শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪
গবেষণা

নেসলের শিশুখাদ্যে ক্ষতিকর মাত্রায় চিনি

ছবি: সংগৃহীত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ২১:৫৮

বহুজাতিক খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নেসলের শিশুখাদ্যে ক্ষতিকর মাত্রায় চিনির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সুইজারল্যান্ডের অলাভজনক বেসরকারি সংগঠন পাবলিক আই ও ইন্টারন্যাশনাল বেবি ফুড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের যৌথ গবেষণায় চাঞ্চল্যকর এ তথ্য উঠে এসেছে। তবে সব দেশের বাজারে সরবরাহ করা নেসলের খাবারে চিনি মেলেনি। শুধু দরিদ্র দেশগুলোতে পাওয়া গেছে এ ক্ষতিকর মাত্রা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান বলছে, এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার দেশের বাজারে পাওয়া নেসলের শিশুখাদ্যের কিছু নমুনা বেলজিয়ামের ল্যাবে পাঠায় গবেষণা প্রতিষ্ঠান দুটো। ল্যাবে টেস্ট করার পর জানা যায়, এসব এলাকার বাজারে সরবরাহ করা নেসলের সেরেলাক ও নিডোতে ক্ষতিকর মাত্রায় চিনি যুক্ত করা হয়েছে। সেই চিনি যুক্ত করা হয় সুক্রোজ বানানোর পর।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান দুটো বলছে, এক বছরের বেশি বয়সি শিশুদের নিডো খাওয়া হয়। আর সেরেলাক খাওয়ানো হয় ৬ মাস থেকেই। এসব এলাকার শিশুরা এই খাবার খাওয়ার কারণে স্থূলতা ও বিভিন্ন জটিল রোগের ঝুঁকিতে আছেন।

বাংলাদেশ, ভারতসহ অনেক দেশেই নেসলের এই শিশুখাদ্যগুলোর চাহিদা অনেক। অনেকেই দুধের বিকল্প হিসেবে শিশুকে এসব খাবার দেন। গবেষণা প্রতিষ্ঠান দুটো বলছে, এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার শিশুখাদ্যে এভাবে চিনি যুক্ত করা হলেও ইউরোপের বাজারে ঠিকই চিনি বাদে এসব খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।

সুইজারল্যান্ডের অলাভজনক বেসরকারি সংগঠন পাবলিক আইয়ের কৃষি ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ লরেন্ট গ্যাবেরেল বলেন, লেসলেকে এই দ্বিচারিতা বন্ধ করতে হবে। বিশ্বের সব জায়গায় তিন বছরের কমবয়সি শিশুদের খাদ্যে এভাবে চিনি যুক্ত করা বন্ধ করতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে স্থূলতা একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০০০ সালের পর এখন পর্যন্ত আফ্রিকায় ৫ বছরের কমবয়সি শিশুদের স্থূল হওয়ার হার বেড়েছে ২০ শতাংশ। বৈশ্বিকভাবে এখন ১০০ কোটির বেশি মানুষ এই সমস্যায় রয়েছে।

বাজারে যেসব শিশুখাদ্য পাওয়া যায়, এতে চিনি আছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখে কেনার সুযোগ ক্রেতাদের নেই। উপাদানগুলো অনেকে দেখেন। কিন্তু তাতেও চিনির কথা সরাসরি বলা থাকে না। এ কারণে এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠান দুটো।

এ নিয়ে দ্বিচারিতা আছে ডব্লিউএইচও’র মধ্যেও। ইউরোপে এসব খাবারে যাতে চিনি না যুক্ত করা হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে তারা। কিন্তু এর বাইরে কোনো এলাকার জন্য নেই সতর্কবার্তা।

গবেষণা বলছে, ভারতে যে সেরেলাক বিক্রি করা হয় তার প্রতি প্যাকেটে প্রায় ৩ গ্রাম চিনি থাকে। বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি হওয়া নিডো ও সেরেলাকেও চিনি রয়েছে।

এ ব্যাপারে নেসলের এক মুখপাত্র বলেন, ‘শিশুদের বেড়ে ওঠায় সব ধরনের পুষ্টিকর উপাদান আমরা যুক্ত করে খাবার বানাই। এ ক্ষেত্রে মাত্রা ঠিক রাখা হয়। একেক এলাকায় একেক মাত্রার নিয়ম, আমরা তা মেনেই খাদ্য বানাই। এসব চিনি আসে মধু থেকে। এই চিনিও কিন্তু আমরা কমিয়ে এনেছি ১১ শতাংশ।’


সদরঘাটে অগ্রিম টিকিটের প্রতি ঝোঁক নেই যাত্রীদের

স্বজনদের সঙ্গে কোরবানির ঈদ করতে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। ছবিটি বৃহস্পতিবার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে তোলা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১৪ জুন, ২০২৪ ০০:০২
মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে রাজধানীর প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এরই মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ, জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা দায়িত্ব পালন করছেন। এদিকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে যাত্রীদের সেবা দিতে চালু করা হয়েছে বিশেষ লঞ্চ।

গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা যায়, যাত্রীদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বসানো হয়েছে হেল্প ডেস্ক। আনসার ও পুলিশ সদস্যরা সন্দেহভাজনদের তল্লাশি করছেন। ভিড় এড়াতে যাত্রীদের নিজ নিজ গন্তব্যের পন্টুন দিয়ে প্রবেশের নির্দেশনা দিয়েছেন সদরঘাটের ট্রাফিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তবে এ দিন ঘরমুখো মানুষের চাপ লক্ষ্য করা যায়নি।

এদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি থাকলেও টার্মিনাল এলাকায় অনেকটা জনশূন্যতা বিরাজ করছে। লঞ্চগুলো ছাড়ার জন্য প্রস্তুত করে রাখা হলেও যাত্রীদের তেমন আনাগোনা নেই। দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি লঞ্চের ডেকে কিছু যাত্রী হলেও কেবিনে তেমন যাত্রীই নেই।

আগে এ সময়ে যাত্রীদের চাহিদামতো টিকিট সরবরাহ করতে না পারলেও এখন পাল্টেছে সেই চিত্র। অনেক হাঁকডাক করেও যাত্রী মিলছে না। যাত্রী টানতে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কম ভাড়া রাখা হলেও যাত্রীরা আগ্রহী হচ্ছে না।

এদিকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের নিচতলায় রয়েছে সদরঘাট নৌ-থানার কার্যালয়। আনসার ক্যাম্পের পাশে রয়েছে লঞ্চ মালিক সমিতির কার্যালয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি নৌ ফাঁড়িও রয়েছে। এগুলোর পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে অস্থায়ীভাবে ডেক্স বসিয়ে ডিউটি করছেন র‌্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। নদীতে নৌ-পুলিশের পাশাপাশি কোস্টগার্ডের সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।

সদরঘাটের কয়েকটি লঞ্চের সুপারভাইজার, টিকিট বিক্রেতা ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদকেন্দ্রিক লঞ্চে যাত্রী এখনো বাড়েনি। কিছু কিছু লঞ্চে কিছু সংখ্যক অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়েছে। তবে ঈদের ২-৩ দিন আগে যাত্রীদের চাপ বাড়বে বলে জানিয়েছেন তারা।

লঞ্চ-সংশ্লিষ্টরা জানান, নিয়মিত দক্ষিণাঞ্চলের ৪১টি রুটে চলাচল করলেও প্রায় ১০টি রুট এরই মধ্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঈদ মৌসুমেও সেসব রুটে লঞ্চ চলাচলের তেমন সম্ভাবনা নেই। লঞ্চ ব্যবসায় মন্দার কারণে ২০টিরও বেশি লঞ্চ স্ক্যাপ করে বিক্রি করে দিয়েছেন মালিকরা।

এদিকে টার্মিনাল ঘুরে কথা হয় বরিশালের ভোলাগামী যাত্রী লিটন তালুকদারের সঙ্গে। পরিবার নিয়ে থাকেন ডেমরায়। পেশায় আইনজীবী লিটন গ্রামে পিতা-মাতাসহ স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘ভিড় হবে ভেবে বাসা থেকে আগেভাগেই রওনা দিই। বিকেল ৫টায় টার্মিনালে পৌঁছে গেছি। রাস্তায় কোনো ঝামেলা হয়নি। এখন তো দেখি তেমন ভিড় নেই।’

ঢাকা-ঝালকাঠি রুটের এম ভি ফারহান-৫ লঞ্চের স্টাফ মুশফিকুর রহমান বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ার আগে ঈদে যেরকম ভিড় বা যাত্রী হতো, এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এ দিন যাত্রী কিছু বেশি ছিল। তবে আজ শুক্রবার যাত্রীসংখ্যা বেশি হবে।

লঞ্চ মালিক সমিতির পরিচালক গাজী সালাউদ্দিন বাবু বলেন, ‘ঈদযাত্রা সামাল দিতে আমাদের পর্যাপ্ত লঞ্চ রয়েছে। যেসব রুটে যাত্রী বেশি থাকবে প্রয়োজনে সেই রুটে লঞ্চের সংখ্যা বাড়ানো হবে।’

ভাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ঈদের সময় আমরা সরকার নির্ধারিত ভাড়ায় লঞ্চ চালাই। অন্য সময় সরকার নির্ধারিত ভাড়ার নিচে ভাড়া আমরা নিয়ে থাকি। যার কারণে অনেকে মনে করে ঈদের সময় ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে।’

তিনি জানান, পদ্মা সেতুর ফলে সদরঘাটের যাত্রীসংখ্যা অনেকটাই সড়কমুখী হয়েছেন। এতে করে সদরঘাটে আগের মতো ভিড় ও যাত্রী চাপ নেই।

এ দিন দুপুরে সদরঘাট টার্মিনালে কথা হয় র‌্যাব-১০ এর এসপি সাইফুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, জেনারেল ডিউটির পাশাপাশি চুরি, ছিনতাই রোধে র‌্যাবের ইন্টেলিজেন্ট ইউনিটও কাজ করছে।

এ বিষয়ে সদরঘাট টার্মিনালের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, সদরঘাট টার্মিনালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি অসংখ্য সিসি ক্যামেরা রয়েছে। এগুলো দিয়ে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘চলাচলকারী লঞ্চগুলোর স্টাফদের প্রশিক্ষণ, লঞ্চে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আমরা সচেষ্ট আছি।’

অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থার ঢাকা নদীবন্দরের আহ্বায়ক মামুন অর রশিদ বলেন, ‘এখন যাত্রীদের তেমন চাহিদা নেই। আমরা গার্মেন্টস ছুটির অপেক্ষায় আছি। যেদিন গার্মেন্টস ছুটি হবে, সেদিন থেকে বিশেষ লঞ্চ চলাচল শুরু করবে। এ ব্যাপারে আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।’

যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঢাকা নদীবন্দরের পরিচালক জয়নাল আবেদীন বলেন, যাত্রীবাহী নৌযানের নিরাপদ ও হয়রানিমুক্ত চলাচল নিশ্চিতের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। যেহেতু ঝড়ের সময়, সে বিষয়েও নিরাপত্তা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।


‘কৃষি উপকরণ সহজলভ্য করতে দেওয়া হবে নীতিগত সহায়তা’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যত প্রতিকূলতা আসুক না কেন, সব সমস্যাকে মাথায় রেখেই কৃষি উপকরণের সহজলভ্যতা এবং সুলভ মূল্যে যেন কৃষকরা পায়, তার জন্য নীতিগত সহায়তা দেওয়া হবে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের সভা কক্ষে বাংলাদেশ ক্রপ প্রোটেকশন অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত নেতাদের মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘কৃষকের উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়ভার যাতে অধিক না হয়, সে জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে অনেক রক্ষণশীলতার পরিচয় দেওয়া হয়েছে। কৃষি উপকরণ এবং কৃষি উৎপাদনের উপকরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যে বিষয়গুলো নিয়ে বিসিপিএ কাজ করছে, সেগুলোর দাম বাড়ানোর ব্যাপারে সরকার এগোবে না। শেখ হাসিনার সরকার শুরু থেকেই এই খাতে ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছে। আমরা মনে করি, এই খাতে ভর্তুকি দিলে রিটার্ন পাওয়া যায়।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ গঠনের সময় কৃষকদের বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ করেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেখান থেকেই কৃষির অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। এই সক্ষমতায় কখনও ঘাটতি হোক, শেখ হাসিনা কখনও সেটা চান না এবং হতে দেবেন না। তার জন্য যেখানে নীতিগত সহায়তা দেওয়া দরকার, সব দিতে সরকার প্রস্তুত আছে।’

বাংলাদেশ ক্রপ প্রোটেকশন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম সাইদুজ্জামানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের সভাপতি প্রফেসর শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ ও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের মহাসচিব খায়রুল আলম প্রিন্স, বাংলাদেশ ক্রপ প্রোটেকশন অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশ প্রমুখ।


‘বিমানের টিকিট যাত্রীর তথ্য ছাড়া বুকিং করা সম্ভব নয়’

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, বিমানের কোনো টিকিট যাত্রীর তথ্য ছাড়া বুকিং করা সম্ভব নয়। ফলে কারও পক্ষে একসঙ্গে অনেক টিকিট যাত্রীর তথ্য ছাড়া বুকিং করে রাখার কোনো সুযোগ নেই।

মন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার সংসদে জাতীয় পার্টির সদস্য মো. মুজিবুল হকের টেবিলে উপস্থাপিত তারকা চিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকিট যাত্রীরা বিমানের নিজস্ব ওয়েবসাইট, জিডিএস, মোবাইল অ্যাপ, কল সেন্টার এবং বিমানের নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্র ছাড়াও যেকোনো অনুমোদিত দেশি-বিদেশি ট্র্যাভেল এজেন্ট থেকে কিনতে পারেন। কোনো এজেন্সি চাইলেই যাত্রীর তথ্য ছাড়া কোনো টিকিট বুকিং করতে পারবে না। সে সঙ্গে কোনো এজেন্সি মিথ্যা বা ভুয়া তথ্য দিয়ে বুকিং করলে, সেটি ধরে জরিমানাসহ অন্যান্য পদক্ষেপও নেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রতিটি টিকিটে বুকিং সময়সীমা দেওয়া থাকে, যার মধ্যে টিকিট কেনা না হলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যায়।

মন্ত্রী জানান, যেকোনো এয়ারলাইন্স ব্যবসায় ভরা মৌসুম ও মন্দা মৌসুম থাকে। যখন ফ্লাইটে চাপ কম থাকবে, তখন কিছু সিট খালি থাকতে পারে, যা সারা বছরের চিত্র নয়। আসন খালি থাকা সত্ত্বেও টিকিট কিনতে গেলে বলে টিকিট নেই, এটি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটা ঢালাও অভিযোগ। এ ছাড়া যাত্রীরা কনফার্ম টিকিট করেও যথাসময়ে এয়ারপোর্টে উপস্থিত হতে না পারা, যাত্রীদের অনেকের ভুয়া ভিসা এবং ডকুমেন্টস থাকায় এবং ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আইনি জটিলতার কারণেও অনেক সময় আসন ফাঁকা থাকে। প্রসঙ্গত কিছু রুটে লোড প্যানাল্টি থাকায় কিছু সংখ্যক সিট অবিক্রীত রাখা হয় বিধায় সিট ফাঁকা থাকে। সুতরাং ‘সিট ফাঁকা থাকলেও বিমানের টিকিট পাওয়া যায় না; বেশির ভাগ সময় সিট ফাঁকা রেখে বিমান উড্ডয়ন করে থাকে’ কথাটি সত্য নয় মর্মে প্রতীয়মান হচ্ছে।


‘বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছেন ৫০৪ জন বীরাঙ্গনা’

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সুপারিশে ৫০৪ জনকে নারী মুক্তিযোদ্ধা (বীরাঙ্গনা) হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য শামীম শাহনেওয়াজের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ চলাকালীন মুক্তিযুদ্ধের সহায়তাকারী সব নারীকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কার্যক্রম চলমান আছে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সুপারিশের আলোকে এরই মধ্যে নারী মুক্তিযোদ্ধা (বীরাঙ্গনা) হিসেবে ৫০৪ জনকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তাদের নাম গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে।

সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নূরের প্রশ্নের জবাবে আ ক ম মোজাম্মেল হক জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা যাদের নাম এমআইএস এবং সমন্বিত তালিকায় রয়েছে, তাদের অনুকূলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এক লাখ ৯৩ হাজার ৭৮০টি ডিজিটাল সনদ এবং জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এক লাখ ৮০৫টি স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রবাসে অবস্থানকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাও রয়েছেন। তবে এমআইএস ও সমন্বিত তালিকায় যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম রয়েছে, কিন্তু অদ্যাবধি ডিজিটাল সনদ ও স্মার্ট আইডি কার্ড পাননি, তাদের অনুকূলে ডিজিটাল সনদ ও স্মার্ট আইডি কার্ড প্রস্তুত ও প্রদানের কার্যক্রম চলমান আছে।

বিষয়:

বিরোধীদলীয় নেতা-উপনেতাকে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ শুভেচ্ছা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের এবং বিরোধীদলীয় উপনেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ মোহাম্মদ আবু জাফর রাজু জাতীয় সংসদের অফিস কক্ষে বিরোধীদলীয় নেতার একান্ত সচিব শামসুল ইসলামের কাছে এবং বিরোধীদলীয় উপনেতার একান্ত সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের কাছে ঈদের শুভেচ্ছা কার্ড পৌঁছে দেন।

এ ছাড়া সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের গুলশানের বাসভবনে তার কাছেও ঈদের কার্ড পৌঁছে দেন প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২।


ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তায় প্রস্তুত ফায়ার সার্ভিস

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১৩ জুন, ২০২৪ ১৯:৫৯
জবি প্রতিনিধি

পবিত্র ঈদুল আজহায় ঘরমুখো মানুষের অগ্নিকাণ্ডজনিত দুর্ঘটনা এড়াতে ঢাকা ও এর আশপাশে ৮টি পয়েন্টে অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ কক্ষ বসিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। পাশাপাশি যাত্রীদের নিরাপত্তায় বিভিন্ন স্থানে প্রস্তুত রয়েছে ভ্রাম্যমাণ টহল ইউনিট।

আজ বৃহস্পতিবার ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহজাহান শিকদারের পাঠানো এক বার্তায় এসব তথ্য জানা যায়।

তিনি জানান, গত (১০ জুন) সোমবার থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এসব অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কাজ আগামী ২৩ জুন পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এসব অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ কক্ষগুলো চালু থাকবে। ঈদে বাড়ি যাওয়ার পথে এবং ঈদ উদ্‌যাপন শেষে ফিরে আসার পথে অনাকাঙ্ক্ষিত যে কোনো পরিস্থিতি বা দুর্যোগ-দুর্ঘটনায় দ্রুত বা তাৎক্ষণিক সাড়া প্রদানের মাধ্যমে সেবা নিশ্চিত করতে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

যেসব স্থানে অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে: সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌটহল, মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল, মাওয়া ফেরি ঘাট, পাটুরিয়া ফেরি ঘাট, আরিচা লঞ্চ বা ফেরি ঘাট, নারায়ণগঞ্জের হাজিগঞ্জ-নবীগঞ্জ ঘাট, নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল ও বন্দর ঘাট।

এসব স্থানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবলসহ সাজসরঞ্জাম যেমন- রেসকিউ বোট, ডুবুরি ইউনিট, বয়া, ফায়ার পাম্প, সেফটি ভেস্ট, থ্রোইং ব্যাগ, লাইফ জ্যাকেট, মেগা ফোন, ফোল্ডিং স্ট্রেচার, ফাস্ট এইড বক্স, রেইন কোট, উদ্ধার সরঞ্জাম ইত্যাদি মজুদ রাখা আছে। তবে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে প্রয়োজন অনুযায়ী জনবল ও সরঞ্জামের সংখ্যা কম-বেশি আছে। বিভিন্ন জোনের উপসহকারী পরিচালক ও সিনিয়র স্টেশন অফিসারগণ এসব অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কার্যক্রম তদারকি করবেন।

আশপাশের ফায়ার স্টেশনগুলো এ সময় স্ট্যান্ডবাই ডিউটিরত থাকবে। এর পাশাপাশি সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনে সার্বক্ষণিক একটি রিজার্ভ টিম মোতায়েন থাকবে। এ সময় টহল ডিউটি নিয়োজিত থাকবে কমলাপুর, বিমানবন্দর ও ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনে; ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক, পাটুরিয়াঘাট রোড এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে। হাতির ঝিলেও ডুবুরিসহ একটি টহল ইউনিট নিয়োজিত থাকবে। এ ছাড়া ঈদের দিন জাতীয় ঈদগাহ, বায়তুল মোকাররম, বঙ্গভবন ও গণভবনে অগ্নিনিরাপত্তা ইউনিট মোতায়েন থাকবে।

উল্লেখ্য, অগ্নিনিরাপত্তা জোরদার করতে ঢাকার পাশাপাশি একই ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে অন্যান্য বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতেও। ফায়ার সার্ভিসের যেকোনো সহযোগিতার জন্য এ সময় হটলাইন নম্বর ১০২ ও ১৬১৬৩, নিকটস্থ ফায়ার স্টেশন, কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ফোন নম্বর অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করার জন্য সকলকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।


‘দেশে প্রায় ৫৯ শতাংশ জমি আবাদযোগ্য’

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে আবাদযোগ্য জমি প্রায় ৫৯ শতাংশ বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট আয়তন ১ কোটি ৪৯ লাখ ২১ হাজার হেক্টর ও মোট আবাদযোগ্য জমি ৮৮ লাখ ১৭ হাজার ৯৩৫ হেক্টর অর্থাৎ প্রায় ৫৯ শতাংশ।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে সংসদ সদস্য মো. মামুনুর রশীদ কিরনের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে কৃষিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এ সময় সংসদে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন।

মন্ত্রী জানান, অকৃষি কাজে কৃষি জমির ব্যবহার সীমিত রাখা এবং যত্রতত্র স্থাপনা না করার বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখপূর্বক গৃহায়ন ও গণপূর্ত, ভূমি এবং শিল্প মন্ত্রণালয়কে পত্র দেওয়া হয়েছে এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরকে বিষয়টি নিশ্চিতকরণের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। কৃষি জমি রক্ষার্থে ‌‘কৃষি জমি সুরক্ষা ও ব্যবহার আইন’ নামে একটি আইন পাসের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।

এমপি আলী আজমের এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে মাটি পরীক্ষা করে সার ব্যবহারের সুপারিশ প্রদান করা হয়। সুষম মাত্রায় রাসায়নিক সার ব্যবহারের জন্য পরামর্শ প্রদান এবং জৈব সার হিসেবে কম্পোস্ট, ভার্মি কম্পোস্ট, সবুজ সার, খামারজাত সার উৎপাদন ও ব্যবহারের পরামর্শ প্রদান করা হয়। সেই সাথে প্রয়োজনীয় সেচের ব্যবস্থা করা হয়।


রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নবনিযুক্ত বিমানবাহিনী প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে নবনিযুক্ত বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল হাসান মাহমুদ খান সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।

আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি বলেন, ফোর্সেস গোল-২০৩০-এর আওতায় বর্তমান সরকার সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন ব্রিফিংকালে জানান, নতুন বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল হাসান মাহমুদ খানকে অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপ্রধান আশা প্রকাশ করেন, তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী আগামীতে আরও এগিয়ে যাবে।

সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর মধ্যে সমন্বয় কার্যক্রম দেশের সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করবে।’

এ সময় নতুন বিমানবাহিনী প্রধান দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতা কামনা করেন।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।


নারীও বদমাশ হতে পারে, লায়লা-মামুন প্রসঙ্গে তসলিমা নাসরিন

তসলিমা নাসিরন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৩ জুন, ২০২৪ ১৮:০৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নারী নির্যাতনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন ‘টিকটকার’ প্রিন্স মামুন। তার উত্থান মূলত সোশ্যাল মিডিয়া ‘টিকটক’ ও ‘লাইকি’র সুবাদে। নিজের করা মিউজিক ভিডিও সেখানে পোস্ট দিতেন মামুন। সেখান থেকেই তার পরিচিতি এবং জনপ্রিয়তা।

লায়লা-মামুন বিষয়ে কিছুদিন ধরে প্রায় সোরগোল শোনা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার এ বিষয়ে এক হাত নিলেন উপমহাদেশের আলোচিত লেখক তসলিমা নাসিরন।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিশাল লেখা লিখে সবার কাছে জানালেন নিজের মতামত।

তিনি লেখেন, ‘প্রিন্স মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রিন্স মামুন ছিল লায়লা আক্তারের জিগোলো। সেই অল্প বয়সী তরুণদের জিগোলো বলা হয়, যারা টাকা পয়সা আর নানা উপহার সামগ্রীর বিনিময়ে বয়স্কা মহিলাদের সঙ্গ দেয়। মূলত যৌনসঙ্গ। ৪৮ বছর বয়সী লায়লা ২৪ বছর বয়সী মামুনকে জিগোলো হিসেবেই রেখেছিলেন। মামুনকে তিনি মাঝে মাঝে টাকা দিতেন, তার বিনিময়ে সুদর্শন তরুণটির সঙ্গ উপভোগ করতেন। মামুনকে শুধু যৌনসঙ্গী হিসেবে ব্যবহার করতেন না, মামুনকে তিনি টাকা রোজগারের জন্যও ব্যবহার করতেন। মামুনের পেছনে তিনি যত টাকা ব্যয় করতেন, তার চেয়ে বেশি তিনি মামুনের সঙ্গে ভিডিও বানিয়ে আয় করতেন। জনপ্রিয় টিকটকার মামুন নাচতো, বা গানের সঙ্গে ঠোঁট মেলাতো, তার পাশে রঙ করা পুতুলের মতো দাঁড়িয়ে থাকতেন লায়লা। এসব অর্থহীন, রুচিহীন ভিডিও ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম, ফেসবুকে আপলোড করতেন তিনি। শুধু নাচ গানের ভিডিও নয়, মামুন খাচ্ছে, মামুন হাসছে, মামুন খেলছে – সব কিছুর ভিডিও তার করা চাই, মামুনের জন্য ভিউয়ার সংখ্যা এত বেশি ছিল যে তিনি এ থেকে ভালো টাকা রোজগার করতেন। করতেনই বা বলি কেন, রোজগার এখনও করছেন। তিনি ধনী। মামুন দরিদ্র। তিনি মামুনকে নিজের বাড়িতে এনে রেখেছেন, মামুনকে বিয়ে করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। মামুনের কোনো ইচ্ছে নেই তার দ্বিগুণ বয়সী মহিলাকে বিয়ে করার। কিন্তু এক শর্তে সে রাজি, তাকে লায়লার বাড়িটি লিখে দিতে হবে। পাকা জিগোলোর মতোই ব্যবহার মামুনের। লায়লা বাড়ি দেবেন কথা দিয়েও দেন না। মামুন সে কারণে লায়লাকে ছেড়ে চলে যায়। লায়লার দরকার সঙ্গ, মামুনের প্রয়োজন টাকা। এই সম্পর্কটি শুরু থেকেই ছিল দেওয়া-নেওয়া সম্পর্ক। বাড়ি না পেয়ে লায়লার সঙ্গে তিন বছরের সম্পর্কে ইতি টানলো মামুন। সম্পর্কে ইতি টানা মেনে নেন না লায়লা। যদিও যে কারও যে কোনো বন্ধুত্বের, প্রেমের, বিয়ের, এমনকি জিগোলোর সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলার অধিকার আছে। কিন্তু মামুনকে সে অধিকার কিছুতেই দিতে চাননি লায়লা। ফেসবুকে সারা ক্ষণই মামুনের জন্য তার কান্নাকাটি চলতে থাকে, মিডিয়ার লোক নিয়ে চলে যান মামুনের গ্রামের বাড়িতে। মানুষকে দেখান মামুনকে তিনি খুব ভালোবাসেন। মামুনকে তিনি সত্যিই যদি ভালোবাসতেন, মামুন তার পায়ের নখের যোগ্য নয় এ কথা বলতেন না বারবার, মামুনের বিরুদ্ধে মামলা করে তার সর্বনাশ করতেন না! লায়লার মতো চালাক চতুর নয় মামুন। সে বিশ্বাস করেছিল লায়লা তার ফ্যান, লায়লা তাকে ভালোবাসেন। লায়লা তেমনই বলেছিলেন মামুনকে। মামুনের পারিবারিক সমস্ত তথ্য প্রকাশ করলেও লায়লা তার নিজের বয়স কত, তার বিয়ে হয়েছিল কিনা, তার সন্তান আছে কি না ইত্যাদি পারিবারিক কোনও তথ্যই লায়লা প্রকাশ করেননি। মিডিয়া কোনও প্রশ্ন করলে তিনি কায়দা করে উত্তর এড়িয়ে গেছেন।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘মামুনের পরিবারের দারিদ্র নিয়ে, মামুন এবং তার পরিবারের সবার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কম তুচ্ছ তাচ্ছিল্য তিনি করেননি। নিজের ধন দৌলত নিয়ে লায়লা সব সময় গর্ব করেছেন, নিজের ডিগ্রি, নিজের বেতন, নিজের বাড়ি গাড়ি ধন দৌলত নিয়ে তার অহংকারের শেষ নেই। আর মামুনকে কখন কত টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন, মামুনকে কত টাকা দামের কী উপহার দিয়েছেন, সবই বিশ্ববাসীকে বারবারই জানিয়ে দিয়েছেন। মামুন লায়লাকে বিয়ে করতে রাজি নয় বলে লায়লা এখন মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা ঠুকে দিয়েছেন, মামুন নাকি তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। এমন বানোয়াট কথা অসৎ না হলে বলা যায় না। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যৌন সম্পর্ক করলে প্রতারণা হয়, ধর্ষণ হয় না। অনুমতি ছাড়া যৌনসম্পর্ক করলে হয় ধর্ষণ। লায়লা বুঝে গিয়েছেন মামুন আর তার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখবে না, জিগোলো সম্পর্কটি চুকে বুকে গেছে। মামুনকে আগের মতো নিয়ন্ত্রণ করাও তার পক্ষে সম্ভব হবে না। এই কারণে তার এত রাগ মামুনের ওপর। মামুন যে তাকে ভালোবেসে বিয়ে করবে না, সে যে বিয়ে করলে টাকা কড়ি আর বাড়ি গাড়ির বিনিময়ে করবে, এটি লায়লা মেনে নিতে পারেননি। লায়লা বহুবার মামুনকে হুমকি দিয়েছেন তাকে বিয়ে না করলে ,বা তার সঙ্গে একত্রবাস না করলে, তার সঙ্গে আগের মতো ‘কন্টেন্ট ক্রিয়েট’ না করলে বা ভিডিও না বানালে তিনি মামুনের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণের মামলা তুলে নেবেন না। যখন দেখেছেন মামুন কিছুতেই তার কাছে ফিরে যাবে না, তখন বলেছেন, তাকে নব্বই লক্ষ টাকা দিলে তিনি মামলা তুলে নেবেন। মামুনকে কী করে হেনস্তা করা যায়, কী ভাবে তাকে নিঃস্ব করে ফেলা যায়, তিনি করছেন, এভাবেই তিনি তার অনুদার এবং প্রতিশোধপরায়ণ চেহারাটি প্রকাশ করছেন। মামুনের বড় দুই ভাই বোন প্রতিবন্ধী। তারা কথা বলতে পারে না। তার অসহায় মা বাবা আর ভাই বোনের জন্য টিকটিক আর ইউটিউব থেকে উপার্জিত টাকা দিয়ে একখানা একতলা বাড়ি বানিয়েছে মামুন, পরিবারের মানুষগুলোর মাথা গোজার ঠাঁই হয়েছে। কিছুদিন আগে ঢাকায় একটি সেলুনের ব্যবসা শুরু করেছে সে। হাজারো ভক্ত মামুনকে দেখতে এসেছিল। সেই সেলুনের উদ্বোধনের দিন লায়লা গিয়েছেন। প্রেস কনফারেন্সের ভিড়ে সবাইকে দেখিয়ে নিজের ওড়না দিয়ে মামুনের মুখের ঘাম মুছে দিয়ে দরদি প্রেমিকার অভিনয় করে আসার দুদিন পর লায়লা ধর্ষণের মামলা ঠুকে দিয়েছেন মামুনের বিরুদ্ধে।’

তিনি লেখেন, ‘লায়লার আত্মীয় স্বজন মিলিটারিতে, ক্যান্টনমেন্ট থানার পুলিশও মনে হয় মিলিটারির আদেশ পালন করতে এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকে। সত্যিকার নারীনির্যাতক আর ধর্ষকরা দেশময় ঘুরে বেড়াচ্ছে, পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে না। আর মামুনের মতো স্ট্রাগল করা এক তরুণকে তড়িঘড়ি গ্রেপ্তার করেছে। রিমান্ডে নেওয়া হবে বেচারাকে, বেধড়ক পেটানো হবে। যে তরুণ লায়লার চক্রান্তের শিকার, সে এখন শিকার হচ্ছে মিথ্যে মামলার, ফেঁসে গেছে আইনের মারপ্যাঁচে। মামুনের আত্মীয়স্বজন লায়লার আত্মীয়স্বজনের মতো প্রভাবশালী নয়। সুতরাং মামুনকে ভুগতে হচ্ছে, ভুগতে হবে। না বুঝে সে আটকে গেছে লায়লার পাতা ফাঁদে। মামুনকে মুক্ত করার জন্য, আশা করছি, মানবাধিকারের জন্য যে আইনজীবীরা লড়েন, এগিয়ে আসবেন। লায়লা আর মামুনের এই দ্বন্দ্ব বা লড়াই আসলে নারীবাদ আর পুরুষতন্ত্রের লড়াই নয়, এ ধনী আর দরিদ্রের লড়াই, সবল আর দুর্বলের লড়াই, দম্ভ আর অসহায়ত্বের লড়াই, শিকারি আর শিকারের লড়াই।’

তসলিমা নাসরিন আরও লিখেছেন, ‘নারী হয়ে জন্ম নিয়েছে বলেই সে ভালো, সে সত্যবাদী, এ আমি মনে করি না। পুরুষ যেমন বদমাশ হতে পারে, নারীও তেমন বদমাশ হতে পারে।’


সাবেক কর কমিশনার ওয়াহিদার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কমিশনার ওয়াহিদা রহমান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কমিশনার ওয়াহিদা রহমানের বিদেশ যাত্রায় ৬০ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। চারটি মোবাইল কোম্পানিকে ১৫২ কোটি টাকা সুদ ছাড়ের ঘটনায় মামলার পর এবার তার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হলো।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন। শুনানিতে অংশ নেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রের ১৫২ কোটি টাকা ক্ষতি সাধনের মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে ১১ জুন সাবেক কর কমিশনার ওয়াহিদা রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

মামলার এজাহারে জানা যায়, ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ১৬টি নথিতে দেশের শীর্ষস্থানীয় চারটি মোবাইল কোম্পানি গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও এয়ারটেলকে ১৫২ কোটিরও বেশি টাকা অপরিশোধিত সুদ মওকুফ করেন সাবেক কর কমিশনার ওয়াহিদা রহমান। এর মধ্যে ছয়টি নথিতে গ্রামীণফোনের ৫৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৯৭ টাকা, সাতটি নথিতে বাংলালিংকের ৫৭ কোটি ৮৮ লাখ ৫৩ হাজার ৫১ টাকা, রবির ১৪ কোটি ৯৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৮৮ টাকা ও এয়ারটেলের ২০ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার ৯৫২ টাকা সুদ মওকুফ করেন তিনি।

এর মাধ্যমে ওয়াহিদা রহমান ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে সরকারের আর্থিক ক্ষতিসাধন করেন। তাই আত্মসাৎ দণ্ডবিধির ২১৮/৪০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

এদিকে, ওয়াহিদার বিরুদ্ধে দেশের বেশ কয়েকটি সংস্থা তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেসব তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন।

তিনি বলেন, সাবেক কর কমিশনার ওয়াহিদা রহমান একক নির্বাহী আদেশে অসৎ উদ্দেশ্যে চারটি প্রতিষ্ঠান থেকে সুদ আদায় না করে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি সাধন করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার মামলা করে দুদক।

অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট চারটি মোবাইল কোম্পানির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান দুদক সচিব।

বিষয়:

ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘূর্ণিঝড় রেমাল সারা দেশে যে পরিমাণ তাণ্ডব চালিয়েছে তার মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ক্ষয়ক্ষতির হিসাব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে এটি হস্তান্তর করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান।

মন্ত্রণালয়ের বিবরণীতে বলা হয়, এই ঘূর্ণিঝড়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের ৬১৩টি স্কুল, ৫৬টি কলেজসহ মোট ৬৬৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ৩১ কোটি ৭৬ লাখ ৪৮ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন বরিশাল ও খুলনা বিভাগের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, পিটিআই, বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসসহ মোট ৭৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বরিশাল বিভাগের ৮৮০টি, চট্টগ্রাম বিভাগের ৯৮টি ও খুলনা বিভাগের ৩৮৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ভিত্তিক এই ক্ষয়ক্ষতির বিবরণীতে, উপজেলা ত্রাণ গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্রসহ ১০টি সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়াও সুপারিশের মধ্যে রয়েছে, গ্রামীণ রাস্তায় ১৫মিটার সেতু/কালভার্টের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে ৩০ মিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে; পরিবেশ সুরক্ষায় প্রচলিত ইট ব্যবহার না করে ইউনি ব্লক ভিত্তিক রাস্তা নির্মাণ এবং রাস্তার বর্তমান সংখ্যা বাড়িয়ে পরবর্তী বছরে ৫ হাজারে উন্নিতকরণ; চলমান প্রকল্পের বাইরে আরও ১ হাজার সাইক্লোন শেল্টার ও ৫০০ বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ; বাংলাদেশের সব মুজিবকেল্লাকে পাকা অবকাঠামোয় রূপান্তর; খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষকদের সুরক্ষায় সারা দেশে ‘শেখ হাসিনা কৃষক শেড’ নির্মাণ; হিউম্যানিটারিয়ান স্টেজিং এরিয়া দ্রুত নির্মাণ; বজ্রপাত মোকাবিলায় পরিকল্পনা কমিশনে বিবেচনাধীন ডিপিপি অনুমোদন ও ভূমিকম্প মোকাবিলায় পর্যাপ্ত মালামাল ক্রয়ের অনুমোদন প্রদান;২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সমন্বিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তুলতে ফায়ার সার্ভিস ও আবহাওয়া অধিদপ্তরকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অঙ্গিভূতকরণ।

গেল ২৬ মে সারা দেশে আঘাত হানে রেমাল। এতে তিন লাখ ৮৩ হাজার ৮১৫ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত সাত হাজার ৪৮১ কোটি ৮৩ লাখ ৯ হাজার ২৫২ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে বিবরণে জানিয়েছে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়। রেমালের প্রভাবে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টিতে ৮২৭৮৩ দশমিক ৮২ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আক্রান্ত কৃষকের সংখ্যা পাঁচ লাখ ৩৭ হাজার ২৩৪ জন।

বিষয়:

ঢাকার যেসব জায়গায় বসেছে কোরবানির পশুর হাট

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১৩ জুন, ২০২৪ ১৮:৩৭
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীসহ সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় জমতে শুরু করেছে কোরবানির পশুরহাট। আজ বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীর দুটি সিটি কর্পোরেশন এলাকায় স্থায়ী দুটিসহ ২০টি পশুরহাটে আনুষ্ঠানিকভাবে কোরবানির পশু বেচা-বিক্রি শুরু হয়েছে।

পশুর হাটগুলোতে চলছে এখন নানা ধরনের প্রস্তুতি। অবশ্য কদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে কোরবানির পশু নিয়ে হাটগুলোতে আসতে শুরু করেছেন খামারিরা। খবর বাসসের।

দুই সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় গাবতলীর স্থায়ী হাটসহ ৯টি হাট এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় সারুলিয়া স্থায়ী পশুর হাটসহ ১১টি হাট বসেছে। তবে এ বছর আদালতের নির্দেশনার কারণে আফতাবনগরে হাট বসবে না।

উত্তর সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা পিয়াল হাসান জানিয়েছেন, রাজধানীর উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বসছে স্থায়ী একটি ও অস্থায়ী ৮টি হাট। এবার বৃহস্পতিবার থেকে ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত ৫দিন হাট বসবে। কোরবানির পশু কেনা-বেচা নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দে যাতে করা যায় সে জন্য উত্তরের হাটগুলোতে সব ব্যবস্থাই নেয়া হয়েছে।

বাজারে ক্রেতারা কোনো নগদ অর্থ না নিয়ে এসেও অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পশু ক্রয় করতে পারবেন জানিয়ে পিয়াল হাসান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ইনস্ট্যান্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে যে কেউ টাকার লেনদেন করতে পারবেন। এজন্য হাট এলাকায় অসংখ্য ব্যাংক বুথ থাকবে।

এ ছাড়া হাটে আসা মুসলিম ক্রেতাদের অযু ও নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাটের শৃংখলা বজায় রাখতে এবার হাট ইজারাদারদের সতর্ক করা হয়েছে। কোন বিক্রেতা যদি রাস্তায় হাট বসায় তবে ইজাদারের জামানতের অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হবে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক নজরদারি করবে বলেও জানান জনসংযোগ কর্মকর্তা।

ঢাকা উত্তরে অস্থায়ী ৮টি হাটের মধ্যে রয়েছে-উত্তরা দিয়াবাড়ীর ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টরের পাশের খালি জায়গা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাশের খালি জায়গা, মস্তুল চেকপোস্ট এলাকা, মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা, ভাটারার সুতিভোলা খালের কাছের খোলা জায়গা, মোহাম্মদপুরের বছিলায় ৪০ ফুট সড়কের পাশের খালি জায়গা, ভাটুলিয়া সাহেব আলী মাদ্রাসা থেকে রানাভোলা স্লুইচগেট পর্যন্ত খালি জায়গা ও দক্ষিণখানের জামুন এলাকার খালি জায়গা।

এদিকে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের বলেন, সারুলিয়ায় স্থায়ী হাটসহ ডিএসসিসি এলাকার ১১টি স্থানে পশুর হাট বৃহস্পতিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বসবে।

তিনি জানান, প্রত্যেকটি হাটের ক্রেতা-বিক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য একটি করে মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি কমিটিতে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। এ ছাড়া ডিএসসিসি’র নির্ধারিত গাইডলাইনের বাইরে কোন অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে সাথে-সাথে তারা ব্যবস্থা নেবেন। কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের পাশাপাশি প্রত্যেকটি হাটে একটি করে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থাকবে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে নগদ অর্থের লেনদেন ছাড়া ইনস্ট্যান্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ক্রেতা-বিক্রেতারা অর্থের লেনদেন করতে পারবেন। এজন্য পর্যাপ্ত ব্যাংক বুথের ব্যবস্থা থাকবে।

ঢাকা দক্ষিণে অস্থায়ী ১০টি হাটের মধ্যে রয়েছে-খিলগাঁও রেলগেট মৈত্রী সংঘ ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা,হাজারীবাগের ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি কলেজ সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, পোস্তগোলা শ্মশান ঘাট সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, বনশ্রীর মেরাদিয়া বাজার সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাব সংলগ্ন খালি জায়গা, কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের খালি জায়গা, দনিয়া কলেজ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, আমুলিয়া মডেল টাউনের আশপাশের খালি জায়গা, লালবাগে রহমতগঞ্জ ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা।


‘মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ’

সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে মিঠা পানির মাছ আহরণে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে উন্নীত হওয়া উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান। ছবি: পিআইডি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে চীনকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে উন্নীত হয়েছে জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেছেন, ভবিষ্যতে আমরা উৎপাদনে প্রথম স্থানে যাওয়ার চেষ্টা করবো।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে মিঠা পানির মাছ আহরণে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে উন্নীত হওয়া উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন কথা বলেন।

দেশীয় প্রজাতির মাছ সন্দেহাতীতভাবে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ জাতের মাছ বৃদ্ধির জন্য নদী-নালায় পোনা অবমুক্ত করে থাকি। কিন্তু কারেন্ট জাল গোটা বাংলাদেশকে ছড়িয়ে পড়েছে। একটা পোনা পর্যন্ত এই জাল থেকে নিষ্কৃতি পায় না। দেশে আমরা এই জাল উৎপাদন নিষিদ্ধ করেছি। কিন্তু জাল উৎপাদনকারীরা আদালতে গেছে।

তবে সবকিছু ছাপিয়ে দেশীয় প্রজাতির মাছ আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে সক্ষম হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, যেসব মাছ আমাদের দেশ থেকে হারিয়ে গেছে, আগামীতে তা আবার খালে-বিলে দেখতে পাবেন।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকোয়াকালচার প্রতিবেদন অনুসারে, মিঠা পানির মাছ আহরণে বাংলাদেশ চীনকে টপকে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। এ ছাড়া বদ্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছ উৎপাদনে পঞ্চম স্থানের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে।

তিনি বলেন, ক্রাস্টাশিয়ান্স (খোলসযুক্ত মৎস্য জাতীয় প্রাণী যেমন: চিংড়ি, লবস্টার ইত্যাদি) উৎপাদনে বিশ্বে অষ্টম এবং সামুদ্রিক মাছ উৎপাদনে ১৪তম স্থান অধিকার করেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চীনের মিঠা পানির মৎস্য উৎপাদন ছিল ১.৪৬ মিলিয়ন টন এবং অবস্থান ছিল বিশ্বে দ্বিতীয়। অপরদিকে বাংলাদেশের উৎপাদন ছিল ১.২৫ মিলিয়ন টন এবং অবস্থান ছিল বিশ্বে তৃতীয়। বিগত দুই বছরে বাংলাদেশের মিঠা পানির মৎস্য উৎপাদন ১.২৫ মিলিয়ন টন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১.৩২ মিলিয়ন টন এ উন্নীত হয়েছে।

পক্ষান্তরে চীনের উৎপাদন ১.৪৬ মিলিয়ন টন থেকে কমে ১.১৬ মিলিয়ন টন হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, বিগত দুই বছরে মিঠা পানির মৎস্য উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে ইলিশ, দেশীয় প্রজাতির মাছ (পাঙ্গাস, বোয়াল, আইড় ও অনান্য ছোট মাছ) এবং কার্প জাতীয় মাছ। এর মধ্যে সর্বাধিক অবদান রয়েছে ইলিশ মাছের।

বিশ্বে ইলিশ উৎপাদনকারী ১১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম; ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করতে সরকার জাটকা সংরক্ষণ, ইলিশ প্রজনন সুরক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন, ইলিশ অভয়াশ্রম ঘোষণা ও ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন হয়েছে ৫.৭১ লাখ মেট্রিক টন।

মৎস্যমন্ত্রী বলেন, ২০৩০ সালে আমাদের মৎস্য উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৬৫ লাখ মেট্রিক টন এবং ২০৪১ সালে ৮৫ লাখ মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়েছে। উল্লিখিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও টেকসই মৎস্য উৎপাদন নিশ্চিতকল্পে সেক্টরাল অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়নপূর্বক তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সুনীল অর্থনীতির বিকাশ সাধন ও সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনার নিমিত্তে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।


banner close