিয়ার আরিফুর রহমান জয়ী হয়েছেন। তালা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৪৪৩০০ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কলস প্রতীক নিয়ে ২৫১৮১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন রোকসানা।দোহার উপজেলায় আলমগীর হোসেন আনারস প্রতীক নিয়ে ৩৭,৫৫৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন সোহাগ (তালা প্রতীক) নিয়ে ৪৯ হাজার ৭৪৬ ভোট এবং মহিল ভাইস চেয়ারম্যান পদে শামীমা আক্তার বিথী (হাঁস প্রতীক) নিয়ে ৩০ হাজার ৬৭১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

নরসিংদী: নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনোয়ার হোসেন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. ওয়ালিউর রহমান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আঞ্জুমান বেগম জিয়ী হয়েছে।

এ ছাড়া পলাশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সৈয়দ জাবেদ হোসেন চেয়ারম্যান নির্বিাচিত হয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান পদে কারী উল্লাহ সরকার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সেলিনা আক্তার বিজয়ী হয়েছে। এ নিয়ে সৈয়দ জাবেদ হোসেন তিনবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন।

চাঁদপুর: চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক সিরাজুল মোস্তফা তালকুদার। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাজমা আক্তার আঁখি নির্বাচিত হন। তবে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন শওকত হোসেন বাদল। মতলব উত্তরে ঘোড়া প্রতীকে ৩৩ হাজার ৭০৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মোহাম্মদ মানিক (আওয়ামী লীগ)।

এই উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে রিয়াজউদ্দিন রিয়াজ নির্বাচিত হন। তবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন লাভলী চৌধুরী।

গাজীপুর: গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইজাদুর রহমান মিলন বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে বেলায়েত হোসেন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসিনা সরকার নির্বাচিত হয়েছেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোজাম্মেল হক এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জুয়েনা আহমেদ নির্বাচিত হয়েছেন।

এ ছাড়া কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মো. আমানত হোসেন খান নির্বাচিত হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাফিজুল হক চৌধুরী ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন বিজয়ী হয়েছেন।

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন আবদুল ওয়াদুদ তালুকদার সবুজ। অন্যদিকে মধুপুর উপজেলায় জয়ী হয়েছেন অ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী।

মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জের সিংগাইরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন কাপ পিরিচ প্রতিকের সায়েদুল ইসলাম। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. রমিজ উদ্দিন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন আনোয়ারা খাতুন।

হরিরামপুরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন দেওয়ান সাইদুর রহমান। ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মো. বিল্লাল হোসেন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন শামিমা আক্তার চায়না।

ফরিদপুর: কারাগারে থেকে ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো. সামচুল আলম চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ৯৩১ ভোট।

রাজবাড়ী: প্রথম ধাপে রাজবাড়ীর পাংশা ও কালুখালী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৮ মে) ভোটগ্রহণ শেষে রাত সাড়ে ১০টায় বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার।

পাংশা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫৪ হাজার ৫৭৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোটরসাইকেল প্রতীকের খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়ো। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের ফরিদ হাসান ওদুদ ৩৫ হাজার ৯৪২ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

অপরদিকে কালুখালী উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আলিউজ্জামান চৌধুরী টিটু আনারস প্রতীকে ৩৮ হাজার ৫৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া অপর তিন প্রার্থীর মধ্যে এনায়েত হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে ২ হাজার ৯০০ ভোট, এ বি এম রোকনুজ্জামান কাপ পিরিচ প্রতীকে ৩৪১ ভোট ও মাসুদুর রহমান দোয়াত-কলম প্রতীকে ২৩৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

জেলা নির্বাচন অফিসার ও ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার অলিউল ইসলাম বলেন, প্রথম ধাপে পাংশা ও কালুখালী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। কোনো প্রার্থীর আজকের নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ ছিল না।

মধুখালী উপজেলায় দোয়াতকলম প্রতীকে মোহাম্মদ মুরাদুজ্জামান ২৯ হাজার ৪৭৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। চরভদ্রাসনে আনারস প্রতীকে আনোয়ার আলী মোল্লা ১৬ হাজার ১৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

মাদারীপুর: মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খান আসিব। আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৭৫৫৯৪।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া তালা প্রতীকে ৬০ হাজার ১০৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাঁস প্রতীকের ফারিয়া হাসান রাখি ৫৬ হাজার ১৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

রাতে এ ফলাফল ঘোষণা করেন সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কর্মকর্তা মোসা. নাননী খান।

রাজৈর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪৩ হাজার ৭শ ৪১ ভোট পেয়ে মোহসিন মিয়া বেসরকারি ভাবে চেয়ারম্যান বিজয়ী হয়েছেন।

শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে একেএম ইসমাইল হক, ভাইস চেয়ারম্যান পদে আলমগীর ফকির ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রাজিয়া সুলতানা মনি বিজয়ী হয়েছেন।

ভেদরগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ওয়াছেল কবির গুলফাম, ভাইস চেয়ারম্যান পদে আজাহারুল ইসলাম গাজী ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রোকসানা আনোয়ার বিজয়ী হয়েছেন।

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় বিশিষ্ট আইটি ব্যবসায়ী ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপদেষ্টা কামরুজ্জামান ভূঁইয়াবেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি টেলিফোন প্রতীকে ৩১ হাজার ৩৫৪ ভোট পেয়েছেন। কোটালীপাড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস ৪০ হাজার ২৭১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতীক দোয়াত-কলম। দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ৪০ হাজার ৭৯২ ভোট পেয়ে টুঙ্গিপাড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ নির্বাচত হয়েছেন।

কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোহাম্মদ সোহেল বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে ২৩ হাজার ৯৬৬ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন তিনি।

পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোহাম্মদ আল আমিন (অপু) বিজয়ী হয়েছেন। টিউবওয়েল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৪১ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কলস প্রতীকে ৪৯ হাজার ৫২৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ছাবিয়া পারভীন জেনি।

বরিশাল: রিটার্নিং কর্মকর্তা বরিশাল জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন অফিসার ওহিদুজ্জামান মুন্সী জানান, সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন কাপ-পিরিচ প্রতীকের আব্দুল মালেক। তিনি পেয়েছেন ১৯ হাজার ৮০৭ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. জসিমউদ্দিন। তিনি তালা প্রতীক নিয়ে ২৯ হাজার ৯৩৭ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট হালিমা বেগম। তিনি পেয়েছেন ৪১ হাজার ৫৩৫ ভোট।

বাকেরগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন রাজিব আহম্মদ তালুকদার। তিনি কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৮৬৫ ভোট। তার মা পারভীন তালুকদার আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবদুস সালাম মল্লিক ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জাহানারা মাহাবুব নির্বাচিত হয়েছেন।

পিরোজপুর: পিরোজপুরের ৩ উপজেলায় বিজয়ী চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থক। জেলার সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ওই উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়াম্যান এসএম বায়েজিদ হোসেন।

ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তালা প্রতীকের মো. রফিকুল ইসলাম, এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন পদ্মফুল প্রতীকের শাহানাজ পারভীন (শানু)।

নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এসএম নুরে আলম সিদ্দিকী শাহীন। ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে চশমা প্রতীকের শেখ মো. মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু , এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সেলাই প্রতীকের আলো শিকদার। ইন্দুরকানীতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউল আহসান গাজী। ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তালা প্রতীকের মাহমুদুল হক দুলাল ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন কলস প্রতীকের দিলারা পারভীন।

নোয়াখালী: নোয়াখালীর সূবর্ণচর উপজেলায় পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইশরাক সাবাব চৌধুরী (আনারস) ৩৭,৬৪৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত।

ফেনী: ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৭,৬৩৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন কাপ-পিরিচ মার্কার প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন মজুমদার।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১,০৮৯ ভোট পেয়ে টিয়া পাখি মার্কার প্রার্থী আমজাদ হাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অনিল বনিক তৃতীয় বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মঞ্জুরা আজিজ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

মেহেরপুর: মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকে ১৭ হাজার ৬৩ ভোট পেয়ে আমাম হোসেন মিলু বেসরকারিভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

এ ছাড়া টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ২০ হাজার ৬৫২ ভোট পেয়ে বিএম জাহিদ হাসান রাজিব ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এবং কলস প্রতীক নিয়ে ২০ হাজার ৫৮ভোট পেয়ে মোছা. তকলীমা দ্বিতীয়বারের মতো মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৪০ হাজার ৯২৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে আনারুল ইসলাম মেহেরপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

চশমা প্রতীক নিয়ে ৩৬ হাজার ১৮৬ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আবুল হাসেম ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে ৩৪ হাজার ৬৪৬ ভোট পেয়ে লতিফন নেছা লতা দ্বিতীয়বারের মতো ভাইসচেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

কুষ্টিয়া: আনারস প্রতীকে ৬৭ হাজার ৪৮১ ভোট পেয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে আতাউর রহমান আতা নির্বাচিত হয়েছেন। ঘোড়া প্রতীকে ২৫ হাজার ১০১ ভোট পেয়ে খোকসা উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আল মামুস মুর্শেদ শান্ত।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. সাহাবুদ্দিন মিয়া ৩৫ হাজার ৩৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬ হাজার ৪৪৩ ভোট পেয়েছেন নির্বাচিত হয়েছেন নুর জাহান পারুল।

কক্সবাজার: কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হেভিওয়েট প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানকে হারিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার। নুরুল আবছার পেয়েছেন ৩৪৯৭৪ ভোট। তিনি কক্সবাজার পৌরসভার চারবারের টানা চেয়ারম্যান (মেয়রের আগের পদ) ছিলেন।

কুমিল্লা: কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায় অ্যাডভোকেট মো. ইউনুছ ভূইয়া বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। অপরদিকে মনোহরগঞ্জ উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন মো. আবদুল মান্নান চৌধুরী। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি। এ‌ছাড়া মেঘনা উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন মো. তাজুল ইসলাম তাজ। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ভোটের মাঠে নতুন মুখ অধ্যাপিকা রোমেনা আকতার। তিনি পেয়েছেন ৩৬,৫৪২ ভোট।অন্যদিকে এ উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন রশিদ মিয়া। মহেশখালী উপজেলায় চেয়ারম্যান হয়েছেন দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন। তিনি পেয়েছেন ৩৮১২৯ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আবু ছালেহ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন মনোয়ারা কাজল। কুতুবদীয়ায় ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হানিফ বিন কাশেম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৭৩৯৪ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামায়াতে ইসলামির আকবর খান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ নেত্রী হাসিনা আকতার বিউটি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হলেন।

রাঙামাটি: রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে সামশুদ্দোহা চৌধুরী রড ২৩ হাজার ৬৯৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোন প্রতিদ্বন্ধী না থাকায় লাথোয়াই মারমা আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নিংবাইউ মারমা ২১ হাজার ৮০৩ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন।

রাঙামাটি সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে অন্ন সাধন চাকমা ১৪ হাজার ৮৮৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে পলাশ কুসুম চাকমা ১১ হাজার ৪৫০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রিতা চাকমা ২০ হাজার ৭৯৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

খাগড়াছড়ি: প্রথম ধাপে খাগড়াছড়ির চারটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। লক্ষীছড়ি ছাড়া অন্য তিন উপজেলা রামগড়, মানিকছড়ি ও মাটিরাঙ্গায় শান্তিপূর্নভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়। ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. আলী হোসেন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন মোছা. আমেনা বেগম।

রামগড়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন আনারস প্রতীকের বিশ্ব প্রদীপ কুমার কার্বারি। ভাইস চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীকে মোবারক হোসেন এবং মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে প্রজাপতি প্রতীক নিয়ে নাছিমা আহসান নীলা নির্বাচিত হয়েছেন।

মানিকছড়িতে আনারস প্রতীকে পুনরায় চেয়ারম্যান হয়েছেন জয়নাল আবেদিন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বেসরকারি ফলাফলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন চলাপ্রু মারমা নিলয়। এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নূর জাহান আফরিন লাকি।

বান্দরবান: বান্দরবান সদরে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ১৯ হাজার ১৪৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আব্দুল কুদ্দুছ।উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে ১৩ হাজার ৩৯৮ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন ফারুক আহমেদ ফাহিম। আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মেহাইনু মারমা ১৭ হাজার ৯০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতীক প্রজাপতি।

অন্যদিকে বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে নয় হাজার ৭০০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জামাল উদ্দিন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোহাম্মদ রিটন নয় হাজার ১৪৬ ভোট ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শিরিন আক্তার আট হাজার ৮৬৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

বগুড়া: সারিয়াকান্দিতে এমপিপুত্র সাখাওয়াত হোসেন সজল (প্রতীক: আনারস), সোনাতলায় এমপির ছোট ভাই ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মিনহাদুজ্জামান লীটন (প্রতীক:আনারস) এবং গাবতলীতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য অরুণ কান্তি রায় সিটন (প্রতীক: ঘোড়া) নির্বাচিত হয়েছেন।

আনারস প্রতীকে অ্যাডভোকেট মিনহাদুজ্জামান লীটন ২০ হাজার ৪৮৩ ভোট পেয়ে পুণরায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে যুবলীগ নেতা ফিদা হাসান টিটু এর আগে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী ওয়াছিয়া আকতার লুনা নির্বাচিত হয়েছেন।

সারিয়াকান্দির চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে সাখাওয়াত হোসেন সজল ৩৭ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। গাবতলীর চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীকে অরুণ কান্তি রায় সিটন ৪১ হাজার ৬০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

সিরাজগঞ্জ: আনারস প্রতীকে ৪৭ হাজার ৮৯৭ ভোট পেয়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান হয়েছেন মো. রিয়াজ উদ্দিন।কাজিপুর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে আবার বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪৫ হাজার ১৩১ ভোট।

বেলকুচি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন মোহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম সরকার। তিনি দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৫৪হাজার ৮৪১ ভোট। রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

সিলেট: ভোট গণনার পর রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার জিল্লুর রহমান বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। ঘোষিত ফলাফলে সিলেট সদর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, দক্ষিণ সুরমায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বদরুল ইসলাম, গোলাপগঞ্জে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি এবং বিশ্বনাথ উপজেলায় জেলা বিএনপি সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. সুহেল আহমদ চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন।

কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক পেয়েছেন ২৩ হাজার ২৬৭ ভোট। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. সাইফুল ইসলাম ১৮ হাজার ৬৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতীক উড়োজাহাজ।

আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোছা. হাসিনা আক্তার ফুটবল প্রতীকে ৩৫ হাজার ৭৯২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। টেলিফোন প্রতীক নিয়ে ২০ হাজার ৬১৫ ভোট পেয়ে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন মো. বদরুল ইসলাম। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো.মাহবুবুর রহমান ১৯ হাজার ৮৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতীক মাইক। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পদ্ম ফুল প্রতীকে ২০ হাজার ২৯৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আইরিন আক্তার কলি।

সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় (দোয়াত কলম) প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে এ বি এম মনসুর সুদীপ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছবি চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন।

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আঞ্জুমানে আল ইসলাহ’র প্রার্থী মাওলানা ফজলুল হক খান সাহেদ।

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। ধোবাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ডেভিড রানা চিসিম।

এ ছাড়া হালুয়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উত্তর জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মোহাম্মদ আবদুল হামিদ।

নেত্রকোনা: নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নাজমুল হাসান নীরা (সাদ্দাম আকঞ্জি)। তিনি এর আগে উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ১৫৫ ভোট।

জুড়ী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কিশোর রায় চৌধুরী মনি বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।বড়লেখা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা আজির উদ্দিন বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন খান আনারস প্রতীকে ৪২ হাজার ৪৩৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

এ ছাড়া আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন মিয়া কাপ পিরিচ প্রতীকে ১৫ হাজার ১৮২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

যশোর: যশোরের কেশবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মফিজুর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন। ঘোড়া প্রতীকে তিনি ভোট পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪৬৬।

রাজশাহী: কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে ৪৬ হাজার ৩৯৫ ভোট পেয়ে রাজশাহীর তানোর উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না।

এ দিকে দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ৬৭ হাজার ৮৮ ভোট পেয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. বেলাল উদ্দিন সোহেল। তিনি উপজেলার দেওপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান ছিলেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে তালা প্রতীকের আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী রাবেয়া খাতুন নির্বাচিত হয়েছেন। মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকে ৫৪ হাজার ৩২৮ ভোট পেয়ে আমজাদ হোসেন লাভলু নির্বাচিত হয়েছেন।

এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে সন্দীপ ঘোষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কাজী জলি আক্তার নির্বাচিত হয়েছেন।

নাটোর: নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১১ হাজার ২৪০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক (জোড়াফুল প্রতীক) মো. রবিউল ইসলাম।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৮ হাজার ৪৯৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মো. খালেদ মাহমুদ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৮ হাজার ৮১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মোছা. রিনা পারভিন।

সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩৪ হাজার ৭৯৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী মো. শরিফুল ইসলাম রমজান। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে মো. শরিফুর রহমান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কামরুন্নাহার নির্বাচিত হয়েছেন।

এ ছাড়া সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে বেসরকারি ভাবে আনিছুর রহমান লিখন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শামীমা হক রোজী নির্বাচিত হয়েছেন। এখানে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই নির্বাচিত হন দেলোয়ার হোসেন।

নীলফামারী: নীলফামারীর ডিমলায় ভাতিজাকে হারিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু। ঘোড়া প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২৭ হাজার ২৯০ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৩ হাজার ৫৩১ ভোট পেয়ে উত্তম কুমার রায় এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৩ হাজার ৩৬০ ভোট পেয়ে তৃতীয় বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন আয়েশা সিদ্দিকা। ডোমার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সরকার ফারহানা আক্তার সুমি। তিনি টেলিফোন প্রতীকে ৩৯ হাজার ৩২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক (কল্যাণ ও পুনর্বাসন)।

লক্ষ্মীপুর: কমলনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের বহিষ্কৃত কেন্দ্রীয় নেতা আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ২৩০ ভোট। চশমা প্রতীকে ২৮ হাজার ১০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে সালেহ উদ্দিন রাজু৷ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাজেদা আক্তার সুমি কলস প্রতীকে ৩১ হাজার ৯১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

রামগতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক বিএনপি নেতা শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেল। কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে ২৯ হাজার ৬৯৩ ভোট পেয়েছেন তিনি। আজাদ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান।

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আবু সাঈদ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩০ হাজার ৪৯৯ ভোট পেয়েছেন।

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে ৬৩ হাজার ৭৬২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মো. সফিকুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫১ হাজার ৩৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন বই প্রতীকের মো. মোমিনুল ইসলাম। এ ছাড়াও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন শীমা আক্তার।

হরিপুর উপজেলায় মোটরসাইকেল প্রতীকে মো. আব্দুল কাইয়ুম পুস্প ৩২ হাজার ৭৮৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে রিয়াজুল ইসলাম সকার টিউবওয়েল প্রতীকে ৪১ হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোছা. আসিয়া বেগম কলস প্রতীকে ৩৬ হাজার ২১৮ ভোটে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে আলি মুনছুর বাবু নির্বাচিত হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শফিউল কবীর ইউসুফ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তানিয়া খাতুন নির্বাচিত হয়েছেন।

জীবননগর উপজেলা নির্বাচনে সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান (কাপ-পিরিচ) বেসরকারিভাবে আবারও চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈসা এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রেনুকা আক্তার রিতা নির্বাচিত হয়েছেন।

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চু বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আলা উদ্দিন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শারমিন সুলতানা সাথী নির্বাচিত হয়েছেন। পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদে টানা চতুর্থবারের মতো বেসসরকারীভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন রুহুল আমিন বাবুল। ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মোফাজ্জল হোসেন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রেজওয়ানা পারভীন নির্বাচিত হয়েছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: ভোলাহাট উপজেলায় বিএনপির বহিষ্কৃত উপজেলা সহ-সভাপতি মো. আনারুল ইসলাম বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা মো. কামাল উদ্দিন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা যুলীগের সাধারণ সম্পাদক মোসা. শাহাজাদী বিশ্বাস বিজয়ী হন।

অপরদিকে নাচোল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে টানা তৃতীয়বারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল কাদের। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন কামাল উদ্দিন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন শামীমা খাতুন লিপি।

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শেখ মেহেদী হাসান সুমন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

অপরদিকে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সাইদ উজ জামান সাইদ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শের আলম। এ দিকে নাসিরনগর উপজেলায় প্রথমবারের মতো নারী চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রোমা আক্তার।

মাগুরা: মাগুরা সদর উপজেলায় মো. রানা আমির ওসমান মোটরসাইকেল প্রতীকে ৮৩ হাজার ৫৭১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।অন্যদিকে শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শরিয়তউল্লাহ হোসেন মিয়া রাজন মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪৪ হাজার ৯৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে শিবলী নোমানী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে শফিকুজ্জান রাসেল এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শাহনাজ পারভীন বিজয়ী হয়েছেন।

নড়াইল: নড়াইললের কালিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চিংড়ী মাছ প্রতীকে ৩০ হাজার ৪৬৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন খান শামীম রহমান ওছি। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ১৯ হাজার ৫৭৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মো. মাহাবুবুল আলম।

ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে ৪২ হাজার ৪৭৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মোসা. ববিতা খানম।

বাগেরহাট: বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে রাড়িপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান বাবু নির্বাচিত হয়েছেন। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে কচুয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শেখ সুমন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হনুফা খাতুন নির্বাচিত হয়েছেন।

রামপাল উপজেলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন পুনরায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক লিপন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুসাম্মাৎ হোসনেয়ারা (মিলি) পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন।

এ ছাড়া এ জেলায় প্রথম ধাপে বাগেরহাট সদর উপজেলায় ৩ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বিজয়ীরা হলেন, চেয়ারম্যান পদে বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার নাসির উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান খান রেজাউল ইসলাম এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বাগেরহাট পৌর আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভীন।

পঞ্চগড়: পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এএস মো শাহনেওয়াজ প্রধান শুভ ঘোড়া প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ৯৯৮টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩৮৭টি।

তেঁতুলিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন খাঁন। তিনি পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৮৪০টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তারুল হক মুকু ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১১ হাজার ৮৬৫টি ভোট।

অপরদিকে আটোয়ারী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান। তিনি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৭৫৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২৫ হাজার ৮৮৭টি।

জেলার তিন উপজেলায় মোট ভোটার ৪ লাখ ৪২ হাজার ৮৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২২ হাজার ৮৬৯ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ২০ হাজার ৩ জন। তিন উপজেলায় ভোট কেন্দ্র ১৫৬টি ও বুথ ১ হাজার ২১৬টি। তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ৩৩ জন প্রার্থী ভোট লড়াই করেছেন।

দিনাজপুর:উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দিনাজপুরে তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলার হাকিমপুর উপজেলায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মো. কামাল হোসেন রাজ মোটরসাইকেল প্রতীকে ২২ হাজার ২৫১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হারুন উর রশীদ হারুন টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৩৭৮ ভোট।

ঘোড়াঘাট উপজেলায় কাজি শুভ রহমান চৌধুরী আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ৬৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সারোয়ার হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৮ হাজার ৩৮৪ ভোট।

বিরামপুর উপজেলায় মো. পারভেজ কবির ঘোড়া প্রতীকে ৪২ হাজার ৯৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মতিউর রহমান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ৮০৭ভোট।

জয়পুরহাট: জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনফুজুর রহমান মিলন মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪২ হাজার ৪৫৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষেতলাল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল মিয়া সরদার দোয়াত কলম প্রতীকে ৩০ হাজার ৩৯০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

এ ছাড়া আক্কেলপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোকসেদ আলী মণ্ডল মোটরসাইকেল প্রতীকে ১৯ হাজার ৫৩৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

রংপুর: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে রংপুরের পীরগাছায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪২ হাজার ৭৬৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৪০ হাজার ৯৪৮ ভোট।

অন্যদিকে কাউনিয়া উপজেলায় পুনরায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের আনোয়ারুল ইসলাম মায়া। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৬০ হাজার ৭১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী একই দলের আব্দুর রাজ্জাক আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৮৬৩ ভোট।

কুড়িগ্রাম:কুড়িগ্রামে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রৌমারীর মো. শহিদুল ইসলাম শালু কাপ পিরিচ, চিলমারীর রুকনুজ্জামান শাহিন আনারস ও রাজিবপুরের মো শফিউল আলম আনারস প্রতীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

শহিদুল ইসলাম শালু রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। তিনি ২৪ হাজার ৫০৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ২৫৩ ভোট পেয়েছেন। রৌমারী উপজেলায় মোট ৬১টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৬৮ হাজার।

চিলমারীতে রুকনুজ্জামান শাহিন আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ১৯৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি চিলমারী উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রেজাউল করিম লিচু কাপ পিরিচ প্রতীকে ১১ হাজার ৫৮৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। রেজাউল করিম লিচু চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৯ হাজার ৪৪৪ জন।

রাজিবপুরে মো. শফিউল আলম আনারস প্রতীকে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৭ হাজার ৭৪৬টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরিফুর রনি তালুকদার রানা ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৩৮৬ ভোট। নির্বাচিত শফিউল আলম কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

কুড়িগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পাবনা: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে পাবনার তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব মোটরসাইকেল প্রতীকে ৬২ হাজার ৭৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহীন (আনারস) পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৪৪১ ভোট।

সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা খোকন (কাপ-পিরিচ) ৩৮ হাজার ৫২৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আশরাফুজ্জামান টুটুল (আনারস) পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৭১২ ভোট। আর বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজলা আ'লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৭৪ ভোট।

বেড়ায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আমিনপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বাবু (হেলিকপ্টার) ২৯ হাজার ৬৮৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল বাতেন (ঘোড়া) পেয়েছেন ২৩ হাজার ৭৬৬ ভোট। এই উপজেলার আরেক নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আফজার হোসেন পেয়েছেন ১৯ হাজার ৬২২ ভোট।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, পাবনার তিনটি উপজেলা কোন প্রকার সহিংসতা ছাড়াই অবাধ নিরপেক্ষভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোনও অভিযোগ নেই। সুষ্ঠু ভোট করতে যারা সহযোগিতা করেছেন সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান ‍তিনি।

যশোর: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে যশোরে দুইটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেশবপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীকের মফিজুর রহমান ১৮ হাজার ৪৬৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শালিক প্রতীকের নাসিমা আকতার সাদেক পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৬ ভোট। এ নির্বাচনে তিনটি পদে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে তালা প্রতীকের আব্দুল্লাহ আল মামুন ৩২ হাজার ৪৩৪ ভোট পেয়ে ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীকের রাবেয়া ইকবাল ৩৭ হাজার ৩০৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

কেশবপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই কেশবপুরে শান্তিপূর্ণভাবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ২০ হাজার ৯৫৪ জন। মোট ৯৫টি কেন্দ্রের ৬৭০টি কক্ষে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু আনারস মার্কায় ৫৯ হাজার ২৭৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৭১৮ ভোট। এছাড়া এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে সন্দীপ ঘোষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পুনরায় কাজী জলি আক্তার বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে চেয়ারম্যান পদে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় আনারস প্রতীকের মো. সফিকুল ইসলাম ও হরিপুরে মোটরসাইকেল প্রতীকের মো. আব্দুল কাইয়ুম নির্বাচিত হয়েছেন।

বুধবার (৮ মে) ভোটগ্রহণ ও গণনা শেষে রাত ১০টার দিকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. দলিল উদ্দিন। অপরদিকে হরিপুর উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. আব্দুল মান্নান।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫১ হাজার ৩৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন বই প্রতীকের মো. মোমিনুল ইসলাম ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন শীমা আক্তার।

হরিপুর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে রিয়াজুল ইসলাম সকার টিউবওয়েল প্রতীকে ৪১ হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোছা. আসিয়া বেগম কলস প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন।

বিষয়:

চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৯ মে, ২০২৪ ১২:৩৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আগুন লেগে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকার কর্ণফুলী নদীতে বিমানটির বিভিন্ন অংশ এসে ছিঁটকে পড়ে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে ঘটনাটি ঘটে। বিধ্বস্ত হওয়ার আগেই দুই পাইলট প্যারাসুট নিয়ে বিমান থেকে লাফ দেন। তারা জমিনে অবতরণের পর তাদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আকাশেই আগুন ধরে যায়। এটি বিধ্বস্ত হয়ে কর্ণফুলী নদীর বিভিন্ন স্থানে পড়ে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাস্থলে বিমানবাহিনী, পুলিশ ও সরকারি বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা রয়েছেন। তারা বিমানটি উদ্ধারে কাজ করছেন।’

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দুর্ঘটনার সময় প্রশিক্ষণ বিমানটির দুজন পাইলট প্যারাস্যুটের সাহায্যে রক্ষা পেয়েছেন।’

সদরঘাট নৌ-পুলিশ জানায়, কর্ণফুলী নদীর ডাঙার চর বরাবর কর্ণফুলী নদীতে প্রশিক্ষণ বিমানটি আছড়ে পড়ে। সদরঘাট নৌ-পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।


মিয়ানমারে ফের গোলাগুলি, কাঁপল টেকনাফ সীমান্ত

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৯ মে, ২০২৪ ১১:৪২
টেকনাফ (কক্সবাজার)প্রতিনিধি

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি ও ভারী গোলাবর্ষণের শব্দে আবারও কেঁপে উঠেছে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ও হোয়াইক্যং সীমান্ত ও টেকনাফ পৌরসভা এবং সাবরাং শাহপরীর দ্বীপ।

গতকাল বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত দফায় দফায় মর্টার শেলের বিকট শব্দ শোনা গেছে টেকনাফ সীমান্ত এলাকার ১৮ থেকে ২০টি গ্রামে।

স্থানীয়রা জানান, হ্নীলার চৌধুরী পাড়া ও হোয়াইক্যং সীমান্ত এবং টেকনাফ পৌরসভার সীমান্তের ওপারে থেমে থেমে গোলাগুলির পাশাপাশি অন্তত ২০ থেকে ৩০টি মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ হ্নীলা, শাহপরীর দ্বীপ এলাকার বাসিন্দারা শুনতে পান। এবার মিয়ানমার থেকে সবচেয়ে বেশি গুলির শব্দ ভেসে আসে টেকনাফ সীমান্তের দক্ষিণ প্রান্তে।

টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুস সালাম বলেন, ‘মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু এলাকায় সামরিক জান্তা বাহিনী ও স্বাধীনতাকামী আরাকান আর্মির মধ্যে তুমুল লড়াই হয়েছে। আজ ভোর ৫টার দিকে নাফনদীর পূর্ব পাশের মিয়ানমারের মংডু শহরের নলবন্ন্যা গ্রামে পর পর তিনটি মর্টার শেলের বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছে শাহপরীর দ্বীপ।’

তিনি জানান, এখনও আতঙ্কে রয়েছে লোকজন। মংডুর আশপাশের রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশেরের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, ‘মিয়ানমারে উভয়পক্ষের গোলাগুলি, মর্টার শেল, গ্রেনেড বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। যে কারণে এর প্রভাব এসে পড়ছে এপারে মানুষের ওপর।’

শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা ইউনুস বলেন, ‘ফজরের নামাজ পড়তে ঘুম থেকে জেগে উঠলাম। ঠিক ৪টার পর মর্টার শেলের বিকট শব্দে বাড়ি-ঘর কেঁপে উঠল। তখন ভয়ে সবার ঘুম ভেঙে যায়। বেশ কয়েকটি মর্টার শেলের শব্দ শুনতে পাই।’

শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটের ইজারাদারের টোল আদায়কারী মোহাম্মদ ছিদ্দিক জানান, তিনি ভোরের দিকে নাফ নদের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তর থেকে গোলাগুলি ও ভারী গোলাবর্ষণের শব্দ শুনতে পান।

বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘ওপারে সংঘাতের কারণে মাঝে মাঝে এপারে গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে, তবে আমরা নজরদারিতে আছি যেন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ না করে।’


উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা

লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলার একটি কেন্দ্রে ভোটারদের লাইন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৯ মে, ২০২৪ ১৫:২৮
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। বুধবার (৮মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোট গণনা শেষে রাতে এরইমধ্যে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা শুরু করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত যেসব উপজেলার ফল জানা গেছে :

বগুড়া: বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ সভাপতি মিনহাদুজ্জামান লিটন বিজয়ী হয়েছেন।

সদর (ফরিদপুর): চেয়ারম্যান পদে কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামচুল আলম চৌধুরী আনারস প্রতীকে ৩১ হাজার ৯৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনিরুল হাসান টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ৩০ হাজার ৯ ভোট।

ফুলগাজী (ফেনী): চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন মজুমদার (কাপ-পিরিজ) ২৭ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মো. জাফর উল্ল্যাহ ভূইয়া (চিংড়ি মাছ) পেয়েছেন ৭৭৫ ভোট।

চরভদ্রাসন (ফরিদপুর): চেয়ারম্যান পদে চরভদ্রাসন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার আলী আনারস প্রতীকে ১৬ হাজার ১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিজাম উদ্দিন টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ৪৫৪ ভোট।

বানিয়াচং (হবিগঞ্জ): চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খান আনারস প্রতীকে ৪২ হাজার ৪৩৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা যুবলীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাসেম চৌধুরী (মোটরসাইকেল) প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৮০৩ ভোট।

আজমিরীগঞ্জ (হবিগঞ্জ): চেয়ারম্যান পদে মো. আলা উদ্দিন কাপ-পিরিচ প্রতীকে ১৫ হাজার ১৮২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আলী আমজাদ তালুকদার পেয়েছেন ১২ হাজার ৫০৩ ভোট।

গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ): আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহ ৪৪ হাজার ৫৩৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দুই বারের উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম পেয়েছেন ২৩ হাজার ৫৬৯ ভোট।

মধুখালী (ফরিদপুর): চেয়ারম্যান পদে মধুখালী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মো. মুরাদুজ্জামান মুরাদ দোয়াত-কলম প্রতীকে ২৯ হাজার ৪৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আহসানুজ্জামান আজাউল ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪৮৫ ভোট।

জামালপুর সদর উপজেলা: চেয়ারম্যান পদে ৬৪ হাজার ৩৯ ভোট পেয়ে মোটরসাইকেল প্রতীকের বাবু বিজন কুমার চন্দ বেসরকারি ভাবে জয়ী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাফিজুর রহমান স্বপন পেয়েছেন ৫৯ হাজার ৩৩৫ ভোট।

চাঁদপুর : চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক সিরাজুল মোস্তফা তালকুদার।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাজমা আক্তার আঁখি নির্বাচিত হন। তবে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন শওকত হোসেন বাদল।

মতলব উত্তরে ঘোড়া প্রতীকে ৩৩ হাজার ৭০৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মোহাম্মদ মানিক (আওয়ামী লীগ)।

এই উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে রিয়াজউদ্দিন রিয়াজ নির্বাচিত হন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন লাভলী চৌধুরী।

নোয়াখালী: নোয়াখালীর সূবর্ণচর উপজেলায় পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইশরাক সাবাব চৌধুরী (আনারস) ৩৭,৬৪৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত।


চটেছেন শ্রীদেবীকন্যা জাহ্নবী

আপডেটেড ৯ মে, ২০২৪ ০০:০৭
বিনোদন ডেস্ক

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন চরিত্রে নিজেকে পর্দায় হাজির করে ভক্তদের চমকে দিচ্ছেন শ্রীদেবীকন্যা বলিউড অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুর। কখনো বিমানবাহিনীর ক্যাপ্টেনের রূপে, তো কখনো একদমই সাদামাটা রূপে হয়েছেন প্রশংসিত। এবার তিনি বড় পর্দায় হাজির হবেন নারী ক্রিকেটার চরিত্রে। সিনেমার নাম ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি’।

এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর খবর, শ্রীদেবীর চেন্নাইয়ের বাড়িটাকে গেস্ট হাউস বানাচ্ছেন জাহ্নবী। মায়ের সাধের বাড়িটাকে সকলের জন্য ফ্রি-তে প্রবেশের ব্যবস্থা করছেন অভিনেত্রী। অতিথি হিসাবে কিছু নথি জমা দিতে হবে। সেই নথির ওপর ভিত্তি করবে কারা গোল্ড কুপন পাবেন।

দিন কয়েক আগে মেয়ের প্রেমের গুঞ্জনে সিলমোহর দিয়েছেন বাবা বনি কপুর। জাহ্নবীর গলায় শিখু লেখা লকেট বারবার নজর কেড়েছে সকলের। এর মাঝেই বিয়ের প্ল্যান শেয়ার করেন অভিনেত্রী! ব্রাইডস টুডে-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিয়ের সাজসজ্জা নিয়ে মনের কথা বলেছিলেন জাহ্নবী কপুর। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই কী প্রতিক্রিয়া দিলেন শ্রীদেবী কন্যা?

অভিনেত্রী সাম্প্রতিক অতীতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি তিরুপতিতে বিয়ে করতে চাই। ওখান থেকেই আমি শুভকর্মে শুভসূচনা করতে চাই। ইন্টিমেট ওয়েডিংয়ে আমি বিশ্বাসী। সোনার নকশা করা করা কাঞ্জিভরম শাড়ি পরব। আর চুলজুড়ে থাকবে ফুলের মালা। বর পরবে লুঙ্গি। বিয়ের পর আমরা কলাপাতায় খাব। আমি প্রায়ই তিরুপতি যাই। যখনই জীবনে কোনো বড় কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার থাকে বা বড় কোনো কাজ থাকে তার আগে তীরুপতি দর্শনে যাই। তাই আমি চাই বিয়েটাও এখানেই হোক। পরিবার আর কাছের মানুষদের নিয়েই বিয়ের যাবতীয় আয়োজন করার ইচ্ছে রয়েছে। জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ে আমার মোটেই ভালো লাগে না।’

এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই জাহ্নবী সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন একটু কর্কশ ভাবে। একটি কমেন্টের নিচে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘যা খুশি তাই’। যা দেখে অনুমান বর্তমানে বিয়ের কোনো পরিকল্পনা নেই জাহ্নবীর। অভিনয় ক্যারিয়ারে খুব একটা সফল নন জাহ্নবী। বেশ কয়েকটি বলিউড ছবিতে কাজ করেছেন। তবে কোনো ছবিই বক্স অফিসে বাজিমাত করতে পারেনি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই অ্যাক্টিভ জাহ্নবী কপুর। ফটোশুট থেকে হলিডে মুডের ছবি শেয়ার করেন অভিনেত্রী। বর্তমানে শ্রীদেবীর বাড়িকে হোটেল বানানোর জন্য চর্চার রয়েছেন অভিনেত্রী। চেন্নাইয়ের যে বাড়িতে মেয়েবেলা কেটেছে জাহ্নবীর এবার সেখানে সাধারণ মানুষের থাকার একটা সুবর্ণ সুযোগ আসতে চলেছে।


আলতাদীঘি পুনর্খননের নামে নির্বিচারে গাছ কাটার অভিযোগ

নওগাঁর আলতাদীঘি পুনর্খননের নাম চারদিকের কয়েক হাজার গাছ কেটে ফেলায় বিবর্ণ দীঘিটি। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৯ মে, ২০২৪ ০০:০৭
মো. সবুজ হোসেন, নওগাঁ

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার ‘আলতাদীঘি পুনর্খননের মাধ্যমে আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যানের জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ’ প্রকল্পের জন্য কেটে ফেলা হয়েছে দীঘির চতুর্দিকের কয়েক হাজার গাছ। এ অবস্থায় প্রকল্পের উদ্দেশ্য ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নির্বিচারে গাছ কেটে ফেলার ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

প্রতিবাদকারীদের অভিযোগ, কিছুদিন আগেও আলতাদীঘি ছিল একটুকরো সবুজ অরণ্য। উন্নয়ন প্রকল্পের নামে এখন খাঁ খাঁ করছে আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যান। সম্প্রতি উদ্যানের দীঘি খনন, ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ ও গাছ রোপণসহ বেশকিছু পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ১৬ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। আর এই বাস্তবায়নের নামে কেটে ফেলা হয় নানা প্রজাতির হাজারও গাছ।

নওগাঁ জেলা শহর থেকে সাব্বির হোসেন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন আলতাদীঘি দেখতে। কথা হয় এই প্রতিবেদকের সঙ্গে। তারা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘দীঘিটি অবশ্যই সংস্কার করা জরুরি; কিন্তু তাই বলে এভাবে নির্বিচারে চর্তুদিকের সারিবদ্ধ সব গাছ কাটতে হবে? গাছগুলো রেখে কি সংস্কার করা যেত না? দীঘির চতুর্দিক দেখে এটাকে আর দীঘি বলা যায় না। এ যেন এক মরুভূমি।’

উদ্যানের উন্নয়ন কাজে গঠিত কমিটির সদস্য কায়েস উদ্দিনের দাবি, ‘আলোচনা সভায় গাছ কাটার সিদ্ধান্ত হয়নি। হঠাৎ করে আলতাদীঘিতে এসে দেখি গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে।’

তবে ধামইরহাটের বনবিট কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলছেন, ‘মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। নতুন বনায়ন হবে, একটা গাছ তো আর সারাজীবন থাকবে না। এটি সামাজিক বনায়নের আওতায় স্বল্পমেয়াদে সৃজিত উডলট বাগান।’

বনবিভাগ বলেছে, সামাজিক বনায়নের আওতায় ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি প্রজাতির চারা দিয়ে বনায়ন করা গাছগুলো অপসারণ করে স্থানটিতে দেশীয় প্রজাতির চারা প্রতিস্থাপন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আলতাদীঘির খনন করা মাটি দিয়ে নিচু স্থান ও পাড় সংস্কার করার জন্য দীঘির চারপাশে বিদ্যমান ৫৪৬টি ইউক্যালিপটাস ও ৪৫৬টি আকাশমণি গাছ যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে ১৫টি লটে ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকায় টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়।

এখানে ঘুরতে আসা নওগাঁ শহরের একটি কলেজের শিক্ষার্থী লুবনা ইয়াসমিন বলেন, ‘গাছ কাটার আগে এসব জায়গায় বেশ কিছু পাখির বাসা দেখেছি। এখন সেখানে বালুর স্তূপ। এগুলো মেনে নেওয়া যায় না।’

পরিবেশকর্মীদের অভিযোগ, ‘পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর’ এই অজুহাতে ৫৪৬টি ইউক্যালিপটাস গাছ কাটার বিষয়টি হয়তো মেনে নেওয়া যায়। তবে দীঘির চতুর্দিকে সারিবদ্ধভাবে লাগানো পরিবেশবান্ধব বিশালাকৃতির ৪৫৬টি আকাশমণি গাছ কাটার বিষয়টি অযৌক্তিক।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) নওগাঁ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাফকুল ইসলাম বলেন, ‘সৌন্দর্যবর্ধন বৃক্ষরোপণের মধ্যে নিহিত, নিধনে নয়। আজকের এই গাছগুলো বেড়ে উঠতে সময় লেগেছে ১৫ থেকে ২০ বছর। অথচ নিমিষের মধ্যে তা ধ্বংস করা হচ্ছে। আধুনিক নকশায় গাছ রেখেই সুন্দর পরিকল্পনা করা সম্ভব।’

রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান এ বিষয়ে জানিয়েছেন, আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যানের মধ্যে অবস্থিত আলতাদীঘিটি দীর্ঘদিন ধরে খনন ও সংস্কার না করার কারণে এর গভীরতা কমে গিয়ে পানি নেমে যায় ১ ফুটের নিচে। সেই সঙ্গে চারপাশের পাড়গুলো ভেঙে যাওয়ায় দীঘিটি পুনর্খনন ও পাড় সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছিল। জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে ৬৪৯.৯৭ লাখ টাকা ব্যয়ে বন অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের মাধ্যমে দীঘিটির খনন কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। আলতাদীঘির পাড়জুড়ে সামাজিক বনায়নের আওতায় ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি প্রজাতির গাছ অপসারণ করে সেখানে দেশীয় প্রজাতির তিন হাজার চারা প্রতিস্থাপন করার পরিকল্পনা করা হয়।

তিনি বলেন, প্রকল্পটির কাজ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে সমাপ্ত হলে পুরো আলতাদীঘি এলাকা আবারও সবুজে পরিণত হতে শুরু করবে। দীঘির পানির পাপ্যতা নিশ্চিত ও বনাঞ্চল ব্যবস্থাপনার সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি পরিবেশের উন্নয়ন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদদ্র্য বিমোচন এবং ইকো ট্যুরিজমের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।

আলতাদীঘি অনেক প্রাচীন ও বিশাল দীঘি। উত্তর-দক্ষিণে লম্বা এ দীঘির দৈর্ঘ্য প্রায় এক কিলোমিটার, চওড়া প্রায় ৪০০ মিটারের মতো। গ্রামের লোকমুখে প্রচলিত আছে বৌদ্ধ যুগের কীর্তি এটি। দীঘির পাড় ঘেঁষে ভারত সীমান্ত। উত্তর পাড়ে দাঁড়িয়ে ভারতের কাঁটাতারের বেড়া, বিএসএফের সীমান্ত টহল, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতকে দেখা খুবই সহজ। আলতাদীঘির পাড়ে দাঁড়ালে মনে হবে অনেকটা সুন্দরবনের মতো, শীতের সময় এখানে অতিথি পাখির আগমন ঘটে।


উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন শেষে মেহেরপুর বড়বাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে চলছে ভোট গণনা। ছবি: ফোকাস বাংলা
আপডেটেড ৮ মে, ২০২৪ ১৮:২৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপ শেষ হয়েছে। ১৩৯ উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে।

আজ বুধবার সকাল ৮টা শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সকালে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বাড়ে। এখন চলছে ভোট গণনার কাজ।

এই ধাপে ১৩৯ উপজেলার ২২টিতে ইভিএমে এবং বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট হয়েছে। এক হাজার ৬৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এই নির্বাচনে। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬২৫ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন রয়েছেন।

প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদ, ভাইস চেয়ারম্যান এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৮ জন এরই মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।

এবার স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে চার ধাপে। প্রথম ধাপে ভোটগ্রহণ করা হলো রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১৩৯টি উপজেলা পরিষদে।

উল্লেখ্য, ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ১৬০টি উপজেলায়, ২৯ মে তৃতীয় ধাপে ১১০ উপজেলায় এবং ৫ জুন চতুর্থ ধাপে ৫০টির বেশি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে।

বিষয়:

বাধা কাটল ঝিনাইদহ-১ আসনের উপজেলা নির্বাচনের

হাইকোর্ট। ফাইল ছবি
আপডেটেড ৮ মে, ২০২৪ ১৭:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঝিনাইদহ-১ শূন্য আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে এক প্রার্থীর করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। ফলে নির্বাচন হওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আগামী ৫ জুন এই আসনে নির্বাচনের জন্য তারিখ নির্ধারিত করা হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা, শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও বি এম ইলিয়াস কচি। অন্যপক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব।

এর আগে এক আবেদনে ৬ মে বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ ২১ দিনের জন্য নির্বাচন স্থগিত করেন। পরে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. নায়েব আলী জোয়াদ্দার।

এবছর ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাইকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এতে অনিয়মের অভিযোগ এনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেন। গত ১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিবাদীদের নোটিশ ইস্যু করে গেজেট স্থগিত করেন। পরে অবশ্য আপিল বিভাগ গেজেট স্থগিতের আদেশ স্থগিত করেন। এর মধ্যে আব্দুল হাই ইন্তেকাল করেন।

নজরুল ইসলাম দুলালের আইনজীবীর দাবি, নিয়ম হলো বিজয়ী প্রার্থী মারা গেলে আবেদনকারীকে বিজয়ী ঘোষণা করা। সেটা না করে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। এ বিষয়ে সম্পূরক আবেদন করায় ৬ মে হাইকোর্ট ২১ দিনের জন্য এ নির্বাচন স্থগিত করেছিলেন।

এ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই। অসুস্থ হয়ে থাইল্যান্ডে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন তিনি। গত ১৬ মার্চ সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এতে ঝিনাইদহ-১ শূন্য হয়।

বিষয়:

হাওরে বজ্রপাত আতঙ্ক দুই দিনে ছয়জনের মৃত্যু

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দেবাশীষ দেবু, সিলেট

সিলেট বিভাগের হাওর এলাকার নতুন আতঙ্ক হয়ে উঠেছে বজ্রপাত। বৃষ্টির মৌসুমে হাওরে ঘনঘন ঘটছে বজ্রপাতের ঘটনা। এতে বাড়ছে প্রাণহানি। কয়েক বছর ধরে এমনটি ঘটতে থাকলেও এই ঝুঁকি ও ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় নেই তেমন কোনো উদ্যোগ। এর মধ্যে গত দুই দিনে (রবি ও সোমবার) সিলেট বিভাগে বজ্রপাতে মারা গেছেন ছয়জন। বর্ষায় বজ্রপাতের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

গত কয়েক বছর ধরেই হাওরে বজ্রপাতে প্রাণহানি বেড়ে চললেও বজ্রপাতের আগাম তথ্য হাওরবাসীর কাছে পৌঁছানোর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি অদ্যাবধি। বজ্রপাতে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে হাওর এলাকায় কিছু আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের দাবি উঠলেও এ ব্যাপারে কোনো পরিকল্পনা নেই প্রশাসনের। গত পাঁচ বছরে লক্ষাধিক তালবীজ রোপণ করে ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসের চেষ্টা করা হয়েছে কেবল। তবে এই উদ্যোগও ব্যর্থ হয়েছে। কেননা, বেশির ভাগ তালবীজ থেকেই চারা গজায়নি।

এ অবস্থায় বৃষ্টির মৌসুম শুরু হতেই সিলেটে বেড়ে গেছে বজ্রপাত আর প্রাণহানি। গত সোমবার সিলেটের কানাইঘাট, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ও হবিগঞ্জের বাহুবলে বজ্রপাতে মারা গেছেন তিনজন। তার আগের দিন রোববার সিলেটের গোয়াইনঘাট, মৌলভীবাজার সদর ও হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে বজ্রপাতে আরও তিনজন মারা যান।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম পিয়ার-রিভিউ জার্নাল হেলিয়নে ‘বাংলাদেশে বজ্রপাত পরিস্থিতির ওপর জিআইএস (জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম)-ভিত্তিক স্থানিক বিশ্লেষণ’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে, বেশির ভাগ প্রাণহানি বর্ষা-পূর্ববর্তী মৌসুম এবং বর্ষা ঋতুতে ঘটে, যার মধ্যে উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল (সিলেট) সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশে আবহাওয়ার ধরন ও বৈশিষ্ট্য ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে। যার ফলে দীর্ঘস্থায়ী তাপপ্রবাহ, শৈত্যপ্রবাহ এবং ঋতু পরিবর্তনের মতো ঘটনা ঘটছে। এ কারণেই বজ্রপাত বাড়ছে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, বৈশাখ থেকে ঝড়বৃষ্টি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বজ্রপাতের পরিমাণ বাড়ে। এ সময়টিই হাওরের সবচেয়ে ব্যস্ততম সময়। হাওরের একমাত্র ফসল বোরো ধান তোলা হয় এই সময়ে। ফলে হাওরের কৃষকদের মাঠে যেতেই হয়। এতে প্রাণহানিও বাড়ে।

বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সিলেট বিভাগের ১০৫টি হাওর আছে সিলেট জেলায়। আর সুনামগঞ্জ জেলায় হাওর আছে ১৩৫টি।

হাওর বেশি হওয়ায় দেশের সবচেয়ে বজ্রপাতপ্রবণ এলাকাও সুনামগঞ্জ। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত গত ৮ বছরে বজ্রপাতে এ জেলায় অন্তত ১৫০ লোক মারা গেছেন।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ লেগে থাকলেও সুনামগঞ্জে নেই কোনো আবহাওয়া অফিস। এদিকে বজ্রপাতে ক্ষয়ক্ষতি বেড়ে যাওয়ায় ২০১৮ সালে দেশের বিভিন্ন স্থানের সঙ্গে সিলেট আবহাওয়া অফিসেও স্থাপন করা হয় বজ্রপাত পূর্বাভাস যন্ত্র ‘থান্ডারস্টর্ম ডিটেকটিভ সেন্সর’। এই যন্ত্রের মাধ্যমে প্রতিদিনই বজ্রপাতের পূর্বাভাস আসে। আবহাওয়া অফিস থেকে এই পূর্বাভাস প্রতিটি জেলার সরকারি অফিসগুলোতে ই-মেইলে পাঠানো হয়। তবে এই পূর্বাভাস মাঠপর্যায়ে প্রান্তিক মানুষের কাছে আর পৌঁছে না। কৃষকদের কাছে বজ্রপাতের পূর্বাভাস পাঠানোর এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেই।

সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব বলেন, ২০১৬ সালের পর থেকে বজ্রপাতকে একটি দুর্যোগ হিসেবে চিহ্নিত করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়। সাধারণত পাহাড়বেষ্টিত এলাকা ও খোলা জায়গায় বজ্রপাতের আশঙ্কা বেশি থাকে। এই হিসেবে সিলেট বজ্রপাতের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা।

তিনি বলেন, ‘১২ ঘণ্টা আগে আমরা বজ্রপাতের পূর্বাভাস পাই। আমরা যে বজ্রপাত পূর্বাভাস সরকারি দপ্তরে পাঠাই, সেটি হাওরাঞ্চলের মানুষজনের কাছে পৌঁছাতে হবে। এটি স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদেরই করতে হবে। আগাম সতর্কবার্তা পেলে ওই সময় হাওরে কাজ করা থেকে তারা বিরত থাকতে পারবেন।’

বজ্রপাত আটকে দেবে তালগাছ, এই ধারণা থেকে কেবল সুনামগঞ্জ জেলায়ই ২০১৮ সালে ৩৪ হাজার ও চলতি বছরে ৮০ হাজার তালবীজ বিতরণ করা হয়। তবে স্থানীয়রা বলছেন, এই লক্ষাধিক বীজ থেকে হাজারখানেক চারাও গজায়নি।

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ৫নং সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান এহসান চৌধুরী বলেন, ‘২০১৭ সালে আমাদের কিছু তালবীজ দেওয়া হয় উপজেলা প্রশাসন থেকে। আমরা রোপণ করেছি কিন্তু গাছ হয়নি। সব বীজই নষ্ট হয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘বজ্রপাতের কোনো পূর্বাভাস আমরা পাই না। তাই যখন দেখি আকাশের অবস্থা ভালো না তখন ইউপি সদস্যদের কল দিয়ে বলি তাদের এলাকায় কেউ যেন মাঠে না যায়।’

সুনামগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে প্রতিটি উপজেলায় ২০১৮ সালে তালবীজ বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে তালবীজ দেওয়া হলেও পরবর্তী সময় আর কোনো তদারকি করা হয়নি।

পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা বলেন, ‘হাওরে কিছু আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি আমরা। যাতে কৃষকরা মাঠে কাজ করতে গেলে বজ্রবৃষ্টির সময় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে পারেন। এ ছাড়া হাওরে বজ্রপাত নিরোধক দণ্ড স্থাপন করা দরকার। এসব দাবি আমরা বিভিন্ন সময় জানিয়েছি। তবে মৌখিক আশ্বাস ছাড়া এখন পর্যন্ত কিছুই পাইনি।’

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘বজ্রপাতে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে হাওর এলাকায় তালবীজ রোপণ ও বিতরণ করা হয়েছিল। তবে এটা অনেক দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। এখন গাছগুলোর কী অবস্থা তা জানা নেই। ইউএনওদের মাধ্যমে খোঁজখবর নিয়ে জানাব।’

বিষয়:

প্রথম দুই ঘণ্টায় ১০ শতাংশ ভোট: ইসি

নির্বাচন কমিশন ভবন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৮ মে, ২০২৪ ১৭:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম দফার ভোটগ্রহণে প্রথম দুই ঘণ্টায় ১০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মনিটরিং সেল। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানা যায়।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দেশের ৫৯ জেলার ১৩৯টি উপজেলায় সকাল সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

ইসির দেওয়া তথ্যমতে, উপজেলায় এ পর্বে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন দুই কোটি ৮০ লাখের বেশি মানুষ। প্রায় সব উপজেলায় মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ১৩৯টি উপজেলা পরিষদে প্রতিটি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রায় ১৬০০ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলার মধ্যে ২২টিতে ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট হচ্ছে। এ ধাপে মোট এক হাজার ৬৩৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬২৫ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন। প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ করে অর্থাৎ মোট ২৮ প্রার্থী এরই মধ্যে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।

বিষয়:

বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবক নিহত

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ছোড়া গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবকের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আজ বুধবার সকালে তেঁতুলিয়া সীমান্তের ৪৪৭/৫ নং পিলারের কাছে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর ভারতীয় থানা পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

নিহতরা হলেন- তেঁতুলিয়া উপজেলার মাগুড়া গ্রামের জুনু মিয়ার ছেলে জলিল (২৪) ও তিরনইহাট ব্রমতোল গ্রামের কেতাব আলীর ছেলে ইয়াসীন আলী (২৩)।

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল মো. যুবায়ের হাসান (পিএসসি) বলেন, ‘ঘটনার পরেই আমারা খবর পেয়েছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের মরদেহ ফেরত আনার চেষ্টা চলছে।’

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার বলেন, ‘বিজিবির মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পেরেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে নিহত ওই দুই যুবক গরু চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।’

বিষয়:

১৩৯ উপজেলায় ভোট গ্রহণ চলছে

ফাইল ছবি
আপডেটেড ৮ মে, ২০২৪ ১০:৩৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট গ্রহণ চলছে। আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলবে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। প্রথম ধাপে ১৫২টি উপজেলার তফসিল ঘোষণার পর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা, নির্বাচন স্থগিত ও ধাপ পরিবর্তনের কারণে কিছু উপজেলা বাদ পড়ে।

এই ধাপে ১৩৯ উপজেলার মধ্যে ২২টিতে ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট হবে। এই ধাপে মোট ১ হাজার ৬৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রার্থী রয়েছেন। প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ করে অর্থাৎ ২৮ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।

হাতিয়া, মুন্সীগঞ্জ সদর, বাগেরহাট সদর, পরশুরাম ও শিবচর এই পাঁচটি উপজেলার সব পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। অর্থাৎ এই পাঁচ উপজেলায় কোনো পদেই ভোটের প্রয়োজন পড়ছে না। পার্বত্য জেলা বান্দরবানে তিনটি উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করেছে ইসি।

এ ছাড়া জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে ইসি। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে জামালপুরের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সরিষাবাড়ীতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে আজ বুধবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সব পদের নির্বাচন কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। কমিশনের নির্দেশে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এদিকে ভোটের পরিবেশ শান্ত রাখতে স্বাভাবিক এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৭ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ বা ১৯ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া বিশেষ এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০ বা ২১ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। উপজেলার আয়তন, ভোটার সংখ্যা ও ভোটকেন্দ্রের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতি উপজেলায় ২ থেকে ৪ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করবেন।

উপকূলীয় এলাকার দ্বীপাঞ্চলে কোস্টগার্ড, মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। ভোট কেন্দ্রে আনসার ব্যাটালিয়ন মোবাইল/স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোট গ্রহণের আগের দুই দিন, ভোট গ্রহণের দিন ও ভোট গ্রহণের পরের দুদিন মোট পাঁচ দিন নিয়োজিত থাকবেন।

গতকাল রাত ১২টা থেকে আজ বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, পিকআপ, ট্রাক, লঞ্চ, ইঞ্জিনচালিত বোটসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে মোটর সাইকেল চলাচল। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।

ভোট গ্রহণের সাত দিন আগে ও ভোট গ্রহণের পরবর্তী সাত দিন পর্যন্ত লাইসেন্সধারীরা অস্ত্রসহ চলাচল না করতে কিংবা বহন ও প্রদর্শন না করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে নির্দেশনা জারি করেছে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোট গ্রহণের তিন দিন পূর্ব পর্যন্ত আচরণ বিধি প্রতিপালন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও প্রতিরোধে প্রতি উপজেলায় একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট এবং ভোট গ্রহণের তিন দিন পূর্ব থেকে ভোট গ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত প্রতি তিন ইউনিয়নের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে। এ ছাড়া ভোট গ্রহণের দুই দিন আগে থেকে ভোট গ্রহণের দুই দিন পর পর্যন্ত প্রতি উপজেলায় একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন।

এদিকে দেশের ১৫০টি উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ৪১৮ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৬ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত বিজিবির সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় বিজিবি সদস্যরা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।

যা বলছেন সিইসি

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের প্রমাণ পাওয়ামাত্র ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। গতকাল মঙ্গলবার এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সকালে সিইসি বলেন, ‘এটা নিয়ম রক্ষার ভোট নয়। নির্বাচন অনিবার্যভাবে প্রয়োজন। আমাদের কাজ নির্বাচন আয়োজন করা। কে, কোন দলের প্রার্থী, এটা কোনো বিষয় না। আমরা দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখছি না। প্রার্থীর সঙ্গে প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখছি। যদি একজন প্রার্থী থাকে, তবে ভোট হবে।’

বিএনপির নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি পদে চারজন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই, সে কথা বলা যাবে না। কমিশনের দায়িত্ব প্রার্থী আছে কি না, সুষ্ঠুভাবে প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হচ্ছে কি না, সেটি দেখা। দলীয় বিষয়গুলো দেখা আমাদের দায়িত্ব না।’

উপজেলার ভোটে প্রভাব বিস্তার নিয়ে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ভোটে কেউ যাতে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে, সে ব্যাপারে ইসির অবস্থান স্পষ্ট। প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা। ভোটকেন্দ্রে অনুপ্রবেশকারীরা যাতে ঢুকতে না পারে, সে ব্যাপারে রিটার্নিং অফিসারকে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। ইসি কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। উৎসাহ-উদ্দীপনা থেকে ভোটের মাঠে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশনা রয়েছে কমিশনের।’

প্রথম ধাপে ১১ হাজার ৫৫৬ কেন্দ্রের ৮১ হাজার ৮০৪ ভোট কক্ষে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৬৮ হাজার ১০২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ১ কোটি ৬০ লাখ ২ হাজার ২২৪, নারী ১ কোটি ৫৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯০ এবং ১৮৮ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।


banner close