বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪
গবেষণা

নেসলের শিশুখাদ্যে ক্ষতিকর মাত্রায় চিনি

ছবি: সংগৃহীত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ২১:৫৮

বহুজাতিক খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নেসলের শিশুখাদ্যে ক্ষতিকর মাত্রায় চিনির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সুইজারল্যান্ডের অলাভজনক বেসরকারি সংগঠন পাবলিক আই ও ইন্টারন্যাশনাল বেবি ফুড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের যৌথ গবেষণায় চাঞ্চল্যকর এ তথ্য উঠে এসেছে। তবে সব দেশের বাজারে সরবরাহ করা নেসলের খাবারে চিনি মেলেনি। শুধু দরিদ্র দেশগুলোতে পাওয়া গেছে এ ক্ষতিকর মাত্রা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান বলছে, এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার দেশের বাজারে পাওয়া নেসলের শিশুখাদ্যের কিছু নমুনা বেলজিয়ামের ল্যাবে পাঠায় গবেষণা প্রতিষ্ঠান দুটো। ল্যাবে টেস্ট করার পর জানা যায়, এসব এলাকার বাজারে সরবরাহ করা নেসলের সেরেলাক ও নিডোতে ক্ষতিকর মাত্রায় চিনি যুক্ত করা হয়েছে। সেই চিনি যুক্ত করা হয় সুক্রোজ বানানোর পর।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান দুটো বলছে, এক বছরের বেশি বয়সি শিশুদের নিডো খাওয়া হয়। আর সেরেলাক খাওয়ানো হয় ৬ মাস থেকেই। এসব এলাকার শিশুরা এই খাবার খাওয়ার কারণে স্থূলতা ও বিভিন্ন জটিল রোগের ঝুঁকিতে আছেন।

বাংলাদেশ, ভারতসহ অনেক দেশেই নেসলের এই শিশুখাদ্যগুলোর চাহিদা অনেক। অনেকেই দুধের বিকল্প হিসেবে শিশুকে এসব খাবার দেন। গবেষণা প্রতিষ্ঠান দুটো বলছে, এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার শিশুখাদ্যে এভাবে চিনি যুক্ত করা হলেও ইউরোপের বাজারে ঠিকই চিনি বাদে এসব খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।

সুইজারল্যান্ডের অলাভজনক বেসরকারি সংগঠন পাবলিক আইয়ের কৃষি ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ লরেন্ট গ্যাবেরেল বলেন, লেসলেকে এই দ্বিচারিতা বন্ধ করতে হবে। বিশ্বের সব জায়গায় তিন বছরের কমবয়সি শিশুদের খাদ্যে এভাবে চিনি যুক্ত করা বন্ধ করতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে স্থূলতা একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০০০ সালের পর এখন পর্যন্ত আফ্রিকায় ৫ বছরের কমবয়সি শিশুদের স্থূল হওয়ার হার বেড়েছে ২০ শতাংশ। বৈশ্বিকভাবে এখন ১০০ কোটির বেশি মানুষ এই সমস্যায় রয়েছে।

বাজারে যেসব শিশুখাদ্য পাওয়া যায়, এতে চিনি আছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখে কেনার সুযোগ ক্রেতাদের নেই। উপাদানগুলো অনেকে দেখেন। কিন্তু তাতেও চিনির কথা সরাসরি বলা থাকে না। এ কারণে এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠান দুটো।

এ নিয়ে দ্বিচারিতা আছে ডব্লিউএইচও’র মধ্যেও। ইউরোপে এসব খাবারে যাতে চিনি না যুক্ত করা হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে তারা। কিন্তু এর বাইরে কোনো এলাকার জন্য নেই সতর্কবার্তা।

গবেষণা বলছে, ভারতে যে সেরেলাক বিক্রি করা হয় তার প্রতি প্যাকেটে প্রায় ৩ গ্রাম চিনি থাকে। বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি হওয়া নিডো ও সেরেলাকেও চিনি রয়েছে।

এ ব্যাপারে নেসলের এক মুখপাত্র বলেন, ‘শিশুদের বেড়ে ওঠায় সব ধরনের পুষ্টিকর উপাদান আমরা যুক্ত করে খাবার বানাই। এ ক্ষেত্রে মাত্রা ঠিক রাখা হয়। একেক এলাকায় একেক মাত্রার নিয়ম, আমরা তা মেনেই খাদ্য বানাই। এসব চিনি আসে মধু থেকে। এই চিনিও কিন্তু আমরা কমিয়ে এনেছি ১১ শতাংশ।’


সারা দেশে বৃষ্টির আভাস

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

অনুভব হচ্ছে ভ্যাপসা গরম। তার পরেও এর মাঝে সুসংবাদ দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। তারা বলছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলেও জানানো হচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানা গেছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, রাজশাহী, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা এবং কুষ্টিয়া জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এ ছাড়া বৃহস্পতিবার দেশের উত্তরাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। তবে দেশের অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া সারাদেশে রাতের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

শুক্রবার ও শনিবারের পূর্বাভাস জানিয়ে আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এই দুদিন সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

তিনি আরও জানান, বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া রাজশাহী ও খুলনা ছাড়া প্রায় সব বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়েছে। সর্বোচ্চ ১০২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।


বাংলাদেশি ভিসার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ওমান

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ১০টি ক্যাটাগরির ওপর থেকে সাময়িক ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ওমান।

ঢাকায় ওমানের দূতাবাসের একটি বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বুধবার এ কথা জানানো হয়। খবর ইউএনবির

এতে জানানো হয়, নিষেধাজ্ঞামুক্ত ভিসাগুলো হলো- অফিসিয়াল ভিসা, পারিবারিক ভিসা, জিসিসি দেশগুলোতে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিজিটর ভিসা এবং প্রকৌশলী, ডাক্তার, নার্স, শিক্ষক, হিসাবরক্ষক, বিনিয়োগকারী ও উচ্চ আয়ের পর্যটকদের ভিসা।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এখন থেকে রয়্যাল ওমানি পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে এই ক্যাটাগরিগুলোর ভিসার সব আবেদন ও নথিপত্র জমা নেওয়া এবং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে স্থানীয় দূতাবাস।

এ ছাড়াও দূতাবাস আশ্বাস দিয়েছে, ওয়ার্ক ভিসার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে ওমান ও বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ দুই পক্ষই কাজ করছে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

২০২৩ সালের অক্টোবরে ওমানের সামগ্রিক অভিবাসন নীতি পর্যালোচনা করতে দাপ্তরিক উদ্দেশ্য ছাড়া সব ভিসা বিভাগের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল রয়্যাল ওমানি পুলিশ।


বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে চালু হচ্ছে যাত্রীবাহী ফেরি!

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৩ জুন, ২০২৪ ০০:০৮
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে যাত্রীবাহী ফেরি সার্ভিস চালু হতে পারে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের মধ্যে সম্প্রতি আলোচনা হয়েছে। শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি মিররের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ফাঁকে নয়াদিল্লিতে শেখ হাসিনা ও রনিল বিক্রমাসিংহের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। সেখানে দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়েও আলোচনা হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটার) এক পোস্টে প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে বলেছেন, ‘বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি এবং সম্ভাব্য যাত্রীবাহী ফেরি পরিষেবা চালুর বিষয়ে আমাদের কথা বলেছি। বাংলাদেশের কৃষি পদ্ধতি জানতে শ্রীলঙ্কা থেকে সেখানে কৃষি বিশেষজ্ঞ দল পাঠাতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) আমাকে বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তবে নির্বাচনের কারণে প্রধানমন্ত্রী দীনেশ গুনাবর্ধনে ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী সাবরি সেখানে আমার প্রতিনিধিত্ব করবেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে সন্তুোষ প্রকাশ করেন। নির্বাচনের পরে আমি বাংলাদেশ সফরের আশ্বাস দিয়েছি তাকে।’

বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে এই প্রথম যাত্রীবাহী ফেরি চালু হচ্ছে। এটি চালু হলে দুই দেশের মধ্যে পর্যটন ও ভ্রমণ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ সময় আগে থেকেই ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে যাত্রীবাহী ফেরি চলাচল ছিল। এই রুটে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত দ্য ইন্দো-সিলন এক্সপ্রেস ফেরি চলাচল করত। তবে শ্রীলঙ্কায় গৃহযুদ্ধের কারণে ঘটা নানা রাজনৈতিক টানাপড়েনে প্রায় চার দশক বন্ধ ছিল এই ফেরি চলাচল। এরপর মোদি সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ দিকে গত বছর অক্টোবরে তামিলনাড়ুর নাগাপট্টিনাম ও শ্রীলঙ্কার কানকেসান্তুরাইয়ের মধ্যে আবার ফেরি চালু হয়।


দেশে ৪৬ ভাগ শিশু বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছে

আপডেটেড ১৩ জুন, ২০২৪ ১০:১২
নিজস্ব প্রতিবেদক

শিশুশ্রম নিরসনে আইনের সংস্কার ও সুষ্ঠু প্রয়োগ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে কর্মজীবী শিশুরা। তারা বলেছেন, শ্রমে নিয়োজিত শিশুদের জন্য শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। তাদের কাজের তালিকা, নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা ও মজুরি নির্ধারিত থাকতে হবে। সাপ্তাহিক ছুটি, বিশ্রাম ও বিনোদনের সুযোগ দিতে হবে।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গতকাল বুধবার উন্নয়ন সংস্থা ‘অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি)’ আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে তারা এই দাবি জানান।

বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে ‘শিশুশ্রম বন্ধ করি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করি’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন এএসডির নির্বাহী পরিচালক এম এ করিম। সমাবেশে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন এএসডির প্রকল্প ব্যবস্থাপক ইউ কে এম ফারহানা সুলতানা। কর্মসূচিতে এসএসডির কর্মকর্তারা ছাড়াও শ্রমজীবী শিশুরা অংশ নেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশে শতকরা ৪৬ ভাগ শিশু বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছে। ৫ থেকে ১৩ বছর বয়সের প্রায় ১৮ লাখ শিশু বিভিন্ন শ্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ৬ থেকে ১৫ বছর বয়সের প্রায় ৪.৩ মিলিয়ন শিশু মূলধারার শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত। শ্রমে নিয়োজিত এই শিশুরা বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যুক্ত আছে। তারা শিক্ষা ও শৈশবের বিনোদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনাসহ নানাবিধ শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এমনকি কিশোর অপরাধচক্রে জড়িয়ে পড়ছে। দেশের ভবিষ্যৎ এই প্রজন্মকে শিশুশ্রমের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।


৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন ক্ষুদ্র-মাঝারি উদ্যোক্তারা

আপডেটেড ১৩ জুন, ২০২৪ ১০:১৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের আরও ৪৫০ কোটি টাকা ঋণ দেবে এসএমই ফাউন্ডেশন। একজন উদ্যোক্তা সর্বনিম্ন ১ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। তবে মূলধনি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে। এ ঋণের সুদের হার হবে ৬ শতাংশ।

এসএমই ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এ লক্ষ্যে ২৩টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এসএমই ফাউন্ডেশন। গতকাল মঙ্গলবার এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন অংশীদার ১৯টি ব্যাংক ও ৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী।

এই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- সোনালী ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ঢাকা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, আইডিএলসি ফাইন্যান্স, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স ও ইউনাইটেড ফাইন্যান্স।

এসএমই ফাউন্ডেশনের এই ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে পাঁচটি যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথমত, অগ্রাধিকারভুক্ত এসএমই সাব-সেক্টর, ক্লাস্টারের উদ্যোক্তা এবং ভ্যালু চেইনের আওতাভুক্ত উদ্যোক্তা এই ঋণ পাবেন। দ্বিতীয়ত, রপ্তানি উপযোগী পণ্য এবং আমদানি বিকল্প পণ্য প্রস্তুতকারী উদ্যোক্তা এই ঋণ পাওয়ার জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন।

এ ছাড়া, আইসিটি ও প্রযুক্তিনির্ভর সৃজনশীল ব্যবসায় যুক্ত তরুণ বা নতুন উদ্যোক্তা, যারা এখনো ব্যাংক থেকে ঋণ পাননি; পশ্চাৎপদ অঞ্চল, উপজাতীয় অঞ্চল, শারীরিকভাবে অক্ষম ও তৃতীয় লিঙ্গের উদ্যোক্তা; দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত বাণিজ্য সংগঠন, এসএমই সমিতি, নারী উদ্যোক্তা সংগঠন, নাসিব, উদ্যোক্তা উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের সুপারিশকৃত উদ্যোক্তারা এই ঋণ পাবেন।

এসএমই ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, অংশীদার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে জামানতবিহীন ঋণ বিতরণ করতে উৎসাহিত করা হবে। তবে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণে কোনো জামানত গ্রহণ করা হবে না। গ্রাহকপর্যায়ে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা হবে সর্বোচ্চ ৪ বছর। গ্রাহক-ব্যাংক সম্পর্কের ভিত্তিতে ৬ মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৪৮টি মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে।

মোট ঋণের ৩০ শতাংশ নারী-উদ্যোক্তাদের মধ্যে এবং ১০ শতাংশ এসএমই ক্লাস্টারের উদ্যোক্তাদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। নারী-উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে মোট ঋণের ৫০ শতাংশ উৎপাদন ও সেবা খাতে এবং বাকি ৫০ শতাংশ ভ্যালুচেইন ও অন্যান্য খাতে বিতরণ করতে হবে। আর পুরুষ উদ্যোক্তার ক্ষেত্রে মোট ঋণের ৫০ শতাংশ উৎপাদন খাতে, ২৫ শতাংশ সেবা খাতে এবং বাকি ২৫ শতাংশ ভ্যালুচেইন ও অন্যান্য খাতে বিতরণ করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফাউন্ডেশন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ বিতরণ ও আদায় কার্যক্রম মনিটর করবে। ঋণ বিতরণের পর এসএমই ফাউন্ডেশনের নিজস্ব পদ্ধতি ও লোকবলের মাধ্যমে সরেজমিন পরিদর্শন করে চুক্তি অনুযায়ী এবং সঠিক উদ্যোক্তার অনুকূলে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে কি না, তা যাচাই ও নিশ্চিত করবে। তবে অনুৎপাদনশীল খাত যেমন- মুদিদোকান, ওষুধ বিক্রেতা, হার্ডওয়্যার বিক্রেতা এবং পরিবেশদূষণ ঘটায় এমন ব্যবসার অনকূলে এ কর্মসূচির আওতায় ঋণ দেওয়া যাবে না।

এর আগে কোভিড মহামারির পর সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় এসএমই ফাউন্ডেশনের অনুকূলে বরাদ্দ করা ৩০০ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছিল। এরপর একটি ‘রিভলভিং ফান্ড’ থেকেও এসএমই উদ্যোক্তা, ক্লাস্টার, ক্লায়েন্টেল গ্রুপ, অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারের সদস্য এবং নারী-উদ্যোক্তাদের মধ্যে ২৯৪ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়।

মঙ্গলবার চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মাসুদুর রহমান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আবদুর রহমান খান।


‘জনগণের ক্ষমতায়নে তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করতে হবে’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জনগণের ক্ষমতায়নের জন্যই তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

তিনি আজ বুধবার রাজধানীর বিজয়নগরে অবস্থিত শ্রম ভবনের সভাকক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘তথ্য অধিকার’ বিষয়ক কর্মশালায় এ কথা বলেন।

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ নিশ্চিত করা গেলে সব সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে জবাবদিহিতা

ও স্বচ্ছতা বাড়বে এবং দুর্নীতিও অনেকাংশে কমে যাবে। তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা গেলে দেশের উন্নয়ন বৃদ্ধি পাবে এবং দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। এই আইনে মোট ৮টি অধ্যায়, ৩৭টি ধারা ও একটি তফসিল রয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম বলেন, ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার উদ্দেশ্যে বাঙালির জীবনমান উন্নয়ন, কর্মের স্থিতিশীলতা, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং উন্নয়নের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে সব শিল্পকারখানা রাষ্ট্রীয়করণ করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান শ্রমবান্ধব সরকার শ্রমিক ভাই-বোনদের সামাজিক মর্যাদা, স্বাস্থ্য ও সেইফটি নিশ্চিতকল্পে জাতীয় শ্রমনীতি-২০১২, জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি-২০১০, জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নীতিমালা-২০১৩ এবং গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণনীতি-২০১৫ প্রণয়ন করে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে স্থিতিশীল শিল্প সম্পর্ক এবং উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে প্রমাণ করেছে।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, অতিরিক্ত সচিব মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মোল্লা জালাল উদ্দিনসহ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, শ্রম অধিদপ্তর এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।


পায়ুপথে আনা হচ্ছিল ২ কোটি টাকার স্বর্ণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২ কেজি ১১১ গ্রাম স্বর্ণসহ এক যাত্রীকে আটক করেছে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)। জব্দ করা স্বর্ণের আনুমানিক বর্তমান বাজার মূল্য ২ কোটি ১১ লাখ ১০ হাজার টাকা।

আটক যাত্রীর নাম আবদুল রহমান সোহাগ। তিনি বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে ঢাকায় আসেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এনএসআই সদস্যরা সোহাগকে গ্রিন চ্যানেল এলাকা অতিক্রমকালে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহাগ জানান, তার কাছে শুল্ক প্রদানকৃত ১১৬ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণের বার ও ১০০ গ্রাম স্বর্ণের অলংকার ছাড়া অন্য কোনো সোনা নেই। তবে যাত্রীর আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় পরবর্তীতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে আর্চওয়ের মাধ্যমে দেহ তল্লাশি করানো হলে তার মলদ্বারে স্বর্ণের উপস্থিতি পাওয়া যায়।

পরে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এনএসআই সদস্যদের উপস্থিতিতে সোহাগকে ওয়াশরুমে নিয়ে তার মলদ্বার থেকে স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো প্রায় ৩১৬ গ্রাম ওজনের ৬টি (১৮৯৬ গ্রাম) ডিম্বাকৃতির স্বর্ণের পিণ্ড উদ্ধার করে। ১১৬ গ্রাম ওজনের সোনার বার ও ১০০ গ্রাম স্বর্ণালংকার এবং ১৮৯৫ গ্রাম পেস্ট গোল্ডসহ তার কাছ থেকে মোট ২ কেজি ১১১ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ করা হয়।

এনএসআই জানায়, আটক যাত্রী সোহাগ বর্তমানে কাস্টমসের হেফাজতে রয়েছেন। আরও স্বর্ণের উপস্থিতি আছে কি না তা নিশ্চিত হতে এক্স-রে করানো হবে। যাত্রীর বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।


সেনাপ্রধানের সঙ্গে রুয়ান্ডার চিফ অব ডিফেন্স স্টাফের সাক্ষাৎ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন রুয়ান্ডা ডিফেন্স ফোর্সের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল এমকে মুবারাখ। বুধবার ঢাকা সেনানিবাসে সেনাসদরে তিনি সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বিকেলে আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক কুশলাদি বিনিময় ছাড়াও দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক ও ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রায় সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। সেনাবাহিনী প্রধান তার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য রুয়ান্ডার চিফ অব ডিফেন্স স্টাফকে ধন্যবাদ জানান। সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে রুয়ান্ডা ডিফেন্স ফোর্সের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার দেন এবং সেখানে তিনি একটি গাছের চারা রোপণ করেন।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রুয়ান্ডা ডিফেন্স ফোর্সের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) ৫ দিনের সরকারি সফরে বাংলাদেশে আসেন। তার এই সফরকালে তিনি মিরপুর সেনানিবাসে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ পরিদর্শন, বঙ্গবন্ধু মিলিটারি মিউজিয়াম পরিদর্শন, রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং (বিপসট) এবং কক্সবাজার এরিয়া পরিদর্শন করবেন। এই সফর বাংলাদেশ ও রুয়ান্ডার মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।


অতিরিক্ত ভাড়া নিলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে ডিএমপি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে বাস টার্মিনালকেন্দ্রিক সার্ভিলেন্স টিম তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান। বুধবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের প্রস্তুতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের টার্মিনালের ভেতরে ওঠানামা করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই টার্মিনাল হতে বের হয়ে রাস্তায় বাসে যাত্রী ওঠানামা করা যাবে না। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, গণপরিবহনগুলো নির্ধারিত সংখ্যার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে পারবে না। বিশেষ করে ছাদে কোনো যাত্রী ঝুঁকি নিয়ে গমন করবেন না। দূরপাল্লার পরিবহনগুলো মহানগরীর মধ্যে যাত্রী ওঠানামা করতে পারবে না। গণপরিবহনের ফিটনেসের বিষয়টি মালিক-শ্রমিক পক্ষ নিশ্চিত করবে। খালি ট্রাক বা পিকআপে যাত্রী নিয়ে দূরপাল্লার যাত্রা করা সম্পূর্ণ নিষেধ করা হয়েছে।

ঈদ যাত্রায় যাত্রীদের নিজ নিজ মালামাল নিরাপদে রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যাত্রাকালে অপরিচিত কোনো ব্যক্তির দেওয়া কোনো খাদ্য গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবেন। মোটরসাইকেলে যারা দূরে ভ্রমণ করবেন তারা অবশ্যই হেলমেট পরিধান করবেন। তাছাড়া অতিরিক্ত মালামাল বহন না করা, মোটরসাইকেলে দুইয়ের অধিক যাত্রী না ওঠা ও মোটরসাইকেলের ফিটনেসের বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।’

তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও কল-কারখানার লাখ লাখ শ্রমিকের বাড়ি ফেরার সুযোগ নিয়ে অনেক ফিটনেসবিহীন গাড়ি মহাসড়কে নামানোর প্রয়াস চালানো হয়। এতে যানজট তৈরি হয়, আবার যাত্রাপথকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। তাই দূরপাল্লার এবং সিটিং সার্ভিসের বিভিন্ন রুটের গণপরিবহনের মালিকদের এ বিষয়ে সতর্ক থেকে ট্রাফিক পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে।

ঈদ যাত্রার নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাস যাত্রীদের বাসের অপেক্ষায় টার্মিনাল সংলগ্ন সড়কে দাঁড়িয়ে না থেকে টার্মিনালের ভেতরে অবস্থান করবেন। লঞ্চ টার্মিনাল, রেলওয়ে স্টেশন, বিমানবন্দরকেন্দ্রিক যাত্রীদের গমনাগমন সুষ্ঠু করার জন্য ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ সচেষ্ট রয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে মনিবুর বলেন, ঢাকা মহানগর এলাকায় চলাচলরত বাসগুলো দূরপাল্লার যাত্রী বহন করলে সেই বাসগুলোর নম্বর প্লেট ভিডিও করে রাখা হবে। পরবরর্তীতে ওই বাসগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি এসব গাড়ির রুট পারমিট বাতিলের ব্যবস্থা করা হবে।

ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।


বিদ্যুৎ প্রিপেইড মিটারে ভোগান্তি: নিরপেক্ষ কমিটি দিয়ে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার নিয়ে গ্রাহকদের ভোগান্তির অভিযোগ তদন্তে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। কমিটিকে আগামী এক মাসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাইফুল্লাহ মামুন, জামিউল হক ফয়সাল ও আব্দুল্লাহ আল হাদী। তাদের সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী কামরুল হাসান রিগান ও মো. জাকির হায়দার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার নিয়ে অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত করতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। তবে গতকাল একই রিটে নতুন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন আদালত।

এর আগে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুতের বিলিং প্র্যাকটিস পর্যালোচনা ও নিরীক্ষা, স্বচ্ছতা, অতিরিক্ত চার্জের রিফান্ড, জনসাধারণের সঙ্গে যোগাযোগ এবং নীতি সংস্কার করার দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড, বাংলাদেশ রুর‌াল ডেভেলপমেন্ট বোর্ড, ডেসকো, ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি ও ডিপিডিসি কর্তৃপক্ষকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ এম জামিউল হক ফয়সাল, কামরুল হাসান রিগ্যান ও জাকির হায়দারের পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল হাদী এ নোটিশ পাঠান।

ওই নোটিশে বলা হয়, প্রিপেইড মিটার চালু হওয়া সত্ত্বেও ভোক্তারা অতিরিক্ত চার্জ, গোপন চার্জ এবং স্বচ্ছতার অভাবসহ বিভিন্ন কারণে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। সমস্যাগুলো ব্যাপক অসন্তোষ ও আর্থিক কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে বিলিং প্র্যাকটিস পর্যালোচনা ও নিরীক্ষা, স্বচ্ছতা, অতিরিক্ত চার্জের রিফান্ড, জনসাধারণের সঙ্গে যোগাযোগ এবং নীতি সংস্কার প্রয়োজন।

আইনি নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে প্রিপেইড মিটার চালু করা হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে সব বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীকে এর আওতায় আনা হবে বলে ঘোষণা রয়েছে। কিন্তু এরপরও ভোক্তারা অতিরিক্ত চার্জ, গোপন চার্জ এবং স্বচ্ছতার অভাবসহ নানাভাবে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন।

তাই ২৬ মের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নোটিশে অনুরোধ জানানো হয়। এর ব্যত্যয় হলে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু নোটিশের জবাব না পাওয়ায় গত ৬ জুন জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুতের বিলিং প্র্যাকটিস পর্যালোচনা ও নিরীক্ষা, স্বচ্ছতা, অতিরিক্ত চার্জের রিফান্ড, জনসাধারণের সঙ্গে যোগাযোগ ও নীতি সংস্কার করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।


মে মাসে ৫০৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫১০

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সারা দেশে মে মাসে ৫০৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫১০ জন নিহত ও ৯২১ জন আহত হয়েছে। এসব দুর্ঘটনার মধ্যে ১৭৬টি মোটরসাইকেলে ১৭৫ জন নিহত ও ১৯০ জন আহত হয়েছে, যা মোট দুর্ঘটনার ৩৪.৬৪ শতাংশ।

বুধবার বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে দুর্ঘটনা সংক্রান্ত মাসিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মে মাসে সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে ১১৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১২১ জন নিহত ও ২১০ জন আহত হয়েছে। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বরিশাল বিভাগে। এ ছাড়া সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৫০.৭৮ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়া, ২২.০৪ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২২.২৪ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৩.৯৩ শতাংশ বিবিধ কারণে, ০.৩৯ শতাংশ চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে ও ০.৫৯ ট্রেন-যানবাহনের সংঘর্ষে ঘটে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে মে মাসে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৩০.৭০ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২০.৮৬ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৪২.১২ শতাংশ সংযোগ সড়কে সংঘটিত হয়েছে।

প্রতিবেদেনে জানানো হয়েছে, সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৩.৭৪ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১.৯৬ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০.৫৯ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়।

সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৫ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৩১ জন চালক, ৭৬ জন পথচারী, ১২১ জন পরিবহন শ্রমিক, ৫৪ জন শিক্ষার্থী, ১৯ জন শিক্ষক, ৮১ জন নারী, ৫৮ জন শিশু, দুইজন সাংবাদিক, তিনজন প্রকৌশলী, একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং পাঁচজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছে ছয়জন পুলিশ সদস্য, সেনাবাহিনী দুইজন, র‌্যাব একজন, একজন মুক্তিযোদ্ধা, দুইজন প্রকৌশলী, ১০৪ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ৬৮ জন পথচারী, ৫৭ জন নারী, ৪৩ জন শিশু, ৪১ জন শিক্ষার্থী, ২৯ জন পরিবহন শ্রমিক, ৯ জন শিক্ষক ও চারজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী।

এ সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংঘটিত ৭৫৭টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৭.২১ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২৪.৭০ শতাংশ ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১০.০৩ শতাংশ বাস, ১৭.৮৩ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৫.২৮ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৯.৩৭ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্র-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৫.৫৪ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৫০.৭৮ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২২.০৪ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২২.২৪ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৩.৯৩ শতাংশ বিবিধ কারণে, চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে ০.৩৯ শতাংশ এবং ০.৫৯ ট্রেন-যানবাহনের সংঘর্ষে ঘটে।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ মাসে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৩০.৭০ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২০.৮৬ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৪২.১২ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এ ছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৩.৭৪ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১.৯৬ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০.৫৯ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চলমান গতানুগতিক কার্যক্রম অডিট করে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা চিহ্নিত করা, প্রাতিষ্ঠানিক অকার্যকারিতা সংস্কার করা এবং সক্ষমতা ঘাটতি পূরণ করা জরুরি বলেও দুর্ঘটনার প্রতিবেদনে জানানো হয়। সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঘুষ-দুর্নীতি, চাঁদাবাজি বন্ধ করতে গণপরিবহনে নগদ অর্থের লেনদেন বন্ধ করা গেলে পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরতে বাধ্য। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট ট্রাফিক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে সিসিটিভি ক্যামেরা পদ্ধতিতে ট্রাফিক আইন প্রয়োগ করা গেলে পরিবহনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা হবে এবং দুর্ঘটনা কমে আসবে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।


রাত ১টার মধ্যে যেসব এলাকায় ঝড় হতে পারে

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে রাত ১টার মধ্যে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলেও জানায় রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।

আজ বুধবার বিকেলে দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য দেওয়া আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়।

সতর্কবার্তায় বলা হয়, ময়মনসিংহ, সিলেট, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে আজ সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পৃথক বার্তায় বলা হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণও হতে পারে।


‘মিয়ানমার থেকে কারা গুলি করেছে তা নিশ্চিত নই’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে নাফ নদীতে মিয়ানমার থেকে কারা বাংলাদেশের নৌযানে গুলি করেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আজ বুধবার সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আরাকান আর্মি যুদ্ধ করছে। যুদ্ধটা বেশ কিছুদিন ধরে হচ্ছে। আমরা দেখেছি আরাকানের অনেক জায়গায় তারা দখল করে নিয়েছে। এখন আমাদের নাফ নদীর নিচের অংশটায় যুদ্ধ চলছে। এখানে যখন যুদ্ধ চলছে কখন কোন সময় কার গুলি আসছে। দু-একটা গুলি জেলেদের ট্রলার কিংবা আমাদের টহল বোটে এসে লেগেছে। কে গুলি করেছে সেটি আমরা এখনো নিশ্চিত নই। তাদের (মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ) সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তারাও নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি। মিয়ানমার অস্বীকার করেছে তারা গুলি করেনি, কিন্তু গুলি তো হয়েছে।’

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মেয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সে আসছে, তার আবেগের কথা বলে গেছে। তার বাবা নিহত হয়েছেন, সে তার বাবার হত্যার বিচার চাইবে এটাই স্বাভাবিক। সেটাই সে বলছে যে কেউ যাতে পার না পেয়ে যায় সে বিষয়টি দেখার জন্য। যেটিই তদন্ত আসবে আমরা সেটিই বিশ্বাস করি। তদন্ত যেভাবে করেছেন তাতে কেউ যাতে পার না পেয়ে যায়-সে বিষয়ে আমাদের অনুরোধ করে গেছেন।’

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীরের বিরুদ্ধে ওঠা নানান অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তিনি পুলিশ বাহিনীর প্রধান ছিলেন, আমাদের কাছে এমন কিছু আসেনি, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি যে তাকে আমরা দায়ি করতে পারি। কাগজপত্র সঠিকভাবে আসছে, এখানে কোনো ভুল-ভ্রান্তি করে থাকলে তদন্ত হচ্ছে সেখানে দেখবে। তদন্ত যারা করছেন তারা যদি কিছু প্রমাণ করতে পারেন তখন সেটা দেখা হবে।’


banner close