মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

ছাগল চুরির অভিযোগ, ছাত্রলীগ নেতাসহ আটক ২

প্রতীকী ছবি
প্রতিনিধি, নওগাঁ
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, নওগাঁ
প্রকাশিত : ১১ নভেম্বর, ২০২২ ২৩:৩৩

ছাগল চুরির অভিযোগে নওগাঁর মহাদেবপুরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্না সরদারসহ (২২) দুজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে গ্রামবাসী। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার সফাপুর ইউনিয়নের ঈশ্বরলক্ষ্মিপুর গ্রামের রাস্তা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় ছাগল মালিক মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

আটক দুজনের মধ্যে মুন্না সরদার উপজেলার সফাপুর ইউনিয়নের সফাপুর সরদার পাড়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দীকের ছেলে। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। আটক আরেকজন একই গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে মুক্তার হোসেন (৩৫)।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মুন্না সরদার ও মুক্তার হোসেন মোটরসাইকেলে একটি ছাগল নিয়ে দ্রুতগতিতে যাওয়ার সময় ঈশ্বরলক্ষ্মিপুর গ্রামের রাস্তার সেকেন্দার নামে এক সাইকেল আরোহীর সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে সেকেন্দার পড়ে গিয়ে আহত হন। এ সময় স্থানীয়রা মোটরসাইকেল আটকে দ্রুতগতিতে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তারা জানান, ছাগল নিয়ে হাটে যাচ্ছেন। তাদের আচরণ দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুস সাত্তারকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানানো হয়। পরে আব্দুস সাত্তার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ছাগলটি দক্ষিণলক্ষ্মিপুর গ্রাম থেকে চুরি করে হাটে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে জানতে পারেন।

এদিকে, ছাগলের মালিক জয়নাল হোসেন তার বাড়ির উঠানে ছাগল না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করেন। একপর্যায়ে পাশের গ্রামের ছাগলকাণ্ডের ঘটনা শুনে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে তার ছাগল দেখতে পান। পরে মেম্বার আব্দুস সাত্তার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ সেখানে গিয়ে মুন্না সরদার ও মুক্তার হোসেনকে আটক করে এবং মোটরসাইকেল ও ছাগল জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।

উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২১ এপ্রিলে কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। ওই কমিটিতে আটজন সাংগঠনিক সম্পাদক রয়েছেন। তাদের মধ্যে মুন্না সরদারের নাম ছয় নম্বরে রয়েছে।

ছাগল মালিক জয়নাল হোসেন বলেন, ‘ছাগলটি বাড়ির সামনে বাঁধা ছিল। ওই সময় বাড়ির বাইরে কেউ ছিল না। এ সুযোগে হয়তো ছাগলটি চুরি হয়। পরে জানতে পারি, পাশের গ্রামে ছাগলসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি আমার ছাগল। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।’

সফাপুর ইউনিয়নের স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুস সাত্তার বলেন, আমার বাড়ির সামনের রাস্তায় তাদের দুজনকে ছাগলসহ আটক করে এলাকাবাসী। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হলে পুলিশ এসে তাদের নিয়ে যায়।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তনু কুমার দেব বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের আটজন সাংগঠনিক সম্পাদকের মধ্যে মুন্না সরদার একজন। তবে তিনি এ ধরনের ঘটনায় জড়িত কি না, আমার জানা নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।

মহাদেবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদ হাসান বলেন, ছাগল চুরির ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। মোটরসাইকেল ও ছাগল জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ছাগল মালিক জয়নাল হোসেন মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।


সারা দেশে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে: ইসি সচিব

আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের উপজেলা নির্বাচনবিষয়ক ব্রিফ করেন ইসি সচিব জাহাংগীর আলম। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব জাহাংগীর আলম বলেছেন, সারা দেশে চলমান দ্বিতীয় ধাপের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। সারা দেশে শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে ভোটকেন্দ্রে স্ট্রোক করে দুজন মানুষ মারা গেছেন। তাদের এই মৃত্যু নির্বাচনী সহিংসতার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যমকে তিনি এসব তথ্য জানান।

ইসি সচিব বলেন, ‘দুপুর পর্যন্ত নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোতে বড় ধরনের কোনো নাশকতার খবর আমরা পাইনি। ভোট কেন্দ্রের বাইরে ছোটখাটো দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। যার সংখ্যা মাত্র ১৮টি। এ ছাড়া বিচ্ছিন্নভাবে দুটি ঘটনা ঘটেছে। রাজবাড়ীতে একজন ভোটার ভোটকেন্দ্রে লাইনে দাঁড়ানো থাকা অবস্থায় সম্ভবত স্ট্রোক করেছেন। ৫৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেছেন। আর রাজশাহীতেও একজন আনসার ভিডিপি কর্মী স্ট্রোক করে মারা গেন। এসব মৃত্যুর সঙ্গে নির্বাচনী সহিংসতার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই। আমরা আশা করি বিকেল চারটা পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় প্রথম ধাপের চেয়ে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ভোটের হার আরও বাড়বে। সাধারণত গ্রামে ভোটারদের উপস্থিতি দুপুরের পর। আমরা প্রত্যাশা করছি সুন্দরভাবেই নির্বাচন সম্পন্ন হবে।’

তিনি আরও বলেন, সারা দেশে ১৫৬টি উপজেলায় ১৩ হাজর ১৫৫টি কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল আটটা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। দুপুর বারোটা পর্যন্ত আমরা দশ হাজার কেন্দ্রের তথ্য পেয়েছি। তাতে দেখা গেছে প্রদত্ত ভোটের হার শতকরা ১৬.৯৪ শতাংশ। মানে প্রায় ১৭ শতাংশ ভোট পড়েছে।

উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে ১৫৬ উপজেলায় মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি মোতায়েন রয়েছে ৪৫৮ প্লাটুন। ভোটকেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে ৪৭ হাজার ৮২৯ জন। এছাড়া স্ট্রাইকিং ও মোবাইল টিম হিসেবেও রয়েছে ১৯ হাজার ৫৭ জন পুলিশ সদস্য। দায়িত্ব পালন করেছেন এলিট ফোর্স র‍্যাব ২ হাজার ৭৬৮ জন ও আনসারের ১ লাখ ৯৩ হাজার ২৮৭ জন সদস্য।

বিষয়:

১২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১৭ শতাংশ: ইসি সচিব

মঙ্গলবার সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফ করেন ইসি সচিব জাহাংগীর আলম। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সারা দেশে ১৫৬টি উপজেলায় চলছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এই নির্বাচনে ১৩ হাজার ১৫৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০ হাজার কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৬.৯ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১৭ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব জাহাংগীর আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ধাপের ১৫৬ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তিনটি পদে এক হাজার ৮২৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৯৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আবার এসব পদে ২২ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এরইমধ্যে বিজয়ী হয়েছেন। দুটি উপজেলায় তিনটি পদে সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ করেছেন।

বিষয়:

উপজেলা নির্বাচন: ২৯ মে সাধারণ ছুটি ঘোষণা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের নির্বাচন উপলক্ষে ১১১টি উপজেলা সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় আগামী ২৯ মে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

গতকাল সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা মোতাবেক ১১১টি উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলকক্ষে ভোটগ্রহণের দিন অর্থাৎ ২৯ মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো।

এর আগে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে ১১১ উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে সম্প্রতি নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। সংস্থাটি থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে এজন্য চিঠি পাঠানো হয়।

এতে বলা হয়, ২৯ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ৩য় ধাপের নির্বাচন ১১১ উপজেলায় অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণের দিন অর্থাৎ ২৯ মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা প্রয়োজন।

উপজেলা পরিষদের নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণের দিন অর্থাৎ ২৯ মে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আদিষ্ট হয়ে অনুরোধ করা হলো।

বিষয়:

প্রথম ২ ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ৮ শতাংশ: ইসি সচিব

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সারা দেশে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ চলছে। ১৫৬টি উপজেলায় সকাল ৮টা থেকে ভোটের কার্যক্রম শুরু হয়েছে যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

ভোট শুরুর প্রথম দুই ঘণ্টায় সকাল ৮টা থেকে বেলা ১০টা পর্যন্ত সারা দেশে অঞ্চলভিত্তিক ৭-৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।

আজ মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে ইলেকশন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘এই ধাপের ১৫৬ উপজেলায় সকাল ৮টায় সুষ্ঠুভাবে ভোট শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার ঘটনা ঘটেনি। তবে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় এক আনসার সদস্য শারীরিক অসুস্থতায় হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভোট শুরু হয়েছে মাত্র দুই ঘণ্টা হয়েছে। বিভিন্ন জেলার প্রাপ্ত তথ্যে একেক অঞ্চলে বিভিন্ন হারে ভোট পড়ছে। কোথাও বেশি কোথাও কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে এই হার আরও বাড়বে।’

১৫৬ উপজেলায় মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৩ হাজার ১৬টি। ভোট কক্ষ রয়েছে ৯১ হাজার ৫৮৯। অস্থায়ী ভোট কক্ষ রয়েছে আট হাজার ৮৪১টি। এই ধাপের মোট ভোটার তিন কোটি ৫২ লাখ চার হাজার ৭৪৮ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন এক কোটি ৭৯ লাখ পাঁচ হাজার ৪৬৪ জন। নারী ভোটার রয়েছেন এক কোটি ৭২ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ২৩৭ জন।

দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে চার ধাপে ৪৭৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। এর মধ্য কিছু উপজেলায় তফশিল ঘোষণায় মামলা জটিলতা ও বৈধ প্রার্থীর মৃত্যু ঘটনায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরে সেসব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে জানান সংস্থাটি।

বিষয়:

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ চলছে

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সারা দেশের ১৫৬টি উপজেলায় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ চলছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

এই নির্বাচনে তিনটি পদে এক হাজার ৮২৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৯৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।

এই ধাপে তিন পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২২ প্রার্থী। রাউজান ও কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় সকল পদেই প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

১৫৬ উপজেলায় মোট তিন কোটি ৫২ লাখ চার হাজার ৭৪৮ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে ১৩ হাজার ১৬টি কেন্দ্রের ৯১ হাজার ৫৮৯টি ভোটকক্ষে। ২৪ উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে এবং ১৩২ উপজেলায় ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।

ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ১৭ থেকে ২১ জনের ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা ভেদে দুই থেকে চার প্লাটুন বিজিবি নিয়োজিত রয়েছে। ১৬টি উপজেলায় নিয়োজিত করা হয়েছে অতিরিক্ত ফোর্স।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তিন লাখ ৫৩ হাজার ৭২০ জন সদস্য ভোটের দায়িত্বে মাঠে রয়েছেন। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি ৪৫৮ প্লাটুন, ভোটকেন্দ্রে পুলিশ ৪৭ হাজার ৮২৯ জন, স্ট্রাইকিং ও মোবাইল টিম হিসেবে পুলিশ ১৯ হাজার ৫৭ জন, র‍্যাবের দুই হাজার ৭৬৮ জন ও আনসার সদস্য রয়েছেন এক লাখ ৯৩ হাজার ২৮৭ জন।

নির্বাচনী আচরণ বিধি প্রতিপালনের জন্য প্রতি তিন ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। প্রতি উপজেলায় নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচারকাজের জন্য রয়েছেন একজন করে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ভোটের নিরাপত্তায় ভোটগ্রহণের দু’দিন পর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।

দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, ‘আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবে। ভোটাররাও আগের নির্বাচন যেহেতু শান্তিপূর্ণ হয়েছে, তাই দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট দিতে পারবেন।’

দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট হয়েছে। অন্যগুলোতে আগামী ২৯ মে ও ৫ জুন ভোটগ্রহণ করা হবে। কয়েকটি উপজেলার মেয়াদ পূর্তি না হওয়ায় ভোটের তফসিল এখনো দেয়নি ইসি।

বিষয়:

কেরানীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বাবুবাজার ব্রিজ-সংলগ্ন এলাকায় নিজ দোকানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম জালাল মিয়া (৪২)।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া এ তথ্য জানান।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের নঈমুদ্দিন শেখের ছেলে জালাল। বর্তমানে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ইনসাফ মার্কেট এলাকায় ভাড়া বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকেন। তিন ছেলের জনক ছিলেন তিনি। পেশায় তিনি প্রেস ও কাগজ ব্যবসায়ী ছিলেন।

মৃতের ছেলে মো. হাসান জানান, সকালে দোকানে মেশিংয়ে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অচেতন হয়ে পড়েন তার বাবা। পরে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘মরদেহটি ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি আমরা সংশ্লিষ্ট থানায় জানিয়েছি।’

বিষয়:

উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখলেন মা

আপডেটেড ২০ মে, ২০২৪ ১৭:৪১
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ছেলে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী। কিন্তু সমর্থণ পায়নি মায়ের। উল্টো ছেলের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখেছেন সেই মা। এমন ঘটনা ঘটেছে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায়। এই উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন ফজলুল করিম সাইদি। কিন্তু গেল মা দিবসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে তার মা শামসুন্নাহারের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি। যা তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর লিখেছেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন ছেলে ফজলুল করিম সাইদি মাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্চিত করেছেন। সেই সঙ্গে তারঁ সব সম্পত্তি জোর করে হেবা দলিল করে নিয়েছেন। যে সম্পত্তির ভাগিদার মায়ের আরও পাঁচ সন্তান। এসব বিষয় নিয়ে মা শামসুন্নাহার ছেলে ফজলুল করিমের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় ৪টি জিডি করেছেন।


মায়ের এই চিঠির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফজলুল করিমের আপন ভাই রেজাউল করিম। যিনি ১০ বছর ধরে কুয়েত থেকে দেশে আসতে পারেন না ভাই ফজলুল করিমের ভয়ে। দেশে আসলেই তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে রেখেছেন তিনি। এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে মায়ের বক্তব্য ও চিঠি। তবে চিঠিটি পুরনো হলেও নতুন করে আলোচনায় এসেছে এটি।
চকরিয়া উপজেলার সাধারণ ভোটাররা জানান, ভোটের মাঠে এই ইস্যুটি মারাত্নক প্রভাব ফেলেছে। সাধারণ ভোটারের মন্তব্য যিনি মা, ভাই, বোনকে নির্যাতন করেন তিনি উপজেলার মানুষকে কিভাবে নিরাপদ রাখবেন? যিনি নিজের পরিবারকে ভালবাসতে পারেননি, তিনি কিভাবে সাধারণ জনগনকে ভালবাসবেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সামনুন্নাহারের ভিডিও।
রাজধানীর পল্টন থানায় সাইদী একবার ভুয়া লাইসেন্স দিয়ে অস্ত্র কিনতে গিয়ে আটক হয়েছিলেন বলে জানা যায়। তার বিরুদ্ধে নানা বিষয়ে প্রায় ৭টি মামলা এখনো চলমান।
এদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক এমপি জাফর। গত ইলেকশনে তিনি বিভিন্ন সমীকরনে পরাজিত হলেও তৃনমূলের নেতা হিসেবে পরিচিত ও জনগনের পাশে থাকায় সবার চাপে তিনি উপজেলা প্রার্থী হয়েছেন। তবে চকরিয়া আওয়ামী লীগের গ্রুপিং থাকায় একটি অংশ সাইদীকে সমর্থন দিলেও জাফর আলম তার শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছেন। তিনি আশাবাদি ভোট সুষ্ঠু হলে এবারের নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হবেন।

উল্লেখ্য, আগামীকাল মঙ্গলবার (২১ মে) দ্বিতীয় দফায় দেশের অন্যান্য উপজেলার মধ্যে চকোরিয়ায়ও ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই ধাপে চট্টগ্রামের আরও রাখা হয়েছে পেকুয়া এবং নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলা। একই তারিখে পাশ্ববর্তী লামা এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ভোটও অনুষ্ঠিত হবে।


জয়পুরহাটে পানিতে ডুবে তিন বছরের শিশুর মৃত্যু

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জয়পুরহাট প্রতিনিধি

জয়পুরহাটের কালাইয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে তিন বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার পাঁচশিরা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশু কালাই পৌরশহরের পাঁচশিরা এলাকার আল আমিনের ছেলে ইসমাইল হোসেন (৩)।

স্থানীয়রা জানান, বাড়ির বাইরে খেলা করছিলো শিশু ইসমাইল আর বাড়ি পাশেই ছিল পুকুর। খেলার কোনো এক সময়ে শিশুটি পুকুরে পড়ে যায়। তারপর তাকে পরিবারের লোকজন খুঁজেতে বের হন। পরে পুকুরে ডুবন্ত অবস্থায় শিশুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসা হয়।

কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘পুকুরে পানিতে ডুবে একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশুটি হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মারা গেছে। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেছেন।’

বিষয়:

রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের ডাকা অর্ধদিবস অবরোধ চলছে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২০ মে, ২০২৪ ১০:৫৮
সারা বাংলা ডেস্ক

রাঙামাটির লংগদুতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এক কর্মী ও এক সমর্থককে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে তাদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে ডাকা অর্ধদিবস অবরোধ চলছে।

আজ সোমবার সকাল ৬টা থেকে ইউপিডিএফের অবরোধ শুরু হয়। এর প্রভাবে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম ও রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে জেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামের শাসন বিধি (১৯০০ সালের রেগুলেশন) বাতিল করার প্রচেষ্টার প্রতিবাদে ইউপিডিএফ আন্দোলন গড়ে তুলেছে। ঠিক এমন সময় সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও আন্দোলন বানচাল করে দেওয়ার জন্য সন্তু লারমা তার সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দিয়ে শনিবার লংগদুতে ইউপিডিএফ কর্মী বিদ্যাধন চাকমা ও সমর্থক ধন্যমণি চাকমাকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করেছে। খুনিদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে আজকের এই অবরোধ।

অবরোধ সমর্থনে রাঙামাটি শহরে কোনো ধরনের পিকেটিং চোখে না পড়লেও রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের সাপছড়ি, রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের কুতুকছড়ি, ঘিলাছড়ি এলাকায় ইউপিডিএফ কর্মীরা অবস্থান নিয়ে রাস্তায় গাছ জ্বালিয়ে বিক্ষোভ, মিছিল ও সমাবেশ করেছে। এ সময় রাস্তায় কিছু পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়ে। তবে শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার ১৮ মে সকালে লংগদুতে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ইউপিডিএফ কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এ হামলায় ঘটনাস্থলে ইউপিডিএফ সদস্য বিদ্যা ধন চাকমা ওরফে তিলক (৪৫) ও সমর্থক ধন্য মনি চাকমা (৩৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এই ঘটনায় ইউপিডিএফ সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেছে। তবে সংগঠনটির নেতারা এই অভিযোগ অস্বীকার করে এটি ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দের বহিঃপ্রকাশ বলে পাল্টা অভিযোগ করেছে।


৪০০ বছর পর সংস্কার করা হচ্ছে সুন্দরবনের মন্দির

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২০ মে, ২০২৪ ১০:৪৮
আওয়াল শেখ, খুলনা ব্যুরো

সুন্দরবনের অভ্যন্তরে শেখেরটেকে মোগল আমলে নির্মিত হয়েছিল একটি দুর্গ। সেই দুর্গের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে এখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে কালী মন্দির। অনুমানিক ৪০০ বছরের পুরোনো মন্দিরটি প্রথমবারের মতো সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

অধিকাংশ ইতিহাসবিদ শেখেরটেক এলাকার দুর্গটিকে মোগল আমলে রাজা প্রতাপাদিত্যের নির্মিত কোনো দুর্গ বলে মনে করেন। সেই দুর্গের মন্দিরটি এখন সরকারের বনবিভাগ ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর যৌথভাবে সংস্কার করছে। এতে অর্থায়ন করছে বনবিভাগ। আর কারিগরি সহায়তা করছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর।

খুলনাঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, ‘মন্দিরটির ওপরে গাছপালা জন্ম নিয়েছে। ওই ভারে এটি যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে। তা ছাড়া দেয়ালেও কোথাও কোথাও ইট খুলে পড়ছে। তাই টেকসইভাবে এটি সংস্কার করা হচ্ছে। সুন্দরবন সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় এখানে ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে যেহেতু এটি ঐতিহাসিক নিদর্শন, তাই প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কাছ থেকে কারিগরি সহায়তা নিয়ে সংস্কার করা হচ্ছে।’

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মন্দিরটি ধ্বংসপ্রাপ্ত অবস্থায় কোনো রকম টিকে আছে। এর স্থাপত্য কাঠামো ও শিল্পশৈলী দেখে অনুমান করা হয়, ৪০০ বছর আগে এটি নির্মিত হয়েছে। এর দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকে রয়েছে দুটি প্রবেশদ্বার। এতে মোট চার ধরনের ইট ব্যবহার করা হয়েছে।

মন্দিরের বাইরের অংশ ৬৫৫ সেন্টিমিটার বর্গাকার। আর ভেতরের অংশ ৩২৫ সেন্টিমিটার বর্গাকার। দেয়ালের পুরুত্ব ১৬৫ সেন্টিমিটার। ভেতরে উত্তরদিকে একটি ছোট কুঠুরি রয়েছে। দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশের প্রতিটি প্রবেশপথ ৯৭ সেন্টিমিটার চওড়া।

মন্দিরের বাইরের দিকে জ্যামিতিক নকশা, ফুল-লতা-পাতা প্রভৃতি সংবলিত পোড়ামাটির অলঙ্কৃত ইট ব্যবহার করা হয়েছে। দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকে প্রবলভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত মন্দিরটির অভ্যন্তরের বিভিন্ন স্থানেও ফাটল ধরেছে। মন্দিরটির শীর্ষে গাছপালা ও উদ্ভিদপূর্ণ। বড় বড় গাছের শিকড় প্রবেশ করে মন্দিরের ডোম ও দেওয়ালগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ইতোমধ্যে ডোম ও দেয়ালগুলোতে ফাটল ধরেছে। এই ফাটলের ফলে মন্দিরের ডোম ও দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ এবং উত্তর-পূর্ব কোণের ইট খসে পড়েছে।

মন্দিরের চারপাশে দেয়াল থেকে খসে পড়া ইটের অংশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। এ ছাড়া মন্দিরের চারপাশে বিশেষ করে দক্ষিণ দিকে প্রচুর ছোট-বড় গাছ রয়েছে, যার ছায়ার কারণে মন্দিরে সূর্যের আলো প্রবেশ করতে পারে না।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর বলছে, মন্দির নির্মাণে স্থানীয় শামুকের তৈরি চুন, মাটি পুড়িয়ে তৈরি করা ইট ও শিবসা নদীর বালু ব্যবহার করা হয়েছিল।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর থেকে সংস্কার কাজটি তদারকি করছেন খুলনা ও বরিশাল বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক লাভলী ইয়াসমিন। তিনি বলেন, ‘একমাস আগে থেকে আমরা সংস্কার কাজ শুরু করে দিয়েছি। সংস্কারের আগে আমাদের প্রকৌশলীরা এর প্রাক্কলন তৈরি করেছিলেন। সংস্কারের জন্য আগে যেসব আকারের ইট ছিল, সেই আকারের ইট তৈরি করে, মন্দিরের আকৃতি অপরিবর্তনীয় রাখা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ঠিক তৈরির সময়ে এটি যেমন ছিল, এখনো তেমন থাকবে। শুধু দীর্ঘস্থায়ী সংরক্ষণের জন্য এটাকে মজবুত করা হবে।

কাজ শেষ হতে অনেক সময় লাগবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি দুর্গম এলাকা। সেখানে বাঘের আধিক্য রয়েছে। মালামাল পৌঁছাতে ও শ্রমিক দিয়ে কাজ করাতে খুবই জটিলতা হচ্ছে, তবুও আমরা হাল ছাড়ছি না। ইতোমধ্যে আমাদের দুই ধাপের শ্রমিকরা সেখান থেকে পালিয়ে চলে এসেছেন। এখন শ্রমিকদের বুঝিয়ে, বন বিভাগের অস্ত্রধারী নিরাপত্তারক্ষী রেখে সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে।’

কালী মন্দিরটিকে ঘিরে ইতোমধ্যে বনবিভাগ নির্মাণ করেছে শেখেরটেক ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র। এটি সুন্দরবনের পশ্চিম বনবিভাগের খুলনা রেঞ্জের কালাবগি ফরেস্ট স্টেশনের আদাচাই টহল ফাঁড়ির ১৬নং কম্পার্টমেন্ট এলাকায় শিবসা নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থিত। যা খুলনা শহর থেকে নদীপথে প্রায় ৮৫ কিলোমিটার দূরে।

বনবিভাগ জানায়, ২০২১ সালে সুন্দরবনে নতুন করে চারটি পর্যটন কেন্দ্র তৈরির উদ্যোগ নেয় বনবিভাগ। সেগুলো হলো- সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের শেখেরটেক ও কালাবগী, শরণখোলা রেঞ্জের আলীবান্ধা ও চাঁদপাই রেঞ্জের আন্ধারমানিক। ২৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন বছরমেয়াদি এ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে নতুন যে চারটি পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়ে, তার মধ্যে ঐতিহাসিক নিদর্শন থাকায় সব থেকে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে শেখেরটেক ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রটি।

মন্দিরটির সংস্কার একটি ভালো উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. ওয়াসিউল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘মন্দিরটি আরও ২০ বছর আগে আমি পরিদর্শন করেছি। খুবই ভঙ্গুর দশায় রয়েছে। এটির সংরক্ষণ করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি ছিল।’

তবে ওই এলাকার জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি এড়াতে বনবিভাগের আরও সতর্ক হতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সেখানে প্রচুর গাছপালা কেটে কংক্রিটের ফুট ট্রেইল নির্মাণ করা হয়েছে। উচিত ছিল পরিকল্পিতভাবে পরিবেশের সঙ্গে ভারসাম্য রেখে পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণ করা। বনবিভাগের উচিত হবে, সেখানে সীমিত পরিসরে পর্যটক পাঠানো। কারণ পর্যটনের জন্য বনের পরিবেশ নষ্ট বা বাঘেদের যন্ত্রণা দেওয়া ঠিক হবে না।


বান্দরবানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কেএনএফের তিন সদস্য নিহত

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বান্দরবান প্রতিনিধি

বান্দরবানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কেএনএফের তিন সদস্য নিহত হয়েছে। আজ রোববার সকালে রুমা-রোয়াংছড়ি সীমান্তের রৌনিনপাড়া এলাকার গভীর জঙ্গলে কেএনএফের একটি আস্তানায় অভিযান চালানোর সময় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রৌনিনপাড়া এলাকার গহিন অরণ্যে কেএনএফ আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে যৌথ বাহিনী। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলাগুলির ঘটনায় কেএনএফের তিন সদস্য ঘটনাস্থলে নিহত হন। নিহতদের এখনো কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।

এদিকে ঘটনার পর আশপাশের পাড়াগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় সেনাবাহিনী তল্লাশি চালাচ্ছে। সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।

মরদেহ পাওয়ার খবর শোনার পর রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ আলী জানান, রুমা-রোয়াংছড়ি সীমান্তবর্তী রৌনিনপাড়া এলাকায় তিনজন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। মরদেহ উদ্ধারে আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।

মরদেহ তিনটি উদ্ধারের পর বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী বলেন, উপজেলার দুর্গম রৌনিনপাড়া এলাকা থেকে পুলিশ তিনটি মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ সময় মরদেহের পাশ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।

তিন যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

গত ২ এপ্রিল রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি করে অর্থ লুট করে একদল সশস্ত্র লোক। পুলিশের ১০টি এবং আনসার সদস্যের ৪টি অস্ত্রও লুট করে নিয়ে যায় তারা। অপহরণ করা হয় ব্যাংকটির ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে। তবে দুদিন পর রুমার একটা পাহাড়ি এলাকা থেকে ছাড়া পান তিনি। রুমার ঘটনার পরদিনই থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকেও দিন-দুপুরে অর্থ লুটের ঘটনা ঘটে। দুটি ঘটনায় পাহাড়ে সশস্ত্র সংগঠন ‘কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ’ জড়িত বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর থেকে লুট হওয়া অস্ত্র-অর্থ উদ্ধার, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুমা ও থানচিতে অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশ সদস্যের যৌথ বাহিনী। অভিযান সমন্বয় করছেন সেনাবাহিনী। যৌথ বাহিনীর এই অভিযানে বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ২২ নারীসহ ৭৮ জনকে গ্রেপ্তারের খবর জানিয়েছে পুলিশ।

বিষয়:

আগামীকাল থেকে ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের প্রজনন বিস্তার বাড়াতে মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল সোমবার থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

নিষেধাজ্ঞার কারণে সমুদ্রগামী জেলেদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। জেলেরা বলেন, বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে বিভিন্ন ধাপে ১৪৭ দিন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ায় লাখো জেলে ও ব্যবসায়ীর মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে।

জেলেরা যে সরকারি সহায়তা পান, তা অপ্রতুল। ফলে তাদের জীবন কাটে চরম দুর্দশায়। ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা, মার্চ-এপ্রিল ৬০ দিনের অভয়াশ্রমের শেষ হতে না হতেই আবার ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। এমনিতেই তাদের রোজগারের টান পড়ায় ঋণে জর্জরিত। এই ১৪৭ দিন ছাড়াও ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা ধরায় ৮ মাসের নিষেধাজ্ঞা হয়েছে। এসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মৎস্য সম্পদ মন্ত্রণালয়।

সেখানে বলা হয়েছে, সামদ্রিক জলসীমায় মাছের বংশবৃদ্ধির পাশাপাশি উৎপাদন, সামদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।

ভাইভাই ফিসের পরিচালক শাহআলম হাওলাদার দৈনিক বাংলাকে জানান, পটুয়াখালীর সবচেয়ে বড় দুটি মৎস্য বন্দর মহিপুর-আলীপুর। এখান থেকে কোটি কোটি টাকার মাছ চালান হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে গত কয়েক বছর ধরে বছরে দুই বার নিষেধাজ্ঞা, বৈরী আবহাওয়া, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি। সব মিলিয়ে এই পেশা এখন হুমকির মুখে।

ট্রলারের মালিক ইব্রাহিম হাওলাদার বলেন, ‘কোম্পানির কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা দাদন নিয়ে দুটি ট্রলার তৈরি করেছি। দুই বছরে এখন পর্যন্ত লাভের মুখ দেখিনি। এর ওপর আবার অবরোধ, এখন এই পেশায় টিকে থাকা আমাদের মতো মানুষের পক্ষে সম্ভব না।’

জেলে মাঝি নয়া মিয়া বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে একটি দাবি করে আসছি, ৬৫ দিনের অবরোধকালে আমরা মাছ ধরা বন্ধ রাখলেও পার্শ্ববর্তী ভারতীয় জেলেরা আমাদের দেশের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকার করে। আমাদের দাবি, এই সময়ে আমাদেরও মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা, নয়তো অবৈধভাবে ভারতীয় জেলে ট্রলারগুলো বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ বন্ধ করা হোক।’

কলাপাড়া উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘জেলেদের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করা হচ্ছে। এ ছাড়া জেলেদের ঋণসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর পরিকল্পনাও চলছে।’

বিষয়:

নির্বাচনে ভোট কম পড়ার পেছনে বড় কারণ বিএনপি: ইসি

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রোববার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফ করেন ইসি মো. আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৯ মে, ২০২৪ ১৭:১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচনে ভোট কম পড়ার পেছনে বড় একটি ফ্যাক্টর হলো বিএনপি। তবে এটিই একমাত্র ফ্যাক্টর নয়। বিশেষ করে আরেকটি বড় কারণ হলো স্থানীয় নির্বাচনে ভোটাররা চাকরিস্থল থেকে আসতে চান না। এখন ৬০ শতাংশের বেশি ভোটাররা আসতে চান না। এটা সারা পৃথিবীতেই এমন। ভারতেও সব দল অংশ নিলেও ৬০ শতাংশ ভোট পড়েনি।

আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।

ইসি আলমগীর বলেন, ‘আমরা আশা করি, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। ছোটখাটো যেসব সমস্যা মাঠে আছে সেগুলো যাতে না হয়, সেজন্য আমরা প্রশাসন অত্যন্ত সতর্ক রয়েছি। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন প্রথম ধাপের নির্বাচনের চেয়েও সুষ্ঠু হবে।’

আলমগীর বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসন ভোটের পরে ৪৮ ঘণ্টা থাকে। সে সময়ের মধ্যে তো কিছু হয়নি। ভোটাররা যাতে ভোট দিতে পারেন, তবে কত ভোট পড়বে তা বলা কঠিন। সেটা বলা যাবে না। যেহেতু সব দল অংশ নিচ্ছে না, তাই ভোটের হার নিয়ে এখনই কিছু বলা যাবে না।’

নির্বাচনী সহিংসতার জেরে গোপালগঞ্জে একজন মারা গেছে, সেখান থেকে কি শিক্ষা নিচ্ছে কমিশন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভোটের কয়দিন পর এ ঘটনা ঘটেছে। তবে সেটা নির্বাচনের কারণে নাকি ব্যক্তিগত কারণে সেটাও দেখতে হবে। তদন্ত না হলে তো মূল কারণ বলা যায় না। এ ছাড়া নির্বাচন না থাকলে এ দেশে সহিংসতা হয় না, বিষয়টি তো এমন নয়। এখন পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে কি না সেটা দেখতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ধান কাটার কারণে ভোট কম পড়েছে, বিষয়টা এমন নয়। আপনারা কেন বিষয়টা ওইদিকে নিয়ে আমাদের খোঁচা দেন। তাৎক্ষণিক কারণ ছিল সকালে বৃষ্টি। অন্যান্য কারণের মধ্যে ধান কাটাও একটা ছিল। তার বাইরে বড় একটি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি, এসব কারণে ভোট কম পড়েছে। তারা নির্বাচনে ভোট দিতে ভোটারদের নিষেধ করেছে এটা তারা বলতে পারেন। তবে জোর করে কাউকে ভোট দিতে যেতে বাধা দিতে পারবেন না। ভোট বর্জনের কথা তারা বলতেই পারবেন।

বিষয়:

banner close