রোববার, ২ জুন ২০২৪

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে মাস থেকেই অভিযান পরিচালনা: ডিএসসিসি মেয়র

ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ২২:৩৩

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এবার মে মাস থেকেই অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

আজ বুধবার রাজধানীর গুলিস্তান শহীদ মতিউর পার্কে ড. কাজী বশির মিলনায়তনের সংস্কার কাজ পরিদর্শন শেষে তিনি এ তথ্য জানান।

মেয়র তাপস বলেন, ‘আসন্ন এডিস মশার মৌসুমকে সামনে রেখে আমাদের যে কর্মপরিকল্পনা ও সূচি রয়েছে, সে অনুযায়ী মে মাসে আমরা পুলিশ প্রশাসন, রাজউক, রেলওয়ে, গণপূর্ত অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করব।’

তিনি বলেন, আমাদের এসব কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য হলো, তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন যেসব স্থাপনা ও আবাসন রয়েছে, সেগুলো যেন তারা নিয়মিতভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখে। কোথাও যেন পানি জমতে না দেওয়া হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সর্বাত্মকভাবে একে অন্যকে সহযোগিতা করব।’

‘জুন মাসে যেহেতু বর্ষা মৌসুম শুরু হবে, তাই মৌসুমের আগেই আমরা যেন সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারি সে লক্ষ্যে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। প্রয়োজনে মে মাস থেকে অগ্রিম কিছু অভিযান আমরা পরিচালনা করব’- যোগ করে বললেন মেয়র তাপস।

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস গতকাল গুলিস্তান মোড়ে বঙ্গবন্ধু ফোয়ারার সংস্কার-পরবর্তী কাজ পরিদর্শন, ২০ নম্বর ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিদ্যমান পাইপ লাইন ও খোলা নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম উদ্বোধন এবং শ্যামপুর খালে চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের মধ্যে অঞ্চল-১ এর মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, অঞ্চল-২ এর সুয়ে মেন জো, অঞ্চল-৫ এর মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কায়জার মোহাম্মদ ফারাবী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. খায়রুল বাকের ও রাজীব খাদেম প্রমুখ।


নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাত দখলমুক্ত করল পুলিশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত এলাকা নিউমার্কেট ও আশপাশের সড়ক এবং ফুটপাত দখলমুক্ত করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। শনিবার সকালে অভিযান চালিয়ে এ এলাকার ফুটপাত ও সড়ক দখলমুক্ত করা হয়। ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের নির্দেশনায় অবৈধভাবে দখল করা এসব সড়ক ও ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয় বলে জানিয়েছেন উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-রমনা) মো. জয়নুল আবেদীন (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)। তিনি জানান, যান চলাচল স্বাভাবিক করার জন্য এ অভিযান চলছে। অভিযানের অংশ হিসেবে নিউমার্কেট ক্রসিং থেকে ঢাকা কলেজ পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশে এবং গাউছিয়া মার্কেট থেকে বাটা সিগনাল পর্যন্ত অবৈধভাবে সড়ক দখল করে দোকান বসিয়ে যানজট সৃষ্টিকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া এবং সড়ক দখলমুক্ত করা হয়েছে। সড়কের অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।


নিজস্ব কারখানায় বাস তৈরি করছে বিআরটিসি

আজ বিআরটিসির মোহাম্মদপুর বাস ডিপোর নবনির্মিত প্রধান ফটক ও ইয়ার্ডের উদ্বোধন করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম। তার সঙ্গে উপস্থিত অন্য অতিথিরা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জুন, ২০২৪ ২১:৪৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিদেশ থেকে আনা যন্ত্রাংশের (চেসিস) ওপর ভিত্তি করে নিজস্ব কারখানায় বাস তৈরি করছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি)। এরই মধ্যে দুটি বাস তৈরির কাজ শেষ করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত এই পরিবহন সংস্থা। প্রথম ধাপে আরও কয়েকটি বাস তৈরির প্রক্রিয়া চলছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অবস্থিত বাস ডিপোর নবনির্মিত ইয়ার্ড ও প্রধান ফটক উদ্বোধন শেষে আজ শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব কারখানায় তৈরি করা দুটি বাস বিমানবন্দরের শাটল রুটে ব্যবহার করা হবে। বিদেশ থেকে আসা প্রবাসী ভাইদের জন্য তা বিশেষ সুবিধা হিসেবে থাকবে। ৩০-৪০ জন যাত্রী একটি বাসে ভ্রমণ করতে পারবেন। যাত্রীদের লাগেজ রাখার জন্য বাসে সুব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এই বাস দুটি ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় শাটলভাবে ঘুরতে থাকবে। বিমানবন্দর থেকে বিভিন্ন বাস টার্মিনাল ও রেলওয়ে স্টেশনে যাবে। শিগগিরই মন্ত্রণালয় থেকে উদ্বোধনের দিন নির্ধারণ করা হবে। বর্তমানে বিআরটিসির বহরে যাত্রীবাহী বাস রয়েছে এক হাজার ৩৫০টি। তা সুইডেন, জাপান, চীন, কোরিয়া ও ভারতের মতো দেশ থেকে কেনা হয়েছে। এখন নতুন করে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাসে (সিএনজি) চালিত ৩৫০টি এবং ভারত থেকে ১০০টি বিদ্যুৎচালিত বাস কেনার প্রক্রিয়া চলছে।

বিআরটিসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘চেসিস বানানোর সক্ষমতা এখনো আমাদের হয়নি। এই চেসিস বাদ দিয়ে পুরোপুরি একটি গাড়ি বানানোর শতভাগ সক্ষমতা বিআরটিসির রয়েছে। বিদেশ থেকে চেসিস এনে আমাদের নিজস্ব কারখানায় বাস তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে আমাদের বাস আমরাই উৎপাদন করতে চাই।’ তাজুল ইসলাম বলেন, ২০১২ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া গাজীপুরের সমন্বিত কেন্দ্রীয় মেরামত কারখানা পুনরায় চালু করা হয়েছে। পুরোনো মেশিনারিজ পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন মেশিনারিজ সরঞ্জাম যুক্ত করে কারখানার সক্ষমতা বহুগুণ বাড়ানো হয়েছে। তা ছাড়া ঢাকার তেজগাঁওয়ের কেন্দ্রীয় মেরামত কারখানা আধুনিকায়ন করা হয়েছে। এসব কারখানার কর্মীদের উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তোলা হয়েছে। বিআরটিসির নিজস্ব কারখানায়, নিজস্ব কর্মীদের দিয়ে বাস তৈরির সক্ষমতা তৈরি হয়েছে।


নরসিংদীর সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নরসিংদী মডেল থানার চেক জালিয়াতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. নাজমুল আহম্মদে ওরফে সোহাগকে (৪৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের জঙ্গি দমনে বিশেষায়িত এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সুত্রাপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ শুক্রবার এটিইউ এর গণমাধ্যম ও সচেতনতা শাখার পুলিশ সুপার (এসপি) ব্যারিস্টার মাহফুজুল আলম রাসেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ২০১৭ সালে গ্রেপ্তার নাজমুল আহমেদের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির অভিযোগে একটি মামলা হয়। দীর্ঘ বিচারিক কাজ শেষে ২০২৩ সালে আদালত তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। গ্রেপ্তার এড়াতে আসামী নাজমুল আহম্মদে দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করেছিলেন। সর্বশেষে তিনি রাজধানীতে আত্মগোনে ছিলেন।
মাহফুজুল আলম রাসেল আরও জানান, এ বিষয়ে নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিইউকে আসামি গ্রেপ্তারে একটি অধিযাচন (রিকুইজিশন) পত্র পাঠান। পরে এটিইউ নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যে সুত্রাপুরের বাংলা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নাজমুল আহম্মদে ওরফে সোহাগকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার আসামিকে নরসিংদী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান এই এটিইউ কর্মকর্তা।


পৌনে ৬ লাখ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়াবে ডিএনসিসি

নগরভবনে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী শনিবার ১ জুন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে ৫৪টি ওয়ার্ডের ১৯০৪ কেন্দ্রে আনুমানিক ৫ লাখ ৭৯ হাজার ২৫৮ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সকাল ৮ টায় শুরু হয়ে এই ক্যাম্পেইন চলবে বিকেল ৪টা অবধি।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশান-২ নগরভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘শিশুর সুস্থভাবে বেঁচে থাকা, স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও দৃষ্টিশক্তির জন্য ভিটামিন-এ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক অনুপুষ্টি। ভিটামিন-এ চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টি শক্তি ও শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখে এবং বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে থাকে। বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য নীতিমালা অনুযায়ী, বছরে দুবার ভিটামিন-এ’র অভাব পূরণে সম্পূরক খাদ্য হিসেবে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ১ জুন সারা দেশে জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন পালিত হবে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী সকল শিশুদের একটি নীল রঙের ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের একটি লাল রঙের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল বিনামূল্যে খাওয়ানো হবে। এছাড়া শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণ মতো ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর বার্তা প্রচার করা হবে।’

ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১০টি অঞ্চলের আওতাধীন ৫৪টি ওয়ার্ডে জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হবে। এই ক্যাম্পেইন সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের পক্ষে এ কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকেই ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে তদারকির জন্য কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে ভিজিলেন্স টিম নিয়োজিত থাকবেন।

উত্তর সিটি কর্পোরেশন জানায়, এবারের ক্যাম্পেইনে মোট ৫ লাখ ৭৯ হাজার ২৫৮ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তার মধ্যে ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সের শিশুর ১ লাখ ৩ হাজার ৮৮৮ ও ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সের ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৩৭৯ শিশু। এ কার্যক্রমটি মোট ১ হাজার ৯০৪টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এ কাজ পরিচালনা করতে স্বাস্থ্যকর্মী, স্বাস্থ্যসেবী হিসেবে ৩ হাজার ৮০৮ জন নিয়োজিত থাকবে।

বিষয়:

সড়ক-মহাসড়কের পাশে বসবে না পশুর হাট

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

যাত্রীদের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে এবারও মহাসড়কের পাশে পশুর হাট না বসানোর নির্দেশনা দিয়েছে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিআরটিএ ভবনে ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় কোরবানির পশুবাহী যানবাহন পারাপারে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং টোল প্লাজায় সার্বক্ষণিক ইটিসি বুথ চালু রাখারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পণ্য ও পশু পরিবহনকারী যানবাহনে যাত্রী বহন না করাসহ কোরবানির পশু পরিবহনকারী যানবাহনের সামনে ব্যানার ব্যবহার করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

সভায় বলা হয়, ‘টোল প্লাজায় পশুবাহী যানবাহন পারাপারে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সওজের আওতাধীন কর্ণফুলী সেতু, মেঘনা সেতু, গোমতী সেতু, পায়রা সেতু, খান জাহান আলী (রূপসা) সেতু, চরসিন্দুর সেতু, শহিদ ময়েজউদ্দিন সেতু, আত্রাই টোল প্লাজাসহ ৯টি সেতু ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে) মহাসড়কসহ দুটি মহাসড়কে ইটিসি বুথ চালুর মাধ্যমে সার্বক্ষণিক টোল আদায় অব্যাহত রাখা হবে। পাশাপাশি সেতু বিভাগের আওতাধীন পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু সেতু ও কর্ণফুলী টানেলেও ইটিসি বুথ সার্বক্ষণিক চালু রাখা হবে।’

প্রতি বছর কোরবানি ঈদ উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন মহাসড়কের পাশে ২১৭টি অস্থায়ী পশুর হাট ইজারা দেওয়া হয়। এসব পশুর হাটের কারণে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট।

এ ছাড়া সভায় যানজটের সম্ভাব্য স্পট মনিটরিংয়ের বিষয়ে আলোচনা হয়। সভা থেকে বলা হয়, সারা দেশে সম্ভাব্য যানজটের ১৫৫টি স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। এই স্পটগুলো ঈদুল আজহার আগে এবং পরে মনিটরিংয়ের আওতায় আনা হবে।

সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সওজের আওতাধীন ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের পাশাপাশি জাতীয় মহাসড়ক ও করিডোরগুলোর মেরামত ও সংস্কার কাজ ঈদের ৭ দিন আগেই সম্পন্ন করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সভায়।

বিষয়:

বাড্ডায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, নিহত ১

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বাড্ডায় একটি ভবনে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সোলায়মান (৩৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। দগ্ধ হয়েছেন শান্তা (২৭) নামের এক গৃহবধূ।

আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ভবনটির তৃতীয় তলা ও নিচতলায় এই ঘটনাটি ঘটে।

দগ্ধ শান্তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত সোলায়মান ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার পলাশপুর গ্রামের মৃত মনসুর আলীর ছেলে। বাড্ডা এলাকায় ভাড়া থাকতেন তিনি।

শান্তার স্বামী নাসির হাওলাদার বলেন, ‘আজ ভোরে নামাজ পড়ে বাসা থেকে বেরিয়েছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে বাসায় ফিরে এসে দেখি আমার স্ত্রী দগ্ধ হয়ে পড়ে আছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় দ্রুত তাকে শেখ হাসিনা বার্নে নেই। বর্তমানে আমার স্ত্রী বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত চিকিৎসক।’

তিনি আরও বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে আমাদের ভবনের পাশে রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছিল। মাঝে মাঝে আমরা সেখান থেকে গ্যাসের গন্ধ পেতাম। বাসায় আমি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করতাম না। সম্ভবত ওই খোঁড়াখুঁড়ির সময় লাইন থেকে লিকেজ হওয়া গ্যাস আমার ঘরে জমে ছিল। সকালে আমার স্ত্রী রান্না করতে গেলেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়।’

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘শান্তার শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে তাঁর চিকিৎসা চলছে।’

বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসাদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অচেতন অবস্থায় সোলায়মানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে সকাল পৌনে ১০টার দিকে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সোলায়মান একটি হোটেলে বাবুর্চির কাজ করতেন। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।’

বিষয়:

রাজধানীতে দিনদুপুরে ব্যবসায়ীর ৭০ লাখ টাকা ডাকাতি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

তারা রাস্তায় ব্যবসায়ীদের টার্গেট করত। কেউ টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় আগে থেকেই খবর নিয়ে তার পিছু নিত। এরপর সুযোগ বুঝে রাস্তায় একজন এসে ধাক্কা দিত। এভাবে তর্কে জড়ানোর সময় তাদেরই অন্য সদস্যরা সেখানে এসে একপর্যায়ে ব্যবসায়ীর কাছে থাকা টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যেত।

আজ বুধবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে (ডিবি) লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। সম্প্রতি চট্টগ্রাম ও খুলনায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- খোকন দাস ওরফে বাইল্যা খোকন, রেজাউল করিম ও কামাল হোসেন। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ৯ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মশিউর রহমান বলেন, ‘গত ২৬ এপ্রিল পুরান ঢাকার কদমতলী খেজুরের গলি থেকে ৭০ লাখ টাকাসহ তাঁতী বাজারের উদ্দেশে পায়ে হেঁটে রওনা দেন মা বুলিয়ান অ্যান্ড সিলভার জুয়েলার্সের কর্মচারী মহিউদ্দিন। ইসলামপুরের নবনারায়ণ লেনের প্রবেশমুখে পৌঁছলে একজন তাকে ধাক্কা দিয়ে উল্টো অভিযোগ করে ধাক্কা দিলে কেন? এ সময় মহিউদ্দিন ক্ষমা চেয়ে চলে যেতে চাইলে আশপাশে ওত পেতে থাকা আরও সাত থেকে আট জন ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ তুলে তাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। একপর্যায়ে তার চোখে আঙুল দিয়ে গুল লাগিয়ে দেয় এবং টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।’

ডিবি লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার বলেন, ‘এ ঘটনায় ২৭ এপ্রিল জুয়েলার্সের মালিক আকিদুল ইসলামের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানায় একটি ডাকাতি মামলা হয়। মামলার সূত্র ধরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ছায়া তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে থানা-পুলিশ ও ডিবি পুলিশের তদন্তে ওই তিনজন শনাক্ত হয়।’

তিনি বলেন, ‘পুরাতন ঢাকার ওই এলাকাগুলোতে প্রতিদিন শতকোটি টাকার বৈধ লেনদেনের পাশাপাশি অনেকেই হুন্ডির টাকা লেনদেন করেন। ডাকাত চক্র ওত পেতে থাকে এই হুন্ডি ব্যবসায়ীদের টাকা ডাকাতি করার জন্য। হুন্ডিতে টাকা লেনদেন করা আইন স্বীকৃত নয়। সে কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা অধিকাংশ সময় বিষয়টি পুলিশ বা আদালতকে জানায়ও না।’

মশিউর রহমান বলেন, ‘বাইল্যা খোকন এই চক্রের মূল হোতা। সে পুরাতন ঢাকায় বসবাস করে। রেজাউল করিম এক সময় পুরাতন ঢাকাতেই ব্যবসা করত। খুলনা, বরিশাল, চাঁদপুর ও ময়মনসিংহ থেকে সমমনাদের ঢাকায় এনে টার্গেট করা ব্যক্তিকে নিরস্ত্র কায়দায় কিল-ঘুষিতে রক্তাক্ত করে চোখে গুল লাগিয়ে ডাকাতি করত তারা। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ডাকাতি এবং ছিনতাইবিষয়ক একাধিক মামলার সন্ধান পাওয়া গেছে।’

বিষয়:

খালে ময়লা ফেললে গুনতে হবে জরিমানা: ডিএনসিসি মেয়র

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

এখন থেকে খালে কেউ ময়লা ফেললে তাকে জরিমানা গুনতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘অষ্টম আরবান ডায়ালগ-২০২৪’ এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘ঢাকার খালগুলো আমরা দখলমুক্ত করেছি। এখন সময় এসেছে খালগুলোকে দূষণমুক্ত রাখার। আমরা নিজের কথা ভেবেই সব খাল মেরে ফেলেছি। আমরা আমাদের কথা ভাবলে সেগুলোকে নষ্ট করতাম না। মানুষ সচেতন না, ময়লা ফেললে জরিমানার ব্যবস্থা করা হলে মানুষের মাঝে কিছুটা সচেতনতা বাড়বে। সিটি কর্পোরেশন থেকে খালের আশেপাশে অনেকগুলো ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। কেউ খালে ময়লা ফেলেছে এটা প্রমাণিত হলে তাদের শনাক্ত করে তাদেরকে জরিমানার আওতায় নিয়ে আসা হবে।’

মেয়র বলেন, বিশ্বের উন্নত ছয়টি দেশ কার্বন এমিশনের জন্য দায়ী। তাদেরকেই বিশ্বের সমস্যা দূর করতে এগিয়ে আসতে হবে। তারা যুদ্ধের জন্য যা ব্যয় করছে তার ১০ শতাংশ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ব্যয় করলেও স্বল্পোন্নত দেশগুলো এত ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। তারা ভালো ভালো সবক দেন কিন্তু তারাই আসলে মূল অপরাধী। বিশ্বের স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে বাঁচাতে বড় ফান্ড গঠন করতে হবে।

এসময় তিনি আরবান রেজিলিয়েন্স এবং রিসার্চের জন্য আগামী অর্থবছরে ৫ কোটি টাকার বাজেট রাখার ঘোষণা দেন।

ডিএনসিসির কাজ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা স্মার্ট সিটি কর্পোরেশন গড়তে ২৪টি পার্ক উদ্ধার করেছি, ৫৪টি খাল দখলমুক্ত করেছি। আমাদের ট্যাক্স প্রদানে সমস্যা দূর করতে অনলাইনে করেছি। ট্রেড লাইসেন্স অনলাইনভিত্তিক করেছি। অনলাইনে অভিযোগ প্রদানের ব্যবস্থা করেছি। “সবার ঢাকা অ্যাপস” চালু করেছি যেখানে কেউ সমস্যার ছবি তুলে জানাতে পারবে। ফলে আমাদের লোকেরা সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গিয়ে সমস্যা সমাধান করে আসবে। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ক্লাইমেট অ্যাকশন প্ল্যান গ্রহণ করেছি। এডিস মশা দূর করার জন্য অভিযান চালাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের শহরাঞ্চলের বাতাসে মিথেন, নাইট্রোজেন, কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ অনেক বেশি। এমনকি কোভিড শুরুর কয়েক মাস ঢাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও দূষণের পরিমাণ বেশি ছিল। বর্তমান সরকার ‘মাই ভিলেজ মাই টাউন’ সৃষ্টির পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। এর ফলে গ্রামাঞ্চলও শহরের মত সুযোগ সুবিধা থাকবে। ফলে মানুষ মাইগ্রেট কমিয়ে তার এলাকাতেই থাকতে পছন্দ করবে। তা ছাড়া সরকার শহরের ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, খাল দখল এবং ডেল্টা প্লানের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে দেশের আরবান এলাকাগুলো পুনরায় বসবাসযোগ্য হয়ে উঠবে।’

মেয়র বলেন, ‘আগামীর ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুন্দর পরিবেশ দিতে আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে। পরিবেশ ঠিক রাখতে আমাদের সচেতন হতে হবে, সুনাগরিক হতে হবে। আমরা দুই বাড়ির মাঝে বা খালে ময়লা না ফেলবো না। পরিবেশ ঠিক রাখতে নিজ বাড়ির পাশে গাছ লাগাবো। এতে আমাদের পরিবেশ ঠিক থাকবে।’

এসময় তিনি খাল দখলমুক্ত, দূষণমুক্ত রাখার জন্য সাংবাদিক ও সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। তিনি বলেন, ‘উন্নত দেশগুলো আগে পরিকল্পনা গ্রহণ করে তারপর আরবান এলাকা গঠন করে। কিন্তু আমাদের দেশে আগে আরবান এলাকা তৈরি হয় পরবর্তীতে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। যদিও বাংলাদেশের ৪০ শতাংশ মানুষ আরবান এলাকায় বসবাস করে। অপরিকল্পিতভাবে শহর গড়ে উঠায় সেখানে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢুকতে পারে না। যা বড় রিস্কের তৈরি করে থাকে। তা ছাড়া আমাদের সবুজায়ন কমে গেছে, নদী-খাল-বিলের পরিমাণও কমেছে। ফলে প্রতিনিয়ত শহরাঞ্চলের তাপমাত্রা বাড়ছে।’

ঢাবি উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাক এর ডিরেক্টর ড. লিয়াকত আলী, কনসার্ন ওয়াল্ডওয়াইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর মানিশ কুমার আগারওয়াল, গ্লোব ওয়ানের কান্ট্রি ডিরেক্টর রায়হান মাহমুদ কাদেরীসহ অনেকে।

বিষয়:

নিম্নচাপের প্রভাবে ঢাকায় ১১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত

আজ সারাদিন ঢাকা শহরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গভীর স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় সকাল থেকে ১১৬ মিলিমিটার অতি ভারী বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক।

তিনি বলেন, আজ সোমবার ভোর থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ঢাকায় ১১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আমাদের হিসেব অনুযায়ী এটি অতি ভারী বৃষ্টিপাত। এরমধ্যে ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৭০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এরপর দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

এর আগে, সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল শক্তি হারিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি বিকেল ৩টার সময় ঢাকার ওপর দিয়ে অতিক্রম করবে। এসময় ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। তবে আগামীকাল মঙ্গলবার সকালের পর থেকে ঢাকার আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে পারে বলেও জানান তিনি।


ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে আবারও বন্ধ হলো মেট্রোরেল

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৭ মে, ২০২৪ ১৯:৫৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মেট্রোরেলের লাইনের ওপর গাছের ডাল পড়ায় এ অংশে বন্ধ রয়েছে মেট্রোরেল চলাচল।

আজ সোমবার বিকেল ৫টার দিকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

প্ল্যাটফর্মে ডিজিটাল সাইনবোর্ডে ‘জরুরি বাটন টেপা হয়েছিল’ লেখা থাকলেও প্ল্যাটফর্ম থেকে যাত্রীদের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল্প উপায়ে চলে যাওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে। তবে উত্তরা থেকে কাওরান বাজার পর্যন্ত অংশে নির্বিঘ্নে চলাচল করছে মেট্রোরেল।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কোম্পানি সচিব আব্দুর রউফ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ নিয়ে অপারেশন টিম কাজ করছে। একটা সমাধান আসবে।’

এর আগে আজ সোমবার সকাল ৭টার পর মেট্রোরেল বন্ধ হয়ে যায়। দুই ঘণ্টা পর মতিঝিলগামী অংশ চালু করা হলেও আবার বন্ধ হয়। উভয় দিকের চলাচল স্বাভাবিক হয় সকাল ১০টার পর।

বিষয়:

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: উত্তরায় প্রাইভেটকারের ওপর ভেঙে পড়ল গাছ

রাজধানীর উত্তরায় গাড়ির ওপর ভেঙে পড়া গাছ সরানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব থেকে রেহাই পেলো না রাজধানী ঢাকাও। সকাল থেকেই রাজধানীতে বইছে তীব্র ঝোড়ো হাওয়া। এতে উত্তরায় একটি গাছ ভেঙে গাড়ির ওপরে পড়েছে। তবে এ দুর্ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

আজ সোমবার দুপুর ১২টার পর উত্তরার জসিমউদ্দীন রোড এলাকায় গাছটি ভেঙে সড়কে চলন্ত প্রাইভেটকার ওপরে পড়ে।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের লিডার জীবন মিয়া জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সেখানে গিয়ে গাছটি অপসারণ করেন এবং রাস্তা পরিষ্কার করেন। দুর্ঘটনায় আহত বা নিহতের কোনো সংবাদ মেলেনি।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ঝোড়ো হাওয়ায় মিরপুর, উত্তরা, কুর্মিটোলা, বারিধারা ও মোহাম্মদপুরে গাছ উপড়ে পড়া এবং কিছু জায়গায় গাছের ডাল ভেঙে পড়ার খবর পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে ভেঙে পড়া গাছ ও ডাল অপসারণে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা কাজ করছেন।

গতকাল রোববার রাতে উপকূলে আঘাত হানা প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমশ নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আরও বৃষ্টি ঝরিয়ে এটি দুর্বল হয়ে দেশের পশ্চিম-উত্তর দিকে চলে যাচ্ছে।

বিষয়:

স্বাভাবিক হলো মেট্রোরেল চলাচল

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে তৈরি হওয়া বৈরী আবহাওয়ায় প্রায় ২ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর আজ সোমবার সকাল ৮টা ৫৪ মিনিটের দিকে স্বাভাবিক হয়েছে মেট্রোরেল চলাচল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের কোম্পানি সচিব (যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ আবদুর রউফ।

তিনি জানান, মেট্রোরেল চলাচলের জন্য যে ইলেকট্রিক পাওয়ার সাপ্লাই রয়েছে টেকনিক্যাল কারণে সেটি ফল করেছিল। শেওড়াপাড়া থেকে বিজয় সরণি অংশে এই সমস্যা দেখা দেয়। যার ফলে এই সময়টাতে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখতে হয়।

আজ শনিবার সকাল ৭টার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় স্টেশনগুলো থেকে কিছুক্ষণ পর পর মাইকিং করে জানানো হয় সাময়িক বিলম্ব হবে।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সকাল থেকেই বৃষ্টির কবলে পড়ে রাজধানী ঢাকা। বৈরী আবহাওয়া থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ে অফিসগামী ও স্কুলগামীদের সকাল থেকেই চাপ ছিল। সকাল থেকে বৃষ্টির সঙ্গে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হওয়ায় মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছায়।

বিষয়:

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রাজধানীতে দমকা বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল পরিণত হয়েছে গভীর নিম্নচাপে। যার প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় দমকা বাতাসের সঙ্গে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। আজ সোমবার ভোর থেকে এ বৃষ্টি শুরু হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন কর্মজীবী মানুষ। সময়মতো কর্মস্থলে পৌঁছতে অনেককেই বেগ পেতে হয়েছে। যদিও গণপরিবহনের খুব একটা দেখা মেলেনি। ব্যক্তিগত গাড়ির চলাচল বেশি দেখা গেছে। অনেককে রেইনকোট পরে ও ছাতা মাথায় হেঁটে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।

মোটরসাইকেলযোগে মহাখালী থেকে কুড়িলে আসা এক কর্মজীবী বলেন, ‘বিশেষ কারণে আজ সকাল ৭টায় অফিসে থাকতে হচ্ছে। যে কারণে বৃষ্টি আর এমন দমকা বাতাসের মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে বের হয়েছি।’

সকাল ৭টার দিকে রাজধানীর নতুনবাজার এলাকায় দেখা গেছে যাত্রীছাউনিতে চার-পাঁচজনের ভিড়। তারা জানান, বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছেন। এই সময়টায় এমনিতেই গণপরিবহন কম থাকে। তার ওপর এমন বৃষ্টি। উপায় নেই। ৮টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে।

ছাতা মাথায় পথচারীদের বেশিরভাগই পোশাকশ্রমিক। তারা জানালেন, শিফট ডিউটি। সময়মতো না পৌঁছালে বিপদে পড়বেন। বেতন কাটা পড়বে। তাই এমন বৈরী আবহাওয়াতেও বের হয়েছেন তারা।

এদিকে বৃষ্টির কারণে সোমবার ভোর থেকেই রাজধানীর কারওয়ান বাজারে কাঁচাবাজারের পাইকারি সবজি ক্রেতা-বিক্রেতাদের বেগ পেতে হচ্ছে। অনেকেই সবজি কেনা-বেচা রেখে বিভিন্ন ভবনের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন। আবার অনেককে ভিজে ভিজে মালামাল বহন করতে দেখা গেছে।

গতকাল রোববার রাতে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল উপকূলে আঘাত হানে। বর্তমানে এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।

বিষয়:

banner close